Sagarnil abir dam

Sagarnil abir dam digital creator

জয় মা 🙏🏽
15/09/2025

জয় মা 🙏🏽

ঝাড়খন্ড
15/09/2025

ঝাড়খন্ড

Joy MA 🙏🏽
14/09/2025

Joy MA 🙏🏽

টাকার মনোবিজ্ঞান: মানুষের আচরণের পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণ​টাকা, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বিনিময় মাধ্যম মাত্র, তা আম...
14/09/2025

টাকার মনোবিজ্ঞান: মানুষের আচরণের পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণ
​টাকা, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি বিনিময় মাধ্যম মাত্র, তা আমাদের চিন্তা, আবেগ এবং আচরণের ওপর এক গভীর মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলে। আপাতদৃষ্টিতে এটি কেবল সংখ্যা ও হিসাবের বিষয় হলেও, মনোবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন যে টাকা আমাদের মানসিক নিরাপত্তা, সামাজিক অবস্থান এবং এমনকি আত্মপরিচয়ের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কেন মানুষ টাকার পেছনে ছোটে, কেন কেউ এটি খরচ করতে ভয় পায়, আবার কেউ বা বেহিসেবিভাবে খরচ করে — এর পেছনে রয়েছে জটিল কিছু মনস্তাত্ত্বিক কারণ।
​টাকা এবং মানসিক নিরাপত্তা
​টাকা মানুষের মনে নিরাপত্তার এক অনুভূতি তৈরি করে। আমাদের মস্তিষ্কের এক অংশ, যা টিকে থাকার জন্য জরুরি, তা সবসময় ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে শঙ্কিত থাকে। টাকা এই অনিশ্চয়তাকে অনেকটা কমিয়ে দেয়। যখন একজন মানুষের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ থাকে, তখন সে স্বাস্থ্য, বাসস্থান এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার বিষয়ে কম উদ্বিগ্ন হয়। এই কারণেই অনেকে সঞ্চয়কে একটি মানসিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, যা যেকোনো অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে তাদের রক্ষা করবে। তবে, এই নিরাপত্তার অনুভূতি অনেক সময় এমন এক ধরনের উদ্বেগে পরিণত হয়, যেখানে মানুষ টাকা হারাতে ভয় পায় (Loss Aversion), এবং এই ভয়ের কারণে অনেক ভালো সুযোগও হাতছাড়া করে।
​সামাজিক অবস্থান এবং আত্মমূল্যায়ন
​টাকা প্রায়শই সমাজে ব্যক্তির অবস্থান এবং তার আত্মমূল্যায়নের একটি প্রতীক হয়ে ওঠে। একটি ব্যয়বহুল গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি বা দামি পোশাক কেবল আরামের জন্য কেনা হয় না; বরং এগুলো সমাজে নিজের প্রতিপত্তি এবং সাফল্য প্রদর্শনের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। এই ধরনের "প্রদর্শনীয় ভোগ" (Conspicuous Consumption) মানুষের মনে এক ধরনের তৃপ্তি দেয়, কারণ এটি তাদের সামাজিক মর্যাদা বাড়াতে সাহায্য করে। এর বিপরীতভাবে, যখন কোনো ব্যক্তি নিজেকে আর্থিকভাবে দুর্বল মনে করে, তখন তার আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে, যা তার সামাজিক জীবনেও প্রভাব ফেলে।
​টাকার সঙ্গে আবেগিক সম্পর্ক
​অনেক সময় মানুষ আবেগ দ্বারা চালিত হয়ে টাকা খরচ করে। মানসিক চাপ, একাকীত্ব বা দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে অনেকে কেনাকাটা (Retail Therapy) করে। এই কেনাকাটা সাময়িক আনন্দ দিলেও সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারে না। আবার, অনেকে নিজেদের ছোটবেলার অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাস নিয়ে বড় হয়। যেমন, কোনো শিশু যদি দেখে যে তার পরিবারে টাকার কারণে সবসময় ঝামেলা হয়, তাহলে বড় হয়ে তার মধ্যে টাকা নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হতে পারে। এই ধরনের মানসিকতা তার আর্থিক সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করতে পারে।
​আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে লুকিয়ে থাকা পক্ষপাতিত্ব (Biases)
​মানুষের আর্থিক সিদ্ধান্তগুলো সবসময় যুক্তিসঙ্গত হয় না। এর পেছনে কাজ করে কিছু মনস্তাত্ত্বিক পক্ষপাতিত্ব বা Cognitive Biases। যেমন, "অ্যাঙ্করিং" (Anchoring) নামক পক্ষপাতিত্বে মানুষ কোনো একটি প্রাথমিক তথ্যের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো জিনিসের আসল মূল্য না জেনে তার প্রথম দেখা দামটিকে ভিত্তি ধরে নেয়। আবার, "হার্ডিং" (Herding) পক্ষপাতিত্বের কারণে মানুষ অন্যদের দেখাদেখি বিনিয়োগ বা খরচ করে, যা অনেক সময় ক্ষতিকর হতে পারে।
​টাকার এই মনস্তাত্ত্বিক দিকগুলো বোঝা জরুরি, কারণ এর মাধ্যমেই আমরা আমাদের আর্থিক আচরণকে আরও সচেতনভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। সচেতনভাবে খরচ করা, আবেগের বশবর্তী না হওয়া এবং নিজের আর্থিক লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে আমরা টাকা ও মনের মধ্যে একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি।






সিঁদল চাটনি একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে। এর স্বাদ খুবই ঝাঁঝালো ...
13/09/2025

সিঁদল চাটনি একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় খাবার, বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে। এর স্বাদ খুবই ঝাঁঝালো এবং মশলাদার হয়। নিচে একটি সহজ রেসিপি দেওয়া হলো:
​সিঁদল চাটনি রেসিপি
​উপকরণ:
​সিঁদল শুঁটকি: ২-৩টি
​পেঁয়াজ: ১টি (বড়, কুচি করা)
​রসুন: ৫-৬ কোয়া (কুচি করা)
​শুকনো লঙ্কা: ৪-৫টি (ঝাল অনুযায়ী)
​কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি
​হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
​টমেটো: ১টি (মাঝারি, কুচি করা)
​তেল: ১ টেবিল চামচ
​ধনেপাতা: পরিমাণ মতো (কুচি করা)
​লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
​প্রস্তুত প্রণালী:
​১. প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা এবং কাঁচালঙ্কা একসাথে বেটে নিন অথবা ব্লেন্ডারে মিহি করে নিন।
​২. একটি প্যানে তেল গরম করে তাতে এই বাটা মশলা দিয়ে দিন। সামান্য হলুদ গুঁড়ো এবং লবণ দিয়ে মশলাটি ভালোভাবে কষিয়ে নিন, যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
​৩. এর মধ্যে কুচি করা টমেটো দিয়ে দিন। টমেটো নরম হয়ে গেলে এবং মশলার সঙ্গে মিশে গেলে সিদ্ধ করা বা পরিষ্কার করা সিঁদল শুঁটকি দিয়ে দিন।
​৪. এবার সবকিছু একসাথে ভালোভাবে ভাজুন। প্রয়োজনে সামান্য জল দিতে পারেন।
​৫. চাটনি যখন তেল ছেড়ে আসবে এবং মাখা মাখা হয়ে যাবে, তখন উপর থেকে কুচি করা ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন।
​৬. সবশেষে গ্যাস বন্ধ করে দিন। গরম ভাতের সাথে এই চাটনি পরিবেশন করুন।
​টিপস:
​সিঁদল শুঁটকি ব্যবহারের আগে গরম জলে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে নরম করে নিন।
​যারা কাঁটা পছন্দ করেন না, তারা সিঁদলের কাঁটা ফেলে শুধু মাছের নরম অংশ ব্যবহার করতে পারেন।
​চাটনিটি আরও বেশি ঝাল করতে চাইলে শুকনো লঙ্কা বা কাঁচালঙ্কার পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

লাউ চিংড়ি রেসিপি​উপকরণ:​লাউ: ১টি (মাঝারি আকারের)​চিংড়ি মাছ: ২৫০ গ্রাম​পেঁয়াজ: ১টি (বড়, কুচি করা)​আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল ...
13/09/2025

লাউ চিংড়ি রেসিপি
​উপকরণ:
​লাউ: ১টি (মাঝারি আকারের)
​চিংড়ি মাছ: ২৫০ গ্রাম
​পেঁয়াজ: ১টি (বড়, কুচি করা)
​আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
​জিরা: ১/২ চা চামচ (গোটা)
​জিরা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
​হলুদ গুঁড়ো: ১ চা চামচ
​কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি (ঝাল অনুযায়ী)
​তেজপাতা: ১টি
​সরিষার তেল: ২ টেবিল চামচ
​লবণ: স্বাদ অনুযায়ী
​চিনি: ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
​ধনেপাতা কুচি: ২ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
​প্রস্তুত প্রণালী:
​১. প্রথমে চিংড়ি মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এরপর তাতে সামান্য হলুদ ও লবণ মাখিয়ে রাখুন।
​২. লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট চৌকো টুকরো করে কেটে নিন।
​৩. একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে চিংড়ি মাছ হালকা করে ভেজে তুলে নিন।
​৪. এবার ওই তেলেই তেজপাতা ও গোটা জিরা দিয়ে দিন। জিরা ফুটে উঠলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
​৫. পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন এবং কাঁচা গন্ধ চলে যাওয়া পর্যন্ত ভাজুন। এরপর এতে হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং সামান্য জল দিয়ে মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিন।
​৬. মশলা কষানো হলে লাউয়ের টুকরোগুলি দিয়ে দিন। লাউয়ের সঙ্গে স্বাদমতো লবণ এবং চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মিশিয়ে নিন। লাউ থেকে জল বের হবে, তাই আলাদা করে জল দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
​৭. কড়াইটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন এবং মাঝারি আঁচে রান্না হতে দিন। লাউ নরম হয়ে গেলে এবং জল শুকিয়ে এলে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ দিয়ে দিন।
​৮. সবকিছু ভালোভাবে মিশিয়ে আরও ২-৩ মিনিট রান্না করুন। যদি চান, তাহলে এই সময়ে সামান্য চিনি দিতে পারেন।
​৯. সবশেষে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে এই সুস্বাদু লাউ চিংড়ি পরিবেশন করুন।

টারজান সারা রাত পাহারা দিয়ে এখন রেস্ট করছে!! 😄
13/09/2025

টারজান সারা রাত পাহারা দিয়ে এখন রেস্ট করছে!! 😄

13/09/2025

কাশ ফুল না!
ক্যাশ ফুল থাকলে পকেটে
সারা বছরই শরৎ কাল।😄

মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে গরম ভাতের সঙ্গে পাপদা মাছের ঝাল থাকলে আর কিছু চাই না। এই রেসিপিটি বানানো খুবই সহজ আর সময়ও লাগে কম...
12/09/2025

মাছে-ভাতে বাঙালির পাতে গরম ভাতের সঙ্গে পাপদা মাছের ঝাল থাকলে আর কিছু চাই না। এই রেসিপিটি বানানো খুবই সহজ আর সময়ও লাগে কম।
​উপকরণ
​পাপদা মাছ: ৪-৫টা
​পেঁয়াজ বাটা: ১টা বড় পেঁয়াজ
​আদা বাটা: ১ চা চামচ
​রসুন বাটা: ১ চা চামচ
​টমেটো বাটা: ১টা (মাঝারি আকারের)
​হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
​লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ (আপনার স্বাদমতো)
​জিরে গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
​ধনে গুঁড়ো: ১/২ চা চামচ
​কালো জিরে: ১/২ চা চামচ
​কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টা (চিঁড়ে নেওয়া)
​সর্ষের তেল: ২-৩ টেবিল চামচ
​নুন: স্বাদমতো
​জল: প্রয়োজন মতো
​ধনে পাতা কুচি: ১ টেবিল চামচ (সাজানোর জন্য)
​রন্ধন প্রণালী
​১. প্রথমে মাছগুলোকে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর তাতে সামান্য নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন।
​২. একটি কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করুন। তেল ভালো মতো গরম হলে মাছগুলোকে হালকা করে ভেজে তুলে নিন। বেশি কড়া করে ভাজার দরকার নেই।
​৩. ওই একই তেলে কালো জিরে ফোঁড়ন দিন। ফোঁড়ন দেওয়ার পর পেঁয়াজ বাটা দিয়ে হালকা সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
​৪. এবার আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে টমেটো বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষান।
​৫. এখন হলুদ, লঙ্কা, জিরে এবং ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন। সামান্য জল দিয়ে মশলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিন, যতক্ষণ না তেল উপরে ভেসে ওঠে।
​৬. মশলা কষানো হয়ে গেলে প্রয়োজন মতো গরম জল ও স্বাদমতো নুন দিয়ে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিন।
​৭. মাছ দেওয়ার পর চিঁড়ে রাখা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিন। আঁচ কমিয়ে ২-৩ মিনিটের জন্য ঢেকে রাখুন, যাতে মাছের ভেতরে মশলার স্বাদ ঢুকে যায়।
​৮. সবশেষে উপরে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। গ্যাস বন্ধ করে দিন।
​গরম ভাতের সঙ্গে সুস্বাদু পাপদা মাছের ঝাল পরিবেশন করুন

ত্রিপুরার কিছু দারুণ ফ্যাক্টস​রাজবংশ ও ইতিহাস: ত্রিপুরা একসময় স্বাধীন রাজত্ব ছিল। ত্রিপুরা রাজবংশ, যা প্রায় ১,৩০০ বছর ধর...
12/09/2025

ত্রিপুরার কিছু দারুণ ফ্যাক্টস
​রাজবংশ ও ইতিহাস: ত্রিপুরা একসময় স্বাধীন রাজত্ব ছিল। ত্রিপুরা রাজবংশ, যা প্রায় ১,৩০০ বছর ধরে রাজত্ব করেছে, ভারতের ইতিহাসে অন্যতম দীর্ঘতম রাজবংশ। ১৯৪৭ সালে এই রাজ্যটি ভারতের সাথে যুক্ত হয়। ত্রিপুরার শেষ শাসক ছিলেন মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর।
​দুর্গ ও প্রাসাদ: ত্রিপুরার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির, যা ৫১টি সতীপীঠের অন্যতম। এছাড়া, আগরতলায় অবস্থিত উজ্জয়ন্ত প্যালেস (Ujjayanta Palace) ছিল ত্রিপুরার রাজপরিবারের প্রাক্তন বাসস্থান। বর্তমানে এটি একটি রাজ্য জাদুঘর, যা ত্রিপুরার ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরে।
​বন্যপ্রাণী ও পরিবেশ: ত্রিপুরা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। সিপাহিজলা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Sepahijala Wildlife Sanctuary) এখানে অবস্থিত। এটি শুধু একটি অভয়ারণ্যই নয়, এটি একটি উদ্ভিদ ও প্রাণীর গবেষণাগার এবং একটি চিড়িয়াখানাও। এখানে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির পশুপাখি দেখা যায়, যার মধ্যে অন্যতম হলো চশমা হনুমান (Spectacled Monkey), যা এই রাজ্যে বিশেষ করে পাওয়া যায়।
​নৃত্যের ঐতিহ্য: ত্রিপুরার অন্যতম জনপ্রিয় লোকনৃত্য হলো হোয়াজাগিরি (Hojagiri), যা রিয়াং সম্প্রদায়ের মহিলারা পরিবেশন করে। এই নৃত্যে শিল্পীরা মাথায় জলপূর্ণ মাটির কলসি এবং হাতে প্রদীপ নিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করে নৃত্য পরিবেশন করে। এটি সত্যি এক অসাধারণ দৃশ্য।
​ভাষা ও সংস্কৃতি: ত্রিপুরার প্রধান ভাষা হলো ককবরক এবং বাংলা। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বাস, যেমন - ত্রিপুরী, রিয়াং, জামাতিয়া, নোয়াতিয়া ইত্যাদি, যাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও রীতিনীতি রয়েছে।
​জলের দুর্গ: ত্রিপুরার রুদ্রসাগরের মাঝে অবস্থিত নীরমহল (Neermahal) ভারতের একমাত্র ভাসমান প্রাসাদ। এটি মহারাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর দ্বারা নির্মিত, যা অনেকটা রাজস্থানের জলমহলের মতো দেখতে। বর্ষাকালে এর সৌন্দর্য আরও বেড়ে যায়

নয়াদিল্লি: এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় ক্রিক...
12/09/2025

নয়াদিল্লি: এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামবে টিম ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচ খেলা নিয়ে কোনও বাধা দেয়নি। কিন্তু পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচ খেলাকে বয়কট করতে চেয়েছেন প্রচুর ক্রিকেটপ্রেমী ও প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। সেই তালিকায় ছিলেন চারজন ল স্টুডেন্ট। তাঁরা আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী ও বিচারপতি বিজয় বিষ্ণোইয়ের বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, ''সামনের রবিবার একটি ম্যাচ আছে। আমরা এতে কী করতে পারি? এটি হতে দিন। ম্যাচটি হওয়া উচিত।'' উর্বশী জৈন নামের এক আইন শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে চারজন ভারত-পাক ম্য়াচ বয়কটের দাবিতে কোর্টে আবেদন করেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল যে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ও অপারেশন সিঁদুরের পর এভাবে ভারত-পাক ম্য়াচ আয়োজন করলে জাতীয় মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে পারে। চার আইন শিক্ষার্থীর আবেদনে উল্লেখ ছিল, ''দেশগুলির মধ্যে ক্রিকেটের উদ্দেশ্য হল সদিচ্ছা ও বন্ধুত্ব প্রদর্শন করা। কিন্তু পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলায় যখন আমাদের মানুষ নিহত হয়েছিলেন এবং আমাদের সৈন্যরা ঝুঁকিতে পড়েছিলেন, তখন পাকিস্তানের সঙ্গে খেলা বিপরীত বার্তা দেয়। যাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আমাদের সৈন্যরা জীবন উৎসর্গ করেছে ও যে দেশ সন্ত্রাসীদের ক্রমাগত আশ্রয় দিয়ে চলেছে, আমরা সেই দেশের বিরুদ্ধে খেলতে চলেছি। এটি সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারানো পরিবারের অনুভূতির উপরও আঘাত হানতে পারে। জাতির মর্যাদা ও নাগরিকদের নিরাপত্তা বিনোদনের আগে আসে। দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ জাতির স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর এবং সশস্ত্র বাহিনী ও সমগ্র জাতির মনোবলের জন্যও ক্ষতিকর।'' তবে সুপ্রিম কোর্ট বলে দিল যে ম্য়াচ বয়কট করা এখন কোনও মানে হয় না। খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিৎ বলেই মনে করেন তারা।

ইতিহাস বলছে, দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট দল মুখোমুখি হয়েছে মোট ছয়বার। তিনবার ওয়ান ডে ফর্ম্য়াট ও তিনবার টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ম্য়াচ হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট দল তিনটি ওয়ান ডে ম্য়াচেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে এর আগে দুবাইয়ে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শেষবার ওয়ান ডে ফর্ম্য়াটে পাক দলকে হারিয়ে টিম ইন্ডিয়া। টি-টোয়েন্টি ফর্ম্য়াটে পাকিস্তান অবশ্য ভারতকে দুবার হারিয়েছে দুবাইয়ে। এশিয়া কাপেও কিন্তু এবার কুড়ির ফর্ম্য়াটেই খেলা হবে দু দলের। দুবাইয়ের পিচ সাধারণত স্পিন ফ্রেন্ডলি হয়ে থাকে। আমিরশাহির বিরুদ্ধে চার উইকেট নেওয়ার পর দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্য়াচেও সূর্যকুমারের তুরুপের তাস হতে পারেন।

টাকা না সম্পর্ক—জীবনভর এই বিতর্কে আমরা অনেকেই ভুগি। কোনটা আমাদের জীবনের মূল চালিকাশক্তি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ম...
10/09/2025

টাকা না সম্পর্ক—জীবনভর এই বিতর্কে আমরা অনেকেই ভুগি। কোনটা আমাদের জীবনের মূল চালিকাশক্তি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মনস্তত্ত্ববিদরা একটা চমকপ্রদ দিক তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, মানুষ শুধু অন্য মানুষের সঙ্গেই নয়, একটি পোষ্যর সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, আর সেই সম্পর্কের মূল্য অনেক সময়েই টাকার থেকেও বেশি হয়।
​এই ভাবনা নিয়েই বলা যায় রোহানের গল্প। রোহান ছিল একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক। তার কাছে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল টাকা। সে বিশ্বাস করত, টাকা থাকলে সম্মান, ক্ষমতা, সুখ—সবকিছুই কেনা যায়। তাই সে দিনের পর দিন নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখত। বন্ধুবান্ধব, পরিবার, সামাজিক জীবন সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে এনেছিল। তার একমাত্র সঙ্গী ছিল তার অফিসের ল্যাপটপ আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হিসেব।
​একসময় রোহান তার লক্ষ্যে পৌঁছাল। তার একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, একটি দামী গাড়ি এবং একটি বিশাল অঙ্কের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স হলো। কিন্তু অদ্ভুতভাবে, সে নিজেকে আগের থেকেও বেশি একা এবং শূন্য অনুভব করল। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি যেন তাকে গ্রাস করতে আসত। দেওয়ালে ঝোলানো দামী শিল্পকর্ম, কোণায় রাখা দামী শোপিস—সবকিছুই যেন তাকে উপহাস করত।
​একদিন, তার বিল্ডিংয়ের নিচে সে একটি ছোট্ট, লিকলিকে কুকুরছানাকে দেখতে পেল। সম্ভবত কেউ তাকে ফেলে গেছে। রোহান সাধারণত এসব ব্যাপারে মাথা ঘামাত না। কিন্তু আজ কেন জানি না, কুকুরছানাটির বিষণ্ণ চোখ তাকে আকর্ষণ করল। সে তাকে তুলে নিলো এবং বাড়িতে নিয়ে গেল। কুকুরছানাটির নাম দিল 'বাদাম'।
​প্রথম ক'দিন বাদামকে নিয়ে সে বিরক্তই হয়েছিল। তার অফিস থেকে এসে বাদামের দেখভাল করা, তাকে খাওয়ানো—এসব কাজ তার কাছে বাড়তি ঝামেলা মনে হত। কিন্তু ধীরে ধীরে সবকিছু বদলে গেল। বাদামের সরলতা, তার নিঃশর্ত ভালোবাসা রোহানের মন জয় করে নিল। অফিস থেকে ফিরতেই বাদাম লেজ নাড়তে নাড়তে ছুটে আসত, তার জুতো কামড়াত আর সারা শরীরে যেন আনন্দ প্রকাশ করত।
​রোহান খেয়াল করল, বাদামের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো তার জীবনে এক নতুন আনন্দ নিয়ে এসেছে। সে আর আগের মতো একা অনুভব করে না। মনস্তত্ত্ববিদরা বলেন, একটি পোষ্যর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এক বিশেষ বন্ধন তৈরি করে, যা মানসিক চাপ কমাতে, একাকীত্ব দূর করতে এবং সামগ্রিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বাদামের সঙ্গ তাকে এক নতুন জীবনের সন্ধান দিল। সে বাদামকে নিয়ে পার্কে যেত, তার সঙ্গে খেলা করত এবং সেই মুহূর্তগুলোতেই সে সত্যিকারের সুখ অনুভব করত, যা সে তার ব্যাঙ্কে জমানো টাকা দিয়ে কখনোই কিনতে পারেনি।
​একটি দুর্ঘটনা এই সত্যটাকে আরও স্পষ্ট করে দিল। বাদাম একবার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ল। তার চিকিৎসার জন্য এক বিশাল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন হলো। রোহান এক মুহূর্তও দ্বিধা করেনি। সে তার জমানো টাকা থেকে সবটুকু খরচ করে বাদামের জীবন বাঁচাল। এই ঘটনা তাকে উপলব্ধি করাল, টাকার চেয়েও মূল্যবান হলো সম্পর্ক। বাদামের নিঃশর্ত ভালোবাসা, তার প্রতি রোহানের দায়িত্ববোধ—এসবের কাছে তার সব টাকা তুচ্ছ।
​গল্পের শেষে, রোহান একজন সুখী মানুষ। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অঙ্ক হয়তো আগের মতো বাড়ছে না, কিন্তু তার জীবন পরিপূর্ণ। সে বুঝতে পেরেছে, অর্থ একটি প্রয়োজন মাত্র, কিন্তু সম্পর্ক হলো জীবনের মূল ভিত্তি। টাকা দিয়ে হয়তো বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কেনা যায়, কিন্তু সেখানে সত্যিকারের ভালোবাসার একটি কুকুর যদি না থাকে, তবে তা শুধুই একটি কংক্রিটের কাঠামো। বাদাম তাকে শিখিয়েছিল, জীবন মানে শুধুই অর্জন নয়, সম্পর্ক দিয়ে জীবনকে পূর্ণ করা।









Address

Govinadapur
Kailashahar
799277

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sagarnil abir dam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sagarnil abir dam:

Share