16/08/2025
প্রথমে আসি গল্পটা খুব অন্যরকম....
এরকম গল্প বাংলা সিনেমায় খুব কম দেখেছি।
এই গল্পের নায়ক ভানু। যাকে দুটো জীবন বাঁচতে হয়। দ্বিতীয় জীবনে, যার প্রথম জীবনের অস্তিত্ব নেই। কিন্তু সে সেই প্রথম জীবনের ঘরেই ফিরতে চায়। ভানু আজ উগ্রপন্থী। তাঁর ভানু নামটাও হারিয়ে গিয়েছে। বৃদ্ধের ভূমিকায় দেব-এর এন্ট্রি পর্দায়। সত্যি কী দেব বৃদ্ধ! ছদ্মবেশে ভানু হাজির হয় তাঁর বাল্যবন্ধু যোগেশের আস্তানায়। যোগেশ অবাক হয়ে যায় এই বৃদ্ধ ভদ্রলোক ৫০ পেরিয়ে ৬০ টা pushups দেয় কী ভাবে? বন্ধুর জহুরির চোখ চিনে নেয় এ তো তাঁর হারিয়ে যাওয়া বন্ধু ভানু........
অনুপম রায়ের সুরে ও ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্তর আবহে প্রতিটি গান মন ছুঁয়ে যায়। সবথেকে শুরুতেই মন ভাল করে অরিজিৎ সিং-শ্রেয়া ঘোষালের 'গানে গানে'। ছবির ইমোশন টাকে আরো গাঢ় করে ঈশান মিত্রের কণ্ঠে 'হবে না দেখা'। তেমনই মা-ছেলের মায়ায় ভরা গান অনুপম রায়ের 'মা'।
নচিকেতার গলায় এই ছবির গান সেই 'চ্যালেঞ্জ' ছবির নস্টালজিয়াকে ফেরত আনলো।
"ধুমকেতু উৎসব"
বাস্তবেই তাই...
যাঁদের জুটি পর্দাতে যতখানি সুপারহিট, ব্যক্তিগত জীবনও ততখানি চর্চিত।
সেই জুটি যদি নায়ক-নায়িকার বহু যুগ পর একসঙ্গে ফিরে আসা হয়, তাহলে তো কথাই নেই।
হাউস ফুল একদম।
Dev দা Subhashree দির ক্যামব্যাক তো মানুষের মন ভরিয়ে দিয়েছে কিন্তু Rudranil Ghosh দা সেরা।
একটা প্রমের গল্প ভেবেছিলাম কিন্তু কোথাও গিয়ে বন্ধুত্ব যেন মানুষকে ইমোশনালি কানেক্ট করে দিল....
ছবিটার সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো কলাকুশলীদের অভিনয়....
(শুভশ্রী দি একটা ইন্টারভিউতে বলেছিল এখন সে অনেক পরিণত একজন অভিনেত্রী,দর্শকের ভালো লাগবে কিনা জানিনা)
কিন্তু আমি একজন বাংলা সিনেমার এবং জুটির ভক্ত হিসেবে বলছি এটা তাদের লাইফের ( একসাথে করা) সবচেয়ে "matured" ছবি....
অভিনয় কারও সন্দেহ করা করার উপায় রাখলো না....
দেবদা বরাবর বলে এসেছে এটা তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ ছবি। এবং শ্রেষ্ঠ অভিনয়
সেটাও চোখে পড়ল
গান তো হিটই।
অনুপম রায় বলে কথা।
যতই আসুক ওয়ার টু
হল কাঁপাবে ধূমকেতু ❤👊
শিরায় শিরায় রক্ত
দেবদার ভক্ত☺❤
(সবশেষে বলবো ক্লাইম্যাক্স সিন টা একটু বেশি তাড়াতাড়ি হয়ে গেল না? )
( আমি কোন রিভিউয়ার নই এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মত)
Dev Subhashree Ganguly Dev Entertainment Ventures