Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি

  • Home
  • India
  • KOLKATA
  • Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি

Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি কলকাতাবাসী যখন ভেবেছে না, সম্ভব না।
কলিকাতার অলিগলি পেয়েছে সম্ভাবনা।
(1)

"যে পাখিটা আজ জন্মেছিল " ধীরে ধীরে উড়তে শিখে খড়কুটো এনে জমাতে শুরু করে আমার যত্ন করে সাজানো চির সবুজ শাখা প্রশাখার মধ্...
02/06/2025

"যে পাখিটা আজ জন্মেছিল "

ধীরে ধীরে উড়তে শিখে খড়কুটো এনে জমাতে শুরু করে আমার যত্ন করে সাজানো চির সবুজ শাখা প্রশাখার মধ্যে ডালে। পাখিটি বাসা বাঁধে, যাতায়াত শুরু করে। বন্ধুত্ব করে গাছটির সাথে। প্রাতঃসন্ধ্যায় বেরিয়ে শরতের রোদ ঝলমলে আকাশের মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলার গল্প শোনায়। শীতের কুয়াশা ভরা দিনে উষ্ণতা দিয়ে মুড়িয়ে দেয় ডালপালাগুলোকে। বসন্তের সায়ং সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে প্রেমের সুর শোনায় তার কন্ঠে।

গাছটা পাখিটাকে শুধুমাত্র একটা আশ্রয় স্থল'ই দিয়েছে,যাতে সে দিন শেষে তার কাছে ফিরে আসে।

হঠাৎ'ই এক সন্ধ্যায় পাখিটা আর আইলো না। আচমকাই ঝড় আইসা তছনছ করিয়া দিল প্রতিটি ডালপালা'কে। বাসাটা গড়িয়ে পড়িল গাছটির গোড়ায়। আশপাশের গাছগুলোর কোন পাতা পর্যন্ত নড়িল'না। কেহ জানিল না কোন ঝড়ে দুমরাইয়া মুচরাইয়া গেল আমার যত্ন করে সাজানো গাছ'খানা। আমিও জানিলাম না কেন নুইয়ে পড়িল আমার শখের গাছ'খানার প্রতিটা ডাল। পাখিটা এখনো আমার গাছের উপর দিয়া উড়িয়া চলিয়া যায়। ফিরিয়াও তাকায় না গাছটির দিকে। উড়িয়া যায় অন্য কোথাও বাঁধা বাসায়। আমার গাছটা পড়ে যাওয়া ওই পাখিটার বাসা খান লইয়া দাঁড়াইয়া আছে।

যে পাখিটা আজ প্রথম প্রকৃতির আলো দেখিয়াছিল।

কলমে - #অলিগলি_শান্তনু
ছবি সংগৃহীত

ক্যালিগ্রাফিতে -  #অলিগলি_ভূমিকা ❤️
01/06/2025

ক্যালিগ্রাফিতে - #অলিগলি_ভূমিকা ❤️

বাইরে তুমুল ঝড় বৃষ্টি সাথে দমকা হাওয়া শরীরটা মাঝে মধ্যে শিরশির করে উঠছে, হঠাৎ সেইসময় একজন ছাতাটা এগিয়ে দিয়ে বলল, বৃষ্টিত...
13/05/2025

বাইরে তুমুল ঝড় বৃষ্টি সাথে দমকা হাওয়া শরীরটা মাঝে মধ্যে শিরশির করে উঠছে, হঠাৎ সেইসময় একজন ছাতাটা এগিয়ে দিয়ে বলল, বৃষ্টিতে ভিজো না ঠান্ডা লেগে যাবে। আমি তাকাতেই দেখি কেউ নেই তো সেখানে চারিদিক শুধু ঘুটঘুটে অন্ধকার... ওহ্ আমি ভুলেই গেছি, আমি তো এখন কফিনে বন্দী। আমার আর বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লাগবে না।।

কলমে - #অলিগলি_স্নেহা_দাস
ছবি সংগৃহীত

শনিবারের বিকেল। অক্ষরালয় এখন মুখরিত। অক্ষরালয় কী জানতে চাইছেন? সুন্দর সবুজে ঘেরা এক পাড়ার মানুষদের বই পড়ার বিশ্বস্ত ...
12/05/2025

শনিবারের বিকেল। অক্ষরালয় এখন মুখরিত। অক্ষরালয় কী জানতে চাইছেন? সুন্দর সবুজে ঘেরা এক পাড়ার মানুষদের বই পড়ার বিশ্বস্ত লাইব্রেরি। এখানে বুড়ো বাচ্চা সবাই আসেন বই পড়তে। তেমনই এসেছে দুই তরুণ তরুণী - রুদ্র এবং মেহুল। পাড়ার দাদু দিদাদের কাছে তারা বইপোকা দম্পতি এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে বুকওয়ার্ম কাপল। এই শনিবারের বিকেল ওদের একদম নির্দিষ্ট। সারা সপ্তাহ কাজে ব্যস্ত থাকার পর এই একটা ওরা দেখা করার সময় পায়। তাই দেখা করতে চলে আসে গ্রন্থাগারে। চারিদিকে বইয়ের পাহাড়, দুজনের সামনে দু কাপ কফি আর কোনো একটা বই। একটা বই নিয়ে দুজনের মাঝে চলে আলোচনা আর সঙ্গে প্রেম বিনিময়। এই বইয়ের মাঝেই দুজন দুজনকে পেয়েছিল প্রায় বছর তিনেক আগে।
তেমনই আজকেও —

মেহুল : কি ব্যাপার রুদ্র? আজকে কোন বই তুললে তুমি?

রুদ্র : দেখে কি মনে হচ্ছে ?

মেহুল : ব্যোমকেশ!

রুদ্র : হুঁ।

মেহুল : তুমি নিজেকে কি ব্যোমকেশ বক্সী মনে করো?

রুদ্র : কেন? তোর মনে হয় না? আমি সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ বক্সী। কেন? তোর আমাকে বুদ্ধিমান বলে মনে হয় না?

মেহুল : না। বরং তুমি সবজান্তা।
( বলেই হো হো করে হেসে ওঠে সে। রুদ্র ওর মুখটা চেপে ধরে। লাইব্রেরির বাকিরা ওর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকায়। ইতস্তত মেহুল সুকুমার রায়ের হিজিবিজবিজ বইটা টেনে বের করে নিয়ে এসে পড়তে শুরু করে। )

রুদ্র : তুই কি জানিস শেক্সপিয়রের মতে সমস্ত প্রেমিক সর্বদা সঠিক!

মেহুল: লোকটা নিজে প্রেমিক ছিলো বলে একটু বাড়িয়ে বলেছেন। এর বেশি আর কিছুই নয়। প্রেমিকরা ভুল হয় সবসময়। বুঝলেন সবজান্তা।

এই মেয়েটা সব কথাই বাঁকা বাঁকা করে সরিয়ে নিয়ে যায় অন্যদিকে। কিছুতেই রুদ্রের কথাই সহমত পোষণ করে না সে। তবে মেহুলকে হাসতে দেখে এবারে হেসে ফেলে রুদ্র। আর পেছনের বইগুলো যেন সাক্ষী হয়ে থাকল তাদের গল্পের—যেখানে প্রেম জন্ম নেয় পাতার পর পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে।

কলমে - #অলিগলি_ঐশ্বর্য
ছবি সংগৃহীত

"ভালোবাসা" শব্দটি খুব তাড়াতড়ি উচ্চরণ করা গেলেও, নিঃস্বার্থভাবে পালন করাটা ততটাই কঠিন। কোথাও আছে ভালোবাসা পাথরেও প্রাণ দি...
30/04/2025

"ভালোবাসা" শব্দটি খুব তাড়াতড়ি উচ্চরণ করা গেলেও, নিঃস্বার্থভাবে পালন করাটা ততটাই কঠিন। কোথাও আছে ভালোবাসা পাথরেও প্রাণ দিতে পারে...
কিন্তু অবহেলার পাত্র আসলেই তারা, যারা নিঃস্বার্থে ভালোবেসে যেতে পারে সে যে সম্পর্কই হোক না কেন, স্নেহ দিয়ে ভরিয়ে রাখে দিনের শেষে তারাই হয়তো বড্ডো একা।
একাকিত্বের কালো ছায়া হয়তো তাদেরই গিলে খায়। যেই মানুষগুলোকে তারা একটা সময়ে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানব হিসেবে গণ্য করেছিল, তারাই অনায়াসে দরকার মিটিয়ে হাত ছেড়ে অবলীলাক্রমে চলে যায়। তারপর সেই মানুষ গুলো কেবল বেঁচে থাকে সেই স্মৃতি আঁকড়ে ধরে।
এই কলকাতার বুকে এমন কত সম্পর্ক শুধুই মাত্র ইগোর প্রবল স্রোতে ভেসে গেলো তার হিসেব নেই। আরো হাজার সম্পর্ক ভাঙবে গড়বে এখানে, তবে কুর্নিশ জানাই সেই ভালোবাসার মানুষগুলোকে যারা আজও এই হৃদয়হীন পৃথিবীতে ভালোবাসা বিতরণ করছে।

কলমে - #অলিগলি_কালান্তর
ছবি সংগৃহীত

প্রতিদিনই তো তোমায় মনে পড়ে। তবে আজ এই শান্ত বৃষ্টি ভেজা দিনে শুকিয়ে যাওয়া তোমার স্মৃতির নদী কেন উত্তাল হয়ে বইছে আমা...
29/04/2025

প্রতিদিনই তো তোমায় মনে পড়ে। তবে আজ এই শান্ত বৃষ্টি ভেজা দিনে শুকিয়ে যাওয়া তোমার স্মৃতির নদী কেন উত্তাল হয়ে বইছে আমার মনে? চ্যাটিং- এ কথা বলা,রাস্তার অপর প্রান্ত থেকে দেখা ছাড়া আর তো কোনো অধিকার ছিল না। তবে আজ কেন সীমাবদ্ধতা কাটাতে মন ব্যাকুল হয়ে উঠেছে? কেন তোমার হাতটা শক্ত করে ধরতে মন চাইছে? কেন পাশাপাশি হাঁটতে মন চাইছে? কেন বৈশাখীর উত্তাল ঝড় শেষের শান্ত পরিবেশে তোমার প্রাণ খোলা নাচ দেখতে মন চাইছে? কেন তোমায় বৃষ্টিস্নাত দেখতে মন চাইছে?

অনেক দিন পর আজ ছাদ বাগানে গিয়েছিলাম। ঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে আমার গাছের প্রতিটা ডাল-পালা।
বৃষ্টিতে ভিজে চোখ দুটো পুরো লাল হয়ে গেছে। গাল বেয়ে পড়ছে সাগরের নোনা জল। বৃষ্টি ভেজা দিনেও আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। কানে তীব্র ভাবে ভেসে আসছে তোমার নূপুরের আওয়াজ।সজোরে বিদ্যুৎ চমকানোর মতো বাড়ি মারছে আমার বুকের বাম পাশ'টায়।

আচ্ছা তোমার আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়? নাকি বারো মাস বসন্ত?
সত্যি ভালো আছো তো তুমি?


কলমে - #অলিগলি_শান্তনু
ছবি সংগৃহীত

পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে,ভাঙাচোরা মন, নিদারুণ কষ্ট শেষ করছে আমায় আজকে।কলমে -  #অলিগলি_অনু 🖤🌷ছবি স...
08/04/2025

পুরোনো স্মৃতি আঁকড়ে ধরে হারিয়ে ফেলেছি নিজেকে,
ভাঙাচোরা মন, নিদারুণ কষ্ট শেষ করছে আমায় আজকে।

কলমে - #অলিগলি_অনু 🖤🌷
ছবি সংগৃহীত

আজকে কলেজের প্রথম দিন ছিল গৌরবের। দিন বেশ ভালোই কেটেছে তার। কলেজ থেকে ফিরে নিজের হোস্টেল রুমে ঢুকে সব জিনিস সরিয়ে রেখে ...
07/04/2025

আজকে কলেজের প্রথম দিন ছিল গৌরবের। দিন বেশ ভালোই কেটেছে তার। কলেজ থেকে ফিরে নিজের হোস্টেল রুমে ঢুকে সব জিনিস সরিয়ে রেখে একটু বিছানার সাথে গা এলিয়েছিল সে, কখন যে চোখ লেগে আসে বোঝেনি। রাত তখন গভীর চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন...হুট্ করে সেই নিঃস্তব্ধতা ভেঙে এক নারীর পায়ের নুপুরের শব্দ বেজে উঠলো তার কানে। সে ঘুমের ঘরেই অনুভব করলো তার শরীরে এক নারী মূর্তির স্পর্শ। সে ঘুমের ঘোরে বুঝতে পারছে, সেই হাত আসতে আসতে তার পা বেয়ে উঠে তার পেট হয়ে উঠে ক্রমশ এগিয়ে আসতে লাগলো তার বুকের ওপর। আসতে আসতে সে বুঝতে লাগলো তার বুকের ওপর হাত বোলাচ্ছে সেই নারী, সে চুম্বনের অনুভব করতে লাগলো তার ঘাড়ে। আসতে আসতে গৌরবের সেই স্বর্গ সুখ এক বিভীষিকায় রূপান্তরিত হয়ে গেলো... মনে হলো তার বুকের মধ্যে কেউ তার বাঘিনীর বড়ো ধারালো নখ দিয়ে আছড়ে দিচ্ছে শ্বাসরোধ হয়ে যাচ্ছে তার।
সে ধড়ফরিয়ে উঠে বসলো বিছানায়, নিজেকে আবিষ্কার করল নিজের ঘরে। সারাদিনের ক্লান্তিতে এটা নিতান্তই তার কল্পনা ভেবে এবং এমন উদ্ভট স্বপ্ন দেখায় মনে মনে একটু লজ্জা পেয়ে মুচকি হেসে আবার ঘুমিয়ে পড়লো সে। পরের দিন কলেজে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে উঠে স্নান করার সময় বুকে আবিষ্কার করে সেই আঁচড়ের দাগ। মনে মনে আতঙ্কিত হয়ে পরে খানিক্ষণের জন্য তবে পরক্ষণেই নিজের মনকে বুঝিয়ে, স্নান করে তৈরী হয়ে কলেজের জন্য বেড়িয়ে পরে।
অনেক দিন যেতে লাগলো। সবই ঠিক ছিল কিন্তু সেই রাতে ঘুমোনোর পর সেই নারীর তার গুপ্ত জায়গায় স্পর্শ করা থেকে শুরু করে আরো যা যা অনুভূতি সেইগুলো বাড়তে লাগলো।
কলেজের বেশ কিছু দিন তার ভালোই কাটলো। বেশ কয়েকজনের সাথে আলাপ হলো...গৌরব তাদের তার রুমে ডাকলো, হটাৎ কথায় কথায় তার হোস্টেলের কথাখানা আসতেই সবাই চুপ করে গেলো। কেউ সেই প্রসঙ্গে তেমন উৎসাহ দেখিয়ে কথা বললো না।
শুধু গৌরব কে বললো — "ভাই যদি কোনো দরকার পরে আমাদের রুমে এসে থাকতে পারিস। অথবা ডাকতে পারিস রাতে কোনো অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় জানাস ভাই।"
ওদের হুট্ করে এমন আচরণে রুমে যাওয়া অস্বীকার করা ঠিক মনে ধরলো না। পরে হয়তো ভাবলো সে নতুন বলে তার সুবিধা অসুবিধার কথা খেয়াল রাখতে যেতে সে বিরক্ত বোধ না করে।
কলেজ শেষে নিজের রুমে এসে গৌরব গা, হাত-পা ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে এসে লক্ষ্য করলো....তার রাখা কিছু জিনিস এই ধার থেকে ঐধার ওলোট পালোট হয়ে আছে। কিন্তু তার স্পষ্ট মনে আছে সে ফোনের চার্জারখানা বিছানার অপর রেখেছিলো।
এইবার আসতে আসতে একটু অস্বস্তি হতে লাগলো গৌরবের। হুট্ করে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। মনে হতে লাগলো এই রুমে সে একা না আছে কেউ তার সাথে।
সে যখন থেকে ঢুকেছে রুমে তাকে কেও লক্ষ্য করে যাচ্ছে সমানতালে। তার স্নান করার সময়ে তার নগ্ন দেহর দিকে কারোর দৃষ্টি থাকে, সে ঘুমোলে তার কাছে আসে সে, সে কোনো কাজ করলে তার পেছন দিয়ে ঘুরে বেড়ায় সে। এই রুমের কোনো এক দেয়াল থেকে দুটো চোখ যেন দেখছে তাকে।
হুট্ করে সে তার ঘাড়ে একটি হাতের স্পর্শ পেলো। কেঁপে উঠে পেছনে তাকিয়ে দেখলো তার এক বন্ধু ঋষভ।

ঋষভ — ভাই কতক্ষণ ধরে কল করছি! বাধ্য হয়ে চলেই এলাম তোর খাতাটা নিয়ে। তুই ক্লাসে ফেলে এসেছিলি...নে ধর...... আসি রে।
গৌরব — ঋষভ দাঁড়া! ভাই তোর সাথে কিছু কথা ছিল.....
ঋষভ — হ্যাঁ বল না, কি বলবি ?
গৌরব — আজ রাতটা একটু তোর সাথে থাকতে দিবি রে ভাই তোর রুমে?
ঋষভ — হ্যাঁ কেন দেবো না? এতে আবার এভাবে বলার কী আছে? তুই আমার ভাইয়ের মতন রে, নিশ্চয়ই চলে আয়।
সারা সন্ধ্যে কোনো অসুবিধা হয়নি। দুই বন্ধু একসাথে খেয়ে-পড়ে উঠে ঘুমিয়েছে....রাত তখন গভীর।

গৌরবের চোখ নুপুরের ছমছম আওয়াজে খোলে। সে চোখ মেলে দেখে বারান্দা দিয়ে এক নারী মূর্তি কার্নিশের ওপর হাঁটছে আর গৌরবের দিকে তাকিয়ে ভয়ঙ্করভাবে হাসছে। গৌরব আতঙ্কে চোখ সরাতেই রুমের সিলিং এর ওপর দেখে সেই নারী মূর্তি উল্টো ঝুলে তাকিয়ে আছে!
এটা কী ভাবে সম্ভব!?
পাশে হাত দিয়ে দেখে তো সেখানে ঋষভ নেই!
তার জায়গায় সেই নারী মূর্তি শুয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে যে এখন তার গায়ের ওপর উঠে, তার বুকে সমানতালে আঁচড়াচ্ছে।
গৌরব একটি জোরে আর্তনাদে করে উঠে পরে উঠে সে চেঁচাতে আরাম্ভ করে তার এহেনো আর্তনাথ শুনে ঋষভ ঘরে ঢুকে বলে...
ঋষভ — কী হয়েছে ভাই? চিৎকার করছিস কেন? আরে আমি একটু ওয়াশরুম গেছিলাম তার মধ্যে তুই উঠে পড়েছিস কেন?...একি গা তো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে!
গৌরব — ওই মেয়েটা....ও আমাকে মেরে ফেলবে! ওর উপস্থিতি আমি প্রতি মুহূর্তে টের পাই, আতঙ্কে জর্জরিত করে রাখে আমাকে...আমি আর বাঁচবো না।
জোরে কাতরাতে কাতরাতে গৌরব বলতে থাকে
ঋষভ — আহঃ! তুই দাঁড়া আমি জল পট্টির ব্যবস্থা করছি, জ্বরের ঘোরে ভুল বোকছিস তুই...
সেই রাতরা কাটে কোনো ভাবে সকালে গৌরবকে চোখ খুলতে দেখে তার মাথার কাছে ঋষভের সাথে তার বন্ধু অনিমেষ দাঁড়িয়ে আছে।
অনিমেষ — হ্যাঁ রে ভাই! কিসব শুনছি? তুই নাকি মাঝরাতে চিৎকার করছিলি...তার পরেই নাকি জ্বর এসেছে
ঋষভ — গৌরব, কোনো অসুবিধা হলে আমাদের বলতে পারিস...
গৌরব — তোরা কেউ বুঝতে পারছিস না! ওই মেয়েটা!! মেয়েটা শেষ করে দেবে আমাকে!!!

বলে সে আবার চিৎকার করতে শুরু করলো।

ঋষভ — আচ্ছা আচ্ছা বলতে হবে না তুই শান্ত হয়ে শুয়ে থাক এখন উত্তেজিত হোশ না।

কয়েকদিনের মধ্যে আর তেমন কোনো অসুবিধা হয়না আসতে আসতে গৌরব সুস্থ হয়।
এই কয়েকদিন ঋষভ আর অনিমেষ ছিল তার সাথে তার রুমে, আসতে আসতে যে যার কাজে বেস্ত হয়ে পরে। এই কয়েক দিনে অনেক অ্যাসাইন্মেন্ট জমে গেছে কলেজে গৌরবের। ফলেই সে তার বিছানার অপর বসে বসে সেই গুলো শেষ করা আরম্ভ করে। মনোযোগ সহকারে কাজ করছিলো সে, তখন প্রায় রাত ২:৩০ তার জানলায় সে কারোর জোরে জোরে প্রহর করার শব্দ শুনতে পেলো। সে দেখতে লাগতো তার সাড়া ঘরের দেয়াল থোড় থোড় করে কেঁপে চলেছে। সে মনে সাহস সঞ্চয় করে জানালার পর্দা গুলো সরিয়ে দেখলো কার্নিশ দিয়ে একটি নারী মূর্তি তার দিকে তাকিয়ে ঝুলছে। সে আর ১ মুহূর্ত অপেক্ষা না করে কল করে ঋষভ কে।

গৌরব – ঋষভ, ভাই জেগে আছিস?
ঋষভ – কি হয়েছে কি আবার?
গৌরব – তুই যথাসম্ভব আমার রুমে একটিবার আসবি ভাই প্লিজ? জানালার বাইরে না কে ঝুলছে! পুরো ঘর কাঁপছে আমার।
ঋষভ – কিসব আজে বাজে বকছিস বলতো? দাঁড়া আসছি আমি, এসে দেখছি।

ঋষভ এসে সমানে দরজা ধাক্কাতে থাকে কিন্তু গৌরব কিছুতেই দরজা না খোলায়ে সে ঘাবড়ে যায়। ঋষভ ছুট্টে গিয়ে হোস্টেলের ওয়ার্ডেন সহ আরো কয়েকজন কে ডেকে আনে। সবাই মিলে ডাকলেও গৌরব দরজা না খুলতে শেষে দরজা ভাঙা হয়। সবাই দেখে গৌরবের অর্ধনগ্ন শরীর বিছানার ওপর পরে আছে। হোস্টেলের ওয়ার্ডেন এবং ঋষভ জল ছেটাতে থাকে খানিকক্ষন পর গৌরবের জ্ঞান ফেরে সে পাগলের মতন করতে থাকে। কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করতে গৌরব উত্তর দেয়ে সে কিছু মনে করতে পারছেনা সে শুধুই "সেই মেয়েটা, সেই মেয়েটা" করে রীতিমতো চিৎকার করতে থাকে। গৌরবের মুখে "সেই মেয়েটা" শুনে ওয়ার্ডেনের মুখে চিন্তার ছাপ আসে। সেটা আর কেউ লক্ষ্য না করলেও দূরে দাঁড়িয়ে থাকা অনির্বান ঠিক লক্ষ্য করে।
পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গৌরবের রুম বন্ধ থাকবে এবং সে তার সমস্ত যাবতীয় বস্তু নিয়ে ঋষভের ঘরে শিপ্ট করবে।

বেশ কয়েক মাস পর...। অনির্বান জোরে জোরে ঋষভের এবং গৌরবের রুমের দরজা ধাক্কাতে থাকে...।
অনির্বান – ভাই, ভাই দরজা খোল ভাই!!
ঋষভ – কি হয়েছে? এমন করে কে ধাক্কায় ভাই!
গৌরব – আচ্ছা আসতে আসতে হ্যাঁ রে ওকে একটু জল দে।
অনির্বান – ঐসব ছাড় ভাই আমি যেটা বলছি ওটা আগে শোন্! গৌরবের আগের রুম টার সম্পর্কে আমি বহুদিন ধরে খোঁজ চালিয়েছি আলটিমেটলি জানতে পেরেছি ওই ঘরের রহস্য।

তারপর যা বললো অনির্বান সেটা শুনে পুরো রুমটা শান্ত হয়ে যায়, সবাই স্থির হয়ে বসে থাকে কিছুক্ষন।
গৌরবের ওই রুমটি তে থাকত একটি মেয়ে। একদিন এক সিনিয়রের প্রপোসাল একসেপ্ট না করার জন্য তাকে তার ই রুমে গ্যাং রেপ করা হয়ে এবং তাকে সেই দেওয়াল খুঁড়ে ওখানেই দাফন করে দেওয়া হয়ে। এবং ক্ষমতাবান হওয়ার ফলে ঘটনাটি ওখানেই চাপা পরে যায়।

আচ্ছা এই সমাজে সত্যিই কি মেয়েদের "না" শব্দটি উচ্চারণ করার কোনো অধিকার নেই? কিছু পুরুষের ইগো, আত্মঅহংকার, পুরুষত্ব কি এতটাই ঠুনকো, যে একটি না শব্দ ভেঙে দিতে পারে? হিন্দু ধর্মে নারী শক্তিকে পুজো করা হয়, তাহলে নারীদের কেন কোনো সম্মান নেই বলতে পারেন?? আজ ২০২৫ সমাজ অনেক উন্নত। কিন্তু ইচ্ছে হলো লেখার ভাষায় প্রতিবাদ করার আগের কিচ্ছু কুসংস্কারের বিরুদ্ধে।

কলমে - #অলিগলি_কালান্তর
ছবি সংগৃহীত

ভালোবাসি! জানিনা, হয়তো ভালোবাসি না বলেও ভালোবাসা যায়, অচেনা থেকে একান্ত আপন হওয়া যায়। দমকা হাওয়ার মতো হঠাৎ করে বাকি...
06/04/2025

ভালোবাসি! জানিনা, হয়তো ভালোবাসি না বলেও ভালোবাসা যায়, অচেনা থেকে একান্ত আপন হওয়া যায়। দমকা হাওয়ার মতো হঠাৎ করে বাকি ভবিষ্যতের বটবৃক্ষ হওয়া যায়। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সুখ দুঃখ-হাসি-কান্নার সঙ্গী হওয়া যায়। আমি আছি, থাকবো, অতীতে কি হয়েছে জানিনা তবে ভবিষ্যতের নিশানা চিনব একসাথে। হয়তো সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের মানুষ আমরা কিন্তু তাতে কি! উত্তর-দক্ষিণ মেরুও তো বিপরীত তাবলে কি আকৃষ্ট করে না একে অপরকে! ঠিক তেমন আমরাও আকৃষ্ট হই "ভালবাসায়, স্নেহে, যত্নে, অভিমানে, খুনসুটিতে"। ঝড়ো হাওয়ার মতো এসে মিলে গেলো অচেনা অজানা একটা মানুষ, এখন পরিবারের পরেই যার অধ্যাবসায়ন, কূলকিনারাহীন গল্পের সঙ্গী, অভ্যাসহীনভাবে রাতের পর রাত জেগে থাকে যেই মানুষটা, ভুল শুধরে থেকে মিছে অভিমান দেখায় যে "তুমিই" সে। কিছুই বলতে পারলাম না, কি বা বলবো তোমায়! কিছু একটুকরো এলোমেলো অনুভূতি! জানিনা, কবে কিভাবে কীকরে, তবে এখন শুধু চাই "একত্রে", আমি আছি। একপ্লেট বিরিয়ানির ভাগিদার থেকে বাকি সারাটা জীবনের ভাগিদার হতে চায় আর অল্পএকটু এডজাস্ট, অজানা বিষয় জানা, রাতে নিশ্চিন্তে ঘুম, আর জমিয়ে হ্যাপি থাকা, আর কিসের দরকার!

কলমে— #অলিগলি_স্নেহা
ছবি সংগৃহীত

কয়েকটা মাস প্রতীক্ষার পর যখন সেই দিন আসে...এক আকাশ সমান আশা নিয়ে সারা দিনের অফিস শেষ করে তার জন্য গুছিয়ে রাখা বই,প্রথ...
06/04/2025

কয়েকটা মাস প্রতীক্ষার পর যখন সেই দিন আসে...
এক আকাশ সমান আশা নিয়ে সারা দিনের অফিস শেষ করে তার জন্য গুছিয়ে রাখা বই,প্রথম দিন থেকে বইয়ের মাঝে যত্ন করে রাখা রুক্ষ বাদামী গোলাপ,হাত ভর্তি লাল আবীর নিয়ে একটা সন্ধ্যা অপেক্ষা করার পরও যদি সে না আসে তাহলে মারাত্মক অভিমান হয় না?

হয়...হয়...অভিমান হয়...।
এত মাস প্রতীক্ষার পর ওই মুহূর্তটায় চাইছিলাম অপলক ভাবে তাকাই তার দিকে,উৎকণ্ঠা হয়ে দাঁড়াই তার পাশে।
সেই মানুষটাকে ছাড়া আর কিচ্ছুটি চাইনা ওই মুহূর্তে।

জানিনা তুমি বুঝবে কি না
হয়তো বুঝবে...
"আমার কাছে ওই সন্ধ্যা বা ওই মুহূর্তটা
ছিলো একটা গোটা জীবন"।
এখনও আছে জীবন
তোমাকে না পাওয়া সন্ধ্যার মুহূর্তকে ঘিরে।

তোমাকে পাওয়ার আশায়...


কলমে - #অলিগলি_শান্তনু
ছবি সংগৃহীত

ফাগুন আসে ফাগুন যায়, তোমার দেখা নাই,পলাশ, কাঞ্চন ঝড়ে যায়, তবুও তোমায় পেলাম না হায়।কলমে -  #অলিগলি_অনু🖤🌷ছবি - শর্মিল...
07/03/2025

ফাগুন আসে ফাগুন যায়, তোমার দেখা নাই,
পলাশ, কাঞ্চন ঝড়ে যায়, তবুও তোমায় পেলাম না হায়।

কলমে - #অলিগলি_অনু🖤🌷
ছবি - শর্মিলী

– আদৃত? – মিতুল?! What a surprise! তুই এখানে?– হ্যাঁ! আমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ হয়েছে আগের মাসেই, তারপর ফিরলাম। আর ফেরার স...
05/03/2025

– আদৃত?
– মিতুল?! What a surprise! তুই এখানে?
– হ্যাঁ! আমার গ্র্যাজুয়েশন শেষ হয়েছে আগের মাসেই, তারপর ফিরলাম। আর ফেরার সাথে সাথেই সৌম্য ফোন করলো, reunion পিকনিক হচ্ছে...। জোর করলো সবাই মিলে, তাই আরকি!
– বাহ্, আমি জানতামই না। অবশ্য যোগাযোগটাও তো ছিলনা অনেকদিন...
– আমাদের ইগো গুলোকে কি এবার সাইড করতে পারি আদৃত?
– তারপর কেমন আছিস বল? এখন কি প্ল্যান? কোনো কলেজে অ্যাপ্লাই করলি?
– কথা ঘোরাচ্ছিস কেন? সোজাসুজি কথা বলতে পারছিস না?!
– মিতুল; stop this! তিনটে বছর আমিই জানি আমি কিভাবে কাটিয়েছি, তাই এসব নিয়ে আমি আর ভাবতে চাইনা। বেটার আমার সাথে কথা না বলা... আমি জানতাম না তুই আসবি; তাহলে...
– তাহলে আসতিস না তুই তাই তো?
– হ্যাঁ! আমি চাইনা আর তোর মুখোমুখি হতে! কাকু তো তোর বিয়ের জন্যে ছেলে দেখছিল...। I hope তুই ফাইনালি ভালো কাউকে পাবি!
– আগেই আমাকে জাজ করছিস যখন ঠিক আছে; কর। কিন্তু সবটা না জেনে শুনে বলিস না...

মুহূর্তের জন্য দুজনেই চুপ করল, চারপাশ এতটাই নিঃস্তব্ধ যে দুজন দুজনের নিঃশ্বাসের শব্দ শুনতে পাচ্ছিল! আদৃত চোখ রাখলো মিতুলের চোখে, স্পষ্ট ওর চোখে একটা গভীর অনুরাগ, পাপবোধের ছোঁয়া দেখতে পেলো...মিতুল বলতে শুরু করল,
– তুই জানতিস কলেজ শেষ হবার পর আমার বাবা আমার বিয়ের জন্যে চেষ্টা করছিল। আমি যখন বললাম আমি পড়তে চাই, PHD টা করতে চাই তখন বাড়িতে ভীষণই একটা অশান্তির সৃষ্টি হল...তোর কথাও বাড়িতে জানত; তাই বাবা আমাকে জোর করে বিয়ের পিঁড়িতে বসানোর জন্যে হুমকি দিলো তোর পড়াশুনারও ক্ষতি করে দেবে! আমাদের কলেজে বাবার একটা প্রতিপত্তি ছিল; প্রিন্সিপাল ছিল বাবার ছোটবেলার খুব কাছের বন্ধু! এমনকি বাবাই ওনাকে প্রিন্সিপালের পদটা পাইয়ে দিয়েছিল। ওই সিচুয়েশন থেকে বাঁচতেই আমি বাড়ি ছাড়া হই! বাবাকে জানাইনি কোন কলেজে ভর্তি হচ্ছি, নাহলে সেখানেও বাবা হস্তক্ষেপ করত! আর বাড়ি ছেড়ে যাই যাতে বাবারও বিশ্বাসটা হয় যে আমি তোর সাথে আর নেই...সেক্ষেত্রে বাবা শুধুমাত্র আমাকেই জোর করবে, তোর কোনো ক্ষতি করবে না...।
এতটা বলে মিতুল থামে, হাঁপিয়ে যায়। আদৃত অবাক হয়ে যায়, এতকিছু ঘটে গেছে? ও তো জানতোই না এসব!
– আমি চাইনি তোর আমার জন্যে ক্ষতি হোক, তাই ইচ্ছে করেই যোগাযোগটা বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু আকাশ, নীলাদ্রি, মহিমা এদের সবার থেকে তোর খোঁজ নিতাম প্রতিদিন...খুব ইচ্ছে করতো তোর সাথে যোগাযোগ করতে, কিন্তু শুধুমাত্র তোর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই দূর থেকে তোকে দেখতাম...আমি জানি তুই চাকরিটা পেয়েছিস! আমার PHD শেষ হয়ে গেছিল অনেকদিন আগেই, কিন্তু চেয়েছিলাম তুই চাকরিটা জয়েন করার পরই আমি ফিরব, তারপর আবার তোর মুখোমুখি হবো...।
– মিতুল! কাকুর কাছে যেতে এখন আমার আর কোনো ভয় নেই। তুই চাইলে কালই...
– আমার বাবা কোনোদিনও মানবেনা। তুই চিনিসনা বাবাকে! তবে হ্যাঁ, আমি জানি তুই আমার হাত ধরে একদিন আমাকে ওইখান থেকে ঠিক বার করে আনতে পারবি...সেই দিনটার অপেক্ষায় আছি!
– পারব, একদিন কেনো? চাইলে আজই সেটা করতে পারি। কিন্তু না... আমি কোনো অভিভাবককে কষ্ট দিয়ে কিছু করতে চাইনা... তাই আমি যাব কাকুর সাথে কথা বলতে!
– সত্যি?
– সত্যি! কথা দিলাম...!

কলমে - #অলিগলি_শরণ্যা
ছবি সংগৃহীত

Address

Kolkata
700103

Telephone

+919088855846

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kolikatar oligoli - কলিকাতার অলিগলি:

Share