24/07/2024
ছান্দোগ্য শ্রুতির ষষ্ঠ প্রপাঠকের সপ্তম খণ্ডে পিতা আরুণি এক পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে শ্বেতকেতুকে বোঝালেন মন অন্নময়, প্রাণ জলময় ও বাক্ তেজোময়ী। আমাদের কাজ হলো সেই ব্যালান্সসটুকু রক্ষা করা। আর তা বিগড়োলেই জীবন বিপন্ন। আম্ফান ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যেমন আমরা আমাদের সাধ্যমতো মানুষের পাশে থেকেছি, তেমনই প্রতি বছর পুজোর আগে তুলে নিয়েছি কিছু দায়িত্ব।
প্রতিবছরের মতোই এবছরও ক্রিয়াজ সিদ্ধান্তেই আমরা 'নকশা' পত্রিকার তরফ থেকে কিছু দায়িত্ব বেছে নিয়েছি। প্রতি বছর একে একে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন একাধিক মানুষ। কেউ শ্রম দিয়ে, কেউ অর্থ দিয়ে। পত্রিকার তরফ থেকে 'শেয়ার দ্য ডিলাইট' সম্পন্ন করেছে সকল কাজ। 'শেয়ার দ্য ডিলাইট' কোন এন জি ও নয়। স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসা একদল মানুষ।
"কর্ম্ম ব্রহ্মোদ্ভবং বিদ্ধি ব্রহ্মাক্ষরসমূহম্।
তস্মাৎ সর্ব্বগতং ব্রহ্ম নিত্যং যজ্ঞে প্রতিষ্ঠিতম্।।"
আগেও বলেছি, সব কাজ একটা ভাবকে আশ্রয় করে করতে হয়, নাহলে যেকোন কর্মযোগই অসফল হয়ে যায়। মানুষ শ্রম দিক বা অর্থ বা জিনিস - আসল বিষয় হল অন্যের খারাপ থাকাটুকু ভাগ করে একটু কমিয়ে নেওয়া। এ দানে আসলে ঋণী হয় দাতাই। আর এই কাজের মূল ভাব হল হিত। এক্ষেত্রে আমাদের উদ্দেশ্য হল -
১| পথশিশুর মুখে খাবার ও প্রয়োজনীয় রেশন তুলে দেওয়া হোক, ২| পুজোর আগে পথশিশুরা নতুন জামা পাক, ৩| শিশুশিক্ষা, ৪| বৃক্ষরোপণ (পরিবেশের প্রতি দায়িত্ব পালনে)- এসব আমাদের প্রয়াস।
প্রকাশিত হয়েছে আষাঢ় সংখ্যা। পুজো সংখ্যা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে মাসদুয়েক আগে থেকে। এবার দ্রুত আগামী বারো দিনের মধ্যে পুজো সংখ্যার জন্য লেখা পাঠান আপনিও। সংখ্যাটি প্রস্তুত হলে তার বিনিময় মূল্য বাবদ যে অর্থ সংগ্রহ হবে তা দিয়েই সম্পন্ন হবে উপরোক্ত কাজগুলি। তাই দ্রুত নিয়ম মেনে লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের।