Sagarnil abir dam

Sagarnil abir dam digital creator

টাকা না সম্পর্ক—জীবনভর এই বিতর্কে আমরা অনেকেই ভুগি। কোনটা আমাদের জীবনের মূল চালিকাশক্তি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে ম...
10/09/2025

টাকা না সম্পর্ক—জীবনভর এই বিতর্কে আমরা অনেকেই ভুগি। কোনটা আমাদের জীবনের মূল চালিকাশক্তি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মনস্তত্ত্ববিদরা একটা চমকপ্রদ দিক তুলে ধরেছেন। তাঁদের মতে, মানুষ শুধু অন্য মানুষের সঙ্গেই নয়, একটি পোষ্যর সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে, আর সেই সম্পর্কের মূল্য অনেক সময়েই টাকার থেকেও বেশি হয়।
​এই ভাবনা নিয়েই বলা যায় রোহানের গল্প। রোহান ছিল একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী যুবক। তার কাছে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ছিল টাকা। সে বিশ্বাস করত, টাকা থাকলে সম্মান, ক্ষমতা, সুখ—সবকিছুই কেনা যায়। তাই সে দিনের পর দিন নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখত। বন্ধুবান্ধব, পরিবার, সামাজিক জীবন সবকিছু থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে এনেছিল। তার একমাত্র সঙ্গী ছিল তার অফিসের ল্যাপটপ আর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হিসেব।
​একসময় রোহান তার লক্ষ্যে পৌঁছাল। তার একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, একটি দামী গাড়ি এবং একটি বিশাল অঙ্কের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স হলো। কিন্তু অদ্ভুতভাবে, সে নিজেকে আগের থেকেও বেশি একা এবং শূন্য অনুভব করল। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে তার বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টটি যেন তাকে গ্রাস করতে আসত। দেওয়ালে ঝোলানো দামী শিল্পকর্ম, কোণায় রাখা দামী শোপিস—সবকিছুই যেন তাকে উপহাস করত।
​একদিন, তার বিল্ডিংয়ের নিচে সে একটি ছোট্ট, লিকলিকে কুকুরছানাকে দেখতে পেল। সম্ভবত কেউ তাকে ফেলে গেছে। রোহান সাধারণত এসব ব্যাপারে মাথা ঘামাত না। কিন্তু আজ কেন জানি না, কুকুরছানাটির বিষণ্ণ চোখ তাকে আকর্ষণ করল। সে তাকে তুলে নিলো এবং বাড়িতে নিয়ে গেল। কুকুরছানাটির নাম দিল 'বাদাম'।
​প্রথম ক'দিন বাদামকে নিয়ে সে বিরক্তই হয়েছিল। তার অফিস থেকে এসে বাদামের দেখভাল করা, তাকে খাওয়ানো—এসব কাজ তার কাছে বাড়তি ঝামেলা মনে হত। কিন্তু ধীরে ধীরে সবকিছু বদলে গেল। বাদামের সরলতা, তার নিঃশর্ত ভালোবাসা রোহানের মন জয় করে নিল। অফিস থেকে ফিরতেই বাদাম লেজ নাড়তে নাড়তে ছুটে আসত, তার জুতো কামড়াত আর সারা শরীরে যেন আনন্দ প্রকাশ করত।
​রোহান খেয়াল করল, বাদামের সঙ্গে কাটানো সময়গুলো তার জীবনে এক নতুন আনন্দ নিয়ে এসেছে। সে আর আগের মতো একা অনুভব করে না। মনস্তত্ত্ববিদরা বলেন, একটি পোষ্যর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক এক বিশেষ বন্ধন তৈরি করে, যা মানসিক চাপ কমাতে, একাকীত্ব দূর করতে এবং সামগ্রিকভাবে মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বাদামের সঙ্গ তাকে এক নতুন জীবনের সন্ধান দিল। সে বাদামকে নিয়ে পার্কে যেত, তার সঙ্গে খেলা করত এবং সেই মুহূর্তগুলোতেই সে সত্যিকারের সুখ অনুভব করত, যা সে তার ব্যাঙ্কে জমানো টাকা দিয়ে কখনোই কিনতে পারেনি।
​একটি দুর্ঘটনা এই সত্যটাকে আরও স্পষ্ট করে দিল। বাদাম একবার মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ল। তার চিকিৎসার জন্য এক বিশাল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন হলো। রোহান এক মুহূর্তও দ্বিধা করেনি। সে তার জমানো টাকা থেকে সবটুকু খরচ করে বাদামের জীবন বাঁচাল। এই ঘটনা তাকে উপলব্ধি করাল, টাকার চেয়েও মূল্যবান হলো সম্পর্ক। বাদামের নিঃশর্ত ভালোবাসা, তার প্রতি রোহানের দায়িত্ববোধ—এসবের কাছে তার সব টাকা তুচ্ছ।
​গল্পের শেষে, রোহান একজন সুখী মানুষ। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের অঙ্ক হয়তো আগের মতো বাড়ছে না, কিন্তু তার জীবন পরিপূর্ণ। সে বুঝতে পেরেছে, অর্থ একটি প্রয়োজন মাত্র, কিন্তু সম্পর্ক হলো জীবনের মূল ভিত্তি। টাকা দিয়ে হয়তো বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কেনা যায়, কিন্তু সেখানে সত্যিকারের ভালোবাসার একটি কুকুর যদি না থাকে, তবে তা শুধুই একটি কংক্রিটের কাঠামো। বাদাম তাকে শিখিয়েছিল, জীবন মানে শুধুই অর্জন নয়, সম্পর্ক দিয়ে জীবনকে পূর্ণ করা।









কাতলা কালিয়াউপকরণ:​কাতলা মাছ: ৭৫০ গ্রাম (বড় টুকরো করে কাটা)​পেঁয়াজ বাটা: ১ কাপ​আদা বাটা: ২ চামচ​রসুন বাটা: ২ চামচ​শুকনো ...
10/09/2025

কাতলা কালিয়া

উপকরণ:
​কাতলা মাছ: ৭৫০ গ্রাম (বড় টুকরো করে কাটা)
​পেঁয়াজ বাটা: ১ কাপ
​আদা বাটা: ২ চামচ
​রসুন বাটা: ২ চামচ
​শুকনো লঙ্কা বাটা/গুঁড়ো: ১ চামচ (স্বাদ মতো)
​হলুদ গুঁড়ো: ১.৫ চামচ
​জিরে গুঁড়ো: ১.৫ চামচ
​ধনে গুঁড়ো: ১ চামচ
​গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চামচ
​টক দই: আধা কাপ (ভালো করে ফেটানো)
​টমেটো কুচি: ১টি (বড়)
​তেজপাতা: ২টি
​দারচিনি: ২টি ছোট টুকরো
​এলাচ: ৩-৪টি
​লবঙ্গ: ৪-৫টি
​ঘি: ১ চামচ
​সরষের তেল: পরিমাণ মতো
​নুন: স্বাদ মতো
​চিনি: সামান্য
​জল: পরিমাণ মতো
​কাঁচা লঙ্কা: ২-৩টি (মাঝখান থেকে চেরা)
​ধনে পাতা কুচি: সাজানোর জন্য
​প্রণালী:
​১. মাছ ভাজা: প্রথমে মাছের টুকরোগুলোতে নুন এবং হলুদ মেখে নিন। একটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো সরষের তেল গরম করুন। তেল ভালো করে গরম হলে মাছের টুকরোগুলো হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। খুব বেশি ভাজবেন না, এতে মাছ শক্ত হয়ে যেতে পারে।
​২. মশলা কষানো: ওই একই তেলে তেজপাতা, দারচিনি, এলাচ এবং লবঙ্গ দিয়ে দিন। সুন্দর গন্ধ বের হলে পেঁয়াজ বাটা দিয়ে সোনালি হওয়া পর্যন্ত ভাজুন।
​৩. মশলা কষানো (২): এবার আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন যতক্ষণ না কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
​৪. গুঁড়ো মশলা যোগ: এরপর শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো এবং ধনে গুঁড়ো দিয়ে দিন। সামান্য জল দিয়ে মশলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিন। তেল মশলার উপর ভেসে উঠলে বুঝবেন কষানো হয়ে গেছে।
​৫. দই ও টমেটো: এবার ফেটানো টক দই দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করুন। খেয়াল রাখবেন যাতে দই ফেটে না যায়। এরপর টমেটো কুচি দিয়ে দিন। নুন এবং চিনি দিয়ে ভালো করে কষান যতক্ষণ না টমেটো নরম হয়ে যায়।
​৬. জল যোগ: পরিমাণ মতো গরম জল দিয়ে দিন। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো সাবধানে ছেড়ে দিন। কাঁচা লঙ্কাও এই সময় দিয়ে দিন।
​৭. রান্না সম্পন্ন: মাঝারি আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করুন ৫-৭ মিনিট, যাতে মাছের ভেতরে মশলা ঢুকে যায়।
​৮. সাজানো: সবশেষে গরম মশলা গুঁড়ো এবং এক চামচ ঘি দিয়ে দিন। ভালো করে মিশিয়ে নিন। ধনে পাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে গরম ভাত বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশন করুন।
​আশা করি এই রেসিপিটি আপনার ভালো লাগবে। রান্না করে দেখুন এবং কেমন হলো তা জানাতে পারেন।

রামকৃষ্ণ পরমহংসের উক্তি 'যত মত তত পথ' বর্তমান যুগে খুবই প্রাসঙ্গিক। এই উক্তিটি মূলত ধর্মের বহুত্ববাদ এবং বিভিন্ন ধর্মীয়...
10/09/2025

রামকৃষ্ণ পরমহংসের উক্তি 'যত মত তত পথ' বর্তমান যুগে খুবই প্রাসঙ্গিক। এই উক্তিটি মূলত ধর্মের বহুত্ববাদ এবং বিভিন্ন ধর্মীয় পথের প্রতি সহনশীলতার বার্তা দেয়। আধুনিক সময়ে এর প্রাসঙ্গিকতা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা যায়:
​১. ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সম্প্রীতি: বর্তমান বিশ্বে ধর্মীয় বিভেদ ও সংঘাত একটি বড় সমস্যা। রামকৃষ্ণদেবের এই উক্তিটি মনে করিয়ে দেয় যে, সব ধর্মের মূল লক্ষ্য এক ও অভিন্ন। যেমনভাবে বিভিন্ন নদী অবশেষে সাগরে মিলিত হয়, তেমনই বিভিন্ন ধর্মীয় পথ মানুষকে ঈশ্বরের কাছে বা পরম সত্যের কাছে নিয়ে যায়। এই ধারণাটি ধর্মীয় বিভাজন কমিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্প্রীতি বাড়াতে সাহায্য করে।
​২. বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বহুত্ববাদ: বর্তমানে পৃথিবী একটি 'গ্লোবাল ভিলেজ'-এ পরিণত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম ও বিশ্বাসের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। 'যত মত তত পথ' এই বৈশ্বিক বহুত্ববাদের ধারণাকে সমর্থন করে। এটি শেখায় যে, নিজের ধর্মকে অনুসরণ করার পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। এটি সংকীর্ণতা দূর করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে সাহায্য করে।
​৩. ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতা: এই উক্তিটি কেবল প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের ক্ষেত্রেই নয়, ব্যক্তিগত আধ্যাত্মিক যাত্রার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এটি মানুষকে নিজেদের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা দেয়। একজন ব্যক্তি পূজা, ধ্যান, কর্ম, ভক্তি— যে কোনো পথেই ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারে। এই ধারণাটি আধ্যাত্মিকতায় একমুখী চিন্তাভাবনাকে প্রত্যাখ্যান করে এবং প্রত্যেকের নিজস্ব পথকে বৈধতা দেয়।
​৪. সামাজিক সম্প্রীতি ও বৈচিত্র্যের উদযাপন: আধুনিক সমাজে শুধুমাত্র ধর্মীয় ক্ষেত্রেই নয়, বরং রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক মতামতের ক্ষেত্রেও ভিন্নতা দেখা যায়। 'যত মত তত পথ' এই সমস্ত ভিন্নতাকে স্বীকৃতি দেয় এবং বৈচিত্র্যকে উদযাপনের কথা বলে। এটি শেখায় যে ভিন্নমত মানেই ভুল নয়, বরং তা সমাজের সামগ্রিক বিকাশের জন্য জরুরি।
​তবে, এই উক্তিটির একটি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। কিছু সমালোচক মনে করেন, এই ধারণাটি চরমপন্থা বা ভুল পথকেও বৈধতা দিতে পারে। এর উত্তরে বলা যায় যে, রামকৃষ্ণ পরমহংসের উক্তিটি সর্বদা সৎ এবং নৈতিক পথের কথাই বলে। কোনো পথ যদি হিংসা, ঘৃণা বা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, তবে তা প্রকৃত 'পথ' হিসেবে গণ্য হতে পারে না।
​সব মিলিয়ে, 'যত মত তত পথ' উক্তিটি সংকীর্ণতা ও গোঁড়ামির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা। এটি আধুনিক বিশ্বের বহুত্ববাদী সমাজের জন্য একটি অপরিহার্য দর্শন, যা মানবতাকে বিভেদের ঊর্ধ্বে স্থান দেয়। এই কারণেই এই উক্তিটি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

মনু নদীর কিনারে বিশুর বাড়ি, আর সেই বাড়িটার পাশে বিশুর ছোটবেলাটা যেন নদীর মতোই বয়ে চলেছে। গোবিন্দপুরের প্রতিটি মানুষ নদীর...
06/09/2025

মনু নদীর কিনারে বিশুর বাড়ি, আর সেই বাড়িটার পাশে বিশুর ছোটবেলাটা যেন নদীর মতোই বয়ে চলেছে। গোবিন্দপুরের প্রতিটি মানুষ নদীর সঙ্গে বাঁধা, ঠিক যেন এক অদৃশ্য সুতোয়। বিশুর এখনও মনে পড়ে, বিকেল হলেই কেমন পাখির ডানার মতোন ছুটে চলত সে নদীর পাড়ে। সন্ধ্যা নামতেই গোটা গ্রাম যেন জড়ো হতো সেই নদীর ধারে, এক অপরূপ আনন্দ মেলায়।
​শৈশবের সেই দিনগুলোতে কোনো বাধা ছিল না, ছিল শুধু মুক্তির স্বাদ। বন্ধুদের সাথে মিলে আম-কাঁঠাল চুরি করে খাওয়ার সেই রোমাঞ্চকর স্মৃতিগুলো এখনও বিশুর মনে তাজা। গাছের ডালে বসে লুকোচুরি খেলা, নদীর স্রোতে পা ডুবিয়ে গল্প করা, সব যেন চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
​কিন্তু সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে চাঁদনি রাতের কথা। পূর্ণিমার চাঁদ যখন নদীর বুকে তার রুপালি আভা ছড়িয়ে দিত, তখন পুরো গ্রাম একসঙ্গে জড়ো হতো। নদীর শান্ত জলের উপর চাঁদের আলোয় এক মায়াবী দৃশ্য তৈরি হতো, আর সবাই মিলে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করত। সেই মুহূর্তগুলো যেন সময়কে থামিয়ে দিত, আর বিশুর মনে এক গভীর আনন্দ ভরে দিত।
​আজ বিশু কলকাতায় থাকে, এক ঝাঁ চকচকে অফিসে কাজ করে। তার চারপাশের সবাই ব্যস্ত, ছুটে চলেছে আধুনিক জীবনের স্রোতে। কিন্তু যখন সে তার অফিসের সহকর্মীদের কাছে তার শৈশবের গল্প করে, তখন তার চোখগুলো জ্বলজ্বল করে ওঠে। সে তাদের শোনায় তার প্রিয় মনু নদীর গল্প, আম-কাঁঠাল চুরির গল্প, আর চাঁদনি রাতে নদীর পাড়ে বসে থাকা সেইসব স্মৃতি।
​কলকাতার এই ব্যস্ত জীবনে তার শৈশবের সেই সহজ, সরল আনন্দ হয়তো হারিয়ে গেছে, কিন্তু তার স্মৃতিগুলো চিরকাল বিশুর হৃদয়ে অমলিন থাকবে। মনু নদীর প্রতিটি ঢেউ, চাঁদের প্রতিটি আলোর রেখা, আর গ্রামের মানুষের হাসির প্রতিটি শব্দ তার স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। আর এই স্মৃতিগুলোই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, তাকে তার শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত রেখেছে।






❤️❤️❤️
01/09/2025

❤️❤️❤️

মানুষ যখন হাঁচে তখন সেই মুহূর্তের জন্য তার শারীরিক কার্যকরীতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এমনকী তাঁর হৃৎস্পন্দনটি ও।
31/08/2025

মানুষ যখন হাঁচে তখন সেই মুহূর্তের জন্য তার শারীরিক কার্যকরীতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এমনকী তাঁর হৃৎস্পন্দনটি ও।

মশলা মুড়ি, ভাই বোন ❤️
31/08/2025

মশলা মুড়ি, ভাই বোন ❤️

ত্রিপুরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি ছোট কিন্তু আকর্ষণীয় রাজ্য। এর রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর...
31/08/2025

ত্রিপুরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি ছোট কিন্তু আকর্ষণীয় রাজ্য। এর রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ত্রিপুরা সম্পর্কে কিছু মজার এবং অজানা তথ্য নিচে দেওয়া হলো:
১. ত্রিপুরার নাম এসেছে মূলত 'জল' (তুই) এবং 'কাছে' (প্রা) থেকে। অর্থাৎ, যে ভূমি জলের কাছাকাছি।
২. রাজ্যের রাজধানী আগরতলাতে অবস্থিত উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ হলো ত্রিপুরার রাজপরিবারের প্রাক্তন বাসভবন। এটি একটি অত্যন্ত সুন্দর স্থাপত্য, যা বর্তমানে একটি রাজ্য জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
৩. ত্রিপুরার লোকনৃত্যের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হলো হোজািগরি (Hojagiri) নৃত্য। এই নৃত্যটি রিয়াং উপজাতির নারীরা পরিবেশন করে থাকেন এবং এটি মাথা ও হাতের ভারসাম্য বজায় রেখে পরিবেশন করা হয়।
৪. ত্রিপুরার অন্যতম প্রধান উৎসব হলো খারচি পুজা (Kharchi Puja)। এটি চৌদ্দজন দেব-দেবীকে উৎসর্গ করে পালন করা হয়।
৫. ত্রিপুরার উনাকোটি হলো একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য শৈব তীর্থস্থান। এখানে হাজার হাজার পাথরের মূর্তি এবং শিলালিপি রয়েছে। এর নাম "উনাকোটি" অর্থাৎ "এক কোটির থেকে এক কম" (one less than a crore) ।
৬. ত্রিপুরাতে রয়েছে সিপাহীজলা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য (Sepahijala Wildlife Sanctuary), যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রাণী এবং গাছপালা দেখতে পাওয়া যায়। এখানে মেঘলা চিতাবাঘ (Clouded Leopard) দেখতে পাওয়া যায়।
৭. এই রাজ্যটি প্রায় তিন দিক থেকে বাংলাদেশের সীমানা দ্বারা আবদ্ধ।
৮. ত্রিপুরা এক সময় ভারতের বাইরে একটি স্বাধীন রাজ্য ছিল। এটি ১৯৪৯ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং পূর্ণাঙ্গ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় ২১শে জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।

কুশলের গল্প: হার না মানার লড়াইকুশল, আগরতলার NIT থেকে পাশ করা এক উজ্জ্বল ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তার জুড়ি মেলা ভ...
31/08/2025

কুশলের গল্প: হার না মানার লড়াই
কুশল, আগরতলার NIT থেকে পাশ করা এক উজ্জ্বল ছাত্র। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তার জুড়ি মেলা ভার। ক্লাসের সেরা ছাত্র হিসেবে সব সময়ই তার সুনাম ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর স্বপ্ন ছিল ক্যামপাসিং থেকেই চাকরি পেয়ে যাবে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে তেমনটা হলো না। যখন বন্ধুরা একে একে চাকরি পেয়ে গেল, কুশলের মনে তখন হতাশার কালো মেঘ।
প্রচণ্ড কষ্ট হতো তার। মনে হতো এত পড়াশোনা করেও সব বৃথা গেল। কিন্তু কুশল হার মানার পাত্র ছিল না। হতাশার সাগরে ডুবে না থেকে সে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরি না পেলে কী হয়েছে? জীবনের পথ তো একটাই নয়!
সে ঠিক করল ব্যাঙ্কের পরীক্ষা দেবে। শুরু হলো তার নতুন লড়াই। এবারকার লড়াইটা ছিল আরও কঠিন। কারণ, ব্যাঙ্কের পরীক্ষার সিলেবাস আর তার পড়া ইঞ্জিনিয়ারিং এর সিলেবাস একেবারেই আলাদা। প্রথমবার পরীক্ষা দিল, পাশ করতে পারল না। দ্বিতীয়বারেও ব্যর্থতা। তার মনে আবার হতাশা উঁকি মারতে শুরু করল। অনেকেই বলল, "এত কষ্ট করে পড়েও যখন হচ্ছে না, অন্য কিছু কর।" কিন্তু কুশল নিজের উপর বিশ্বাস হারাল না। সে জানত, সাফল্য ধরা দেবেই।
তৃতীয়বার যখন পরীক্ষা দিল, তখন তার প্রস্তুতি ছিল আরও জোরদার। আগের দুইবারের ভুলগুলো শুধরে নিয়ে সে এবার নিজেকে উজাড় করে দিল। রাত জেগে পড়াশোনা, মক টেস্ট, পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধান—কোনো কিছুই বাদ রাখেনি।
আর শেষমেশ, তার সমস্ত পরিশ্রমের ফল পেল। তৃতীয়বারে সে ব্যাঙ্ক পিও (Bank PO) পরীক্ষায় পাশ করল! সেই দিন তার আনন্দ দেখে কে! চোখে জল আর মুখে হাসি। এই সাফল্য শুধু একটা চাকরি পাওয়া নয়, এটা ছিল তার হার না মানা মানসিকতার জয়। কুশল প্রমাণ করে দিল, জীবনে সাময়িক ব্যর্থতা আসতেই পারে, কিন্তু ধৈর্য আর কঠোর পরিশ্রম থাকলে স্বপ্ন ঠিক পূরণ হয়।

মায়ের মন্দিরে প্রথমবারত্রিপুরার উঁচুনীচু লাল মাটির পথ ধরে আমাদের গাড়ি যখন উদয়পুরের দিকে এগোচ্ছিল, তখন বাইরে হালকা বৃষ...
30/08/2025

মায়ের মন্দিরে প্রথমবার
ত্রিপুরার উঁচুনীচু লাল মাটির পথ ধরে আমাদের গাড়ি যখন উদয়পুরের দিকে এগোচ্ছিল, তখন বাইরে হালকা বৃষ্টির পর ভেসে আসা ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধে মনটা ভরে যাচ্ছিল। গাড়ির মধ্যে আমি, আমার মা, বাবা আর আমার ছেলে রোহান। আমাদের সবার মধ্যে চাপা উত্তেজনা, কারণ এই প্রথমবার আমরা মাতাবাড়িতে (Matabari) পুজো দিতে যাচ্ছি। ছোটবেলা থেকে মায়ের মুখে ত্রিপুরেশ্বরী (Tripureswari) মায়ের কথা শুনেছি, কিন্তু কখনো সুযোগ হয়নি আসার। এবার রোহান স্কুল থেকে ছুটি পেয়েছিল, আর তাই আমরা এই সুযোগটা হাতছাড়া করিনি।
মন্দিরের কাছে পৌঁছাতেই এক অন্যরকম শান্তি অনুভব করলাম। মাতাবাড়ির পরিবেশটা একেবারে মন ছুঁয়ে গেল। চারিদিকে গাছপালা আর তারই মাঝে শান্ত দীঘি - কল্যাণ সাগর। দীঘির জলে ভেসে বেড়াচ্ছে কত রকমের মাছ আর কচ্ছপ! ছোট রোহান তো মহা খুশি। তার ছোট্ট হাতে মুড়ি নিয়ে সে দীঘির পাড়ে ছুটে গেল। বাবার চোখে মুখেও এক অদ্ভুত আনন্দ দেখতে পেলাম। তিনি ধীরে ধীরে হেঁটে এলেন দীঘির পাড়ে, যেন কতকালের চেনা এই জায়গা।
মায়ের কাছে আমাদের অর্ঘ্য
মন্দিরের ভেতরে যখন প্রবেশ করলাম, তখন এক পবিত্র অনুভূতিতে মনটা ভরে উঠল। লাল জবা ফুলের গন্ধে ম ম করছে পুরো মন্দির চত্বর। মায়ের প্রতিমা দেখে আমার মায়ের চোখ ছলছল করে উঠল। তিনি হাত জোড় করে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন। যেন কত অব্যক্ত কথা তিনি মাকে বলছেন। বাবাও নিশ্চুপে মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করলেন। আর আমার ছেলে রোহান, যে সব সময় দুষ্টুমিতে ব্যস্ত থাকে, সেও মায়ের সামনে শান্ত হয়ে গেল। সে হয়তো সবকিছু বোঝে না, কিন্তু মায়ের সেই অদ্ভুত শান্ত রূপটি তার ছোট্ট মনেও দাগ কাটল।
আমরা মায়ের চরণে ফুল দিলাম, প্রণাম করলাম। পুরোহিত মশাইয়ের মন্ত্রপাঠের প্রতিটি শব্দ যেন মনের ভেতর এক নতুন শক্তি সঞ্চার করছিল। মনে হচ্ছিল, যেন মা সত্যিই তার আশীর্বাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। পুজোর পর যখন প্রসাদ পেলাম, তার স্বাদ ছিল অসাধারণ। এই প্রথমবার আমরা পুরো পরিবার এক সঙ্গে মায়ের কাছে এসেছি, তার আশীর্বাদ পেয়েছি, এই অনুভূতিটা বলে বোঝানো যাবে না।
এক নতুন বন্ধন
মন্দির থেকে বেরোনোর পর দেখলাম হালকা আলোয় মায়ের মন্দিরটা যেন আরও শান্ত আর সুন্দর দেখাচ্ছে। গাড়িতে ফেরার পথে কেউ কোনো কথা বলছিল না। সবার চোখে মুখে এক ভিন্নরকম প্রশান্তি। রোহান তার মায়ের হাত ধরে বলল, “মা, আবার কবে আসবো এখানে?” তার এই প্রশ্নে আমরা সবাই হেসে উঠলাম।
এই অভিজ্ঞতাটা কেবল একটি পুজো দেওয়ার ঘটনা ছিল না। এটা ছিল আমাদের পুরো পরিবারের এক সঙ্গে কাটানো কিছু বিশেষ মুহূর্ত। মায়ের মন্দিরে আমরা শুধু পুজোই দিইনি, বরং একে অপরের সঙ্গে এক নতুন বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলাম। মাতাবাড়ির সেই পবিত্র স্মৃতি আমাদের মনে চিরকাল থাকবে।

আপনি কি জানেন, পৃথিবীর মহাসাগরগুলোতে এত পরিমাণে সোনা আছে যে, যদি তা বের করা যায়, তবে পৃথিবীর প্রত্যেককে চার কিলোগ্রাম কর...
30/08/2025

আপনি কি জানেন, পৃথিবীর মহাসাগরগুলোতে এত পরিমাণে সোনা আছে যে, যদি তা বের করা যায়, তবে পৃথিবীর প্রত্যেককে চার কিলোগ্রাম করে সোনা দেওয়া যাবে? তবে সমস্যা হলো, এই সোনা এতটাই মিশ্রিত অবস্থায় আছে যে, প্রতি ট্রিলিয়ন ভাগ সমুদ্রজলে মাত্র এক ভাগ সোনা পাওয়া যায়। আর তাই, এই সোনা বের করার খরচ এর মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি হবে।
এই অবাক করা তথ্যটি থেকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাই। সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলো সহজে পাওয়া যায় না। সেগুলোকে খুঁজে বের করতে অনেক প্রচেষ্টা, ধৈর্য এবং এমন জায়গায় সম্ভাবনা দেখার ইচ্ছা লাগে, যেখানে অন্য কেউ দেখতে পায় না। জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার, কোনো দক্ষতা অর্জন করার অথবা নিজের ভেতরের সুপ্ত সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করার ক্ষেত্রেও এই কথাটি সত্যি। আপনিও সেই সমুদ্রের মতোই, আর আপনার ভেতরেও রয়েছেincredible পরিমাণincredibly পরিমাণincredibly পরিমাণের ঐশ্বর্য। সেটা হয়তো খুঁজে বের করা কঠিন হতে পারে, কিন্তু তা আপনার ভেতরেই আছে, আপনার আবিষ্কারের অপেক্ষায়।

কচু শাকের একটি সহজ ও জনপ্রিয় রেসিপি নিচে দেওয়া হলো:কচু শাকের রেসিপিউপকরণ * কচু শাক: ৫০০ গ্রাম * শুকনো চিংড়ি বা ইলিশ মাছে...
30/08/2025

কচু শাকের একটি সহজ ও জনপ্রিয় রেসিপি নিচে দেওয়া হলো:
কচু শাকের রেসিপি
উপকরণ
* কচু শাক: ৫০০ গ্রাম
* শুকনো চিংড়ি বা ইলিশ মাছের মাথা: ৫০ গ্রাম
* পেঁয়াজ কুচি: ১টি (বড়)
* রসুন বাটা: ১ চামচ
* আদা বাটা: ১/২ চামচ
* কাঁচালঙ্কা: ৪-৫টি (ঝাল অনুযায়ী)
* হলুদ গুঁড়ো: ১/২ চামচ
* জিরা গুঁড়ো: ১/২ চামচ
* লবণ: স্বাদমতো
* সর্ষের তেল: ২-৩ চামচ
* লেবুর রস: ১-২ চামচ (গলায় যেন না ধরে, সেজন্য)
প্রস্তুত প্রণালী
১. শাক পরিষ্কার করা: প্রথমে কচু শাকের পাতা ও ডাঁটা ভালো করে পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। খুব ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন।
২. সিদ্ধ করা: একটি পাত্রে পরিমাণ মতো জল দিয়ে তাতে সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে কচু শাক সিদ্ধ করে নিন। শাক নরম হয়ে গেলে জল ছেঁকে ফেলে দিন।
৩. তেলে ভাজা: একটি কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচালঙ্কা দিয়ে হালকা সোনালি করে ভেজে নিন।
৪. মশলা কষানো: পেঁয়াজ ভাজা হলে তাতে রসুন ও আদা বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষান। এরপর চিংড়ি বা ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন।
৫. শাক মেশানো: এবার সিদ্ধ করে রাখা কচু শাক কড়াইতে দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিন। জিরা গুঁড়ো ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিন।
৬. রান্না করা: মাঝারি আঁচে রান্না করুন যতক্ষণ না জল শুকিয়ে যায় এবং শাকটি ঘন হয়ে আসে। মাঝে মাঝে নেড়ে দেবেন যাতে লেগে না যায়।
৭. পরিবেশন: রান্না শেষে চুলা বন্ধ করে দিন। এবার লেবুর রস মিশিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে এই কচু শাকের ঘন্ট পরিবেশন করুন।
টিপস:
* কচু শাকে অনেক সময় গলা ধরার সমস্যা হয়। তাই রান্না করার সময় লেবুর রস বা সামান্য তেঁতুল জল ব্যবহার করলে সেই সমস্যা দূর হবে।
* চিংড়ি মাছ ব্যবহার করলে প্রথমে ভেজে তুলে রাখুন এবং পরে শাকের সাথে মেশান।
* এই রেসিপিতে নারিকেল কোরাও ব্যবহার করা যায়, এতে স্বাদ আরও বাড়ে।
এই রেসিপিটি আপনার কেমন লাগলো, তা জানাতে পারেন।

Address

Govinadapur
Kailashahar
799277

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sagarnil abir dam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sagarnil abir dam:

Share