
23/06/2025
মাধ্যমিকে স্টার পাওয়ার পর যখন উচ্চমাধ্যমিকেও স্টার পেলাম, তখন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীরা বলেছিল—"এই মেয়েটা অনেক দূর যাবে।"
কিন্তু জীবন সবসময় সে পথে চলে না, যেদিকে আমরা হাঁটতে চাই।
পরিস্থিতি আমায় এমন এক পথে নিয়ে এলো, যেটা কেউ ভাবেনি—আজ আমি ট্রেনে হকারি করি।
তবুও আমি ভালো আছি।
নিজের ইচ্ছেমতো মা-বাবাকে দেখতে পারি, সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পারি।
এটাই তো জীবনের সার্থকতা—নিজের পরিশ্রমে চলা, নিজের দায়িত্ব নিজে পালন করা।
তবে, মজার বিষয় হলো—এটাই আবার অনেক আত্মীয়র চোখে খারাপ লাগে, বন্ধুরা ব্যঙ্গ করে হাসে।
কেউ কেউ ভাবেন, চাকরি না করলে বুঝি মানুষ হওয়া যায় না!
আমি বলি, কষ্ট শুধু চাকরির মধ্যেই থাকে না, জীবন নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে চলাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।
আমি নিজের উপার্জনে ঘুরতে যাই, আবার নতুন স্বপ্ন দেখি—একটা স্বপ্ন, যেটা শুধু টাকায় কেনা যায় না।
সবচেয়ে আনন্দের জায়গা?
আমি মা-বাবার দেখভাল করতে পারি, ইচ্ছেমতো চলাফেরা করতে পারি, আর কারো কাছে হাত পাততে হয় না।
তোমরা যারা মনে করো বাসন মাজা, কাপড় কাচা কাজ নয়—জেনে রেখো, ওগুলোও সম্মানের কাজ।
দামী শাড়ি বা গয়না পরলেই মানুষ হওয়া যায় না।
আজ আমি যত মানুষের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ পাচ্ছি, সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে দামী অর্জন।
যা টাকায় কেনা যায় না, কিন্তু ভালোবাসায় পাওয়া যায়।
আজকের দিনে, ঈশ্বরের কৃপায়, মা-বাবার আশীর্বাদে, আর তোমাদের ভালোবাসায়—আমি আর আমার সন্তান ভালো আছি।
জীবনে দামী গয়না নয়, দামী উপহার—আশীর্বাদ।
পুনশ্চ: আমি, একেবারে সাধারণ একটা মানুষ, যদি নিজের স্বপ্ন নিয়ে বাঁচতে পারি—তাহলে তোমরাও নিশ্চয় পারবে ❤️
---