11/06/2024
সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইলো।
আজ আপনাদের কাছে কিছু তথ্য তুলে ধরবো পার্থেনিয়াম চারাগাছ সম্বন্ধে।
সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে হু-হু করে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভয়ংকর আগাছা। অযাচিতভাবে উৎপন্ন লক্ষ - লক্ষ করে ছেয়ে যাচ্ছে ভারতবর্ষের ভূ-ভাগ। জনসাধারণকে এর গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।
চিকিৎসক, বিজ্ঞানকর্মী, স্বেচ্ছাসেবী সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনকেও গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে, একে কীভাবে নির্মূলকরন করা যায় সে বিষয়ে। এইসব যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই মঙ্গল। যেভাবে এই আগাছাটি দূর্বার গতিতে বিস্তার করছে তাতে আগামীদিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে সেকথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। এই ক্ষতিকর আগাছাটির সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করে ও আগাছাটিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
এই পুরো আগাছাটিই সম্পূর্ণ ক্ষতিকর। বিশেষ করে ফুলের রেনুতে অবস্থিত " সেস্কুটার্পিন ল্যাকটোন " ( Sesquiter-pene Lactone বা SQL) জাতীয় বিষাক্ত পদার্থ " পার্থেনিন "। এছাড়াও এর মধ্যে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিকগুলি হল, -- ক্যাফেইক অ্যাসিড, পি-অ্যানিসিক অ্যাসিড প্রভৃতি। ক্ষতস্থানে রক্তের সঙ্গে মিশে চর্মরোগ হতে পারে।
যেমন , -- Contact darmatitis, skin alargy, eczema ইত্যাদি। ফুলের রেনু বা বীজ নাকে প্রবেশ করলে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, জ্বর হয়। গরু এই আগাছা খেলে তার অন্ত্রে ঘা দেখা দেয়, দুধ উৎপাদন কমে যায়। এর পুষ্পরেনু বেগুন, টমেটো, মরিচের মতো সবজি উৎপাদন ব্যাহত করে। মাটিতে নাইট্রোজেন আবদ্ধকরনের প্রক্রিয়াও ব্যাহত করে। পার্থেনিয়াম ভক্ষণে মোষ, ঘোড়া, গাধা, ভেড়া ও ছাগলের মুখে ও পৌষ্টিকতন্ত্রে ঘা, যকৃতে পচন প্রভৃতি রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দেয়। যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের অধিক সচেতন থাকতে হবে। কারণ তাদের চামড়ায় এই রস লাগালে, সেখানে ক্যান্সার হতে পারে।
নির্মূল করার উপায় --
হেক্টর প্রতি ১-১.৫ কেজি হারে আগাছা নাশক মেট্রিবুজিন প্রয়োগ করলে এই গাছ সম্পূর্ণরুপে নষ্ট হয়। খাদ্য লবণের ১৫% দ্রবণে ( ১লিটার জল + ১৫০ গ্রাম লবণ ) আগাছার উপর ছিটিয়ে দিলে আগাছা শুকিয়ে যায়। তারপর শুকনো গাছে আগুন ধরিয়ে দিলেই ধ্বংস করা যায় সহজেই।
তবে এই আগাছা দমন করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা একান্তই জরুরী। সমস্তকিছু করতে হবে হাতে রাবারের গ্লাভস বা পলিথিন প্যাকেট জড়িয়ে ও মুখে পাতলা মাক্স পরে নেওয়া যুক্তিযুক্ত। বলা যেতে পারে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিয়েই এই আগাছায় হাত দেওয়া দরকার , না হলে অসুবিধে হতে পারে। আমাদের চারপাশে যেভাবে এর বিস্তার ঘটছে অনেকটাই অজ্ঞাতসারে।
তাই আমরা অর্থাৎ U.N Pur Public Alliance এর পক্ষ থেকে সির্দ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের পারিপার্শ্বিক পরিবেশে যে সমস্ত পার্থেনিয়াম গাছ অবাধে বেড়ে উঠছে, তাদের যতটা সম্ভব নির্মূল করবো।
আমাদের এই উদ্যোগে যদি কেউ সামিল হন, যোগাযোগ করতে পারেন।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।