তৃণলিপি - Trinolipi

তৃণলিপি - Trinolipi Trinolipi is a site for whom, who like literature, drama, music,social work, and entertainment media.

অনেক ধন্যবাদ নিশিডাক টিম ❤️🌹❤️দারুণ লাগল ❤️🌹❤️আপনারাও শুনে দেখুন ভালো লাগতে পারে 🌹🌹🌹🌹
23/06/2025

অনেক ধন্যবাদ নিশিডাক টিম ❤️🌹❤️

দারুণ লাগল ❤️🌹❤️

আপনারাও শুনে দেখুন ভালো লাগতে পারে 🌹🌹🌹🌹

পরকীয়া - Rahsoya Golpo | Detective Story Bangla | Goyenda Golpo | Suspense Story ---------...

 #শুভ_সকাল টাইমমেশিনঋক,মনে আছে সেই আইটিআইয়ের মাঠ? ম্যাচ ছিল বলে, টিফিন টাইমে কোনোভাবে স্কুল কাট। কোত্থেকে যে কাটলো সময়, ...
06/06/2025

#শুভ_সকাল

টাইমমেশিন

ঋক,
মনে আছে সেই আইটিআইয়ের মাঠ?
ম্যাচ ছিল বলে, টিফিন টাইমে কোনোভাবে স্কুল কাট।
কোত্থেকে যে কাটলো সময়, নিজেও জানিনা আমি;
কাদা ভরা মাঠে ফুটবল নিয়ে কী ভীষণ পাগলামি।
মনে আছে তোর আচার কাকুকে? আমসি খেতাম রোজ,
স্কুলের সামনে আজও যাই আমি, তোদের পাইনা খোঁজ।

আমাকে চিনতে পারছিস তুই? কী করে চিনবি? তাইনা?
আমিও তো আর যেচে গিয়ে তোকে পরিচয় দিতে চাইনা।
আমার এখন চুল দাড়ি পাকা, মিডলক্লাসের গঠন;
হপ্তাহান্তে চিকেন খাচ্ছি, মাসে একবার মটন।
তুই তো এখন নিউ জার্সিতে, আলাদা দিন ও রাত,
এতটাই বিজি, দেশে না আসার হাজারটা অজুহাত।

সুতপা ম্যামকে মনে আছে তোর? ছুড়ে মারতেন ডাস্টার;
ক্লাসে ঢুকতেই তোকে বলতেন, এটা বকবক মাস্টার।
সুতপা ম্যাম ভালো নেই ঋক, স্ট্রোক হয়ে গেছে তিনবার।
সেদিনকে শুনি, টাকাটাও নেই ইনহেলার পাম্প কিনবার।
এক আধবার আমি নয় দেব, সাথে সৌমিক, বিকাশ;
কিন্তু তুই তো জানিস, আমরা ছাপোষা মিডল ক্লাস।
তুই যদি এই দায়িত্বটা নিজের থেকেই নিতিস;
কী হবে ঋক? ওটুকু ওষুধ, আর ডক্টর ফিস।
সেদিন ম্যামকে বলেই এসেছি, কান্না মোছার ফাঁকে;
আপনার বকবক মাস্টার নিউ জার্সিতে থাকে।

হ্যাঁরে, তুই কি আগের মতোই বলতে পারিস কথা?
নাকি গলাটা চেপে ধরে রোজ কঠোর বাস্তবতা?
আমাদের তো যেমন ছিল,তেমনি চলছে লাইফ,
কাস্তে হাতুড়ি, জোড়াফুল, সব হরেগরে এক টাইপ।
এখানে রাত্রে কাশি ওঠে রোজ, চোখ হয়ে ওঠে লাল,
ঠিকানা তো সেই চেনা এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল।
তারপরে ওই মৃত্যুটা আসে ভাঙে জীবনের আইন;
পরের দিনের চা বিস্কুট, কেওড়াতলার লাইন।

আমরা বেরোতে পারবো না রে,মাকড়সার এক জাল,
ও তুই তো বুঝবি না সেটা, তোর সব ডিজিটাল।
মেট্রোর ভিড়, সাথে চ্যাচামেচি, অটোর লাইনে ঘামি,
তবুও কেন যে সেই দিনগুলো রোজ মনে করি আমি।
মনে হয়, এই সোয়া এগারোটা, স্কুলের প্রেয়ার হবে,
মেয়েদের সাথে একসাথে হাঁটা বসন্ত উৎসবে।
স্পোর্টসের দিন গ্লুকোন ডি খেয়ে শুধু ভেজাতাম গলা,
একসাথে বলে গোল হয়ে খাওয়া ডিম পাউরুটি কলা।
মাসের কুড়ি তারিখ পেরোলে,শেষ হয়ে যায় স্যালারি,
বলতে পারিস রোজ টেনশন কোনো ফুটবল খেলারই।
একবার বল এই প্রান্ততে, ছোটাছুটি, পাস, গোওওওওল,
উপরের ওই রেফারি বলবে, বলো হরি, হরি বোল।

আজ আসি রে, দিনগুলোকে আর দেখবো না ভাবি;
আবার নিজের শিশুটাই বলে, আলুকাবলি কি খাবি?
টাইমমেশিন সত্যি হয়না, কোনোদিনও পাওয়া যায়না,
সুতপা ম্যাম যাওয়ার আগে, ঋক একবার আয়না।
আর কোনোদিন ডাকবো না তোকে, এ জীবনে কোনোদিনও;
ভালো থাকিস, কথাটা রাখিস, আমি কে? তোর তৃণ।
- তৃণ 🌿🌹🌿👍🏻

#আপনার_অপেক্ষায়_সময়বৃত্ত




#সুপ্রভাত_সময়বৃত্ত
゚viralシypシ゚viralシhtag


#ছোটগল্প

 #শুভসন্ধ্যাকলেজস্ট্রিটঅফিস টাইমে রোদের আলোফুরিয়ে এলে ভাবি; চলনা, আজকে বৃষ্টি নামলে -কলেজস্ট্রিটে যাবি? তুই কিনবি চার অধ...
04/06/2025

#শুভসন্ধ্যা

কলেজস্ট্রিট

অফিস টাইমে রোদের আলো
ফুরিয়ে এলে ভাবি;
চলনা, আজকে বৃষ্টি নামলে -
কলেজস্ট্রিটে যাবি?

তুই কিনবি চার অধ্যায়,
আমার তোকে দেখা;
প্রেসিডেন্সির মাঠের পাশে
আমরা ঘুরবো,একা।

সারা সপ্তাহ অপেক্ষা এক-
শনিবার কবে আসে,
সেন্ট্রাল থেকে মেট্রো ধরা,
দাঁড়িয়ে থাকবো পাশে।

ইনফিউশনে ঝরে পড়ে আজও,
কফি হাউসের স্মৃতি;
ওই হাজারটা গণকণ্ঠতে
আমাদের আবৃত্তি।

মনে পড়ে ওই লাল ডায়েরিটা?
কী বলেছিলি তুই?
রোজ রাত্তিরে ঘুমানোর আগে,
শব্দগুলোকে ছুঁই।

আমি তো এখনও বৃষ্টি পড়লে,
বিকেলগুলোকে খুঁজি;
সেন্ট্রালে আর নামিস নাতো,
প্রেম করিস না বুঝি?

ভালোই আছিস হয়তো এখন,
আমি যে কে সেই,একা,
আয়না আবার প্যাসেজ টেবিলে,
একবার হোক দেখা।

আমার চুল-দাড়িও সাদা,
সময় সীমিত হয়তো;
বয়স বাড়ছে, বাড়ুক আমাদের,
কলেজস্ট্রিটের নয়তো।

- তৃণ 🌿🌹🌿

#আপনার_অপেক্ষায়_সময়বৃত্ত




#সুপ্রভাত_সময়বৃত্ত
゚viralシypシ゚viralシhtag


#ছোটগল্প

 #শুভসন্ধ্যা প্রত্যয়ীসন্ধ্যা নেমে এল,যারা পেল সেই ছায়ার ছোঁয়ার ঘ্রাণ,তাদের প্রাণেই আজকে শুধু বিরহ বেঁধেছে বাসা; কারণ আশা...
03/06/2025

#শুভসন্ধ্যা

প্রত্যয়ী

সন্ধ্যা নেমে এল,
যারা পেল সেই ছায়ার ছোঁয়ার ঘ্রাণ,
তাদের প্রাণেই আজকে শুধু বিরহ বেঁধেছে বাসা;
কারণ আশা অপেক্ষাকে জমিয়ে রাখে বুকে।
বাঁচতে থাকে অভ্যাসের এই চির প্রত্যাশী মুখে;
নানান কথায় শহরটাতে আঁধার হয়ে গেল।
সন্ধ্যা নেমে এল।

কথায় কথায় দেরী,
আমাদেরই এই গোলকধাঁধায় প্রান্তশেষের গান;
আয়ুষ্মান ওই স্বপ্নগুলোর বাঁকের পথে ছোটা;
ঘুম থেকে ওঠা নিয়ত গতিতে ওদেরকে ভালোবেসে।
চোয়াল শক্ত আজ প্রতিবার আমার শহরে এসে।
স্বপ্ন দেখার জন্য জীবনে ভাষার হরেক ফেরি;
কথায় কথায় দেরী।

ভারী হয়ে আসে চোখ;
আমার হোক ওই সকালগুলোর বাঁশপাতাদের হাওয়া;
চাওয়া পাওয়া এক জীবনের থেকে অনন্তে মিশে যায়।
কাদের অপেক্ষায় এ জীবন এখনও সাজায় পথ।
জানি জানি এই রোজনামচার পরের ভবিষ্যৎ।
পথের পাথরে ঠোক্কর খায় অচেনা আহাম্মক;
ভারী হয়ে আসে চোখ।
সেই জানে এই যুদ্ধের শেষে কোন দিগন্ত পেল,
সন্ধ্যা নেমে এল।

- তৃণ 🌿🌹🌿

#আপনার_অপেক্ষায়_সময়বৃত্ত




#সুপ্রভাত_সময়বৃত্ত
゚viralシypシ゚viralシhtag


#ছোটগল্প

 #ছোটগল্পস্পর্শতৃণাঞ্জয় ভট্টাচার্য্য আমাকে দেখেছো? আমার সর্বাঙ্গে কাদা। সামনে কচুবন, নিচ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা। খাটটা ভে...
14/05/2025

#ছোটগল্প

স্পর্শ

তৃণাঞ্জয় ভট্টাচার্য্য

আমাকে দেখেছো? আমার সর্বাঙ্গে কাদা। সামনে কচুবন, নিচ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা। খাটটা ভেঙে দিয়ে গেছে, কিছুক্ষণ আগে। ওই কাঠ দিয়ে নাকি আবার নতুন খাট তৈরি হবে। আমরা নতুন হওয়া হলো না। আমার উপর ফুল ছিল অনেক। সেগুলো ওই তো পড়ে আছে ডাস্টবিনে। আরেকজন ছিল আমার উপর। সে আগুন পেয়েছে দগদগে আগুন। আমাকেও দিয়েছিল আগুন। কিন্তু মুখপোড়া হাওয়ায় নিভিয়ে দিল। এখন আমার আধপোড়া শরীর কাদায় মাখামাখি। আমাকে চেনো?

যার কথা বলছি, তার গাড়ি বারান্দায় আমার জন্ম। সে প্রায় অনেক বছর আগের কথা। তখন আমার যা রূপ, আজ দেখলে কল্পনাও করতে পারবেনা। নতুন তুলো, এই ফোলা আমার শরীর। একটা সেগুন কাঠের খাটে শুয়ে দেয়া হল আমাকে। সেদিন আমার উপর প্রথম উঠলো সে। আমার শরীরের সাথে মিলিয়ে দিল নিজেকে। আমার গায়ের সাথে মিশলো ওর ঘাম। আমার গায়ে ছিল একটা নীল আর কমলা মেশানো কাপড়। ও তার উপর একটা নীল ভেলভেট কাপড়ের কভার দিয়ে দিয়েছিল। আমাকে খুব পছন্দ ছিল ওর। ও মৈনাক চৌধুরী।

সারাদিন ঘরে একাই থাকতাম। এটা মৈনাকের একার শোয়ার ঘর। খুব একটা কেউ আসতো না এই ঘরে। সন্ধ্যার পরে মৈনাক যখন ফিরত, হাতে মুখে জল না দিয়েই ঝাঁপ দিতো আমার উপর। খ্যাচখ্যাচ করতো ওর মা।

- "আগে হাত মুখ ধুয়ে নে পাপাই।"
পাপাই তখন তার সারাদিনের ক্লান্তি ঢেলে দিয়েছে আমার গায়ে। মা ছাড়া আর কাউকে আমার উপর চড়াও হতে দিতো না মৈনাক। শুনেছিলাম ও খুব ভালো চাকরি পেয়েছে। ও নাকি খুব পরিশ্রমী। কিন্তু কর্মঠ কোন মানুষকে আমি ওর মত বিছানা পাগল হতে দেখিনি। হপ্তায় চারবার করে চাদর পাল্টানো হতো আমার উপর। সবটা মৈনাক নিজের হাতে করতো। যেন আমার লজ্জার আবরণ ও কারোর হাতে ছাড়তে রাজি নয়। আমি এ ঘরের রানী। সারাদিন একা থাকি নিরালা নিঝুম অন্ধকারে। তাই মৈনাক যখন তার ক্লান্তি ঢেলে দেয় আমার উপর, আমি মোটেই ক্লান্ত হই না। উল্টে নতুন প্রাণ পেয়ে বেঁচে উঠি আমি তখন। মৈনাকের কত নিঃশ্বাস, স্বপ্ন, উসখুসে ভাব কত স্বগোক্তির শ্রোতা তখন শুধু একা আমি। আমার আদরে কিছু মিনিটের মধ্যেই চোখ বুজে আসতো মৈনাকের। ওর চোখের পাতার স্বপ্ন মিশে যেত আমার বুকে, আমার প্রতিটা পাঁজরে। আমি যেন আস্তে আস্তে ওর সাথে এক হয়ে গিয়েছি। হঠাৎ শুনলাম, আসছে বৈশাখে ওর বিয়ে। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। নাহ, রাগ বা অভিমান কিছু হয়নি। মানুষের মতো ওইসব ফালতু ন্যাকামো আমাদের নেই। কিন্তু বিয়ে করা মানে, এখন সারাদিন অন্য একজনের মালিকানায় থাকতে হবে আমাকে। অন্য একজন এসে অধিকার করবে আমায়। আবার বিয়ের সময় শুনেছি, মেয়ের বাড়ি থেকে নতুন আসবাব, বিছানা-বালিশ এইসব দেয়। আমাকে যদি তাড়িয়ে দেয়? বুকটা ছ্যাত করে উঠেছিল। পাঁচ বছর এই ঘর, এই খাট,এই নির্জনতার মালিক আমি। কথা নেই, বার্তা নেই আমাকে তাড়িয়ে দেবে? কোথায় যাব আমি? কী হবে আমার?

সেই দিনের চিন্তা আমার মৈনাকই দূর করে দিয়েছিল। হবু শ্বশুর বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছিল, বিছানা না দিতে। আমাকে ছাড়া নাকি ওর ঘুম আসবে না। আমাদের শরীরে তো প্রাণ নেই। নাহলে নিশ্চয়ই সেদিন আনন্দে আমার চোখে জল চলে আসতো। সত্যিই মৈনাক আমাকে ছাড়া থাকতে পারে না।

তারপর একদিন যথারীতি সেই দিনটা এলো। আমার নির্জনতার প্রাসাদ ভেঙে খানখান হলো প্রায় বেশ কয়েকদিনের জন্য। লোকজন,হইচই। কড়া মৈনাকও আটকাতে পারল না কাউকে। পালা করে চলল অন্য পরিচিত লোকের আমার উপর জবরদখল। দাঁতে দাঁত চিপে সহ্য করে গেলাম কয়েকটা দিন। কারণ আমি জানি,এটা সাময়িক। এরপরে আবার আমার অন্তহীন স্বাধীনতা। ওহ, বলা হয়নি, মৈনাক এর স্ত্রী অনিমাও চাকরি করে,তবে বেসরকারি অফিসে।

আমাদের চোখ থাকে না। আমরা অনুভব করি স্পর্শে আর গন্ধে। তাইতো যখন শীতলতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে থাকি একাকিত্বে, তখন মৈনাকের উষ্ণ শরীর ভরিয়ে তোলে আমায়। সেদিন গোলাপ আর রজনীগন্ধার পাপড়ি আমার উপর। আর সেইদিনই আমি প্রথম মৈনাক ছাড়া অন্য কারোর উষ্ণতা অনুভব করলাম। কেউ বিশ্বাস করবে না, আমার একটুও খারাপ লাগেনি সেদিন। আমিও যেন নতুন হলাম সেদিন থেকে। দুটো ভিন্ন আত্মার এক রাত্রির মিলনের একমাত্র সাক্ষী আমি। এই পৃথিবীতে শুধু আমি।

অনিমা বেশ সৌখিন। আমার আদর বেড়ে গেল আরো কয়েকগুণ। সপ্তাহ অন্তর আমায় রৌদ্রে দেয়া হয়। একটা যন্ত্র দিয়ে আমার ধুলো পরিষ্কার করা হয়। আমার ভিতরের তুলোগুলো ফুরফুর করে ওঠে। এখন আর সারাদিন স্যাতস্যাতে লাগে না আমার। মৈনাক তো আত্মভোলা। ওর কাছে আমার আদর ছিল, যত্ন ছিলনা। ছিল না বলতে,সেটা ওর পক্ষে সম্ভব ছিলনা। সেটা দিতে পারে একমাত্র গৃহিণী। আর রাত্রে আমার গায়ে মিশে যায় এক নয়, দুইয়ের আদর।

দুজনের স্বপ্ন,বাস্তব,ভবিষ্যৎ,আগামী এবং আমি। সবকিছুর মতো আমিও ব্যক্তিগত।

পৃথিবীতে এমন কিছু ঘটনা ঘটে,যাকে ঠিক সংজ্ঞায় নিরূপণ করা সম্ভব হয় না। পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই আকস্মিকের মতো তারা আসে। এই বাড়িতেও থাবা বসালো ঠিক এমনই এক আকস্মিকের ঝড়। পাঁচ দিনের জ্বরে হঠাৎ চলে গেলেন মৈনাকের মা। ঘটনাটা এত তাড়াতাড়ি ঘটে গেল, যে কেউ সেটা কল্পনা করতে পারেনি। মাত্র বছরখানেকের মত মৈনাকের বিয়ে হয়েছে। অনিমা এখনো মিশে আছে আমার সাথে। কেমন যেন পাথরের মত হয়ে গেছে অনিমা। ও সন্তানসম্ভবা। বেশি নড়াচড়া করতে দিচ্ছে না ওকে কেউ। ওর এখন একমাত্র আশ্রয় আমার বুকে। আর মৈনাক ছোটাছুটি করছে, কখনো বারান্দায় পায়চারি করছে। এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন কিছুই হয়নি। কিন্তু আমি জানি, যে ওর বুকটা কেমন করে ফেটে যাচ্ছে। খুব ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর থেকে মা ছাড়া যে ও আর কিছু জানতোনা। মার ওপর ও কতটা নির্ভর করে, আর কেউ না জানলেও আমি জানি। বিকেল চারটের সময় ওর মাকে বার করা হলো বাড়ি থেকে। সাদা কাপড় পড়ে উসকো খুসকো চুলে যখন আমার উপর লুটিয়ে পড়লো মৈনাক, তখন রাত দুটো।

সবকিছুর যেমন শেষ হয়, এই অশ্রুর পৃষ্ঠাও ঠিক তেমনই উল্টে গেল একদিন। এর ঠিক ছয় মাসের মাথায় আমার নরম কোলে এলো মৈনাক আর অনিমার মেয়ে। তুলতুলে হাত পা গুলোকে দিয়ে আছাড় মারতে শুরু করলো আমার বুকে। মৈনাক আর অনিমার মধ্যে তৈরি হল ছোট্ট একটা ফাঁক। সেই ফাঁকে ছোট্ট সেতু হয়ে উঠল আত্রেয়ী। সারাদিনের সঙ্গী। আমি এখন আর ঘুমাতে পারি না। সারাদিন হয় কাঁদছে,নয় হাসছে, না হয় হাত-পা ছুড়ছে আমার বুকের উপর। এক মাসে উপুড় হতে শিখে গেছে ওই দস্যি মেয়ে। সেটা যে কি অনুভূতি তা বোঝানোর ভাষা আমার ভান্ডারে নেই। একটা লোক রাখা হয়েছে আত্রেয়ীর জন্য। অনিমার অফিস আছে। আমার উপর অধিকারীর সংখ্যা বাড়লো। সে মহিলা তো আত্রেয়ীর পাশে শুয়ে শুয়েই কাটিয়ে দেয় সারাদিন। অনিমা ফেরে আটটায়। তারপর এর ছুটি। একরত্তি মেয়ে মাকে দেখে হাত পা ছোড়ার গতি আরো বাড়িয়ে দেয়। মৈনাক কেমন যেন হয়ে গেছে মা চলে যাওয়ার পর থেকে। আমার ওপর সব থেকে কম আসে এখন মৈনাক। বাড়ি ফিরে শুধু পাইচারি করে সারা ঘরে। মৈনাক তো কখনো এমন ছিল না।

একদিন মৈনাক ফিরল অনেক আগে। আত্রেয়ীকে নিয়ে মামার বাড়ি গেছে ওর মা। তাহলে মৈনাকের সঙ্গে কে? এই গায়ের গন্ধ তো আমি চিনি না। এই উষ্ণতা তো মিশে নেই আমার গায়ে। আবার মিশে গেল দুটো ভিন্ন শরীর। কিন্তু আত্মারা?

রাত্রে ফিরলো অনিমা মেয়েকে নিয়ে।
- তুমি গেলে না যে?
প্রশ্নটা করা হলো মৈনাককে। বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে মৈনাক উত্তর দিল,
- কাজ ছিল।
- কী এমন কাজ যে একটা দিন তুমি আমাদের বাড়ি যেতে পারো না?
হঠাৎ চোখ গেল।
- ওটা কী? সে কী? কার রুমাল এইটা?
রুমালটা ফেলে গেছে মৈনাকের উষ্ণতার নতুন সঙ্গী। আমার ওপর ধপ করে বসে পড়ল অনিমা।
- এই কাজ?
কোন কথা খুঁজে পেল না মৈনাক। চোখদুটো অন্যদিকে। সে দৃষ্টির কোন উত্তর ছিল কিনা আমার জানা নেই। কিন্তু এইটা বেশ বুঝতে পারলাম, এই দূরত্ব ঘোচানোর ক্ষমতা ওই ছোট্ট ফুলের কুঁড়ির সেতুর নেই। যে এখন হাত-পা আছড়ে চলেছে আমার উপর। আমার গায়ে যেন জল পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা। হ্যাঁ, অনিমার চোখ থেকে।

মেয়েকে নিয়ে বেহালায় বাবার কাছে চলে গেল অনিমা। আবার সেই স্যাতস্যাঁতে একাকীত্ব। সারা ঘর ফাঁকা। ধুলো উড়ে বেড়ানোর শব্দ পাওয়া যায়। মৈনাক ফেরে অনেক রাতে। প্রায় অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়ে আমার উপর। আমার হয়েছে যত জ্বালা। ওর নতুন সঙ্গী এসেছিল তিনচারবার প্রথমদিকে। অনিমা চলে যাওয়ার পরপরই। এখন আর আসে না।

সেদিন রাত তখন তিনটে হবে। আমি ভিজে যাচ্ছি কেন? মৈনাক ঘামছে। হ্যাঁ তাইতো!একটা মানুষ এতো ঘামে? আমি কোনদিনও দেখিনি। মৈনাককেতো নয়ই। তারপর দেখলাম ও উলটপালট করছে,ছটফট করছে। বুঝলাম সাংঘাতিক কোনো কষ্ট হচ্ছে ওর। মনে হলো চিৎকার করে অনিমাকে ডাকি। কিন্তু চোখের মতো আমার তো মুখও নেই। আমি খালি স্পর্শ পাই। সেই স্পর্শেই বুঝতে পারলাম, যার উষ্ণতা এতগুলো বছর ধরে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, তার গাটা ঠান্ডা হয়ে গেছে গত তিনঘণ্টা ধরে।

অনিমা এসেছিল। ওই জোর করে আমাকে পাঠিয়ে দিল মৈনাকের সাথে। মাথা খালি। শাখা পলা আগেই খুলে ফেলেছিল, তাই ভাঙার ঝামেলা নেই। কেঁদেছিল অনিমা? বললাম না,আমার চোখ নেই।

ওই কারা এগিয়ে আসছে! আমাকে কোথায় নিয়ে যাবে? কী হবে আমার?

(সমাপ্ত)





゚viralシypシ゚viralシhtag

 #সুপ্রভাত_সময়বৃত্ত      ゚    ゚viralシypシ゚viralシhtag      #সময়বৃত্ত সেদিন আমাদের কাছে চোখের সামনে রাখা কোনো উদাহরণ ছিল না...
14/05/2025

#সুপ্রভাত_সময়বৃত্ত




゚viralシypシ゚viralシhtag


#সময়বৃত্ত

সেদিন আমাদের কাছে চোখের সামনে রাখা কোনো উদাহরণ ছিল না। যিনি বা যারা আমার টালিগঞ্জ হরিদেবপুরে আমাদের সময়বৃত্ত - Samaybritto সময়বৃত্তকে নাটক করতে উৎসাহিত করলেন, তাঁরাই এককথায় সেই আয়োজনের দায়িত্ব থেকে হাত সরিয়ে নিলেন। দিনটা মার্চ মাসের ৩১ তারিখ।একদিকে মিডিয়ার বন্ধুরা চলে এসেছেন, অপরদিকে শাসকদলের আঞ্চলিক দাদা বলছেন, বাসস্ট্যান্ডে কোনোভাবেই নাটক করতে দেবেন না। আমি আর সংকেত দিশেহারা হয়ে ভাবছি, কী করা উচিত। তারপর হঠাৎই ভাবলাম, যা হয় হবে, আমরা নাটক করেই ছাড়বো। আমাদের নাটক "আর্জি করজোড়ে" সেই অর্থে তো শাসকদল বিরোধী কোনো নাটক নয়। আরজি কর বিরোধী প্রচারকে যদি রাজ্যের শাসক তাঁর বিরুদ্ধাচরণ মনে করেন, তাহলে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যা। সেটাই এই দলের প্রথম জনগণের সামনে নিজেদের পারফর্মেন্স নিয়ে আসা। দুই একজন ছাড়া অনেকের কাছেই সেটাই ছিল প্রথম নাটকে অভিনয়। আর তখনই বিপদতাড়ন হিসেবে এলেন অরুণ কাকু তাঁর দলবল নিয়ে। আর আমাদের চালচিত্র হিসেবে আমাদের শক্তি সময়বৃত্তের বিশাল ব্যানার। বিষয়টা এতটাই রোমহর্ষক হয়ে দাঁড়ালো, যে আমাদের নাটকটা দুইবার করতে হল। আমাকে সবথেকে অবাক করেছিল আমার ক্যাপ্টেন প্রসেনজিতের আগমন। ওঁ যে ওখানে আসতে পারেন, একবারও সে কথা আমাকে জানান নি। নাটক দেখে, ওঁ বলে গেলেন, প্রযোজনা খুব ভালো হয়েছে।

এই নাটক আমাদের কাছে দুটো সত্যি পরিষ্কার করে দিল। এক, আমাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র আমাদের নিজেদের ছাড়া কারোর নেই। দুই, পথই আমাদের কাছে একমাত্র পথ খুব সহজে প্রতিটা মানুষের মনের কাছে পৌঁছানোর। যাত্রার সূচনা তো হয়ে গেল। স্বস্তি নয়, এক চরম দায়িত্ব আমাদের ওপর এসে বর্তালো। এবার মানুষের কথা পথে প্রান্তরে বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে আমাদের। আপনাদের সাহায্য ছাড়া সেটা তো সম্ভব নয়। আমাদের ডাকুন আপনার নিজের অঞ্চলে, নিজের জেলায়। নির্দ্বিধায় ছুটে যাবে সময়বৃত্ত। আমাদের যেখানে রাখবেন,সেখানে থাকতে পারি। যা খেতে দেবেন, তাই খেতে পারি। একমাত্র যাতায়াতের খরচ ছাড়া অন্য কিছু নিই না আমরা। তাহলে এবার আপনার পাড়াতেই দেখা হচ্ছে সময়বৃত্তের সঙ্গে।

সুপ্রভাত।

- আপনাদের তৃণ 🌿🌹🌿

সীমান্তে আজ আমি প্রহরী - তৃণাঞ্জয় ভট্টাচার্য্য"কবিতার সকল বাঁধানো ফাইল হাসপাতালে নিয়ে যেতেই, আনন্দে উঠে বসেছিল সুকান্ত। ...
13/05/2025

সীমান্তে আজ আমি প্রহরী

- তৃণাঞ্জয় ভট্টাচার্য্য

"কবিতার সকল বাঁধানো ফাইল হাসপাতালে নিয়ে যেতেই, আনন্দে উঠে বসেছিল সুকান্ত। 'বই তাহলে সত্যিই বেরোচ্ছে?' সেই সপ্তাহ যেতে না যেতেই সুকান্ত আমাদের ছেড়ে চলে গেল। বইয়ের সকল শর্ত সম্পন্ন করে যখন নাম কী রাখা হবে ভাবছি, তখনই মাথার ওপর বজ্রপাতের মতো এল সুকান্তর মৃত্যুর খবর। শেষে বইয়ের প্রথম কবিতার নাম অনুযায়ী, বইয়েরও নাম হল ছাড়পত্র।" এই স্মৃতি ভাবি সমাজকে জানিয়েছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়। যার নামে আজকে মেট্রো স্টেশন তৈরী হয়েছে। এই সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য্যর এক দাদা নেপাল চন্দ্র ভট্টাচার্য্যর সহপাঠী ও অভিন্ন হৃদয় বন্ধু। আজীবন কমিউনিস্ট ভাবধারায় লালিত সুকান্ত'র মধ্যে তাঁরাই আবিষ্কার করেন এক কবিসত্ত্বা। সেই সময়, অর্থাৎ, ১৯৪১-৪৩ সালে, পুরোপুরি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, সুকান্ত লিখে চলেছেন একের পর এক খিদের কবিতা, আগুনের কবিতা। পরিচিত বৃত্তে তাঁর নাম হয়ে যাচ্ছে "তরুণ নজরুল" অথবা "তরুণ বিদ্রোহী কবি।" পরিচয়টা হয়তো এখানেই আটকে থাকতো, যদি না তাঁর কবিসত্ত্বা আবিষ্কৃত হত, যদি না তিনি লিখে ফেলতেন, "এখনও আমার মনে তোমার উজ্জ্বল উপস্থিতি।" তোমার মানে কার? স্বয়ং রবি ঠাকুরের। কবিতার নামই "রবীন্দ্রনাথের প্রতি।" সেখানে সুকান্ত একদিকে লিখছেন, " এখনও তোমার গানে সহসা উদ্বেল হয়ে উঠি/ নির্ভয়ে উপেক্ষা করি জঠরের নিঃশব্দ ভ্রুকুটি", আবার একই সঙ্গে লিখছেন, "আমার বসন্ত কাটে খাদ্যের সারিতে খাবারের প্রতিক্ষায়,/আমার বিনিদ্র রাতে সতর্ক সাইরেন ডেকে যায়/আমি এক দুর্ভিক্ষের কবি..."। ক্রমশ ফুটে উঠেছে ধীরে ধীরে তাঁর কবিসত্ত্বা। সেই খোঁজ পাচ্ছেন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথও। লিখছেন,
"কিষানের জীবনের শরিক যে জন,
কর্মে ও কথায় সত্য আত্মীয়তা করেছে অর্জন,
যে আছে মাটির কাছাকাছি,
সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি।"
সুকান্তর কবিসত্ত্বা নিয়ে বিদগ্ধজনের মনে প্রচুর প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু যেটা নিয়ে প্রশ্ন নেই, তা হল, সুকান্তর শব্দের মধ্যে সত্যতা। চকচকে অস্ত্রের মতো তাঁর শব্দ একেবারে শত্রুর সাথে সরাসরি লড়াই করে।
"প্রিয়াকে আমার কেড়েছিস তোরা,
ভেঙেছিস ঘর বাড়ি,
সে কথা কি আমি জীবনে মরণে,
কখনো ভুলতে পারি?
আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই,
স্বজন হারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবোই।"
ছাড়পত্র ছাড়াও, "ঘুম নেই" "পূর্বাভাষ","অভিযান","মিঠেকড়া", "হরতাল" বা "গীতিগুচ্ছে"র কবিতা তিনি আগেই লিখে ফেলেছেন। স্বাক্ষী থেকেছেন বিনিদ্র রাতে সতর্ক সাইরেনের। নিজের অভিজ্ঞতায় অর্জন করেছেন, এক চরম হাহাকার,"খাবার, খাবার, খানিকটা খাবার।" বলতে বাধ্য হয়েছেন, "প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা,/কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;/ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,/পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।"বলে ফেলেছেন,"অবাক পৃথিবী অবাক করলে আরও,/দেখি এই দেশে অন্ন নেইকো কারো।" কিন্তু কোনো কবিতার সংকলন তাঁর নিজের চোখে দেখে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাঁর পারিবারিক সূত্রের পরিচয় বহন করে এরপরে একজন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক পদও অলংকৃত করেছেন। যতোই খুঁড়তুতো কাকা হন, সুকান্ত সেই বুদ্ধদেববাবুর পারিবারিক পূর্বসূরী তো অবশ্যই ছিলেন। যেটা বলার জন্য এই পারিবারিক সূত্রের প্রসঙ্গ তোলা, সেটা হল যাদবপুরের যক্ষা হাসপাতালের অন্ধকারের দিনেও সুকান্ত নিশ্চয়ই সেই মুক্তিসূর্যের স্বপ্ন দেখেছিলেন। "দিক থেকে দিকে বিদ্রোহ ছোটে, বসে থাকবার বেলা নেই মোটে, রক্তে রক্তে লাল হয়ে ওঠে পূর্বকোণ!" আজ সেই একুশ বছরের কিশোরের ৭৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। জীবিত থাকলে আজ সুকান্ত ৯৯ বছর স্পর্শ করতেন। আগামী বছর ১৫ আগস্ট তার শতবর্ষ পূর্ণ হবে। ছোটবেলা থেকেই একটা ভাবনা খুব মাথায় আসে, মে মাস আমাদের দিয়েছে রবীন্দ্র নজরুলকে, কেড়ে নিয়েছে সুকান্তকে। অপরদিকে আগস্ট মাস আমাদের থেকে কেড়ে নিয়েছে রবীন্দ্র-নজরুলকে, এনে দিয়েছে সুকান্তকে। এটা কি পুরোপুরি কাকতালীয়, নাকি এক আশ্চর্য সমাপতন? আজ ১৩মে, মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রণাম জানাই অগ্নিহোত্রী যুগকবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যকে।





#সুপ্রভাত_সময়বৃত্ত
゚viralシypシ゚viralシhtag


#সময়বৃত্ত
#শুভ_বিকেল

 #শুভ_বিকেল বৃথা চেষ্টাচেষ্টা করে বুকের থেকে পাথর সরানো যায়নি; কেউ পায়নি কুন্ডলিনীর হিসেব অথৈ জলের। কর্মফলের আশায় ঘুরেছে...
10/05/2025

#শুভ_বিকেল

বৃথা চেষ্টা

চেষ্টা করে বুকের থেকে পাথর সরানো যায়নি;
কেউ পায়নি কুন্ডলিনীর হিসেব অথৈ জলের।
কর্মফলের আশায় ঘুরেছে নিরুদ্দেশের পাখি,
কোনো ঠোঁট তার ছড়িয়ে রাখা ভাতের দানা খায়নি।

ভাত ছড়ালে কাকই আসে, এক শালিকের জেদ,
করবে এবার দুঃসময়ের কঠিন লক্ষ্যভেদ।
চেষ্টা করেও শত কামনায় দৃষ্টি ঠেকানো যায়নি,
উলঙ্গ উরু আঁকড়ে থেকেছে নিজের চতুর্বেদ।

আমরা যারা বো ব্যারাকের ফোয়ারা দেখেই খুশি,
সাদা চাদরের বিছানাগুলো অবচেতনেই পুষি;
কেউ জানিনা, স্টিলেটো হিলও হঠাৎ হোঁচট খায়,
আমরা শুধু নিজের হাতের বুড়ো আঙুলটা চুষি।

চুষতে থাকি নিজের মনে দুপুর থেকে রাত,
দ্রৌপদী সেই ধরবে কোনো সব্যসাচীর হাত।
আমরা শুধু ডিপির গায়ে হাত বুলিয়েই শেষ,
কাকের আশায় ছড়িয়ে যাব উঠোন জুরে ভাত।

- তৃণ 🌿🌹🌿





゚viralシypシ゚viralシhtag

 #ইন্টারভিউ      ゚    ゚viralシypシ゚viralシhtag     এটা খুব পরিচিত একটা মিথ দেব ঠিকমতো বাংলা উচ্চারণ করতে পারেন না। আমার মনে...
03/05/2025

#ইন্টারভিউ





゚viralシypシ゚viralシhtag



এটা খুব পরিচিত একটা মিথ দেব ঠিকমতো বাংলা উচ্চারণ করতে পারেন না। আমার মনে হয়, খুব ছোট থেকে মুম্বাইনিবাসী হওয়ার জন্য, বাংলা সাহিত্যের সঙ্গে ওঁর যোগাযোগটা কম থেকেছে। সেই প্রভাবটা পড়ে ওঁর কথা বলায়। কিন্তু আমি ব্যক্তিগত কাজের সূত্রে বলছি, কাজটাকে অত কাছ থেকে ভালবাসতে আমি খুব কম মানুষকে দেখেছি। দেবদার যেটা সবথেকে আকর্ষণীয়, সেটা হচ্ছে ওঁর মাটিতে পা দিয়ে চলা। যারা ওঁকে দূর থেকে দেখে সেলফি তোলেন, অথবা শুধু ভিড়ের মধ্যে থেকেই দেখতে পান, তাঁরা ওঁর সঙ্গে একান্ত সময়টা আন্দাজ করতে পারবেন না। আমি পরপর তিনদিনের ঘটনা বলছি।

এক, ককপিটের জন্য একটা সাক্ষাৎকার চলছে। তা, দেব যেকোনো জায়গায় গেলেই যেটা হয়, প্রচন্ড ভিড় ওঁকে ঘিরে ধরেছে। ওঁ কিন্তু প্রত্যেকেরই আবদার মেনে সেলফি দিচ্ছেন। কিন্তু যখনই কাজটা শুরু হয়ে গেল, অর্থাৎ ক্যামেরা অন করে সাক্ষাৎকারটা শুরু হলো, একজন মোবাইলে ফটো তুলতে গেলে, উনি চিৎকার করে উঠলেন। "কী হলো ভাই? ফটো তুলছো কেন? এখানে একটা কাজ চলছে,না ইয়ার্কি চলছে?" এটা সবসময় লক্ষ্য করেছি, যেকোনো কাজ করার সময় ওঁ অসম্ভব ডেডিকেটেড হওয়ার কারণে, কিছুটা নার্ভাসও হয়ে থাকেন।

দুই, কাছের মানুষ এবং কিসমিসের কাজের সূত্রে ওঁর সাউথ সিটি অফিসে গেছি। একটা টি শার্ট আর হাফ প্যান্ট পরে, হাতে মুড়ির বাটি নিয়ে, আমাদের সঙ্গে পুরো কাজের কথা বলে গেলেন। বেশি কথা বলার সময়ই নেই। অথচ কেউ ভাবতেই পারবেন না, সুপারস্টার দেবের সঙ্গে কথা বলছি। এতটাই সাধারণ, এতটাই আমার আপনার ঘরের লোক। কারণ সেটা ওঁর স্টারডম দেখানোর জায়গা নয়।

তিন, কিসমিসের জন্য একটা সাক্ষাৎকার চলছে। ক্যামেরা রেডি, আমি রেডি। বাদবাকি লাইট থেকে শুরু করে সবকিছু রেডি। দেবদা তখনও আসেননি। কোথায়?কোথায়? শেষে আবিষ্কার করা গেল,মেকআপ রুমে বসে বসে স্ক্রিপ্ট মুখস্থ করছেন। সেটা কিন্তু ফিল্মের সিরিয়াস স্ক্রিপ্ট নয়। খুবই সাধারণ একটা সাক্ষাৎকারের জন্য লেখা স্ক্রিপ্ট। অথচ এতটাই ডেডিকেশন।

সেইদিনই বুঝে গিয়েছিলাম, সব থেকে সফল সুপারস্টার এমনি এমনি হওয়া যায় না। আর সেই সুপারস্টার হলেই, সব জায়গাতে সেই স্টারডম দেখাতে হয়না। দেব নিজেকে বদলাচ্ছেন, আর এই বদলানোর জন্য তিনি কীভাবে পরিশ্রম করছেন, এখন,এই পর্যায়ে, সফলতার চরম শিখরে থেকেও,সেটা একমাত্র তাঁর সঙ্গে কাজ করলেই বোঝা যায়।

 #ইন্টারভিউ তখন আমি পুরীতে। অভিজিৎ ফোন করে বলল, "তোমাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছেন। প্রশ্নগুলো একটু পাঠাতে বললেন।" মনে আছ...
28/04/2025

#ইন্টারভিউ

তখন আমি পুরীতে। অভিজিৎ ফোন করে বলল, "তোমাকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছেন। প্রশ্নগুলো একটু পাঠাতে বললেন।" মনে আছে পরিবারের সাথে তখন সমুদ্রের পারে চা-ঝালমুড়ি খাচ্ছি। আমার ছোট ভাগ্নি বিভিন্ন রকম বায়না করছে। দিদিভাই ওকে এক বকা দিল, "দেখতে পাচ্ছিস না, মামা ভাবছে?" হ্যাঁ, সত্যিই ভাবছিলাম। ভাবছিলাম, কী করে বাংলার সবথেকে বড় স্টারের মুখোমুখি বসে ইন্টারভিউ করব। ভাবছিলাম, তিনি আমার প্রশ্নগুলোকে সিম্পলি উড়িয়ে দেবেন কিনা। জানতাম না, প্রশ্নগুলো তাঁর পছন্দ হয়েছে।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। হ্যাঁ, বুম্বাদা বলতে আমি অভ্যস্ত নই। যে নামটা তিনি সারাজীবন লড়াই করে তৈরি করেছেন, আমি সেই নামেই তাঁর সঙ্গে পরিচিত, সেই নামেই তাঁকে সম্বোধন করতে চাই। ইন্টারভিউতে বসার আগে, আমাকে একবার বলে নিলেন, "তোদের শরবত-মিষ্টি দিয়েছে তো?" আর প্রথম থেকেই "তুই"। শুরুতেই যেন সব জড়তার বাঁধ নিজেই ভেঙ্গে দিলেন। প্রশ্ন আমার তৈরিই ছিল। সেগুলো করে যেতে কোনও অসুবিধা হলো না। আমি শিখলাম, কী করে কো-অ্যাক্টরকে সাবলীল করতে হয়। একটু যখন কফি খাওয়া বা গল্প করা চলছে, জিজ্ঞাসা করলাম,
-" দাদা, আপনি তো আমাকে আলাদা করে সাবলীল নাও করে নিলে পারতেন? তাহলে, হয়তো আমি অপ্রিয় প্রশ্নগুলো করার সুযোগই পেতাম না।"
মুচকি হেসে মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বললেন,
- " আরে বোকা,তাহলে আমার ইন্টারভিউটাই ঝুলে যেত।"
আজ যখন নিজের ইন্টারভিউর ডাইরি লেখা শুরু করছি, তখন এই মানুষটাকে দিয়েই শুরু করলাম। কারণ, একদম প্রথম দিকে এই মানুষটা যেভাবে আমার বাঁধ ভেঙ্গে দিলেন, এরপর আমার মনে আর কোনও স্টার নিয়ে কোন জড়তা থাকল না। আমি থিয়েটার করি। অভিনয়ে কোনদিন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতে পারব কিনা, সত্যিই জানিনা। কিন্তু একজন সাংবাদিক হিসেবে দাদা সেদিন যে সাহস আমাকে দিয়েছিলেন, তার জন্য আমি এর পরবর্তী পুরো জীবনটা সাংবাদিক হিসেবে তাঁর কাছে ঋণী হয়ে থেকে যাব। বড়রা বোধহয় এরকমই হন।





゚viralシypシ゚viralシhtag

゚viralシypシ゚viralシhtag

আসছে...
18/04/2025

আসছে...

আসছে...








Address

415 Mahatma Gandhi Road, Nirala, Thakur Bari, Nonamath, Haridebpur, Kolkata/
Kolkata
700082

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when তৃণলিপি - Trinolipi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to তৃণলিপি - Trinolipi:

Share