11/09/2025
২০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখেছেন প্রায় ১৬ মিলিয়নেরও অধিক মানুষ। নিজেরও জানা ছিল না যে ভিডিওটি কখন কে ধারন করেছে । তবে আপনাদের মত আমারও ভিডিওটি চোখে পরেছে। যেখানে ছিল আমার একটি কান্নার মুহূর্ত ।
সত্যি বলতে আপনাদের দোয়ায় জীবনে অনেক অপারেশন করেছি কিন্তু এমন ঘটনা কোনোদিনও ঘটেনি। যে ঘটনাটিকে আপনারা আমার জীবনে স্মরণীয় করে দিয়েছেন। যে রোগীটিকে আপনারা দেখেছেন, অপারেশনটি সেই রোগীর ছিল না। যে রোগীটি ছিল তার নাম আবুল কাসেম, যিনি বিশাল বড় একটি থাইরয়েড টিউমার নিয়ে আমার চেম্বারে আসেন। জানলাম তার কষ্টের কথা, ৬৫ বছর বয়সে ৪৫টি বছর এই টিউমার নিয়ে কষ্টে কেটেছে তার দিন। শেষ বেলায় এসে কষ্ট সহ্য করতে না পেরেই তিনি আমার কাছে আসেন। নির্ঘুম হয়ে গিয়েছিল রাত, কষ্টের যেন শেষ ছিল না।
তার এই কষ্টের কথা গুলো শুনে খুব খারাপ লাগলো। তাই তার সম্মতিতে, সকলের দোয়ায় ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং বড় একটি টিম নিয়ে সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে তার অপারেশনটি সম্পন্ন করলাম। আমি কৃতজ্ঞ যারা আমাকে সহযোগিতা করেছে, এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সৃষ্টিকর্তার কাছে। যিনি আমার মাধ্যমে এত বড় একটি অপারেশন সফল করেছেন।
৭ সন্তানের বাবা আবুল কাসেম, বাবার অপারেশনের কথা শুনে বিদেশ থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। তারা যখন আমার মুখে শুনলেন অপারেশন সাকসেসফুল ঠিক তখনিই সবাই বুক ফাটা কান্নায় আনন্দে আত্মহারা হয়ে সেজদায় পরে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন। তাদের এই দৃশ্য দেখে আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না। মনে পড়ে যায় আমার বাবার কথা। আমিও ভালবাসি আমার বাবাকে। তিন মাস হলো বাবা আমাকে ছেড়ে চলে গেছে পরপারে। একটা বারের জন্যও ভুলতে পারিনি বাবাকে। মনে হলো বাবা ওপর থেকে আমার অপারেশন করাটা দেখছিল। তাইতো আমার আনন্দের বহিঃপ্রকাশটা যেন কান্নার মাঝেই ফুটে উঠেছিল।
সত্যিই এতবড় একটি অপারেশন আমার জীবনে স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। কি কি চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছিল, অপারেশনটি কিভাবে সম্পন্ন হলো পুরো ঘটনা নিয়ে একটি ভিডিও তৈরী করেছি। ভিডিওটি দেখবেন আমাগীকাল সকাল ১০ টায়। একটাই উদ্দেশ্য রোগব্যাধি সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন এবং সচেতন হবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।