Sangbad Bhaskar

Sangbad Bhaskar Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Sangbad Bhaskar, Media/News Company, 46/2, Roy Bahadur Road, Behala, KOLKATA.

®RNI Reg.No - WBBEN/2009/31963
(Govt.of India) & UDYAM WB 10 0032836
Digital Bengali News , Facebook , Threads , Instagram , WhatsApp , YouTube, WhatsApp ,
সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ( প্রিন্ট মিডিয়া)
*** Running Glorious 17 Years ***
Editor : Bhaskar Das

দুর্গাপুরে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ— “অভিযুক্তদের রেহাই নয়”, কলেজের দা...
12/10/2025

দুর্গাপুরে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রী গণধর্ষণ কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ— “অভিযুক্তদের রেহাই নয়”, কলেজের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, দুর্গাপুর :
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে উত্তাল রাজ্যজুড়ে প্রশাসন ও রাজনীতি। শুক্রবার গভীর রাতে সংঘটিত এই নির্মম ঘটনার জেরে একদিকে ক্ষোভ, অন্যদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ছাত্রসমাজের মধ্যে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, তবে এখনও তদন্ত চলছে পূর্ণ গতিতে।

রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি এই ঘটনার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও ক্ষুব্ধ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি পুলিশকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছি— অভিযুক্তদের কেউই রেহাই পাবে না। কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি আরও জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।

তবে মুখ্যমন্ত্রী শুধু পুলিশের ভূমিকা নয়, প্রশ্ন তুলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব নিয়েও। তাঁর বক্তব্য, “বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিরও নৈতিক ও প্রশাসনিক দায় আছে। স্টুডেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা তাদের কর্তব্য। বিশেষ করে মেয়েদের রাতে বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “যেসব ছাত্রছাত্রী বাইরে থেকে এসে এখানে পড়াশোনা করেন, তাঁদের অনুরোধ করছি, রাতের সময় অকারণে বাইরে না যেতে। পুলিশ তো প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর পিছু ঘুরতে পারে না।”

এই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী তুলনা টানেন বিজেপি-শাসিত রাজ্য ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ ও মণিপুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ওড়িশায় তিন সপ্তাহ আগে তিনজন মেয়েকে সমুদ্রসৈকতে ধর্ষণ করা হয়েছিল। সেখানে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? বাংলায় যদি এমন কিছু ঘটে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। চার্জশিট দিয়ে দ্রুত বিচার সম্পন্ন করি।” তিনি আরও বলেন, “ওই রাজ্যগুলোতে ধর্ষণ ঘটলে বিজেপি মুখ খোলে না। সেখানে অনেক সময় নির্যাতিতাকে আদালতে পৌঁছানোর আগেই পুড়িয়ে মারা হয়। আমরা কিন্তু কোনো অপরাধীকে ছাড়ি না, নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট।”

তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও অসম্মানজনক। রাজ্যের মহিলারা যখন ন্যায়বিচার ও নিরাপত্তার আশায় সরকারের দিকে তাকিয়ে, তখন তাঁদের ঘরবন্দি থাকার পরামর্শ দেওয়া কোনো সভ্য সমাজে গ্রহণযোগ্য নয়। এই মন্তব্যে স্পষ্ট, তৃণমূল সরকার নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে দায়বদ্ধ নয়।”

সূত্রের খবর অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের শোভাপুর এলাকায় ওই ছাত্রী এক সহপাঠীর সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাইরে কয়েকজন যুবক তাঁদের পথ রোধ করে প্রথমে হেনস্থা করে, পরে ওই তরুণীকে টেনে নিয়ে যায় পাশের জঙ্গলে। সেখানেই তাঁকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। রাতেই তিনজনকে আটক করা হয় এবং পরদিন সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত সহপাঠীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক রাখা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাঁদের ধরতে অভিযান চলছে।

এই ঘটনার পর থেকেই দুর্গাপুর শহরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই কলেজ চত্বরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। অনেকের মতে, কলেজ প্রশাসনের গাফিলতিই এই মর্মান্তিক ঘটনার অন্যতম কারণ।

বর্তমানে নির্যাতিতা তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও মানসিকভাবে তিনি গুরুতরভাবে বিপর্যস্ত। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, ঘটনাটির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে নজর রাখবেন তদন্তের অগ্রগতির উপর।

পুরো রাজ্যজুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন— দোষীরা কবে আইনের কঠোর শাস্তি পাবে। দুর্গাপুরের এই নির্মম ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে সমাজ ও প্রশাসন— উভয়েরই আত্মসমালোচনার সময় এসেছে। রাজ্যের মানুষ এখন অপেক্ষা করছে একটাই বিষয়ের জন্য— ন্যায়বিচার।

12/10/2025
প্রধানমন্ত্রী মোদী উদ্বোধন করলেন ‘পি এম ধান ধন্যা কৃষি যোজনা’, শুরু হল ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার নতুন অভিযান বিশেষ প্রতি...
11/10/2025

প্রধানমন্ত্রী মোদী উদ্বোধন করলেন ‘পি এম ধান ধন্যা কৃষি যোজনা’, শুরু হল ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভরতার নতুন অভিযান

বিশেষ প্রতিবেদন, সংবাদ ভাস্কর : প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভার্চুয়ালি ‘পি এম ধান ধন্যা কৃষি যোজনা’ এর শুভ উদ্বোধন ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এই যোজনার মূল লক্ষ্য দেশের কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আত্মনির্ভরতা নিশ্চিত করা।

অনুষ্ঠানের সময় প্রধানমন্ত্রী ছয় বছরের ‘পালস ভিত্তিক আত্মনির্ভরতা মিশন’ চালু করেন, যা দেশের পেয়াজ, মসুর, ছোলা, মটরসহ বিভিন্ন ধরনের ডাল উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। এই মিশনের মাধ্যমে কৃষকেরা শুধু উৎপাদন বাড়াতে পারবেন না, বরং বাজারজাতকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রেও স্বনির্ভর হতে পারবেন।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন, যা কৃষি অবকাঠামো তহবিল, প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পকে মজবুত করবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নতুন গুদাম, সরবরাহ চেইন সুবিধা, প্রক্রিয়াজাতকরণ ইউনিট এবং কৃষি যন্ত্রপাতি কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী কৃষি ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবী এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণকারী কিছু বিশেষ কৃষকের হাতে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। এ সময় প্রাকৃতিক কৃষিতে সফল কৃষক, MAITRI প্রশিক্ষিত প্রযুক্তিবিদ এবং PACS প্রতিষ্ঠান যারা PMKSK ও CSC-তে রূপান্তরিত হয়েছে তাদেরও স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এতে কৃষকদের প্রেরণা যোগানোর পাশাপাশি দেশের কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যয় প্রকাশ পায়।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী কৃষক, প্রশিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সরকারের নতুন উদ্যোগ ও নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষি সম্প্রদায়কে আরও সুশৃঙ্খলভাবে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বের প্রশংসা করেন। নতুন যোজনা ও প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সরবরাহ ব্যবস্থা এবং বাজারজাতকরণের সুবিধা পেয়ে উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হবেন, যা দেশের কৃষিক্ষেত্রকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ দেশব্যাপী কৃষি খাতকে সমন্বিতভাবে শক্তিশালী করার একটি নতুন দিশা দেখাচ্ছে। কৃষি প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে দেশে কৃষি উৎপাদন এবং আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির একটি সুসংগত পথ শুরু হচ্ছে।

দুর্গাপুরে মেডিকেল কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন অজয় ধীবর, সংবাদ ...
11/10/2025

দুর্গাপুরে মেডিকেল কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন

অজয় ধীবর, সংবাদ ভাস্কর , দুর্গাপুর : দুর্গপুরের শোভাপুর এলাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী শুক্রবার রাতে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উড়িষ্যার জলেশ্বরের বাসিন্দা এই ছাত্রী সাড়ে আটটার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় অভিযোগ অনুযায়ী এক বা একাধিক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে কলেজ হাসপাতালের পেছনের রাস্তার পাশে জঙ্গলে টেনে নিয়ে যান এবং সেখানে নির্যাতন চালান।

ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল ও কলেজ চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সহপাঠী, শিক্ষক ও সাধারণ জনতার মধ্যে উদ্বেগ দেখা দেয়। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্নচিহ্ন সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই আশ্চর্য যে, একটি শীর্ষ মানের বেসরকারি মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের পেছনের রাস্তা ও আশেপাশের এলাকায় এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

আসানসোল‑দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রতিটি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, স্থানীয় স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে এবং কলেজ প্রশাসনকে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্যাতিতাকে নিরাপদ চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের জন্য তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, “ঘটনার সমস্ত দিক বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হচ্ছে, এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চলতি বছরের মধ্যে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। সহপাঠী ও অভিভাবকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে প্রতিরোধ করতে হাসপাতালের সিসিটিভি, নিরাপত্তা গার্ড এবং প্রহরী ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে হবে।

বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে ভক্তদের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা দেশবিশেষ প্রতিবেদন, বিনোদন ডেস্ক, সংবাদ ভাস্কর  :আজ...
11/10/2025

বলিউডের শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে ভক্তদের উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা দেশ

বিশেষ প্রতিবেদন, বিনোদন ডেস্ক, সংবাদ ভাস্কর :
আজ, ১১ অক্টোবর— বলিউডের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনেই জন্মেছিলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রজগতের “শাহেনশাহ” অমিতাভ বচ্চন। ১৯৪২ সালের ১১ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের আলাহাবাদ (বর্তমানে প্রয়াগরাজ)-এ জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি আজ পেরোলেন ৮৩ বছর। অথচ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জনপ্রিয়তা, অভিনয় দক্ষতা আর ব্যক্তিত্ব যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে।

অমিতাভ বচ্চনের অভিনয়জীবন শুরু হয় ১৯৬৯ সালে ‘সাত হিন্দুস্তানি’ ছবির মাধ্যমে। তবে ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত ‘জঞ্জীর’ তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। সেখান থেকেই শুরু হয় বলিউডে “অ্যাংরি ইয়াং ম্যান”-এর যুগ— যে চরিত্র হয়ে ওঠে ভারতের সাধারণ মানুষের প্রতিবাদের প্রতীক। এরপর ‘শোলে’, ‘দিওয়ার’, ‘অভিমান’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘ডন’, ‘সিলসিলা’, ‘কাভি কাভি’, ‘কালিয়া’, ‘পিকু’, ‘ব্ল্যাক’ কিংবা ‘বাগবান’— প্রতিটি ছবিতে তিনি নিজেকে নতুন রূপে হাজির করেছেন, বারবার প্রমাণ করেছেন— বয়স কেবল সংখ্যা, শিল্পী অমর।

টেলিভিশনের পর্দায়ও সমান সাফল্যের ছাপ রেখেছেন তিনি। জনপ্রিয় কুইজ শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’ তাঁকে আবারও কোটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। সম্প্রতি জন্মদিন উপলক্ষে এই শোয়ের বিশেষ পর্বে অংশগ্রহণ করেন তিনি— যেখানে জীবনের নানা উত্থান-পতন, সাফল্য আর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় আবেগে ভাসান দর্শকদের।

ভারতের সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারত সরকার তাঁকে সম্মানিত করেছে পদ্মশ্রী (১৯৮৪), পদ্মভূষণ (২০০১) এবং পদ্মবিভূষণ (২০১৫) পুরস্কারে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি সমাজসেবা, সাহিত্যে আগ্রহ, এবং নবীন শিল্পীদের অনুপ্রেরণায় অনন্য এক দৃষ্টান্ত।

আজ তাঁর জন্মদিনে সারা দেশজুড়ে ভক্তদের শুভেচ্ছার ঢল। মুম্বইয়ের জুহুতে তাঁর বাংলো “জলসা”-র সামনে সকাল থেকেই জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার ভক্ত। কেউ ফুল হাতে, কেউ পোস্টার, কেউ বা শুধু প্রণাম জানাতে— একঝলক প্রিয় নায়ককে দেখার আশায়।

৮৩ বছর বয়সেও যে মানুষটি প্রতিদিন নতুন কিছু সৃষ্টি করেন, যিনি ভারতীয় সিনেমাকে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দিয়েছেন— তাঁর জন্মদিন মানেই এক উৎসব, এক আবেগ, এক অনুপ্রেরণার দিন।

অমিতাভ বচ্চন— নামটি আজও এক কিংবদন্তি, যিনি শুধু অভিনেতা নন, এক যুগের প্রতিচ্ছবি।

ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের উৎসব— পুরাণে উন্মোচিত ভাইফোঁটার পবিত্র তাৎপর্য ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ববিশেষ প্রতিবেদন, সংবাদ ভাস্কর ...
11/10/2025

ভাই-বোনের অটুট বন্ধনের উৎসব— পুরাণে উন্মোচিত ভাইফোঁটার পবিত্র তাৎপর্য ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব

বিশেষ প্রতিবেদন, সংবাদ ভাস্কর ডিজিটাল ডেস্ক :
ভাই-বোনের অনন্য বন্ধনের প্রতীক “ভাইফোঁটা” বা “ভাইদূজ” ভারতীয় সংস্কৃতির এক চিরন্তন ঐতিহ্য। দীপাবলির পরের দ্বিতীয় দিনে এই আচার পালিত হয়। তবে এর শিকড় লুকিয়ে আছে প্রাচীন পুরাণ, ধর্মগ্রন্থ ও লোকজ ঐতিহ্যের গভীরে। একদিকে যেমন এটি ভ্রাতৃপ্রেম ও ভগ্নিস্নেহের সামাজিক বন্ধনের প্রতীক, অন্যদিকে তেমনই এর মধ্যে নিহিত রয়েছে আত্মিক রক্ষার এক গভীর তত্ত্ব।

পুরাণ মতে, যমরাজ ও তাঁর বোন যমুনা এই আচারটির সূচনা করেছিলেন। কথিত আছে, যমুনা দেবী তাঁর ভাই যমকে ঘরে আমন্ত্রণ জানান এবং স্নান, আহার ও স্নেহভরা অভ্যর্থনার মাধ্যমে তাঁর কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন। যমরাজ, বোনের এই ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে আশীর্বাদ দেন যে, যেকোনো বোন যদি শ্রদ্ধা ও ভক্তি সহকারে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দেয়, তবে সেই ভাই দীর্ঘায়ু ও সুখে জীবনযাপন করবে। সেই থেকেই ভাইফোঁটার প্রথার সূচনা।

অন্য একটি মতে, কৃষ্ণ ও সুভদ্রার মধ্যেও এই প্রথার নিদর্শন মেলে। নারকাসুরের বধের পর কৃষ্ণ যখন দ্বারকায় ফিরে আসেন, তখন বোন সুভদ্রা তাঁর কপালে তিলক পরিয়ে রক্ষাকবচ হিসেবে ফোঁটা দেন। সুভদ্রা তখন কৃষ্ণের মঙ্গল ও অকল্যাণ নিবারণের প্রার্থনা করেন। সেই থেকেই “ভাইফোঁটা”র রীতি মানবসমাজে এক আদর্শ ভালোবাসার নিদর্শন হয়ে ওঠে।

ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা যায়, ভাইফোঁটার আচার কেবল একটি সামাজিক রীতি নয়, এটি মূলত এক আধ্যাত্মিক প্রতিজ্ঞা— বোনের পক্ষ থেকে ভাইয়ের মঙ্গলকামনা, আর ভাইয়ের পক্ষ থেকে বোনের সুরক্ষার অঙ্গীকার। ফোঁটার রঙ, উপাচার ও মন্ত্রের মধ্যেও লুকিয়ে থাকে পবিত্রতা ও আশীর্বাদের সঞ্চার। শাস্ত্র মতে, এই দিনে বোন ভাইকে মিষ্টি খাইয়ে তাঁকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করার প্রার্থনা করেন, এবং ভাই প্রতিজ্ঞা করেন আজীবন বোনের পাশে থাকার।

ভাইফোঁটা কেবলমাত্র এক পারিবারিক অনুষ্ঠান নয়, এটি এক আদর্শ মানবিক সম্পর্কের প্রতীক— যেখানে আত্মীয়তার গণ্ডি ছাড়িয়ে প্রেম, শ্রদ্ধা ও দায়বদ্ধতার এক চিরন্তন বার্তা নিহিত রয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এই প্রথা আমাদের সমাজে ভাই-বোনের সম্পর্ককে করেছে আরও মজবুত, আরও পবিত্র।

আপনি চাইলে আমি এই লেখাটার একটি ভয়েস ওভার স্ক্রিপ্ট ভার্সনও তৈরি করে দিতে পারি— সংক্ষিপ্ত, আবেগময় ও রেডিও-স্টাইল টোনে। কি আপনি সেটা চান?

চিরস্থায়ী মা লক্ষ্মী— কেন তাঁর প্রতিমার নিরঞ্জন নয়, পুরাণে লুকিয়ে আছে এক গভীর তত্ত্ববিশেষ প্রতিবেদন, সংবাদ ভাস্কর ডিজ...
10/10/2025

চিরস্থায়ী মা লক্ষ্মী— কেন তাঁর প্রতিমার নিরঞ্জন নয়, পুরাণে লুকিয়ে আছে এক গভীর তত্ত্ব

বিশেষ প্রতিবেদন, সংবাদ ভাস্কর ডিজিটাল ডেস্ক :
হিন্দু ধর্মাচার ও পৌরাণিক সংস্কৃতির পরম্পরায় দেবী লক্ষ্মীকে বলা হয় “চিরস্থিতা”— অর্থাৎ তিনি এমন এক দেবী যিনি কখনও ত্যাগ করেন না ভক্তের গৃহ, মন বা সংসার। তাই অন্যান্য দেব-দেবীর মতন লক্ষ্মী প্রতিমার নিরঞ্জন বা বিসর্জন হয় না। কিন্তু এই প্রথার পেছনে রয়েছে এক গভীর ধর্মীয় ও দার্শনিক তাৎপর্য, যা পুরাণের পৃষ্ঠায় স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ ও পদ্মপুরাণের উল্লেখ অনুযায়ী, দেবী লক্ষ্মী হলেন ভগবান বিষ্ণুর অর্ধাঙ্গিনী, অর্থাৎ সৃষ্টির রক্ষক শক্তির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁকে “অলক্ষ্মী বিনাশিনী” ও “শ্রীদায়িনী” নামে অভিহিত করা হয়। বিশ্বাস করা হয়, যেখানে লক্ষ্মীর অবস্থান, সেখানে সমৃদ্ধি, শান্তি ও সৌভাগ্য স্বয়ং বিরাজ করে। তাই তাঁর প্রতিমাকে বিসর্জন দেওয়া মানে ঘর থেকে ঐশ্বর্য ও শুভশক্তিকে বিদায় জানানো— যা শাস্ত্রে অমঙ্গল হিসেবে গণ্য।

পুরাণে আরও বলা হয়েছে, দেবী লক্ষ্মী কখনোই স্থায়ীভাবে চলে যান না— তিনি কেবল রুষ্ট হলে সাময়িকভাবে মুখ ফিরিয়ে নেন, কিন্তু তাঁকে পূজার মাধ্যমে পুনরায় আহ্বান করা যায়। তাই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো বা দীপান্বিতা অমাবস্যায় ঘরে ঘরে মাটির প্রতিমা প্রতিষ্ঠা করা হলেও, পূজা শেষে তাঁর মূর্তিকে বিসর্জন না দিয়ে বাড়ির অভ্যন্তরে সযত্নে সংরক্ষণ করা হয়। অনেক পরিবারে দেবী লক্ষ্মীর চিত্র বা প্রতিমা বছরভর গৃহস্থালির পূজাস্থলে রেখে প্রতিদিন ধূপ-দীপে পূজা করা হয়— এই প্রথাই বোঝায় দেবীর “চিরাবাস”।

লোকবিশ্বাসে আরও একটি দার্শনিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। দেবী লক্ষ্মীকে কেবল সম্পদের দেবী নয়, বরং শুভ চিন্তা, সৌন্দর্য ও মঙ্গলবোধের প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়। তাই তাঁর প্রতিমা বিসর্জন দিলে তা প্রতীকীভাবে শুভশক্তির বিলোপ হিসেবে বিবেচিত। শাস্ত্রে বলা হয়েছে— “যত্র লক্ষ্মীঃ স্থিতা তত্র সর্বমঙ্গলমাশ্রিতম্”, অর্থাৎ যেখানে লক্ষ্মীর অবস্থান, সেখানে মঙ্গল স্বয়ং বিরাজমান।

এই কারণেই বাংলার ঘরে ঘরে কোজাগরী রাত্রির প্রার্থনা শেষ হলেও, মা লক্ষ্মীর প্রতিমা থেকে যায় ভক্তের গৃহে— যেন চিরদিন আশীর্বাদে ভরা থাকে সংসারের প্রতিটি কোণ, প্রতিটি শ্বাসে জেগে থাকে সমৃদ্ধির আলোক।

10/10/2025

কলকাতার নাজেহাল বৃষ্টি :

নৈহাটির ‘বড় মা’— ভক্তির অম্লান দীপ, আস্থা ও অলৌকিকতার মেলবন্ধন”সুজয় দাস, সংবাদ ভাস্কর, নৈহাটী : উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি শ...
09/10/2025

নৈহাটির ‘বড় মা’— ভক্তির অম্লান দীপ, আস্থা ও অলৌকিকতার মেলবন্ধন”

সুজয় দাস, সংবাদ ভাস্কর, নৈহাটী : উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি শহর আজ শুধুই একটি ঐতিহাসিক স্থান নয়, বরং এক আধ্যাত্মিক কেন্দ্র। এখানকার ‘বড় মা’ কালী মন্দিরকে ঘিরে ভক্তি, বিশ্বাস আর অলৌকিকতার এক অনন্য ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে বহু বছর ধরে। স্থানীয় মানুষদের কাছে ‘বড় মা’ শুধু দেবী নন, তিনি আশ্রয়, আশীর্বাদ ও আস্থার প্রতীক।

প্রায় এক শতাব্দী আগে নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তীর হাত ধরে শুরু হয়েছিল এই পূজো। সেই সময় ছোট্ট পরিসরে অনুষ্ঠিত এই কালীপুজো আজ পরিণত হয়েছে রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসবে। প্রথমদিকে “ভবেশ কালী” নামে পরিচিত হলেও, পরবর্তীকালে স্থানীয় মানুষদের স্নেহ ও শ্রদ্ধা থেকেই দেবী পরিচিতি পান “বড় মা” নামে।

প্রতি বছর দীপাবলির সময় পুজো ঘিরে নৈহাটি শহরজুড়ে সাজে উৎসবের রঙ। কালীপুজোর দিনে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান মন্দির প্রাঙ্গণে। ভক্তদের ভিড় সামলাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সর্বত্র থাকে পুলিশ মোতায়েন, সিসি ক্যামেরা ও ড্রোনের নজরদারি।

মন্দিরের অন্তঃস্থলে দেবীর অলঙ্কারে সজ্জিত মূর্তির সামনে মাথা নত করেন সকলেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ‘বড় মা’র মন্দিরের লকারে রয়েছে প্রায় ১০০ ভরি সোনা ও ২০০ ভরি রুপোর অলঙ্কার, যা ভক্তদের মানত ও শ্রদ্ধার নিদর্শন। কেউ কেউ সন্তানের প্রার্থনায়, কেউ আবার রোগমুক্তির আশায় এখানে আসেন। বহু মানুষের বিশ্বাস— বড় মা যাঁর কপালে হাত রাখেন, তাঁর জীবনের দুঃখ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।

ভক্তদের সুবিধার্থে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চালু হয়েছে অনলাইন পুজোর ব্যবস্থাও, যেখানে নাম ও গোত্র পাঠিয়ে দূর থেকেও আরাধনা করা যায় দেবীর কাছে। নৈহাটির মানুষ যেমন এই পুজোকে তাদের জীবনের অংশ বলে মনে করেন, তেমনই বাইরের জেলাগুলো থেকেও বহু ভক্ত প্রতিবছর এখানে আসেন ‘বড় মা’র আশীর্বাদ নিতে।

আলোর উৎসবের রাতে এই মন্দিরের প্রাঙ্গণ যেন ভাসে ভক্তির দীপ্তিতে। ঢাকের বাদ্যি, প্রদীপের আলো আর ধূপের গন্ধে মিশে থাকে এক অপার্থিব আবেশ। দেবী ‘বড় মা’ নৈহাটির গর্ব, বাংলার আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক অমর প্রতীক।

অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে অফলাইন জীবন হারাল শিশুরা সুজয় দাস, সংবাদ ভাস্কর ডিজিটাল ডেস্ক :করোনার সময় যখন গোটা পৃথিবী থমকে ...
09/10/2025

অনলাইন ক্লাসের অজুহাতে অফলাইন জীবন হারাল শিশুরা

সুজয় দাস, সংবাদ ভাস্কর ডিজিটাল ডেস্ক :
করোনার সময় যখন গোটা পৃথিবী থমকে গিয়েছিল, তখনই ঘরবন্দি বাচ্চাদের একমাত্র সঙ্গী হয়ে উঠেছিল মোবাইল ফোন। পড়াশোনা থেকে শুরু করে বিনোদন— সব কিছুই সরে এসেছিল হাতের মুঠোয়। কিন্তু সেই সাময়িক প্রয়োজন আজ যেন রূপ নিয়েছে এক গভীর আসক্তিতে। এখন মোবাইল ছাড়া যেন এক মুহূর্তও চলা দায় শিশু-কিশোরদের। এই ডিজিটাল নির্ভরতার পরিণতি নিয়ে চিন্তিত অভিভাবক থেকে শুরু করে মনোবিজ্ঞানী— সকলে।

মনোবিজ্ঞানীদের মতে, শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের সময় দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহারের ফলে নিউরনের সংযোগে ব্যাঘাত ঘটে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ডোপামিন নামক হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে শিশুদের মন আনন্দের তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ তারা ধৈর্য, মনোযোগ ও আত্মনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারাতে শুরু করে। এর ফলেই দেখা দিচ্ছে অতিরিক্ত রাগ, মনোযোগের অভাব, ঘুমের সমস্যা এমনকি বিষণ্ণতা পর্যন্ত।

শিশুস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন ২ ঘণ্টার বেশি স্ক্রিন টাইম শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। চোখের কর্নিয়ায় চাপ পড়ে, মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, ঘুমের অভাবের মতো সমস্যা বাড়ছে হুহু করে। দীর্ঘ সময় মোবাইলে গেম খেলা বা ভিডিও দেখার কারণে শারীরিক নড়াচড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ফলে স্থূলতা বা মেদবহুলতার সমস্যাও ক্রমেই বাড়ছে কচিকাঁচাদের মধ্যে।

আরও চিন্তার বিষয়, ভার্চুয়াল দুনিয়ার প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতার ফলে বাস্তব সম্পর্কের টান কমছে শিশুদের মধ্যে। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে খেলা, গল্প বা বই পড়ার মতো অভ্যাস প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা কমে গিয়ে একাকিত্ব আর মানসিক অস্থিরতা বাড়াচ্ছে বহুগুণে।

ব্রিটিশ জার্নাল অব সাইকোলজির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যে শিশু প্রতিদিন গড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার করে, তাদের একাগ্রতার মাত্রা তুলনায় ৩০% কমে যায়। আবার স্লিপ মেডিসিন রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, রাতে শোবার আগে মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিশুদের মধ্যে মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণ ব্যাহত হয়, ফলে ঘুমের মান নষ্ট হয় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, অভিভাবকদের এখনই সতর্ক হতে হবে। শিশুদের সঙ্গে বাস্তব জগতের যোগাযোগ বাড়াতে হবে— গল্প বলা, বই পড়া, খেলাধুলায় উৎসাহিত করা জরুরি। প্রযুক্তিকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা নয়, বরং তার সঠিক ব্যবহার শেখানোই হতে পারে সমস্যার একমাত্র সমাধান।

করোনার সময় যে মোবাইল ছিল শিক্ষার সেতুবন্ধন, আজ সেই সেতুই ভাঙছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মানসিক ভারসাম্য। তাই এখনই প্রয়োজন সচেতনতা, সংযম এবং বিকল্প আনন্দের জগৎ গড়ে তোলা— না হলে এই ডিজিটাল আসক্তিই হয়ে উঠবে আগামী দিনের নীরব মহামারি।

Address

46/2, Roy Bahadur Road, Behala
Kolkata
700034

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sangbad Bhaskar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sangbad Bhaskar:

Share