30/05/2025
WBSSC - 2ND SLST 2025 DETAILS
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নতুন গেজেট: ২০২৫
👉পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) কর্তৃক প্রকাশিত নতুন গেজেট অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।
✅✅ আবেদনকারীদের সুবিধার জন্য মূল বিষয়গুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:
১. নতুন নিয়মাবলীর কার্যকরীকরণ:
এই নতুন নিয়মাবলী গেজেটে প্রকাশের তারিখ, অর্থাৎ ২৯শে মে, ২০২৫ থেকেই কার্যকর হয়েছে।
২. নিয়োগের পদ ও বেতনক্রম:
* পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট টিচার (সহকারী শিক্ষক)।
* বেতনক্রম: রাজ্য সরকারের বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী হবে।
৩. বয়সসীমা:
* ন্যূনতম বয়স: ২১ বছর।
* সর্বোচ্চ বয়স: ৪০ বছর।
* বয়স গণনা: বিজ্ঞাপনের বছরের ১লা জানুয়ারি অনুযায়ী।
* সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তফসিলি জাতি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST), অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণী (OBC) এবং শারীরিকভাবে অক্ষম (PH) প্রার্থীদের জন্য বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় থাকবে।
৪. শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা:
* আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখের মধ্যে NCTE (National Council for Teacher Education) দ্বারা নির্ধারিত ন্যূনতম শিক্ষাগত ও পেশাগত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
* নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য স্নাতক/স্নাতকোত্তর স্তরে ৫০% নম্বর সহ বি.এড. অথবা ৪ বছরের বি.এ.এড/বি.এসসি.এড ডিগ্রি আবশ্যক।
* আপার প্রাইমারি স্তরের জন্য NCTE নির্দেশিকা অনুযায়ী শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষায় (TET) উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক।
৫. আবেদন প্রক্রিয়া:
* আবেদনপত্র শুধুমাত্র অনলাইনে জমা দিতে হবে।
* আবেদন ফি কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হবে।
* আবেদনের ফরম্যাট এবং তথ্য কমিশন তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।
৬. নির্বাচন পদ্ধতি (SLST - State Level Selection Test):
নির্বাচন মেধার ভিত্তিতে হবে এবং এতে লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, মৌখিক ইন্টারভিউ এবং লেকচার ডেমোনস্ট্রেশন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
৬.১. নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী:
* লিখিত পরীক্ষা (OMR-ভিত্তিক): ৬০ নম্বর।
* একাডেমিক স্কোর (শিক্ষাগত যোগ্যতা): ১০ নম্বর।
* স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে ৬০% বা তার বেশি নম্বর থাকলে: ১০।
* ৫০% থেকে ৬০% এর কম নম্বর থাকলে: ৮।
* ৫০% এর কম নম্বর থাকলে: ৬।
* পূর্ববর্তী শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা: ১০ নম্বর (সরকারি বা সরকার-পোষিত বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের জন্য ২ নম্বর)।
* মৌখিক ইন্টারভিউ: ১০ নম্বর।
* লেকচার ডেমোনস্ট্রেশন: ১০ নম্বর।
* ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
৬.২. আপার প্রাইমারি:
* একাডেমিক স্কোর (স্নাতকের নম্বরের ভিত্তিতে): ১০ নম্বর।
* ৬০% বা তার বেশি নম্বর থাকলে: ১০।
* ৫০% থেকে ৬০% এর কম নম্বর থাকলে: ৮।
* ৫০% এর কম নম্বর থাকলে: ৬।
* TET ওয়েটেজ: ৪০ নম্বর।
* লিখিত পরীক্ষা (OMR-ভিত্তিক): ২৫ নম্বর।
* মৌখিক ইন্টারভিউ: ১৫ নম্বর।
* লেকচার ডেমোনস্ট্রেশন: ৫ নম্বর।
* ইন্টারভিউ বোর্ডে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
* পূর্ববর্তী শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা: ৫ নম্বর (সরকারি বা সরকার-পোষিত বিদ্যালয়ে প্রতি বছরের জন্য ১ নম্বর)।
৭. মেধা তালিকা ও প্যানেল প্রকাশ:
* লিখিত পরীক্ষা, একাডেমিক স্কোর এবং আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে TET ওয়েটেজের ভিত্তিতে প্রাথমিক মেধা তালিকা (Interview List) প্রকাশিত হবে। শূন্যপদের ১.৬ গুণ প্রার্থীকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হবে।
* ইন্টারভিউ এবং ডেমোনস্ট্রেশনের পর চূড়ান্ত মেধা তালিকা (Merit List) প্রকাশিত হবে।
* শূন্যপদ অনুযায়ী একটি প্যানেল এবং একটি অপেক্ষমাণ তালিকা (Waiting List) প্রকাশিত হবে।
* প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রার্থীরা তাদের প্রতিটি অংশের স্কোর, তাদের ক্যাটাগরির কাট-অফ মার্কস এবং মোট প্রাপ্ত নম্বর ওয়েবসাইটে দেখতে পাবেন।
* যদি একাধিক প্রার্থীর মোট নম্বর একই হয়, তবে লিখিত পরীক্ষার নম্বর, এরপর একাডেমিক স্কোর এবং সবশেষে জন্ম তারিখের ভিত্তিতে মেধা নির্ধারণ করা হবে।
* অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলেই নিয়োগের অধিকার নিশ্চিত হয় না।
৮. প্যানেল ও অপেক্ষমাণ তালিকার বৈধতা:
* প্যানেল এবং অপেক্ষমাণ তালিকা প্রথম কাউন্সেলিংয়ের তারিখ থেকে ১ বছরের জন্য বৈধ থাকবে।
* বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের অনুমোদনক্রমে এই বৈধতা অতিরিক্ত ৬ মাস পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
৯. কাউন্সেলিং এবং সুপারিশ:
* সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কমিশনগুলি কাউন্সেলিং পরিচালনা করবে।
* কাউন্সেলিংয়ের সময় প্রার্থীরা তাদের মেধা অনুযায়ী বিদ্যালয় পছন্দের সুযোগ পাবেন।
* কাউন্সেলিংয়ে পছন্দের বিদ্যালয় গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে বা কোনো বিদ্যালয় পছন্দ না করলে, প্রার্থী পরবর্তীকালে আর কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।
* আঞ্চলিক কমিশন শূন্যপদের বিপরীতে একজন প্রার্থীকে সুপারিশ করবে।
* সুপারিশপত্র ইস্যু হওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিনের জন্য বৈধ থাকবে, যা বিশেষ ক্ষেত্রে ৬০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।
১০. নিয়োগপত্র:
* আঞ্চলিক কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ড নিয়োগপত্র ইস্যু করবে।
* নিয়োগপত্র পাওয়ার পর প্রার্থীকে ৩০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট বিদ্যালয়ে যোগদান করতে হবে।
* যোগদানের সময় প্রধান শিক্ষক/শিক্ষিকা বা টিচার-ইন-চার্জ কর্তৃক মূল কাগজপত্র যাচাই করা হবে।
১১. সুপারিশ বাতিল বা প্রত্যাহার:
* যদি কোনো প্রার্থী মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন বা জাল নথি জমাদেন, অথবা যদি কমিশন কর্তৃক কোনো ভুল হয়, তাহলে সুপারিশ বাতিল হয়ে যাবে এবং নিয়োগ বাতিল বলে গণ্য হবে।
* পুরুষ প্রার্থীদের কোনো বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না।
১২. OMR শীট সংরক্ষণ:
* লিখিত পরীক্ষার OMR শীট প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২ বছর পর নষ্ট করা হবে।
* OMR শীটের স্ক্যান করা ছবি প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষিত থাকবে।
আবেদনকারীদের প্রতি অনুরোধ করা হচ্ছে যে, বিস্তারিত তথ্যের জন্য কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং সম্পূর্ণ গেজেটটি দেখে নেবেন।