https://youtube.com/@lapofnature9319?si=niVSBOAphtdR0KvV

𝐋𝐀𝐏 𝐨𝐟 𝐍𝐚𝐭𝐮𝐫𝐞, KOLKATA (2025)

22/08/2025

প্রিয় মানুষ চলে যায়, রেখে যায় স্মৃতি ও তার ডাকনাম 🍁

14/08/2025

স্বাধীনতা ~ কে না চাই স্বাধীনতা?
আমার নিজের চিন্তাভাবনা স্বাধীন থাকুক, তোমার বা আপনার চিন্তাভাবনা স্বাধীন থাকুক, সবার কাজকর্ম স্বাধীন থাকুক, দেশের প্রতিটা মানুষ স্বাধীন থাকুক, সবার ঘরে স্বাধীনতা থাকুক। এই তো স্বাধীনতা।

এ কি এক ছোট্ট একটা শব্দ যে "স্বাধীনতা"! নাহ! কত লক্ষ মানুষের বলিদানের পর আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। তারপরও আমরা কি আজও স্বাধীন? আমরা সত্যিই সবার নাম কি জানি যারা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিল? কি দিলাম আমরা তাদের কে তাহলে? তারাই বা মরতে গেল কেন দেশের জন্য? তাদের উদ্দেশ্য আলাদা ছিল, কিন্তু আমরা কি সেই সম্মান টাও দিচ্ছি আজকের দিনে তাদেরকে? শুধু একটা পতাকা গাড়িতে লাগিয়ে ঘুরছি, একটা পতাকা হয়ত উপরে উঠিয়েছি, কিন্তু কাল সে পতাকার কি হবে সে খেয়াল আমরা রাখিনা।

আজকের দিনে এত যা ঘটনা ঘটে চলেছে আশেপাশে, তার জন্য কি সত্যি এত আমাদের লড়তে হত!!! বছরের পর বছর কোর্ট এর দরজায় আমাদের পৌঁছাতে হত না!!! আজ রেপ হচ্ছে, তার আগের দিন চুরি হচ্ছে, তার আগের দিন ডাকাতি হয়ে গেছে, আর আমরা আজ স্বাধীন বলে চিতকার চেঁচামেচি করছি। হুম, এটাই তো স্বাধীনতা!! একটু গান গেয়ে দেব, দেশাত্মবোধক নাচ করে দেব, এই তো স্বাধীনতা আজকের জন্য।

মা বাবা পয়সা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ার বা ডাক্তার বানালো, তারপর আমরা বাইরে অন্য স্টেটে বা অন্য দেশে গিয়ে পরে থাকছি, এটাই কি আসল স্বাধীনতা! তারা অসুস্থ হলেও ভাবতে হয় যে এই সময়ে যাব কিভাবে ফিরে, ফ্লাইটের ভাড়া তো আকাশ ছোঁয়া তার উপর ছুটি পাবনা! এটাই কি স্বাধীনতা!

গ্রামের একটা ছোট্ট নালা করতেও আজ গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও অফিসের দারস্ত হতে হয়, তারপর বছর কেটে যায়। এটাই কি ছিল আমাদের স্বাধীনতা চাওয়া?

সবথেকে করুন অবস্থা তো হসপিটালের, মাটিতে শুয়ে থেকে ঠিকঠাক ট্রিটমেন্ট না পেয়ে মানুষ মরে যাচ্ছে, আমরা একটা বেডের ব্যাবস্থা করতে ব্যার্থ, এটাই কি ছিল আমার চাওয়া স্বাধীনতা?

যাইহোক, সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা। আমরা রোবট ছাড়া এখন আর কিচ্ছু না৷ আমরা আমাদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ছাড়া অন্যকিছু কে স্বাধীনতা ভাবিনা।

সবার চিন্তাভাবনা স্বাধীন থাকুক, সবাই স্বাধীন থাকুন🙏 Happy Independence Day 🇮🇳🇮🇳🇮🇳

09/08/2025

বাড়ি ও জমি, এরাও ১০০ বছরের বেশি কোনো মানুষকে পছন্দ করেনা। তারা নিজে চেঞ্জ করে নেয়, আমরা ভাবি আমরা বাড়ি ও জমি চেঞ্জ করলাম। একদম তাই না। আমরা ভাবি আমরা করছি আমাদের জায়গা, কিন্তু যেখানে বাস করছিলাম সেই জমি বা জায়গা আমাকে সরিয়ে দিল সেটা বুঝতেও পারিনা।

এখনকার মানুষ ১ শতাব্দী বাঁচে না, কিন্তু জায়গা ও জমি বেঁচে থাকে, তাই তাদের চাই আলাদা মানুষের আওয়াজ, আলাদা পায়ের শব্দ।

মানুষ বাঁচে না, কিন্তু জায়গা জমি বেঁচে থাকে চিরকাল।

এখনকার মানুষের চিন্তা ভাবনা হল, জায়গাটা আমি ফ্ল্যাটে দিয়ে দি, আর সেখানে আমি একটা পুরো একার নামে গ্রাউণ্ড ফ্লোরে ফ্ল্যাট নেব নিজের জন্য। ব্যাস, মিটে গেল, আমি ও ভালো থাকলাম আর সবাই। কিন্তু আদৌ থাকল কি সে স্বাধীনতা?

আগের যে ছোট্ট ছেলেটার পায়ের আওয়াজে ও চিতকার চেঁচামেচি তে গোটা রাজমহল গমগম করত সে আওয়াজ আজ আর নেই, সেই ছোট্ট ছেলেটা আজ হয়ত এসি ঘড়ে তিনটে ঘড়ের ফ্যাল্ট নিয়েছে, নিজের মাটি ছেড়ে। কিন্তু সে জানেও না তার পূর্বপুরুষ কিভাবে সেই রাজমহল টা করেছিল, কিন্তু সে তার টাকার উপর ভিত্তি করেই তার ফ্ল্যাট টা কিনেছে, হয়ত এএমআই এখনো দিতে হচ্ছে।

তাহলে সেই রাজমহলের কি হবে? সেখানে তো জমছে সাপ ও পোকার উৎপাত। প্রকৃতি সেখানে নতুন করে জেগে উঠছে। তাই বললাম, প্রকৃতিও চাই না এক শতাব্দীর বেশি কেউ তাকে দখল করে থাকুক। আবার আসুক নতুন মানুষ। নতুন পায়ের শব্দ।

প্রকৃতি আসলে আমাদের চেঞ্জ করে দেই আমাদের জায়গা, আমরা ভাবি আমরা করি।

তাই আবার প্রকৃতি নিজের মত সাজতে শুরু করে।

02/08/2025

মানুষ চলে যায়, স্মৃতিগুলোও একসময় কালের গ্রাসে মিশে যায়। রাজপ্রাসাদও কালের গ্রাসে পরিণত হয় ধ্বংসস্তূপে। কালের গ্রাসে হারিয়ে গেছে সেই সোনালি দিনগুলো, হারিয়ে গেছে ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়।

কত ঔদ্ধত্য নিয়ে একসময় এই রাজপ্রাসাদটি বানানো হয়েছিল, কিন্তু ভুলে যায় সময়ের কাছে সবকিছুকেই মাথা নত করতে হয়। হয়ত প্রতিটা উৎসবে এই রাজপ্রাসাদের প্রতিটা কোন আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠত, হাসিঠাট্টা তে গমগমিয়ে থাকত এই রাজবাড়ী, পাইক পেয়াদারা সবসময় রাজবাড়ী পাহাড়া দিয়ে চলত, চাকর-চাকরানীরা সবসময় মালিক মালকিনের ফরমাইশ খাটতে ব্যাস্ত থাকত, প্রতি রাত্রে মদের ফোয়ারা উঠত বৈঠকখানায়। কিন্তু আজ সেদিনগুলো আর নেই।

আস্তে আস্তে ভাগাভাগি হয়ে উঠতে শুরু করে এইসব রাজবাড়ী গুলো, শরিকরা আলাদা আলাদা ভাবে থাকতে শুরু করে, তারপর রাজবাড়ীর দেখভাল আর আগের মত হয়ে ওঠে না, হারিয়ে যায় সেই জৌলুস, যারা একটু পয়সা কড়ি বানাতে পারল, তারা চলে গেল অন্য কোথাও বা অন্য দেশে। পরে রইল এই রাজবাড়ী গুলো ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে। আমরা যারা সেই রাজবাড়ী গুলোর কাছাকাছি তে থাকি, তারা হয়ত বছরান্তে একবার যাই ঘুরতে তাও বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাদের দেখানোর জন্য। এই দেখো, এখানে একসময় কিনা ব্যাপার চলত, এইছিল আমাদের এখানকার রাজবাড়ী! যে সমস্ত রাজবাড়ী গুলো হেরিটেজের সম্মান পেল, তাদের কিছুটা জৌলুস থাকল, বাকিরা ভগ্নপ্রায় হয়ে আবার প্রকৃতির কোলে মিলিয়ে যেতে থাকল।

প্রকৃতি আবার সেজে উঠছে নিজের রূপে, সাপ ব্যাঙের ঠিকানা হয়ে উঠছে প্রতিটা রাজবাড়ীর প্রতিটা কোন।

~কালনা রাজবাড়ী

31/07/2025

Life is Simple and Short

30/07/2025

🕯️তুতানখামেন ~ প্রায় ৩৩০০ বছরের পুরোনো এক অভিশপ্ত রহস্য!

তুতানখামেন (Tutankhamun) ছিলেন প্রাচীন মিশরের অষ্টাদশ রাজবংশের একজন ফারাও।
মাত্র ৯ বছর বয়সে মিশরের ফারাও হলেন তুতানখামেন, আর ১৮-১৯ বছর বয়সে মৃত্যু!
কিন্তু রহস্য এখানেই শেষ নয়...

🔍 ১৯২২ সালে হাওয়ার্ড কার্টার যখন তুতানখামেনের সমাধি খুঁজে পান, তখন পুরো পৃথিবী স্তব্ধ! কারণ, এটি ছিল প্রায় অক্ষত সমাধি — যার ভেতর পাওয়া যায় ৫০০০ এর ও বেশি বিভিন্ন অমূল্য সম্পদ এবং খাঁটি সোনার তৈরি তার বিখ্যাত মুখোশ (Funerary Mask)।

☠️ সমাধি খোলার পর থেকে রহস্যময়ভাবে একের পর এক মৃত্যু হয় অনেক অভিযাত্রীর। মানে যারা এই খননকার্য চালিয়েছিলেন তাদের অনেকেই মারা যান আকস্মিকভাবে। তখন থেকেই "ফারাওর অভিশাপ" — নামে ছড়িয়ে পড়ে সেই আতঙ্ক!

💀 তুতানখামেনের মৃত্যুর কারণ আজও নিশ্চিত নয় — কারো মতে, মাথায় আঘাত, আবার কেউ বলেন জেনেটিক রোগ বা ম্যালেরিয়া তে আক্রান্ত হয়ে তুতানখামেনের মৃত্যু হয়, আবার কেউ বলেন হাঁটুর এক বিরল ব্যাধি তে ভুগছিলেন তিনি। কিন্তু আজও নিশ্চিত করে বলা যায় না, তিনি কীভাবে মারা গেছিলেন?

🌍 হয়তো তিনি ছিলেন এক অল্পবয়সী শাসক, কিন্তু তার দেহাবশেষ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে রহস্যময় অধ্যায় হয়ে আছে আজও। তুতানখামেন নিজে হয়তো বড় ফারাও ছিলেন না, কিন্তু তার সমাধি অক্ষত অবস্থায় আবিষ্কৃত হওয়ায় প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে অসংখ্য নতুন তথ্য পাওয়া গেছে।

ইতিহাস প্রেমীদের কাছে তুতানখামেন এক রোমাঞ্চকর চরিত্র। বিশ্বের ৭০টির বেশি জাদুঘরে প্রদর্শনী হয়েছে শুধুমাত্র তুতানখামেনকে ঘিরে। ইন্ডিয়ানা জোনস থেকে শুরু করে মমি-সিনেমা, গেমস — পপ কালচারে তার রাজত্ব এখনো চলছে!

🏺তুতানখামেন আমাদের জন্য শুধু এক ইতিহাসের চরিত্র নয়, বরং এক বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক অধ্যায়। তার সংক্ষিপ্ত জীবন ও রহস্যময় মৃত্যু, মিশরীয় সভ্যতার প্রতি আমাদের আগ্রহ আরো গভীর করে তুলেছে।

#ফারাওর_অভিশাপ #মিশর #ইতিহাস #রহস্য #প্রাচীনসভ্যতা

24/07/2025

১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগ হওয়ার পর পাকিস্তান জন্ম নেয়—দুইটি অংশে বিভক্ত হয়ে, একদিকে ছিল পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান), আর অন্যদিকে ছিল পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ)। দুই অংশের মাঝে ছিল প্রায় ১২০০ মাইল ভারতবর্ষ। ভাষা, সংস্কৃতি, জীবনধারা, বিশ্বাস—সব ছিল ভিন্ন। তবুও বলা হলো, "তোমরা এক জাতি"।

তবে বিভ্রান্তির শুরু খুব তাড়াতাড়ি।

১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার মানুষ নিজেদের ভাষা বাংলা-কে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানায়। পাকিস্তানি শাসকরা বলে, "রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু"। এই অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজপথে নামে ঢাকার ছাত্রসমাজ, আর ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২—লেখা হয়ে যায় প্রথম রক্তাক্ত অধ্যায়। সালাম, রফিক, জব্বার—তারা শহীদ হন মাতৃভাষার জন্য।

এখান থেকেই শুরু হয় দীর্ঘ সংগ্রামের ভিত্তি।

নওশাদ একজন কলেজ পড়ুয়া ছাত্র। থাকে ঢাকার আজিমপুরে। রাজনীতিতে সক্রিয়, ভাষা আন্দোলনের সময় থেকেই তার মাঝে এক রাগ ও আবেগের মিশেল। অন্যদিকে, তার প্রেমিকা মায়া—এক মেধাবী ছাত্রী, কিন্তু রাজনীতির বাইরে।

নওশাদ মাঝেমাঝেই বলে—
“মায়া, এই দেশটা আমাদের নয়। আমরা গরিব, কিন্তু গর্ব নিয়ে বাঁচতে চাই। একদিন যদি দেশ স্বাধীন হয়, তখন তুমি আর আমি শুধু প্রেম নয়—গর্ব নিয়েও বাঁচতে পারব।”

মায়া হাসে। বলে, “দেশের আগে কিছু না। তুমি যা করছ, আমি তাতেই গর্বিত। শুধু ফিরে এসো, কোনোদিন যদি হারিয়ে যাও।”

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের দল আওয়ামী লীগ, শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৬০টির মধ্যে ১৬০টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। এর অর্থ, তিনিই হতেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান মানে না। জেনারেল ইয়াহিয়া খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো চক্রান্ত শুরু করেন।

৭ মার্চ ১৯৭১, শেখ মুজিব রেসকোর্স ময়দানে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন:

“এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম... এবারের সংগ্রাম, আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।”

২৫ মার্চ ১৯৭১, মধ্যরাতে শুরু হয় অপারেশন সার্চলাইট। ঢাকার রাস্তায়, হলগুলোতে, ঘরগুলোতে গুলি চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-ছাত্রদের মেরে ফেলা হয়। রাজপথ হয় রক্তে রঞ্জিত।

নওশাদও সেই রাতে ছিল ঢাবি ক্যাম্পাসে। লুকিয়ে বেঁচে যায় কোনোভাবে। কিন্তু তার বহু বন্ধু মারা যায়। পরদিন সে মায়ার বাসায় এসে বলে—
“আর নয়, আমি যুদ্ধে যাচ্ছি।”

মায়ার চোখে জল—“তুমি ফিরে এসো, আমি অপেক্ষা করব।”

নওশাদ সীমান্ত পেরিয়ে চলে যায় আগরতলায়, ভারতের ত্রিপুরায় মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং ক্যাম্পে। ভারত তখনও সরাসরি যুদ্ধে নামেনি, তবে ক্যাম্প স্থাপন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে।

সেখান থেকে শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ। ব্রিজে বিস্ফোরণ, পাকিস্তানি কনভয় আক্রমণ, মুক্তাঞ্চল গঠন।

নওশাদ যোগ দেয় সেক্টর ২-এ। প্রতিদিন জীবন ঝুঁকিতে, কিন্তু হৃদয়ে জ্বলছে স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন।

ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন শরণার্থী ঠেকাতে ভারতের ভেতরে হামলা চালায়, তখন ভারতীয় সেনা সরাসরি যুদ্ধে নামে। ৩ ডিসেম্বর থেকে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার পুরোপুরি সামরিক সহযোগিতা শুরু করে।

মুক্তিবাহিনী + ভারতীয় সেনাবাহিনী—এই যুগলবন্দীতে ৯ মাসের যুদ্ধ এসে শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ। ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেন ৯৩,০০০ সৈন্য নিয়ে। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম আত্মসমর্পণ!
মায়া প্রতিদিন প্রতীক্ষা করছিল। রেডিও শুনত, প্রতিবেশীদের খবর নিত। অবশেষে ১৯৭২ সালের জানুয়ারিতে একদিন দরজায় কড়া নাড়ে—নওশাদ।

কিন্তু সে সেই আগের নওশাদ নয়—মনের ভেতর যুদ্ধের হাজার স্মৃতি, শরীরে ক্ষত। শুধু একটি বাক্য—
“আমি বেঁচে এসেছি, কিন্তু আমার অনেক ভাই রয়ে গেছে শোকের অন্ধকারে...”

মায়া তাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “তুমি এসেছো, এটাই যথেষ্ট। আজ আমাদের স্বাধীন দেশ, আমাদের ভাষা, আমাদের পতাকা আছে।”

🇧🇩 আজ যে লাল-সবুজ পতাকা ওড়াই, তা শুধুমাত্র একটি কাপড় নয়। এর প্রতিটি ভাঁজে রয়েছে— ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া সালাম-রফিক, পুড়ে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মা-বোনেদের সম্ভ্রমহানি, ভারতের সীমান্ত খোলা, গেরিলা অপারেশন এবং লাখো শহীদের রক্ত।

আর সেই পতাকার নিচে দাঁড়িয়ে নওশাদ ও মায়া শুধু নিজেদের প্রেম নয়, বাংলার প্রেমকেই পূর্ণতা দেয়।

এই গল্পটি সত্য ঘটনাবলির উপর ভিত্তি করে লেখা। মুক্তিযুদ্ধ শুধুই ইতিহাস নয়—এটি বাঙালির অস্তিত্বের গল্প। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের উত্তরাধিকারী।

23/07/2025

৫৭ ফুট লম্বা মনোলিথিক জৈন মূর্তি দেখতে পৌছে গেলাম মাইসোর থেকে শ্রবণবেলগোলা। মাইসোর থেকে ৮৫ কিমি ও ব্যাঙ্গালোর থেকে ১৪৫ কিমি মত দূরে অবস্তিত এই জায়গাটি। নিচ থেকে দাঁড়িয়ে দেখলাম একটা গোটা পাহাড় হেঁটে উঠতে হবে। গোটা পাহাড় কেটে ছোট ছোট সিঁড়ি বানানো আছে। কিছুদূর ওঠার পর সামনেই দেখতে পেলাম অন্য একটি পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে ও নিচে একটা জলধারা। উপরের ওয়েদার একটু হলেও ঠান্ডা হয়ে গেছে।

এখানে আসলে অনুভর করবেন এক অপূর্ব শান্তি। আর এখানকার স্টাকচার গুলো দেখলে ভাবতে অবাক হবেন যে তখনকার দিনে পাহাড়ের উপর এই স্টাকচার বানালো কিভাবে।

শ্রবণবেলগোলা ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। এটি কর্ণাটকের হাসান জেলায় অবস্থিত এবং জৈন ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। এর নাম এসেছে দুটি শব্দ থেকে—"শ্রবণ" (যা শুনতে বোঝায়) এবং "বেলগোলা" (যার অর্থ সাদা পুকুর)। এখানে দুটি পাহাড়—বিন্দাগি (বিন্দ্যাগিরি) এবং চন্দ্রগিরি—এবং একটি পবিত্র জলাধার রয়েছে।

শ্রবণবেলগোলা মূলত জৈন ধর্মের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। এই স্থানের মূল আকর্ষণ হল বাহুবলী বা গোমটেশ্বরের মূর্তি। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, বাহুবলী ছিলেন জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের পুত্র।

বিন্দাগিরি পাহাড়, যাকে "বাহুবলী বেটা" বা "গোমটেশ্বর বেটা" বলা হয়, এখানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ একক পাথরের তৈরি মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তি জৈন ধর্মের ১ম তীর্থঙ্কর ঋষভনাথের পুত্র বাহুবলী বা গোমটেশ্বরকে উৎসর্গ করে নির্মিত।

৯৮১ খ্রিস্টাব্দে জৈন মন্ত্রী চামুণ্ডরায়া ৫৭ ফুট উচ্চতার একক পাথরের মূর্তি নির্মাণ করেন। এই বিশাল মূর্তি বিশ্বের বৃহত্তম মনোলিথিক মূর্তিগুলির মধ্যে একটি। বাহুবলীর মূর্তি তাঁর ত্যাগ, ধৈর্য ও আধ্যাত্মিকতার প্রতীক।

প্রতি ১২ বছরে একবার এখানে মহামস্তকাভিষেক নামক একটি বিশাল ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। মূর্তিটিকে দুধ, চন্দন, কেশর এবং ফুলের মাধ্যমে স্নান করানো হয়। এটি লক্ষ লক্ষ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে।

চন্দ্রগিরি পাহাড়ের নামকরণ হয়েছে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের নামে, যিনি চাণক্যের শিষ্য ও ভারতের প্রাচীন মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। জীবনের শেষ পর্যায়ে চন্দ্রগুপ্ত জৈন ধর্ম গ্রহণ করেন এবং এখানে এসে কঠোর তপস্যা করেন। এই পাহাড়ে বেশ কয়েকটি জৈন মন্দির (বাসাদি) রয়েছে, যা খ্রিস্টীয় দশম এবং একাদশ শতাব্দীতে নির্মিত

শ্রবণবেলগোলা শুধুমাত্র জৈন ধর্মের অনুসারীদের জন্য নয়, সমস্ত ধর্মের মানুষের জন্য আধ্যাত্মিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। এই বিশাল মূর্তি এবং পাহাড়ের ওপর নির্মিত মন্দিরগুলি ভারতের প্রাচীন স্থাপত্যকলার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।

20/07/2025

মিছরির ছুরি 🌼

20/07/2025

জীবন টা হল লুডোর মত 🍁

17/07/2025

হায়রে জীবন!! বেশ কিছুদিন মা এর শরির খারাপ এর জন্য বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে কাটাতে হল। মা এর বেড এর পাশেই ৪৯/৫০ নাম্বার বেডে এই ভদ্রমহিলা কে দেখলাম। সারাদিন এইভাবেই নিচু হয়ে বসে থাকেন। রাত্রিবেলা কিচ্ছুক্ষণের জন্য শুয়ে থাকেন নাকি। পাতলা চামড়া দিয়ে শরিরের হাড়গুলো ঢাকা, মেরুদন্ড যেন বেঁকে মাটিতে লুটিয়ে পরেছে, দুটো পা ফুলে রয়েছে। উনাকে দেখে শুনে মনে হল বেশ ভালো ঘরের মহিলা, ধবধবে ফর্সা ছিল ইয়ং বয়সে। ওইদিন বিকেলে বিড়বিড় করে বলছেন, একটু চা খাব। কোনো এক আয়া মাসি বলল, এখন চা কোথায় পাবে, এখন চা নেই।

রাত্রিবেলা আমাকে থাকতে দিত না ওয়ার্ডে কারন ওটা মহিলাদের ওয়ার্ড। পরের দিন সকালে গিয়েও দেখি ঠিক এইভাবেই বসে আছেন। দিদি কে জিজ্ঞেস করলে বলল সারারাত্রি এইভাবেই বসে ছিল। প্রতিদিন আমি যেতাম হসপিটালে, কিন্তু কোনোদিন আমি উনার বাড়ির কাউকে আসতে দেখিনি। ভীষণ রকম জানতে ইচ্ছে হল কেন? এই এত বয়স, নিজে কিচ্ছু করতে পারেনা, পায়খানা বাথরুম সব প্যামপার্সের মধ্যেই করছে। হসপিটাল থেকে যেটুকু খেতে দেয় ওইটুকু খেয়ে থেকে যাচ্ছে। দিনের পর দিন, কেউ একবার দেখতে পর্যন্ত আসেনা।

একদিন উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি নাম আপনার? পরিষ্কার ভাবে বলল " লীলা রায়"। জিজ্ঞেস করলাম বাড়ি কোথায়? বলল বহরমপুর এ গঙ্গার কাছে। জিজ্ঞেস করলাম, আপনার কেউ নেই, বলল হ্যাঁ আছে, একটি মেয়ে আছে। মেয়ের বিয়ে হয়েছে? বলল, হ্যাঁ বিয়ে হয়েছে, জামাই কলকাতা তে থাকে, একটা প্রাইভেট ফার্ম এ কাজ করে। ওরা আসেনা? বলল নাহ। কথা বলতে বলতেই একজন আয়া মাসি এসে বলল, এই বুড়ির এক মেয়ে আছে গো, কোনোদিন আসেনা দেখতে। জানো, বুড়ি ২৫০০০ টাকা পেনসন পাই। সবটাকা মেয়ে তুলে নেই, কিন্তু কোনো দায়িত্ব নেয় না। আমি অবাক হয়ে শুধু শুনলাম। বলল, ৩ মাস আগেও একবার নিজে এসে ভর্তি হয়েছিল এখানে। আর এইবার ওর পাড়ার লোকজন এসে ভর্তি করে দিয়ে গেছে।

পরের দিন বিকেল বেলায় আস্তে আস্তে বলছে, একটু চানাচুর দাওনা, একটু দাও, একটু খাব। আমাদের কাছে চানাচুর ছিল না। হসপিটালে কে চানাচুর নিয়ে যাবে! আমার বৌ বলল, আমাদের কাছে চানাচুর নেই, বিসকুট আছে, বিসকুট খাবেন? হাত নেড়ে বলল নাহ। বেশ কয়েকবার বলার পর উনি রাজি হলেন বিসকুট নিতে। আমাদের কাছে মারি গোল্ড বিসকুট ছিল, সেটা হাতে নিয়েই বললেন, বাটার কুকিস নেই? আর পাশের ও সামনের বেডের লোকজন খুব হাসতে লাগল। ভাবুন একবার তাহলে এই ভদ্রমহিলার খাবার এর অভ্যেস কি ছিল একসময়। যে আজ ২৫০০০ টাকা পেনসন পাই তার স্বামীর, তার স্বামীর মাইনে কত ছিল সেই দিনে। কি অদ্ভুত এই জীবনচক্র।

পরেরদিন সকালবেলাতে গিয়ে দেখি, উনার প্যামপার্স ভিজে গিয়েছে, জামা কাপড় ও ভিজে গেছে। ওখানকার বেশ কিছু আয়া মাসি ভালো। তারা নিজেরাই এই মহিলার কাজ করে দিচ্ছে। তাকে খাবার এনে দিচ্ছে, অক্সিজেন লাগিয়ে দিচ্ছে মুখে। একজন আয়া মাসি আমার সামনেই তার প্যামপার্স চেঞ্জ করানোর অনেক চেষ্টা করল, কিন্তু ইনি করতে দিলেন না। ওইভাবেই বসে রইলেন। ভদ্রমহিলার কোমরে একটা ছোট্টব্যাগ আছে, আর তারমধ্যে বেশ কিছু টাকা আছে। আয়া মাসি রা সারাদিন তার টুকটাক কাজ করার পর ওই ব্যাগ থেকে কেউ ২০০ টাকা, কেউ ২৫০ টাকা নিয়ে যায়। এক মাসি আমাদের দেখালো দেখুন আমি কিন্তু ২০০ টাকা নিচ্ছি। দুপুর বেলার দিকে ডাক্তার এসেছে, নার্সরা ইনার নাম ধরে ডাকছে "লীলা রায়" এর বাড়ির লোক কে আছে? কেউ না থাকাতে ডাক্তার এসেও উনাকে দেখল না। সেরকম কিছু ট্রিটমেন্ট ও চলছে না উনার। মাঝে মাঝে অক্সিজেনের মাক্স টা একটু পরিয়ে দিচ্ছে আয়া মাসিরা।

ওই দিন বিকেলে উনাকে বললাম, আমি আমার মা কে বাড়ি নিয়ে যাব, আপনিও সুস্থ হয়ে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যান। আমার এই কথাটা শুনে বলল "বাবা তোমাকে জোড় হাত করে বলছি, আমাকে একটু বাড়ি দিয়ে এসো, আমাকে ভারত সেবাশ্রম সংঘে দিয়ে এসো"। শুনে খারাপ ও লাগল, আসলে আমার হাতে তো কিছু করার নেই। এইভাবে অচেনা কাউকে হসপিটাল থেকে ডিসচার্জ করিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। অনেককিছু প্রোটোকল থাকে।

পরের দিন সকালে যখন মা কে ডিসচার্জ করতে যাব তখন দেখি, উনি আর আগের মত বসে নেই, পাশে একটু হেলিয়ে পরেছে। আবার মাঝে মাঝে সোজা হয়ে বসছে। উনাকে বললাম আমরা আসছি, আপনিও সুস্থ হয়ে উঠুন। আজ আর কিছু বলল না মুখে, হাত উঠিয়ে বলল আচ্ছা।

আমি আজ ও ভেবে যাচ্ছি কি অদ্ভুত মানুষ আমরা, কি অদ্ভুত ছেলে মেয়ে, কি অদ্ভুত এই প্রজন্ম!!! অসুস্থ এক সমাজ তৈরি হয়ে যাচ্ছে। কিভাবে নিজের ছেলে মেয়েরা তার বাবা মা কেউ দেখতে নারাজ আজকাল কার দিনে। সবাই তো একদিন বুড়ো বুড়ি হবে, সেদিন কি হবে এদের !!!!????

যদি কোনো এজেন্সি আপনাদের চেনাজানা থাকে তাহলে তাদের জানাবেন যদি উনারা নিয়ে যেতে পারেন বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন ফিমেল ওয়ার্ড নাম্বার ২ থেকে।🙏

11/07/2025

বন্ধুত্ব নিয়ে গর্ব করতে নেই...

𝐋𝐀𝐏 𝐨𝐟 𝐍𝐚𝐭𝐮𝐫𝐞

22/08/2025

14/08/2025

09/08/2025

02/08/2025

31/07/2025

30/07/2025

24/07/2025

23/07/2025

20/07/2025

20/07/2025

17/07/2025

11/07/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category