https://www.facebook.com/104433408554272/

Yogi Shambhu Nath, Krishnagar , Nadia, KOLKATA (2025)

13/10/2025

গৃহত্যাগী যোগীর সাধনপীঠ, হাতির পিঠে হেস্টিংসের বাঘশিকারের জঙ্গলই আজকের চৌরঙ্গি
ভাগীরথীর সেই আঘাটায় ডিঙি থামালেন চৌরঙ্গীনাথ। হরিণশাবককে অনুসরণ করে ঢুকে পড়লেন গভীর বনে। এই শাবকও কিন্তু তাঁর কাছছাড়া হল না। সাধকের বিশ্বাস হল, এই হরিণ আসলে ঈশ্বরের প্রতিরূপ। ঈশ্বরই হরিণের রূপ ধরে তাঁকে সংসারের মোহমুক্ত করলেন।শংকরের কলম থেকে ময়দানের সবুজ। বাঙালির জীবনে চৌরঙ্গি মানেই রোমান্টিকতা। জানেন কি আজ থেকে কয়েকশো বছর আগেও এই এলাকা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা। ব্রিটিশ সাহেবরা এখানে আসতেন হাতির পিঠে চেপে বাঘশিকারে। তারও আগে জনবসতিহীন এই প্রান্তর ছিল যোগীদের সাধনার গুপ্তস্থান।সপ্তদশ শতকে বর্ধিষ্ণু গোবিন্দপুর অঞ্চলের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ছিল জঙ্গুলে চৌরঙ্গি। জঙ্গলের জন্য সাধারণ মানুষ এড়িয়ে চলত এই অঞ্চল। ঘন জঙ্গলের জন্য এখানে প্রবেশ করতে পারত না আধুনিকতা এবং সংস্কারও। ষোড়শ শতকে এই জঙ্গলেই পা পড়ে নাথ সম্প্রদায়ের এক যোগীপুরুষের। তাঁর নাম ছিল জঙ্গলগিরি চৌরঙ্গীনাথ। বলা হয়, তাঁর নাম থেকেই এই স্থানের নামকরণ। অনেকেই মনে করেন, তাঁর সাধনাস্থল থেকেই গোড়াপত্তন হয় কালীঘাট মন্দিরের।তিনি শাক্ত না শৈব ছিলেন, তা নিয়ে কলকাতা-গবেষকরা এখনও দ্বিমত। কথিত, হুগলির এক প্রাচীন জনপদ থেকে তিনি এখানে এসে সাধনা করেছিলেন। কী ভাবে এবং কেন এসেছিলেন, সে আখ্যানও চমকপ্রদ।চৌরঙ্গীনাথের বাবা ছিলেন নাথ সম্প্রদায়ের গুরু। তিনি ছিলেন সংসারী শৈব যোগী। কিন্তু তাঁর ছেলের সংসারে মন ছিল না। তিনি আশৈশব ঘর ছেড়ে বাইরেই মুক্তির স্বাদ খুঁজে পেতেন। দিন কাটত বনে বনে।বনের পশুপাখিদের কাছাকাছি থেকে তিনি ইষ্টস্মরণ করতেন। এক দিন বন থেকে ঘরে ফেরার সময় তাঁর সঙ্গী হল এক হরিণশাবক। কিছুতেই সে চৌরঙ্গীনাথকে ছেড়ে বনে ফিরে গেল না। ক্রমে সেই শাবকই হয়ে উঠল চৌরঙ্গীনাথের ধ্যানজ্ঞান।ছেলের মন সংসারে ফেরাতে চৌরঙ্গীনাথের বাবা তাঁর বিয়ে দিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হল না। ছেলের মন ঘরের দিকে ফিরল না। বিয়ের পরেও তাঁর দিন কাটতে লাগল হরিণশাবকের পরিচর্যা করেই। স্বামীর এই আচরণে ক্ষুব্ধ চৌরঙ্গীনাথের স্ত্রী একদিন সেই হরিণকে সরিয়ে ফেলবে বলে ঠিক করলেন।নিজের ভাইয়ের সাহায্যে সেই শাবককে এক জঙ্গলে ছেড়ে দিয়ে এলেন চৌরঙ্গীনাথের স্ত্রী। কিন্তু এতে ফল হল আরও বিরূপ। চৌরঙ্গীনাথ ঠিক করলেন তিনি পোষ্যের খোঁজে ঘর ছাড়বেন। এক দিন ছোট্ট ডিঙি সম্বল করে তিনি ভেসে পড়লেন ভাগীরথীতে। তিনি জানতেনও না কোন বনে তাঁর হরিণশাবককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি উদ্দেশ্যহীন ভাবে ডিঙি ভাসালেন দক্ষিণ দিক বরাবর। কত দিন ধরে ভেসে থাকলেন, নিজেও জানতেন না। এক দিন হঠাৎই নদীর পারে ঘন বনের মধ্যে দেখলেন একটি হরিণশাবককে। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস হল, এটাই তাঁর হারিয়ে যাওয়া পোষ্য। ভাগীরথীর সেই আঘাটায় ডিঙি থামালেন চৌরঙ্গীনাথ। হরিণশাবককে অনুসরণ করে ঢুকে পড়লেন গভীর বনে। এই শাবকও কিন্তু তাঁর কাছছাড়া হল না। সাধকের বিশ্বাস হল, এই হরিণ আসলে ঈশ্বরের প্রতিরূপ। ঈশ্বরই হরিণের রূপ ধরে তাঁকে সংসারের মোহমুক্ত করলেন।এর পর ওই জঙ্গলেই পাতার কুটির বেঁধে থাকতে শুরু করলেন চৌরঙ্গীনাথ। জনহীন সেই বনে তাঁর নিত্যসঙ্গী ছিল ওই হরিণশাবক। দিনের অধিকাংশ সময়ে তিনি পর্ণকুটিরের সামনে ধ্যানস্থ থাকতেন। তাঁর ধ্যানমগ্ন রূপ দেখেছিলেন কিছু শিকারি আদিবাসী। খাবারের সন্ধানে জঙ্গলে ঢোকা ওই আদিবাসীদের মনে হয়েছিল, তাঁদের সামনে ধ্যানস্থ রয়েছেন স্বয়ং মহাদেব।ওই আদিবাসীদের মুখেই যোগী চৌরঙ্গীনাথের খবর ছড়িয়ে পড়ে। ক্রমে তাঁর একটি দু’টি করে ভক্ত বাড়তে থাকে। বনের মধ্যে যোগীর পর্ণকুটির ধীরে ধীরে আশ্রমের রূপ নেয়। তাঁর আশ্রমের বনসীমার পূর্ব দিকের গ্রামে বসবাস ছিল এক পর্তুগিজ দস্যুর। এক বার তার বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই হয় চৌরঙ্গীনাথের অনুগামীদের।
সেই লড়াইয়ে জয় হয় চৌরঙ্গীনাথের ভক্তদেরই। তাঁদের বিশ্বাস হয় যোগীপুরুষের তপস্যাসিদ্ধবলেই জয়ী হয়েছেন তাঁরা। এর পর আরও ছড়িয়ে পড়ে যোগীপুরুষ চৌরঙ্গীনাথের নামমাহাত্ম্য। সপ্তদশ শতকের প্রথম ভাগে মৃত্যু হয় এই সংসারত্যাগী সাধকের।চৌরঙ্গি-র নামকরণের পিছনে এই সাধকের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন ক্যাথলিন ব্লিচেডেন। তাঁর ‘ক্যালকাটা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট’ বইয়ে। তবে তাঁর সঙ্গে সহমত নন প্রাচ্যের বহু গবেষক। কলকাতা-গবেষক এ কে রাম যেমন ভিন্নমত প্রকাশ করেন এ বিষয়ে। তিনি মনে করেন, একান্ন সতীপীঠের অন্যতম কালীঘাটে দেবীর যে রূপ, সেই চিরাঙ্গী বা চেরাঙ্গী কালী থেকেই জনপদের নাম হয়েছে, চৌরঙ্গী বা চৌরঙ্গি।কলকাতায় ব্রিটিশ উপনিবেশ গোড়াপত্তনের পরেও দীর্ঘ সময় পাণ্ডববর্জিত ছিল চৌরঙ্গি। বলা হয়, হাতির পিঠে চেপে এই জঙ্গলে বাঘ শিকারে আসতেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তবে তাঁর সময়ের কিছু আগে থেকে, অষ্টাদশ শতকের শুরু থেকেই চৌরঙ্গিতে ধীরে ধীরে ঢুকতে থাকতে আধুনিকতার বাতাস। খ্রিস্টাব্দে নতুন করে ফোর্ট উইলিয়াম তৈরির সময় চৌরঙ্গির জঙ্গলের বড় অংশ কাটা হয়। তারপরে ধীরে ধীরে এই অঞ্চলের আমূল পরিবর্তন হয়। অষ্টাদশ শতকের শেষ দিকে চৌরঙ্গি পুরোদস্তুর সাহেবপাড়া।আজকের কলকাতার প্রাণকেন্দ্র চৌরঙ্গির আনাচেকানাচে এখনও উঁকি দেয় মধ্যযুগের ব্রিটিশ উপনিবেশের ইতিবৃত্ত। সেই মধ্যযুগের ঘন জঙ্গলের অন্ধকার কোথায় হারিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়।

ঋণস্বীকার: ক্যালকাটা, পাস্ট অ্যান্ড প্রেজেন্ট: ক্যাথলিন ব্লিচেডেন, হে নগর হে মহানগর: আবুল কাশেম রহিমউদ্দীন, কলিকাতার রাজপথ সমাজে ও সংস্কৃতিতে: অজিতকুমার বসু, কলিকাতা দর্পণ : রাধারমণ মিত্র। (ছবি: আর্কাইভ এবং সোশ্যাল মিডিয়া)

06/10/2025

Jay Guruji 🙏🏼
Om Adesh 🪷
Jay Taranath maharaj 🙏🏼
Jay Baba Alone nath Maharaj 🪷
Jay Guru Gorakhnath 🙏🏼 🔱

30/09/2025

Bg. 2.37
हतो वा प्राप्स्यसि स्वर्ग जित्वा वा भोक्ष्यसे महीम् ।
तस्मादुत्तिष्ठ कौन्तेय युद्धाय कृतनिश्चयः ॥ ३७ ॥

hato vā prāpsyasi svargaṁ
jitvā vā bhokṣyase mahīm
tasmād uttiṣṭha kaunteya
yuddhāya kṛta-niścayaḥ

Translation
O son of Kuntī, either you will be killed on the battlefield and attain the heavenly planets, or you will conquer and enjoy the earthly kingdom. Therefore, get up with determination and fight.

27/09/2025

Bhuvaneshwari Devi🌏
Bhubaneswari Devi is the "Ruler of the Universe" and the fourth goddess of the Ten Great Wisdoms (Dashamahavidyas) in Hinduism, a manifestation of the supreme divine feminine energy (Shakti) responsible for creation and sustenance. Also known as the "Empress of the Cosmos," she embodies divine love, power, and the ability to manifest ideas into reality. Bhuvaneshwari is worshipped for success, prosperity, and protection from suffering, and is often depicted with a serene face, four hands, and jewels.

20/09/2025

नाथ सम्प्रदाय के १२ पंथ (Nath Sampraday Ke 12 Panth)

©नंदेशनाथ ©Nandeshnath

20/09/2025

रावण बने आशुतोष राणा का युद्ध भूमि में लक्ष्मण को दिया गया उपदेश। हर इंसान के सामाजिक जीवन में रावण के अंतिम क्षण में कही गई एक एक बात मनुष्य के जीवन चक्र से जुड़ी हुई है।
समय हो तो जरूर सुनें

17/09/2025

Yogi Bogar Nath, also known as Bogar Siddhar or Bhoganathar, was a revered Tamil Siddhar, yogi, alchemist, and mystic who lived thousands of years ago. He is known for his significant contributions to Siddha medicine, iatrochemistry, and yoga, and for creating the nine-poison Navapashana idol of the deity Murugan at the Palani temple. Bogar also traveled to China, where he is known as Boyang, and is linked to the origins of Taoism.
Key Aspects of Bogar Siddhar's Life and Teachings
The 18 Siddhars: Bogar is one of the legendary 18 Siddhars, enlightened beings in the Tamil tradition known for their expertise in medicine, alchemy, and spirituality.
Iatrochemistry and Alchemy: He is considered the father of iatrochemistry (a combination of medicine and chemistry) and explored the creation of a universal salt (Muppu) used in rejuvenative medicine and metal transmutation.
Navapashanam Idol: Bogar is famous for creating the Navapashanam idol of Murugan at Palani, a deity composed of nine poisonous herbs that, when combined, produce a powerful energy.
Spiritual and Yogic Practices: Bogar taught various yogic practices, including Kriya yoga, meditation, and breathing techniques.
Rejuvenation (Kaya Kalpa): He developed methods for rejuvenation and longevity, known as Kaya Kalpa, to make the physical body strong and healthy.
Travels to China: Bogar is believed to have traveled to China around 500 BC, where he shared his knowledge and, in some accounts, transmigrated his soul into a Chinese body, becoming known as Boyang and contributing to the development of Taoism.
Writings: He authored spiritual texts, including "Bogar 7000," which details his spiritual journey and wisdom.
Legacy
Bogar's work and teachings are deeply revered within the Siddha tradition and continue to inspire followers seeking spiritual development, healing, and vitality.
He is seen as a master of chemistry, medicine, and rejuvenation techniques, with his techniques documented in texts like "Bogar Sapantum".

15/09/2025

Jay Shree Mahakal 🙏🏼🪷🔱

15/09/2025

Har Har Mahadev 🙏🏼🪷🌺

12/09/2025

এমন এদিক-ওদিক ছড়িয়ে থাকা কয়েকটা টুকরো ব্যাপার কিছু অসামান্য অতীত সত্য জুড়ে দিচ্ছে যা চলতি ইতিহাস অর্থনীতি এবং অন্যান্য সমাজ বিদ্যা কে মিথ্যে প্রমাণ করতে পারে। ভুল তথ্য এবং ভুল তথ্যের মধ্যে বেঁচে থাকা অন্যায় হলে তার দায় কার পক্ষে বর্তাবে ! সরকারি না বেসরকারি ?

ত্রিলোকিনাথ মন্দির
মন্দির সম্পর্কে

ত্রিলোকনাথ মন্দির হিমাচল প্রদেশের লাহুল ও স্পিতি জেলার উদয়পুর উপ-বিভাগে অবস্থিত। এটি লাহুল ও স্পিতির সদর দপ্তর কেলং থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে, মানালি থেকে ১৪৬ কিলোমিটার দূরে। ত্রিলোকনাথ মন্দিরের প্রাচীন নাম টুন্ডা বিহার। এই পবিত্র মন্দিরটি হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয় ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে সম্মানিত। হিন্দুরা ত্রিলোকনাথ দেবতাকে 'লার্ড শিব' হিসেবে বিবেচনা করে, অন্যদিকে বৌদ্ধরা দেবতাকে 'আর্য অবলোকিতেশ্বর' হিসেবে বিবেচনা করে। তিব্বতি ভাষাভাষীরা তাকে 'গর্জ ফাগস্পা' নামে ডাকত।
এই পবিত্র মন্দিরটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে এটিকে কৈলাশ এবং মানসরোভারের পরেই সবচেয়ে তীর্থযাত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মন্দিরটির অনন্যতা এই যে এটি সমগ্র বিশ্বের একমাত্র মন্দির যেখানে হিন্দু এবং বৌদ্ধ উভয়ই একই দেবতার প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। মন্দিরটি পশ্চিম হিমালয়ের প্যানোরামিক চন্দ্রভাগ উপত্যকায় অবস্থিত।
এটি অত্যন্ত আধ্যাত্মিক স্থান যেখানে এই দর্শন এবং প্রার্থনা করে ত্রিব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি শ্রী ত্রিলোকনাথ জী'র আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
মন্দিরের ইতিহাস
এই মন্দিরটি দশম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল । ২০০২ সালে মন্দির প্রাঙ্গণে পাওয়া একটি পাথরের শিলালিপি থেকে এটি প্রমাণিত হয়। এই পাথরের শিলালিপিতে বর্ণিত আছে যে এই মন্দিরটি দ্বাঞ্জ্র রাণা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যারা ত্রিলোকনাথ গ্রামের বর্তমান রাণা ঠাকুর শাসকদের পূর্বপুরুষ বলে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় যে চাম্বার রাজা শেল বর্মণ তাদের সাহায্য করেছিলেন, যিনি চাম্বার 'লক্ষ্মী নারায়ণ' মন্দির প্রাঙ্গণ থাকায় 'শিখর রীতি' অনুসারে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। রাজা শেল বর্মণ ছিলেন চাম্বা শহরের প্রতিষ্ঠাতা। এই মন্দিরটি আনুমানিক নবম
শতাব্দীর শেষের দিকে এবং দশম শতাব্দীর শুরুতে নির্মিত হয়েছিল । চাম্বার মহাযোগী সিদ্ধ চরপতি দার (চরপথ নাথ) এর রাজগ্রণও প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন। বোধিসত্ত্ব আর্য অবলোকিতেশ্বরের প্রতি তাঁর অসীম ভক্তি ছিল এবং তিনি এই মহিমায় ২৫টি শ্লোক রচনা করেছিলেন যাকে "অবলোকিতেশ্বর স্রোতন চেদেম" বলা হয়। লাহৌল উপত্যকার শিকের রীতিতে এটি একটি মাত্র মন্দির। ত্রিলোকনাথের দেবতা ছয়শত এবং ললিতাসন ভগবান বুদ্ধ ত্রিলোকনাথের মাথার উপর বসে আছেন। দেবতাটি মার্বেল দিয়ে তৈরি। এই দেবতার আবির্ভাবের পরে স্থানীয় গল্পও রয়েছে। বলা হয় যে বর্তমান হিনসা নালায় একটি হ্রদ ছিল। সাতজন দুধওয়ালা গোপাল এই হ্রদ থেকে বেরিয়ে এসে চারণভূমির গরুর দুধ পান করত। একদিন তাদের একজনকে টুন্ডু গোপালক ধরে তার পিঠে করে গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে ধরা পড়া ব্যক্তিকে মার্বেল দেবতায় রূপান্তরিত করা হয়। মন্দিরে এই দেবতা প্রতিষ্ঠা করা হয়। তিব্বতী গল্পে এই হ্রদকে 'ওমে-চো দুধওয়ালা সমুদ্র' বলা হয়। অন্যান্য স্থানীয় গল্পে বর্ণিত হয়েছে যে 'মহ দানব' এক রাতে মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন। বর্তমান হিনসা নালা অনন্য কারণ এর জল এখনও দুধওয়ালা এবং ভারী বৃষ্টিপাতের পরেও কখনও তার রঙ পরিবর্তন হয় না। বৌদ্ধ ঐতিহ্য অনুসারে এই মন্দিরে পূজা করা হয়। এটি অনাদিকাল থেকে একটি প্রথা।

কিভাবে পৌঁছাবো
লাহুল উপত্যকার প্রবেশদ্বার রোহতাং শীর্ষটি আনুষ্ঠানিকভাবে এপ্রিল থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত খোলা থাকে , অর্থাৎ শুধুমাত্র পর্যটকদের জন্য। ত্রিলোকনাথ মন্দির জেলা সদর দপ্তর কেলং থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং মানালি থেকে প্রায় ১৪৬ কিলোমিটার দূরে। গ্রীষ্মকালে সড়কপথে এবং শীতকালে হেলিকপ্টারে এখানে পৌঁছানো যায়। হিমাচল প্রদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন এইচআরটিসি ত্রিলোকনাথ থেকে আসা-যাওয়ার জন্য তাদের বাস পরিচালনা করে। মানালি এবং কুল্লুতে প্রচুর ট্যাক্সিও পাওয়া যায় কারণ ভাড়া করা যায়।
মন্দিরে প্রায় ১২৫ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে ত্রিলোকনাথে কোনও বেসরকারি হোটেল নেই তবে আগামী বছরগুলিতে খুব কম লোকই আসবেন। উদয়পুর শহরে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বেসরকারি হোটেল রয়েছে। ত্রিলোকনাথে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে, যা তৈরি করা হচ্ছে গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) এইচপি সরকারের। ২০১৫ সালের শেষ নাগাদ এটি সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গ্রীষ্মকালে মন্দির কমিটি বিনামূল্যে লংগার পরিচালনা করছে। ভক্তরা যেকোনো সময় তাদের খাবার খেতে পারেন। এছাড়াও ত্রিলোকনাথে ছোট ধাবাও রয়েছে। মন্দির কমপ্লেক্সে গরম জলের সুবিধা রয়েছে।

স্থানীয় মন্দির উৎসব
দেবতার অভিষেক;- এটি স্থানীয় ঠাকুরদের দ্বারা সম্পাদিত হয়। এটি প্রতি বছর নিম্নলিখিত তারিখগুলিতে সম্পাদিত হয় -

সৃষ্টিকর্তা সক্রান্তি - দেবতার অভিষেক দুধ দিয়ে করা হয়। স্থানীয়ভাবে এটিকে উদেন/উৎনা বলা হয়।
হালদা - এটি সাধারণত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পালিত হয়। এই বছর এটি ৩ রা ফেব্রুয়ারি।
ফাগলি - এটি সাধারণত মহাশিবরাত্রির পরে পালিত হয়। এই বছর এটি ১৯ শে ফেব্রুয়ারি। দুঃখের বিষয় যে লাহৌলের ফাগলি দীপাবলির সমতুল্য কারণ ত্রেতাযুগে কাকের দ্বারা বনবাসে বধের পর ভগবান শ্রীরাম অযোধ্যায় পৌঁছানোর সুসংবাদ এই তিথিতে লাহৌলে পৌঁছেছিল।
বৈশাখী - এই বছর ১৪ই এপ্রিল।
ইওর - এটি সাধারণত মার্চ মাসের তিথিতে পালিত হয়। ত্রিলোকনাথ গ্রামের অন্যান্য গ্রামবাসীদের সাথে স্থানীয় ঠাকুররা এটি উদযাপন করেন।
ভয়ারজী - এই উৎসবটি দুই বছর পর পালিত হয়। এটি সাধারণত জুলাই মাসে পালিত হয়। এই উৎসবে ভক্তরা সপ্তধারার সূচনাস্থলে যান।
পোরি মেলা - এটি একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান এবং ত্রিলোকনাথ মন্দির এবং গ্রামে একটি বৃহৎ জেলা পর্যায়ের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় ঠাকুররা ত্রিলোকনাথ জী'র ঘোড়াটিকে সপ্তধারার সূচনাস্থলে নিয়ে যান এবং বিশ্বাস করা হয় যে তারা ত্রিলোকনাথ জী'কে এই ঘোড়ায় চড়ে মন্দিরে ফিরিয়ে আনেন। ভক্তরা সপ্তধারায় তাদের পবিত্র স্নান করেন। পৌরী মেলার পর ভক্তদের একটি দল কুগতি গিরিপথ দিয়ে চাম্বার ভরমৌরের মণিমেষ হ্রদে যায় এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ কালী ছো গিরিপথ দিয়ে পবিত্র হ্রদে স্নান করে ফিরে আসে।
মন্দিরের যোগাযোগ
বর্তমানে মন্দিরটি হিমাচল প্রদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে এবং এটি মন্দির কমিটি দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, যার চেয়ারম্যান হিসেবে সাব ডিভিশন ম্যাজিস্ট্রেট এসডিএম উদয়পুর এবং অনেক সরকারি ও বেসরকারি সদস্য রয়েছেন। ত্রিলোকনাথ গ্রামের পূর্বে শাসক ছিলেন স্থানীয় ঠাকুররা বেসরকারি সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত।

যে কারোর কোন প্রশ্ন বা মূল্যবান পরামর্শ থাকলে নিম্নলিখিত নম্বরগুলিতে যোগাযোগ করতে পারেন-

অফিস-০১৯০৯২৬২২৪৪

ওয়েবসাইট নীতিমালা
সাহায্য
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন
প্রতিক্রিয়া
জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন বিষয়বস্তু
ভারত সরকারের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের জাতীয় তথ্য বিজ্ঞান কেন্দ্র দ্বারা বিকাশিত এবং হোস্ট করা হয়েছে ।

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই, ২০২৫

নিরাপদ, স্কেলেবল এবং সুগম্য ওয়েবসাইট একটি পরিষেবা হিসেবে একটি নতুন উইন্ডো খুলবে জাতীয় তথ্য বিজ্ঞান কেন্দ্র একটি নতুন জানালা খুলেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া একটি নতুন জানালা খুলে দিল

10/09/2025

Osho teaching...

Yogi Shambhu Nath

13/10/2025

06/10/2025

30/09/2025

27/09/2025

20/09/2025

20/09/2025

17/09/2025

15/09/2025

15/09/2025

12/09/2025

10/09/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Shortcuts

Share

Category