12/10/2025
জোকার সেজে ‘ছোট’লোক’ প্রমাণ করছে নিজেকে!”—পিতৃসম বর্ষীয়ান অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে কদর্য ভাষায় আ’ক্র’মণ করলেন ভিভান! পর্দার ভিলেন এবার বাস্তবেও! মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্যে সমালোচনার কেন্দ্রে ‘চিরসখা’র বুবলাই! ‘নোখের যোগ্য হয়ে ভাষণ দাও’— কটাক্ষ সমাজ মাধ্যমে!
বর্তমানে স্টার জলসার ‘চিরসখা’ (Chiroshokha) ধারাবাহিকের জন্য যিনি নিয়মিত মানুষের নিন্দার পাত্র, সেই ‘ভিভান ঘোষ’ (Vivaan Ghosh) আবারও খবরের শিরোনামে। তবে এবার আর কোনও সিরিয়ালের জন্য নয়, নিজের মুখের জন্যই বিপদে পড়েছেন অভিনেতা! খলনায়কের চরিত্রে যিনি বরাবরই পর্দায় পরিচিত, বাস্তবেও তিনি যে কম কিছু নন—সেটাই প্রমাণ করলেন সদ্য ‘মিঠুন চক্রবর্তী’কে (Mithun Chakraborty) নিয়ে করা তার মন্তব্যে। শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এই টেলিভিশন অভিনেতা এবার কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন পিতৃসম বিরোধী নেতা তথা বর্ষীয়ান অভিনেতাকে।
২১ জুলাই মঞ্চের গরম আবহেই যেন মাথা ঠান্ডা রাখতে পারলেন না ভিভান। এক সাক্ষাৎকারে বলেই ফেললেন, “এখন মিঠুন চক্রবর্তী বাংলায় থাকেন না, বোম্বেতে থাকেন। বাংলার সঙ্গে কোনও যোগ আছে বলে আমার মনে হয় না। শুধু শুধু বিরোধিতা করে জোকার সেজে নিজেকে ছোটলোক প্রমাণ করছে।” এখানেই থামেননি তিনি, বরং চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, “এখানে আসলেই বুঝে যাবে, কত ধানে কত চাল।” মিঠুনের বিখ্যাত ডায়লগ টেনে কটাক্ষ করে যোগ করেন, “ওনার একটা ডায়লগ আছে না?
মা’রবো এখানে লা’শ পড়বে শ্ম’শানে—ওটাই ওনার সঙ্গে বাংলার মানুষ করে দেবে।” এরপর মিঠুনের ছেলের প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলে বসেন, “নিজের ছেলে অনেক মামলায় ফেঁসেছিল, তাই বিরোধী দলের হয়ে টুপি পড়ে মাঠে নেমেছে।” এই সমস্ত মন্তব্যের জেরে সমাজ মাধ্যমে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে মিঠুন অনুরাগীরা। একজন লিখেছেন, “মিঠুন চক্রবর্তীর নোখের যোগ্যতা অর্জন করার ক্ষমতা যার নেই, সে এত বড় কথা বললে মানায় না।”
আরেকজন খোঁচা দিয়ে লিখেছেন, “আগে নিজেকে সমসাময়িক হতে হয়, তার পর সমালোচনা করা যায়।” কারোর মতে, “মুখ দিয়ে কাউকে ছোটলোক যে বলে, সবার আগে সে নিজেই ছোটলোক। মিঠুন চক্রবর্তীর নোখের যোগ্য হয়ে ভাষণ দাও।” আবার কেউ ঠাট্টা করে বলছেন, “এখনও কেউ তোমাকে চেনে না! এত বড় মুখে এত বড় কথা কেমনে বলো?” যেখানে মিঠুন চক্রবর্তী বাংলার একজন কিংবদন্তি অভিনেতা, বহু দশকের অভিনয়জীবন যার সুনাম কুড়িয়েছে।
সেই মানুষটিকে পিতৃসম জেনেও প্রকাশ্যে ‘জোকার’, ‘ছোটলোক’ আখ্যা দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত—সেই প্রশ্নে ঘায়েল এখন ভিভান নিজেই। একদিকে ছোটপর্দায় নিয়মিত খলচরিত্রে অভিনয়, অন্যদিকে বাস্তবেও যেন নিজেকে সেই রূপেই প্রতিষ্ঠিত করছেন তিনি। সব মিলিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার—নিজেকে জনপ্রিয় করার জন্য যদি কেউ এভাবে লাইমলাইটে আসতে চায়, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী সম্মান নয়, সাময়িক বিতর্ক বয়ে আনে। আর যেখানে পিতৃসম, অভিজ্ঞ, বহু প্রজন্মের প্রিয় অভিনেতার প্রতি এমন ভাষা ব্যবহৃত হয়, সেখানে কটাক্ষ যে আসবেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না ।
সৌজন্যে :- Tolly Gossip ( সংগৃহিত )