14/08/2023
আমাদের পৃথিবীতে কিছু অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক নির্মাণ শিল্প
১) দা গ্রেট ব্লু হোল:
The great blue hole: মধ্য আমেরিকার বেলিস নামক স্থানে অবস্থিত এই হোল বা গর্ত সমুদ্রের জলের মধ্যে স্থিত ,ওপর থেকে দেখলে মনে হয় জলের মধ্যে এক প্রাকৃতিক গুহার রচনা হয়েছে,এটি চড়া তে ১,০৪০ ফুট,গভীরতা প্রায় ৪১০ ফুট।মনে করা হয় ১,৫ লাখ বছর আগে প্রাকৃতিক কারণে এটির নির্মাণ হয়েছিল।
২) জায়েন্ট কসওয়ে:
Giant couseway: উত্তর আয়ারল্যান্ড এ অবস্থিত পাথরের দ্বারা নির্মিত একটি প্রাকৃতিক পাহাড় রচনা হয়েছে।যেটি U.K বা ব্রিটিশ ভূখণ্ডের চতুর্থ বড়ো প্রাকৃতিক নির্মাণ বলে মন হয়।বহু পর্যটক বছরের বিভিন্ন সময় এখানে আসেন এই সুন্দর নির্মাণকলা দেখার জন্য।পাথর গুলি এমন ভাবে সাজানো রয়েছে যে দেখলে মনে হবে সেগুলি হাওয়াতে ভাসমান,কোথাও আবার সিড়ির মত ওপরে উঠে গেছে,গবেষণায় জানা যায় এই পাথর গুলির আয়ু ৫০ থেকে ৬০ কোটি বছর।১৯৮৬ সালে এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয় UNESCO দ্বারা।
৩) স্টোন ফরেস্ট:
Stone forest: চিন দেশের ইউনান প্রদেশে অবস্থিত এই পাথরের জঙ্গল বা stone forest।এই জঙ্গলে গাছ কম পাথর বেশি।দেখে মনে হয় পুরো জঙ্গলটি পাথরের টিলায় ভর্তি,৩৫০কিমি বিস্তৃত প্রায় ২৮০ বছর আগে জল ও ভূমির চাপে এই প্রাকৃতিক নির্মাণ রচিত হয়েছিল।
৪) দর্ভাজা গ্যাস সেন্টার:
Darvaza gas center: তুরকিমিনিস্তান দেশের রাজধানী আশগাবাত (ashgabat) থেকে ২৫০কিমি দূরে স্থিত কারাকোরাম মরুভূমিতে এই জ্বলন্ত গ্যাস কেন্দ্র অবস্থিত।যেখানে ভূমির ওপর একটি বড়ো গর্তে অনবরত আগুন জ্বলে রয়েছে,১৯৭১ সাল থেকে এই আগুন জ্বলে রয়েছে। গবেষণায় প্রকাশ এই স্থানে মাটির নিচ থেকে ক্রমাগত মিথেন গ্যাস বেরিয়ে বায়ুর সংস্পর্শে এসে এই আগুনের নির্মাণ হয়েছে যা আজও নেভেনি।
৫) মার্বেল ক্যাথিড্রাল:
Marbel cathidral: উত্তর আমেরিকাতে অবস্থিত চিলি দেশে সমুদ্রের পাড়ে এই অদ্ভুত মার্বেল পাথরের গুহাটি নির্মিত হয়েছে প্রকৃতির খেয়ালে।প্রায় ৬,০০০ বছর পুরানো এই প্রাকৃতিক গুহার ভেতরে অনেক রাস্তা আছে যা প্রাকৃতিক ভাবেই নির্মিত,বহু পর্যটক এই গুহা পরিদর্শনে আসেন। এই গুহা অন্ধকারে আরো বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে যখন গুহার ভেতরে সমুদ্রের জল ঢুকে গিয়ে ক্রিস্টালের মত চক চক করে।
৬) ব্রায়েস ক্যানিয়ন:
Bryce canyon: আমেরিকা দেশের এই জায়গাটি লাল পাহাড়ের জন্যে বিখ্যাত,এখানে লাল পাথর ছাড়াও আরো রঙিন পাথর দেখা যায়,পাথরের ওপর শীতকালে বরফ পড়ে এই রকম লাল পাহাড়ি উপত্যকার নির্মাণ হয়েছে যা সময় সময় কখনও লাল বা বেগুনি বা সাদা রঙে পরিবর্তিত হয়ে আমাদের কাছে ধরা দেয়,যা পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষনীয়।রাতের সময় এই স্থানে দাড়ালে আকাশের সব থেকে বেশি তারা দেখা যায়।
৭) চকোলেট হিল:
Chocolate hills: (philipines) ফিলিপাইন দ্বীপে অবস্থিত এই ছোটো ছোট টিলা পাহাড় গুলি দূর থেকে দেখতে একদম চকলেট চিপস্ এর মত।চুনা পাথর দিয়ে প্রাকৃতিক নিয়মে তৈরী এই টিলা পাহারগুলি ত্রিকোণ আকারের,প্রায় ১,২০০ সংখ্যক টিলা সব সময় সবুজ ঘাস দিয়ে ঢাকা থাকে কিন্তু গরমের সময় এই পাহাড়ের ঘাস গুলি পুড়ে গিয়ে বাদামি বা খয়েরী রঙের হয়ে যায়।তখন একদম ত্রিকোণ চকো চিপস্ এর মত দেখতে লাগে, এটাকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বলেও অনেকে মান্য করে।
৮) মাউন্ট রোরাইমা:
Mount roraima: (north America) দক্ষিণ আমেরিকাতে অবস্থিত এই প্রাকৃতিক পাহাড়টি সত্যিই স্বর্গীয় এক স্থান।তাইতো একে স্বর্গের দ্বার বলা হয়ে থাকে।৩০,০০০ বর্গ কিলোমিটার ব্যাপী ৪০০ মিটার উঁচু অনেক গুলি টিলা পাহাড় দিয়ে নির্মিত এই স্থান যখন কুয়াশা ও মেঘ দিয়ে ঢেকে যায় তখন স্বর্গীয় এক দৃশ্যের সৃষ্টি হয় যা পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।প্রায় দুই কোটি বছর আগে নির্মিত হওয়া প্রকৃতির এক সুন্দর নিদর্শন।
৯) পেইন্টেড হিল:
Painted hill: এই পাহাড়টি হুইলার দেশের ওরেগন শহর থেকে ১০মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।পাহাড়টির বৈশিষ্ট্য হলো এটিকে কেউ যেনো তুলি দিয়ে লাল সবুজ রঙ করে দিয়েছে,দেখতে অতি মনোরম লাগে,যা সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে।প্রায় ৩ কোটি বছর আগে প্রাচীন জ্বালামুখি বিস্ফোরণ ঘটায় এই পাহাড়ের নির্মাণ হয় তখন এর চারপাশে শুধু জল ছিল,রায় পাহাড়টি আরো সুন্দর দেখার যখন এর ওপর বৃষ্টির জল পরে।
১০) ডেভিলস টাওয়ার:
Devils tower: এটিকে দেখতে একটি বড়ো বিল্ডিং এর মত,কিন্তু এটা কোনো বড়ো বিল্ডিং নয়,এটা বড়ো একটা পাথরের খন্ড। এই টাওয়ার টি এত উঁচু যে এতে প্রায় ৫০ তলা বাড়ি অনায়াসে থেকে যাবে।কেউ বলে এটা জ্বালামুখির বিস্ফোরণে তৈরী,কিন্তু ভুবৈজ্ঞানিকরা বলে যে এটি মাটির ভেতর থেকেই এইভাবে নির্মিত হয়েছে প্রকৃতির দ্বারা।