25/09/2025
একরাতের বৃষ্টিপাতে কলকাতা শহর জলের তলায়। বহু স্থানে এখনো জল নামেনি, দু'দিন হতে চলল। কারেন্টের সমস্যা, জলের কষ্ট ছাড়া আরো হাজার সমস্যায় আক্রান্ত শহরবাসী।
তার মধ্যে ম'রার উপর খাঁড়ার ঘা — আলিপুর আবহাওয়া দফতর কোনো এক নিম্নচাপের অ'শনি সংকেত দিচ্ছে।
এসব খবর শুনে ও দেখে সোমনন্দী অর্থাৎ মায়ের সিংহ মাথা চুলকে বলল, "এসব কী হচ্ছে মা! বৃষ্টিতে থাকবো নাকি আমরা? এরা আমাদের মহালয়ার আগে থেকে জোর করে ডাক করিয়ে আনলো, আর এখন কী হচ্ছে!"
"কী আর করা যাবে! মেনে নিতে হবে", মায়ের মুখ ভার।
"তুমি তো সব পারো। বৃষ্টিটা বন্ধ করিয়ে দাও দেখি ইন্দ্রদেবকে ডেকে! সে নিশ্চিত ইচ্ছে করে তোমার আগমণ কালে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে!"
"প্রকৃতির নিয়মে যেটা ঘটতে চলেছে, তা বদলানো আমার পক্ষেও সম্ভব নয়। অনুচিত কাজ।"
"তাহলে আরকি! অস্ত্রশস্ত্র রেখে দিয়ে ছাতা ধরো। নামেই তো এলে গজে, আসলে তো জলে সাঁতরাতে হলো আমাদের। শহরে যেন বন্যা লেগেছে!"
"আমাকে আর অতিষ্ঠ করো না সোমনন্দী, আমি এমনিতেই ভীষণ বিষন্ন"।
"ওই যে তোমার ছেলে মেয়েরা আসছে, দেখো দেখো নতুন ছাতা, রেনকোট কিনেছে। তোমারও লাগবে, তুমিও নিয়ে নাও। একহাতে ছাতা, আরেক হাতে জুতো জোড়া, বাকি হাত গুলোতেও অস্ত্র ছেড়ে.....",
"মশকরা হচ্ছে! আসার সময় কেমন জলে সাঁতরাতে না পেরে হাবুডুবু খাচ্ছিলে মনে নেই! আমি হাত ধরে টেনে তুলেছি"।
"আমার কি আর কাজ সাঁতার কাটা! তবে এবার পুজোয় মনে হচ্ছে তাই করতে হবে! ও মা, ফেরার সময় নৌকা নিও, ঠিক আছে!"
"সে দেখা যাবে ক্ষণ! এখন ভালোয় ভালোয় দিনগুলো কাটুক"।
কলমে মিশু - Mishu
ছবি - noodledoodlebyrb
#অবুঝের_পেন্সিল #দেবীমাহাত্ম্য #পুজো #দুর্গা #দুয়ারেবন্যা