Mad Balikas

Mad Balikas আমরা Mad Balikas—কণ্ঠে, কথায়, কাহিনিতে আমরা শিকড়ের খোঁজ করি। আমাদের কথকতা, পডকাস্ট, গল্পে, শ্রুতিনাটকে ধরা পড়ে বাংলার বহু শতাব্দীর যাত্রা। We need it.

We are a group of crazy women from same school same batch. No, we didn't go to any school of witchcraft and wizardry. In a mundane muggle world we just had the friends and the teachers to learn the magic of life. We learnt it together and locked it away in some secret chambers until the dark days of pandemic started. Stress, panic, despair were eating us alive when we decided to open those secret

chests and bring back the magical bond we shared once. You need it. Let the flame spread. In page, in youtube channel we are singing, acting, laughing, crying. Our audio dramas are tales of different times, genres, moods. We are here, for us, for you.

কে বলেছে চিঠিপত্রের যুগ আর নেই? পাগলিনীর কথা নইলে তো জানাই হত না! উন্মাদিনীদের ঝুলিতে নবতম সংযোজন, Suparna Abhaya Bhatta...
20/09/2025

কে বলেছে চিঠিপত্রের যুগ আর নেই? পাগলিনীর কথা নইলে তো জানাই হত না! উন্মাদিনীদের ঝুলিতে নবতম সংযোজন, Suparna Abhaya Bhattacherjee লিখলেন। পড়ে দেখুন, চেনেন কি সেই পাগলিনীকে?

#চিঠি চার

পাগলিনী,

টুপ্ টুপ্ খসে যায়। বৃতি থেকে দলমণ্ডল । দলমণ্ডল থেকে একটি একটি বছর। স্মৃতির উড়নি আঁকড়ে ধরতে ধরতে পুকুর জল। এখনো কালের গালে থাপ্পর কষে আমার আমগাছে কোকিল ডাকে। ছলাক শব্দে নারকেল পড়ে জলে। আর সেই জল ঘিরে এখনো মাছেদের দাপাদাপি । ওই জল ছেঁচে পায়রার খোপের মতো ঘরবাড়ি,দূরবীনে! ওই দেখো আল বেয়ে আসছে সালমন চাচা। সবুজ ধানের কোলে হাওয়া শন্ শন্। এমন ছবি চোখ থেকে কেড়ে নেবার সাহস নেই তোমাদের দূরভাষের। আকাশে উড়োজাহাজ । একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। বাবার বস্তা করে চাল কিনে রাখা। ফিরে চল রে মেয়ে সে রূপকথার দেশে। যখন পাশের বাড়ির অমূল্যর বাঁশি শুনে নদীর গায়ের পাশে পরী নামত। ডানাদুটি খুলে রাখত ভিজে পাথরে। ফিরে চল রে মন কলি পার করে সত্য,ত্রেতা,দ্বাপরে।
পাথর করে দিক কেউ অভিশাপে।

উৎসবের বরণডালার উপাচারে স্বস্তিক চিহ্ন ম্লান। নবান্নের উৎসবে ক্ষিদের নকশীকাঁথা বোনা। কুয়াশায় মনের আকাশে জমাট বাঁধা পৌষের উৎসব।নতুন গুড়ের গন্ধে গোটা গাঁ ঘর মাতাল হয় কই?

তবু দেখ,নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। আমার জানালার কাছেই রাইটিং টেবিল। আজকাল হাত কাঁপে। হস্তলিপি তে মিশন স্কুলে ফুল মার্কস পেতাম ,এখনকার লেখা দেখে , বিশ্বাস হয় না । স্কুলে বড়দিনের উৎসব হতো।'
হো সান্না,হো সান্না,এলেন শান্তিরাজ/ধন্য ,তিনি ধন্য,পথ খুলো যীশুর জন্য/নিজ রাজ্য লইবেন আজ'।,
সাদা ফ্রক,লাল রিবন আমরা গাইছি।মুখরিত বাতাস সুরের দানায়।

সামনেই প্রতীক্ষার উৎসব।এবছর কেমন যেন পুজো পুজো গন্ধ নেই ঘরের উঠানে।মনে পড়ে, একবছর এই আশ্বিনের উৎসবে আমাদের খেলার সাথী অমরের দেশের বাড়ি দুগ্গা পুজো দেখতে গিয়েছিলাম সরিষায়। তখন কেমন একটা ক'রে দেশের বাড়ি থাকতো সকলের। আমাদেরও ছিলো এককালে।ঠাকুরদাদার বাড়ি, ঢাকার বিক্রমপুরে।সে বাড়ি আমি দেখেছি,ঠাকুমার চোখর আয়নায়।মায়ের রাতের গল্পে দিদুর নিজে হাতে সাজানো খুলনার বাড়ি।কোনোদিন আর যাওয়া হয়ে উঠল না আমাদের সেই সব স্বপ্নপুরীতে। একবার ত্রিপুরায় নাটকের আমন্ত্রণ শো করতে গিয়ে নদীর বুকে বাঁশের সাঁকোর উপর টলটল পায়ে পার হয়ে, নো ম্যানস ল্যাণ্ড পেরিয়ে শিলচর পুলিশ ব্যারাকে গিয়েছিলাম। আমার কেমন অদ্ভুত মনের অবস্থা হয়েছিল। গলার কাছে ব্যথা।চোখ ঝাপসা।
এখানেই ছিল আমাদের শিকড়।উপড়ে নিয়ে কোথায় ভাসিয়ে দিয়েছ গো তোমরা!

অন্য কথায় চলে গেলাম কেমন। বেলাশেষে উপুড়ঝুপুড় সব বলতে সাধ হয়।

যা বলছিলাম, গেছো মেয়ে ছিলাম,ফুটবল খেলতাম ছেলেদের ‌সঙ্গে। তাই কাউকে তোয়াক্কা না করেই চলে গেলাম তাদের হাত ধ’রে। সে পুজোতেই কিশোরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল আমার।তাদের নাটমন্দিরেই তো একচালার দুগ্গা ।অমরের জেঠুর ছেলে ছিল কিশোর।

শিউলি ফুল এনে দিয়েছিল সে আমাকে,মুঠোয় ভ'রে।

বিসর্জনের দিন ঢাক বাজছে তুমুল। অমরদের বাঁধানো পুকুরঘাটে প্রতিমা নামানো। লাল রঙের সিঁড়ি জলের কোল অবধি।
ঢাকিরা তুমুল শব্দে কাঠিতে বোল তুলছে।সব মায়েদের মুখ ভর্তি লাল টুকটুকে সিঁদুর।
এক পটে আঁকা ছবি। আমি যেন
প্রতিমার চোখের কোলে জল দেখলাম। হঠাৎ ঈশান কোন থেকে উড়ে এলো শঙ্খচিল । আমি আর কিশোর একসঙ্গে গুনলাম, এক ,দুই,তিন,,,,,মোট সাতটা। চক্রাকারে ঘুরতে লাগলো প্রতিমার মাথার ওপর। তারপর চলে গেলো ওপরে,আরো ওপরে। প্রতিমার ডুব ,জলের বুদবুদ্। বিসর্জন।

আমাকে কিশোর কানে কানে বললো,'কাঁদিস না,বোকা মেয়ে। ’

বোকাই বটে। বোকার বোকা তস্য বোকা।

অমরের ঠামু দধিকর্মা তুলে দিলেন হাতে। এই এত্তো!আমি বললাম,’দেখো,কেমন অগরুর গন্ধ। ,’

কিশোর বলেছিল,’মানুষের ভালোবাসার বয়স বাড়লে অমন গন্ধ বের হয়। ’

পাকা ছিল সবুজ শ্যামল কিশোর।

কিশোর এখন প্রৌঢ়।অগরুর সৌরভ ধুয়ে গেছে শরীর থেকে।
কিশোরের ছেলে সাইকেল চালিয়ে অফিস যায়।আসতে যেতে তিনঘন্টা।শিরায় টান ধরে ছেলের রাতের গভীরে।
কিশোরের বৌ সুলেখা ,রসুন তেল মালিশ করে দেয় ছেলের পায়ে। কিশোরের ছেলের বৌ চলে গেছে,গুমোট সোঁদা ঘরের গন্ধ তার অসহ্য বোধ হয়েছিল কোন এক নববর্ষের উৎসবে।

সরিষার উৎসবে কিশোরের নাম রেখেছিলাম,' অমলতাস'।কিশোর ছেলের নাম রেখেছিল ' আনন্দ'।

কিশোর আমাকে আর আগের মতো চিঠি লেখেনা।এখন আর বন্ধু নই আমরা।সত্যিই কি তাই?

অমর,কিশোরদের দেশের বাড়ি বিক্রি হয়ে গেছে,টুকরো টুকরো হয়ে।

আমি আমার উঠানের শিউলি গাছের ফুল মাটি থেকে তুলতে পারিনা,নীচু হয়ে।শিড়দাঁড়া জবাব দিয়েছে বহুদিন
এ শিউলি গাছ এনে বসিয়েছিলাম রথের উৎসবে।

একশত আটবার দূর্গা নাম লিখতে বসেছিলাম,সরিষা থেকে ফিরে এসে। মায়ের উনুন আঁচে নাড়ু পাক দেবার গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছিল বাড়ির আনাচে,কানাচে। আমার শঙ্খচিল হতে ইচ্ছা হয়েছিল, লিখতে লিখতে। টুপ্ ক’রে একফোঁটা চোখের জলে কালির আখর ধুয়ে জলছবি। তখন পবিত্র মন ভয় পেয়েছিল 'দুগ্গা বুঝি রাগ করলেন।'

আজ হাসি পাক খায় বুকে। জেনে গেছি,প্রতিমার আসল কাঠামো মাটি ,খড় আর বাঁশ দিয়ে হয়।

আমি খড়খড়ে হাতের আঙুল দিয়ে জানালার গ্রীল ধ'রে দাঁড়িয়ে থাকি। ঈশান কোণের দিকে তাকিয়ে।
মেঘ পার ক'রে শঙ্খ চিলের উড়ান দেখার আশায়,,,
উ..ড়া...ন...
ভালোবাসা নিও গো মেয়ে,,,

***************************************
আপনিও কি লিখবেন এমন কোনও চিঠি যা লাল ডাকবাক্সটার মধ্যে ফেলাই হয়নি? পোস্ট করুন, #চিঠি হ্যাশট্যাগ দিন আর আমাদের ট্যাগ করুন যাতে পড়তে পারি।
মা আসছেন!
ছবিতে পিঁজরা নাটকের একটি উন্মাদ মুহূর্ত!

এই একমিনিটে ভালোবাসার যুগেও চিঠির এতো ক্রেজ! অনামিকার দ্বিতীয় চিঠি, এরা কোথা থেকে পেল?  #চিঠি ৩সাদিকতোমায় প্রথম দেখেছি...
19/09/2025

এই একমিনিটে ভালোবাসার যুগেও চিঠির এতো ক্রেজ! অনামিকার দ্বিতীয় চিঠি, এরা কোথা থেকে পেল?

#চিঠি ৩

সাদিক
তোমায় প্রথম দেখেছিলাম একগাদা ঘুড়ির ফাঁকে, তুমি বুকে আগলে ফিরছিলে পেটকাটি চাঁদিয়াল বগ্গা কে। শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর মতো উড়তে উড়তে আসছিলে তুমি। ছাদের আলসের এক কোণে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম তোমায় সেদিন। একবার ও মুখ তুলে আমায় দ্যাখোনি তুমি। তারপর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন যখন সারা আকাশ ছেয়ে রয়েছিল ঘুড়িতে ঘুড়িতে,আমার চোখ দুটো খুঁজে চলেছিল তোমার বুকে আগলানো চাঁদিয়ালকে।
অষ্টমী পুজোর দিন সবার লাল হলুদ শাড়ির মাঝে একটা আকাশ‌নীল শাড়িতে যখন আমি অঞ্জলীর ফুল চাইছি, তুমি এগিয়ে এসে শিউলি ফুলে ভরে দিলে আমার হাত। আমি অবাক চোখে দেখছিলাম তোমায়। আর ঠিক তখন ই মা ধাক্কা দিয়ে বললে আমায়, মুসলমানের ছেলের হাতের ফুল দিয়ে অঞ্জলী দিবি না.. ফেলে দে বলছি।
জানো সাদিক, একটা শিউলি লুকিয়ে রেখে দিয়েছিলাম হাতের ফাঁকে। যেদিন দুগ্গা মা কে বরণ করতে গেল মা, আমিও বই খাতা নিয়ে গিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছিলাম সেই শিউলি ফুলটাকে। কে জানে এত ফুলের ভিড়ে সেই ছোট্ট শিউলি কোথায় হারিয়ে গেছিল।জানো সাদিক, আজ ও সময় অসময়ে আমার চোখ খুঁজে চলে সেই পেটকাটি চাঁদিয়াল দের, গন্ধ পেতে মন‌ চায় সেই একমুঠো শিউলির।
আমি কিন্তু আজ ও অপেক্ষায় আছি সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আর অষ্টমীর অঞ্জলীর। আর একবার কি ফিরে আসতে পারেনা দিনগুলো!!

অনামিকা

*********************************
Tapasree Chakraborty পেয়েছেন এই চিঠি। Mad Balikas পড়ছে, লিখুন না যারা চিঠি লিখতে ভালোবাসেন? আমাদের ট্যাগ করুন আর হ্যাশট্যাগ দিন #চিঠি

চিঠি আসছে, আমরা পড়ছি।  #চিঠি ২সাদিককখনো কখনো কোনো রাস্তায় চলার অর্থ যেন স্মৃতির সরণি বেয়ে চলা, জড়িয়ে থাকে এক বিশেষ ...
18/09/2025

চিঠি আসছে, আমরা পড়ছি।
#চিঠি ২

সাদিক
কখনো কখনো কোনো রাস্তায় চলার অর্থ যেন স্মৃতির সরণি বেয়ে চলা, জড়িয়ে থাকে এক বিশেষ মানুষের সাথে কাটানো জীবনের ছোট্ট একটা মুহূর্ত। সেই মুহূর্তটা যেন বিশ্বব্রম্ভান্ডে ঐ সময়টুকুর জন্যই ধার্য ছিল! যদি বা নাই থাকলো সেই নিকটজন, যার সাথে তৈরী হয়ে যায় এক অদৃশ্য সাঁকো, তাহলে কাছে আসাই বা কেন? কী যে ভুলভাল লিখে চলেছি! তোমার কথা মনের মধ্যে চলতেই থাকে সাদিক! ভোলার চেষ্টাও করি না। কেন করব বলতে পারো। তুমি আমার ভালবাসা কবুল করো নি, কিন্তু সেই যে প্রথম দেখেছিলাম ভুলতে আর পারলাম কই? কখনো রোদ কখনো বৃষ্টির এই শরতে আমার মনে আগুন ফাগুন! আর কি তবে দেখা হবে না!

অনামিকা

************************************
Trina Chakraborty কোথা থেকে অনামিকার চিঠি পেল মালুম নেহি। আপনাদের চিঠিগুলোও আসছে তো? আমরা বসে আছি কিন্তু 🥹
চিঠি লিখুন, আমাদের ট্যাগ করুন আর #চিঠি দিন। ঠিক আছে?

বলছি চিঠি ফিঠি এখন জুরাসিক যুগের ব্যাপার জানি, তাও যদি চিঠি লেখার খেলা শুরু হয়, লিখবেন নাকি? আসলে কিছু না পাঠানো চিঠি শর...
17/09/2025

বলছি চিঠি ফিঠি এখন জুরাসিক যুগের ব্যাপার জানি, তাও যদি চিঠি লেখার খেলা শুরু হয়, লিখবেন নাকি? আসলে কিছু না পাঠানো চিঠি শরতের খোলা খামে এসে পড়ে আছে। এই যেমন নিচে একটা পেলাম। পাক্কা জিহাদি মাল বুঝলেন কিনা? হিন্দু মেয়েকে পাকড়েছিল। তারপর? পড়েই দেখুন!

#চিঠি পর্ব ১

অনামিকা,

বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি উড়িয়েছ কখনও? তুমি তো বনেদি বাড়ির লক্ষ্মী মেয়ে। এসব উড়নচন্ডে কাজ করলে তোমার পিঠে দু ঘা পড়ত নির্ঘাত। ঠ্যাঙানি আমিও কম খেয়েছি? কার্নিশ থেকে ঘুড়ি কাটার অ্যাকশন দেখে বাপ হেব্বি কেলিয়েছিল।তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি। পরের বছর থেকে বেপাড়ায় ঘুড়ি কাটতে যেতাম। অচেনা শার্সি দিয়ে আরপার দেখেছিলাম এক দীঘল চোখের রাজকন্যাকে। বাপ রে, দু চোখে বিদ্যুৎ আর ঝড় নিয়ে কি ঝাড় লাগিয়েছিল। ছাদ থেকে ছাদ টপকে পালানো উটকো ছেলেটা বেচারা এক দেখাতেই ভোকাট্টা, কোথায় রইল তার প্রাণের প্রিয় মোমবাতি, কোথায় তার বেচারা ধুকপুকে দিল্! কালীপুজোর সময় আলো টাঙ্গাতে গিয়ে শুনেছিলাম সেই ঝড় বিদ্যুৎ চোখের মেয়ে ভাড়াবাড়ি ছেড়ে গিয়েছে। কী, এখন বুঝলে তো, নেট পরীক্ষায় তোমায় পাশে দেখে কেন হ্যাংলার মতন চেয়ে চেয়ে দেখছিলাম? বুঝলে তো, কেন তোমার পেনটা পরীক্ষার পরেও আর ফেরত দিই নি? ওটা আমার আংটি। অনামিকার আংটি। তখনও বাবরি মসজিদ অক্ষত। আর তারপর?

এখন আর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়াই না। আমার একটা স্যাঙ্গাত জুটেছে, কবীর। দুর্দান্ত ঘুড়ি বানায়, বেনারসি ঘরানা। ওরও ফেভারিট মোমবাতি। গত বছর খুব মস্তি করেছিলাম আমাদের এতিমখানায়, কবীর ফাটিয়ে ঘুড়ি উড়িয়েছিল। এ বছর কবীর ক্রাচে। গোল্লায় যাওয়া বড়লোক মাতাল সুমো গাড়ির তলায় চলে গিয়েছিল ছেলেটা। বহু কষ্টে বেঁচে ফিরেছে, ডান পাটা হাঁটুর নীচ থেকে আর ফেরাতে পারিনি। তবে আমিও হাল ছাড়ব না। কবীরকে ওর দু পায়ে দাঁড় যদি না করাতে পেরেছি, আমিও সাদিক হোসেন নই। যাদের ভালোবেসে ফেলি তাদের হারিয়ে ফেলার অভিশাপ আমি কাটিয়ে উঠবই, বুঝলে অনামিকা?

ঝড় বিদ্যুৎ চোখের মেয়ে, তুমি আমার নসিবে নেই। তোমাকে আবার পেয়েও সেই হারাতেই হল। গরিব বেকার মুসলমান সাদিকের হাত ধরে ক্ষয়ে যেতে তুমি। পরিবার, পাড়া, মহল্লা ছাড়তে হত তোমায়। কে বলতে পারে, হয়ত আমার মুসলিম পরিচয়ের সঙ্গে বাঁধা পড়ে তোমার দেশটাই হারিয়ে যেত? তা তো হয় না অনামিকা। লাভ জিহাদের ধিক্কারে তোমার চোখের ঝড় বিদ্যুৎ নিভে গেলে সাদিকের আর থাকত কী?

শরতের খোলা খামে চিঠি পাঠালাম, বরাবরের মতো। ঠিকানা তো গুম করেছি সেই কবেই, স্বেচ্ছায়।পড়বে না বলেই এসব লেখা। নইলে লিখতাম কী? শুভ শারদীয়া জেনো।

আশিক সাদিক

*************************************

কি, কিছু উত্তর লিখবেন নাকি? লিখুন,আমরা পড়বো বলেই বসে আছি 🥹❤️

আজ রোববার। আলমারি থেকে মোটা মোটা মধু পড়ার ব্যাপারটা একটু বেশিই ভালগার খট্টা মিঠা, তো মেনুতেকন্টিনেন্টাল রাখছেন আজ কেউ? ...
31/08/2025

আজ রোববার। আলমারি থেকে মোটা মোটা মধু পড়ার ব্যাপারটা একটু বেশিই ভালগার খট্টা মিঠা, তো মেনুতে
কন্টিনেন্টাল রাখছেন আজ কেউ? বলুন দেখি সবচাইতে দামি কন্টিনেন্টাল ডিশ কোনটা? কেভিয়ার? ব্লু চিজ? হুশ! না না, পাস্তা চিজ নিয়ে ভাববেন না, ওসব না দিয়েও কন্টিনেন্টাল হয়! পচা পান্তা আর কুচো চিংড়ি, লঙ্কা আর বড়ি পোড়া মেখে খেলেও কন্টিনেন্টালই হয়। আর তার দাম টাকায় মোহরে হয় না। অ্যাই দেখ, ইয়ার্কি মারছি না মোটেও! আরে বাবা খাস লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংস এই খেয়ে কাশিমবাজারে ইতিহাস তৈরি করলেন কিনা? তারপরে এ খাবার কি আর বিলিতি না হয়ে যায়?
কথিত আছে সিরাজের কোপ থেকে বাঁচতে হেষ্টিংস্ সায়েব কাশিমবাজারে কৃষ্ণকান্ত নন্দীর ( কান্তবাবু ) বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। তখনও কোম্পানির শাসন কায়েম হয়নি, তাই দিওয়ানের চাকরি নিয়ে সমাজের কেষ্ট বিষ্টু মশাইদের আসতে তখনও খানিক দেরি আছে। নবাব হেস্টিংসের মুন্ডু নিতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছেন। চাট্টি মুরগি মটন ডিনার আয়োজন করলে নবাবের পেয়াদা এসে ক্যাক করে চেপে ধরবেন না? অগত্যা খিদের জ্বালায় নেতিয়ে পড়া বিলিতি সায়েবকে দিশি খাবার দেওয়া ছাড়া আর গতি কি?
ওয়ারেন হেস্টিংস সেই পচা পান্তার স্বাদ মনে হয় ভুলতে পারেননি। তাঁর বেরাদরদেরও ভুলতে দেননি। তাই তো পঞ্চাশ লাখ বাঙালি, আড়াই কোটি ভারতবাসীর প্রাণের দরে সিলমোহর লাগিয়ে দিয়েছেন ওই পচা পান্তার ওপরে। বুঝলেন না? বলছি।
পলাশীর যুদ্ধে অভাবনীয় জয়ের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভাবখানা হলো এলোমেলো করে দে মা লুটেপুটে খাই। বেলাগাম ট্যাক্স আর পাল্লা দিয়ে তহবিল তছরুপ হয়ে গেল নিয়ম। এদিকে আকালের দুর্দিনে খরা অজন্মা দেখে মহাজনেরা অ্যাডভান্স দেওয়াই বন্ধ করে দিল। তাদেরও ঘটি ডোবে ডোবে। জমির ট্যাক্স আজ একশো তো কাল দুশো, মহাজনকে নিজের ধানের গোলাটি তো আগে বাঁচাতে হচ্ছে?
কোম্পানি কি কিছুই বোঝে নি? তা কি করে হয়?
ঢাকার নবাব বার বার জরুরি আর্জি জানানোর পর কোম্পানির লোক সরেজমিনে তদন্ত করে এসে রিপোর্ট করল, বাংলার মানুষ যে শুধু ভালো আছে তাই না, দুশো মজায় আছে। গ্রামে গ্রামে গরুর দুধ ফ্রি পাওয়া যায় নয়ত? হেস্টিংস সায়েব খেদিয়েই দিল নবাবকে, ফালতু তামাশা হুজ্জুতি যত! তবে অমনি কিছু না হলেও এদিক ওদিক যুদ্ধ লেগেই আছে, হায়দরাবাদের সুলতানকে এমনি এমনি তো পেড়ে ফেলা যায় না? সত্যি সত্যি দুর্ভিক্ষ হলে সেনা বাহিনী খাবে কী? বুদ্ধি করে বারো লক্ষ মন ধান কিনে মজুত করে ফেলল কোম্পানি। সাধে কি হেস্টিংস একজন পণ্ডিত মানুষ? পচা পান্তা খেয়ে কেমন বুদ্ধি খুলেছে দেখুন! গ্রামে গরুর দুধ ফ্রিতে পাওয়া যাচ্ছে মানে সে গ্রামে দুধ কিনে খাবার মতো শিশু যে আর নেই, শেষ মূলধন নিজের বুকের শিশুকে বাজারে বিকিয়ে দিয়েছে অভাগী মা, না খেতে পেয়ে মরিয়া ভুখা মানুষ শেষে মানুষ মেরে খাচ্ছে, এতটা বোঝার এলেম লর্ড ওয়ারেন হেস্টিংসের ছিলো না বললে হয়ত ইতিহাস ক্ষমা করবে না।
তা শুধু কি হেস্টিংস?
বীরকুলতিলক জন হারবার্ট কি কম যান মশাই? একশো তিয়াত্তর বছর পরে কি হলো দেখুন! তখন রইরই করে চলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।১৯৪২ সাল, সাইক্লোনের প্রলয়ে আমন ধানের ফলন মুখ থুবড়ে পড়ল। এদিকে মজুত ধান তলানিতে। সব মিলিটারির জন্য স্টক করা। আর রেঙ্গুন চালের ভাত দিয়ে যাঁরা পান্তা বানিয়ে পেট ভরাতেন সেই সব চাষি মজুর বাঙালি? তাঁরা তো বার্মার ইমপোর্টেড চাল খাবেন! তো হল কি, এমন সময় বার্মা গেল জাপানের কবজায়। গোটা উপকূল জুড়ে ব্রিটিশ সরকার ব্যাপক ধর পাকড় শুরু করল। চালের নৌকা দেখলেই ছিনিয়ে সোজা মিলিটারি পাহারায়। শত্রুকে চালের হদিশ দেওয়া যাবে না। শত্রু কি শুধু দেশের বাইরে? ইংরেজ ভারত ছাড়ো, জয় হিন্দ স্লোগান দিচ্ছে কারা? বাঙালিই তো?
পঞ্চাশ লাখ বাঙালির জানের দাম ধরা আছে ওই পচা পান্তায়! ও দাম ফেরত চাইতে পেরেছে কেউ? দলমত নির্বিশেষে কংগ্রেস, আরএসএস, সিপিএম, মুসলিম লিগ এখানে এক, অনেকটা ওই আলমারির মধু আর ল্যাম্পপোস্টের আঁচলের তলায় আমরা যেমন এক, ওইরকম। কিছু লোক চেষ্টা করেছিলেন হিসেব নিতে, এই যেমন ধরুন আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ধরুন নৌ বিদ্রোহ, তাঁদের কী হলো, ওই আমাদের গণতন্ত্রের মহান কাণ্ডারীরা দুষ্ট বেড়ালছানার মতন ধামাচাপা দিয়ে বেড়াল পার করে এসেছেন তৎক্ষণাৎ। বাঙালির জানের আবার হিসেব! তার আবার দাম!
কাজেই পচা পান্তা আলবাত মহার্ঘ্য। ওর চেয়ে দামি ডিশ এ ভুবনে আর কি আছে বলুন দেখি? এখনও বিশ্বাস না হয় শুনে আসুন গে পডকাস্ট। ইউটিউবে আছে। শুনে টুনে দিমাগ খারাপ হলে জানি না, ওতে আমাদের হাত পা কিছুই নাই।

The Bengal Famine: engineered hunger to feed WWII 🔥 স্বাধীনতার স্বাদ 🔥 Azad Hind Fauj | মন্বন্তর | নৌ বিদ্রোহ | War ...

Salt. Blood. Silence. This episode isn’t just about India’s independence, but about how ordinary people claimed it—in ki...
17/08/2025

Salt. Blood. Silence. This episode isn’t just about India’s independence, but about how ordinary people claimed it—in kitchens, classrooms, jail cells, and salt pans.
আমাদের এই পর্ব আজ স্বাধীনতার স্বাদ খুঁজতে রসবতী থেকে নামবে মিছিলে, দাঁড়াবে শাসকের উদ্যত লাঠির সামনে, দৌড়বে সত্যাগ্রহ থেকে সশস্ত্র বিপ্লবের মাঝখানে। মধ্যরাতে আসা স্বাধীনতা, উপনিবেশের ভূত তাড়ানো স্বাধীনতা। তার স্বাদের খোঁজ পাওয়া সোজা কথা নয়!

14/08/2025

সব শেষ হয়ে যাবার আগে মায়ের জন্য কী বলে গিয়েছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার? আমাদের স্বাধীনতা, কত চোখের জলে ভেজা, আমরা কি জানি? #বাংলা

08/08/2025

"মোদ্দা কথাটা হচ্চে বুড়ো কর্ত্তা বেঁচেও নেই, মরেও নেই, ভূত হয়ে আছে। দেশটাকে সে নাড়েও না অথচ ছাড়েও না।" - আমাদের very political Rabindranath, আজ বাইশে শ্রাবণ আর আমাদের ভাষা বাংলা 🥹💞 #বাংলা

ছোটো করে একটা টাইম ট্রাভেল করবেন নাকি? ধরুন ভীম নাগের দোকানের ওই বাংলা ঘড়িটা আশি বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কান পেতে শুনুন, -...
03/08/2025

ছোটো করে একটা টাইম ট্রাভেল করবেন নাকি? ধরুন ভীম নাগের দোকানের ওই বাংলা ঘড়িটা আশি বছর পিছিয়ে গিয়েছে। কান পেতে শুনুন, -
পরাধীন বাংলার বুকে মার্চ করে যাচ্ছে গোরা সৈন্য পল্টন। জুড়িগাড়ি চেপে বাবু যাচ্ছেন হাওয়া খেতে, সঙ্গে নফর চলেছে বারকোশ ভর্তি ‘আবার খাবো’ নিয়ে। ঐ এগিয়ে আসছে একদল দামাল ছেলেপুলের মিছিল, আপনার নাকে ঘিয়ের সুবাস ভেসে আসবে সদ্য বসানো ভিয়েন থেকে। দেশের আকাশ বাতাস কাঁপছে তখন দশের চিৎকারে।‘বন্দে-মাতরম্’। “ইংরেজ ভারত ছাড়ো”।

দাঁড়ান, নড়বেন না। গোরা পল্টনের সঙ্গে মিছিলের ধস্তাধস্তি হচ্ছে হোক। আপনি লক্ষ্য রাখুন দোকানের উপচানো ভিড়ে। কী চাইছেন সবাই? জয় হিন্দ আওয়াজ উঠছে কেন ভিড় থেকে? এ স্লোগান যে নিষিদ্ধ!
লিফলেট, প্যামফ্লেট, স্লোগানেয়ারিং - সব কিছু নিষিদ্ধ করেছে মহামহিম সরকার, কিন্তু মিষ্টি? ওই যে বারকোশ ভর্তি মিষ্টি লোক হামলে পড়ে কিনছে, ওর নাম যে জয় হিন্দ সন্দেশ! তেরঙ্গা সন্দেশ!

এদিকে আসুন। চট্টগ্রামের বোস ব্রাদার্স মিষ্টির দোকান। কাঠের বেঞ্চিতে ওই যে মেয়েটি বসে কথা বলছে দীর্ঘদেহী মানুষটির সঙ্গে, চেনেন তো ওকে? টুকরো টাকরা কথা ভেসে আছে, যেমন ধরুন, “ফিমেল অ্যাকশন মাস্টারদার শেষ তুরুপের তাস” কিংবা “বিদেশি শাসককে বুঝিয়ে দিতে হবে জালিয়ানবাগের রক্তে ভেজা মাটির ঋণ তাদের শুধতে হবে, এ জন্মেই”। ঠিক চিনেছেন, উনি আমাদের প্রীতিলতা। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। পাশে নির্মল সেন।

ভীম নাগের ঘড়ি আরও আরও জোরে পিছিয়ে যাচ্ছে।রানীর শাসন আসেনি এখনও। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হন্তদন্ত থরহরি কম্প, সিপাহীদের বুঝি আর বশে রাখা গেল না। করাচি থেকে কানপুর, ব্যারাকে ব্যারাকে কিসের প্রস্তুতি? এত তাড়াতাড়ি সিপাহীরা সঙ্ঘবদ্ধ হচ্ছে কেমন করে? ওই পাগড়ি পরা নওজোয়ান চাষা, ওই চৌকিতে ঢুকে বলছে কেন, “পাঁচটা রুটি বানিয়ে পাঁচ গ্রামে পাঠাও”?

সন্দেশ থেকে রুটির গল্প। ইতিহাস বইতে এইসব সাধারণ তথ্য অপ্রয়োজনীয়। আমাদের কথকতা তাই এই সাধারণ অজানা অল্প জানা স্বাদ নিয়ে বোনা। আমাদের স্বাধীনতার স্বাদ পডকাস্ট সিরিজ শুরু হলো। ইউটিউব আর স্পটিফাইয়ে। লিঙ্ক কমেন্টে 👇🏽

01/08/2025

🇮🇳 স্বাধীনতার স্বাদ কেমন? কোথায় পাবেন? সেলে না পান, আরে আমাদের পডকাস্ট আসছে, সেখানেই না হয় শুনবেন? ইউটিউব আর স্পটিফাইতে পেয়ে যাবেন, আমাদের চ্যানেলে আবার কোথায়!

24/07/2025

দেখুন তো কতগুলো উত্তমের সিনেমা? ধরতে পারলেন?

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mad Balikas posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mad Balikas:

Share