26/10/2025
বাহারি আলোকসজ্জার পিছনের গল্প
তিথি রায়/সংবাদ সংস্থা/ হুগলি,২৬ অক্টোবর: আলোর শহর চন্দননগর। মা হেমন্তিকার আরাধনায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে হুগলির এই শহরে। একই সঙ্গে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন রঙবেরঙের আলোরমেলা দেখতে। বর্তমানে এই আলোকসজ্জার মহাত্ব ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শহর জুড়ে। যদিও এই বাহারি আলোকসজ্জার পিছনে রয়েছে তিল তিল করে গড়ে তোলা ইতিহাস।
বর্তমানে চন্দননগরের আলোকসজ্জা এক শিল্প হয়ে উঠেছে। পুরাতন রীতি অনুসারে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় সময় ঘুঁটে ব্যবহার করে তড়িৎ উৎপাদন করা হত। আবার পিতলের বড় গামলায় ঘুঁটে জ্বেলে প্রতিমার সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হত। পরে বাঁশের মাথায় কাপড় দিয়ে কেরোসিন ভিজিয়ে মশাল তৈরি করা হয়, যদিও সেটিও বেশিদিন জ্বলত না। পরবর্তীতে হ্যাজাক নামে আরও উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করা শুরু হয়, যা বহু দূর-দূরান্ত থেকে আনা হত।
চন্দননগরের এই আলোর খ্যাতির পেছনে আছেন বহু জানা অজানা আলোকশিল্পীর পরিশ্রম, তাদের মধ্যে আছেন- শ্রীধর দাস, তারক শেঠ, বাবু পাল, অসীম দে প্রমুখ। বিশেষ করে শ্রীধর দাসের হাতে তৈরি আলোককর্ম সমগ্র দেশে এবং বিদেশেও প্রশংসিত হয়- মস্কো, লন্ডন, আমেরিকা, এমনকি আইফেল টাওয়ারের মতো জায়গায় তাঁর হাতের কাজ পৌঁছে গেছে। এখন চন্দননগরের আলোকসজ্জা শুধু একটি ছোট শিল্প নয়, এটি একটি পরিকল্পনা, লোহা বা ফাইবারের কাঠামো, থ্রিডি ডিজাইন ও অর্থোমাত্রায় পরিণত হয়েছে। বলা ভালো , আজকের চন্দননগরের আলোর ঝলক কার্যত জগৎ বিখ্যাত।
চিত্র সংগৃহীত।