Care of Kolikata - কলিকাতা

Care of Kolikata - কলিকাতা পরিবার মানে মেলবন্ধন,পরিবার মানে আন্তরিকতা এবং পরিবার মানে শুধুমাত্র কেয়ার অফ কলিকাতা ❤️

হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও,একটুকরো আশা বেঁচে থাকে।অন্ধকার ঘরের মাঝে,তাদের পরিশ্রমের গল্পগুলো অন্তরালে থাকে।কলমে: রমিতফটোগ্র...
18/09/2025

হাজার প্রতিকূলতার মাঝেও,
একটুকরো আশা বেঁচে থাকে।
অন্ধকার ঘরের মাঝে,
তাদের পরিশ্রমের গল্পগুলো অন্তরালে থাকে।
কলমে: রমিত
ফটোগ্রাফি: সৌম্যদীপ
Ramit Kar সৌম্যদীপ ঘোষ
Care of Kolikata - কলিকাতা

-প্রভু শুনছেন!বিশ্বকর্মা-হ্যাঁ কড়ী বলো?কড়ী-আলাপ করিয়ে দেবো আজ একজনের সাথে!বিশ্বকর্মা-কার সাথে!কড়ী-আহা চলুন আগে বলছি।...
17/09/2025

-প্রভু শুনছেন!
বিশ্বকর্মা-হ্যাঁ কড়ী বলো?
কড়ী-আলাপ করিয়ে দেবো আজ একজনের সাথে!
বিশ্বকর্মা-কার সাথে!
কড়ী-আহা চলুন আগে বলছি।
কিছুটা এগিয়ে দুজনের সাথে সাক্ষাৎ হলো, এমনসময় কড়ী বললো
কড়ী-একজন হলেন জেমিনি আরেকজন ChatGPT।
এই কথা শুনে বিশ্বকর্মা বললেন,
বিশ্বকর্মা-সব তো‌ বুঝলাম কিন্তু এনারা করেন কী?
কড়ী বললো
কড়ী- এনারা কখনও মানুষের পুতুল বানাচ্ছে, কখনও মেয়েদের রঙ বেরঙের শাড়ি পড়িয়ে সাজিয়ে দিচ্ছে। নতুন নতুন শিল্পের সৃষ্টি করছে প্রভু।
বিশ্বকর্মা-(কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে) তাই নাকি!
এবার জেমিনি বললো
জেমিনি- আজ্ঞে প্রভু ঐ আরকি। তবে, আপনার চেয়ে শ্রেষ্ঠ নয়, আপনি চিরকালের শ্রেষ্ঠ শিল্পী।
এই কথা শুনে কড়ী এবং বিশ্বকর্মা হাসতে লাগলো, এবং সবশেষে বিশ্বকর্মা বললো
বিশ্বকর্মা- আশা রাখবো আরো নতুন শিল্পের সৃষ্টি হোক, তবে সবটাই মানুষের কল্যাণের জন্য হোক। অনাচার যেন তোমার শিল্পের অংশ না হয় এই আশাই রাখবো।
জেমিনি-(শান্ত হয়ে) চেষ্টা করবো প্রভু।
কলমে: রমিত
ছবি : সংগৃহীত
Ramit Kar
Care of Kolikata - কলিকাতা

🌼শারদকৃতি ২০২৫🌼প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও care of kolikata পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে *শারদকৃতি*। *নাচ, গান ,আবৃ...
16/09/2025

🌼শারদকৃতি ২০২৫🌼

প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও care of kolikata পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয়েছে *শারদকৃতি*।

*নাচ, গান ,আবৃত্তি, আঁকা, ফটোগ্রাফি , ভিডিও এডিটিং* এর মধ্যে থেকে আমরা বেছে নিচ্ছি সেরার সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটারদের, যেখানে বিজয়ীদের জন্য থাকবে care of kolikata পরিবারের পক্ষ থেকে বিশেষ *🌼শারদ সম্মান ২০২৫🌼* ।

➡️প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনের নূন্যতম বয়স ১৫ বছর।

➡️প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করার সময়সীমা: ১০ ই সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর

➡️বিজয়ীদের নাম আমরা বিজয়া দশমীর পর ঘোষণা করবো।

➡️ জাজমেন্ট এবং দর্শকের বিচারের ভিত্তিতে আমরা বিজয়ী দের পুরস্কৃত করবো 😊 ( ২টি ভাগে )

➡️বিজয়ী প্রতিযোগীদের জন্য থাকবে বিশেষ আকর্ষণীয় পুরস্কার।

নাম নথিভুক্ত করার জন্য নিচের দেওয়া লিংকে ক্লিক করে যোগদান করুন:👇 https://chat.whatsapp.com/D4Dsm3SikmlKVh6sicXxNf?mode=ems_copy_c

Care of Kolikata - কলিকাতা

****এবারের শারদীয়া হোক তোমার আমার 😊 এবং সবার****

শেষ বিদ্রোহ - ঋষভ গ্রামের উপকণ্ঠে নতুন এক বিশাল কারখানা উঠল। মালিক—মগনলালজি, বহিরাগত ব্যবসায়ী। ঝলমলে বিজ্ঞাপন, হাজার চাক...
15/09/2025

শেষ বিদ্রোহ - ঋষভ

গ্রামের উপকণ্ঠে নতুন এক বিশাল কারখানা উঠল। মালিক—মগনলালজি, বহিরাগত ব্যবসায়ী। ঝলমলে বিজ্ঞাপন, হাজার চাকরির প্রতিশ্রুতি। গরিব শ্রমিকেরা ছুটে এল কাজের আশায়। কারখানায় নতুন আলো জ্বলল।

প্রথমে সব ঠিকই চলছিল। শ্রমিকরা বাংলায় গান গাইতে গাইতে কাজ করত। কেউ কখনো “বাউল” গুনগুন করে, কেউ দুপুরে ভাত-ডাল ভাগাভাগি করে খেত। কিন্তু হঠাৎই একদিন মগনলালজি ঘোষণা দিল—

—“আমার কারখানায় শুধু হিন্দি আর ইংরেজি চলবে। যেই বাংলায় কথা বলবে, তার আর এখানে জায়গা নেই।”

সেদিন বিকেলেই দলে দলে শ্রমিক কাজ হারাল। চিৎকার, কান্না, হাহাকার ভরে উঠল কারখানার গেট।
রাতে কারখানার বাইরে দেখা গেল সেই শ্রমিকদের—ক্ষুধার্ত, অনাহারে কাতর। শিশুদের চোখে ক্ষিদের ছাপ স্পষ্ট, মায়েদের বুক ভেঙে যাচ্ছে।

সেই শ্রমিকদের একজন, গঙ্গাচরণ। ক্ষুধায় কাতর মৃতপ্রায় হলেও নিজের ছেলেটাকে কোলে নিয়ে বাঁচতে চাইছিল। কিন্তু খাবার ছিল না। শিশুটি একরাতে বাবাকে বলল—

—“বাবা, আমাদের গ্রামের পূজারী অরিন্দমদা আছে না? শুনেছি উনি আগে ডাকাত ছিলেন, বন্দুক চালাতেন। তুমি গেলে উনি হয়তো ভয় দেখিয়ে আমাদের কাজ ফেরত দিতে পারতেন!”

গঙ্গাচরণের চোখে জল, কিন্তু সে অসুস্থ শরীরে যেতে পারল না। তাই ছেলেটিই গেল—অন্ধকার রাত পেরিয়ে অরিন্দমের কাছে।

অরিন্দম তখন নদীর ঘাটে বসে কালীমূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালাচ্ছিল। ডাকাতি ছেড়ে বহুদিন হলো সে পূজার কাজে মন দিয়েছে। ছেলেটি কেঁদে সব বলল—
“দাদা, আমাদের খাওয়ার নেই। মগনলালজি শুধু নাকি একটি কারণে আমাদের কাজ কেড়ে নিয়েছে, আমরা বাংলায় কথা বলি তাই।”

অরিন্দমের বুক কেঁপে উঠল। তার মনে পড়ল নিজের অতীত—কত নির্দয় রক্ত ঝরিয়েছে। আজ আবার কি বন্দুক হাতে নিতে হবে?

সকালে কারখানার গেটের সামনে ক্ষুধার্ত শ্রমিকদের ভিড় জমেছে। চোখে তাদের ভয়ের ছায়া, পেটে ক্ষুধা। অরিন্দম লাল পোশাকে এগিয়ে এলো, হাতে পুরোনো বন্দুক। সোজা হেঁটে গিয়ে ঢুকলো মগনলাল এর কেবিনে।

ঢুকেই সে শান্ত গলায় বলল,
—“শ্রমিকদের কাজ ফিরিয়ে দিন, মগনলালজি। ভাষা মানুষের অপরাধ নয়।”

মগনলালজি হেসে উঠল। কণ্ঠে হিন্দি–বাংলা মিশে গেল।
—“আরে, তুম বাঙ্গালী লোগ সামাঝতে ক্যা হো আপনে আপ কো?বিজনেজ মে ইমোশান নাহি চালতা পূজারী জি . বাংলা, গান–কবিতা, আবেগ—এইসব চিজে পেট ভরবে ক্যা?”

অরিন্দম চোখে জল নিয়ে উত্তর দিল,
—“এই ভাষায় আমরা 'মা' ডাক শিখেছি, এটা আমাদের মাতৃভাষা, এই ভাষায় শ্রমিকেরা স্বপ্ন দেখে। পেট ভরানোই যদি সবকিছুর মাপকাঠি হয়, তবে আত্মা কোথায় যাবে?”

মগনলালজি ঠোঁট বাঁকিয়ে বলল,
—“আত্মা দিয়ে ভাত নাহি মিলতা।”

অরিন্দম হঠাৎ বন্দুক তুলে ধরল, আর বললো,
—"বাংলা ভাষা নিয়ে যা খুশি তাই বলে পার পেয়ে যাবেন ভেবেছেন মগনলালজি?"
চারপাশে নীরবতা নেমে এলো। কিন্তু চোখ বন্ধ করতেই সে অতীতে ফিরে গেলো—ডাকাতির রাত, রক্ত ঝরানো পথ। বুক কেঁপে উঠল। ধীরে ধীরে সে বন্দুক নামিয়ে ফেলল।

মগনলালজি হো হো করে হেসে উঠল।
—“দেক্ষা? ডাকাতি ছাড়ার পর তুমি নরম মাটির পুতলা হয়ে গেছো।”
তারপর একেবারে তাচ্ছিল্যের সুরে চিৎকার করল,
—“এই বাংলার কি দাম আছে? আবেগ, আবেগ… স্যাব বাকওয়াস হায়!”

এই কথাগুলো বজ্রাঘাতের মতো আঘাত করল অরিন্দমের হৃদয়ে। চোখ রক্তলাল হয়ে উঠল। ঠাণ্ডা স্বরে সে বলল,
—“তাহলে নাহয় এর উত্তর রক্ত দিয়েই দিতে হবে ।”

সে আবার বন্দুক তুলল। এক নিঃশ্বাস, কোনো কিছু না ভেবে আলতু ট্রিগার এ চাপ ,তারপর—

তীব্র গর্জন।

সেই শব্দে কারখানার দালান কেঁপে উঠল। শ্রমিকরা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল।
Osi Risav

ছবি: সংগৃহীত
Care of Kolikata - কলিকাতা

কলমে: নয়নিকাNayanika Chakraborty Care of Kolikata - কলিকাতা
15/09/2025

কলমে: নয়নিকা
Nayanika Chakraborty
Care of Kolikata - কলিকাতা

পরীক্ষার্থী:(দরজার সামনে দাঁড়িয়ে) ও মা! এটা কি সত্যি? আমি কি সত্যিই তোমার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি, নাকি আবারও কোনো কল্পনার ফাঁ...
11/09/2025

পরীক্ষার্থী:(দরজার সামনে দাঁড়িয়ে) ও মা! এটা কি সত্যি? আমি কি সত্যিই তোমার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি, নাকি আবারও কোনো কল্পনার ফাঁদে পড়লাম?

বাংলা:(হাসিমুখে) সত্যি বাপু, এ স্বপ্ন নয়। এতদিনের গন্ডগোল, মামলা, প্রতারণার অন্ধকার কাটিয়ে তুমি আজ আবার ঘরে ফিরছ।

পরীক্ষার্থী:দীর্ঘ নয় বছর ধরে শুধু অপেক্ষা করেছি। প্রতিদিন মনে হয়েছে—‘আজ হয়তো নিয়োগ হবে, কাল হয়তো নতুন তালিকা প্রকাশ পাবে’। অথচ বারবার হতাশা ছাড়া কিছুই পাইনি।

বাংলা:আমি জানি তোমাদের কষ্ট। অসংখ্য ছাত্রছাত্রী জীবনের সোনালি সময়টা নষ্ট করেছে কেবল অযথা অপেক্ষায়। তবু দেখো, ধৈর্য শেষ পর্যন্ত ফল দিয়েছে।

পরীক্ষার্থী:(চোখ ভিজে আসে) বিশ্বাস করো, আমি আর পারছিলাম না। পরিবার, সমাজ, চারপাশের চাপ—সব মিলে যেন বুকটা ফেটে যাচ্ছিল। তবু আশার আলো নিভতে দিইনি।

বাংলা:সেই আশাই তোমাকে আবার আমার কোলে টেনে এনেছে। মনে রেখো, শিক্ষক মানে শুধু চাকরি নয়—মানুষ গড়ার দায়িত্ব। তোমাদের মতো যোদ্ধার হাতে আমি আমার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিশ্চিন্তে তুলে দিতে চাই।

পরীক্ষার্থী:(মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে) হ্যাঁ, এবার আমি শুধু নিজের স্বপ্ন নয়, অসংখ্য পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করতে চাই। বাংলার প্রতিটি সন্তান যেন শিক্ষার আলো পায়, সেটাই হবে আমার প্রকৃত জয়।

বাংলা: এসো, আমার দরজা এখন খোলা। তোমাদের জন্যই আবার শুরু হলো এক নতুন সকাল।
কলমে: রমিত
Ramit Kar
ছবি: সংগ্রহীত
Care of Kolikata - কলিকাতা

Care of Kolikata - কলিকাতা আয়োজিত 🌼শারদকৃতি ২০২৫ 🌼প্রতিবারের ন্যায় এবছরেও আমরা মায়ের আগমনের প্রাক্কালে আমরা হাজির হয়...
10/09/2025

Care of Kolikata - কলিকাতা আয়োজিত
🌼শারদকৃতি ২০২৫ 🌼
প্রতিবারের ন্যায় এবছরেও আমরা মায়ের আগমনের প্রাক্কালে আমরা হাজির হয়েছি আপনাদের কাছে।

নাম নথিভুক্ত করার জন্য আপনারা নীচে দেওয়া গ্রুপ লিংকে ক্লিক করুন👇
WhatsApp group link :
https://chat.whatsapp.com/D4Dsm3SikmlKVh6sicXxNf?mode=ems_copy_c

****সকল কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের কাছে একটা সুবর্ণ সুযোগ, নিজের সেরা প্রতিভাটি সকলের সামনে ফুটিয়ে তোলার এবং শারদীয়ার সেরা সম্মানটি জিতে নেওয়ার । ****

বলি তো, হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিলাম।তোমার প্রতিটা চুপ করে থাকা শব্দকেও বুঝতে চেয়েছিলাম,তবু তুমি চলে গেলে।কারো মত না জানিয়ে...
10/09/2025

বলি তো, হৃদয় দিয়ে ভালোবেসেছিলাম।
তোমার প্রতিটা চুপ করে থাকা শব্দকেও বুঝতে চেয়েছিলাম,
তবু তুমি চলে গেলে।
কারো মত না জানিয়ে,
শেষবারের মতো ‘ভালো থেকো’ বলেও না।

আমি কি তোমার প্রিয় মানুষের সংজ্ঞায় ফেলতে পারিনি নিজেকে?
নাকি আমার ভালোবাসা ছিল খুব বেশি,
অথবা খুব কম?

বলো না, কোথায় ছিল আমার ভুল?
তোমার জন্মদিন ভুলে যাওয়া?
না কি প্রতিবার ঝগড়ার পর আগে হাতটা বাড়িয়ে দেওয়া?

আমি তো পাশে ছিলাম—
তুমি ক্লান্ত হলে, তোমার চোখে ঘুম এনে দিতাম,
তুমি অভিমান করলে, নিজেকে দোষী ভাবতাম।
তবু তুমি গেলেই—
নিঃশব্দে, হাওয়ার মতন হারিয়ে।

তোমার খুশির জন্য নিজেকে কষ্ট দিয়েছি,
নিজেকে অনেকটা হারিয়েও দিয়েছি,
তবু শেষমেশ আমি শুধু ‘ভুল’ হয়ে রইলাম?

এতটাই সহজ ছিল চলে যাওয়া?
একটিবারও ভাবলে না, আমি ভেঙে যাবো?

তাই আজ এই প্রশ্নটুকুই রয়ে গেল—
বলো তবে, আমার কি ভুল ছিল?
আর কেনোই বা আমায় ছেড়ে চলে গেলে?
কলমে : শান্তনু দাস
ছবি: সংগৃহীত
Care of Kolikata - কলিকাতা

আজ খুব স্পেশাল দিন। আমাদের বসন্ত বয়েজ স্কুল ৭৫ বছরে পা দিল।সকালেই স্যাররা বললেন—“আয়ুশ, সায়ন, ঋষি—তোমরা তিনজন পাশের বস...
09/09/2025

আজ খুব স্পেশাল দিন। আমাদের বসন্ত বয়েজ স্কুল ৭৫ বছরে পা দিল।
সকালেই স্যাররা বললেন—
“আয়ুশ, সায়ন, ঋষি—তোমরা তিনজন পাশের বসন্ত গার্লস স্কুল-এ যাবে ইনভিটেশন কার্ডদিতে। সময়মতো পৌঁছবে, ভদ্রভাবে কথা বলবে, আর স্কুলের নাম তুলে ধরবে।”

সব শুনে তিনজনের মুখে একই চিন্তা—
ওই স্কুলে তো অনেক কিউট মেয়ে পড়ে!
তাই card দেওয়ার আগে নিজের লুক ঠিক না থাকলে হবে নাকি!

স্কুলের গেট পেরোতেই আয়ুশ নিজের চুলে হাত বুলিয়ে বলল—
— “শোন, কার্ড তো হাতে দেব। কিন্তু কেউ তাকাল না তো! তখন কার্ড দেওয়ার মানেই বা কী!”

সায়ন সঙ্গে সঙ্গে চিরুনি বের করল—
— “একদম ঠিক বলেছিস! এটা শুধু card না, আমাদের লুক-ই আসল! প্রথম দেখাতেই নজর কাড়তে হবে!”

ঋষি মুখ বাঁকিয়ে বলল—
— “আরে বাবা, কার্ড দেওয়াই তো কাজ! বেশি সাজলে আবার দেরি হবে।”

আয়ুশ চোখ টিপে বলল—
— “ওরে বোকা! কার্ড পৌঁছবে ঠিকই, কিন্তু কেউ খুলে দেখবে তো? আগে তাক করাতে হবে!”

সায়ন জেল হাতে নিয়ে বলল—
— “আমরা শুধু card দিতে যাচ্ছি না। এটা আমাদের ইমপ্রেশন দেখানোর সুযোগ!”

ঋষি মাথা চুলকে হাসল—
— “মানে… ইনভিটেশন নয়… ক্রাশ হ্যান্ট!”

আয়ুশ হেসে বলল—
— “ঠিক বলেছিস! মিশন ক্রাশ হান্ট!”

এরপর শুরু হলো চুল ঠিক করার যুদ্ধ। কেউ sleek look বানাচ্ছে, কেউ বারবার আয়নায় নিজের মুখ দেখে দিশেহারা।
সায়ন বলল—
— “এই লুকটাই ফাইনাল। একে বলে ক্লিন ভাইব!”
আয়ুশ হাসল—
— “এখন সবাই তাকিয়ে বলবে—‘ওদের দেখলেই বুঝি স্কুলের অনুষ্ঠান শুরু!’”
ঋষি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল—
— “আমরা যেন কার্ড দিতে যাচ্ছি না, রেড কার্পেটে যাচ্ছি!”

ঠিক তখন পাশের স্কুলের জানালায় কয়েকজন কিউট মেয়ে উঁকি দিল। কেউ ফিসফিস করল—
— “ওরা কি ইনভিটেশন দিতে যাচ্ছে নাকি ডেট করতে?”
আরেকজন হেসে ফেলল!

আয়ুশ সেটা শুনে খিলখিলিয়ে হাসল—
— “মিশন সফল!”
সায়ন বুক ফুলিয়ে বলল—
— “ভাই, কনফিডেন্স একদম বাড়ল!”
ঋষি লজ্জায় মুখ নামালেও হাসি আটকাতে পারল না।

এর মাঝেই স্কুলের দারোয়ান এসে ধমক দিল—
— “এই যে! সিনেমার শুটিং না করে কার্ড দাও! দেরি করছ কেন!”

তিনজন থমকে দাঁড়াল। তারপর একসঙ্গে হেসে ফেলল।
আয়ুশ চুলে হাত বুলিয়ে বলল—
— “চলো ভাই, মিশন ক্রাসা হ্যান্ট শুরু!”
সায়ন পকেটে চিরুনি গুঁজে বলল—
— “আমরা শুধু ইনভিটেশন দিতে যাচ্ছি না, নিজেদেরও একটু দেখাতে যাচ্ছি!”
ঋষি মুখ টিপে হাসল—
— “ঠিক আছে, যুদ্ধ শেষ। এবার কাজে নামি!”

হাসতে হাসতেই তারা এগোতেই হঠাৎ আকাশ কালো হয়ে গেল।
প্রথমে টিপ টিপ, তারপর ঝমঝম বৃষ্টি!
কার্ডগুলো একদম ভিজে নরম হয়ে গেল। কেউ ছাতা আনেনি।
সায়ন মাথায় হাত দিয়ে বলল—
— “ওরে বাবা! সব শেষ!”
আয়ুশ ভিজে কাদায় পিছলে পড়ে গেল।
ঋষি হতাশ হয়ে বলল—
— “এভাবে গেলে কেউ কার্ড খুলে দেখবে না!”

ঠিক তখন দারোয়ান চেঁচিয়ে উঠল—
— “আজ আর যাওয়ার দরকার নেই! কাল শুকনো card নিয়ে যেও!”

তিনজন একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাঁফ ছাড়ল।
আয়ুশ বলল—
— “মিশন পোস্টপোন!”
সায়ন হেসে বলল—
— “কনফিডেন্স গেল বৃষ্টির সঙ্গে!”
ঋষি মুখ টিপে হাসল—
— “আজ অন্তত কারও সামনে লজ্জা পেতে হলো না!”

শেষ পর্যন্ত কার্ড দেওয়া হলো না। সবাই ভিজে একাকার হলেও হাসতে হাসতেই ফিরে এল।
আজ কাজ হয়নি, কিন্তু একটা দারুণ গল্প তৈরি হলো — একটা দিন যা তারা কখনও ভুলবে না!

কলমে: ঋষভ
Osi Risav
ছবি: সংগৃহীত
Care of Kolikata - কলিকাতা

ভোর বেলা ঘুম'টা হঠাৎ করে ভেঙে যেতেই,  বিছানা থেকে উঠে এসে বড়ো কাঁচের জানালা'টা খুলে দিলাম । শরৎ এর মৃদু শীতল বাতাস ঘরের ...
08/09/2025

ভোর বেলা ঘুম'টা হঠাৎ করে ভেঙে যেতেই, বিছানা থেকে উঠে এসে বড়ো কাঁচের জানালা'টা খুলে দিলাম । শরৎ এর মৃদু শীতল বাতাস ঘরের মধ্যে ছুটে এলো, সাথে করে বয়ে নিয়ে এলো একটা খুব পরিচিত মিষ্টি গন্ধ।
হ্যাঁ শিউলি ফুল-ই বটে !
চরাচর নিস্তব্ধ দূরে কোথাও একটা পেঁচা ডেকে উঠলো, জানালার পাশে দাঁড়িয়ে স্নিগ্ধ আকাশের গায়ে শুক্লা ত্রয়োদশী-র চাঁদ দেখা যাচ্ছে। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কিছু তারা, এ এক স্বপ্নের দৃশ্য মতো। কিছুদিন আগের ঘন বর্ষা যেন আকাশের প্রেক্ষাপট জলে ধুয়ে কাঁচের গোলকের ন্যায় স্বচ্ছ করে দিয়েছে।

আর এক পক্ষ কাল পরেই দেবী পক্ষের সূচনা, বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব 'দুর্গা পুজো'।

প্রতিমা বায়না দেওয়া থেকে শুরু করে বিজয়া দশমী সবই হয় খুব ধুমধাম করে।
কিন্তু মা সর্বপ্রথম আসেন কুম্ভকার এর ঘরে, শক্তি এবং নিষ্ঠা রূপে। যে শক্তি এবং নিষ্ঠা দিয়ে কুম্ভকার গড়ে তোলেন মা এর প্রতিরূপ ।
এই সময়ে কুমোরটুলির রাস্তা ,গলি ধুনোর গন্ধে ভরে রয়েছে। কে জানে কুম্ভকার হয়তো এখনো রাত জেগে কাদা মাখা হাতে গড়ে চলেছেন মা-এর স্নিগ্ধ প্রতিমা।
লোকে বলে মাটির প্রতিমা, একমাত্র একজন শিল্পীই জানেন স্বয়ং মা তার হাত ধরে নিজেকে গড়ে তুলেছেন।
✒️ পরিযায়ী 🍁
রোহিত শাসমল
ছবি: সংগৃহীত
Care of Kolikata - কলিকাতা

06/09/2025

নৃত্য পরিবেশনায়; কঙ্কনা
Katha Manna
Care of Kolikata - কলিকাতা

শিক্ষার আলোপ্রত্যুষ কুমার(ঝোড়ো হাওয়া)Pratyush Banerjee-pratyushbanerj শিক্ষার আলো ভুবন জুড়ে, শিক্ষা নিতে সবাই পারে। জ...
05/09/2025

শিক্ষার আলো
প্রত্যুষ কুমার(ঝোড়ো হাওয়া)
Pratyush Banerjee-pratyushbanerj

শিক্ষার আলো ভুবন জুড়ে,
শিক্ষা নিতে সবাই পারে।
জ্ঞানের বাণী ছড়িয়ে কানে,
শেখাও গুরু চলার মানে।

মানবতার মশাল জ্বেলে,
কন্ঠ ছাড়ো দ্বিধা ভুলে।
গুরুর আশীষ মাথায় নিয়ে,
আঁধার তুমি দাও সরিয়ে।

পথের দিশারী যে তুমি,
বারেবারে তোমায় নমি।
যত আসবে জটিল বাণী,
গুরু সহজ করবে জানি।

আমি আলো হতে চাই,
আমি শিক্ষা পেতে চাই।
মাটির তলে পা রেখে তাই,
মানুষ হয়ে বাঁচতে চাই।
Digital art: Eisha Mayra
Care of Kolikata - কলিকাতা

Address

Kolkata
700030

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Care of Kolikata - কলিকাতা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share