Hafiz Nurul Alom Choudhury

Hafiz Nurul Alom Choudhury Welcome to my platform

07/05/2025

06/05/2025

একদিন নবী করিম (সাঃ) এক সাহাবির জা*না*জা পড়ানো শেষে উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘তোমরা কি জানো, মানুষ মা*রা যাওয়ার পর তাঁর আত্মার কি হয়’? সাহাবাগণ বললেন- ‘আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল-ই ভালো জানেন’।

নবীজি বললেন- ‘শুনো তবে, যখন মানুষের মৃত্যুর সময় হয়, তখন সে ফেরেস্তাকে দেখে ভ*য় পায়। কিন্তু যে ইমানদার, তাকে মৃ*ত্যু*র ফেরেস্তা হাসিমুখে সালাম দেনI মৃ*তপ্রায় মানুষটির দিকে তাকিয়ে বলেন- ‘হে পবিত্র আত্মা! তুমি তোমার পালনকর্তার ক্ষমা ও ভালোবাসা গ্রহণ করো এবং এই দেহ থেকে বের হয়ে আসোI মুমিনের আত্মা যখন বের হয়ে আসে এবং সে কোন ধরণের ব্যথা ও বেদনা অনুভব করে না’I

নবীজি উদাহরণ দিয়ে বললেন- ‘মনে করো একটা পানির জগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর, উপর থেকে এক ফোঁটা পানি যেমন নিঃশব্দে নিচে নেমে আসে, ঠিক তেমনি তার আত্মাও তার দেহ থেকে বের হয়ে আসে’I

সেই সময় অন্য দু’জন ফেরেশতা বেহেস্ত থেকে খুব সুগন্ধি মাখানো একটা নরম সুতার সাদা চাদর নিয়ে আসেন এবং আত্মাটিকে সেই চাদরে আবৃত করে আকাশের দিকে নিয়ে যানI আকাশে পৌঁছলে অন্য ফেরেস্তারা আত্মাটি দেখে বলেন- ‘সুবহানাল্লাহ! কতো সুন্দর আত্মা, কি সুন্দর তার ঘ্রাণ! এই আত্মাটি কার?

উত্তরে আত্মা বহনকারী ফেরেস্তারা বলেন- ‘উনি হলেন,অমুকের সন্তান অমুক’। বাকি ফেরেস্তাগণ তখন আত্মাটিকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করেন- ‘উনার আমল কি ছিল? আত্মায় এতো সুঘ্রাণ কেনো? আত্মা বহনকারী ফেরেশতাগণ তখন বলেন- ‘আমরা শুনেছি মানুষজন নিচে বলাবলি করছে, উনি একজন উত্তম চরিত্রের দয়ালু এবং পরোপকারি মানুষ ছিলেন’I

এতোটুকু বলার পর নবীজি (সাঃ) সবার দিকে ভালো করে দৃষ্টি দিয়ে, উনার কণ্ঠটা একটু বাড়িয়ে বললেন- ‘এই কারণেই বলছি, সাবধান! তোমরা কিন্তু মানুষের সাথে কখনো খারাপ ব্যবহার করবে নাI তুমি মারা যাওয়ার পর মানুষ তোমার সম্পর্কে যা যা বলবে, এই আত্মা বহনকারী ফেরেস্তারাও আকাশে গিয়ে ঠিক একই কথা অন্যদেরকে বলবেন’I

এরপর নবী করিম (সাঃ) আবার বলতে শুরু করলেন- ‘এই সময় মানুষ যখন পৃথিবীতে মৃ*ত দেহকে ক*ব*র দেয়ার জন্য গোসল দিয়ে প্রস্তুত করবে, তখন আল্লাহ তা'আলা আত্মা বহনকারী ফেরেশতাদেরকে বলবেন- ‘যাও, এখন তোমরা আবার এই আত্মাকে তার শরীরে দিয়ে আসো, মানুষকে আমি মাটি থেকে বানিয়েছি, মাটির দেহেই তার আত্মাকে আবার রেখে আসোI সময় হলে তাকে আমি আবার পুনরায় জীবন দিবো’I

তারপর মৃ*তদে*হকে ক*ব*রে রেখে যাওয়ার পর মুনকার ও নাকির নামের দুইজন ফেরেস্তা আসবেনI তারা মৃ*তে*র সৃষ্টিকর্তা, তার ধর্ম ও নবী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেনI মুমিন বান্দা সেসবের যথাযথ জবাব দেওয়ার পর মুনকার নাকির চলে যাবেন।

এরপর আত্মাটি আবার অন্ধকার ক*ব*রে একা হয়ে যাবেI সে এক ধরনের অজানা আ*শং*কায় অপেক্ষা করবে, কোথায় আছে? কি করবে? এসব অনিশ্চয়তা এসে তাকে ঘিরে ধরবেI এমন সময় সে দেখবে, খুব সুন্দর এক লোক তার সাথে দেখা করতে এসেছেনI

তাকে দেখার পর আত্মাটি ভীষণ মুগ্ধ হবেI এতো মায়াবী ও সুন্দর তার চেহারা, সে জীবনে কোন দিন দেখেনিI আত্মাটি তাঁকে দেখে জিজ্ঞেস করবে- ‘তুমি কে? কেনো এসেছো?’ সেই লোকটি বলবে- ‘আমি তোমার জন্য অনেক বড় সুসংবাদ নিয়ে এসেছি, তুমি দুনিয়ার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছো। তোমার জন্য আল্লাহ তা'আলা জান্নাতের ব্যবস্থা করেছেন, তুমি কি সেটা একটু দেখতে চাও’?

আত্মাটি ভীষণ খুশি হয়ে বলবে- ‘অবশ্যই, আমি দেখতে চাই’I তখন আত্মাটি তার ডানে তাকিয়ে দেখবে, ক*ব*রের দেয়ালটি সেখানে আর নেইI সেই দেয়ালের দরজা দিয়ে অবর্ণনীয় সুন্দর এক বেহেস্ত দেখা যাচ্ছেI এই দৃশ্য দেখেই তার অন্তর জুড়িয়ে যাবে এবং তার মন প্রশান্ত হয়ে যাবেI সেখানে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করবে- ‘আমি সেখানে কখন যাবো? কিভাবে যাবো’?

আগত লোকটি মৃদু হেসে বলবেন- ‘যখন সময় হবে, তখন-ই তুমি সেখানে যাবে ও থাকবেI ভ*য় পেও নাI আমি তোমার সাথেই আছিI তোমাকে আমি শেষ দিবস পর্যন্ত সঙ্গ দিবো’I

আত্মাটি তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করবে- ‘কিন্তু তুমি কে’? তখন লোকটি বলবেন- ‘আমি তোমার এতোদিনের আমল, পৃথিবীতে তোমার সব ভালো কাজের, তোমার সব পুণ্যের রূপ আমি, আজ তুমি আমাকে একজন সঙ্গীর মতো করে দেখছো I আমাকে আল্লাহ তা'আলা তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্যই এখানে পাঠিয়েছেন’I

এই কথা বলে লোকটি আত্মাটির উপর যত্ন করে হাত বুলিয়ে দিবেন এবং বলবেন- ‘হে পবিত্র আত্মা! এখন তুমি শান্তিতে ঘুমাওI নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নাও’I এই কথা বলার পর, আত্মাটি এক নজরে বেহেস্তের দিকে তাঁকিয়ে থাকবে এবং একসময় এই তাকানো অবস্থায় গভীর প্রশান্তিতে ঘুমিয়ে পড়বে’I আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নেক আমল করার তৌফিক দিন, আমিন। (বুখারী ও মুসনাদের দুটি হাদিস অবলম্বনে)

একটু খেয়াল করুন—সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে কি করেন?নাহ, দাঁত ব্রাশ না। আপনার আঙুল টাচ করে ফোনে। নোটিফিকেশন আসে, চোখ চক...
05/05/2025

একটু খেয়াল করুন—সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রথমে কি করেন?

নাহ, দাঁত ব্রাশ না। আপনার আঙুল টাচ করে ফোনে। নোটিফিকেশন আসে, চোখ চকচক করে ওঠে। মাথায় একটা হালকা আনন্দের ভাব।

এটাই ডোপামিন।
একটা ছোট্ট ‘হিট’।
মস্তিষ্ক বলে, “ভালো লাগছে, আবার করো!”

কিন্তু আপনি কি জানেন, এই ‘ভালো লাগা’টা আসলে একটা কন্ট্রোলড ডিজাইন?
এই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর অ্যালগরিদম আপনাকে না জেনে একটা ট্র্যাপে ফেলে রাখে।

টিকটক কেন ননস্টপ প্লে করে?
ইনস্টাগ্রাম কেন “Scroll End” বলে কিছু নেই?
Facebook কেন “Memories” দেখায়?

এইসব কিছুই—পিওর সায়েন্স অব মেন্টাল হ্যাকিং।

আপনি আর কন্ট্রোলে নেই।
আপনার মস্তিষ্ক এখন প্ল্যাটফর্মগুলোর হাতে রিমোট কন্ট্রোল।

২০ মিনিটের জন্য সব অফ। শুধু নিজের সাথে কানেক্টেড থাকবো।
দেখলাম— একবার শুরু করলেই, সময়, ফোকাস, পিস—সব ফিরে আসে।

আপনার জন্য আমার রোডম্যাপ:

🧭 ১. প্রতিদিন ১৫ /২০ মিনিট “Digital Pause” নিন।
🧭 ২. ফোনে স্ক্রিন টাইম আলার্ম সেট করুন।
🧭 ৩. দিনে ৩০ মিনিট “No Dopamine Hour” চালু করুন।
🧭 ৪. রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে সব নোটিফিকেশন বন্ধ করুন।

শুরুতে কঠিন লাগবে। মস্তিষ্ক বিদ্রোহ করবে। শরীর ‘ফেক আনন্দ’ খুঁজবে। কি
কিন্তু মনে রাখবেন— আপনি রোবট না।

আমি এই নিয়মগুলো ফলো করে নিজের প্রোডাক্টিভিটি কয়েকগুন গুণ বাড়িয়েছি,
আর স্ট্রেস ৭০% কমিয়েছি।

আমার এক ট্রেইনি ছিল—প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা স্ক্রল করতো। আজ সে একটা স্টার্টআপ চালাচ্ছে, কারণ এখন ওর ‘mind’ ওর নিজের কন্ট্রোলে।

ভাবুন তো— আপনি সকালবেলা উঠে ডিভাইস নয়, নিজের লাইফের ওপর কন্ট্রোল নিয়ে দিন শুরু করছেন। মন শান্ত, মাথা ক্লিয়ার,, আর কাজ শেষ হচ্ছে ঠিক সময়মতো।

এটাই হতে পারে আপনার নতুন সুপার পাওয়ার।

এই টপিক নিয়ে অলরেডি একটা ভিডিও করেছি
কমেন্টে দেয়া আছে দেখে আসেন—অনেক ডিটেলসে বুঝতে পারবেন পুরো বিষয়টা। তিন মিনিট দেখুন, কিন্তু আপনার জীবন বদলে যাবে।

আজ যদি আপনি সিদ্ধান্ত না নেন—আগামীকালও অন্য কেউ আপনার মাথা দিয়ে আয় করবে। আপনার সময়টাই তাদের বিজনেস মডেল।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার—

আপনি কি একজন 'User' থাকবেন,
না কি নিজের 'Life Designer' হবেন?




ইংরেজি গ্রামার। Verb শেখার সহজ নিয়ম।➢Sentence এ ব্যবহৃত যে সব Word দ্বারা কোন কাজ করাকে বোঝায় তাকে Verb বলে।➢Verb এর প্র...
04/05/2025

ইংরেজি গ্রামার।
Verb শেখার সহজ নিয়ম।
➢Sentence এ ব্যবহৃত যে সব Word দ্বারা কোন কাজ করাকে বোঝায় তাকে Verb বলে।

➢Verb এর প্রকারভেদ : Verb দুই প্রকার। যথা :

➫ 1. Finite Verb
➫ 2. Non finite Verb

➢1. Finite Verb (সমাপিকা ক্রিয়া) : যে সব Verb দ্বারা বক্তার বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে যাতাকে Finite Verb বলে।

¤》Example :
I go to school.
Kamal plays football.

➢Finite Verb এর বৈশিষ্ট্য :

– Sentence এর অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ পায়।
– বক্তার বক্তব্য পূর্ণাঙ্গররূপে ব্যক্ত করে।
– Subject এর Person, Number, Tense অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়।

➢Finite এর প্রকারভেদ :
Finite Verb দুই প্রকার। যথা :
➫ a. Principal Verb
➫ b. Auxiliary Verb

➢a. Principal Verb (প্রধান ক্রিয়া) :

যে Verb নিজেই স্বাধীনভাবে অন্য Verb এর সাহায্য ছাড়াই ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে Principal Verb বলে।
》Example :
You go
They play in the field.

➢Principal Verb এর প্রকারভেদ :

“”Principal Verb__ দুই প্রকার। যথা :

■I. Transitive Verb (সকর্মক ক্রিয়া) :

যে সমস্ত Verb এর Objec

t বা কর্ম থাকে তাদেরকে Transitive Verb বলে।

》Example :
The baby is drinking milk.
I have bought a book.





Transitive Verb এর বৈশিষ্ট্য :

– Subject এর পরে বসে
– প্রতিটি Verb এর পরে এক বা একাধিক Object থাকে।
– Tense ও Subject এর Person, Number অনুযায়ী এদের রূপের পরিবর্তন ঘটে।

■II. Intransitive Verb (অকর্মক ক্রিয়া) :



যে Verb এর Object বা কর্ম থাকে না তাদেরকে Intransitive Verb বলে।

Example :
The girl went to school.
Birds fly in the sky.



○Intransitive Verb এর বৈশিষ্ট্য :

– এরা প্রায়ই Sentence এর শেষে বসে।
– এদের পরে কোনো Object থাকে না।

– Tense ভেদে Subject এর Person ও Number অনুযায়ী এদের রূপের পরিবর্তন ঘটে।

➢b. Auxiliary Verb (সাহায্যকারী ক্রিয়া) :

Sentence এ ব্যবহৃত যে সব Verbs Principal Verbs এর ভাব ও অর্থ সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য Principal Verbs কে সহায়তা করে, সে সকল Verb কে Auxiliary Verb বলে।

♡Auxiliary Verb এর বৈশিষ্ট্য :



– Auxiliary Verbs Sentence এ ব্যবহৃত হয়ে নিজে কোন অর্থ প্রকাশ করে না।

– Auxiliary Verbs Sentence এর ভাব ও অর্থ প্রকাশ করতে Principal Verb কে সহয়তা করে।

– Auxiliary Verbs Tense, Voice ও Mood এর রূপ গঠনের জন্য Principal Verb কে সহয়তা করে।

➢Auxiliary Verb এর তালিকা :



am, is, are, was, were, be, being, been, have, has, had, shall, should, will, would, may, might, can, could, do, does, did, used (to), ought (to), dare (to)

➢Auxiliary Verb এর প্রকারভেদ :

Auxiliary Verb সমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :



●I. Primary Auxiliaries/Tense Auxiliaries :

যে Verb গুলোকে বাক্যে Helping বা Auxiliary এবং কখনো কখনো Ordinary Verb হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাদেরকে Primary Auxiliaries/Tense Auxiliaries বলে।

♡Primary Auxiliaries/Tense

Auxiliaries গুলো নিম্নরূপ :

Verb to be : am, is, are, was, were
Verb to have : have, has, had
Verb to do : do, does, did

●II. Modal Auxiliaries :

ক্রিয়া সম্পাদনের ক্ষেত্রে Mood বা ধরণ বুঝানোর জন্য যে Auxiliaries ব্যবহৃত হয় সেগুলোকে Modal Auxiliaries বলে।

♡Modal Auxiliaries গুলো নিম্নরূপ :

shall, should, will, would, may, might, can, could, used (to), ought (to), dare (to)

□❍➢2. Non-finite Verb (অসমাপিকা ক্রিয়া) :

যে Verb দ্বারা কোন বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ প্রকাশ পায় না এবং Subject এর Number ও Person দ্বারা যে Verb এর কোন রূপের পরিবর্তন হয় না তাকে Non-finite Verb বলে।

➢Non-finite Verb এর প্রকারভেদ :

__Non-finite Verb তিন ভাগে বিভক্ত। যথা :

___□➢a. Gerund :

Gerund হল verb+ing যার মধ্যে Noun ও Verb এর শক্তি কাজ করে। একে Double Parts of Speech ও বলা হয়।



¤》Example :



Swimming is a good exercise.
Sleeping is necessary to life.
She is fond of reading poems.

➢b. Participle :

Verb যে রূপ একসঙ্গে Verb ও Adjective এর কার্য সম্পন্ন করে তাকে Participle বলে।

____○□➢Participle এর প্রকারভেদ :

Participle তিন প্রকার। যথা :

••••➢I. Present Participle :



Verb এর ing form যখন Verb ও Adjective এর কাজ করে তখন তাকে Present Participle বলে।

¤》Example :



The book is interesting.
••••➢II. Past Participle :

যে Participle দ্বারা অতী

তে কোন কাজ সম্পন্ন হয়েছে বোঝায় তাকে Past Participle বলে।

Example :
I got a decorated room.
She had gone there.
••••➢III. Perfect Participle :

যদি Verb এর Past Participle এর পূর্বে having যুক্ত হয়ে Adjective ও Verb এর কার্য সম্পাদন করে কখন তাকে Perfect Participle বলে।

¤》Example :
The sun having risen, the fog disappeared.

____□➢c. Infinitive :

Verb এর Present form এর অাগে to

বসিয়ে Infinitive গঠন করা হয়।



¤》Example :

To tell a lie is a great sin.
I come to see you.

_____●➢Conjugation of Verb :

Tense বা কাল অনুসারে Verb পরিবর্তন হওয়ার নিয়মকে Conjugation of Verb বলে।

Conjugation of Verb এর প্রকারভেদ : Conjugation of Verb দুই ভাগে বিভক্ত। যথা :

¤¤➢1. Strong Verb/Irregular Verb :

যে Verb এর মধ্যস্থিত Vowel পরিবর্তনের মাধ্যমে বা শেষে n, en, ne যোগ করে Past বা Past Participle গঠন করা হয়, সেগুলোকে Strong Verb বলে।

_______Transitive Strong Verb এর Present, Past, Past Participle From নিচে দেওয়া হলো :

Present – Past – Past Participle
Abide (মেনে চলা) – Abode – Abode
Behold (দেখা) – Beheld – Beheld
Bid (অাদেশ করা) – Bade – Bid
Find (খোজা) – Found – Found

Forsake (ত্যাগ করা) – Forsook – Forsaken
Forbid (নিষেধ করা) – Forbade – Forbidden
Go (যাওয়) – Went – Gone

Sing (গান গাওয়া) – Sang – Sung
Take (লওয়া) – Took – Taken
Write (লেখা) – Wrote – Written

_______Intransitive Strong Verb এর Present, Past, Past Participle From নিচে দেওয়া হলো :

Present – Past – Past Participle
Arise (উঠা) – Arose – Arisen
Awake (জাগা) – Awoke – Awaken
Be (হওয়া) – was/were – Been

Cling (লেগে থাকা) – Clang – Clung
Come (অাসা) – Came – Come
Creep (হামাগুড়িদেওয়া) – crept – Crept
Fall (পতিত হওয়া) – Fell – Fallen

Rise (উঠা) – Rose – Risen

________Transitive Verb ও Intransitive Verb উভয় হতে পারে এমন Strong Verb এর Present, Past, Past Participle From নিচে দেওয়া হলো :


Present – Past – Past Participle
Bear (বহন করা) – Bore – Borne
Bear (প্রসব করা) – Bore – Born

Become (হওয়া)- Became – Become
Begin (অারম্ভ করা) – Began – Begun

Beat (প্রহার করা)- Beat – Beaten
Bite (কামড়ানো) – Bit – Bit
Bind (বাঁধা)- Bound – Bound

Bleed (রক্তপাত হওয়া) – Bled – Bled
Blow (প্রবাহিত হওয়া)- Blew – Blown
Break (ভাঙ্গা) – Broke – Broken

Chide (তিরস্কার করা) – Chad – Chidden
Choose (পছন্দ করা)- Chose – Chosen
Dig (খনন করা)- Dug – Dug

Do (করা) – Did – Done
Draw (অাঁকা) – Drew – Drawn
Drive (চালানো)- Drove – Driven
Eat (খাওয়া) – Ate – Eaten

Feed (খাওয়ানো)- Fed – Fed
Fight (যুদ্ধ করা) – Fought – Fought
Fly (ওড়া) – Flew – Flown

Forgive (ক্ষমা করা) – Forgave – Forgiven
Forget (ভুলে যাওয়া)- Forgot – Forgotten
Freeze (জমে যাওয়া)- Froze – Frozen

Get (পাওয়া)- Got – Got
Give (দেওয়া) – Gave – Given
Grow (জন্মানো) – Grew – Grown

Hang (ঝুলানো) – Hung – Hung
Hide (লুকানো) – Hid – Hidden
Hold (ধরা, ধারণ করা) – Held – Held
Know (জানা) – Knew – Known

Make (তৈরি করা) – Made – Made
Meet (সাক্ষাৎ করা)- Met – Met
Mistake (ভুল করা)- Mistook – Mistaken
Ride (ঘোড়ায় চড়া) – Rode – Ridden

Ring – Rang – Rung
Reevaluate (পুনরায় মুল্যায়ন করা) – Reevaluated
See (দেখা) – Saw – Seen

Sit (বসা)- Sat – Sat
Sink – Sank – Sunk
Shrink – Shrank – Shrunk

Spring (লাফানো) – Sprang – Sprung
Speak (কথা বলা) – Spoke – Spoken

¤¤➢2. Weak Verb/Regular Verb :

যে Verb এর শেষে d, ed, t যোগ করে Verb এর Past ও Participle গঠন করা হয় তাকে Weak Verb বলে।

______Transitive Weak Verb এর Present, Past, Past Participle From নিচে দেওয়া হলো :

Present – Past – Past Participle

Abuse (অপব্যবহার করা) – Abused – Abused
Appropriate (অাত্মসাৎ করা) – Appropriated – Appropriated
Attract (অাকর্ষণ করা) – Attracted – Attracted

Authenticate (প্রমাণ করা)- Authenticated – Authenticated
Avoid (এড়িয়ে চলা) – Avoided – Avoided
Awe (অাতঙ্কিত করা) – Awed – Awed

Beautify (সুন্দর করা) – Beautified – Beautified
Blame (দোষ করা) – Blamed – Blamed
Bore (বিরক্ত করা) – Bored – Bored

Borrow (ধার করা)- Borrowed – Borrowed
Brutalize (নিষ্ঠুর করে তোলা) – Brutalized – Brutalized

Bureaucratise – (অামলাতন্ত্রিক করা) – Bureaucratised – Bureaucratised
Caution (সতর্ক করা) – Cautioned – Cautioned



Civilize (সভ্য করা/মার্জিত করা) – Civilized – Civilized
Commend (প্রশংসা করা/সুপারিশ করা) – Commended – Commended
Complete (সমাপ্ত করা) – Completed – Completed

Comprehend (উপলব্ধি করা) – Comprehended – Comprehended
Constitute (গঠন করা/স্থাপন করা) – Constituted – Constituted
Construct (নির্মাণ করা/গঠন করা) – Constru



Correct (ঠিক করা/সংশোধন করা) – Corrected – Corrected
Create (সৃষ্টি করা) – Created – Created



Deactivate (নিষ্ক্রিয় করা) – Deactivated – Deactivated
Decontrol (নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা) Decontrolled – Decontrolled
Devalue (মূল্য হ্রাস করা) – Devalued – Devalued

Disable (দুর্বল করা) – Disabled – Disabled
Disagree (ভিন্নমত পোষন করা) – Disagreed – Disagreed
Discuss (অালোচনা করা) – Discussed – Discussed
Distrust (অবিশ্বাস করা) – Distruste

d – Distrusted

Enable (সক্ষম করা) – Enabled – Enabled
Enact (অাইন পাস করা) – Enacted – Enacted
Encourage (উৎসাহ দেওয়া) – Encouraged – Encouraged

Entrust (বিশ্বাস স্থাপন করা) – Entrusted – Entrusted
Enjoy (উপভোগ করা) – Enjoyed – Enjoyed
Hate (ঘৃণা করা) – Hated – Hated

Have (অাছে) – Had – Had
Invalidate (বাতিল করা) – Invalidated – Invalidated
Lie (মিথ্যা বলা)- Lied – Lied
Like (পছন্দ করা) – Liked – Liked

Lend (ধার দেওয়া) – Lent – Lent
Loose (অালগা করা) – Loosed – Loosed
Love (ভালোবাসা) – Loved – Loved
Mean (অর্থ প্রকাশ করা) – Meant – Meant

Misapply (অপপ্রয়োগ করা) – Misapplied – Misapplied
Misappropriate (অাত্মসাৎ করা) Misappropriated – Misappropriated
Mistrust (সন্দেহ করা) – Mistrusted – Mistrusted

Need (প্রয়োজন হওয়া) – Needed – Needed
Place (স্থাপন করা) – Placed – Placed
Plan (পরিকল্পনা করা) – Planned – Planned

Procreate (সন্তান উৎপাদন করা) – Procreated – Procreated
Punish (শাস্তি দেওয়া) – Punished – Punished
Reactivate (পুনরায় সক্রিয় করা) – Reactivated – Reactiv

ated

Reappear (পুনরায় উপস্থিত হওয়া) – Reappeared – Reappeared
Recommend (সুপারিশ করা/পরামর্শ দেওয়া) Recommended – Recommended
Recreate (পুনরায় সৃষ্টি করা) – Recreated – Recreated

Reevaluate (পুনরায় মুল্যায়ন করা) – Reevaluated – Reevaluated
Signify (অর্থ বোঝানো) – Signified – Signified
Simplify (সহজবোধ্য করা) – Simplified – Simplified
Stroke (মৃদু অাঘাত করা) – Stroked – Stroked

Suspect (সন্দেহ করা) – Suspected – Suspected
State (বর্ণনা করা) Stated – Stated
Thank (ধন্যবাদ দেওয়া) – Thanked – Thanked
Tolerate (সহ্য করা) – Tolerated – Tolerated

Use (ব্যবহার করা) – Used – Used
Undervalue (অবমূল্যায়ন করা) – Undervalued – Undervalued
Value (দরকষাকষি করা) – Valued – Valued

_______Intransitive Weak Verb এর Present, Past, Past Participle From নিচে দেওয়া হলো :



Present – Past – Past Participle



Appear (হাজির হওয়া)- Appeared – Appeared
Arrive (পৌছানো) – Arrived – Arrived
Care (যত্ন নেওয়া) – Cared – Cared
Cohere (সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া) – Cohered – Cohered
Compete (প্রতিযোগিতা করা) – Competed – Competed
Consist (গঠিত হওয়া) – Consisted – Consisted
Cooperate (সহযোগিতা করা) – Cooperated – Cooperated
Die (মারা যাওয়া) – Died – Died
Disappear (অদৃশ্য হওয়া) – Disappeared – Disappeared
Discourage (নিরাশ করা) Discouraged – Discouraged
Dwell (বাস করা)- Dwelled – Dwelled
Gaze (একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা) – Gazed – Gazed
Interact (পারস্পরিক ক্রিয়া করা) – Interacted – Interacted
Kneel (হাটু গেড়ে বসা) – Knelt – Knelt
Sympathize (সহানুভূতি দেখানো) – Sympathized – Sympathized
Wax (অালোকিত অংশ বৃদ্ধি পাওয়া) – Waxed – Waxed
________Transitive Verb ও Intransitive Verb উভয় হতে পারে এমন Weak Verb এর Present, Past, Past Participle From নিচে দেওয়া হলো :

Present – Past – Past Participle
Accept (গ্রহণ করা) – Accepted – Accepted
Account (হিসাব করা, কারণ ব্যাখ্যা করা) – Accounted – Accounted
Act (কাজ করা/অভিনয় করা) – Acted – Acted



Add (যোগ করা) – Added – Added
Admit (ভর্তি হওয়া) – Admitted – Admitted
Advise (উপদেশ দেওয়া)- Advised – Advised
Agree (রাজি হওয়া)- Agreed – Agreed

Allow (বন্টন করা) – Allowed – Allowed
Apply (অাবেদন করা) Applied – Applied
Arrange (সজ্জিত করা)- Arranged – Arranged
Ask (প্রশ্ন করা)- Asked – Asked

Attain (অর্জন করা) – Attained – Attained
Attend (মনযোগ দেওয়া) – Attended – Attended
Avail (গ্রহণ করা/কাজে লাগানো) – Availed – Availed
Beg (ভিক্ষা করা)- Begged – Begged

Believe (বিশ্বাস করা) Believed – Believed
Bend (নোয়ানো)- Bent – Bent
Boil (সেদ্ধ করা)- Boiled – Boiled
Burry (কবর দেওয়া) – Buried – Buried

Burst (প্লাবিত হওয়া) – Burst – Burst
Build (নির্মাণ করা)- Built – Built
Burn (পোড়ানো) – Burnt – Burnt
Buy (ক্রয় করা) – Bought – Bought

Cancel (বাতিল করা) – Canceled – Canceled
Catch (ধরা) – Caught – Caught
Carry (বহন করা)- Carried – Carried
Charge (অভিযোগ করা) – Charged – Charged
Change (পরিবর্তন করা)- Changed – Changed

Cheer (উৎসাহিত করা) – Cheered – Cheered
Clean (পরিষ্কার করা) – Cleaned – Cleaned
Clear (পরিষ্কার করা) Cleared – Cleared

Climb (গাছে চড়া) – Climbed – Climbed
Close (বন্ধ করা)- Closed – Closed
Compare (তুলনা করা)- Compared – Compared

Conceive (ধারণা করা) Conceived – Conceived
Conclude (সমাপ্ত করা) – Concluded – Concluded
Confide (বিশ্বাস করা) – Confided – Confided

Continue (চলতে থাকা\চালিয়ে যাওয়া) – Continued – Continued
Cry (কান্না করা) – Cried – Cried
Dance (নাচা) -Danced – Danced

Dare (সাহস করা)- Dared – Dared
Deal (ব্যবসা করা)- Dealt – Dealt
Delay (দেরি করা)- Delayed – Delayed
Disbelieve (অবিশ্বাস করা) Disbelieved – Disbelieved

Discontinue (বন্ধ হওয়া) – Discontinued – Discontinued
Divide (ভাগ করা) – Divided – Divided
Dream (স্বপ্ন দেখা) – Dreamt – Dreamt

Drop (ফোটায় ফোটায় ফেলা)- Dropped – Dropped
Dry (শুকানো) – Dried – Dried
End (সমাপ্ত হওয়া)- Ended – Ended
Fail (ব্যর্থ হওয়া)- Failed – Failed



Fill (পূর্ণ করা)- Filled – Filled
Fix (স্থির করা) – Fixed – Fixed
Hang (ঝোলানো) – Hanged – Hanged
Hear (শোনা) – Heard – Heard

Help (সাহায্য করা) – Helped – Helped
Hop (লাফানো) – Hopped – Hopped
Hope (অাশা করা) – Hoped – Hoped
Hurry (তাড়িঘড়ি করা) – Hurried – Hurried
Jump (লাফানো)- Jumped – Jumped

Keep (রাখা) – Kept – Kept
Laugh (হাসা)- Laughed – Laughed
Lay (শয়ন করা) – Laid – Laid
Learn (শিক্ষার্জন করা) – Learnt – Learnt
Leave (ত্যাগ করা) – Left – Left

Load (বোঝায় করা)- Loaded – Loaded
Lock (চাবি দেওয়া) – Locked – Locked
Look (দেখা)- Looked – Looked
Lose (ক্ষতি হওয়া বা করা)- Lost – Lost
Live (বাস করা)- Lived – Lived

Marry (বিয়ে করা) – Married – Married
Move (ঘোরা) – Moved – Moved
Obey (মেনে চলা) – Obeyed – Obeyed
Open (খোলা) – Opened – Opened
Own (নিজের অধিকারে রাখা) – Owned – Owned
Pass (উত্তীর্ণ করা) – Passed – Passed

Paint (চিত্রাঙ্কন করা) – Painted – Painted
Pat (অাদর করে চাপড়ানো) – Patted – Patted
Pay (পরিশোধ করা)- Paid – Paid

Pull (টানা) – Pulled – Pulled
Push (ঠেলা) – Pushed – Pushed
Rain (বৃষ্টিপাত হওয়া) – Rained – Rained
Reach (পৌছানো) – Reached – Reached

Read (পড়া) – Read – Read
Rear (লালন পালন করা) – Reared – Reared
Reapply (পুনরায় অাবেদন করা) – Reapplied – Reapplied
Refuse (প্রত্যাখান করা)- Refused – Refused

Refer (উল্লেখ করা) – Referred – Referred
Rub (ঘষা)- Rubbed – Rubbed
Sow (বপন করা) – Sowed – Sowed
Seek (খোজা) – Sought – Sought

Sell (বিক্রয় করা)- Sold – Sold
Sew (সেলাই করা)- Sewed – Sewed
Say (বলা)- Said – Said
Show (দেখানো)- Showed – Showed
Sleep (ঘুমানো) – Slept – Slept

Stabilize (স্থির করা) – Stabilized – Stabilized
Start (শুরু করা) – Started – Started
Stay (অবস্থান করা) – Stayed – Stayed
Stop (থামা)- Stopped – Stopped

Smell (গন্ধ ছড়ানো) – Smelt – Smelt
Spend (ব্যয় করা)- Spent – Spent
Sweep (ঝাড়ু দেওয়া) – Swept – Swept
Succeed (সফল হওয়া) – Succeeded – Succeeded

Suffice (পর্যাপ্ত হওয়া) – Sufficed – Sufficed
Suit (উপযুক্ত হওয়া) – Suited – Suited
Taste (স্বাদ গ্রহণ করা) – Tasted – Tasted

Think (চিন্তা করা) – Thought – Thought
Tell (বলা)- Told – Told
Tire (ক্লান্ত হওয়া) – Tired – Tired
Travel (ভ্রমণ করা) – Traveled – Traveled
Treat (চিকিৎসা করা) – Treated – Treated

Trust (বিশ্বাস করা) – Trusted – Trusted
Try (চেষ্টা করা)- Tried – Tried
Vary (পরিবর্তন করা) – Varied – Varied
Wait (অপেক্ষা করা) – Waited – Waited

Walk (হাটা)- Walked – Walked
Want (চাওয়া)- Wanted – Wanted
Wash (ধৌত করা)- Washed – Washed
Waste (অপচয় করা) – Wasted – Wasted
Watch (দেখা) – Watched – Watched

Water (পানি দেওয়া) – Watered – Watered
Weep (কাঁদা) – Wept – Wept

Wish (ইচ্ছা করা) – Wished – Wished
Work (কাজ করা) – Worked – Worked
Copy

04/05/2025

'''নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন'''
এর মধ্যে কি আছে আসুন জেনে
নেয়।

ভিন্ন ঘরনার মানুষ আপনাদের কাছে বিভিন্ন দাবী পেশ করবে এটাই স্বাভাবিক,
তবে দাবী গুলি পূরন করার আগে আপনাদের মনে রাখা উচিত এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী, তাই মুসলমানদের মনে কোন বিষয়ে আঘাত করা মানে এদেশের বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী কে আঘাত করা।

সম্প্রতিকালে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ কিছু নারী
'নারী সংস্কার কমিশন' নামে ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপি একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ওলামায়ে কেরামের সাথে আলোচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আশাবাদী ।

তারপরও একজন মুসলিম হিসেবে সংক্ষেপে কয়েকটি সাংঘর্ষিক বিষয় আপনাদের কাছে পেশ করছি।

এক.
'সম্পত্তিতে সমান উত্তরাধিকার'
উক্ত প্রতিবেদনের একাদশতম অধ্যায়ের ১১.৩.১ এর 'ক' অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে 'সম্পত্তিতে নারী পুরুষের সমান অধিকার' যা সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

یُوۡصِیۡکُمُ اللّٰہُ فِیۡۤ اَوۡلَادِکُمۡ لِلذَّکَرِ مِثۡلُ حَظِّ الۡاُنۡثَیَیۡنِ
আল্লাহ তোমাদের সন্তান-সন্ততি সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, পুরুষের অংশ দুই নারীর সমান।
আন নিসা - ১১

দুই.
'বহু বিবাহ রোধ' 'বহু বিবাহ প্রথা বিলুপ্ত'
পঞ্চম অধ্যায়ের ৩.২.৩ এর 'খ' অনুচ্ছেদ এবং তৃতীয় অধ্যায়ের ৩.২.৩.১.১ এর 'গ' অনুচ্ছেদে উক্ত দাবী গুলি করা হয়েছে।
এটি সুরা নিসার ৩নং আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক।

فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَثُلٰثَ وَرُبٰعَ
নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের পছন্দ হয় বিবাহ কর দুই-দুইজন, তিন-তিনজন অথবা চার-চারজনকে।
আন নিসা - ৩

নোট.
একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার হওয়া দরকার যে শর্ত সাপেক্ষে ইসলাম পুরুষের জন্য একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী রাখার বৈধতা দিয়েছে, এ বিষয়ে আলাদা লেখা প্রয়োজন।

গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নারীদের সংখ্যা পুরুষদের সংখ্যার চেয়ে বেশি। যদি প্রত্যেক পুরুষ শুধু একজন নারীকে বিয়ে করে, তাহলে তার অর্থ এই দাঁড়াবে যে কিছু নারীকে স্বামী ছাড়াই থাকতে হবে, যা তার ওপর এবং সমাজের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করবে। এটি তার জীবনকে সংকীর্ণ করার পাশাপাশি তাকে বিপথগামিতার দিকে পরিচালিত করতে পারে। এবং এর মাধ্যমে সমাজে অনাচারের পথ প্রশস্ত হতে পারে।
এ ছাড়া বহু কল্যাণ রয়েছে, প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করার অনুরোধ রইল।

তিন.
'শরীর আমার, সিদ্ধান্ত আমার'
এটি দশম অধ্যায়ে রয়েছে। এই অংশটিও কুরআনের সাথে সাংঘর্ষিক।

اَلَا لَہُ الۡخَلۡقُ وَالۡاَمۡرُ
স্মরণ রেখ, সৃষ্টি ও আদেশ দান তাঁরই কাজ।
আল আ'রাফ - ৫৪

চার.
নারীদের অসুস্থ হওয়া কুসংস্কার, কুপ্রথা, ইত্যাদি বলা। (দশম অধ্যায়ঃ ১০.২ অনুচ্ছেদ)
এটির দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সুরা বাকারার ২২২ নং আয়াত কে চ্যালেঞ্জ করা।

وَیَسۡـَٔلُوۡنَکَ عَنِ الۡمَحِیۡضِ ؕ قُلۡ ہُوَ اَذًی ۙ فَاعۡتَزِلُوا النِّسَآءَ فِی الۡمَحِیۡضِ ۙ وَلَا تَقۡرَبُوۡہُنَّ حَتّٰی یَطۡہُرۡنَ ۚ فَاِذَا تَطَہَّرۡنَ فَاۡتُوۡہُنَّ مِنۡ حَیۡثُ اَمَرَکُمُ اللّٰہُ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ التَّوَّابِیۡنَ وَیُحِبُّ الۡمُتَطَہِّرِیۡنَ

লোকে আপনার কাছে হায়য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, তা অশুচি। সুতরাং হায়যের সময় স্ত্রীদের থেকে পৃথক থেক এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তারা পবিত্র না হয়, ততক্ষণ তাদের কাছে যেয়ো না (অর্থাৎ সহবাস করো না)। হাঁ যখন তারা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন তাদের কাছে সেই পন্থায় যাবে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সেই সকল লোককে ভালোবাসেন, যারা তাঁর দিকে বেশি বেশি রুজু করে এবং ভালোবাসেন তাদেরকে, যারা বেশি বেশি পাক-পবিত্র থাকে।
আল বাকারা - ২২২

পাচ.
"ট্রান্সজেন্ডার"
চতুর্থ অধ্যায়ের ৪.১ অনুচ্ছেদে 'জেন্ডার' বলে পরোক্ষভাবে ট্রান্সজেন্ডারের বিষয়ে বলা হয়েছে, যা কুরআন ও সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক, এগুলো ইবলিসের পলিসি,

وَلَاٰمُرَنَّہُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰہِ
তাদেরকে আদেশ করব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করবে।
আন নিসা - ১১৯

لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ‏
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে।
বুখারী- ৫৮৮৫

ছয়.
'বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমান অধিকার'(ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ ৬.৩.১ এর 'ক' অনুচ্ছেদ)

اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّبِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ
পুরুষ নারীদের অভিভাবক, যেহেতু আল্লাহ তাদের একের উপর অন্যকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং যেহেতু পুরুষগণ নিজেদের অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে।
আন নিসা - ৩৪

নোট:-
কোন নারী পুরুষ কর্তৃক নির্যাতনের স্বীকার হলে সেখানে ও ইসলামের বিধান রয়েছে, সে বিষয়ে আলেমদের থেকে পরামর্শ নিলেই চলবে।

সাত.
'দত্তক শিশুকে গর্ভজাত শিশুর ন্যায় বিধান করা'
(তৃতীয় অধ্যায়ঃ ৩.২.২.১.৪ এর 'খ' অনুচ্ছেদ)
এটিও একটি জোরপূর্বক প্রস্তাবনা, কুরআন এ বিষয়ে স্পট বার্তা দিয়েছে,

وَمَا جَعَلَ اَدۡعِیَآءَکُمۡ اَبۡنَآءَکُمۡ ؕ ذٰلِکُمۡ قَوۡلُکُمۡ بِاَفۡوَاہِکُمۡ ؕ وَاللّٰہُ یَقُوۡلُ الۡحَقَّ وَہُوَ یَہۡدِی السَّبِیۡلَ
আর তোমাদের মুখের ডাকা পুত্রদেরকে তোমাদের প্রকৃত পুত্র সাব্যস্ত করেননি। এটা তো তোমাদের মুখের কথামাত্র। আল্লাহ সত্য কথাই বলেন এবং তিনিই সঠিক পথ প্রদর্শন করেন।
আল আহ্‌যাব - ৪

আট.
'শ্রম আইনে যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান' (দ্বাদশ অধ্যায়ঃ ১২.৩.১১ এর 'জ' অনুচ্ছেদ)
এটা ইলাহী গজব ডেকে আনার প্রস্তাবনা, এই জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্ৰহন করলে কিছুদিন পর ধর্ষকরাও শ্রম অধিকার চেয়ে বসবে।

اَلزَّانِیَۃُ وَالزَّانِیۡ فَاجۡلِدُوۡا کُلَّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا مِائَۃَ جَلۡدَۃٍ ۪ وَّلَا تَاۡخُذۡکُمۡ بِہِمَا رَاۡفَۃٌ فِیۡ دِیۡنِ اللّٰہِ اِنۡ کُنۡتُمۡ تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰہِ وَالۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ ۚ وَلۡیَشۡہَدۡ عَذَابَہُمَا طَآئِفَۃٌ مِّنَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ

ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী তাদের প্রত্যেককে একশত চাবুক মারবে। তোমরা যদি আল্লাহ ও পরকালে ঈমান রাখ, তবে আল্লাহর দীনের ব্যাপারে তাদের প্রতি করুণাবোধ যেন তোমাদেরকে প্রভাবিত না করে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।
আন নূর - ২

নয়.
'কোন ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করে সংবিধান শুরু করা উচিৎ নয়' (তৃতীয় অধ্যায়ঃ ৩.২.১.১.৩ এর 'ক' অনুচ্ছেদ)

এটা ধর্মনিরপেক্ষতার নামে Islam কে হেয় করার চেষ্টা মাত্র।

اِنَّ الدِّیۡنَ عِنۡدَ اللّٰہِ الۡاِسۡلَامُ
নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট (গ্রহণযোগ্য) দীন কেবল ইসলামই।
আলে ইমরান - ১৯

وَمَنۡ یَّبۡتَغِ غَیۡرَ الۡاِسۡلَامِ دِیۡنًا فَلَنۡ یُّقۡبَلَ مِنۡہُ ۚ وَہُوَ فِی الۡاٰخِرَۃِ مِنَ الۡخٰسِرِیۡنَ
যে ব্যক্তিই ইসলাম ছাড়া অন্য কোনও দীন অবলম্বন করতে চাবে, তার থেকে সে দীন কবুল করা হবে না এবং আখিরাতে সে মহা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
আলে ইমরান - ৮৫

অতএব
সকলের উচিত যার যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করা ঈমানী দায়িত্ব বলে আমি মনে করি।
Copy

30/04/2025


জনগণের কাছে একান্ত অনুরোধ—এই নির্বাচনে আবেগ নয়, বিবেক দিয়ে ভোট দিন। দেশের ভবিষ্যৎ আপনার এক একটি ভোটের ওপর নির্ভর করে। সচেতন হোন, সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

Your Votes
Your Power


✍️ Nurul Alom Choudhury

30/03/2025

Eid Mubarak to All!

As the blessed month of Ramadan comes to an end, we welcome the joyous occasion of Idul Fitri with gratitude, love, and unity. This is a time to celebrate the strength of our faith, the beauty of togetherness, and the blessings of Allah.

May this Eid bring peace to our hearts, prosperity to our homes, and harmony to the world. Let’s forgive, share, and spread kindness as we embrace the spirit of this sacred day.

Taqabbalallahu minna wa minkum – May Allah accept our deeds and prayers. Wishing all my brothers and sisters around the world a blessed and joyful Eid!

26/03/2025

🌿 আল্লাহর ভালোবাসা – আমাদের জীবনের প্রকৃত শান্তি 🌿

দুনিয়ার জীবন ফানুশের মতো—একদিন নিভে যাবে। কিন্তু আমরা কতটুকু আল্লাহর জন্য সময় দিচ্ছি? কতটুকু তাঁর ভালোবাসা অর্জন করছি?

আল্লাহ্‌র রহমত এত বিশাল যে, যদি আমরা এক ফোঁটা চোখের পানি ফেলে, খাঁটি মনে তওবা করি, তিনি আমাদের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।

💔 দুনিয়ার মানুষ ভুলে যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহ কখনও আমাদের ভুলেন না।
💖 আমরা যদি এক কদম আল্লাহর দিকে এগিয়ে যাই, তিনি আমাদের দিকে দশ কদম এগিয়ে আসবেন।

🤲 তাই আসুন, অন্তর থেকে আল্লাহকে ডাকি, নামাজ কায়েম করি, গুনাহ থেকে দূরে থাকি। এই দুনিয়া সাময়িক, কিন্তু আখিরাত চিরস্থায়ী!

আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন! আমিন! 🌿✨

(শেয়ার করে অন্যদেরও নসীহা দিন ❤️)

23/03/2025

السلام علیکم ورحمة الله وبركاته

22/03/2025

যাকাতের কিছু জরুরী মাসায়েলঃ
১. যদি কোন সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন বালেগ মুসলমানের কাছে নিজের প্রয়োজনীয় আসবাব সামগ্রী, ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ও বাসগৃহ ইত্যাদি ব্যতীত ঋণমুক্তভাবে যাকাতের নেসাব পরিমান সম্পদ থাকে অর্থাৎ সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ (৮৭.৪৮ গ্রাম) বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রৌপ্য (৬১২.৩৬ গ্রাম) কিংবা সমপরিমাণ টাকা বা ব্যবসার মাল থাকে এবং তার উপর বছর অতিক্রান্ত হয় তাহলে উক্ত সম্পদের চল্লিশ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ শতকরা আড়াই পার্সেন্ট হারে যাকাত আদায় করা তার উপর ফরয। (আলমগীরী ১/১৭০-১৭৬, শামী ৩/১৭৩-১৭৯)
২. যদি কিছু স্বর্ণ, কিছু রূপা ও কিছু নগদ টাকা থাকে কিন্তু পৃথক পৃথকভাবে কোনটার নেসাবই পূর্ণ হয় না, তবে সবগুলোর মূল্য একত্রে যোগ করলে যে কোন একটির নেসাব পুরা হয়ে যায়, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয হবে। - তাতারখানিয়া ২/১৭৪, আলমগীরী ১/১৭৯, শামী ৩/২৩৪
৩. যদি কারো কাছে বছরের শুরু ও শেষে নেসাব পরিমাণ মাল থাকে কিন্তু বছরের মাঝে ১/২ মাস নেসাব থেকে কম থাকে তাহলে তার উপর যাকাত দেয়া ফরয। হ্যাঁ, যদি বছরের মাঝে সম্পদ সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ হয়ে যায়, তাহলে পূর্বের হিসাব বাদ যাবে। পুনরায় যখন নেসাবের মালিক হবে তখন থেকে নতুন হিসাব ধরা হবে। এবং তখন থেকে এক বছর অতিবাহিত হলে যাকাত ফরয হবে।- আলমগীরী ১/১৭৫, শামী ৩/১৮৩ ও ২৩৩
৪. অর্থ-সম্পদের প্রত্যেকটা অংশের উপর পূর্ণ এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়। কাজেই কারো কাছে যদি বছরের শুরুতে ৪০,০০০/- টাকা থাকে আর তা বাড়তে বাড়তে বছরের শেষে এক লক্ষ টাকা হয়ে যায় তাহলে বছরের শেষে তাকে এক লক্ষ টাকার যাকাত দিতে হবে।- তাতারখানিয়া ২/১৯৩, আলমগীরী ১/১৭৫
৫. ব্যবসার উপকরণের উপর যাকাত আসে না। যেমনঃ মিল, কারখানা, দোকান, উৎপাদনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, মেশিন, ভাড়ায় খাটানো হয় এমন বাড়ি-গাড়ি, রিক্সা, সিএনজি, বাস, ট্রাক, লঞ্চ, স্টিমার ইত্যাদি। তবে এগুলো দ্বারা উৎপাদিত পণ্য ও উপার্জিত টাকা নেসাব পরিমাণ হলে তার যাকাত দিতে হবে।- শামী ৩/১৮৩, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া ৩/৫৩
৬. ব্যবসার মাল যার যাকাত আদায় করা শরীয়ত ফরয করেছে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ মাল যা মানুষ ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয় করেছে। যেমনঃ কেউ প্লট-ফ্ল্যাট, গাড়ি ইত্যাদি ভবিষ্যতে বিক্রি করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রয় করল, এ সমস্ত মালের যাকাত আদায় করা ফরয। পক্ষান্তরে কারো যদি ক্রয় করার সময় দোদুল্যমানতা থাকে যে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহারও করতে পারে, আর লাভ পাইলে বিক্রিও করতে পারে; তাহলে তা ব্যবসার মাল হিসাবে গণ্য হবে না এবং এর যাকাতও ওয়াজিব হবে না। হ্যাঁ, পরবর্তীতে তা বিক্রি করলে বিক্রয়লব্ধ টাকার যাকাত দিতে হবে। যদি সে পূর্ব থেকেই নেসাবের মালিক হয়ে থাকে তাহলে ঐ নেসাবের সাথে এ টাকারও যাকাত আদায় করবে। অন্যথায় এই টাকা নেসাব পরিমাণ হলে বছর অতিবাহিত হওয়ার পর এর যাকাত ওয়াজিব হবে।- আদদুররুল মুখতার ৩/১৯৪-৯৫, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ২/২৪০, ফাতাওয়ায়ে বাযযাজিয়া ৪/৮৪, বাদায়েউস সানায়ে ২/৯২, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৬৭, ফিকহী মাকালাত ৩/১৫১
৭. দোকান ও ব্যবসার মালের হিসাব তিন প্রকারে করা যায়। (১) খুচরা মূল্য (২) পাইকারী মূল্য (৩) সমস্ত মাল একত্রে বিক্রি করলে যে দাম হয়। যাকাতের হিসাবের সময় তৃতীয় প্রকারের মূল্যের হিসাবে যাকাত দিলেও চলবে। তবে সতর্কতামূলক দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ পাইকারী মূল্যের হিসাবে যাকাত দেয়া উত্তম। -ফিকহী মাকালাত ৩/১৫০, ফাতাওয়ায়ে ওসমানী ২/৬৭
৮. বিক্রিত পণ্যের বকেয়া টাকা হস্তগত হওয়ার পর পেছনের বছর গুলোর যাকাতও একত্রে আদায় করতে হবে। আর যদি বকেয়া টাকা বা ঋণ ফেরত পাওয়ার আশা না থাকে, তাহলে যাকাত দিতে হবে না। তবে পেলে বিগত সকল বছরের যাকাত দিতে হবে।- আলমগীরী ১/১৭৫, শামী ৩/২৩৬-২৩৭
৯. স্বর্ণ ও রূপার উপর সর্বাবস্থায় যাকাত আসে, চাই তা অলংকার আকারে থাকুক কিংবা কাঁচা টুকরা আকারে। ব্যবহৃত হোক কিংবা বাক্সে সংরক্ষিত থাকুক বা কাপড়ে, টুপিতে চশমা ও ঘড়িতে কারূকার্যরূপে থাকুক সর্বাবস্থায় যাকাত আদায় করা ফরয।- আল-বাহরুর রায়ক ২/৩৯৪, শামী ৩/২২৭
১০. মহিলাদের মালিকানায় যে স্বর্ণ বা রূপার অলংকার থাকে এগুলো নেসাব পরিমাণ হলে এগুলোর যাকাত দেয়া তাদের উপর ফরয। নগদ টাকা না থাকলে এগুলো বিক্রি করে হলেও যাকাত আদায় করতে হবে। আর স্বামী যদি স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে যাকাত আদায় করে দেয় তাহলেও যাকাত আদায় হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, অলংকার যদি স্বামীর মালিকানায় থাকে আর স্ত্রীকে ব্যবহারের জন্য দেয় তাহলে সে অলংকারের যাকাত স্বামীকে আদায় করতে হবে।- আহকামুল কুরআন ৩/১৩৯, শামী ৩/২২৭, ফাতাওয়ায়ে মাহমূদিয়া ৩/১০৮
১১. স্বর্ণের সাথে যে পরিমাণ খাদ থাকে, খাদের অংশ বাদ দিয়ে শুধু স্বর্ণের অংশের যাকাত আদায় করাই যথেষ্ট। শামী ৩/২৩০, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৭০
১২. প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা হাতে আসার পর বছর অতিবাহিত হলে যাকাত ফরয হবে। কিন্তু যে টাকাটা চাকরীজীবীর হাতে আসার পর স্বেচ্ছায় ঐ ফান্ডে বা অন্য কোন কোম্পানীর নিকট হস্তান্তর করে, তার যাকাত প্রতি বছর আদায় করতে হবে।- শামী ৩/২৩৬, আহসানুল ফাতওয়া ৪/২৬০, মাহমূদিয়া ১৭/১১১
১৩. বিভিন্ন ব্যাংক ও কোম্পানীর শেয়ার যদি দাম বাড়লে বিক্রি করে দিবে এ উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয় তাহলে তার পূর্ণ বাজার দরের উপর যাকাত আসবে। আর যদি কোম্পানী হতে বাৎসরিক লাভ কামানোর উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়, তাহলে কোম্পানীর যে পরিমাণ সম্পদ যাকাত যোগ্য (যা ব্যালেন্সশীটের সাহায্যে বেরা করা যাবে।) শেয়ার প্রতি তার আনুপাতিক হার যা হয় শুধুমাত্র রমাণের যাকাত দিতে হবে। তবে যদি যাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ জানা সম্ভব না হয় তাহলে সতর্কতামূলক শেয়ারের পূর্ণ বাজার মূল্যের যাকাত দেয়া চাই।- আল-বাহরুর রায়েক ২/৪০০, আহসানুল ফাতাওয়া ৪/২৮৭, ইসলাম আওর জাদীদ মায়িশাত ওয়া তিজারত, পৃ. ৯২-৯৪, ফাতাওয়ায়ে উসমানি ২/৭১
১৪. ইসলামী ব্যাংকগুলোতে যদি কেউ ১০/১৫ বছরের জন্য F.D.R করে এককালীন বা মাসে মাসে টাকা জমা করতে থাকে এগুলোর যাকাত হিসাব করার নিয়ম হলো যাকাতের বছর শেষে ঐ একাউন্ট ক্লোজড করলে মূল টাকাসহ যত টাকা লাভ পাওয়া যাবে পুরা টাকার যাকাত আদায় করতে হবে। উল্লেখ্য, সুদী ব্যাংকে F.D.R করলে প্রতি বছর মূল জমাকৃত টাকার যাকাত আদায় করতে হবে। যদি প্রতি বছর যাকাত আদায় না করে তাহলে মেয়াদ শেষে টাকা উত্তোলন করলে একসাথে পিছনের সকল বছরের মূল টাকার যাকাত আদায় করতে হবে। আর সূদের অংশ পুরাটাই সাদাকা করে দিবে।- জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৬
১৫. জীবন বীমা কোম্পানীর নিকট জমাকৃত প্রিমিয়ামের যাকাত আদায় করতে হবে।- ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৭১
১৬. ব্যাংকে ব্যক্তি মালিকানাধীন সকল প্রকার একাউন্টে গচ্ছিত টাকার যাকাত আদায় করা জরুরী। তদ্রুপ বিভিন্ন সমিতি, সমবায় ও সোসাইটির মধ্যে সদস্যগণ মুযারাবা হিসাবে যে টাকা বিনিয়োগ করে থাকে, সেগুলো নেসাব পরিমাণ হলে বা অন্য মালের সাথে মিলে নেসাব পরিমাণ হলে যাকাত আদায় করা জরুরী।- ফাতাওয়া রহীমীয়া ২/১৪, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ৩/৩৭৫
১৭. ব্যাংকের একাউন্টে বা অন্য কোথাও গচ্ছিত টাকা তেমনিভাবে যেকোন যাকাতযোগ্য সম্পদ যদি বন্ধক রাখা হয় তাহলে তার যাকাত আদায় করা লাগবে না।- বাদায়েউস সানায়ে ২/৮৮, আল-বাহরুর রায়েক ২/৩৫৫
১৮. সিকিউরিটি মানি হিসাবে যে টাকা দোকান ও বাড়ির মালিকগণ গ্রহণ করে থাকে; যদি চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে তা ভাড়া বাবদ কর্তন করা হয়, তাহলে মালিকদেরকে ঐ টাকার যাকাত দিতে হবে। আর যদি তা ফেরতযোগ্য হয় অর্থাৎ দোকান বা বাড়ি ছেড়ে দিলে তা ফেরত দেয়া হয় ও মালিকগণ ঐ টাকা খরচ না করে আমানত হিসাবে রাখেন তাহলে ভাড়াটিয়াকে ঐ টাকার যাকাত দিতে হবে।- ফাতহুল কাদীর ২/১২১, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৭-১৯
১৯. জমি, প্ল্যাট বা অন্য কিছু কিনে প্রাথমিক যে টাকা দিয়ে বায়না করা হয় সে টাকার মালিক বিক্রেতা। অতএব বিক্রেতাকে এর যাকাত দিতে হবে।- ফাতাওয়ায়ে উসমানী ২/৭২
২০. ঋণ দুই প্রকার (১) ব্যক্তিগত ও সাংসারিক প্রয়োজনে মানুষ যে ঋণ নেয়। যাকাতের নেসাব থেকে এ ধরনের ঋণের টাকা বিয়োগ করে বাকী মালের যাকাত দিতে হবে। (২) বাণিজ্যিক ঋণ যা বাণিজ্যিক স্বার্থে যেমন মিল-কারখানা করা, কাঁচা মাল ক্রয় করা ইত্যাদি এগুলোর জন্য যে ঋণ নেয়া হয় যদি তা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ যেমন কাঁচা মাল ইত্যাদি ক্রয় করে, তাহলে এই ঋণও যাকাতের নেসাব থেকে বিয়োগ করা যাবে। আর যদি এর দ্বারা এমন সম্পদ ক্রয় করা হয় যা যাকাতযোগ্য নয় যেমন মেশিনারী জিনিস ইত্যাদি। তাহলে এ ঋণ যাকাতের মূল নেসাব থেকে বিয়োগ করা যাবে না। উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক ঋণ দ্বারা যদি যাকাতযোগ্য মাল ক্রয় করা হয় তাহলে যাকাতের হিসাবের সময় আগামী এক বছরে পরিশোধযোগ্য পরিমাণ ঋণই শুধু বিয়োগ করা যাবে। এর অতিরিক্তটা এই বছরে বিয়োগ করা যাবে না। যে বছর পরিশোধ করবে ঐ বছর বিয়োগ করতে পারবে।- ফাতাওয়ায়ে ওসমানী ২/৮৩, ফিকহী মাকালাত ৩/১৫৫-৫৬, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ২/৬৭, ইসলাম আওর জাদীদ মাঈশাত ওয়া তিজারত, ৯৪
২১. কাউকে ঋণ দেয়ার পর আদায়ে গড়িমসি করলে তা যাকাত হিসাবে কর্তন করা যাবে না। হঁ্যা, যাকাতের টাকা তার হাতে দিয়ে পূর্বের পাওনা বাবদ তা উসূল করে নিতে পারবে। তাতারখানিয়া ২/১৯৯, তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ. ৭১৫
২২. যাকাত ওয়াজিব হওয়ার পর যদি যাকাত অনাদায়ী থাকে আর ইত্যবসরে সমস্ত মাল বরবারদ হয়ে যায় তাহলে আর যাকাত আদায় করা লাগবে না। আর যদি কিছু মাল বরবাদ হয় তাহলে ঐ অংশের যাকাত দেয়া লাগবে না। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে নষ্ট করে তাহলে যাকাত আদায় করা আবশ্যক।- আদদুররুল মুখতার ও শামী ৩/২০৭-২০৮
২৩. স্ত্রীর মহর অনাদায়ী থাকলে যদি তা পরিশোধ করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যাকাতের নেসাব থেকে এই ঋণ বিয়োগ করে বাকী অংশের যাকাত দিলে চলবে। আর যদি পরিশোধ করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে এটাকে এই বছরের নেসাব থেকে বিয়োগ করা যাবে না।- আলমগীরী ১/১৭৩
২৪. কেউ যদি হজের জন্য টাকা জমা করে তাহলে ঐ টাকার যাকাত আদায় করাও ফরয। হজের কাজে টাকা খরচ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ঐ টাকার যাকাত আদায় করতে হবে। আলমগীরী ১/১৭৩
২৫. কেউ যদি বাড়ি করার উদ্দেশ্যে টাকা জমা করে তাহলে বাড়ির কাজে ঐ টাকা খরচ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতি বছর ঐ টাকার যাকাত আদায় করতে হবে। -নায়াদিদুরুল ফিকহ ১/৩৭৮-৩৮৪
২৬. যে মাল ক্রয় করার পর এখনো হস্তগত হয়নি তার যাকাত দেয়া লাগবে না। হ্যাঁ, হস্তগত হওয়ার পর যাকাত আদায় করা জরুরী।- আল বাহরুর রায়েক ২/৩৫৫ জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৯
২৭. হালাল ও হারাম মাল একত্রে মিশ্রিত হলে যদি হারাম মালের পরিমাণ ও মালিক জানা থাকে তাহলে তা মালিককে ফেরত দেয়া জরুরী। আর যদি পরিমাণ জানা থাকে; কিন্তু মালিক জানা নেই বা তাকে পৌছানো সম্ভব নয়; তাহলে এক্ষেত্রে ঐ টাকাগুলো মালিকের পক্ষ থেকে সাদাকা করে দিবে। পক্ষান্তরে যদি হারাম মালের পরিমান ও মালিক জানা না থাকে; আর হালাল মালের পরিমাণ হারামের চেয়ে বেশি হয় ও হারাম মাল চিহ্নিত করা না যায় এ ক্ষেত্রে সকল মাল একত্রে হিসাব করে পুরাটার যাকাত আদায় করা জরুরী।- শামী ৩/২১৭-২১৮, েইমদাদুল ফাতাওয়া ২/১৪, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল ১/২১৬-২১৭
২৮. স্বর্ণ-অলংকার ছাড়া অন্য কোন ধাতুর অলংকার বা মুক্ত কিংবা অন্য কোন মূল্যবান পাথরের অলংকার ব্যবসার উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত না হলে এগুলোর যাকাত দেয়া লাগবে না।- আরুরুল মুখতা-১৯৪

Address

Karimganj

Telephone

+916001081596

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hafiz Nurul Alom Choudhury posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share