23/02/2023
*♻️শাবে বারাতের হালুয়া কোন্ হাদীস হতে প্রমাণিত ??♻️*
*প্রশ্নঃ---* শাবে বারাতে হালুয়া তৈরী করা ও খাওয়া এবং তা বিতরণ করা জায়েয কিনা ??
*উত্তরঃ---* জায়েয। বুখারী শরীফ ও মিশকাত শরীফে হাদীস বিদ্যমান।
👈👈عن عائشة قالت كان رسول الله صلى الله تعالى عليه وسلم يحب الحلواء والعسل.
*👉👉অনুবাদঃ* হাযরাত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে٫ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হালুয়া এবং মধু পছন্দ করতেন।
👉👉 উক্ত হাদীসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হাযরাত আল্লামা শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী আলাইহির রাহমা আশিয়াতুল লামআত এর মধ্যে বলেনঃ
حلوا بمد و قصر اطلاق کردہ نمی شود مگر بر آنچہ ساختہ باشند آنرا بصنعت و جامع باشد میان چربی و شیرینی کذا فی مجمع البحار۔
*👉👉 অনুবাদঃ* হালুয়া কেবল তাকেই বলা হয় যা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে তৈরী করা হয়। এবং মিষ্টি ও চর্বি এর সংমিশ্রণ হয়। এইরকমই মাজমাউল বিহার গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে।
👉👉ঃ শাবে বারাতের হালুয়া সম্পর্কে আলা হাযরাত আলাইহির রাহমা কে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার তুলনাহীন উত্তর দেন। প্রশ্নোত্তরটি নিম্নে লিপিবদ্ধ করা হলঃ
مسئلہ----- کیا فرماتے ہیں علمائے دین اِس مسئلہ میں کہ شبِ برات میں حلوہ وغیرہ بناتے ہیں اور خوشی کرتے ہیں اور آتشبازی وغیرہ چھوڑتے ہیں یہ جائز ہے یا نہیں ؟ اور روز مقرّر کرکے کرنا یہ جائز ہے یا نہیں؟ اور بعض لوگ بدعت کہتے ہیں اور وہ کس وقت سے ہے؟ آیا یہ قرآن و حدیث سے ثابت ہے یا نہیں؟
الجواب --- حلوہ وغیرہ پکانا فقراء پر تقسیم کرنا احباب کو بھیجنا جائز ہے اللہ کے فضل نعمت پر خوشی کرنے کا قرآن مجید میں حکم ہے جائز خوشی ناجائز نہیں- آتشبازی اسراف و گناہ ہے- دن کی تعیین میں جرم نہیں جبکہ کسی غیر واجب شرعی کو واجب شرعی نہ جانے - بدعت کہنے والے خود بدعت میں ہیں- قرآن و حدیث سے ثابت ہے کہ جو کُچھ قرآن و حدیث نے منع نہ فرمایا اُس سے منع کرنے والا بدعتی ہے۔
*👉👉 প্রশ্নের অনুবাদঃ* কী বলেন উলামায়ে দ্বীন এই মসলা সম্পর্কে যে٫ শাবে বারাতে হালুয়া ইত্যাদি তৈরী করা ও খুশি করা এবং আতশবাজি উদযাপন করা এটি জায়েয আছে কিনা ? এবং দিন নির্ধারণ করে (হালুয়া)তৈরী করা এটি জায়েয কিনা ? এবং কিছু সংখ্যক মানুষ বিদআত বলে থাকেন এখন এটি কোরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত কিনা ??
*👉👉 উত্তরের অনুবাদঃ* হালুয়া ইত্যাদি তৈরী করা٫ ফকিরদের প্রতি বিতরণ করা٫ আত্মীয় স্বজনদেরকে দেওয়া জায়েয রয়েছে। আল্লাহর রহমত ও নেয়ামতে আনন্দ করার কোরআন মাজীদে নির্দেশ রয়েছে। বৈধ আনন্দ অবৈধ নয়। আতশবাজি হল অপচয় ও গোনাহ্। শরীয়াতে যে কাজটি ওয়াজিব নয় সেটিকে ওয়াজিব না মনে করা পর্যন্ত দিন নির্ধারণে কোনো অপরাধ নাই। যারা বিদআত বলেন তারা নিজেরাই বিদআতের অন্তর্ভুক্ত। কোরআন ও হাদীস হতে প্রমাণিত যে٫ যা কিছু কোরআন ও হাদীস নিষেধ করেনি٫ তা নিষেধকারী বিদআতী।
📗📗ফাতাওয়া রাজাবিয়া শরীফ ২৩ খণ্ড ৭৪৪ পৃষ্ঠা।
*♻️♻️নোট♻️♻️* উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা পরিস্কার বুঝা গেল যে٫ শাবে বারাতের হালুয়া কেবল জায়েয। ওয়াজিব বা ফরজ নয়। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়া জামায়াত এর মত। সুতরাং কেও ওয়াজিব বা ফরজ মনে করবেন না। আল্লাহ তাআলা সবাইকে সঠিক বুঝার তাওফীক দান করেন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন। واللہ و رسولہ اعلم
*🖊️🖊️লেখকঃ-- মুফতি বাদশা মানযারী। ডোমকল٫ মুর্শিদাবাদ।*
*তারিখঃ 24/2/2023*
*✅✅মুফতি মজিবুর রহমান মানযারী। নলহাটি٫ বীরভূম।*
*✅✅মুফতি রেজাউল করীম নূরী।*
*♻️শিক্ষকঃ মাদ্রাসা জামিয়া নূরিয়া গুলশানে রেজা। আমিরাবাদ٫ রানীনগর٫ মুর্শিদাবাদ।*
*বিঃদ্রঃ--- কোনো কাটাকাটি না করে শেয়ার করার অনুমতি রইলো*
