Yug Sambad Darpan Online-Digital

Yug Sambad Darpan Online-Digital প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮ সালের ৯ মে।
মাসিক, পাক্ষিক হয়ে সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।
এখন দৈনিক অনলাইন/ডিজিটাল-এ।

বাহারি আলোকসজ্জার পিছনের গল্পতিথি রায়/সংবাদ সংস্থা/ হুগলি,২৬ অক্টোবর: আলোর শহর চন্দননগর। মা হেমন্তিকার আরাধনায় বহু মান...
26/10/2025

বাহারি আলোকসজ্জার পিছনের গল্প

তিথি রায়/সংবাদ সংস্থা/ হুগলি,২৬ অক্টোবর: আলোর শহর চন্দননগর। মা হেমন্তিকার আরাধনায় বহু মানুষের সমাগম ঘটে হুগলির এই শহরে। একই সঙ্গে দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসেন রঙবেরঙের আলোরমেলা দেখতে। বর্তমানে এই আলোকসজ্জার মহাত্ব ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শহর জুড়ে। যদিও এই বাহারি আলোকসজ্জার পিছনে রয়েছে তিল তিল করে গড়ে তোলা ইতিহাস।

বর্তমানে চন্দননগরের আলোকসজ্জা এক শিল্প হয়ে উঠেছে। পুরাতন রীতি অনুসারে, জগদ্ধাত্রী পুজোয় সময় ঘুঁটে ব্যবহার করে তড়িৎ উৎপাদন করা হত। আবার পিতলের বড় গামলায় ঘুঁটে জ্বেলে প্রতিমার সামনে সারিবদ্ধভাবে রাখা হত। পরে বাঁশের মাথায় কাপড় দিয়ে কেরোসিন ভিজিয়ে মশাল তৈরি করা হয়, যদিও সেটিও বেশিদিন জ্বলত না। পরবর্তীতে হ্যাজাক নামে আরও উজ্জ্বল আলো ব্যবহার করা শুরু হয়, যা বহু দূর-দূরান্ত থেকে আনা হত।

চন্দননগরের এই আলোর খ্যাতির পেছনে আছেন বহু জানা অজানা আলোকশিল্পীর পরিশ্রম, তাদের মধ্যে আছেন- শ্রীধর দাস, তারক শেঠ, বাবু পাল, অসীম দে প্রমুখ। বিশেষ করে শ্রীধর দাসের হাতে তৈরি আলোককর্ম সমগ্র দেশে এবং বিদেশেও প্রশংসিত হয়- মস্কো, লন্ডন, আমেরিকা, এমনকি আইফেল টাওয়ারের মতো জায়গায় তাঁর হাতের কাজ পৌঁছে গেছে। এখন চন্দননগরের আলোকসজ্জা শুধু একটি ছোট শিল্প নয়, এটি একটি পরিকল্পনা, লোহা বা ফাইবারের কাঠামো, থ্রিডি ডিজাইন ও অর্থোমাত্রায় পরিণত হয়েছে। বলা ভালো , আজকের চন্দননগরের আলোর ঝলক কার্যত জগৎ বিখ্যাত।

চিত্র সংগৃহীত।

বর্তমান জীবন পাল্টাচ্ছে মহিষবাথানের মুখা শিল্পজয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর, ২৬ অক্টোবর :দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব...
26/10/2025

বর্তমান জীবন পাল্টাচ্ছে মহিষবাথানের মুখা শিল্প
জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর, ২৬ অক্টোবর :
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি ব্লকের মহিষবাথান এলাকার মুখাশিল্প রাজ্য সহ সমগ্র দেশ জুড়ে জনপ্রিয়। দিন দিন জনপ্রিয় মুখা শিল্পের চাহিদা বাড়ছে। জেলার এই কুশমন্ডি ব্লকের দেউল গ্রাম পঞ্চায়েতে অবস্থিত মহিষবাথান এলাকায়। বিগত কয়েক বছরে এই মুখা শিল্পের ওপর ভিত্তি করেই জীবন জীবিকা গড়ে উঠেছে নতুন করে বহু মানুষের।
জানা গিয়েছে, অতীত কালে বছরের বিশেষ সময়ে ধান কাটার জন্য রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশেষ পুজো আয়োজন করতেন। সেই সময়ই বিভিন্ন দেবদেবীর মুখা পরিধান করে গম্ভীরা নৃত্য করা হত। প্রাচীন এই রীতির কথা মাথায় রেখে মহিষবাথান এলাকার মানুষজন বংশ পরম্পরায় বহু যুগ ধরে মুখ্য তৈরি করে আসছেন। বর্তমানে আধুনিক যুগের সাথে পাল্লা দিয়ে মুখার জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
ইতিমধ্যেই জেলা ছাড়িয়ে রাজ্য এবং রাজ্য ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডির মহিষবাথানের মুখা পৌঁছে গেছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মহিষবাথান গ্রামীণ হস্ত শিল্প কেন্দ্রে এলাকার মানুষজন মুখা তৈরির প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সারা বছর তৈরি করা মুখা বিক্রির সব রকম সাহায্য পেয়ে থাকেন।
এই বিষয়ে, মহিষবাথান এলাকার মুখা শিল্পী সাগুলাল সরকার বলেন, “মুখা শিল্পের উপর ভিত্তি করেই বহু বছর ধরে জীবিকা নির্বাহ করছি। রাজ্য সরকারের আয়োজিত বিভিন্ন মেলা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন বাজারে এমনকি পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশেও আমাদের তৈরি মুখা পৌঁছে যায়। আর সেকারণে দিন দিন মুখা শিল্পের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে”।
উল্লেখ্য, বর্তমান রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখা শিল্পের উন্নয়নে প্রথম থেকেই বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। মুখ্য শিল্পীদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে শিল্প কেন্দ্রের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে কুশমণ্ডি মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্প কেন্দ্রর ভবনটি ইতিমধ্যেই দোতালা করা হয়েছে।
কুশমণ্ডি মহিষবাথান গ্রামীণ হস্তশিল্পের সম্পাদক পরেশ চন্দ্র সরকারের বলেন, “বর্তমানে মুখ শিল্পের ওপর ভিত্তি করেই শিল্পীদের জীবনযাত্রার মান পাল্টে গেছে। আমরা আশা করছি আগামীতে আরও উন্নতি হবে শিল্পীদের। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ২টি নামি সংস্থার সাথে চুক্তি হয়েছে। জনপ্রিয় এই মুখা শিল্প বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে সামগ্রীক ভাবে আরও ব্যাপক পরিসরে বিদেশে রপ্তানি হবে খুব শীঘ্রই বলে আমরা আশাবাদী”।
একটা সময় প্রত্যন্ত এই এলাকার মানুষজনের দুবেলা খাদ্য সংস্থান করতেই হিমশিম অবস্থা হত। তবে রাজ্য সরকার পাশে থাকায় মুখাশিল্পের ওপর ভিত্তি করেই জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে বিগত কয়েক বছরে। সর্বোপরি বলাবাহুল্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডির মহিষবাথানে মুখা শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষজনের জীবন পাল্টাচ্ছে।

চিত্র: নিজস্ব

বুনিয়াদপুর পৌর এলাকায় পথ নিরাপত্তায় উদ্যোগী পৌরসভা,তৈরি হচ্ছে রাস্তার দু'পাশে ফুটপাতজয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর,২৫ অক্ট...
25/10/2025

বুনিয়াদপুর পৌর এলাকায় পথ নিরাপত্তায় উদ্যোগী পৌরসভা,তৈরি হচ্ছে রাস্তার দু'পাশে ফুটপাত

জয়দীপ মৈত্র, দক্ষিণ দিনাজপুর,২৫ অক্টোবর : দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুরে ধারাবাহিক ছোট খাট দূর্ঘটনা ঘটে চলছে,এবার সকল প্রকার পথ দূর্ঘটনা রোধে উদ্যোগী পৌরসভা। ৫১২ নং জাতীয় সরক এবং ১০নং রাজ্য সড়কের দুই দিকে ফুটপাথ এবং ডিভাইডার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।

বিগত কিছু মাস যাবৎ বুনিয়াদপুর শহরে নানান পথ দূর্ঘটনার সাক্ষী হতে হয় পৌরবাসীদের। নতুন বাস স্ট্যান্ড চত্বরে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক শিক্ষিকা। এর পরেই বুনিয়াদপুরের পৌর প্রশাসক কমল সরকারের তত্ত্বাবধানে নাগরিক পথ নিরাপত্তায় উদ্যোগী হলো পৌরসভা।
পৌরসভা সূত্রে খবর, ১০ নং রাজ্য সড়কের মোটর কালী মন্দির থেকে বুনিয়াদপুর চৌপথি এবং ৫১২ নং জাতীয় সড়কের ২ পার্শ্বে পথ চলতি মানুষদের সুবিধার্থে ফুটপাত নির্মাণ করতে চলেছে বুনিয়াদপুর পৌরসভা, ইতিমধ্যে এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমা শাসক এবং জাতীয় এবং রাজ্য সড়কের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বুনিয়াদপুর পৌরসভা।

এই বিষয়ে আমাদের মুখোমুখি হয়ে বুনিয়াদপুর পৌরসভার পৌর প্রশাসক কমল সরকার জানান, বুনিয়াদপুর ক্রমাগত বড় শহরে রূপান্তরিত হচ্ছে, এর ফলে সাধারণ লোকের সমাগম বৃদ্ধি হচ্ছে শহর জুড়ে ৫১২ নাম্বার জাতীয় সড়ক এবং ১০ নম্বর রাজ্য সড়কের পৌর এলাকায় নির্দিষ্ট ফুটপাথ না থাকায় নানান দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে মানুষকে। এর দুর্ঘটনাগুলোকে এড়াতে এই সড়কগুলোর দুই পাশে ফুটপাত নির্মাণ করার উদ্যোগী হয়েছি আমরা।

বাগনানে লরি ছিনতাইয়ের এক মাস পর উদ্ধার, গ্রেফতার একআকাশ দে/সংবাদ সংস্থা, হাওড়া, 25 অক্টোবর:জাতীয় সড়কের ধারে ছিনতাই হওয়া ...
25/10/2025

বাগনানে লরি ছিনতাইয়ের এক মাস পর উদ্ধার, গ্রেফতার এক

আকাশ দে/সংবাদ সংস্থা, হাওড়া, 25 অক্টোবর:
জাতীয় সড়কের ধারে ছিনতাই হওয়া লরি উদ্ধার করল পুলিশ। এক মাসের মধ্যেই উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া লরি ও তাতে থাকা বিপুল পরিমাণ রেলওয়ে সামগ্রী। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ব্যক্তিকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা থেকে সেকেন্দ্রাবাদ যাওয়ার পথে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধার থেকে একটি লরি চুরি হয়ে যায়। লরিতে ছিল প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকার রেলওয়ের সামগ্রী। এরপরই লরি মালিক বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।

তদন্তের সূত্র ধরেই হাওড়ার আন্দুল এলাকা থেকে মোহিত সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর তার কাছ থেকেই মেলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এরপরই উদ্ধার করা হয় চুরি যাওয়া লরি ও রেলওয়ের সামগ্রী।

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা লরি চুরির পর সেটির রঙ ও নম্বরপ্লেট বদলে দিয়েছিল, যাতে পুলিশের নজর এড়ানো যায়। তবে শেষ পর্যন্ত সেই কৌশল কাজে আসেনি। ঘটনাটির সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

চিত্র সংগৃহীত

পুজোর আগেই কড়া নির্দেশিকায় বাঁধল আলোর শহর চন্দননগর তিথি রায়/সংবাদ সংস্থা/হুগলি,২৫ অক্টোবর: না! উৎসবের মরশুম এখনো শেষ ...
25/10/2025

পুজোর আগেই কড়া নির্দেশিকায় বাঁধল আলোর শহর চন্দননগর

তিথি রায়/সংবাদ সংস্থা/হুগলি,২৫ অক্টোবর: না! উৎসবের মরশুম এখনো শেষ হয়নি। শ্যামার বিদায়ের পর এবার বরণ করার পালা মা জগদ্ধাত্রী-কে। সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। সেই উপলক্ষে সেজে উঠছে আলোর শহর চন্দননগর। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এমতাবস্থায় গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে একাধিক নির্দেশিকা জারি করল চন্দননগর সেন্ট্রাল কমিটি। পুজো মূল আকর্ষণ হলেও চন্দননগর-এর আরও এক ঐতিহ্য জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা। যা নিয়েও একাধিক কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চন্দননগরে পুজো দেখতে লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী, ভক্তদের সমাগম হয়। তাদের কথা মাথায় রেখেই প্রশাসনের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা। যার মধ্যে অন্যতম শোভাযাত্রায় ডিজে বক্স বাজানো নিষিদ্ধ। অন্যান্য বারের মতো এবার আর বক্স বাজিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া যাবে না। এছাড়াও প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় কোনওরকম আতশবাজিও পোড়ানো যাবে না। এছাড়াও এবার নির্দেশিকায় রয়েছে বিশেষ সংযোজন। দর্শনার্থীদের কথা চিন্তা করে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রতিবার দশমীর দিন প্রতিবার বিসর্জনের শোভাযাত্রা হয়। এবার বিসর্জনের শোভাযাত্রা একদিন পরে। উল্লেখ্য, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল ৭০ বছর আগে।এই উৎসব কে কেন্দ্র করে প্রতিবছর প্রচুর মানুষের সমাগম হয়, আলোয় আলোয় সেজে ওঠে চন্দননগর শহর।

চিত্র নিজস্ব।

শিলিগুড়ি থেকে মালদহে ফিরলেন খগেন মুর্মু,পরবর্তী চিকিৎসা হবে দিল্লিতে সুনন্দা দাস/সংবাদ সংস্থা,কলকাতা,২৫অক্টোবর  :উত্তর ...
25/10/2025

শিলিগুড়ি থেকে মালদহে ফিরলেন খগেন মুর্মু,পরবর্তী চিকিৎসা হবে দিল্লিতে

সুনন্দা দাস/সংবাদ সংস্থা,কলকাতা,২৫অক্টোবর :
উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু শনিবার শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাড়ির পথে রওনা দেন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মালদহের নিজ বাড়িতে। বিজেপি সূত্রে খবর, সাংসদের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হলে আগামী সপ্তাহে তাঁকে রাজধানীর একটি নামী সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য।

গত পাঁচই অক্টোবর উত্তরবঙ্গ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়। পরদিন ৬ অক্টোবর বন্যা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে নাগরাকাটা যান উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। অভিযোগ, সেখানেই তাঁদের উপর স্থানীয় কিছু মানুষের হামলা হয়। তাড়া করে মারধর করা হয়, এমনকি পাথর ছোড়া হয় তাঁদের দিকে। গাড়িতে উঠলেও রক্ষা পাননি— ভাঙচুর করা হয় গাড়িটিও।

এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন সাংসদ খগেন মুর্মু। তাঁর মুখ ও চোখের নীচে গভীর চোট লাগে, শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের হাতেও চোট লাগে। দু’জনকেই ভর্তি করা হয় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে। পরে শঙ্কর ঘোষের অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে খগেনবাবুকে চিকিৎসার জন্য কিছুদিন বেশি সময় রাখতে হয়।

এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন খগেন মুর্মু। বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা কয়েকদিন আগে তাঁকে দেখতে গিয়ে জানান, অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লি পাঠানো হবে। দলীয় সূত্রে খবর, সেই পরিকল্পনাই এখন কার্যকর হচ্ছে।

চিত্র : সংগৃহীত

‎মহাভারতের শমী বৃক্ষ দেখতে আজও হরিরামপুর হাতিডোবা গ্রামে আসেন বহু মানুষ‎‎‎জয়দীপ মৈত্র,২৫ অক্টোবর,দক্ষিণ দিনাজপুর: শমীবৃক...
25/10/2025

‎মহাভারতের শমী বৃক্ষ দেখতে আজও হরিরামপুর হাতিডোবা গ্রামে আসেন বহু মানুষ


‎জয়দীপ মৈত্র,২৫ অক্টোবর,দক্ষিণ দিনাজপুর: শমীবৃক্ষ, ইতিহাসের পাতায় কয়েক হাজার বছরের জীবন্ত দলিল হয়ে এখনো বেঁচে আছে। তার বৃদ্ধ তকমা পেতে হয়তো আরো কয়েকশো বছরের অপেক্ষা। মহাভারতে উল্লিখিত শমীবৃক্ষ সে, অজ্ঞাতবাসে থাকাকালীন যার কোটরে পাণ্ডবরা নাকি লুকিয়ে রেখেছিলেন নিজেদের অস্ত্র। সেই শতাব্দী প্রাচীন মহীরুহ আজও আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে মানুষের বিশ্বাস ও ভক্তিকে।

‎দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর ব্লকের হাতিডুবা গ্রাম। এলাকার যে কাউকে জিজ্ঞাসা করলেই জানিয়ে দেবে শমীবৃক্ষের অবস্থান। ইটের উঁচু গোলাকার বেদী ঘিরে আছে সেই শমীবৃক্ষকে। আজও সেখানে দেখানো হয় প্রদীপের আলো। আগে এই শমীবৃক্ষের পৌরাণিক গুরুত্ব বলা যাক। মহাভারতে পাণ্ডবদের দীর্ঘ বারো বছরের বনবাস শেষে তাঁরা রাজা বিরাটের রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করে।
‎সেইসময় পাণ্ডবরা নিজেদের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং বিশেষ অস্ত্রগুলো লুকিয়ে রাখে শমীবৃক্ষের কোটরে। সকলের অগোচরে। অনেকে আবার বিশ্বাস করেন হরিরামপুরের বৈরাটা গ্রাম একসময় বিরাট রাজার রাজ্য ছিল। একসময় এখানে মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তাঁর বিশাল প্রাসাদ। তবে ঐতিহাসিক মর্যাদা ছাড়াও একটি বিশেষ কারণে যেন এই গাছের গুরুত্ব বেড়ে যায় কয়েক ধাপ।
‎শমীবৃক্ষের বৈজ্ঞানিক নাম Prosopis cineraria, Fabacea পরিবারের অন্তর্গত উদ্ভিদের পাতা খানিক লজ্জাবতী গাছের পাতার ন্যায়। শমীবৃক্ষ মরু অঞ্চলের উদ্ভিদ হওয়া সত্ত্বেও বরেন্দ্রভূমে এল কীভাবে সেসব রয়েছে অবশ্য ধোঁয়াশা। সবথেকে উল্লেখযোগ্যের বিষয় এই অঞ্চলে কেবল একটি মাত্রই শমীবৃক্ষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। হিন্দুশাস্ত্র মতে ,গৃহে এই গাছের উপস্থিতি গৃহস্থের জন্য অত্যন্ত শুভ। ঔষধি গুণাগুণই হয়তো এর মূল কারণ। খোদ গণেশ ঠাকুরের নাকি একটি প্রিয় গাছ এই শমী।
‎দক্ষিণ ভারতে বিশেষত মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে এই কারণে এই গাছের বিশেষ কদর রয়েছে। তবে মহাভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সাক্ষী লালন করছে যে বরেন্দ্রভূমি সে আজও নিঃশব্দে বহন করে চলেছে সময়ের স্রোতস্বিনী। এই বরেন্দ্রভূমিতে ছড়িয়ে আছে মহাভারতের শমীবৃক্ষ থেকে মৌর্য্যযুগের সমসাময়িক দক্ষিণ দিনাজপুরের বাণগড়ের মতো এক একটি নিদর্শন। তবে এলাকায় যেন বরাবরই বিগত বাম সরকারের আমলে অবহেলার শিকার হয়ে এসেছে।
‎বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে প্রথম থেকেই সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে হরিরামপুরের মহাভারতের ইতিহাস বিজড়িত প্রাচীন শমী বৃক্ষকে। ইতিমধ্যেই সবুজ বৃক্ষের চারিদিক বাঁধানো হয়েছে। পাশাপাশি মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের উদ্যোগে শমী বৃক্ষের পাশেই তৈরি হয়েছে একটি পর্যটকদের বসার ঘর।ইতিহাসে এই জীবন্ত দলিল সময়ের করাল গ্রাসেই হারিয়ে যাতে না, ধর্মীয় ভেদাভেদের উঠে গিয়ে এলাকার হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষজন বর্তমানে শমী বৃক্ষ রক্ষণাবেক্ষণ করেন।
‎এলাকাবাসী ইতিহাসবিদ মাজিদুর রহমান বলেন”এই এলাকাতেই একটি পুকুরে বিরাট রাজার আমলে হাতি দের স্নান করানো হতো। পরবর্তীতে পুকুরের হাতি ডুবে গিয়েছিল। এলাকার নামকরণ হয়েছে হাতিডোবা।” জানা গেছে বহু দূর দূরান্ত থেকে শমী বৃক্ষ দেখতে হাতিডোবা গ্রামে মানুষজনদের সমাগম হয় প্রত্যহ। ইতিমধ্যেই দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকদের আগমনের ফলে ব্যবসায়িক সমৃদ্ধি ঘটেছে হরিরামপুর ব্লকের বৈরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিডোবা এলাকায়।

হাতেকলমে সাংবাদিকতা শেখার সুযোগ জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন/ মিডিয়া স্টাডিজ এর পড়ুয়াদের... আগ্রহীরা বিশদে জানতে...
25/10/2025

হাতেকলমে সাংবাদিকতা শেখার সুযোগ জার্নালিজম অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন/ মিডিয়া স্টাডিজ এর পড়ুয়াদের...

আগ্রহীরা বিশদে জানতে ইনবক্স করতে পারেন

হাওড়ার ভিড় কমাতে প্রস্তুত শালিমার স্টেশনরুম্পা কামিলা/ সংবাদ সংস্থা, হাওড়া, ২৫ অক্টোবর : হাওড়া স্টেশনের অতিরিক্ত যাত...
25/10/2025

হাওড়ার ভিড় কমাতে প্রস্তুত শালিমার স্টেশন
রুম্পা কামিলা/ সংবাদ সংস্থা, হাওড়া, ২৫ অক্টোবর :
হাওড়া স্টেশনের অতিরিক্ত যাত্রীচাপ কমাতে আরও এক ধাপ এগোল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু হতে চলেছে শালিমার রেলওয়ে স্টেশনের নতুন ৪ ও ৫ নম্বর দুটি আধুনিক প্ল্যাটফর্ম। রেল কর্তৃপক্ষের আশা, এই উদ্যোগে উৎসবের মরশুমে হাওড়ার ওপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে এবং ট্রেন চলাচল আরও স্বচ্ছন্দ হবে।

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হবে। নতুন প্ল্যাটফর্মগুলিতে উন্নত বসার ব্যবস্থা, উজ্জ্বল আলোকসজ্জা, আধুনিক টয়লেট ও নিরাপত্তা নজরদারির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরনো ও নতুন প্ল্যাটফর্মগুলিকে ১২ মিটার দীর্ঘ দুটি ফুট ওভারব্রিজে যুক্ত করা হবে, যেখানে থাকবে এসকেলেটর সুবিধাও।

শালিমারের অ্যাসিস্ট্যান্ট এরিয়া ম্যানেজার জয়নাথ শর্মার বক্তব্য, নতুন প্ল্যাটফর্ম চালু হলে ট্রেন দেরির সমস্যা অনেকটাই কমবে, ফলে আপ লাইন ট্রেনকে সাঁতরাগাছিতে অপেক্ষা করতে হবে না। বর্তমানে এখান থেকে ২৮টি নিয়মিত ও সাতটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করে। নতুন পরিকাঠামো চালু হলে বিশেষ ও দৈনিক ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।

রেল কর্তৃপক্ষের মতে, হাওড়ার চাপ ভাগ করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি শালিমার স্টেশন এখন দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যাত্রী টার্মিনাল হয়ে উঠছে।

চিত্র: সংগৃহীত

ময়নাগুড়ির গ্রামে হাতির তাণ্ডব, আহত স্থানীয় সাংবাদিকপল্লবী চ্যাটার্জি/সংবাদ সংস্থা, কলকাতা, ২৫ অক্টোবর:জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়...
25/10/2025

ময়নাগুড়ির গ্রামে হাতির তাণ্ডব, আহত স্থানীয় সাংবাদিক

পল্লবী চ্যাটার্জি/সংবাদ সংস্থা, কলকাতা, ২৫ অক্টোবর:
জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে ফের বুনো হাতির হানা। আজ সকালে সংবাদ সংগ্রহের সময় এক সাংবাদিকের উপর হামলা চালায় হাতিটি। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে যে,হাতিটি জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি মহকুমার অন্তর্গত নাথুয়া রেঞ্জ থেকে এসেছিল।আজ সকালে জলঢাকা নদী পেরিয়ে হাতিটি আমগুড়ি শহর হয়ে ময়নাগুড়ির পেটকাটি এলাকায় পৌঁছোয়। হাতির উপস্থিতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই সেখানে ভিড় জমান বহু মানুষ। ঘটনাস্থলে খবর সংগ্রহ করতে যান শিলিগুড়ির এক সংবাদপত্রের সাংবাদিক বাণীব্রত চক্রবর্তী।

হঠাৎই দিশাহারা হাতিটি তাঁর দিকে তেড়ে আসে। তিনি পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে হাতিটির ধাক্কায় মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর শরীরে একাধিক স্থানে আঘাত লেগেছে।

জানা গেছে,হাতিটি এখন ময়নাগুড়ির উত্তর খাগড়াবাড়ি রেলগেটের কাছে এমএসকে স্কুলের পাশে লুকিয়ে আছে। বনদপ্তর অনেক চেষ্টা করলেও এখনও হাতিটিকে ধরা সম্ভব হয়নি। এলাকায় মানুষের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।ঘটনাস্থলে গোরুমারা অভয়ারণ্যের সহকারী বনপাল (এ.ডি.এফ.ও) রাজীব দে, পশু চিকিৎসক শ্বেতা মণ্ডলসহ আরও কয়েকজন বনকর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার অঞ্চলে হাতির হামলার ঘটনা বেড়েছে। বনদপ্তরের মতে, জঙ্গলে খাবার কমে যাওয়ায় হাতিরা প্রায়ই লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।

চিত্র: সংগৃহীত

৩০ টাকা বেতনে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের দোকানে কাজ করা গ্রামের ছেলেটি আজকে সফল ইউটিউবার জয়দীপ মৈত্র, ২৫ অক্টোবর,দক্ষিণ দিনাজ...
25/10/2025

৩০ টাকা বেতনে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের দোকানে কাজ করা গ্রামের ছেলেটি আজকে সফল ইউটিউবার

জয়দীপ মৈত্র, ২৫ অক্টোবর,দক্ষিণ দিনাজপুর : একদা গ্রামের সরল সাদাসিদে ও ৩০ টাকা দৈনিক বেতনে মোবাইল রিপেয়ারিংয়ের কাজ করা ছেলেটি আজ উত্তরবঙ্গ সহ পুরো রাজ্যের সফলতম ইউটিউবার। এবং সেই ইউটিউবের উপার্জিত টাকায় তার দ্বারা মোট ১০০টি পরিবারের পেট চলে। আজ একটি গ্রামের সাদাসিদে ছেলের গল্প শোনা যাক। ছেলেটির নাম গোলাম রাব্বানী,বাবা পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা, তাই ছোট থেকে সংসারে অভাব লেগেই ছিল। এদিকে বাবার সাথে সাথে সংসারের হাল ধরতে খুব অল্প বয়সে স্থানীয় একটি মোবাইল রিপেয়ারিং এর দোকানে মাত্র ৩০ টাকার দিন চুক্তি হিসাবে কাজ করতো সে, বাড়ি তার উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত সিওল কানাহার গ্রামে। রাস্তার ধারেই এক চিলতে বাড়িতে ঠাঁই ছিল তাদের। এরপরই গোলাম রাব্বানীর মাথায় আসে ইউটিউবে কিছু করে যদি নিজেকে সামনের দিকে অগ্রসর করা যায়। যেমনি ভাবা তেমনি কাজ তবে এই সফলতার কাজের পথটি মোটেও মসৃণ ছিল না। নানান ঘাট প্রতিঘাত চড়াই-উতরায় পার করে এসে বর্তমানে সে উত্তরবঙ্গ সহ সমগ্র রাজ্যের একজন সফল ইউটিউবার। "মাই ফ্যামিলি" নামে একটি তার ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। যেখানে ৩৬৫ দিনে প্রায় শতাধিক কলা কুশলীরা অভিনয় ও কাজ করেন। গোলাম রাব্বানীর কমেডি ভিডিওর ইউটিউব চ্যানেলটিতে সাবস্ক্রাইবার প্রচুর যা ৮ থেকে ৮০ সকলেরই রোজকার আনন্দের খোরাক। জানা গেছে, সফল ইউটিউবার গোলাম রব্বানীর ঝুলিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি সিলভার প্লে বাটন দুটি গোল্ডেন প্লে বাটন সহ একটি ডায়মন্ড প্লে বাটন আছে যা উত্তরবঙ্গের কোন ইউটিউবারের কাছে নেই বলে জানা গেছে। রোজ তার কমেডি ভিডিওর শুটিংয়ের জন্য মোট নিজের কেনা পাঁচটি স্পট রয়েছে যেখানে রোজ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জোরদার শুটিংয়ের কর্মব্যস্ততা থাকে। শুটিংয়ের ব্যবহৃত প্রত্যেকটি জিনিস যেমন প্লপ্স অন্যান্য মেকআপ ক্যামেরাম্যান সবকিছুই ইউটিউবের টাকায়। বর্তমানে গোলাম রব্বানীর নিজের প্রায় ২৫ টি গাড়ি রয়েছে। পাশাপাশি এক একর জমির উপর মাই ফ্যামিলি নাম দিয়ে একটি প্রোডাকশন হাউস তৈরি করেছে যেখানে শুটিং জিম সহ এডিটিং এর অফিস রয়েছে যা প্রায় আনুমানিক ৫ কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এবং সত্যিই তা অবাক করার মত একসময় নুন আনতে পান্তা পুরনো পরিবারের একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে আসা ওই ছোট্ট গোলাম রাব্বানী আজ উত্তরবঙ্গ সহ পুরো রাজ্যের সফলতম ইউটিউবার। এ বিষয়ে সফল ইউটিউবার গোলাম রাব্বানী জানান, " আমার এই সফলতার পথটি মোটেও মসৃণ ছিল না। বহু ঘাত প্রতিঘাত চড়াই উদয় পার করে এসে আজকে শত কষ্টের চেষ্টা সফল হয়েছে। আমার এখানে যারা অভিনয় করেন বা অন্যান্য কলা কুশলীরা রয়েছে আমি কাউকেই আমার স্টাফ হিসেবে মানি না এরা প্রত্যেকে আমার পরিবারের সদস্য তাই আমার চ্যানেলের নাম মাই ফ্যামিলি, এবং সেই কারণেই এদের সাথে আমি পরিবারের সদস্যের মতো ব্যবহার করি এবং মিশি। আমার এখানে অভিনয় করার প্রচুর কলা কুশলীরা একসময় বাইরে দিল্লি মুম্বাই কেরলে কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে তারা ওই সব কিছু কর্ম ছেড়ে দিয়ে এসে প্রায় পাঁচ বছর ছয় বছর ধরে আমার এখানেই অভিনয় করছেন বিভিন্ন কাজ করছেন এবং আমার চ্যানেলকে আরো অগ্রসর করছেন তাদের দক্ষ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এবং সেই হাসির ভিডিও দেখেই মানুষ আমাদের পছন্দ করেন। আজ সত্যি বলতে বাধা নেই এই ইউটিউবের উপার্জিত টাকাতে আমিসহ এখানকার প্রায় শতাধিক কলা কুশলীদের সংসার চলে। আগামী দিনে আরো অনেক বড় বড় স্বপ্ন রয়েছে, আমার মাই ফ্যামিলি চ্যানেল ও আমার এই সদস্য কলাকুশলীদেরকে নিয়ে আমি আরো সামনের দিকে অগ্রসর হতে চাই"। সর্বশেষে বলায় বাহুল্য মানুষের চেষ্টা কখনো বিফলে যায় না তবে ধৈর্য ধরতে হয় সে কথায় সত্যি করল উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার অন্তর্গত ছোট্ট একটি গ্রাম সিওল কানাহারের সফলতম ইউটিউবার গোলাম রাব্বানী।

শব্দবাজির আতঙ্কে অসহায় পোষ্যরা, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদেরসুনন্দা দাস/সংবাদ সংস্থা,পূর্ব বর্ধমান,২৪অক্টোবর : দীপাবলি শেষ হ...
24/10/2025

শব্দবাজির আতঙ্কে অসহায় পোষ্যরা, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের

সুনন্দা দাস/সংবাদ সংস্থা,পূর্ব বর্ধমান,২৪অক্টোবর : দীপাবলি শেষ হলেও শব্দবাজির তাণ্ডব যেন থামছেই না। অতিরিক্ত শব্দে যেমন প্রবীণ ও অসুস্থ মানুষরা বিপাকে পড়ছেন, তেমনই সমস্যায় পড়ছে প্রাণীরাও। শুধু রাস্তার কুকুর-বিড়াল নয়, ঘরের ভেতরের পোষ্যরাও এই শব্দ দূষণের শিকার।

বর্ধমানের কয়েকটি পেট হাসপাতালে গত কয়েকদিনে বেড়েছে কুকুর-বিড়ালের রোগীর সংখ্যা। স্থানীয় পশুচিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর খান জানান,উচ্চমাত্রার শব্দ পোষ্যদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করছে। অনেক ক্ষেত্রে শ্রবণশক্তি নষ্ট হচ্ছে, হৃদরোগের আশঙ্কাও বেড়েছে।তাঁর কথায়, তীব্র শব্দে কুকুররা ভয় পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছে, ফলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক সময় তারা নিজের পরিচিত এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়ে অন্য কুকুরের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে।

অন্যদিকে, পশু চিকিৎসক বৈশাখী চক্রবর্তী জানান, পোষ্যরা ভয় পেলে খাওয়া বন্ধ করে দেয়, চুপচাপ কোণে গুটিয়ে থাকে। মালিকদের উচিত এই সময় তাদের পাশে থাকা, শান্তভাবে কথা বলা এবং আশ্বস্ত করা।

প্রাণী প্রশিক্ষক অর্ণব দাস বলেন,শব্দ ও আলো— দুই-ই প্রাণীদের মানসিক চাপ বাড়ায়। দীপাবলির অতিরিক্ত আলোতে পাখিরাও বিপদে পড়ছে। অনেক পাখির হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

এদিকে বর্ধমানের পেট শপ মালিকদের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে প্রাণীদের ভয় বা উদ্বেগ কমানোর ওষুধের চাহিদা এত বেড়েছে যে, সরবরাহ রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কিছু আয়ুর্বেদিক ও রাসায়নিক ওষুধ মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, উৎসবের আনন্দ যেন প্রাণীদের যন্ত্রণার কারণ না হয়। তাই বাজি ফাটানোর সময় সংযম ও সচেতনতা এখন সময়ের দাবি।

চিত্র : সংগৃহীত

Address

Howrah

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Yug Sambad Darpan Online-Digital posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Yug Sambad Darpan Online-Digital:

Share