
24/07/2025
✍Param kalyan Singh বাবু কিছুদিন আগে লিখেছেন👇
কপি করা হয়েছে Revibe Politics পেজ থেকে।
Uber অ্যাপে দেখে জানতে পারলাম, পাঁচসায়র থেকে কলকাতার শহরতলির যাত্রার জন্য যে চালক আসবেন, তার নাম পিউ। যেহেতু রাইডের দূরত্ব ৩০ কিলোমীটারের বেশি ছিল, আমি ফোন করে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলাম যে তিনি এই কারণে রাইড বাতিল করবেন না। তিনি বিনয়ের সাথে উত্তর দিলেন, “আমি অবশ্যই আসব স্যার, চিন্তা করবেন না।”
রাইডের সময় কথা বলে জানলাম, অষ্টম শ্রেণির পর তার পড়াশোনা থেমে যায় বাবার অকাল মৃত্যুতে। এরপর সে ড্রাইভিং শেখে এবং ২০২১ সাল থেকে ক্যাব চালাচ্ছে।প্রতি দিন ৮-১০ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কোম্পানিকে ৬০% দিয়ে হাতে থাকে মাত্র ₹৪০০-₹৫০০ l......
সে জানাল, কোনো ব্যাংক তাকে গাড়ির লোন দিতে রাজি নয়,কারণ সে ভাড়াবাড়িতে থাকে ছোটভাই ও মার সঙ্গে।
সে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুবাসগ্রামে থাকে। প্রতিদিন রাতের শেষে সায়েন্সসিটির কোম্পানিপার্কিংয়ে গাড়ি রেখে প্রথমে বাস, তারপর ট্রেনে চড়ে বাড়ি ফেরে। আবার ভোরে একই রুটে কাজে বেরিয়ে পড়ে।গতকাল রাতে ১১:৩০ টায় বাড়ি পৌঁছেছিল, আজ সকাল ৬:৩০ টা আবার বেরিয়েপড়েছে।প্রায় কোনোছুটি নেয়না সে l তার ভাই এখন মিয়া আমোরে তে গাড়ি চালায়। এই পরিশ্রমী বাংলার মেয়েটিকে স্যালুট। তার জন্য আরও শক্তি কামনা করি।
দুই বছর আগে আরেকজন উবার চালক, দীপ্তা ঘোষ সম্পর্কে লিখেছিলাম। তার গল্প ভাইরাল হয়েছিল, প্রায় সব সংবাদমাধ্যম সেটি কভার করেছিল। একজন বি- টেক ইঞ্জিনিয়ার ক্যাব চালাচ্ছে—এই বিষয়টাই সেই পোস্টকে ভাইরাল করেছিল। এরপর তার জীবন বদলে যায়।
এই মেয়ে, পিউ, আরও বেশি স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। সে অনুপ্রেরণা হতে পারে তাদের জন্য, যারা পারিবারিক পরি- -স্থিতির কারণে বেশি পড়াশোনা করতে পারেনি বা অল্প শিক্ষাগত যোগ্যতায় ভালো কাজখুঁজে পায়নি।
এগিয়ে চলো , মেয়ে! ----------
কে বলে বাঙালিরা খাটতে পারে না...??