
18/08/2025
নিজের সোনার দুল বিক্রি করে শুরু করেছিলেন, আজ চার মাস ধরে একাই রেঁধে পৌঁছে দিচ্ছেন খাবার। মানবিকতার এক নিঃশব্দ সংগ্রামী কাটোয়ার ‘কাজুলী বিশ্বাস’
ভোরবেলা শহর যখন গভীর ঘুমে ডুবে, তখনই আলো জ্বলে ওঠে কাটোয়া শহরের কলেজপাড়ার একটি ছোট্ট ঘরের রান্নাঘরে। সেখানে এক নারী নিঃশব্দে ভাত, ডাল, সবজি রাঁধেন। উদ্দেশ্য নিজের পরিবার নয়—স্টেশনের এক কোণে বসে থাকা সেই মানুষগুলোর জন্য, যাদের দু’বেলা খাবার জোটে না
এই নারীর নাম কাজুলী বিশ্বাস। একজন সাধারণ গৃহবধূ। মধ্যবিত্ত জীবনে প্রতিদিনের টানাপোড়েনের মাঝেও তাঁর মন কাঁদত অনাহারে দিন কাটানো মানুষগুলোর জন্য। বহুবার চুপচাপ চোখে জল এনে ফিরেছেন স্টেশন চত্বর থেকে। অবশেষে একদিন সিদ্ধান্ত নিলেন—এবার আর চুপ করে থাকা নয়।
নিজের সোনার দুল বিক্রি করে শুরু করলেন রান্না। আজ প্রায় চার মাস ধরে একা হাতে রাঁধছেন, খরচ চালাচ্ছেন নিজের টেলারিং-এর আয়ে, আর ট্রেনে করে পৌঁছে দিচ্ছেন সেই খাবার সেই মুখগুলোর কাছে, যারা অপেক্ষা করে থাকেন শুধুমাত্র এক প্লেট ভালোবাসার খাবারের জন্য।
স্বামী অমল বিশ্বাস কলকাতায় কাজ করেন, ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। সংসারের সীমিত সামর্থ্য নিয়ে কাজুলীর এই যাত্রা যেন এক নিঃশব্দ বিপ্লব—যেখানে নেই প্রচার, নেই ক্যামেরার ঝলক, আছে কেবল অন্তরের টান
কাজুলী দির চোখে আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চাওয়া—"একটা মানুষ যদি হাসতে পারে আমার রান্নায়, তার চেয়ে বড় কিছু হতে পারে ?
এমন মানুষদের জন্যই পৃথিবী এখনো বাসযোগ্য।
শেয়ার করুন, যেন আরও অনেক কাজুলী বিশ্বাসের জন্ম হয়।
ভালো থাকুন দিদি।
সংগৃহীত