23/06/2025
⭕ দিঘায় মিটার এখন খুব চড়া ⭕
এই তো, আর মাত্র কদিন বাকি। রথযাত্রা ২৭ জুন। তখন দিঘায় যাবেন নাকি? নতুন জগন্নাথ মন্দির হয়েছে, জগন্নাথদেবের রথের রশিতে টান দেওয়ার, নিদেনপক্ষে দেখারও যদি ইচ্ছে থাকে, তা হলে ট্যাঁকে কিন্তু কড়ি ভালো মতোই রাখতে হবে।
বাড়ির কাছের দি-পু-দা, তার মধ্যে এতদিন দি মানে দিঘাই ছিল সব শ্রেণির মানুষের নাগালের পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু ছিল। এখন অতীত।
আগে ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা, টোটো ভাড়া ছিল জন প্রতি ২০ টাকা। এখন ১০০ টাকা। সমুদ্র থেকে দূরে গড়পড়তা হোটেলের নন-এসি রুমের এক রাতের ভাড়া এখন ২০০০ টাকা। আগে এই রুমই ৫০০-৬০০ টাকায় মিলত।
বিরক্ত পর্যটকদের এই অভিযোগের কথা মেনে নিয়ে #দিঘা_শঙ্করপুর_হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ শনিবার একটি বৈঠক করে সতর্ক করেছেন হোটেল মালিকদের। কিন্তু তা কতোটা কি ফলপ্রসূ হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। যে জায়গায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে, সেখানকার হোটেলগুলো সমুদ্র থেকে দূরে বলে এতদিন সেগুলো পর্যটকদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল না।
তবে জগন্নাথ মন্দির হওয়ার পর ওই হোটেলগুলোরই এখন বিপুল চাহিদা। সেগুলোর ভাড়া আর মধ্যবিত্তের নাগালে নেই। দমদমের নাগেরবাজারের বাসিন্দা, পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী মৌমিতা কর সরকার সম্প্রতি তাঁর মা-কে নিয়ে দিঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।
তার আগে তিনি ফোনে সি বিচ লাগোয়া একটি হোটেলে বুকিংয়ের চেষ্টা করেন। মৌমিতা বলছেন, ‘গত ডিসেম্বরে যে হটেলে পার নাইট ৩৪০০ টাকায় ছিলাম, সেই হোটেলই ৬৫০০ টাকা ভাড়া চাইল। আরও কয়েকটা হোটেলে ফোন করে একই অভিজ্ঞতা। সবাই বলছেন, রুম নেই।’
তাঁর কথায়, ‘দিঘায় পৌঁছে দেখলাম, সব হোটেলেই দু’-একটা ঘর রাখা রয়েছে। সেগুলোরই আকাশছোঁয়া ভাড়া চাওয়া হচ্ছে। পরে অবশ্য অনেক দেখে সাড়ে চার হাজারে একটা রুম পেয়েছিলাম। তবে তার ভাড়াও অন্তত এক হাজার টাকা কম হওয়া উচিত ছিল।’
পর্যটকদের অনেকেরই অভিযোগ, মাত্র এক কিলোমিটার দূরের জগন্নাথ মন্দিরে টোটো যেতে যাত্রী পিছু ১০০ টাকা ভাড়া চাইছে। বিমল নন্দী নামে এক যাত্রীর অভিযোগ, ‘টোটোচালকরা সাফ বলে দিচ্ছেন, যেতে হলে চলুন, না-হলে হেঁটে যান। ওঁদের আচরণ অত্যন্ত খারাপ।’
বীরভূম থেকে আসা পর্যটক রবীন্দ্রকুমার হালদারের বক্তব্য, ‘ভাত খাওয়ার একটা হোটেলে কথা হলো, মাছের থালির দাম ১০০ টাকা নেবে। খাওয়ার পরে দাম দিতে গিয়ে শুনি ১৫০ টাকা দিতে হবে। বলা হলো, কাতলা মাছ দেওয়া হয়েছে, তাই দাম বেশি। আমাদের কিন্তু রুই মাছই দেওয়া হয়েছিল। অনেকের সঙ্গেই এমন হচ্ছে।’
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘শনিবার আমরা একটা মিটিং ডেকে সবাইকে সাবধান করেছি। পর্যটকরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে অভিযোগ জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সৌজন্যে এইসময় ডিজিটাল।
🔺 এখনকার দীঘার পরিস্থিতি নিয়ে আপনাদের কি মতামত জানাবেন আলোচনা চলুক।
#দীঘা #দিঘা