
16/05/2025
-” বাসর ঘরে ঢুকে বউকে ছুঁয়ে দেখার আগেই বউ সেন্সলেস হয়ে গেলো ? হাউ স্ট্রেঞ্জ?”
-” আবদ্ধের মুখে বউ ডাক ভেতর নাড়িয়ে দিলো স্রোতের ।শিরায় শিরায় শিরায় নাম না জানা শিহরণ বয়ে যায়।স্রোত তৎক্ষণাৎ বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো। তার ভয়ের পাশাপাশি লজ্জা ও বাড়তে শুরু করলো। এক পর্যায়ে স্রোত ভয়ে লজ্জায় চোখের পানি ছেড়ে দিলো।যা দেখে আবদ্ধ বললো,
-” ওহ্ শীট ! আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার বউ প্রেগন্যান্ট। প্রেগন্যান্সির সময় মেয়েরা এমন একটু আধটু সেন্সলেন্স হয়।ইজ ডাজেন্ট ম্যাটার। আচ্ছা বউ কটা বাচ্চা হবে আমাদের ? ছোটবেলায় নানু বলতো জমজ কলা খেলে নাকি জমজ বাচ্চা হয়।আমি তো ছোটবেলায় ত্রিপল কলা খেয়েছি।তাহলে কি আমাদের তিন টা বাবু হবে ? বাবুরা কার মতো দেখতে হবে? তার মাম্মাম এর মতো ? নাকি পাপার মতো?বাই দ্যা ওয়ে ডেলিভারি কবে হবে?”
-” আবদ্ধের এমন বিব্রতকর ,লাগামহীন কথাবার্তা হজম করতে পারলো না স্রোত। তার কান দিয়ে যেন ধোঁয়া বেরোনো উপক্রম হয়ে গেলো।তার ভীত, শঙ্কিত হয়ে থাকা মুখশ্রী মূহুর্তের জন্য যেন লাজে রাঙা হয়ে উঠলো।স্রোত অশ্রুসিক্ত নয়নে আবদ্ধের দিকে তাকিয়ে তোতলাতে তোতলাতে বললো,
-” এ এসব কি বলছেন স্যার ? আপনি ঠিক আছেন তো? নাকি মেয়াদোত্তীর্ণ গাঁজা খেয়েছেন? কেমন উল্টো পাল্টা কথা বলছেন।”
-” ভুল কিছু বলেছি কি ? “
-” আবদ্ধের প্রশ্নের উত্তর জানা নেই স্রোতের। স্রোত কি করবে বুঝতে না পেরে পুনরায় সেন্সলেস হবার নাটক করে ঠাস করে নিচে পড়ে যাওয়ার আগেই আবদ্ধ স্রোতের কোমর আঁকড়ে ধরলো।তার পুরুষালী শক্তপোক্ত হাত গিয়ে স্পর্শ করলো স্রোতের উন্মুক্ত নরম , কোমল মেদহীন পেটে। মূহুর্তের মধ্যে যেন স্রোত জমে বরফ হয়ে গেলো। শরীরে শিরশিরে অনুভূতি জাগ্ৰত হয়ে লোমকূপ দাঁড়িয়ে গেল। ক্রমাগত হৃদস্পন্দন বাড়তে শুরু করলো।স্রোত জিভ দ্বারা নিজের ওষ্ট ভিজিয়ে নিলো কয়েকবার। আবদ্ধের শক্তপোক্ত হাতের বাঁধন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ছটফট করতে শুরু করলো। স্রোতের ছটফটানি দেখে আবদ্ধ আরো শক্ত করে স্রোতের কোমর চেপে ধরে নিজের কাছে টেনে নিয়ে এসে স্রোতের কানের কাছে নিজের ওষ্ট নিয়ে ফিসফিস করে বললো,
-” এতো ছটফট করছো কেন বউ? এমন ভাবে ছটফট করছো যেন আমি এই প্রথম বার তোমার কাছে এসেছি। অথচ দেখো তুমি আমার বাচ্চার মা হতে চলেছো।তাহলে তুমিই বলো আমি তোমার কাছে না আসলে , তোমাকে ভালো না বাসলে তুমি তো আর এমনি এমনি আমার বাচ্চার মা হয়ে যাও নি ?আমার স্পর্শ গভীর থেকে গভীরে পৌঁছেছে তোমার।ঠিক যেন অতলস্পর্শী ।তাহলে এখন এতো ছটফটানি কেন?”
-” ছিঃ ছিঃ ! স্যার হয়ে কি সব অশ্লীল কথাবার্তা বলছেন ।”
-” আমি বললে সেটা অশ্লীল হয়ে গেলো।আর নিজে যখন প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে আমার নামে মিথ্যা এলিগেশন দিলে, আমার চরিত্রের দিকে আঙ্গুল তুললে।তখন সেটা অশ্লীল লাগে নি ?আমি তোমার দিকে এ পর্যন্ত বাজে নজরে তাকিয়ে ও দেখি নি।আর তুমি বললে আমি তোমার সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছি?আবার আমার বাচ্চা কে অস্বীকার ও করেছি।লাইক সিরিয়াসলি ? বাই দ্যা ওয়ে বাচ্চার বাবা হবার তকমা যখন লেগেই গেছে,তখন আর দেরি না করে বাবা ডাক শোনার প্রসেসিং শুরু করি।শুভ কাজে দেরি করতে নেই। তুমি কি বলো বউ?বলেই আবদ্ধ ডান চোখ টিপ মেরে দিলো। “
-”ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব, বাকরুদ্ধ হয়ে যায় স্রোত।সে কিছুতেই ক্লাসে থাকা মুনফাসিল আবদ্ধ আর তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মুনফাসিল আবদ্ধ কে মেলাতে পারছে না। নিজের চক্ষু, কর্ণদ্বয় কে বিশ্বাস করতে পারছে না।মুনফাসিল আবদ্ধের এ রুপের সাথে পরিচিত নয় সে।যেন এমন ঠোঁট কাটা , লাগামহীন আবদ্ধ কে সে কোন কালেই চিনতো না।স্রোত আর এক মুহূর্তও বিলম্ব করে না। দৌড়ে চলে আসে দরজার নিকটে। উদ্দেশ্যে অন্য শয়নকক্ষে যাওয়ার। কিন্তু স্রোত দরজার ছিটকিনি খুলে বুঝতে পারলো দরজা অপর প্রান্ত থেকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে আবদ্ধ স্যার ও রক্তিম মুখশ্রী নিয়ে স্রোতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।এটা দেখা মাত্রই স্রোত দৌড়ে ওয়াশ রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিয়ে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে।সে আজ কিছুতেই আবদ্ধ স্যারের মুখোমুখি হবে না বলে পণ করে। স্রোতের এমন অবস্থা দেখে পৌশাচিক আনন্দ হয় আবদ্ধের। ইবুক #তোমাকেই_চাই গল্পের অংশবিশেষ। সম্পূর্ণ গল্প বইটই অ্যাপে পাবেন।
লিংক:AmmDr-Mojaffar molla