Joy Jeet Studio

Joy Jeet Studio Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Joy Jeet Studio, Digital creator, KOLKATA.

🙏Welcome to Joy Jeet Studio 🙏

✅ ️We are travel vlogger.

✅️ Business what'sapp 👇

📲 9477282707

✅️ Please Subscribe Our YouTube Channel 👇
https://youtube.com/?si=IXUXl1aJe0RBobSv

উত্তর ২৪ পরগনার ভৌতিক নার্সিংহোমনতুন ঘটনা এসেছে আমাদের চ্যানেল Joy Jeet Horror Studio ইউটিউব চ্যানেলে শুনে আসুন         ...
09/07/2025

উত্তর ২৪ পরগনার ভৌতিক নার্সিংহোম
নতুন ঘটনা এসেছে আমাদের চ্যানেল Joy Jeet Horror Studio ইউটিউব চ্যানেলে শুনে আসুন






Susmita Ghosh Samir Sil Sudipta Das Tanusri Mallah Ami Tinni Das Adi Soumi Saha Rakhi Ghosh Salini Ghosh Bhadra Gopa Dey Pampa Biswas

গল্পের নাম: কেবিন নম্বর ১৭ – শেষ চিৎকার(ভিত্তি: উত্তর ২৪ পরগনার একটি নার্সিংহোমের অজানা কাহিনি)সালটা ২০২৩, উত্তর ২৪ পরগন...
08/07/2025

গল্পের নাম: কেবিন নম্বর ১৭ – শেষ চিৎকার
(ভিত্তি: উত্তর ২৪ পরগনার একটি নার্সিংহোমের অজানা কাহিনি)
সালটা ২০২৩, উত্তর ২৪ পরগনার এক পুরনো নার্সিংহোম—“জীবনদীপ নার্সিংহোম”, বহু বছর ধরে চলছে, তবে সম্প্রতি হঠাৎই লোকমুখে একটার পর একটা গুজব ছড়াতে থাকে।
ডা. সৌম্যজিৎ চক্রবর্তী, ৩৮ বছর বয়সী, বরাবর যুক্তিবাদী এবং নাস্তিক মনের ডাক্তার, যিনি বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই। তিনি এই নার্সিংহোমের অন্যতম অভিজ্ঞ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
একদিন গভীর রাতে তাকে ফোনে ডাকা হয়—
“স্যার, এক আগুনে পোড়া রোগী এসেছে... অবস্থা খুব খারাপ।”
রাত তখন ১টা। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই তিনি ছুটে আসেন নার্সিংহোমে।
কেবিন নম্বর ১৭।
ভিতরে প্রবেশ করেই গন্ধটা টের পান—পোড়া মাংসের গন্ধ। রোগীকে দেখে চমকে যান। পুড়ে যাওয়া শরীরের অধিকাংশ জায়গা কালচে হয়ে গেছে, চোখ দুটো অদ্ভুতভাবে খোলা, যেন মারা যাবার আগে শেষ মুহূর্তে কিছু ভয়ঙ্কর জিনিস দেখেছিল।
তিনি চেক করে জানান—
“মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ ঘন্টা আগে। CPR চেষ্টা করারও কিছু নেই।”
পরদিন থেকেই অদ্ভুত সব ঘটনা শুরু হয় কেবিন ১৭-তে—
• রাত ৩টার দিকে বাইরের গার্ড শোনে কেবিনের ভিতর থেকে চাপা গলায় কেউ কাঁদছে।
• নার্স রুপালী একদিন ভিতরে ঢুকে দেখে, জানালার কাঁচে ভেতর থেকে আঁচড়ের দাগ, অথচ কেবিনটা তালাবন্ধ ছিল।
• আরেক নার্স, শিপ্রা, কেবিন পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখে, বেডের নিচে পড়ে আছে অদ্ভুত এক ছেঁড়া জুতো—যেটা আগুনে আধপোড়া, কিন্তু সেই জুতো কোনো রোগীর না।
সবাই আস্তে আস্তে বুঝে যায়, কিছু একটা আছে ওই কেবিনে। কেউ আর রাতে ওখানে রোগী রাখতে চায় না।
তিন দিন পর...
নতুন রোগী, মৃণাল সেন (৬৫), অসুখ তেমন গুরুতর না, কিন্তু কেবিন না পেয়ে কেবিন ১৭-তেই রাখা হয়।
রাতে আবার ডা. সৌম্যজিৎ দেখতে আসেন। বাইরে বজ্রপাত, আলো মাঝে মাঝে নিভে যাচ্ছে।
তিনি ফাইল দেখছেন, হঠাৎ খেয়াল করেন—রোগীটা হাঁ করে তাকিয়ে আছে কেবিনের এক কোণে। চোখ স্থির।
ডাকেন, “মৃণালবাবু?”
কোনো সাড়া নেই।
তিনি এগিয়ে যান রোগীর দিকে। তখন হঠাৎ...
কেবিনের দরজা পিছন থেকে বন্ধ হয়ে যায়!
হাতের টর্চ জ্বলে ওঠে—আলো পড়ে দেয়ালে লেখা:
"আমি মারা যাইনি"
ডা. সৌম্যজিৎ চমকে পেছনে ঘোরেন—কিন্তু পেছনে কেউ নেই।
রোগীর চোখ তখন রক্তবর্ণ। সে ফিসফিস করে বলে,
“সেই রাতটা কি মনে আছে, ডাক্তারবাবু?”
ডা. সৌম্যজিৎ পিছিয়ে যান, গলা শুকিয়ে আসে। তাঁর মনে পড়ে—
তিনিই সেদিন পুড়ে যাওয়া রোগীকে দেখে ঘোষণা করেছিলেন, “মৃত।”
কিন্তু পরে স্টাফরা বলেছিল, রোগী তখনো নাকি কিছুটা নাড়াচাড়া করছিল।
ডা. সৌম্যজিৎ তখন ভাবেন, তিনি কি ভুল করেছিলেন? একজন জীবিত মানুষকে মৃত ঘোষণা করেছিলেন?
সেই মৃত্যুর প্রতিশোধই কি চলছে?
হঠাৎ লাইট জ্বলে ওঠে।
রোগী অচেতন।
দরজা খুলে যায়। বাইরে দাঁড়িয়ে নার্স রুপালী।
কিন্তু ডা. সৌম্যজিৎ স্পষ্ট জানেন, এই কয়েক মিনিট তিনি যেটা দেখেছেন, সেটা স্বপ্ন না, হ্যালুসিনেশন না— কিছু সত্যিই এসেছিল তাঁর সামনে।
এরপর থেকে—কেবিন ১৭ চিরতরে বন্ধ।
ডা. সৌম্যজিৎ নার্সিংহোম ছেড়ে দেন এক মাসের মধ্যেই।
কিন্তু আজও, যারা রাতের শিফটে কাজ করে, তারা অনেক সময় শুনতে পায়—
একজন পুরুষ গলা ফিসফিস করে বলে,
“এবার আমি বাঁচব… তোমাকে নিয়ে।”







Susmita Ghosh Samir Sil Sudipta Das Tanusri Mallah Ami Tinni Das Adi Soumi Saha Rakhi Ghosh Salini Ghosh Bhadra Gopa Dey Pampa Biswas

08/07/2025

🎤 জীবন নিয়ে একটি মটিভেশনাল স্পীচ

শিরোনাম: “জীবন মানে শুধু বেঁচে থাকা নয়, জ্বলে ওঠা”

প্রিয় বন্ধুরা,
জীবন মানে শুধু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দৌঁড়ে চলা না, জীবন মানে শুধু নিঃশ্বাস নেওয়া নয়—জীবন মানে হলো জ্বলে ওঠা, নিজেকে খুঁজে পাওয়া, আর নিজের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া।
আমরা সবাই একটা যুদ্ধের মধ্যেই আছি—কেউ অর্থের জন্য, কেউ স্বপ্নের জন্য, কেউ ভালবাসার জন্য। কিন্তু সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা কোথায় জানো? নিজের ভিতরেই।
যখন চারপাশের সবাই বলে, "তুই পারবি না", তখন তোমার মনটাই যদি বলে, "হয়তো ওরাই ঠিক", তখনই হারটা শুরু হয়।
কিন্তু বিশ্বাস করো,
হার মানা আর হেরে যাওয়া এক নয়।
যদি তুমি পড়ে যাও, সেটাই হার নয়। যদি উঠে দাঁড়াতে না চাও, সেটাই হার।
তুমি ব্যর্থ হতে পারো, কিন্তু তুমি ব্যর্থ ব্যক্তি নও।
তুমি দেরিতে পৌঁছাতে পারো, কিন্তু তুমি হারিয়ে যাওনি।
আজ তোমার পরিস্থিতি যত খারাপই হোক না কেন, মনে রেখো—এটা তোমার গল্পের শেষ পৃষ্ঠা নয়। এটা তো শুরু মাত্র।
জীবন মানে ভুল করা, আবার সেই ভুল থেকে শেখা।
জীবন মানে কাঁদা, আবার হেসে ওঠা।
জীবন মানে পথ হারানো, আবার নিজের পথটা নিজে বানানো।
কখনো যদি মনে হয় কেউ তোমার পাশে নেই—একটা জিনিস মনে রেখো—তুমি আছো নিজের পাশে।
তোমার ভেতরেই লুকিয়ে আছে সেই শক্তি, সেই সাহস, যেটা পাহাড়কেও নাড়িয়ে দিতে পারে।
বন্ধুরা,
জীবনে বড় হতে গেলে, আগে ভাঙতে হয়,
নিজেকে গড়তে হলে আগে হার মানতে হয় নিজ অহংকারকে,
আর স্বপ্ন পূরণ করতে হলে আগে ভয়কে জয় করতে হয়।
তাই আজ থেকেই নিজের গল্পটা তুমি নিজেই লিখো।
তুমি কারও ছায়া নও—তুমি নিজেই একটা আলো।
আর আলো কখনো ছায়ার ভয় পায় না।
ধন্যবাদ।



08/07/2025

ভূতের গল্প পছন্দ? আপনাদের কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়ার জন্য গল্প দিতে পারছিনা। মতামত জানাবেন।


07/07/2025

আমাদের Joy Jeet Horror Studio এর Youtube channel এ এখন থেকে ভৌতিক ঘটনা আসবে আপনারা ওখানেই সত্যি ভূতের ঘটনা শুনতে পাবেন ।


আমাদের Joy Jeet Horror Studio ইউটিউব চ্যানেলে আজ আপলোড হয়েছে পারলে এখুনি শুনে আসতে পারেন।           Susmita Ghosh Samir...
06/07/2025

আমাদের Joy Jeet Horror Studio ইউটিউব চ্যানেলে আজ আপলোড হয়েছে পারলে এখুনি শুনে আসতে পারেন।






Susmita Ghosh
Samir Sil
Sudipta Das
Tanusri Mallah
Ami Tinni
Das Adi
Soumi Saha
Rakhi Ghosh
Salini Ghosh Bhadra
Gopa Dey

🏨 হোটেল স্নোড্রপ – ৪০৩ নম্বর ঘর(বাস্তব অভিজ্ঞতার ছায়ায় গঠিত এক গা-শিউরে ওঠা ভৌতিক গল্প)---📆 সাল – ২০১৯, ডিসেম্বরতিন বন...
02/07/2025

🏨 হোটেল স্নোড্রপ – ৪০৩ নম্বর ঘর
(বাস্তব অভিজ্ঞতার ছায়ায় গঠিত এক গা-শিউরে ওঠা ভৌতিক গল্প)

---

📆 সাল – ২০১৯, ডিসেম্বর
তিন বন্ধু—অভীক, রুদ্র আর অনির্বাণ—কলকাতা থেকে বেড়াতে যায় দার্জিলিং। পাহাড়ে শীত জাঁকিয়ে পড়েছে, কুয়াশায় মুড়ে থাকা শহরে শীতল নিঃশ্বাস চলছে।

তারা শহরের একটু বাইরের, নিরিবিলি, মাঝারি মানের একটা হোটেলে ওঠে—Hotel Snowdrop। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, রেটিং ভালো। অভীক আর রুদ্র থাকে ঘর ৪০১-এ, আর অনির্বাণ একা নেয় ঘর ৪০৩, কাজের সুবিধের জন্য।

রিসেপশনে কেউ কিছু অস্বাভাবিক বলে না। সব স্বাভাবিক।

---

📍 প্রথম দিন

দিনটা ঘোরা, ছবি তোলা, আর খাবার দিয়ে জমে ওঠে। রাতের দিকে ৫ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই ঠান্ডা।

রাত ১২টার পরে অভীক ঘুম ভেঙে দেখে, রুদ্রও জেগে। রুদ্র ফিসফিস করে বলে,

> "পাশের ঘর থেকে শব্দ আসছে... টুপটাপ করে যেন জল পড়ছে বা কেউ কিছু ফেলছে।"

অভীকও শুনতে পায়। কিন্তু ভাবে—অনির্বাণ হয়তো কাজ করছে।

রাত ১টা নাগাদ শব্দ থেমে যায়। কিন্তু ঘরে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা জমে ওঠে—যেমনটা সাধারণ নীরবতা নয়, বরং চাপা ভয়মেশানো ঠান্ডা।

---

📍 সকালের ঘটনা

সকাল ৯টা। অভীক আর রুদ্র ব্রেকফাস্ট করতে গিয়ে দেখে, অনির্বাণ আসেনি। ফোন ধরছে না। রিসেপশন থেকে চাবি নিয়ে দরজা খুলে দেখে—

অনির্বাণ মেঝেতে পড়ে আছে, নিঃসাড়, মুখে হালকা ফেনা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার বলেন:

> "Extreme panic attack. কোনও মানসিক চাপ বা ভয়ের কারণে হয়েছে।"

জ্ঞান ফিরে অনির্বাণ শুধু একবার ফিসফিস করে বলে—

> "ঘরে কেউ ছিল... জানালার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল..."

---

📍 তিন দিন পর

হোটেল আবার স্বাভাবিক ছন্দে। কিন্তু তিন দিন পর সকালে হাউজকিপার দেখে—৪০৩ নম্বর ঘর তালা দেওয়া, অথচ দরজা ভেজানো।

ভেতরে গিয়ে দেখে:

বিছানার চাদর চাপা

জানালার পর্দা সরানো

টেবিলে আধখানা জল ভর্তি গ্লাস

বাথরুমে ভেজা পায়ের ছাপ

জানালার কাঁচে হালকা আঙুলের দাগ

স্টাফ ভয়ে ম্যানেজারকে ডাকে। ম্যানেজার করিডোরের CCTV ফুটেজ ঘাঁটে।

---

📼 CCTV ফুটেজ – করিডোর

রাত ১টা ২৩ মিনিট। ৪০৩ নম্বর ঘরের দরজা একটু খুলে যায় ভিতর থেকে। কেউ বেরোয় না। কেউ ঢোকে না। আলো নেই। কিছু সেকেন্ড পর দরজাটা ধীরে আবার বন্ধ হয়ে যায়—নিজে থেকেই।

ম্যানেজার ফিসফিস করে বলে—

> "এই ঘর খালি ছিল, চাবি কারও কাছে ছিল না। ভেতর থেকে খুলল কে?"

---

📍 তিন সপ্তাহ পর – অনির্বাণের অবস্থা

কলকাতায় এক প্রাইভেট মানসিক হাসপাতালে ভর্তি অনির্বাণ। চিকিৎসকরা জানান—

> "ওর মনে হচ্ছে কেউ ছিল ঘরে, কিন্তু কোনও হ্যালুসিনেশন নেই। মস্তিষ্কে অল্প রক্তক্ষরণ হয়েছে ভয়ে।"

অনির্বাণ ধীরে ধীরে কথা বলা শুরু করে। ও বলে:

> "আমি জানালার দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম… হঠাৎ মনে হয়, ঘরের এক কোণে কেউ দাঁড়িয়ে। তাকালে থাকত না, তাই তাকাইনি। সে কিছু বলেনি, শুধু ছিল। আর আমি নড়তে পারিনি।"

---

📜 হোটেলের পুরনো রেজিস্টার

২০১৪ সালের এন্ট্রি: অর্ণব চৌধুরী, ঘর ৪০৩, Check-in: ১১ ডিসেম্বর, Check-out: "No record found"

একইভাবে জানা যায়, অর্ণব মারা যায় ঘরেই, হার্ট অ্যাটাকে—জানালার পাশেই দাঁড়িয়ে।

---

🔚 শেষ লাইন

৪০৩ নম্বর ঘরে এখন কেউ থাকে না। বুকিং নেওয়া হয় না। দরজায় সাদা কাগজে লেখা:

> "Room Under Maintenance – Do Not Disturb"

কিন্তু হোটেলের ক্লিনাররা আজও বলে—বিছানাটা যেন নিজে নিজে কেউ গুছিয়ে দেয় মাঝরাতে।

আর মাঝে মাঝে— রাত ১টা ২৩ মিনিটে, দরজাটা নিজে থেকেই খুলে যায়।







Susmita Ghosh Samir Sil Tanusri Mallah Sudipta Das Ami Tinni Soumi Saha Rakhi Ghosh Salini Ghosh Bhadra Gopa Dey Pampa Biswas Ankita Datta Souptik Hansda

উপন্যাস: রুম ৪১৩ – গোয়ার সেই রাতঅধ্যায় ১: আগমনডিসেম্বর ২০২৫। ছয়জন বন্ধু—সায়ন, রিয়া, রাজীব, তুলিকা, রোহান আর রিমিকা—...
01/07/2025

উপন্যাস: রুম ৪১৩ – গোয়ার সেই রাত

অধ্যায় ১: আগমন

ডিসেম্বর ২০২৫। ছয়জন বন্ধু—সায়ন, রিয়া, রাজীব, তুলিকা, রোহান আর রিমিকা—গোয়ায় বেড়াতে এসেছে। পুরনো কলেজের বন্ধুত্ব এখন চাকরি, কাজ আর ব্যস্ততার ফাঁকে একটু নিঃশ্বাস খোঁজে। তারা হোটেল খোঁজে সমুদ্র সৈকতের কাছাকাছি।

হোটেল 'Colina Verde'—সস্তা, কিন্তু পরিপাটি। হোটেলের মালিক প্রৌঢ় একজন মানুষ, চোখেমুখে নিঃসঙ্গতার ছাপ। তারা দ্বিতীয় তলার তিনটি রুম ভাড়া নেয়:

রুম ৪১১: সায়ন ও রিয়া

রুম ৪১২: রাজীব ও তুলিকা

রুম ৪১৩: রোহান ও রিমিকা

হোটেল স্টাফ মুখ টিপে হাসে, রুম নম্বর শুনে কিছু একটা বলতে চায়, কিন্তু চুপ করে যায়।

অধ্যায় ২: সেই অতীতের রাত

নভেম্বর ২০১৮। অয়ন ঘোষ ও দেবযানী মিত্র। কলেজে পড়তে পড়তে প্রেম, তারপর একসাথে গোয়ায় আসা। তারা উঠেছিল রুম ৪১৩-এ।

প্রথম দিন ভালো যায়। কিন্তু রাত বাড়তেই কিছু বদলাতে শুরু করে। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার সময় অয়নের দিক থেকে একটা অস্বস্তি, একটা দুর্বলতা দেবযানী মেনে নিতে পারে না।

রাত ১টা নাগাদ ঘরের মধ্যে উচ্চ স্বরে ঝগড়া। দেবযানী বলে ফেলে:

> “তুই কিছুই করতে পারিস না অয়ন। একটুও পুরুষ না তুই!”

অয়ন আর কিছু না বলে চুপচাপ উঠে যায়। ব্যাগ থেকে ছোট ট্রাভেল ছুরি বের করে ঢুকে পড়ে বাথরুমে। দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।

কয়েক মিনিট পর… নিস্তব্ধতা। দেবযানী ডাকে, সাড়া মেলে না। হোটেল স্টাফ এসে দরজা ভাঙে।

অয়নের নিথর দেহ পড়ে আছে বাথরুমের সাদা টাইলসের উপর। হাতে ছুরির ক্ষত, মেঝেতে রক্তের ছিটে।

দেবযানী কাঁদে না। তাকিয়ে থাকে শুধু। চোখে অদ্ভুত নিষ্পাপ শূন্যতা।

অধ্যায় ৩: বর্তমানের ছায়া

রাত ১:৩০, রুম ৪১৩। রোহান শাওয়ারে। রিমিকা বিছানায় শুয়ে।

ঘরের বাতাস ভারী, অন্ধকারে যেন কিছু একটা নড়ে ওঠে। রিমিকা ঘুমিয়ে পড়তে চায়, কিন্তু ঘাড়ে কারো নিঃশ্বাসের গরম বাতাস অনুভব করে। ঠান্ডা হাত তার পায়ের ওপর আসে।

সে ভাবে রোহান। হালকা হাসে। ফিসফিসিয়ে বলে,

> “রোহান, আর দেরি করো না…”

ঠিক তখনই বাথরুমের দরজা খোলে। রোহান তোয়ালে মুছতে মুছতে বেরিয়ে আসে।

রিমিকা বসে পড়ে। চোখ কাঁপছে। ঠোঁট শুকিয়ে গেছে।

> “তাহলে… কে আমায় ছুঁচ্ছিল?”

অধ্যায় ৪: অন্যান্য ঘরে

রুম ৪১২: তুলিকা আয়নার সামনে বসে। রাজীব ঘুমিয়ে। আয়নায় নিজেকে দেখতে গিয়ে সে হঠাৎ দেখে পেছনে কারো দাঁড়িয়ে থাকার ছায়া। চোখে ঘোলা রাগ। সে ঘুরে তাকায়—কেউ নেই।

রুম ৪১১: রিয়া ঘুমিয়ে, সায়ন পাশে। হঠাৎ সে জেগে ওঠে। অনুভব করে তার বুকের উপর কিছু ভারী। চোখ মেলে দেখে কিছু নেই, কিন্তু শ্বাস-প্রশ্বাস ঘরের মধ্যে ঘুরছে।

অধ্যায় ৫: বদ্ধ দরজা

রাত ৩টা। রোহান আর রিমিকা রুম থেকে বেরোতে চায়। দরজা খুলছে না। ভেতর থেকে কেউ যেন চেপে ধরে রেখেছে।

বাথরুমের মেঝে ভিজে। অথচ শাওয়ার বন্ধ।
রিমিকা বলে,

> “রোহান,তারা তারি চলো এই ঘরে আমরা ছাড়াও কেও আছে।

রোহান তাকিয়ে থাকে। বাথরুমের ভিতরে কিছু যেন নিঃশব্দে দুলছে… একটা ছায়া।

অধ্যায় ৬: ভোর

সকাল ৭টা। তিনটি রুম থেকে বেরিয়ে আসে ছয়জন বন্ধু। কারোর মুখে কথা নেই। চোখের নিচে কালি। গলার স্বর শুকনো।

রোহান কিছু বলতে চায়, পারে না। রিমিকা একবার পিছনে তাকায়—রুম ৪১৩-এর দরজা বন্ধ।

শেষ কথা

ভালোবাসা, অপমান, অপূর্ণতা—সব একসাথে জমে থাকে সেই বাথরুমে। অয়নের আত্মা প্রতিশোধ চায় না। সে শুধু ফিরে আসে… শরীর খুঁজে, প্রমাণ খুঁজে।

তিনটি রুমে, ছয়টি মানুষ, এক রাত। আর এক ইতিহাস… যেটা মুছে যায় না।

রুম ৪১৩। শুধু ঘর নয়। এক অসমাপ্ত গল্প।








Susmita Ghosh
Samir Sil Tanusri Mallah Sudipta Das Ami Tinni Soumi Saha Rakhi Ghosh Salini Ghosh Bhadra

সাতকোশিয়ার এই জায়গাটা দারুণ
30/06/2025

সাতকোশিয়ার এই জায়গাটা দারুণ

Jabalpur tour 2025
30/06/2025

Jabalpur tour 2025


বলুন তো এটা কোথায় ?
30/06/2025

বলুন তো এটা কোথায় ?


শুভ রথ যাত্রা          Susmita Ghosh Ami Tinni Sudipta Das Arpita Paul Chatterjee
27/06/2025

শুভ রথ যাত্রা






Susmita Ghosh
Ami Tinni
Sudipta Das
Arpita Paul Chatterjee

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Joy Jeet Studio posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share