তুলি

তুলি welcome to my page☺

Jagannath 🙏❤️🥺⭕❗⭕Today's Best Photo ❤️  Seema Mohanty – ACTRESSThe Hidden Secrets Behind Seema Mohanty’s Stellar Success...
18/06/2025

Jagannath 🙏❤️🥺⭕❗⭕

Today's Best Photo ❤️
Seema Mohanty – ACTRESS
The Hidden Secrets Behind Seema Mohanty’s Stellar Success

In the dazzling world of pop music and entertainment, few stars shine as brightly as Seema Mohanty. With a career that has seen a meteoric rise, spotlight moments, and a legion of adoring fans, the 28-year-old talent has become a sensation.

Yet behind the glitz and glamour lies a web of secrets that contribute to her phenomenal success. From hidden inspirations to strategic career moves, here's an inside look at the untold facets of Seema Mohanty’s journey to superstardom.

A Star is Born: The Early Struggles
Seema Mohanty’s path to fame wasn’t paved with gold. Born in London to proud parents, she faced many challenges before reaching the top.

❤️❤️😱😱😱😘😘🙏
— Seema Mohanthy

কাকে পাশে চান এই ওয়েদারে🥰?
18/06/2025

কাকে পাশে চান এই ওয়েদারে🥰?

মিষ্টি মা ❤️🥰   ゚
18/06/2025

মিষ্টি মা ❤️🥰

🙏❤✨gopu sona
17/06/2025

🙏❤✨gopu sona

A tea date like this>>🌷
17/06/2025

A tea date like this>>🌷

 #বৃষ্টিভেজা_আলাপন (২)সোডিয়ামের আলোতে ইটের রাস্তাটাকে বড়ো সুন্দর লাগছে। চারপাশ বৃষ্টির জলে পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। গাছের পাত...
07/05/2025

#বৃষ্টিভেজা_আলাপন (২)

সোডিয়ামের আলোতে ইটের রাস্তাটাকে বড়ো সুন্দর লাগছে। চারপাশ বৃষ্টির জলে পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। গাছের পাতা গুলো যেন প্রাণ ফিরে পেল। হাল্কা বাতাসে দু এক বিন্দু পানি পড়ছে। তারই পাশে চুপচাপ বসে আছে উষশী। কোকো পাশেই খেলছে। ভীষণ মন খারাপের চোটে উষশীর শুভ্র মুখটা বির্বণ হতে শুরু করেছে। টানা দুটি চোখ যেন প্রাণহীন। এদিকটা পুরোপুরি নির্জন। অনেক সময় পর পর দু একটা মানুষ চলছে। বৃষ্টির চোটে কিছু গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। ভয়াবহ অবস্থা। রাতের আঁধারেও আকাশের মেঘলা অবস্থা বোঝা যাচ্ছে। খানিক বাদে বোধহয় আরো শক্তিশালী বৃষ্টি নেমে যাবে। শরীরের কাপড় শরীরেই শুকিয়ে এসেছে। এখন আর অত শীত লাগছে না। সয়ে গেছে। মাথাটা নিচু করে পা দিয়ে মাটি খুঁড়ছিল। এ সময় একটা ডাক ভেসে এল।
"উষশী!"

নিজের নাম শুনতে পেয়ে আগন্তুকের পানে তাকাল মেয়েটি। অভি দ্রুত পায়ে ছুটে এসেছে।
"ঠিক আছ? এমন করলে কেন বলো তো। পুরো দু ঘন্টা ধরে খুঁজে যাচ্ছি।"

উষশী একটা কথাও বল‍ল না। এমনকি রাগ ও দেখাল না। কোকো মিউ মিউ করছে। অভি বিড়ালটি কে তুলে নিল।
"বৃষ্টি নেমে আসবে। আসো আমার সাথে।"

উষশী উঠল না। আগের মতোই বসে রইল। একটু এগিয়ে এসে অভিরাজ বলল,"আসো, লেট হয়ে যাচ্ছে।"

এবার ও উঠল না মেয়েটি। অভিরাজের রাগ হলো না। সে মেয়েটির হাত ধরে উঠিয়ে নিল।
"সরি।"

হুট করেই সরি বলাটা আশা করেনি উষশী। সে বিস্ফোরণ নিয়ে তাকাল। অভিরাজ হেঁটে চলেছে। আকাশ ডেকে উঠল। কোকো মিউ মিউ করছে। চলতে চলতে লাবণ্যকে কল করল। লাবণ্যর সাথে কি কথা হলো জানে না উষশী। এই মুহূর্তে তার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। আসলেই কি যাওয়া ঠিক হবে?

বাচ্চাটিকে দেখতে পেয়ে লাবণ্য যেন প্রাণ ফিরে পেল। দু হাতে জড়িয়ে বলল,"এত রাগ করলে চলে বাবু? জানো কি ভয় পাচ্ছিলাম।"

"সরি।"

"ঠিক আছে। মন খারাপের কিছু নই। অভি'র কথায় কিছু মনে কোরো না।"

প্রথমবারের মতো মানুষটার নাম জানতে পারল উষশী। অভি কোকো কে গাড়ির ভেতর বসিয়ে দিল। তারপর লাবণ্যের সাথে কিছু বলতে লাগল। উষশী ফিরেও তাকাল না। তার পেটের ভেতরটা ভীষণভাবে লাফাচ্ছে। ক্ষুধায় ম রে যাবে যেন।
"উষশী,বাবু উঠে এসো।"

অন্যমনস্ক উষশী শুনতে পেল না। অভি নেমে এসে বলল, "গাড়িতে উঠ।"

কোকো গাড়ির ভেতর উষ্ণতা পেয়ে পরম যত্নে শুয়ে আছে। হাত বুলিয়ে দিল উষশী। হঠাৎ উষ্ণতা পেয়ে তার ও ভীষণ ভালো লাগল। ক্ষিধে পেটেই ঘুমিয়ে পড়ল সে।

উষশী'র ঘুম ভাঙল হর্নের শব্দে। অভিরাজ বিরক্ত হয়ে বলছে,"এই মানুষ গুলোও না। এভাবে জটলা কেন করছে!"

"এ ক্সি ডে ন্ট হয়েছে সম্ভবত।"

"দেশের ট্রান্সপোর্টের যা অবস্থা। দিনকে দিন দূর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।"

"হুম।"

অভিরাজ গাড়ি ঘুরিয়ে নিল। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রইল উষশী। একটা ট্রাকের সাথে প্রাইভেট কারের সং ঘ র্ষ ঘটেছে। কে জানে গাড়িতে থাকা মানুষ গুলোর কি অবস্থা।

মৃদু বাতাসে উষশীর কাঁধ অবধি চুল গুলো উড়ে যাচ্ছে। হা হয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে সে। মাত্র এক সপ্তাহ হয়েছে বাংলাদেশে এসেছে সে। বাইরেটা সেভাবে বের হওয়া হয়নি। সকালে কোকো কে নিয়ে খেলছিল। কোকো কোনো ভাবে হারিয়ে গেল। মেয়েটির কি যে কান্না। তারপর দুপুরের দিকে এক সংবাদ মাধ্যমের নিউজে দেখতে পেল কোকোকে। বিড়াল ছানাটা কি করে যে হসপিটালে পৌছাল কে জানে। কোকো আবার হারিয়ে যেতে পারে এই ভয়েই লোকেশন নিয়ে বৃষ্টির জল মাথায় করে ছুটে এসেছিল সে। কিন্তু কে জানত সে নিজেই হারিয়ে যাবে। একটা ডুপ্লেক্স বাড়ির সামনে গাড়ি থামল। হর্ন বাজাতেই মেইন গেট খুলে গেল। অভিরাজ গাড়ি পার্ক করে বলল,"তোরা যা আমি আসছি।"

"কোথায় যাবি?"

উষশী'র দিকে ইশারা করে বলল,"সম্ভবত দুপুর থেকে না খাওয়া। তাছাড়া আমরাও তো ডিনার করি নি। খাবার নিয়ে আসছি।"

"আচ্ছা,সাবধানে যা।"

উষশীকে নিয়ে ভেতরে এল লাবণ্য। সুন্দর পরিপাটি বাসাটা। কোকো লাফিয়ে নেমে গেল কোল থেকে।
"কোকো,দুষ্টুমি করবে না একদম।"

"থাক,ওকে খেলতে দাও।"

উষশী মৌন থেকে সম্মতি দিল। ওর আচরণে লাবণ্য একটু হেসে বলল,"আমি ড্রেস দিচ্ছি,গোসল করে আসো।"

লাবণ্য দেখল উষশী লম্বায় তার সমান সমান। তবে তার থেকেও রোগা পাতলা। সে তার টি শার্ট আর প্যান্ট এনে দিল। শাওয়ার নিয়ে ফিরল মেয়েটি। দীর্ঘসময় ভেজা থাকাতে কেমন যেন লাগছে এখন। কোকো পাশেই খাবার খাচ্ছে। অভিরাজ ফোনে কিছু করছিল। উষশীকে দেখে বলল,"লাবণ্য খাবার সার্ভ করে দে।"

উষশী ড্রয়িং এর পাশে থাকা বিশাল জানালার কাছে এল। বাইরে তুমুল বর্ষণ। থেকে থেকে মেঘ ডাকছে। সোডিয়ামের আলোয় চকচক করছে রাস্তাটা। আকাশ মেঘলা হলেও ফাঁকফোকর দিয়ে উঁকি দিচ্ছে রূপালি চাঁদ।
"উষশী,চলো খাবার খেয়ে নাও।"

খাবারের গন্ধটা নাকে আসতেই উষশী'র মনে হলো সে মা রা যাবে। প্রচন্ড ক্ষুধায় এখন তার চলতেও কষ্ট হচ্ছে। ডাইনিং এ বসে যথাসম্ভব দ্রুত খেল সে। প্রচন্ড ক্ষিধে থাকলেও বেশি খেতে পারল না। লাবণ্য কিছু মেডিসিন খাওয়াল। সারাটা দিন মেয়েটা ভেজা শরীরে,জ্বর না এলেই হয়।

সব কিছু গুছিয়ে রাখতে রাখতে এগারোটা বেজে গেল। সারাদিনের পরিশ্রমের পর লাবণ্য যেন একটু বেশিই নেতিয়ে পড়ল। অভিরাজ ল্যাপটপ নিয়ে বসেছে।
"কাজ কাজ করে মাথা নষ্ট করে ফেলবি।"

"এগুলো না দেখলে দুদিনেই বিজনেস লাটে উঠবে।"

"তাই বলে রেস্ট নিবি না?"

"রেস্ট নেই তো।"

"দেখি তো,সারাক্ষণ এটা ওটা করতেই থাকিস। কফি খাবি?"

"আমি বানিয়ে নিব। তুই ঘুমা।"

"আচ্ছা।"

"উষশী ঘুমিয়েছে?"

"হ্যাঁ। একদমই কিউট মেয়েটা।"

"সাথে তেজ ও আছে।"

"সেটাই কি স্বাভাবিক নয়?"

"কি জানি। যাই হোক,তুই ঘুমা,কাল ভোর থেকে ইন্টার্নশিপ তোর।"

"হুম।"

কাজের কথা মনে করে দীর্ঘশ্বাস ফেলল লাবণ্য। ডাক্তারি পেশাটা মোটেও সহজ নয়।

সকালের মিষ্টি রোদটা ঘুম ভাঙিয়ে দিল উষশী'র। পাশেই ঘুমোচ্ছে কোকো। তার জ্বর আসে নি। মেডিসিনটা কাজে লেগেছে। ঘুম ভালো হওয়াতে শরীরটাও বেশ চাঙা লাগছে। আড়মোড়া ভেঙে কোকো কে ডাকল সে।
"কোকো, উঠ সোনা।"

মিউ মিউ করে উঠল কোকো। ঠোঁটের কোণ প্রসারিত করে হাসল উষশী। কোকের লোমে ভরা শরীরে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,"সোনা বাচ্চা।"

ড্রয়িং রুমেই ঘুমিয়ে গিয়েছিল অভিরাজ। কাল অনেক রাত অবধি কাজ করেছে। এলার্মের শব্দে ঘুমটা ছুটে গেল। হাই তুলতেই দেখল সিঁড়ি বেয়ে নামছে উষশী। কোকো মিউ মিউ করছে।
"চুপ থাকো কোকো,আমরা অন্যের বাসাতে।"

কোকো ধীরে ধীরে মিউ মিউ করে থেমে গেল। ওর ভদ্র সভ্য আচরণে সন্তুষ্ট হয়ে হাত বুলিয়ে দিল উষশী। নিচে নামতেই অভিকে দেখতে পেল সে। গতরাতে খাওয়ার সময় একবার দেখা হলেও কথা হয় নি।
"গুড মর্নিং উষশী।"

"গুড মর্নিং।"

অভিরাজ এগিয়ে এল। উষশী'র থেকে কোকো কে কোলে তুলে বলল,"ওর নাম কী?"

"কোকো।"

"কে রেখেছে?"

"আমি।"

অভিরাজ এবার পরিপূর্ণ নজরে তাকাল। তারপর বলল,
"স্পেসেফিক কোনো ক্যাট ফুড খাওয়াও?"

"না। সব ধরনের ক্যাট ফুড খেতে পারে কোকো।"

"আচ্ছা। গত রাতেরটাই দিচ্ছি তাহলে।"

উষশী হা না কিছুই করল না। অভিরাজ কোকো কে ক্যাট ফুড দিল। ততক্ষণে চার পাশে নজর বুলাল উষশী। বাড়িটার আকৃতি সম্পর্কে ধারণা করতে পারল না। শুধু মনে হলো এই বাড়িতে নিয়মিত থাকে না কেউ।
"কফি খাও তো?"

"হুম।"

গরম গরম ধোঁয়া উঠা কফিতে চুমুক বসাল উষশী। তার চাঙা শরীর আরো বেশি চাঙা হয়ে এল।
"ঐ আপুটা কোথায়?"

"বেরিয়েছে।"

"এত সকালে?"

"হুম।"

মন খারাপ করে ফেলল সে। একটা দীর্ঘশ্বাস লুকিয়ে কোকোর কাছে এল। কোকো মজা করে খাচ্ছে। ওকে দেখেই মিউ মিউ ডাকতে লাগল।
"কাল আপনি ওকে গোসল করিয়েছেন?"

"হুম।"

"থ্যাংক ইউ।"

একটু বেশিই অবাক হলো অভিরাজ। এই তো কালকের সেই অহংকারী,ব দ মা শ মেয়েটাও থ্যাংকস বলতেও জানে!

"কোকো, কি করছো তুমি?"

উষশী'র জিন্স ধরে টানছে কোকো। সে বাহিরে যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। উষশী তখনি তাকে কোলে তুলে বলল,"এমন করছো কেন?"

মিউ মিউ করে ডাকল কোকো। উষশী বুঝল বাইরে যেতে চাচ্ছে। অভিরাজ ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়েছে। ভীষণ কাজ তার। উষশী এক পলক তাকিয়ে হেসে বলল,"চলো।"

চলবে...
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি

"এই মেয়ে ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে আছ কেন?"দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজে হসপিটালে পৌছাল উষশী। ঠান্ডায় থর থর করে কাঁপছে সে। তার দৃষ্টি...
07/05/2025

"এই মেয়ে ভেজা কাপড়ে দাঁড়িয়ে আছ কেন?"

দেড় ঘন্টা বৃষ্টিতে ভিজে হসপিটালে পৌছাল উষশী। ঠান্ডায় থর থর করে কাঁপছে সে। তার দৃষ্টি এদিক সেদিক লু ট পাট চালাচ্ছে। সে হাতের ইশারায় সামনের দিকে দেখাল। সামনে থাকা ব্যক্তিটি অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে বলল,"ভেজা কাপড় নিয়ে সামনে যাওয়া যাবে না। চেঞ্জ করে আসবে।"

অভিরাজের কথাকে পুরোপুরি উপেক্ষা করে করিডর দিয়ে ছুটে চলল কিশোরী। এক মুহূর্তের জন্য বোকা বনে গেল ছেলেটা। পর পর হাক ছেড়ে ডাকতে লাগল।
"গার্ড,গার্ড কোথায় আপনারা? হসপিটালে কি হচ্ছে এসব!"

অভিরাজের কণ্ঠ পেয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এল দুজন গার্ড। ব্যস্ত হয়ে শুধাল,"কি হয়েছে স্যার?"

"আপনাদের চোখ কোথায় থাকে? ভেজা কাপড় নিয়ে একটা মেয়ে হসপিটালে ঢুকে গেল আর আপনারা বসে বসে ঝিমুচ্ছেন!"

"সরি স্যার। গেটের কাছটা অনেক ভীড় ছিল তাই দেখতে পাই নি আমরা।"

"নেক্সট যেন এমন কিছু না হয়। এটা একটা হসপিটাল, চিরিয়াখানা নয়। মেয়েটাকে খোঁজার ব্যবস্থা করুন।"

কথা শেষে লম্বা কদমে চলে এল অভিরাজ। এমনিতেই আজ মেজাজ গরম। তারপর আবার এইসব কান্ড!

উন্মাদের মতো ছুটে চলেছে উষশী। তার আচরণ খেই হারা মাঝি'র মতো। সব যেন শেষ হয়ে এসেছে। চুল থেকে টপটপ করে পানি ঝরছে। পরনের হাঁটুসম ফ্রকটা শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। কাঁধ সমান বাদামি চুল আর ঘোলাটে চোখের মনি। শুভ্র রঙের উষশী যেন সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের উপর এক বিন্দু শিশির কণা। পায়ে থাকা স্লিপার থেকে চপ চপ শব্দ হচ্ছে। আরেকটু ছুটতে যাবে ওমন সময় একজন লেডি গার্ড খপ করে হাতটা ধরে ফেলল। কিশোরী নিজের হাত ছাড়ানোর প্রয়াসে বলল,"ছাড়ো,ছাড়ো আমার হাত।"

লেডি গার্ড হাত ছাড়লেন না বরং টেনে নিয়ে যেতে লাগলেন। উষশী'র শ্বেত রঙা মুখ লাল হয়ে এসেছে। দীর্ঘ সময় বৃষ্টির জল মাথায় করে ছুটে এসেছে সে। শরীরটাও অনেকটা অবশ হয়ে এসেছে। হাত ছাড়াতে না পেরে রাগ হচ্ছে। রাগের কারণে তার ঠোঁট দুটোয় কম্পন ধরে গেল। মেয়েটি'র দু চোখ রক্তিম। ঠিক যেন কৃষ্ণচূড়া! লেডি গার্ডের শক্তির নিকট হেরে গিয়ে বুদ্ধি খাটাল সে। চকচকে তীক্ষ্ণ দাঁতের কামড়ে ছাড়তে বাধ্য হলেন তিনি। উষশী সময় ব্যায় না করে পুনরায় ছুটতে লাগল। ছোট্ট,উন্মাদ কিশোরী এবার ধাক্কা খেল এক শক্তপোক্ত দেহের সাথে। ছিটকে পড়তে পড়তে সামলে নিল নিজেকে। রাগে দুঃখে দুটি চোখ ভরে উঠেছে নোনা জলে। কিছু বলবে ওমন সময় মিউ মিউ আওয়াজটা কানে এল। সব রাগ উবে গেল যেন। ছোট্ট দেহটাকে নাড়িয়ে পাশ ঘুরে তাকাল। পরমুহূর্তেই একরাশ আনন্দ এসে ভর করল তার চোখে মুখে। অত্যন্ত আনন্দের সাথে ডাকল।
"কোকো! কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে তুমি।"

অভিরাজ বোকার মতো তাকিয়ে। ক্ষণে ক্ষণে অবাক হচ্ছে সে। হসপিটালে বিড়াল ও ঢুকে গেছে! লেডি গার্ড ছুটে এসে বললেন,"স্যার এই তো মেয়েটা। শ য় তা ন মেয়ে আমায় কামড়ে পালিয়েছে।"

শ য় তা ন শব্দটি কানে এল উষশী'র। সে তার কোকো নামক বিড়ালের শরীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল।
"কি বাজে তুমি!"

লেডি গার্ড অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে কিছু বলতে যাবে ওমনি থামিয়ে দিল অভিরাজ। চোখের ইশারায় চলে যেতে বলে সামনে তাকাল। উষশী তার ছোট্ট সাদা বিড়ালটিকে নিয়ে খেলতে শুরু করেছে। বিড়ালটিও পরম আদরে শুয়ে আছে। অভিরাজ হুট করেই ধমকে উঠল,"এই মেয়ে। পাগল তুমি?"

পাগল শব্দটি উষশী'র কানে পৌছাতেই খেপে গেল সে।
"আপনি পাগল।"

"হোয়াট!"

দ্বিতীয় বারের মতো অভিরাজকে উপেক্ষা করে চলে গেল উষশী। মেয়েটির এসব কান্ডে চরম বিরক্ত সে। কিছুটা এগিয়ে পুনরায় পিছিয়ে এল মেয়েটি। তার ভেজা চুল গুলো কানের পিঠে গুজে নিয়ে শুধাল,"বের হব কি করে?"

পৌ শা চিক আনন্দ পেল অভি। মেয়েটিকে এত সময় পর ঠিকঠাক খেয়াল করল। রোগা পাতলা গড়নের বাচ্চা এক মেয়ে। দেখতে অনেকটা বেবি ডলের মতো।
"কানে শুনেন না আপনি?"

রেগে গেল অভিরাজ। কানে শুনে না মানে কি?
"যেভাবে এসেছ সেভাবে চলে যাও।"

"কোন দিক দিয়ে এসেছি মনে নেই।"

"তো?"

"বের হবার রাস্তা বলেন।"

"পারব না।"

"কেন?"

"আমার ইচ্ছে।"

পর পর জবাবে রাগ হলো উষশী'র। এসির হাওয়া এসে তার শরীর আরো শীতল করে তুলেছে। সে বুঝতে পারছে এই মুহূর্তে হাঁচি উঠবে। অভিরাজ অন্যদিক ফিরতেই পর পর দু বার হাঁচি দিল সে। যার দরুণ লাল হয়ে উঠল তার নাকের ডগা। অভি কিছু বলার পূর্বেই ডানে বামে তাকিয়ে ছুট লাগাল কিশোরী। ঝড়ের মতো এসে ঝড়ের মতোই পালিয়ে গেল বাচ্চাটি। কতক্ষণ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে রেগে গেল অভিরাজ। হসপিটালের সব নিয়মকানুন উধাও হয়েছে নাকি! কোনো কিছুতেই মনোযোগ নেই এদের।

হসপিটাল থেকে বেরিয়ে এসে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছে উষশী। এখানকার ট্রান্সপোর্ট সম্পর্কে একদমই জানে না সে। এমনকি টাকাও নেই তার কাছে। ফিরবে কেমন করে জানা নেই। এদিকে বিকেল নেমে এসেছে। কোথাও একটা স্মার্ট ওয়াচটা ফেলে এসেছে। লোকেশনও জানে না। খুব কান্না পেল ওর। চারপাশে ব্যস্ত মানুষজন। কোকো একটু পর পর মিউ মিউ করে ডাকছে। সেই সকালে বের হয়েছে। নিশ্চয়ই ক্ষিধে পেয়েছে। কোকোর খাওয়ার কথা চিন্তা করে ওর নিজের ও ক্ষিধে পেয়ে গেল। পেটের ভেতর ইঁদুর নাচছে যেন।
"কোকো খুব ক্ষিধে পেয়েছে? একটু সহ্য করো সোনা।"
বাক্য শেষে ডানে বামে তাকাল সে। যান চলাচল খুব বেশি। বৃষ্টির সময় একদম খালি ছিল রাস্তা। তাই আসতে অসুবিধা হয়নি। এখন তো পার হতেও ভয় হচ্ছে। দু একবার চেষ্টাও করল কিন্তু ব্যর্থ হতে হলো। মন খারাপ করে এপাশ থেকেই চলতে লাগল। ফের বৃষ্টি শুরু হলো। ক্ষিধের চোটে কোকো সমানে চেচামেচি করছে। মানুষজন ছুটোছুটি করে বৃষ্টির জল আড়াল করছে। আর উষশী,মুখ গোমড়া করে পথ চলছে। ভরা বৃষ্টিতে তার পা যুগল চুলকোচ্ছে। সে তবু হেঁটে চলেছে। চপ চপ শব্দ করে আরেকটু চলতেই জুতো ছিঁড়ে গেল। রাগে দুঃখে সেটাকে রাস্তায় ছুড়ে ফেলল। কোকো ভাবল এটা বোধহয় কোনো খেলা। সে লাফানোর প্রয়াস করতেই নরম,হতাশ কণ্ঠে বলল উষশী।
"ওটা আর কাজে লাগবে না কোকো। জানি না ফিরব কেমন করে।"

কোকো কি বুঝল কে জানে। অত্যন্ত আবেগী সুর তুলে দু বার মিউ মিউ ডাকল। একটুখানি হেসে উষশী হাত বুলিয়ে দিল। সূর্য প্রায় নেমে এসেছে। আকাশ কিছুটা লাল আভায় মিশে গেছে। পরিবেশ খুব সুন্দর লাগলেও উষশী'র মনে বিষাদ। সে কি করে বাড়ি ফিরবে বুঝতে পারছে না। এদিকে আরো কয়েকবার হাঁচি দিল। শীতে কুকরে গেছে কোকো। মায়া হচ্ছে খুব। বাস স্ট্যান্ড গুলো খালি পড়ে আছে। একটা মানুষের দেখা নেই। তবে কিছু নেড়ি কুকুর রয়েছে। দু একটা ঘেউ ঘেউ শব্দ করে ডাকছে। উষশী নজর ঘুরাল। তার শরীর অবশ মনে হচ্ছে। উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল ইট কংক্রিটের বৃষ্টিভেজা রাস্তাতে। সন্ধ্যার আজান পড়ে গেছে। এবার উষশী'র খুব কান্না পেল। সে হয়ত কেঁদেই ফেলত। ঠিক তখনি একটা সুন্দর মেয়ে ডাকল,"বাবু,এখানে বসে আছ কেন?"

উষশী নজর ঘুরাল। শরীরে এপ্রোন দেখে বুঝল মেয়েটি ডাক্তার। সে কিছু বলত তবে পেছনে থাকা পুরুষটিকে দেখে চুপসে গেল। বে য়া দ ব লোকটার কপালে ভাঁজ পড়েছে। বোঝা যাচ্ছে কতটা বিরক্ত সে।
"তুমি তো কাঁপতে শুরু করেছ! এভাবে জ্বর হবে। কিছু বলো বাবু।"

উষশী কিছু না বলে উঠে হাঁটা লাগাল। অভি রাগ মিশ্রিত কণ্ঠে বলল,"দেখলি,নাম্বার ওয়ান ঘাড়ত্যাড়া।"

"তুই বেশি করছিস। ও তো একটা বাচ্চা।"

"বেশি বকছি না। আস্ত বেয়াদব।"

"অভি প্লিজ। মেয়েটা হয়ত ভয় পেয়েছে।"

"ভয়! হা,ওর মধ্যে কোনো ভয় নেই। বরং অন্যকে জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।"

লাবণ্য কথা বাড়াল না। পায়ের গতি বাড়িয়ে উষশীর পথ আটকাল।
"তুমি রাগ করেছ?"

এবার ও কথা বলল না উষশী। অভি তাচ্ছিল্য হাসল।
"ভয় পাচ্ছ?"

"না।"

"তাহলে।"

"পথ ছাড়ো।"

"কিন্তু তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে রাস্তা চিনো না। বার বার একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছ।"

"চিনি।"

"আমার দিকে তাকাও।"

"কেন?"

"তুমি কি হারিয়ে গেছ?"

"না।"

"তাহলে?"

"কিছু না।"

হাঁপিয়ে উঠল লাবণ্য। মেয়েটি আসলেই ঘাড়ত্যাড়া। কিন্তু এভাবেও ছেড়ে দেওয়া যায় না। ততক্ষণে অভিও চলে এসেছে।
"বাচ্চা হলে কি হবে,তেজ দেখেছিস?"

"অভি তুই!"

উষশী চোখ মেলে তাকাল। তার ঘোলাটে চোখে পানি চিকচিক করছে। লাবণ্য সেটা দেখতে পেয়ে বলল,"বাবু কাঁদে না।"

"পথ ছাড়ো আমার।"

"তুমি ওর কথায় রাগ করেছ?"

"বদ লোক।"

"কি বললে..."

"অভি,প্লিজ থাম একটু। তুই ও কি বাচ্চা হয়ে গেলি?"

কিছু বলতে যেতেই লাবণ্য সরিয়ে দিল। খুব যত্ন নিয়ে উষশীর মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,"বাসা কোথায় তোমার?"

"খুঁজে পাচ্ছি না।"

"এখানে এলে কি করে?"

"গুগল ম্যাপ দেখে।"

"দেখি।"

"হারিয়ে ফেলেছি।"

"তুমি ঠিকানা বলতে পারবে?"

"মনে নেই।"

লাবণ্য বুঝতে পারছে না কি করবে। অভি একটু দূরে সরে এসেছে। হাতের ইশারায় ডাকল তাকে।
"কি?"

"ও সম্ভবত এখানে নতুন।"

"তো?"

"কোনো ভাবে হারিয়ে গেছে। ঠিকানাও বলতে পারছে না। এখন কি করি বল তো।"

"কিছু করার দরকার নেই।"

"অভি!"

"যে তেজ,শুনবে কোনো কথা।"

"শুনবে,তুই শুধু শুধু এমন করছিস।"

"বল আমাদের সাথে যাবে কি না। না গেলে আর একটা শব্দও করবি না। আস্ত শ য় তা ন মেয়ে।"

লাবণ্য চোখ রাঙিয়ে পুনরায় উষশী'র কাছে এল। মেয়েটি এবার সত্যিই ভয় পাচ্ছে।
"তোমার নাম কি?"

"উষশী।"

"আচ্ছা উষশী,তুমি তো তোমার ঠিকানা বলতে পারলে না। এই রাতে রাস্তায় থাকাও ঠিক নয়। তুমি কি আমাদের সাথে যাবে?"

উষশী ঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এদিকে অভি বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে। মেয়েটির খুব রাগ হলো।
"এই লোকটাও যাবে?"

"হ্যাঁ।"

"যাব না।"

"কেন?"

"লোকটা বাজে।"

ক্ষেপে গেল অভিরাজ। টেনে নিয়ে যেতে লাগল লাবণ্যকে। উষশী'র নাকের ডগা লাল হয়ে গেছে। তার খুব অসহায় লাগছে। সে কোকো কে কোলে তুলে নিয়ে সামনের দিকে ছুটতে লাগল। এদিকে লাবণ্য অভিরাজের সাথে তর্ক জুড়ে দিল।
"পাগল হয়ে গেলি তুই?"

"আমি না তুই পাগল হয়ে গেছিস। এমন তেজ ওয়ালা মেয়েকে কোথায় নিবি তুই?"

"বাচ্চা একটা মেয়ে।"

"শুধু বাচ্চা না। বল বদমেজাজি বাচ্চা।"

"সে যাই হোক,তুই বুঝার চেষ্টা কর। একা একটা মেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়ালে পরদিন অবধি ঠিক থাকবে?"

এতক্ষণে টনক নড়ল অভিরাজের। সে তবু বিরক্ত হয়ে বলল,"যা ইচ্ছে কর।"

লাবণ্য সামনে ঘুরে দেখল মেয়েটি আগের জায়গায় নেই। ভ্রু কুচকে গেল।
"কোথায় গেল মেয়েটা!"

"কোথায় গেল মানে?"

"নেই তো।"

চারপাশে নজর বুলাল অভিরাজ। সত্যিই কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এবার সত্যিই ভয় হচ্ছে ওর। রাত হয়ে এসেছে। বৃষ্টির মধ্যে কোথায় চলে গেল মেয়েটা?

#বৃষ্টিভেজা_আলাপন (১)
কলমে~ফাতেমা তুজ নৌশি
চলবে....

**পাঠকদের রেসপন্স আশা করছি। গল্পটা আপনাদের মনকে স্পর্শ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।**

পরবর্তী পর্ব পেতে পেজে ফলো ও পাঠকমহলে জয়েন করুন।

পেজ : https://www.facebook.com/fatematuz.storyofficial

গ্রুপ :
https://facebook.com/groups/2944711092471263/

আজব 🙄
29/03/2025

আজব 🙄

— তুমি থেকে যেও যেভাবে আমি থেকে যেতে চাই তোমার পাশে চিরকাল। 🤎✨
26/03/2025

— তুমি থেকে যেও যেভাবে আমি থেকে যেতে চাই তোমার পাশে চিরকাল। 🤎✨

Someday, I wish for a dreamy night in Paris with you next to me.🤎
25/03/2025

Someday, I wish for a dreamy night in Paris with you next to me.🤎

Basic human need ♡..
25/03/2025

Basic human need ♡..

হে প্রিয়তমা তোমাকে মানাতে কোনটা লাগবে -টুকটুকে লাল গোলাপ, শিউলি নাকি বেলি!!
25/03/2025

হে প্রিয়তমা তোমাকে মানাতে কোনটা লাগবে -টুকটুকে লাল গোলাপ, শিউলি নাকি বেলি!!

Address

Kolkata
Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তুলি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share