20/07/2024
আই দেখেযা রে আমদের পুরুলিয়া...
আই দেখেযা রে ঝাঁড়গা বাঁকুড়া...।।
দেখবি সুন্দর রূপে মন ভরে যাবেক তর...।।
জঙ্গল মহল বঠে রে বড়োই সুন্দর...
আমদের জঙ্গল মহল বঠে রে বড়োই সুন্দর...।
(২)
রগড়া গপি চাষের খেতে লাইন লাগা...
খড়গ পুরে রেল টেসন মেদনীপুরে দীঘা...।।
দেখবি সুন্দর রূপে মন ভরে যাবেক তর...।।
জঙ্গল মহল বঠে রে বড়োই সুন্দর...
আমদের জঙ্গল মহল বঠে রে বড়োই সুন্দর...।
(৩)
ছৌ টুসু ঝুমুরে নাচে কাঁপাছে দুনিয়া...
কৃপা'বলে লালমাটি শালবনে হামদের ঠিকানা...।।
দেখবি সুন্দর রূপে মন ভরে যাবেক তর...।।
জঙ্গল মহল বঠে রে বড়োই সুন্দর...
আমদের জঙ্গল মহল বঠে রে বড়োই সুন্দর...।
প্রথম অন্তরা:-
আমাদের জঙ্গলমহল মানেই পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং মেদিনীপুরের পশ্চিমের কিছু অংশ । তার যে সুন্দর রূপ সেটা দেখার জন্যে লোক দেশ বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে বেড়াতে আসে আমাদের জঙ্গলমহলকে । ওরা দেখে মুগ্ধ হয় এই সুন্দর প্রাকৃতিকে, গাছ-পালাকে, নদী-নালাকে এবং ঝর্না ধারাকে । তাই বলা হয়েছে -
"দেখবি সুন্দর রূপে মন ভরে যাবেক তর
আমাদের জঙ্গলমহল বঠে রে বড়োই সুন্দর" ।।
দ্বিতীয় অন্তরা:-
জঙ্গলমহলের বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজের সাথে যুক্ত , লোধাসুলি থেকে বেশ কিছুটা দুরে গোপীবল্লভপুর এবং রগড়া যেতে যেতে আমরা দেখতে পাই চারিদিকে নানা রকম চাষ ভরা জমি । এছাড়া ভারতের নামকরা রেলওয়ে স্টেশন খড়গপুর এবং মেদিনীপুরের সেরা পর্যটন কেন্দ্র দীঘা রয়েছে আমাদের জঙ্গলমহলে । তাই বলা হয়েছে -
"রগড়া গপি চাষের খেতে লাইন লাগা
খড়গ পুরে রেল স্টেশন মেদনীপুরে দীঘা" ।।
তৃতীয় অন্তরায়:-
জঙ্গলমহলের নাম আজ গোটা ভারত এবং ভারতের বাইরে ছড়িয়েছে ছৌ নাচ, টুসু ও ঝুমুর গান । এখানকার বেশিরভাগ জায়গাই লাল মাটি এবং বন জঙ্গলে শাল গাছে ভরা । গানের গীতিকার কৃপাসিন্ধু মাহাত গীতের ভণিতাই বলছে-
"ছৌ টুসু ঝুমুরে নাচে কাঁপাছে দুনিয়া
কৃপা'বলে লালমাটি শালবনে হামদের ঠিকানা" ।।