
29/08/2025
আজকের ভৌতিক ঘটনা:👇
-------------------
শ্যামনগরের সেই বাড়ি – সত্যি অভিজ্ঞতা
রাজীবের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু অরিজিৎ শ্যামনগরে থাকে। অরিজিতের বাড়ি পুরোনো দোতলা, একসময় বেশ বড় পরিবার থাকলেও এখন শুধু মা–বাবা আর সে। তবে তিন বছর আগে একটা ঘটনা পুরো পরিবারটাই বদলে দিয়েছিল।
অরিজিতের দিদি, সোমা, কলেজে পড়ত। পরিবার জানত সে খুব শান্ত মেয়ে। কিন্তু ভিতরে ভিতরে চাপা মানসিক যন্ত্রণা ছিল। একদিন হঠাৎই শোবার ঘরে ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, প্রেমঘটিত ব্যর্থতা আর পারিবারিক চাপের জন্যই সে এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
তারপর থেকেই বাড়ির ভেতরে এক অদ্ভুত অশান্তি শুরু হয়।
উপদ্রব শুরু
সোমার মৃত্যুর পর থেকেই বাড়িতে ছোটখাটো অস্বাভাবিকতা ঘটতে থাকে—
• রাত হলেই দোতলার ঘরের দরজা হঠাৎ শব্দ করে খুলে বা বন্ধ হয়ে যেত।
• খালি ঘরে কারো হাঁটার আওয়াজ পাওয়া যেত।
• মাঝেমধ্যে পরিবারের লোকেরা স্পষ্ট বুঝত, কেউ যেন চুপচাপ পাশে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ কাউকে দেখা যেত না।
অরিজিতের মা এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে রাতে আর দোতলায় ওঠেন না।
রাজীবের অভিজ্ঞতা
এক সন্ধ্যায় রাজীব অরিজিতের বাড়িতে গেল। কথায় কথায় অরিজিৎ ঘটনাগুলো খুলে বলল। রাজীব তখনও বিশ্বাস করেনি।
কিন্তু সেই রাতে তার ধারণা বদলে যায়।
রাত একটা নাগাদ রাজীবর ঘুম ভেঙে যায়। খুব স্পষ্ট শুনতে পায়—সিঁড়ি বেয়ে কারো নামার শব্দ। থপ… থপ… ধীর, ভারী শব্দ।
সে ভেবেছিল অরিজিৎ নিচে যাচ্ছে। কিন্তু তাকিয়ে দেখে অরিজিৎ গভীর ঘুমে।
এরপরই দোতলার ঘরের দরজা “ধড়াৎ” করে বন্ধ হয়। হাওয়া থমকে যায়, তারপর হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায় ঘরে।
রাজীব কাঁপতে কাঁপতে দরজার ফাঁক দিয়ে তাকায়।
সিঁড়ির মাথায় একটা মেয়ের অবয়ব। লম্বা চুল, ফ্যাকাশে মুখ। মুখটা কেমন বিকৃত, আর জিভটা সামান্য বেরিয়ে। আলো–আঁধারিতে সেই দৃশ্যটা শিউরে ওঠার মতো।
ভয়ঙ্কর মুহূর্ত
রাজীব দরজা বন্ধ করতে গেল, কিন্তু দরজা একটুও নড়ল না। কানে তখনই একটা ফিসফিস আওয়াজ আসে—
“আমি এখনও মুক্তি পাইনি…”
তারপর টেবিলের উপরে রাখা গ্লাসটা হঠাৎ মাটিতে পড়ে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল।
রাজীব আর সহ্য করতে পারল না, গলা শুকিয়ে গেল, শ্বাস নিতে পারছিল না। আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে গেল।
পরদিন
সকালে অরিজিৎ দেখে রাজীব মেঝেতে পড়ে আছে। গলায় হালকা লালচে দাগের মতো চিহ্ন—যেন কেউ আঁকড়ে ধরেছিল।
রাজীব সুস্থ হওয়ার পর বলল, সে স্পষ্ট দেখেছে এক নারী অবয়ব, কিন্তু মুখে জিভ বেরোনো অবস্থায়। আর সেই দৃশ্য তার জীবনে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা।
আজও রহস্য
অরিজিৎ ও তার পরিবার আজও বিশ্বাস করে, সোমার অসমাপ্ত কষ্ট আর অভিমান তাকে শান্তি পেতে দেয়নি। তাই মাঝে মাঝে বাড়ির ভেতরে তার উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
আর রাজীব… সে আর কোনোদিন শ্যামনগরের সেই বাড়িতে এক রাতও কাটায়নি।
**** এই ঘটনার কোনো সত্যতা আমরা যাচাই করিনি তাই এটাকে গল্প হিসাবে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
#ভুতেরগল্প
Susmita Ghosh Samir Sil Sudipta Das Tanusri Mallah Ami Tinni Das Adi Soumi Saha Rakhi Ghosh Salini Ghosh Bhadra Gopa Dey Ankita Datta Dsoumen Bhowmick Souptik Hansda Tarun Roy