কির্তন পাগল-kirtan Pagol

কির্তন পাগল-kirtan Pagol সনাতন ধর্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই মূল লক্ষ্য।

কর্ন দানবীর আমি কেন নয়?  অর্জুনের এই প্রশ্নের কি উওর দিয়েছিলের ভগবান কৃষ্ণ। মহাভারতে যদি সত্যিকারের দাতা হিসেবে কেউ পরিচ...
24/05/2025

কর্ন দানবীর আমি কেন নয়?

অর্জুনের এই প্রশ্নের কি উওর দিয়েছিলের ভগবান কৃষ্ণ।

মহাভারতে যদি সত্যিকারের দাতা হিসেবে কেউ পরিচিত ছিলেন, তা হলেন কর্ণ। তিনি নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও কবচ-কুণ্ডল পর্যন্ত দান করতে দ্বিধা করেননি। এ হেন কর্ণকে দানবীর আখ্যা দেওয়ায় একবার বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন অর্জুন। তিনি শ্রীকৃষ্ণকে প্রশ্ন করেন যে কেন কর্ণকেই দাতা বলা হয়। গরীব-দুঃখীকে দান করতে অর্জুন নিজেও যে আগ্রহী সে কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

এর উত্তরে শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে একটা সোনার পাহাড়ের কাছে নিয়ে যান। সেখানে তিনি অর্জুন বলেন 'এই পাহাড়ে যত সোনা আছে, সব গ্রামবাসীদের মধ্যে ভাগ করে দাও। দেখো একটি কণা সোনাও যেন পড়ে না থাকে।' অর্জুন তখন পাশের গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের বলেন যে তিনি তাঁদের সোনা বিলি করবেন। সেই কথা শুনে সব গ্রামবাসীরা অর্জুনের নামে জয়ধ্বনি করতে করতে তাঁর সঙ্গে আসেন। দু-দিন দু-রাত ধরে একটুও বিশ্রাম না নিয়ে সোনা বিলি করতে থাকেন অর্জুন। কিন্তু একা হাতে পাহাড়ের বিশেষ কিছুই তিনি তখনও খুঁড়ে উঠতে পারেননি। গ্রামবাসীদের লাইনও তখন আরও দীর্ঘ হয়েছে।

ক্নান্ত অবসন্ন অর্জুন কৃষ্ণকে বলেন যে একটু বিশ্রাম না করে তিনি আর পারছেন না। শ্রীকৃষ্ণ তখন মুচকি হেসে কর্ণকে ডেকে পাঠান। কর্ণকে আরও একটি সোনার পাহাড় দেখিয়ে একই ভাবে গ্রামবাসীদের মধ্যে সোনা বিলি করতে বলেন তিনি। কর্ণ গ্রামবাসীদের বলেন যে এই সোনার পাহাড়টা তোমাদের। আর তারপরই আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা না করে সেখান থেকে চলে যান তিনি।

হতভম্ব অর্জুন ভাবতে থাকেন যে তাঁর মাথায় কেন এমন চিন্তা এল না। তখন শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে বুঝিয়ে দেন যে এই জন্যই কর্ণ দানবীর। অর্জুন সোনা বিলি করেছেন কিন্তু কাকে কতটা দেবেন সেই সিদ্ধান্ত নিজের হাতে রেখেছেন তিনি। সোনা বিলির সময় গ্রামবাসীদের জয়ধ্বনিতে আত্মশ্লাঘা অনুভব করেছেন। কিন্তু কর্ণ কোনও কিছুর প্রত্যাশা না করেই সম্পূর্ণ ভাবে দান করতে পারেন। তাঁর দানের পেছনে প্রতিদানে কিছু পাওয়ার কোনওরকম প্রত্যাশা থাকে না। সেই কারণেই তিনি দানবীর।

জয় জগন্নাথ শুভরাত্রি
22/05/2025

জয় জগন্নাথ
শুভরাত্রি

ভগবানের সাথে কথা বলতে চান?? সাক্ষাৎ করতে চান? - তাহলে 0 9 1632 10 6 3 5 এই নাম্বারে ডায়েল করুন।এটা বৈকুণ্ঠের ভগবানের না...
22/05/2025

ভগবানের সাথে কথা বলতে চান?? সাক্ষাৎ করতে চান? - তাহলে 0 9 1632 10 6 3 5 এই নাম্বারে ডায়েল করুন।এটা বৈকুণ্ঠের ভগবানের নাম্বার।তবে একটি নির্দিষ্ট নিয়মে ডায়েল করতে হবে।আসুন দেখি কিভাবে ডায়েল করবেন একটু জানিয়ে দিই।
প্রথমে আছে "0"
নিজে শূন্য হয়ে যান।অর্থাৎ অহংকার দূর করুন, আমিত্ত্ব দূর করুন।রক্তের গরম দেখালে চলবে না। আপনি মনে করুন প্রভূর নিত্য দাস।
এরপর সংখ্যা আছে "9"
এরপর আপনার মধ্যে- কীর্তনং,শরণং,অর্চনং,বন্দনং, দাস্য,সখ্য,মধুর, আত্মনিবেদং, বিষ্ণুপাদ সেবং- এই নবমিতা ভক্তির প্রকাশ ঘটবে।
তারপর সংখ্যা আছে "1632"
ভক্তির প্রকাশ ঘটলে 16 নাম 32 অক্ষর মহামন্ত্র যপ করুন- "হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে"। এইভাবে অবিরাম যপ করতে থাকুন।
এরপর নাম্বার আছে "10"
মহামন্ত্র যপকরার ফলে- চক্ষু,কর্ণ,নাসিকা,জিহ্বা,ত্বক, বাক,পানি,পাদ,পায়ু,উপস্থ - এই দশটি ইন্দ্রিয় আপনার চরণ তলে বসীভূত হবে।
তারপর নাম্বার আছে "6"
এরপর কাম,ক্রোধ,লোভ,মোহ,মদ ও মাৎসর্য্য - এই ষড়রিপু আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
এরপর নাম্বার আছে "3"
এরপর দেহ,বুদ্ধি ,মন এককরে দিন।
তারপর আছে "5"
ক্ষিতি,অপ,তেজ,মরুৎ,ব্যোম- এই পঞ্চভূতে গড়া দেহটা ভগবানের সাক্ষাৎ করতে পারে না।এই পঞ্চভূতে গড়া দেহটা পুড়ে ছাই হয়ে গিয়ে গঠিত হবে চিন্ময়ী দেহ।আর এই চিণ্ময়ী দেহটাই ভগবানের দর্শন পাবে।তবে নেটওয়ার্ক না থাকলে সম্ভব নয়।আর এখানে নেটওয়ার্ক হচ্ছে ভক্তি।
যদি ভক্তি নামক নেটওয়ার্ক নাথাকে তবে ভগবান কে পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব।।।।

কলিযুগে ঈশ্বরের নামকীর্তন করবেন কেন ??◾জগতে চার ধরনের পারমার্থিক মানুষ আছে যাদের সাধন ভজনের ধারাও চার রকমের হয়।এক, সকাম ...
22/05/2025

কলিযুগে ঈশ্বরের নামকীর্তন করবেন কেন ??

◾জগতে চার ধরনের পারমার্থিক মানুষ আছে
যাদের সাধন ভজনের ধারাও চার রকমের হয়।

এক, সকাম কর্মী পুন্যকর্ম করে সেই পুন্যফল ভোগ করতে স্বর্গে যেতে চায়।

দুই, মুক্তিকামী জ্ঞানীরা ব্রহ্মে লীন হয়ে নিজকে ভগবান হওয়ার বাসনা করে।

তিন, যোগীরা যৌগিক সাধনায় পরমাত্মা দর্শন করে বিভিন্ন সিদ্ধিলাভ করে শ্রেষ্ঠ হতে চায়।

#চার, ভক্তরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করে তার সান্নিধ্য লাভ করতে চায়।

এই চারজন তারা সকলেই '' হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র'' কীর্তন করে তাদের পরম লক্ষ ও সব বাসনা চরিতার্থ করতে পারেন।

''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।

এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের গুরুত্ব বর্ননা করে শুকদেব গোস্বামী পরীক্ষিৎ মহারাজকে বলেছেন,
''হে রাজন ! কেউ যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে '' হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র'' কীর্তনের প্রতি আসক্ত হন, তা হলে বুঝতে হবে যে, তিনি পরম সিদ্ধিলাভ করেছেন''।
-ভাগঃ ২।১।১১
শুকদেব গোস্বামী ছিলেন মুক্ত পুরুষ এবং তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেছেন, ''যে মানুষ ঐকান্তিক ভাবে '' হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র'' কীর্তন করেছেন, তিনি ইতিমধ্যেই সকাম কর্ম, মনোধর্ম প্রসুত জ্ঞান ও যোগের অষ্টসিদ্ধির স্তর অতিক্রম করেছেন, তা নিশ্চিত''।
◾আদি পুরানে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন, ''হে অর্জুন ! যে মানুষ আমার দিব্যনাম কীর্তন করে সে নিরন্তর আমার সান্নিধ্য লাভ করেছে বলে বুঝতে হবে। হে সখা ! এই ধরনের ভক্তের কাছে আমি বিক্রিত হয়ে থাকি''।

◾পদ্মপুরানে উল্লেখ আছে, '' ভগবানের দিব্যনাম জড় শব্দতরঙ্গ নয় এবং এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কখনও জড় কলুষ দ্বারা প্রভাবিত হয় না''।
যারা প্রাকৃত বিকারগ্রস্ত ও জড় কলুষ থেকে মুক্ত হয়নি তারা এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করবে না এবং যারা এই মহামন্ত্র জপ-কীর্তন করে তাদের সমালোচনা করবে।
কিন্তু এই হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্রের কীর্তনের প্রভাবে তারাও পবিত্র হয়ে উঠতে পারে এবং অচিরে তারাও নিরাপরাধে ভগবানের দিব্যনাম হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করবে।

◾শুকদেব গোস্বামী পরীক্ষিৎ মহারাজকে বলেছেন,
''কলৌর্দোষনিধে রাজন্ অস্তি হ্যেকো মহান্ গুনঃ।
কীর্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গ পরং ব্রজেৎ''।।
অনুবাদঃ হে রাজন, কলিযুগ সমস্ত দোষের আকার, কিন্তু এই কলিযুগে একটি মাত্র মহান গুন রয়েছে। তা হল কেবল মাত্র শ্রীকৃষ্ণর নাম কীর্ত্তন করে জীব সংসার বন্ধন মুক্ত হয়ে ভগবানের সান্নিধ্য লাভ করতে পারে।

।। হরেকৃষ্ণ।।

ভগবান কি আমাদের অর্থ উপার্জনের মেশিন ?ভগবানকে বিদেশীরা বুঝে গেল কিন্তু আমরা সনাতনধর্মালম্বী মানুষ রা বুঝলাম না। একবার এক...
21/05/2025

ভগবান কি আমাদের অর্থ উপার্জনের মেশিন ?

ভগবানকে বিদেশীরা বুঝে গেল কিন্তু আমরা সনাতনধর্মালম্বী মানুষ রা বুঝলাম না। একবার এক মন্দিরে খুব ভীড় দেখে এক বিদেশিনি দর্শনার্থী ঠাকুরের দর্শনের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে পুজোর জন্য লম্বা লাইন টি দেখছিলাে দীর্ঘক্ষণ ধরে । হঠাৎ এক পুরােহিত এসে বলল আমি পুরােহিত লাইন খুব লম্বা । সহজে দর্শন করতে পারবেন না । আপনি 501 টাকার VIP পাশ নিন । তাড়াতাড়ি দর্শন করিয়ে দেব । বিদেশিনি : আমি 5001 টাকা দেব । ভগবান কে বলুন বাইরে এসে আমার সাথে দেখা করতে ।
ঠাট্টা করছেন । ভগবান কখনাে নিজে বাইরে এসে দেখা করেন ? বিদেশিনি : তাহলে বলুন আমি 50001 টাকা দেব । যাতে আমার ঘরে এসে আমার সাথে দেখা করেন ।
পুরােহিত রেগে গিয়ে বললেন ফাজলামাে হচ্ছে । আপনি ভগবান কে কি ভেবেছেন ?
বিদেশিনি বললেন আমিও সেই কথাই ভাবছি । যে আপনারা ভগবানকে কি ভেবেছেন ? অর্থ উপার্জনের মেশিন। সত্যিই তাই আমরা ভগবান কে অর্থ উপার্জনের মেশিন ভেবে নিয়েছি। আমরা মন্দিরে যাই ভগবান কে প্রসাদ নিবেদন করি আর কি প্রার্থনা করি! " ঠাকুর আমার ছেলের চাকরি টা পাইয়ে দাও, আমার মেয়ের জন্য একটা পাত্র দেখে দাও৷ আমাকে প্রচুর টাকা দাও।। একবার ভেবে দেখুন তো কখোনও কি আমরা মন্দিরে গিয়ে জানতে চেয়েছি যে ভগবান কেমন আছে। কখোনও কি তাঁকে ভালোবেসে খাওয়াতে পেরেছি। তাঁর ও তো ইচ্ছে হয় আমাদের কাছে ভালোবাসা পেতে। তা নয় আমরা শুধু সারা জীবন তাঁর কাছে চেয়ে গেছি। দাও দাও দাও। আরো দাও। ভগবান কে ভালোবাসুন দেখবেন আপনাকে কিছু চাইতে হবে। এমনিতেই আপনি সব পেয়ে যাবেন।

★★এমন আরো পোস্ট পেতে লাইক, শেয়ার করে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন।
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

ভোজনান্তে শ্মশানান্তে মৈথুনান্তে চ যা মতিঃ।সা মতিঃ যদি সর্বত্র কো ন মুচ্যেৎ বন্ধনাৎ।।--ভোজন করার পর, শ্মশানে মৃতদেহ দাহ ...
23/04/2025

ভোজনান্তে শ্মশানান্তে মৈথুনান্তে চ যা মতিঃ।
সা মতিঃ যদি সর্বত্র কো ন মুচ্যেৎ বন্ধনাৎ।।

--ভোজন করার পর, শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করার সময় এবং মৈথুনের শেষে , ক্ষণকালের জন্য যে বৈরাগ্যর উদয় হয়,ওই বৈরাগ্য যদি স্থায়ী হয়ে যায়, তাহলে সকলেই ভব বন্ধন মুক্ত হয়ে যাবে।।

23/04/2025

সুভদ্রা দাস মন্ডল কীর্তন

কির্তন পাগল-kirtan Pagol

23/04/2025

সুভদ্র দাস মন্ডল কীর্তন
কির্তন পাগল-kirtan Pagol

হে মাধম তুমি এই সংসারের সমস্ত জীব কূল কে রক্ষা করো।  জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🙏🙏🙏
20/04/2025

হে মাধম তুমি এই সংসারের সমস্ত জীব কূল কে রক্ষা করো। জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🙏🙏🙏

19/04/2025

রাধে রাধে

19/04/2025

পবিত্র মুখার্জি কীর্তন

কির্তন পাগল-kirtan Pagol

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কির্তন পাগল-kirtan Pagol posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share