11/07/2024
আমার বাংলাতে এইরকম এক #হাড় হিম করা #পুলিশি #নির্যাতন:- এই প্রাণপ্রিয় বাংলা ও কি উত্তরপ্রদেশ, বিহার , ঝাড়খন্ডে পরিণত হলো।
বিশ্বাস করুন চোখের পানি আটকাতে পারিনি। ঢোলা থানার সাব ইন্সপেক্টর রাজদ্বীপ সরকার কি নিষ্ঠুর ভাবে লকআপে আবু সিদ্দিককে অত্যাচার করেছে তার বর্ননা শুনলে আত্মা কেঁপে উঠবে। সিদ্দিক ধনী পরিবারের একমাত্র সন্তান। সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদে পরিবারের লোকদের সামনে মারতে মারতে থানায় তুলে আনে রাজদ্বীপ। পেছন পেছন বাড়ির লোকজন আসে থানায়। কিন্তু তাদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি।
রাত একটায় শুরু হয় প্রচন্ড মারধর। থানার বাইরে থেকে সিদ্দিকের বিভৎস চিৎকার শুনে জোর করে থানায় ঢোকে বাড়ির লোকজন। মার কমানোর জন্য রাজদ্বীপ 2 লক্ষ্য টাকা দাবি করে। একঘন্টার মধ্যে এক লাখ নব্বই হাজার টাকা পুলিশ কে দেয় বাড়ির লোক। তার পরেও চলতে থাকে মারধর। মারের চোটে অজ্ঞান হয়েযায় সিদ্দিক। বাড়ির লোক ভাবে হয়তো মার বন্ধ হয়ে গেছে। পুলিশ কিন্তু খাতায় অ্যারেস্ট এন্ট্রি করেনি।
নিয়ম অনুযায়ী গ্রেফতারের 24 ঘন্টার মধ্যে কোর্টে হাজির করতে হয় আসামিকে। পুলিশ তা করেনি। পরদিন দুপুরে জ্ঞান ফিরলে শুরু হয় নারকীয় অত্যাচার। লিঙ্গে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয় বারবার। বুকে ভারি ভারি বুটের লাথি, মেরে মেরে চারটে লাঠি ভেঙে দেওয়া হয়। গোটা শরীর কালশিটে। মার বন্ধ করার জন্য এবার 20 ভরি সোনা দাবি করে রাজদ্বীপ। আধ ঘন্টার মধ্যে হার, দুল, চেন, আঙটি যা ছিল পুলিশ কে দেয় সিদ্দিকের পরিবার। তারপরেও রাতে চলে অকথ্য অত্যাচার।
গ্রেফতারের দুদিন পর সিদ্দিককে কোর্টে নিয়ে যায়। থানা থেকে কোর্টে নিয়ে যাবার সময় অন্ডকোষে প্রচন্ড জোরে লাথি মারে রাজদ্বীপ। যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে পুলিশ ভ্যানে তোলে। কোর্টে যাবার পথে গাড়ি তে সিদ্দিকীকের দাড়ি ছিঁড়তে থাকে রাজদ্বীপ। বলতে থাকে তোর আল্লাহ তোকে বাঁচাবে? বল জয় শ্রীরাম। রাজদ্বীপ তাকে শাসাতে থাকে বাড়ির লোককে এসব বললে কোর্ট থেকে 10 দিনের PC নিয়ে আবার পেটাবে।
ভাগ্যক্রমে জামিন হয়ে যায় সিদ্দিকের। বাড়িতে ফিরে অত্যাচারের হাড় হিম করা নির্যাতনের ঘটনা জানায় পরিবারের লোকদের। দুপুরে বাড়ি ফিরে বিকাল থেকে শুরু হয় প্রচন্ড রক্ত বমি আর শ্বাস কষ্ট। প্রস্রাব, পায়খানা থেকে রক্তপাত হতে থাকে। প্রথমে ঢোলা হাসপাতাল, তারপর সেখান থেকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতাল, সেখান থেকে নীলরতন হাসপাতালে মৃত্যু হয় সিদ্দিকের। ডাক্তার জানায় হৃদপিন্ড, ফুসফুস, কিডনি সব থেঁতে গিয়েছে মারের চোটে।
অনেক ছোটো করে ঘটনা টা লিখলাম। পুরো লিখলে দশ পাতা ভরে যাবে। লেখায় অত্যাচারের বর্ণনা ঠিকঠাক ফোটাতে পারিনি। বিশ্বাস করুন আরো অনেক অনেক ভয়ানক ছিলো সেই নির্মম নিষ্ঠুর নির্যাতন।
বিঃ দ্রঃ - শোনা যাচ্ছে রাজদ্বীপ সরকার যে যে থানায় ছিলো সেখানে কোনো না কোনো মুসলমান কে পিটিয়ে মেরেছে।
কপি:-Aziz al Hasan