Poonam'zzzz Homeshop

Poonam'zzzz Homeshop Nature for All.....❤️🍀🌹
A home shop with Homemade herbal products for skin & hair.Homemade foods.Jewelleries.Clothes.Story Books.Paintings.Etc

https://www.facebook.com/share/17B1mdQW32/
06/06/2025

https://www.facebook.com/share/17B1mdQW32/

দাগ

ঘন কুয়াশার মধ্যে গ্রামের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পোড়া বাড়িটাকে ঘিরে আজও নানান গুজব শোনা যায়। পাঁচ বছর আগে এখানেই খুন হয় স্কুলশিক্ষক অরিত্র। পুলিশ বলেছিল, আগুনে পুড়ে মৃত্যু — কিন্তু কেউ জানে, তার কপালে ছিল একটা অদ্ভুত দাগ।

সেই দাগটার ছবি হুবহু মিলে গেছে, ঠিক গ্রামের মন্দিরের পুরনো শিবলিঙ্গের নিচে খোদাই করা এক অচেনা প্রতীকের সঙ্গে। কেউ বুঝতে পারেনি, কাকতালীয় না কোনো অশরীরী যোগ।

আজ মাঝরাতে ফিরেছে রিন্তা — অরিত্রর ছোট বোন। বিদেশে ছিল এতদিন। ভাইয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সে। আগুনে পোড়া ঘরটায় ঢুকতেই বাতি নিভে গেল। হঠাৎ অন্ধকারে যেন একটা কাঁপা কাঁপা গলা ফিসফিস করে উঠল, “তুইও দাগটা পেয়ে গেছিস রিন্তা...”

হাতের মুঠোফোনের আলোয় সে নিজের হাতে দেখল — আগুনের ছাপ নয়, সেই একই প্রতীক!

একটা দাগ, যা খুন করে না — কিন্তু ঘিরে ধরে, চিহ্নিত করে, আর একসময় নিয়ন্ত্রণ নেয় মন ও শরীরের ওপর।

আর তখন... খুনি হয় দাগধারী নিজেই!

https://www.facebook.com/share/p/18jz7qnxKR/
31/05/2025

https://www.facebook.com/share/p/18jz7qnxKR/

কালো কুকুরের রহস্য
ষষ্ঠ পর্ব
___________________
কুয়োর ভেতরে মানুষের কঙ্কাল আবিষ্কারের পর বাগানবাড়ির পরিবেশ থমথমে হয়ে গেল। প্রবীর রায় সঙ্গে সঙ্গে দেবনাথকে খবর দিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফরেনসিক দল এসে পৌঁছাল এবং কঙ্কালটি উদ্ধার করার কাজ শুরু করল।
কঙ্কালটি দেখে মনে হচ্ছিল বেশ কয়েক বছর আগের। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা প্রাথমিক পরীক্ষায় জানালেন, এটি সম্ভবত একজন মহিলার কঙ্কাল। প্রবীরের মনে সন্দেহ আরও ঘনীভূত হলো – এটা কি সেই নার্স রমা সেনের কঙ্কাল?
শুভ্র উত্তেজিত হয়ে বলল, "স্যার, তাহলে কি রমাই অরুণাভকে খুন করেছে? হয়তো মালিনীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে?"
"এত সহজে সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে না, শুভ্র," প্রবীর শান্ত স্বরে বললেন। "আমাদের আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড় করতে হবে।"
কঙ্কালটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হলো। প্রবীর এবং শুভ্র আবার বাগানবাড়ির প্রতিটি কোণ তন্নতন্ন করে খুঁজতে শুরু করলেন। মালিনীর ঘরটিতে তারা আরও কিছু ব্যক্তিগত জিনিসপত্র পেলেন – পুরোনো ডায়েরি, কিছু medical report এবং একটি incomplete legal document, যেখানে একটি সম্পত্তির উইল সংক্রান্ত বিষয় লেখা ছিল। তবে উইলটি সম্পূর্ণ হয়নি, শুধু অরুণাভ এবং মালিনীর নাম উল্লেখ ছিল।
ডায়েরিগুলোতে মালিনীর মানসিক অস্থিরতার কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেল। তার লেখায় এক ধরনের চাপা ক্ষোভ এবং হতাশার প্রকাশ ছিল। একটি জায়গায় সে লিখেছিল, "বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি একদিন সে ঠিক পাবে।" কিন্তু কার বিশ্বাসঘাতকতার কথা সে বলছিল, তা স্পষ্ট নয়।
কঙ্কালের ফরেনসিক রিপোর্ট কয়েকদিন পর এল। রিপোর্টে জানা গেল, কঙ্কালটি আনুমানিক পাঁচ থেকে সাত বছর পুরোনো এবং এটি একজন মহিলার। তবে তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য হলো, কঙ্কালের করোটিতে ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে! ঠিক যেমন আঘাত অরুণাভর মাথায় ছিল।
"স্যার, এর মানে দাঁড়ায় কুয়োর মহিলাটিও খুন হয়েছিলেন," শুভ্র বলল। "আর আঘাতের ধরনও একই।"
প্রবীর চিন্তিত মুখে বললেন, "তাহলে কি অরুণাভ এবং এই মহিলা – সম্ভবত রমা সেন – দুজনেই একই ব্যক্তির দ্বারা খুন হয়েছেন? কিন্তু কেন?"
তাদের মনে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। মালিনীর মৃত্যুর সাথে কি এই দুটি খুনের কোনো সম্পর্ক আছে? সেই অস্পষ্ট মুখের পুরুষ এবং মহিলার পরিচয়ই বা কী?
প্রবীর আবার কালুর কথা ভাবলেন। কুকুরটির অস্বাভাবিক আচরণ, বিশেষ করে কুয়োর কাছে তার ব্যাকুলতা, প্রবীরকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করছিল যে কালু এই রহস্যের কেন্দ্রে কোথাও না কোথাও জড়িত।
তিনি দেবনাথকে অনুরোধ করলেন, রমা সেনের নিখোঁজ হওয়ার কোনো পুরোনো ডায়েরি বা পুলিশ রিপোর্ট আছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য।
কিছু অনুসন্ধানের পর দেবনাথ একটি পুরোনো নিখোঁজ ডায়েরির সন্ধান পেলেন। ডায়েরিটি রমা সেনের এক প্রতিবেশীর লেখা, যেখানে রমা প্রায় পাঁচ বছর আগে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেশীটি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছিল, কিন্তু কোনো সুস্পষ্ট সূত্র না পাওয়ায় মামলাটি ঠান্ডা হয়ে যায়।
প্রবীর এবং শুভ্র রমার প্রতিবেশীর সাথে দেখা করলেন। প্রতিবেশী জানালেন, রমা খুব শান্ত এবং মিশুক মেয়ে ছিল। মালিনীর খুব সেবা করত। মালিনীর মৃত্যুর পর সে ভেঙে পড়েছিল এবং কিছুদিন পর হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায়।
"ওর কোনো শত্রু ছিল বলে তো শুনিনি," প্রতিবেশী বললেন। "তবে শুনেছি মালিনীর সম্পত্তির উইল নিয়ে অরুণাভবাবুর সাথে তার নাকি কিছু কথা কাটাকাটি হয়েছিল।"
এই তথ্য প্রবীরের কাছে একটি নতুন সূত্র হিসেবে এল। তাহলে কি সম্পত্তির উইল নিয়ে কোনো বিরোধ ছিল? আর সেই কারণেই রমা নিখোঁজ হয়ে যায় এবং পাঁচ বছর পর অরুণাভ খুন হন?
প্রবীর আবার সেই অসম্পূর্ণ উইলটির কথা ভাবলেন, যা তারা মালিনীর ঘরে পেয়েছিলেন। উইলটিতে শুধু অরুণাভ এবং মালিনীর নাম ছিল, কিন্তু সম্পত্তির ভাগ বা বন্টন স্পষ্ট করা হয়নি।
ষষ্ঠ পর্বের শেষে, প্রবীর রায় একটি জটিল ধাঁধার মুখোমুখি। কুয়োর কঙ্কাল, রমা সেনের নিখোঁজ হওয়া, অসম্পূর্ণ উইল এবং কালুর রহস্যময় আচরণ – এই সমস্ত সূত্র কি একটি অভিন্ন পরিণতির দিকে ইঙ্গিত করছে? আসল খুনি কি এখনও পর্দার আড়ালে লুকিয়ে আছে?

https://www.facebook.com/share/p/18wzic5BR1/
30/05/2025

https://www.facebook.com/share/p/18wzic5BR1/

কালো কুকুরের রহস্য
পঞ্চম পর্ব
___________________
বিনয় মালহোত্রার স্বীকারোক্তি সত্ত্বেও প্রবীর রায়ের মনে খচখচানি রয়েই গেল। কালুর অস্বাভাবিক আচরণ কিছুতেই তার মন থেকে যাচ্ছিল না। তিনি দেবনাথকে অনুরোধ করলেন, বিনয়কে আরও গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এবং তার দাবির সত্যতা যাচাই করার জন্য।
অন্যদিকে, প্রবীর শুভ্রকে নিয়ে রওনা হলেন সেই পুরনো বাগানবাড়ির উদ্দেশে, যার দলিল মালিনীর নামে রেজিস্ট্রি করা ছিল। শহরের উপকণ্ঠে, কিছুটা নির্জন এলাকায় বাগানবাড়িটি অবস্থিত। দীর্ঘদিনের অযত্নে বাড়িটি জীর্ণ দশায় পৌঁছেছে, আগাছা আর লতাপাতায় ঢেকে গেছে চারপাশ।
ভেতরে প্রবেশ করে এক ভুতুড়ে পরিবেশের সম্মুখীন হলেন প্রবীর ও শুভ্র। ধুলো আর স্যাঁতসেঁতে গন্ধ মেশানো বাতাস ভারী হয়ে আছে। আসবাবপত্রগুলো পুরোনো এবং ভাঙাচোরা। তবে একটি ঘর তুলনামূলকভাবে পরিপাটি মনে হলো। সম্ভবত মালিনী তার অসুস্থতার দিনগুলোতে এই ঘরেই থাকতেন।
ঘরের এক কোণে একটি পুরোনো ড্রেসিং টেবিলের ওপর একটি ছোট কাঠের বাক্স পড়ে ছিল। প্রবীর বাক্সটি খুললেন। ভেতরে কিছু পুরোনো গয়না, কিছু শুকনো ফুল এবং একটি অসম্পূর্ণ চিঠি পাওয়া গেল। চিঠিটি মালিনী অরুণাভকে লিখেছিলেন, কিন্তু শেষ করেননি। চিঠিতে তিনি তার শারীরিক কষ্টের কথা এবং অরুণাভের প্রতি গভীর ভালোবাসার কথা লিখেছিলেন।
হঠাৎ শুভ্র একটি পুরোনো ছবির অ্যালবামের দিকে ইঙ্গিত করল। অ্যালবামটি ধুলোয় ঢাকা পড়ে ছিল। প্রবীর পাতা উল্টে দেখতে শুরু করলেন। সেখানে অরুণাভ এবং মালিনীর অনেক হাসিখুশি মুহূর্তের ছবি ছিল। তবে একটি ছবিতে তাদের সাথে আরও একজনকে দেখা গেল – একজন নার্স, যার মুখের দিকে লাল কালির আঁচড় দেওয়া হয়েছে।
"আবার সেই ঘষা মুখ!" শুভ্র বিস্ময়ের সাথে বলল। "কিন্তু এবার একজন মহিলা।"
প্রবীর ছবিটির দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালেন। নার্সটির মুখ পরিচিত ঠেকছে, কিন্তু তিনি কিছুতেই মনে করতে পারছিলেন না কোথায় দেখেছেন।
ঠিক তখনই প্রবীরের ফোন বেজে উঠল। ওপাশে ইন্সপেক্টর দেবনাথের উত্তেজিত কণ্ঠস্বর।
"স্যার, বিনয় মালহোত্রা মিথ্যা বলছে! তার অ্যালিবাই প্রমাণ হয়েছে। খুনের রাতে সে শহরের বাইরে, এক বন্ধুর ফার্ম হাউসে ছিল।"
প্রবীর স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। তাহলে বিনয় খুনি নয়? কিন্তু কেন সে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিল? আর সেই অস্পষ্ট মুখের লোকটিই বা কে, যার ছবি বারবার তাদের সামনে আসছে? এবার একজন পুরুষ, তারপর একজন মহিলা...
"দেবনাথ, তোমরা কি অরুণাভর নার্সের কোনো খোঁজ পেয়েছিলে?" প্রবীর জিজ্ঞাসা করলেন।
"হ্যাঁ স্যার। তার নাম রমা সেন। মালিনীর অসুস্থতার সময় সে তার দেখাশোনা করত। তবে মালিনীর মৃত্যুর পর সে শহর ছেড়ে চলে গেছে বলে শুনেছি। তার বর্তমান ঠিকানা এখনও জানা যায়নি।" দেবনাথ উত্তর দিলেন।
প্রবীর শুভ্রর দিকে তাকালেন। "রমা সেন... এই নামটি আমার চেনা লাগছে।"
তারা বাগানবাড়ির চারপাশ আরও ভালো করে ঘুরে দেখলেন। বাড়ির পেছনের দিকে একটি পুরোনো কুয়ো ছিল, যা আগাছা দিয়ে প্রায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। প্রবীর কুয়োর ধারে যেতেই একটি ঠান্ডা স্রোত তার মেরুদণ্ড বেয়ে গেল।
হঠাৎ কালু, যে তাদের সাথে বাগানবাড়িতে এসেছিল, অস্থির হয়ে কুয়োর দিকে ছুটে গেল এবং করুণ স্বরে ডাকতে শুরু করল। তার আচরণ দেখে প্রবীরের মনে একটা তীব্র সন্দেহ জাগল।
"শুভ্র, টর্চ লাইটটা ধরো তো!" প্রবীর বললেন।
শুভ্র টর্চ লাইট ধরলে প্রবীর সাবধানে কুয়োর ভেতরে তাকালেন। প্রথমে কিছুই চোখে পড়ল না। কিন্তু কিছুক্ষণ পর টর্চের আলোয় তিনি যা দেখলেন, তাতে তার রক্ত হিম হয়ে গেল। কুয়োর ভেতরে জলের তলায় একটি মানুষের কঙ্কাল ভাসছে!
পঞ্চম পর্বের শেষে, রহস্য আরও জটিল হলো। বিনয় মালহোত্রা নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় খুনি এখনও অধরা। কিন্তু কুয়োর ভেতরে পাওয়া কঙ্কাল কি এই রহস্যের নতুন কোনো সূত্র বহন করছে? আর কালুর এই ব্যাকুলতা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? সেই নার্স রমা সেনের পরিচয় কি এই হত্যাকাণ্ডের মূল চাবিকাঠি?

https://www.facebook.com/share/p/14Dbv6j5hHn/
26/05/2025

https://www.facebook.com/share/p/14Dbv6j5hHn/

কালো কুকুরের রহস্য
চতুর্থ পর্ব
___________________
কিছুক্ষণের মধ্যেই ডগ স্কোয়াডের অফিসার রণজিৎ তার প্রশিক্ষিত কুকুর রুবিকে নিয়ে অরুণাভর বাড়িতে এসে পৌঁছালেন। রুবি তীক্ষ্ণ ঘ্রাণশক্তির জন্য বিখ্যাত ছিল। প্রবীর রণজিৎকে কালুর কথা জানালেন এবং সেই পুরোনো কাঠের বাক্স থেকে উদ্ধার হওয়া চিরকুটটি রুবিকে শুঁকতে দিলেন।
রুবি মনোযোগ সহকারে চিরকুটটির গন্ধ নিল, তারপর কালুর দিকে তাকাল। রণজিৎ প্রবীরকে জানালেন, রুবি সম্ভবত চিরকুটের গন্ধ কালুর সাথে মেলাতে পারছে না। এর অর্থ, খুনি সম্ভবত ঘটনাস্থলে কালুর খুব কাছাকাছি আসেনি, অথবা অন্য কোনো কারণে রুবি গন্ধ অনুসরণ করতে পারছে না।
তবে কালুর অস্থিরতা তখনও কাটেনি। সে বারবার জানালার দিকে যাচ্ছিল এবং মৃদু গোঙানির শব্দ করছিল। প্রবীর কালুকে অনুসরণ করে জানালার কাছে গেলেন। বাইরে অন্ধকার, কিন্তু প্রবীরের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি অস্পষ্ট ছায়া দেখতে পেলেন, যা পাশের বাড়ির পেছনের দিকে সরে গেল।
"কেউ ছিল ওখানে," প্রবীর চাপা স্বরে বললেন। "কালু হয়তো তাকেই দেখেছে।"
শুভ্র সঙ্গে সঙ্গে ইন্সপেক্টর দেবনাথকে ফোন করে পাশের বাড়িটি ঘিরে ফেলতে বললেন। প্রবীর এবং রণজিৎ টর্চ লাইট নিয়ে সাবধানে পাশের বাড়ির পেছনের দিকে এগিয়ে গেলেন। বাড়িটি পরিত্যক্ত, বহু বছর ধরে কেউ থাকে না।
ভেতরে প্রবেশ করে তারা ধুলো আর মাকড়সার জালের স্তূপ দেখতে পেলেন। কিন্তু কালু যেন কোনো অদৃশ্য টানে তাদের একটি নির্দিষ্ট ঘরের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। ঘরের মেঝেতে কিছু নতুন পায়ের ছাপ দেখা গেল, যা প্রমাণ করে কেউ সম্প্রতি এখানে এসেছিল।
ঘরের এক কোণে একটি ভাঙা সিন্দুক পড়ে ছিল। সিন্দুকটি সম্ভবত জোর করে খোলা হয়েছে। প্রবীর ঝুঁকে সিন্দুকটি পরীক্ষা করলেন। ভেতরে কিছু ছেঁড়া কাগজপত্র এবং একটি ছোট ধাতব বাক্স পাওয়া গেল। বাক্সটি খোলা ছিল এবং ভেতরে কিছু সোনার গয়না ও পুরোনো দলিলপত্র দেখা গেল।
"এটা ডাকাতির চেষ্টা হতে পারে," শুভ্র বলল। "হয়তো অরুণাভবাবু বাধা দেওয়ায় খুন হয়েছেন।"
কিন্তু প্রবীরের মন অন্য কথা বলছিল। অরুণাভর স্টাডিরুমে মূল্যবান জিনিসপত্র অক্ষত ছিল। শুধু ভাঙা অ্যাশট্রেটিই আঘাতের চিহ্ন বহন করছিল। আর কালুর সেই বিশেষ আচরণ...
তারা দলিলপত্রগুলো পরীক্ষা করলেন। একটি দলিল মালিনীর নামে রেজিস্ট্রি করা একটি পুরনো বাগানবাড়ির। বাগানবাড়িটি শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত।
"মালিনীর নামে বাগানবাড়ি?" প্রবীর অবাক হয়ে বললেন। "অরুণাভর সাথে এর কী সম্পর্ক?"
ঠিক তখনই বাইরে হইচই শোনা গেল। দেবনাথ এবং তার দল পরিত্যক্ত বাড়ির সীমানা থেকে বিনয় মালহোত্রাকে আটক করেছেন। বিনয় পালানোর চেষ্টা করছিল।
বিনয়কে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো। প্রথমে সে অরুণাভর হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু যখন তাকে সেই কালিমাখা মুখের ছবিটি এবং মালিনীর ডায়েরির কথা বলা হলো, তখন সে ভেঙে পড়ল।
বিনয় জানাল, মালিনীকে সেও ভালোবাসত। কিন্তু অরুণাভ প্রতারণা করে মালিনীকে তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিল। মালিনীর অসুস্থতার সময় অরুণাভ তার প্রতি যথেষ্ট যত্ন নেয়নি বলে বিনয়ের ধারণা ছিল। মালিনীর মৃত্যুর জন্য সে অরুণাভকে মনে মনে দায়ী করত।
"কিন্তু খুনের রাতে তুমি ওখানে কী করছিলে?" প্রবীর তীক্ষ্ণ স্বরে জিজ্ঞাসা করলেন।
বিনয় জানাল, সে শুধু অরুণাভকে ভয় দেখাতে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং রাগের মাথায় সে অ্যাশট্রে দিয়ে অরুণাভর মাথায় আঘাত করে। তার হত্যার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
"তাহলে তুমি পালানোর চেষ্টা করছিলে কেন?" শুভ্র প্রশ্ন করল।
বিনয় কোনো সদুত্তর দিতে পারল না।
প্রবীর তখনও সন্দিহান ছিলেন। বিনয়ের স্বীকারোক্তিতে অনেক ফাঁক ছিল। বিশেষ করে কালুর আচরণ তার মনে প্রশ্ন জাগাচ্ছিল। কেন কুকুরটি বারবার জানালার দিকে তাকাচ্ছিল? কেন সে পরিত্যক্ত বাড়ির দিকে এমন আগ্রহ দেখাচ্ছিল?
চতুর্থ পর্বের শেষে, যদিও বিনয় মালহোত্রা ধরা পড়েছে এবং হত্যার কথা স্বীকার করেছে, তবুও প্রবীর রায়ের মন শান্ত হলো না। কালুর রহস্যময় আচরণ এবং পরিত্যক্ত বাগানবাড়ির দলিল তার মনে নতুন সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। আসল রহস্য কি এখনও অধরা?

https://www.facebook.com/share/p/1632puWJd5/
25/05/2025

https://www.facebook.com/share/p/1632puWJd5/

কালো কুকুরের রহস্য
তৃতীয় পর্ব
___________________
মালিনীর ডায়েরি হাতে প্রবীর রায়ের মনে প্রশ্নের ঝড় উঠল। পাঁচ বছর আগের একটি মৃত্যু কি বর্তমানের হত্যাকাণ্ডের কারণ হতে পারে? আর কালুর সেই ব্যাকুল দৃষ্টি কেন বারবার দরজার দিকে নির্দেশ করছে?
শুভ্র ডায়েরির পাতা উল্টেপাল্টে দেখছিল। "স্যার, এখানে মালিনীর অসুস্থতা আর তার শেষ দিনগুলোর কথা লেখা আছে। অরুণাভবাবু তাকে খুব ভালোবাসতেন বলে মনে হচ্ছে।"
"ভালোবাসতেন, কিন্তু তারপর কী এমন ঘটল যে পাঁচ বছর পর তাকে খুন হতে হলো?" প্রবীর চিন্তিত স্বরে বললেন।
তারা ডায়েরি এবং অন্যান্য কাগজপত্র ভালো করে পরীক্ষা করলেন। কিছু পুরনো চিঠিতে অরুণাভ এবং মালিনীর মধ্যেকার গভীর আবেগপূর্ণ কথোপকথন ছিল। তবে একটি চিঠিতে সামান্য তিক্ততার সুরও পাওয়া গেল, যেখানে কোনো একটি বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি স্পষ্ট নয়।
প্রবীর ইন্সপেক্টর দেবনাথকে ফোন করে মালিনীর বিষয়ে খোঁজ নিতে বললেন। তার মৃত্যুর সময়ের পুলিশ রিপোর্ট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য জানতে চাইলেন।
পরের দিন দেবনাথ কিছু তথ্য নিয়ে এলেন। মালিনীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল, দীর্ঘ রোগভোগের পর তার জীবনাবসান হয়। রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি।
"তাহলে মালিনীর মৃত্যুর সাথে অরুণাভর হত্যাকাণ্ডের যোগসূত্র কোথায়?" শুভ্র হতাশ হয়ে বলল।
প্রবীর তখনও কালুকে পর্যবেক্ষণ করছিলেন। কুকুরটি আগের মতোই শান্ত, কিন্তু তার দৃষ্টিতে এখনও সেই চাপা বেদনা এবং অস্থিরতা বিদ্যমান। হঠাৎ কালু আবার সেই পুরোনো কাঠের বাক্সটির কাছে গেল এবং তার চারপাশে ঘুরতে শুরু করল।
"দেখুন স্যার, কালু আবার বাক্সটার কাছে যাচ্ছে," শুভ্র বলল।
প্রবীর বাক্সটির দিকে এগিয়ে গেলেন। তারা আগে তাড়াহুড়োতে বাক্সটির ভেতরের সবকিছু ভালোভাবে দেখেননি। এবার প্রবীর খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করলেন। ডায়েরি এবং চিঠিপত্রের নিচে একটি ছোট, সিল করা খাম পাওয়া গেল। খামটির ওপর "শুধুমাত্র অরুণাভের জন্য" লেখা ছিল।
প্রবীর সাবধানে খামটি খুললেন। ভেতরে একটি ছোট চিরকুট এবং একটি পুরোনো নেগেটিভ ছিল। চিরকুটে লেখা ছিল: "তুমি যা করেছ, তা আমি ভুলিনি। এর ফল তোমাকে ভুগতে হবে।" নিচে কোনো নাম লেখা ছিল না।
নেগেটিভটি ধরতেই প্রবীরের হাত সামান্য কেঁপে উঠল। আলোতে ধরতেই তিনি দেখলেন – ছবিতে অরুণাভর সাথে মালিনী দাঁড়িয়ে আছেন, এবং তাদের পাশে... সেই কালিমাখা মুখের লোকটি! তবে নেগেটিভ হওয়ায় ছবিটি স্পষ্ট, এবং লোকটির মুখ এখন পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে।
"এই তো সেই লোক!" শুভ্র উত্তেজিতভাবে বলল। "যার মুখ ছবিতে ঘষা হয়েছিল।"
লোকটির মুখ পরিচিত ঠেকছিল। কিছুক্ষণ স্মৃতি হাতড়ে প্রবীর বুঝতে পারলেন – এই লোকটি অরুণাভর একসময়ের ব্যবসায়িক অংশীদার ছিল, যার সাথে কয়েক বছর আগে তাদের গুরুতর আর্থিক লেনদেন নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। লোকটি প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তও হয়েছিল, যদিও পরে প্রমাণাভাবে মুক্তি পায়।
"বিনয় মালহোত্রা," প্রবীর বিড়বিড় করে বললেন। "অরুণাভর প্রাক্তন পার্টনার।"
তাহলে কি বিনয় মালহোত্রাই অরুণাভর খুনি? কিন্তু পাঁচ বছর আগে মালিনীর মৃত্যুর সাথে এর কী সম্পর্ক?
ঠিক তখনই কালু অস্থির হয়ে ডেকে উঠল এবং স্টাডিরুমের জানালার দিকে ছুটে গেল। জানালার বাইরে অন্ধকার, শুধু টিমটিম করে কয়েকটি রাস্তার আলো দেখা যাচ্ছে।
"কী হলো কালুর?" শুভ্র অবাক হয়ে বলল।
প্রবীর জানালার কাছে গেলেন। বাইরে কিছুই অস্বাভাবিক মনে হলো না। কিন্তু কালুর উত্তেজনা দেখে তার মনে সন্দেহ জাগল। কুকুরটি কি কিছু দেখতে পাচ্ছে, যা তারা দেখতে পাচ্ছে না?
হঠাৎ প্রবীরের মনে একটি পুরনো কথা মনে পড়ল। কিছু বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর গন্ধ শুঁকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। কালু কি সেরকম কিছু অনুভব করছে?
প্রবীর দেবনাথকে ফোন করে একজন অভিজ্ঞ ডগ স্কোয়াড অফিসারকে আনার অনুরোধ করলেন। তিনি মনে মনে ভাবলেন, হয়তো কালুই তাদের আসল অপরাধীর কাছে পৌঁছে দিতে পারবে।
তৃতীয় পর্বের শেষে, প্রবীর রায় একটি নতুন পথের সন্ধান পেলেন। বিনয় মালহোত্রা কি সত্যিই খুনি? আর কালুর এই রহস্যময় আচরণ কি তাদের সঠিক দিশা দেখাতে পারবে? ডগ স্কোয়াড কি কোনো নতুন সূত্র খুঁজে পাবে? রহস্য আরও ঘনীভূত হলো।

https://www.facebook.com/share/p/18FxQckRdi/
24/05/2025

https://www.facebook.com/share/p/18FxQckRdi/

কালো কুকুরের রহস্য
দ্বিতীয় পর্ব
____________________
রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে প্রবীর রায়ের চিন্তার জাল আরও ঘন হলো। কালুর অপলক দৃষ্টি আর অস্পষ্ট মুখের ছবিটি যেন তার মস্তিষ্কে গেঁথে গিয়েছিল। শুভ্র কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছিল, তবে তার চোখে নতুন কিছু জানার আগ্রহ তখনও বিদ্যমান।
"স্যার, ছবিটা কি গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে?" শুভ্র জানতে চাইল, যখন তারা অরুণাভর বাড়ির বাইরে এসে গাড়িতে বসলেন।
"হয়তো," প্রবীর সংক্ষিপ্ত উত্তর দিলেন। "ছবিতে যার মুখ ঘষা হয়েছে, তাকে খুঁজে বের করতে হবে।"
পরের দিন সকাল থেকেই প্রবীর এবং শুভ্র তদন্তে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। প্রথম কাজ ছিল অরুণাভর পরিচিত মহলে সেই অস্পষ্ট মুখের ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করা। তারা অরুণাভর পুরনো দিনের বন্ধু, কলেজের সহপাঠী এবং প্রাক্তন সহকর্মীদের সাথে কথা বললেন। অনেকেই অরুণাভর দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং সম্পর্কের কথা উল্লেখ করলেন, কিন্তু কেউই সেই কালিমাখা মুখের ব্যক্তির নাম বলতে পারলেন না।
"উনি খুব ব্যক্তিগত মানুষ ছিলেন, স্যার," অরুণাভর এক পুরোনো বন্ধু বললেন। "নিজের ভেতরের কথা সহজে কাউকে বলতেন না।"
তদন্তের পাশাপাশি প্রবীরের মন বারবার কালুর কাছে ফিরে যাচ্ছিল। তিনি দেবনাথের কাছে খবর নিয়ে জানতে পারেন, কুকুরটি এখনও সেই স্টাডিরুমেই বসে আছে, কারও সাথে তেমন মেলামেশা করছে না। শুধু পরিচারিকা যখন খাবার দেয়, তখনই সে সামান্য ওঠে।
"কুকুরটা যেন কিছু বলতে চাইছে, শুভ্র," প্রবীর আনমনে বললেন। "কিন্তু তার ভাষা আমরা বুঝতে পারছি না।"
শুভ্র কিছুটা সন্দিগ্ধ ছিল। "স্যার, এটা তো একটা পশু। এর মধ্যে এত রহস্য খোঁজার কি আছে?"
প্রবীর মৃদু হাসলেন। "শুভ্র, অনেক সময় নীরবতাই সবচেয়ে বড় কথা বলে। আর চোখ... চোখ কখনো মিথ্যে বলে না।"
সেদিন সন্ধ্যায় প্রবীর আবার অরুণাভর বাড়িতে গেলেন। পরিচারিকা দরজা খুলে অবাক হলেন।
"আপনি আবার এসেছেন, স্যার?"
"হ্যাঁ। কালুর সাথে একটু কথা বলতে চাই," প্রবীর উত্তর দিলেন।
স্টাডিরুমে কালু তখনও একই অবস্থায় বসে ছিল। প্রবীর ধীরে ধীরে তার কাছে গেলেন এবং তার পাশে বসলেন। তিনি নিজের পকেট থেকে একটি শুকনো মাংসের টুকরো বের করে কালুর দিকে ধরলেন। কালু প্রথমে ইতস্তত করল, তারপর প্রবীরের হাত থেকে খেলো।
প্রবীর কালুর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। "কালু, তুমি কি আমাকে সাহায্য করবে? তুমি কি দেখেছো কে মেরেছে তোমার মালিককে?"
হঠাৎ কালু উঠে দাঁড়াল এবং প্রবীরের হাতের কাছে তার নাক ঘষতে লাগল। তারপর সে দরজার দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ ডেকে উঠল।
"ও কি কিছু বোঝাতে চাইছে, স্যার?" শুভ্র, যে প্রবীরের সাথে এসেছিল, অবাক হয়ে বলল।
প্রবীর দরজার দিকে তাকালেন। দরজা বন্ধ ছিল। "হয়তো ও চায় আমি কোথাও যাই..."
কালু এরপর ঘরের অন্য একটি কোণে গেল এবং সেখানে রাখা একটি পুরোনো কাঠের বাক্সের চারপাশে ঘুরতে লাগল। বাক্সটি ধুলোয় মলিন, বহু বছর ধরে খোলা হয়নি বলেই মনে হয়।
প্রবীর এবং শুভ্র বাক্সটির কাছে গেলেন। বাক্সটি তালাবন্ধ ছিল। প্রবীর দেবনাথকে ডেকে তালা ভাঙার ব্যবস্থা করতে বললেন। তালা ভাঙার পর বাক্সের ভেতর থেকে যা বেরোল, তা দেখে প্রবীর এবং শুভ্র দুজনেই স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। বাক্সের ভেতরে ছিল বেশ কিছু পুরনো চিঠি, কিছু দুর্লভ ছবি এবং একটি ছোট, চামড়ার বাঁধানো ডায়েরি।
ডায়েরিটির প্রথম পাতা খুলতেই প্রবীরের চোখ আটকে গেল। সেখানে স্পষ্ট অক্ষরে একটি নাম লেখা – "মালিনী"। আর তার পাশেই সেই কালিমাখা মুখের ছবি, যা অরুণাভর স্টাডিরুমে ছিল, তবে এখানে মুখটি স্পষ্ট। একজন সুন্দরী মহিলার ছবি।
"মালিনী... ইনি কে?" শুভ্র বিস্ময়ের সাথে বলল।
প্রবীর ডায়েরির পাতা উল্টাতে শুরু করলেন। প্রতিটি পাতায় অরুণাভ এবং মালিনীর গভীর সম্পর্কের কথা লেখা। তাদের প্রেম, বিরহ এবং কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডায়েরির শেষ কয়েকটি পাতায় মালিনীর অসুস্থতা এবং তার প্রতি অরুণাভর গভীর উদ্বেগের কথা লেখা। একটি পাতায় মালিনীর মৃত্যুর তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে – প্রায় পাঁচ বছর আগে।
"পাঁচ বছর আগে মালিনীর মৃত্যু... তাহলে এই রহস্যের সাথে তার কী সম্পর্ক?" প্রবীর আনমনে বললেন।
ঠিক তখনই কালু অস্থির হয়ে প্রবীরের পায়ের কাছে ঘেঁষতে লাগল এবং মৃদু গোঙানির শব্দ করতে লাগল। তার দৃষ্টি তখনও দরজার দিকে নিবদ্ধ।
প্রবীর দরজার দিকে তাকালেন। বাইরে আবছা অন্ধকার। হঠাৎ তার মনে একটি প্রশ্ন জাগল – কালু কি শুধু মালিনীর স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আছে, নাকি সে অন্য কিছু অনুভব করতে পারছে?
দ্বিতীয় পর্বের শেষে, প্রবীর রায় একটি নতুন রহস্যের মুখোমুখি – মালিনী, যার অকালমৃত্যু পাঁচ বছর আগে ঘটেছে, তার সাথে অরুণাভর হত্যাকাণ্ডের কি কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে? আর কালুর এই অস্থির আচরণ কি কোনো নতুন সংকেত দিচ্ছে?

Address

88 Carry Road. Post-Santragachi. Police Station-AJC Bose Botanic Garden
Howrah
711104

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Poonam'zzzz Homeshop posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share