30/08/2024
💐💐বরকতি বেতনের পুরো টাকাটা আপনি নিয়ে আপনার বেতনের অর্ধেকটা তাকে দেন💐💐
৬৫০০/৭৫০০ হাজার টাকা দিয়ে যাদের সংসার চলে তাদের কেউ একজনকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, তাদের বাড়িতে সংসার কেমন চলছে?
সে হয়তোবা উত্তর দিবে কোনরকম।
এরপর জিজ্ঞাসা করেন, আপনার এলাকায় ফলের দোকান কোন দিকে?
সে আমতা আমতা করবে। কারণ ফলের দোকানে যাওয়ার রাস্তাটা সে ভুলে গেছে অনেক আগেই। সারা বছরে কিছু আম- কাঁঠাল ছাড়া আর কোন ফল তাদের কপালে জোটে না। লিচুর দোকানের পাশ দিয়ে তারা মাথা নিচু করে হেঁটে যায়।
আপেল- কমলা- আঙুরের ঘ্রাণ তারা অনেক আগেই ভুলে গেছে।
মাছে- ভাতে বাঙালী ইলিশ মাছ এখন স্বপ্নেও দেখে না। রুই- কাতলাও এখন দিবাস্বপ্নের মত। শিং মাছ এখন সারাজীবনে একবার কেনা হয়। হ্যা, তারাও মাছ খায়। ঘাস টাইপের তেলাপিয়া আর পাঙ্গাস মাছও এখন বিলাসিতা।
দাম এত কেন? এইটা জিজ্ঞাসা করবেন?
সেই উপায় নাই। দোকানদারদের রেডিমেড উত্তর আছে। তারা বলবে, সব জিনিসের দাম বাড়ছে। অথচ সকল জিনিসের দাম বাড়ছে সকলের বেতন বাড়ছে ব্যবসায় লাভ বাড়ছে।
ব্রয়লার মুরগি, তেলাপিয়া- পাঙ্গাসের ছোট ছোট পিসও এখন সাধ্যের বাইরে..
তারা বলে দেশ দুই দিন পর মালায়েশিয়া হবে, তারপর সিংগাপুর- দুবাই হবে। অথচ এভাবে চলতে থাকলে, আমাদের চোখের সামনেই দেশটা একদিন সোমালিয়া হয়ে যাবে
মাদ্রাসার শিক্ষক,হুজুর , ইমাম,মোয়াজ্জিনদের বেতন বাড়িয়ে দেন। অনেকে তো আবার বলেন, ওদের তো বরকতি টাকা ওদের কোন অসুবিধা হয় না। আসল কথা হল তারা বা তার পরিবার আপনার এবং আপনার পরিবারের মত লোক সমাজে নাটক করতে জানে না, তাই যদি হয় , তাদের বরকতি বেতনের পুরো টাকাটা আপনি নিয়ে যান আর আপনার বেতনের অর্ধেকটা তাকে দেন , এখানেই আপনি হার মেনে যাচ্ছেন। তাই তাদের সংসারে তাদের ফ্যামিলির সপ্তাহে একদিন অন্তত ভাল- মন্দ খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন ,ফলের দোকানে যাওয়ার রাস্তাটা তাকে একটু এগিয়ে দেন...
তুমি যেমন তাদের পেটে মারছো ওই জন্য অন্য কওম তোমার পিঠে মারছে।
✍️ সংগৃহীত