25/08/2025
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জমিয়ত উলামার নেতৃত্বে কে কে ছিলেন?
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ (Jamiat Ulama-e-Hind) ছিল অন্যতম প্রভাবশালী মুসলিম সংগঠন। এ সংগঠনের নেতৃত্বে অনেক বড় বড় আলেম ও স্বাধীনতা সংগ্রামী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রধান কয়েকজন হলেনঃ
জমিয়ত উলামার প্রধান নেতৃত্ব
মওলানা মাহমুদুল হাসান (শায়খুল হিন্দ)
দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্রদের একজন।
সিল্ক লেটার আন্দোলনের মাধ্যমে বিপ্লবী পরিকল্পনা করেছিলেন।
তাকে “শায়খুল হিন্দ” বলা হয়।
মওলানা হুসাইন আহমদ মাদানি
জমিয়ত উলামার প্রধান নেতা।
অখণ্ড ভারত ও হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের পক্ষে বলিষ্ঠ কণ্ঠ ছিলেন।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বহুবার কারাবরণ করেন।
মওলানা কিফায়াতুল্লাহ দেহলভী
জমিয়তের প্রথম সভাপতি।
দিল্লির বিশিষ্ট আলেম, যিনি রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে মুসলমানদের সংগঠিত করেছিলেন।
মওলানা সাইফুর রহমান উসমানি
স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং জমিয়তের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
মওলানা আজাদ সুবহানী
জমিয়তের অন্যতম নেতা।
মওলানা সাইয়্যেদ আস’আদ মাদানি (পরে)
জমিয়তের ধারাবাহিক নেতৃত্বে ভূমিকা রাখেন।
মওলানা আবুল কালাম আজাদ (যদিও সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে দেওবন্দী ধারার আলেম হিসেবে জমিয়তের সঙ্গে তাঁর
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে জমিয়ত উলামার অবদান
জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ (Jamiat Ulama-e-Hind) ছিল ভারতের মুসলিম আলেমদের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন, যা ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠন স্বাধীনতা আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। তাদের অবদানকে কয়েকটি মূল দিক থেকে ব্যাখ্যা করা যায় –
১. ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ
জমিয়ত উলামা ব্রিটিশ শাসনের বিরোধিতা করে এবং ভারতীয় স্বাধীনতার দাবিকে সমর্থন করে।
তারা অহিংস সংগ্রামের নীতি গ্রহণ করে এবং মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে যোগ দেয়।
২. খেলাফত ও অসহযোগ আন্দোলন
জমিয়ত উলামার আলেমরা খেলাফত আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়ে মুসলিম ও হিন্দু ঐক্যকে জোরদার করেন।
৩. হিন্দু-মুসলিম ঐক্য জোরদার
উলামারা প্রচার করেন যে ভারত শুধু হিন্দুদের নয়, মুসলিমদেরও মাতৃভূমি।
তাঁরা জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে একত্রে কাজ করেন এবং সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ দূর করার চেষ্টা করেন।
৪. ব্রিটিশবিরোধী ফতোয়া
বহু উলামা ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেন।
তাঁরা ঘোষণা করেন যে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা ধর্মীয় দায়িত্ব।