salu's sweet story

salu's sweet story Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from salu's sweet story, Video Creator, KOLKATA.
(1)

28/09/2023

হ্যালো ,,, সবাই কেমন আছেন?❤️❤️

09/12/2022
 #খাট্টা_মিঠা_বেস্টী  #পর্বঃ১২  ঠিক  তখনই তিন্নি এসে বলল,, ঐ  তাম্মু তোর বয়ফ্রেন্ড ভিডিও কল করেছে তোদের আজ দেখা করার কথ...
01/11/2022

#খাট্টা_মিঠা_বেস্টী
#পর্বঃ১২


ঠিক তখনই তিন্নি এসে বলল,,
ঐ তাম্মু তোর বয়ফ্রেন্ড ভিডিও কল করেছে তোদের আজ দেখা করার কথা ছিল না? সে ওয়েট করতাছে। তোদের না আজ সারাদিন একসাথে থাকার কথা ছিল,,, তোর বি এফ তো সেটাই বলছে। (এমন ভাবে তার দিকে তাকিয়ে কথা গুলি বলছিলো যেনো মনে হচ্ছিল আশেপাশে আর কেউই নেয়)
অতপর সে তামান্নার হাত ধরে তাকে উঠায় নিয়ে উপরে চলে যাচ্ছে,,,,,

সবাই তার কর্মকাণ্ডে অবাক,,,, সবাই জানতো তিন্নির মত নেয় তার বিয়ে দিতে কিন্তু এমনটা হবে তার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। হঠাৎ এরকম হওয়ায় কেউ কি বলবে বুঝতে পারলো না,,,,, তার আগেই তামান্নার হাত ধরে উপরে উঠে গেল,,,,,,

এই তিন্নি,,, কি করছিস তুই?

সে তার মতো টানতে টানতে তাকে নিজের রুমে নিয়ে গেল যেনো কিছু শুনতেই পাচ্ছে না।
রুমে এসে ঠাসস করে দরজা লাগিয়ে দিল।

তিন্নি ইই কি হচ্ছে এইসব? সবার সামনে এইরকম কথা কেনো বললি ,, আঙ্কেল পাপার বন্ধু, কতটা ছোটো হতে হবে বলতো এবার,,,,, কেনো করলি এটা??

যা করেছি বেশ করেছি। তার দিকে তাকিয়ে বলল,,, যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর, হুহহহহ। এই তুই রাজি কেনো হলি বলতো,,, আমি তো ভাবলাম তুই রাজিই হবি না,,,,, তোর তো ইচ্ছা নিজে পছন্দ করে তাকে কাছ থেকে জেনে,, চিনে তাকে বিয়ে করবি,,,, আর সবথেকে বড়ো কথা তোর পছন্দের ই হোক আর তোর বাপ মা এর পছন্দের ই হোক বিয়ে তোকে সেখানেই করতে হবে যে বাসায় আমি থাকবো। আই মিন আমার যেখানে বিয়ে হবে। আমি ১০০% সিওর তোর এই বিয়েতে মত নেয়।

ঠিক তখনই তিন্নির মা দরজা খুলে এসে তিন্নিকে ঠাসসস করে একটা চর বসিয়ে দিল।
তার পিছু পিছু বাসার সকলে এসে হাজির হলো।

ছোটো মাআআ কি করছো তুমি এটা।

তুই একদম চুপ করে থাকবি আমি আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে এসেছি।
আর তিন্নি,,,,,তোমার স্ট্যাটাস দিন দিন কোথায় গিয়ে পরছে দেখতে পাচ্ছো? এইসব আত্মিয়দের সামনে বলে তুমি বাসার সম্মান কেনো নস্ট করলে?
ভুলে যেও না তুমি এখনো ছোটো নেয়,,,,, আমি তোমাকে ওয়ার্নিং করছি তুমি তামান্নার থেকে দূরে থাকবে।

তিন্নি গালে হাত দিয়েই বলল __তোমার কথায় নাকি মাম্মাম?

একটু চিল্লিয়ে বলল হ্যাঁ আমার কথায়। তোমার বেয়াদপির জন্য ওরা চলে গেছে আর বলে গেছে আমরা নাকি কোনো মেয়েকেই মানুষ করতে পারিনি।
তোমার ছেলে মানুষি আমি অনেক মেনে নিয়েছি আর নয়,,।

তিন্নির পাপা__অনেক বলেছো এবারে তো থামো।

হ্যাঁ আমি তো থামবোই,,, এই তোমার আশকারায় ও দিনদিন এইরকম তৈরী হচ্ছে।

হয়েছে হয়েছে এবার চুপ করো আর যাও তোমরা সবাই যা হবার তো হয়েই গেছে।

সবাই চলে গেলেও তামান্নার মা গেল না সে বলল,,,
তিন্নি মা তুই এরকম না করলেও পারতি।

কেনো সেজো মা তুমি কি জানতে না ও আমাকে ছাড়া এক মূহুর্ত থাকতে পারবে না,,, তার থেকেও বড়ো কথা ওর এই বিয়েতে কোনো মতই ছিল না।

তিনি কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে বললেন,,,,, তিন্নি তুই প্লীজ এইরকম ছেলেমানুষি করিস না। তুই আজ থেকে তামান্নার থেকে দূরে দূরে থাকবি মা,,, এই বলে চলে গেল।

তামান্নাও মাথা নিচু করে বেড়িয়ে যেতে চাইলো তখন তিন্নি তার পথ আটকালো।

তখন তিন্নি র পাপা বলল,,,,, ওকে যেতে দে আমার তোর সাথে কিছু কথা আছে।

তামান্না তখন হাত ছাড়িয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে গেল।


তিন্নির পাপা মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,,,,, আমার তোর প্রতি যথেষ্ট ভরসা আছে,আশা করছি তুই এমন কিছু করবি না যাতে আমার মাথা হেট হয়ে যায়,,।, আমরা বাসার সকলে ঠিক করেছিলাম তোর আর তামান্নার একসাথে ধুমধাম করে বিয়ে দেবো,,,, কাল তোর মা এর সিনক্রিয়েট করায় সেজদা জলদিই তাদের দেখতে আসতে বলেছিল।

অবাক হয়ে বলল কিসের সিনক্রিয়েট পাপা?

কাল রাতে তোর মা তোদের কিছু কথা শুনেছিলো । আমি বিস্তারিত কিছু জানতে চাই না শুধু একটা কথায় বলবো,, তুই তোর মা কে যথেষ্ট ভালো করে চিনিস, দুনিয়া এদিক ওদিক হয়ে গেলেও ও ওর কথার উপরেই অটল থাকবে,,। আর তুই এটাও জানিস তোর মা তোর জন্য ছেলে ঠিক করে রেখেছে,,,,, আর সেখানে আমারও মত আছে। ছেলে তোর চেনা,, ভীষন ভালো, হাইলি এডুকেটেড, বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে ডাক্তার ডিগ্রি পাশ করে এখন আমেরিকাতে ডাক্তারি করছে। এগুলো বাসার সকলেরই জানা, আর একটা কথা তুই যদি চাস তামান্না তোর কাছেই থাকুক তবে সেটায় হবে আমি সেজদা এ
র সাথে কথা বলবো। তার এক কাজিন আছে যে ইদানীং নিজের ব্যবসা খুলেছে,,, সাকসেস নয় তবে সাপোর্ট করার জন্য বাবার বিজনেস আছে সেখানে জয়েন করবে যদি সাকসেস না হয়। তবে ছেলেটাও ভালো, আশা করছি তারও ব্যাবসার সুফল হবে।

আর তোর জন্য যাকে ঠিক করা হয়েছে একমাস পরে সে দেশে ফিরছে। তাদের বাসারও সকলে জানে,,ছেলেও তোকে চেনে তার কোনো আপত্তি নেই।একনাগাড়ে কথাগুলো বলে শেষ করলো।

তিন্নি অবাক হয়ে শুনলো,, সে জানতো যে তার মা তার জন্য ছেলে ঠিক করে রেখেছে,, তবে এতোদূর সে জানতো না।

কিন্তু পাপা,,,,,, সে কিছু বলতে যাবে তার আগেই,,,,,

আমি চাই তুই এমন কিছু ই করিস না যাতে সবার সম্মান নস্ট হয়। আর তুই তো আমাদের থেকে দূরে যাচ্ছিল না, আমাদের কাছাকাছি ই তো থাকবি। আর তামান্নাও তোর কাছেই থাকবে।

কিন্তু পাপা তুমি তো বললে সে আমেরিকায় ডাক্তারি করে।

হ্যাঁ করে ,তবে এখানে সিপ্ট হবে খুব তারাতারি। এই বলে তিনি বেরিয়ে চলে গেল।

সে বেডে বসে পড়ল আর ভাবতে লাগলো কে সেই ব্যক্তি যাকে আমি চিনি, আর যার কাজিন ও আছে,, আর একমাস পরেই এসে বিয়ে করবে,,,,, মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে বলল,,,, উফফ আমি আর ভাবতে পারছি না। আমি এবার পাপাকে কিভাবে বোঝাবো?
আর মা কিইবা শুনলো, হয়তো সবকিছুই শুনেছে বাট এখন কি হবে। ওহহ আল্লাহ আমার তো এইসব ভালোবাসাই কোনো ইন্টারেস্ট ছিল না, তবে কেনো তুমি আমার জীবনে সাহিদকে নিয়ে এলে। আমি তো ভেবেছিলাম ওর ব্যাবসাটা অগ্ৰগতি হলে একটু স্টেবেল হলেই পাপাকে যেভাবে হোক ম্যানেজ করে নেবো,,,,,
এইসব ভাবছিল ঠিক সেই মূহুর্তে তার আপু তিয়াশার কল এলো।

হ্যালো আপু,,,,, বল।

তিন্নু এসব কি বলছে মা,,, তুই নাকি কারো সাথে রিলেশনে জরিয়েছিস, তুই তো জানিস আমাদের বাসায় ছেলেমেয়েদের বিয়ে পরিবারের পছন্দ মতোই হয়। আর বিশেষ করে মা এটা কখোনই মেনে নেবে না।

আপু,,,,, তুই কোনো কথা না জানতে চেয়েই প্রথমেই বলে দিলি তোদের অমতের কথা।

তিন্নু বোঝার চেষ্টা কর বাবু জীবনটা ছেলে খেলা নয়। আমাকে আগে বলতো ছেলেটা কে?

ও সাজ্জাদ আঙ্কেলের ছেলে সাহিদ। আপু ওকে আমি কিভাবে ভালোবেসে ফেলেছি নিজেও জানি না,, তবে এটুকু জানি আমাকে ও অন্যকারর হতে দেবে না।

কি বলছিস,, সাহিদ।

হ্যাঁ আপু ও আমাকে ছোটো বেলা থেকেই ভালোবাসে,,,, এরপরে সকল কথাই বলল তাকে।

কি বলছিস তুই,,,, এতকিছু। এখন কি হবে,,,, ওকে দারা আমি কিছু ভাবছি,, দেখি মাকে বলে কিছু হয় কিনা?

না আপু মাম্মাম কে কিছু জানাস না, ওনি নিজের কথা ছাড়া কারোর কথাই কখনও বুঝিনি আর বুঝবেও না।

তাহলে?

তাহলে যা হবার হবে। এখন রাখছি বলে ফোনটি কেটে দিল।


চলবে।

01/11/2022

#খাট্টা_মিঠা_বেস্টী
#পর্বঃ১১


তিন্নি ভোরে ঘুম থেকে উঠে দেখলো আজ বাসার সকলেই তার আগেই উঠে পরেছে,,, সে ছাদে না গিয়ে নিচে নেমে দেখতে এল কি চলছে,,,, সে দেখলো,,,,

বাসার সকল সদস্য উঠে পরেছে তামান্না ছাড়া,,, সকলে মিলে কাজ করছে,, বাসাটাকে সুন্দর করে সাজানো গোছানো হয়েছে,,, আর রান্নাঘরে অনেক বাজারের ব্যাগ আনা হয়েছে,,, কেউ ফল কাটছে, কেউ সবজি কাটছে,,,, কেউ রান্না করতে ব্যস্ত। এদিকে বাসার পুরুষ গনও উঠে পরেছে,,,, তারা সোফায় বসে চা এ চুমুখ দিচ্ছে আর নিউজপেপারে চোখ রাখছে এইসব দেখে তিন্নি বলে উঠলো,,,,,,

পাপা,, চাচু,,,, বড়ো বাবু তোমরা বাসায় আজ কি অফিসের তারা নেয়,, সব রিল্যাক্স করে বসে আছো,,,, তোমাদের তো পাত্তাই পাওয়া যায় না।

তিন্নি বড়ো চাচু__আরেএএ,,,,, মা,,, আয় আয় বস। এতো সকাল সকাল উঠে পরেছিস,,,,,

না মানে ঐ আরকি ঘুম ভেঙে গেল। আর তোমরা কখন যাবে অফিসে।

আজ আমরা কেউ অফিস যাবো না, আজ মেহমান আসবে বাসায়।

কি বলছো এসব,,, কই কাল তো এসব নিয়ে কোনো কথা হয়নি।

তামান্নার বাবা__হ্যা কথা হয়নি তবে তারা বিদেশ থেকে ফিরেছে,, কাল রাতেই,,,,,ফিরেই আমাকে জানিয়েছে,, আমার খাস বন্ধু ,,,, তার ছেলের সাথে তামান্নার বিয়ে দেবো। আর সেটা যতো তারাতারি সম্ভব।

অবাকের চরম সীমায় পৌছে তিন্নি বলল কি বলছো কি তোমরা এই সব। এই কথাটা কি তামান্নাকে জানিয়েছো তোমরা?

রান্নাঘর থেকে এইসব কথা শুনে তিন্নি মা বেরিয়ে এসে বলল___

জানানোর কি আছে। আর যথেষ্ট বয়স হয়েছে বিয়ে তো দিতেই হবে,,, তাহলে এখন হলে অসুবিধা কোথায়?

মা প্লীজ আমি তোমার সাথে কোনো কথা বলছি না,,, তুমি চুপ থাকো। আচ্ছা সেজো চাচু তুমি তো জানো আমি ওকে ছাড়া এক মূহুর্ত ভাবতে পারি না,, তুমি ওকে না জানিয়ে কাউকে না জানিয়ে এত বড়ো সিধান্ত কেনো নিচ্ছো।

ওর তো বিয়েও দিতে হবে,, বয়স তো হয়েছে আর তুইওতো বিয়ে করবি তখনতো তোদের আলাদা থাকতেই হবে।

তিন্নি চুপ হয়ে গেল আর কিছু বলল না,, সে নিজের রুমে চলে গেল,, ততক্ষনে তামান্না ঘুম থেকে উঠে নিজের রুমে চলে গেছে,,,,আর তিন্নি দড়জা ভিতর থেকে লাগিয়ে দিল।

এদিকে তামান্না নিজের মতো করে ফ্রেস হয়ে নিল এবং ব্রেকফাস্ট করার জন্য যেই তিন্নিকে ডাকার জন্য বের হবে তখনই তার মা তার রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিল।

কি হল মা দরজা কেনো লাগাচ্ছো?

তোর সাথে আমার কিছু কথা আছে।

হুমম বলো না।

আজ তোকে দেখতে আসবে পারলে আজই তোর বিয়ে টা দিয়ে দিতাম,, কিন্তু পাড়া প্রতিবেশ কি ভাববে তাই ফরমালিটির জন্য ওরা দেখতে আসবে আর আশির্বাদ করে যাবে,,,, তারপরে দশদিনের মাথায় তোদের বিয়ে।

হঠাৎ এই কথা শুনে তামান্না চোখ জলে ভিজে উঠলো,,, সে ছল ছল নয়নে তার মা এর দিকে তাকালো,,,,,

,,,,,, তার গালে হাত রেখে বলল,,,,, দ্যাখ মা বিয়ে তো সকলকেই করতে হয় তোকেও করতে হবে। ছেলে ভীষণ ভালো,,,,, তোর পাপার ভালো বন্ধু,,,,, তারা বিদেশ থেকে কালই ফিরেছে। তুই সুখী হবি মা।

সে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল,,,, মা তোমরা একবারো আমার মতামত জানার প্রয়োজন মনে করলে না ? আমি কি চাই সেটা একবারো বুঝতে চাইলে না? মা তিন্নি কিভাবে থাকবে আমাকে ছাড়া আর আমি ঐ দূর বিদেশে গিয়ে তিন্নির সংস্পর্শ ছাড়া কিভাবে থাকবো মা? ওযে আমার নিশ্বাস মা।

তার মা একটু কঠর ভাবে বলল,,,, তোর যথেষ্ট বয়স হয়েছে তুই বা তিন্নি কি কখনো বিয়ে ই করবি না নাকি?

না করবো না,,, প্রয়োজন কুমারী হয়েই থাকবো।

তুই কি তিন্নির ভালো চাস,,,? যদি চাস তো বিয়েতে রাজি হয়ে যা এই বলে দরজা খুলতে যাচ্ছিলো।

তখনই তামান্না তার মাকে আটকে দিয়ে বলল,,
আমার বিয়ে করার সঙ্গে তিন্নির ভালো চাওয়ার কি সম্পর্ক মা?

কিছু না তুই আমায় যেতে দে,,, ছাড় হাত টা আমার।

কখনই না,,, তুমি যতক্ষণ না বলছো ততক্ষণ আমি হাত ছাড়ছি না। কিছু তো হয়েছে আর সেটা তুমি আমাকে এখনই বলবে।

____কাল রাতে যখন তোরা কথা বলছিলিস তখন তোর ছোটো মা রুমের বাইরে থেকে তোদের কিছু কথা শুনেছে,,,,, আর যা শুনেছে তাতে এটাই বুঝেছে যে তিন্নির কারো সাথে সম্পর্ক হয়েছে আর সেটা তোর কারনেই। তুই তো জানিস তোর ছোটো মা কতটা জেদি,, ওনি তিন্নির জন্য ছেলে ঠিক করেই রেখেছে আর এইসব ওনি মেনে নেবে না। আর তাই,,,,,,,,,,,,

আর তাই,,,,,,,,,, তাই কি মা?

আর এইসব শুনে তোর ছোটো মা তখনই আমাদের জাগিয়ে ভীষণ উল্টোপাল্টা কথা শুনিয়েছে,, আর বলেছে তামান্না যদি ওর সাথে থাকে তাহলে ওনি বাসা থেকে চলে যাবে। এই সব অশান্তি আমি চায় না প্লীজ।

তিন্নি কোথায়? ও কি জানে?

ও নিজের রুমে দরজা বন্ধ করে রেখেছে। আর ও সবটা সকালেই শুনেছে।

মা,,,,,,,,,,,,, আমি রাজি,,,, তোমরা ব্যাবস্থা করো।

তার মি নীচে চলে গেল।

তামান্না ভাবলো একবার কি তিন্নির সাথে কথা বলবে ,, পরক্ষনেই সে ভাবলো না যাবে না।



মেহমানরা বাসায় চলে এসেছে,,,, তামান্নাকে তার মা রেডি করাচ্ছে,,,,,, একটা আকাশি কালারের শাড়ি পরিয়েছে ,, হাতে সোনার বালা,,,, কানে তার মা এর দুল,,,,, সবশেষে হালকা লিপস্টিক,,,,, তাতেই অপূর্ব লাগছে।
এরমধ্যে তিন্নি নিজের রুম থেকে একবারো রেরোইনি।


তামান্না রেডি হয়ে পাত্রপক্ষের সামনে বসে আছে।
পাত্রের তাকে ভীষন পছন্দ হয়েছে। এবারে পাত্রের মা একটা সোনার নেকলেস দিয়ে তাকে আশির্বাদ করতে যাবে ঠিক তখনই,,,,,,,,,


চলবে।

01/11/2022

#খাট্টা_মিঠা_বেস্টী
#পর্বঃ১০


তিন্নি তামান্নার রুমে গিয়ে দেখলো,, সে পি*ছ*ন উ*পুড় 😜করে ঘুমাচ্ছে , যেনো ঘোড়া বেচে ঘুমাতে গেছে।

তাকে একটা জোরসে চিমটি কেটে বললল ,,,ঐ কুম্ভকর্নের বংশধর উঠ,,,,, উঠ বলছি।

আওওওওও,,,, এটা কি করলি,,,, একটু ঘুমাতে দে না , , , রে,,।

চল খাবি চল কু*ত্তি,,, উঠে ফ্রেস হয়ে নে জলদি আমি ওয়েট করতাছি।
বলেই একটি ম্যাগাজিন নিয়ে তাতে মনোযোগ দিল।

ধুরররর,,,,,, ভাল্লাগেনা,,,, বা*। উঠে চলে গেলো ওয়াশরুমে।


তারা নিচে এসে দুজনেই খেয়ে নিল এবং কলেজের টাইমে তারা কলেজ চলে গেল।

এইভাবেই দিন কাটছিল,,,,,, সাহিদ রোজ রাতে দশ মিনিট করে কথা বলে,,,, সাহিদও এখন ব্যাস্ত। তবে এতে তিন্নির , একটু খারাপ লাগে পর মূহুর্তে সে ভাবে,,, সবারই একটি প্রাইভেট প্লেস থাকা দরকার। আর সেও তো চাই আর পাঁচটা লাভার দের মতো সব ব্যাপারে যেনো হস্তক্ষেপ না করে সাহিদ, তাহলে তিন্নিই বা কি করে তার প্রাইভেট প্লেসে হস্তক্ষেপ করবে। এই ভেবে সে এটা নিয়ে আর কিছু মাথায় আনে না।


এইভাবেই তাদের লাস্ট ইয়ারের এক্সাম শুরু হয়ে যায় এবং সে খুব ভালো ভাবেই এক্সাম দেয়,,,,, এই সময় সাহিদ রোজ আসে কলেজের সামনে দেখা করে যায় দুই মিনিটের জন্য কিন্তু তিন্নির আরালে যাতে ওর মাইন্ড, ফোকাস যেনো এক্সাম এর দিকে থাকে তার দিকে না ।


এই ভাবেই খাপছাড়া দিন কাটছিলো অতপরে তাদের রেজাল্ট আউটের দিন চলে আসলো , আর বরাবরের মতোই তিন্নি তাক লাগানো রেজাল্ট করলো, তামান্নাও ভালো রেজাল্ট করেছে তারা দুজনেই বাসায় ফিরে ফ্রেস হয়ে নিয়ে কিছু খেয়ে ছাদে গেল আড্ডা দিতে।
সম্ভবত ছাদে যাওয়ার আগ্ৰহ তিন্নি র একটু বেশিই ছিল সাহিদকে যদি দেখতে পাই তাই,,, কিন্তু সে নিরাশ হলো কারন ছাদে গিয়ে দেখলো সাহিদের রুমের জানালা বন্ধ। তার মন খারাপ হয়ে গেল।

তার ঝিমিয়ে পরা দেখে তামান্না বুজতে পেরে বলল,,,,,,
ঐ মন খারাপ?

না রে।
মিথ্যা বলিস,,, তোর সবকিছুই আমি বুঝি আমাকে লুকাস না।,,,,

আসলে সাহিদ এর মধ্যে আগের মতো আমার প্রতি টান দেখতে পাই না,,,,,,, কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল,,,, হয়তো ব্যস্ত,,,, তবে আজ আমার রেজাল্ট আউট হয়েছে, ভালো রেজাল্ট করেছি একবারো কি অভিনন্দন জানানোর টাইম হল না। আমি ভাবলাম হয়তো বাসায় ফিরে দেখা পাবো,,,,, কিন্তু😔

এইভাবে ভাবছিস কেনো, হয়তো সাহিদ ভাইয়া সত্যিই ব্যাস্ত কোনো কাজে। আর তুই প্লীজ মন খারাপ করিস না,,, আমি আছি তো। ঐইইইই,,,,,,,

,,,,,,,,,,,,,,,,

এই বা**। ভাল্লাগেনা আমি কি এতোটাই ইউজলেস হয়ে গেলাম,,,, আমাকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করা যাবে না, সাহিদ ভাইয়াকেই লাগবে। হূহহহহ,,,,,

ঐ বা* রাগবি না একদম। তাকে জড়িয়ে ধরে বলল তোকে ছাড়া আমি কিছু ভাবতেই পারিনা , তুই তো আমার সবচেয়ে ইমপর্টেন্ট মানুষ। ওকে এই সব ছাড়,,,,,

ঐ ট্রিট দিচ্ছি কবে বল।

দিব দিব,,,,,,, ঐ সবাই মিলে একটা ফ্যামিলি ট্যুরে গেলে কেমন হয়??

দারুন হয়,, সবাই মিলে ভীষণ মজা হবে ।

তারা নীচে নেমে এলো আর দেখলো সেখানে সাহিদের মা আর বড়ো চাচি,,,,,, কফি খেতে খেতে আড্ডা দিচ্ছে। সাহিদের চাচি আবার তিন্নির মা এর খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। আর সেই সূত্রেই সাহিদের মা এর সাথেও তার ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

তারা বরাবরের মতোই তিন্নির প্রসংশায় পঞ্চমুখ।

তামান্নারাও সেখানে টিভি অন করে বসলো।
তাদের তারিফ করা দেখে তিন্নির ভীষন রাগ লাগছে,, কিন্তু তামান্না ফিস ফিস করে বলছে,,, এতোই যখন প্রশংসনীয়,, মেয়ে তাহলে বাসার বৌ বানিয়ে নিলেয় তো হয়।

এটা শুনে তিন্নি তার হাতে জোরসে চিমটি কেটে দিল।

আআআআআআআ

তিন্নি র মারা কথা থামিয়ে বলল কি হল এমন চেচিয়ে উঠলে কেনো?

তখন তিন্নি তাকে কিছু বলতে না দিয়ে বলল,,,, ও কিছু না তোমরা গল্প করোহহহ,, ও আসলে cocroch দেখে ভয় পেয়েছে।

ওহহহ তাই ভালো। তারা আবার গল্পে মনোযোগ দিল।

এদিকে সাহিদ তার ফ্রেন্ড এবং কম্পানির সকলকে তিন্নির রেজাল্ট ভালো হওয়ায় মিষ্টি খায়য়েছে।


আনুমানিক রাত দশটা সবাই যখন ডিনার 🍽️ করে যে যার রুমে শুয়ে পরেছে তখন তিন্নি নিজেই তাকে কল করেছে দুই বার রিং হওয়ার পর রিসিভ করলো,,,,

হ্যালো,,, মুডি লেডি। কি ব্যাপার আজ কি চাঁদ আকাশে নয় আমার বাসার ছাদে উঠেছে। নিজে থেকে কল দিয়েছিস।

কেনো খুব বেশি ভুল করে ফেলেছি? অভিমানি সুরে কথাটি বলল।

আরে না না তি নয় একটু বিজি ছিলাম।

এতোই বিজি যে আজ আমর রেজাল্ট এর খবরও তুই নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিসনি । বাহহহ,,,,, গ্ৰেট,,,,,

অভিনন্দন,,, খুব ভালো।

কিসের জন্য?

ভালো রেজাল্ট এর জন্য ইয়ার। তারপরে,,, বল এরপরে কি করতে চাস?

কি আর করবো,,,,,,, আরও পরতে চাই,,,,,, আবার কি।
ওই বলছি শোন না শুধুমাত্র অভিনন্দন দিলে চলবে না,,,, আমাকে নিয়ে কাল ঘুরতে চল,,,,

আরে বাস আমার কপাল খুলে গেল তো,,, কিন্তু সরি রে আমি খুব বিজি,,,, আসলে,,,,, তাকে কথাটি শেষ না করতে দিয়েই তিন্নি বলল,,,,,

বেশি ভাও খাচ্ছিস তাই না। আমি তোর সাথে ডেটিং এ যেতে মানা করেছিলাম বলে তাই না। আসলে আমি তোর ভালোবাসা পরীক্ষা করছিলাম। তোকে বোঝার চেষ্টা করছিলাম। ঠিক আছে তোকে যেতে হবে না ওকে বাই,,,

ঐ ঐ তুই তো এখনকার জি এফ দের মতো করছিস,, কিছু হবে না হবে বাই, ফোন রাখছি, কথা বলতে ভাল্লাগছে না ইত্যাদি ইত্যাদি। বলছি শোন মন দিয়ে আসলে আমি নিজের ব্যবসা খুলতে চাই আর এই কয়দিনে প্রায় ব্যাবসার জন্য দুই কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছি,, প্রোডাক্ট ইমপোর্ট,, এক্সপোর্ট এর ব্যাবসা,, তাই একটু বিজি ছিলাম। বিদেশের কিছু কাস্টোমার একসাথে অনেক গুলি প্রোডাক্ট অর্ডার করেছে,,, কিছু ডেলিভারি হয়ে গেছে,,,, সেই প্রোডাক্ট রেডি করতে অনেক খরচা পরেছে,,,,,, তবে একটা হিউজ পরিমাণ টাকা লাগিয়েছি আরও প্রোডাক্ট ডেলিভারির জন্য ,প্রোডাক্ট রেডি বাট যারা অর্ডার করেছে তাদের সাথে দুইদিন যাবত যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ভীষন টেনশনে আছি। তারা যদি টাইমের আগে কনট্যাক্ট না করে আমরা হিউজ অ্যামাউন্ট এর লস খাবো।

,,,,,, নিশ্চুপ,,,,,,,

কি হল চুপ কেনো? হ্যালো,,,,, কোনো রেসপন্স নেয় কেনো? মন দিয়ে শুনতে বলেছি মানে এত মন দিয়ে?

সরি,,,,,,, আসলে তুই এত টেনশনের মধ্যে আছিস,, আমি বুঝতেই পারিনি, তবে আঙ্কেলের বিজনেসে,,,, জয়েন না করে সরাসরি এত রিকস কেনো নিতে গেলি? আর তুই তো সব সময় ফ্রি টাইম কাটাতি ,, তবে এত রিক্স নিয়ে হুট করে বিজনেস খোলার মানে কি?

আর কত এইভাবে কাটাবো ,আস্তে আস্তে তোর তো পরা শোনা এগোচ্ছে,, কোনদিন না তোর জন্য ছেলে নিয়ে চলে আসে, তোর মা এর তো ছেলে ঠিক করাই আছে। আমি যদি ডোন্টকেয়ার ভাব,,,, নিয়ে এত এত এ্যটিটিউড নিয়ে বেরায় কোনদিন দেখবো আমার সামনে দিয়ে অন্য কেউ তোকে বিয়ে করে নিয়ে চলে যাবে।
তাই একটু রেসপন্সিবিল হতে চাইছি,,, যাতে আঙ্কেলে,,,,,, আন্টীর,,,,, তোকে আমার হাতে তুলে দিতে দিধাবোধ করতে না হয়।

তাই বলে এত টাকার রিক্স,,,, আঙ্কেলের বিজনেসে ও তো জয়েন করতে পারতি ।

হুমম পারতাম,, বাট ইচ্ছা হল নিজের বিজনেস করার তাই, তবে টাকাটা পাপা ই দিয়েছে। যদি সাকসেস না হয় ক্ষতিপূরণ হিসেবে আমাকে ওনার কোম্পানির সি ই ও হতে হবে। সব দায়িত্ব নিতে হবে,,, এমনকি ওনি আর কোনো মিটিং এ্যটেন্ড করবে না সবদিক আমাকেই সামলাতে হবে।

হিহিহিহি,,, যেমন ছেলে তেমন পাপা,,,, বেশ করেছে শর্ত দিয়েছে।

ঐ শোন না,,,

বল,,,,,

I love you❤

I love you উমমমমম,,,

এই not বলিস না প্লীজ,,,,

হালকা হেসে বলল,,,,,, I love you so much ইডিয়েট,,,,,

হায়য়য়য়য়য়,,,,,,,,,, মার ডালা।

তাহলে কথা বলছিস কি করে।

হা হা হা হা।

ঐ রাখছি হ্যাঁ,,,, তাম্মু আমার রুমেই আছে ও জেগে যাবে ।

কেনো কাবাব মে হাড্ডি হতে হবে,,, আমি তো ভেবেছিলাম আজ তোর সাথে ছাদে দেখা করবো,,,, ধুরররর ভাল্লাগেনা।

ঐ ওর জন্য ই কিন্তু আমাদের রিলেশন,,, ওকে এই ভাবে বলা উচিত নয়,, আর ওকে কিছু বললে সেটা আমি স্পেয়ার করবো না।

ওকে ওকে সরি মেরে জান,,,,,, ঠিক আছে ঘুমাও অলরেডি বারোটা বেজে গেছে।

হুমমম,,, গুড নাইট।

সে ফোনটি রেখে তামান্নার পাশে যেই শুলো অমনি তামান্না বলে উঠলো,,,,,

(তাকে কপি করে ) ঐ ফোনটা রাখছি ,, তামান্না আমার রুমে,,,,,, ও জেগে যাবে,,,,, ঐ বা*টা আমাকে ঘুমাতে দিলি কখন তোরা,,,, সেই তখন থেকে বকর বকর করেই চলেছিল প্রায় টানা দুই ঘন্টা ধরে। এত কথা কোথা থেকে আসে রে। ওহহহ,, গড সিরিয়েসলী,,,,,,, তুই নাকি রেগে ছিলিস ওর উপর,,, বাহহ রাগ কোথায় গেল হ্যাঁ?

ঐ তুই জেগে জেগে আমাদের সব কথা শুনছিলিস।?

হ্যাঁ না শুনতে চাইলেও কানে চলে আসছিলো,, কি করবো বল,, শেষ পর্যন্ত তুইও প্রেম করতে শিখে গেলি। আমাদের এ্যটিটিউড girl এখন লাভার girl হয়ে গেল,,।। আর ঐদিকে ঘারত্যাড়া বয়, দায়িত্বশিল বয় হয়ে যাচ্ছে। উফফ ভাবা যায়।

হয়েছে হয়েছে এবারে ঘুমা,,,আর তুই এইসব তিনদিনের টাইমপাস ছেড়ে মনের মতো কাউকে বেছে নে,, এরা সব ভালো না।

ওকে ওকে ঘুমা।
তারা ঘুমিয়ে পড়লো এবং তিন্নি রোজকার মতো সকাল সকাল উঠে পড়লো বাট সে দেখলো বাসার সকলে তার আগেই উঠে পরেছে। তাই সে ছাদে না গিয়ে ব্যাপারটা কি হচ্ছে দেখার জন্য নীচে গেল আর সে দেখলো,,,,,,


চলবে।

 #খাট্টা_মিঠা_বেস্টী  #পর্বঃ৮, ৯  তামান্না র বাচ্চাআআআআআ,,,,,,, তুই এক সেকেন্ডের মধ্যে আমার রুমে আসবিইইইই। তামান্না যেনো...
01/11/2022

#খাট্টা_মিঠা_বেস্টী
#পর্বঃ৮, ৯

তামান্না র বাচ্চাআআআআআ,,,,,,, তুই এক সেকেন্ডের মধ্যে আমার রুমে আসবিইইইই।

তামান্না যেনো এই ডাকটার ভয়েই ছিল,,,,,
আমি এখন কি করবো🥺

তামান্না , তিন্নির রুমে গিয়ে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে,,,,,, 😞

কি হললল,,,,,এই ভাবে মুখ করে রাখলেই সব মাফ নাকি??? 😠এইসবের মানে কি আমি খুব ভালো করেই বুঝতে পাড়ছি এসব তোর কাজ,,,,,,, ইডিয়েট,,,,,,

আ,, আ,, আমি ,, আসলে,,,, অ্যা,, এএএ

এই স্টপপপপ ইট,,,,,, ওকে ড্যামেট,,,,,,

সে চুপ হয়ে গেল, 🤫 মুখে আঙুল দিয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে।

তিন্নি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে বলল,,,,,,, এই তুই প্রথম দিন থেকেই সব জানতি তাই না🤨,,,, ইচ্ছা করেই ঘটিয়েছিস এই সব তাইনা রাগি ভাবে তাকিয়ে বলল।

সরি,,,, আর হবে না।

😮ওহহহ গড,,, ভুল যখন করেছিস শাস্তি তো পেতেই হবে।

এই কথা শুনে তামান্নার হয়ে গেছে। 🥺

এইভাবে তাকিয়ে আছিস কেনোওও,,,,,যা আমর জন্য আইসক্রিম নিয়ে আয় ,,, তারপরে ভেবে দেখছি কি করা যাই।

অবাক হয়ে তাকিয়ে মনে মনে বলল,,,,,, কি ব্যাপার,, এটা কি হল,,,,, ডাল মে কুছ কালা হে🤔

কি হলল যাহহহহ।

হ,,, হ্যা যাচ্ছি যাচ্ছি। বলেই ছুটে চলে গেল।

তিন্নি তখন ফোনটা নিয়ে তাকে রিপ্লাই করল।

আমার মাথা গরম হওয়ার আগে ই রাত ১০.০০টায় যেনো আমাদের ছাদে তোকে দেখতে পাই,,,,,,,,,

তারপরে ফোনটা বেডে রেখে ভাবতে লাগলো,,,,, তাহলে রোজ ভোড়ে আমি ছাদে কি কি করি সব কিছুই দেখে,,, কখন উঠি সেটাও জানে,,,,, নিশ্চয়ই নিজের রুমের জানালা দিয়ে দেখে,,,,,, ওখান দিয়ে তো সব কিছুই দেখা যায় মনে হয়। আর আমি তো,,,,,, আল্লাহ কি কি দেখেছে কি যানি,,,,,, এইসব ভাবছে আর রুমের মধ্যে পাইচারি করছে। আচ্ছা যখন অলসতার জন্য ওয়াসরুমে না গিয়ে রুমেই ড্রেস চেনজ করেছি তখনো কি দেখেছে,,,, হায় আল্লাহ,,,,,,, এই সড় কিছুও আমার কপালে ছিল। 😠
সাহিদের বাচ্চা তোকে আমি হাতের কাছে পাই তোকে আমি কাচ্চা কাচ্চা কইরা লোমু।ধ্যুত কি সব বকছি আমি,,,,, ঐ বেটা সকলের কাছে এমন ভাব দেখাতো, এমন এটিটিউড বজায় রেখেছিল,,,,,,, কে জানতো সে এত লুইচ্চা।
ওহ গড আমি আর ভাবতে পারছি না।

তখনই তামান্না গোটা দশেক আইসক্রিম আর কিছু ডেয়ারিমিল্ক এনে দিল,,,,,,, সুযোগ পেয়েছে রাগ ভাঙানোর,,,, সে সেই সুযোগের সৎ ব্যবহার করতেই চকলেট টা এক্সট্রা নিয়ে এলো।
সেগুলো দিয়েই গুটি গুটি পায়ে বেড়িয়ে যেতে চাইছিল।

কিন্তু তিন্নি খপ করে তার হাতটা ধরে বেডে বসিয়ে দিল,,,
শান্ত ভাবে ধীরে ধীরে বলল,,,,,, জানিস তাম্মু আমার কেমন একটা ফিল হচ্ছে, যেটা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না।

তুই কি সাহিদ কে লাইক করতে শুরু করেছিস?

😠😡আমাকে রাগাস না তাম্মু,,, ভালো চাস তো। ঐ সাহিদের বাচ্চার না উদ্ধার করে ছেড়ে দেবো আজকে আমি।


বাসার সকলেই ঘুমিয়ে পড়েছে এখন বাজে ৯.৫৬,,,,,,,,,,কয়েক সেকেন্ড পরে ঠিক যখন রাত ১০টা বাজে,,,, তখন তিন্নি ছাদে গেল, আজ তামান্না নিজের রুমে ঘুমিয়েছে তাই টের পাই নি।

তিন্নি যখনই ছাদে গিয়ে দরজা খুলে সেখানে গেল,,,,,, তখনই হাওয়ার বেগে ঐ ছাদ থেকে এক লাফে তিন্নি দের ছাদে চলে এলো।

তিন্নি একটু ঘাবরে গেল পরক্ষনেই নিজেকে ঠিক করে নিয়ে দ্রুত গতিতে সাহিদের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট লাগিয়ে দিল,, সে এই প্রথম কোনো ছেলের এত কাছে আর প্রথম তার ঠোঁট কোনো ছেলের ঠোঁটে,,,,, তার এইসবে এক্সপ্রিয়েন্স নেয়, তবুও যেমনই হোক না কেন এই অনুভূতি তার শরীরের প্রতিটি লোমকূপে বয়ে যাচ্ছে। সে কিছু না পারলেও যতটা সম্ভব তাকে কাবু করার চেষ্টা করছে কিন্তু নিজেই কাবু হয়ে যাচ্ছে। 😯

সবথেকে বড়ো কথা এটা তার সাথে কি হচ্ছে সে তো তার ****উদ্ধার করতে এসেছিল।

তিন্নি যেমন তেমন ভাবে কাজ টি করে প্রায় পাঁচ মিনিট পরে সাহিদ কে ছেড়ে সরে দাড়ালো।

এতক্ষণে এই সব কিছু সাহিদের খুবই ভালো লেগেছে বাট সে এই ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিল না তাই স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে।

কিছুক্ষন পরে সাহিদ বলে উঠল,,,,,,

এই যে মুডি লেডি যেটা করেছো,, সেটা আশা করিনি এতো তারাতারি,,,, তবে আমার ভীষণ ভালোই লেগেছে,,, এক হাতের বু,ড়ো আঙ্গুল দিয়ে ঠোঁট স্লাইড করতে করতে বলল। আমার এতোক্ষণ ওয়েট করা একেবারে সার্থক হয়ে গেল,,,,,, উফফফ,,,, যদি আবার ব্যাকে যাওয়া যেতো। উফফফ,,,, আল্লাহ,,,,

এই থামো থামো আমি এখানে এটা করতে আসিনি,, কোথা থেকে কি হয়ে গেল,,,,, মাথা চুলকিয়ে বলল,,,,,

ওহহহহ রিয়েলি,,,,, বেবি ডল।।, 😘

এই ছ্যাছরার মতো কথা বলিস না,,,,, আসলে ভনিতা, নাটক, ন্যাকামি,, আমার দ্বারা কোনোটাই আসে না , , আমি এখানে এসেছিলাম তোকে টাইট দিতে বাট আমার মোনে হয় আমি ও তোকে লাইক করি,,,

এইতো আমার মুডি লেডির মতো কথা,,,,,,,, আর আমিও সেই সন্ধ্যা থেকে চিলেকোঠার রুমে অপেক্ষা করছিলাম কখন ১০টা বাজবে আর তুই আমায় ডোজ দিতে আসবি,, বাট এটার জন্য আমিও প্রস্তুত ছিলাম না।

আমার কিছু কথা আছে।

হ্যাঁ বল না।

আমি যে আইডি থেকে তোর সাথে চ্যাটিং করি সেটা থেকে আমরা দুজনেই মানে তাম্মু আর আমি তোর সাথে চ্যাটিং করতাম টাইমপাশ করার জন্য।

ওহহহ আল্লাহ,,,,,,, এতো বড়ো বেইমানি,,,,,, দুষ্টু হেসে বলল,,,, তাহলে এর জন্য শাস্তি দিতে হয় কি বল। যেটা তুই ভালোভাবে করতে পারলি না সেটা আমি করি।

এই ফালতু বকবি না একদম। এই সমস্ত জিনিস আমার কাছে খাটবে না, আমি শাস্তি পাই না দিই।

আমি তোদের এই ব্যাপারটা জানি আজই তামান্না কল করে বলে আর এটাও বলে তুই নাকি আজ আমার উদ্ধার করে দিবি।
তা কি উদ্ধার করবি বেবি ডল,,,,, তিন্নির দিকে ঝুঁকে বাঁকা হেসে বলল।

এই ঠিক ভাবে দাড়া। যখন প্রেমে পড়েই গেছি চল তুই আমাকে প্রপোজ কর।

এই এই ওয়েট ওয়েট তুই আমার থেকে দুই বছরের ছোটো ঠিক আছে।,,, মানছি তুই এইরকমই তবে এবারে একটু ভালো করে কথা বল , সবসময় কি জি এফ এর মুখে তুইতোকারি ভালো লাগে,,,,,হুমমমম,,,,,, মাই,,,,,,,মুডি লেডি,,,,,,

এই এই বেশী বকবি না আমি নিজেকে চেন্নাই করতে পারবো না,,,,,, দুইহাত কোমোড়ে রেখে চোখ রাঙিয়ে বলল।

হা হা হা হ া,,,,,,, তুই সারাজীবন এইরকমই থাকবি,,,, তোকে একটু রাগালাম,,,,,, রাগি লুকে তোকে দেখতে খুবববব ভালো লাগে।

ঠিক আছে আমি এবারে আসি ওকে,,,,,,,, ঘুরে যেই যেতে যাবে তখনই,,,,

সাহিদ পিছন থেকে তিন্নি র হাত টেনে নিজের দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে তার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিল। প্রায় সাত মিনিট হয়ে গেছে তার ছাড়ার নামই নেয় সে নিশ্চিন্তে তিন্নি র ঠোঁট এর স্বাদ নিচ্ছে।

ছাড়ছে না দেখে তিন্নি ঠেলাঠেলি করতে লাগলো,,,,,,,,

আর সাহিদ তার পিঠে দুই হাত দিয়ে তাকে আরও জড়িয়ে নিল।

কিছুক্ষণ পরে ছেড়েই বলল আই লাভ ইউ মুডি লেডি। প্রপোজ করতে বলে প্রপোজ না নিয়েই চলে যাচ্ছিলিস,,,,, হুমম,,

ছাড়া পেয়ে তিন্নি হাপাতে থাকে। আর কিছু গরবর হওয়ার আগেই সে এক ছুটে নীচে চলে গেল। সে ভাবছে সে ও প্রেমে পরবে কখনো কল্পনাও করিনি। আর প্রথম দেখাতেই সোজা লিপকিস, ধুরর আমিই তো প্রথম করেছিলাম,,,,,,,,, কি থেকে যে কি হয়ে গেল। ভাবতে ভাবতেই নিজের রুমে এসে দরজা লাগিয়ে বেডে শুয়ে পড়লো,,,,,, তার আজ কেমন অজানা রকম অনুভূতি হচ্ছে,,,,,
আর ঐ দিকে সাহিদ,,,,,,,,,,


আজ তিন্নির ভীষণ রকম অজানা অনুভূতি হচ্ছে।

আর ঐ দিকে সাহিদ তিন্নির দৌড় দেখে হেসেই শেষ।

মুডি,,,, লেডি আমার,,,,বলে ছাদের কার্নিশ থেকে এক লাফে তাদের ছাদে চলে গেল।
**দুজনের বাসা পাশাপাশি হওয়ায় খুব সহজেই এপার ওপার করা যায়।

সে নিজের রুমে গিয়ে তিন্নি কে অ্যাক্টিভ দেখে তাকে ফেসবুকে কল করলো।

তিন্নি রিসিভ করলো,,,,,,,,হুমম,,,, হ্যালো।

তা ম্যাডাম ঘুমানোর ইচ্ছা নেয় তো চলে গেলি কেনো? নাকি আমার প্রপোজ করা পছন্দ হয়নি?

একদম ফালতু বকবি না, ন্যাকা ন্যাকা কথা শুনতে আমার একদম ভালো লাগে না। 🤨

ওকে ওকে,,,, আর বলবো না,,,

তুই আমাকে একটা কথা বলতো,,,, তুই যে এত এত এ্যটিটিউড নিয়ে চলিস,,, পৃথিবীতে মেয়ে বলে কোনো বস্তু আছে সেসব দিকে কোনো খেয়ালই রাখিস না, তুই,বিন্দাস, চিল মুডে থাকতি অল টাইম। তাহলে এসব কি? 🙄🤔

ওহহহ,,,, তাহলে তুইও আমায় নোটিশ করেছিস কি বল। 😊

একদমই না,😏,, তামান্না কানের কাছে বকবক করে তোর বিবরন দিত, তাই একটু নোটিশ করেছিলাম এই আরকি। তা তুই বল আমাকে তোর কি পৃথিবীর মেয়েদের থেকে আলাদা জন্তু মনে হয়েছে নাকি, তাই তোর চোখে পড়েছি আমি।

হা হা হা 😂😂,,, তেমন কিছুই না। আসলে যখন থেকে বন্ধু রা প্রেম করতো আর আমাকে বলতো তোর জি এফ নেয় কেনো,,, তখন তাদের কথা শুনে তোর মূখটায় ভেষে উঠতো। মনে মনে ঠিক করেছিলাম প্রেম যদি করি তোর সাথেই করবো,, আর বিয়ের পরে কারো বাচ্চার বাপ যদি হয় তাহলে তোর বাচ্চার হবো। 😘😜

ফালতু কথা বাদ দিয়ে ঠিক করে বলবি আমাকে মনে ধরার কারনটা কি তুই যা ত্যাড়া ,,,
অবশ্য আমিও সেটায়(মনে মনে)

একটা সিক্রেট,,,,,,,, 😎

তা সিক্রেট টা কি আমায় এখোনি বলবি। 😠

বলছি বলছি রাগিস কেন,,,,,,তোর রুমের সবকিছু আর ছাদের সবকিছুই আমার রুমের জানালা দিয়ে দেখা যায়,,,, আর আমি এখন নয় সেই ছোটো থেকেই তোকে দেখি,,, বাট তোর এই জেদ,,,,, বই এ সবসময় মুখ ডুবিয়ে পরে থাকা আমার একদমই ভালো লাগতো না,,,তাই তখন জানালা লাগিয়ে রাখতাম,,, কিন্তু তোকে না দেখেও থাকতে পারতাম না। বিরক্ত লাগলেও তাকিয়ে থাকতাম,,, আস্তে আস্তে বয়স বাড়লো,,, তোর প্রতি বিরক্ত লাগাটা কখন ভালো লাগায় পরিনত হয়ে গেল জানিনা। মেয়ে বলতে আমি ছোটো থেকে তোকেই দেখেছি,,,,, আর কাউকে কখনো দেখেইনি,,,,,, PUBG ,,,, ডাউনলোড করে রেখেছিলাম সবার কাছে সো অফ করার জন্য,,,, সবাই ভাবতো রুমের দরজা অফ করে আমি হয়তো গেমস এ ব্যাস্ত,, আসলে আমার তোকে দেখতেই সময় চলে যেত। আমার যা পার্সোনালিটি আমি বাইরে তৈরী করে রেখেছি তারা এইসব জানলে তো সব শেষ।যে ছোটো থেকে এইসব করি আমি,, আমি নাকি কাউকে ছোটো থেকেই পছন্দ করি। এটা কেউ জানে না শুধুমাত্র আমি ছাড়া আর এখন তুই জানলি।

ওওও মাই গড,,,,, আমার কল্পনারও বাইরে 😯🤯 এইসব।
আমি তো ভেবেছিলাম প্রেম টেমই করবো না পড়াশোনা করা শেষ হলে বাসার সকলের পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করে বিদেশে পারি জমাবো ,,, মা এর নাকি আমার জন্য ছেলে ঠিক করা আছে। তবে কি থেকে কি হয়ে গেল তোর উপর এই পাথর দিল গলে গেল আমার আর বিদেশ যাওয়া হল না😞😒।

এই এই মাইর খাবি,,তোর মা এর ছেলে ঠিক করা থাকলো তো আমার কি,,,,,,,,, প্রয়োজন হলে তোকে আমি বিয়ের পরে হানিমুনে বিদেশ নিয়ে যাবো,,, তবুও তুই আমার প্রপার্টি,,,,,, আমার অধীনে থাকবি,,,,, অল টাইম আমার চোখের সামনে থাকবি তুই। মাইন্ড ইট ওকে,,,,, তোর সব খবরদারি,রাগ, ত্যাড়ামো, জেদ, সব মেনে নেবো,, কিন্তু তুই আমার থেকে দূরে যাওয়ার কথা মাথাতেও আনবিক না। তোর অনেক সোভাগ্য যে তুই ফান করতে গিয়েই হোক যেভাবেই হোক আমার প্রেমে পরেছিস, নয়তো যেদিন তোর বিয়ে ঠিক হত সেদিনই আমি তোকে তুলে নিয়ে আসতাম। সেটা আমার মাথায় অনেক দিন থেকেই প্ল্যান করা ছিল।

ওরে বাপড়ে 😲কি দুঃসাহস।

ওই,,,,,,,,, 😇

কি হল হঠাৎ ভয়েস নীচু হয়ে গেল?

ওই,,,,,,,,, I love u❤😘

আমি নয়,,,,,, I love u not💔

কিহহহহ,,,,,,,, তোকে বাসতে হবে না,,,, তুই শুধু আমার থেকে দূরে না গেলেই হচ্ছে।
ওই শুন না,,,,,,

কি?

তুই কাল যাবি আমার সাথে ডেট এ।

নাহহহ,, একদমই না।

ওকে যেতে হবে না,, তবে রোজ একবার করে ছাদে এসে দেখা করবি?
উহুুউউ,,,,,,, একদমই না।

ওকেএএএ,, তাহলে রোজ রাতে কথা বলবি তো??

নোওওওও।

ঠিক আছে এক ঘণ্টা বলিস।

নো

৩০মিনিট বলিস😞

নোওও😗

তাহলে দশ মিনিট এর কমে আর না প্লীজ 🙏,,,,

উমমমম,,,,,, ভেবে দেখবো😉

☹️, ঠিক আছে দশ মিনিটের অনেক বেশি সময় হয়ে গেছে এখন রাখি ঘুমা ওকে।

নাআআআ।

কেনো?

কথা বলতে বলতে অনেক টাইম পেরিয়ে গেছে আর একটু পরেই ভোর হয়ে যাবে আমার আজ আর ঘুম হবে না তাই এখন কথা বলি,,, একটু পরেই তো ভোর আর রোজকার অভ্যাসগত ভাবে ছাদে যাবো, আমি,,,,,,, তাহলে এখন একটু কথা বলাই যায়।

ঐ জানালাটা খুলবি,,,,,

না।

খোল না প্লীজ।

ওকে,,,,,, সে জানালা খুলে দেখলো বেশ অন্ধকার,,, কিছুই দেখা যাচ্ছে না।

এবারে বাগানের দিকে তাকা।

তিন্নি সেদিকে তাকালো আর দেখলো তার লাগানো ফুলগাছ গুলোর কাছে অজস্র জোনাকি,,, তারা মিটি মিটি করে জ্বলছে, সে অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো অপূর্ব। আমি কখনই ভাবিনি কোনো ছেলের জন্য আমিও কোনোদিন রাত জাগবো,,,, কোনো দিন তার সাথে ফোনে প্রেম করবো।

ওই এইবারে ঐইইই দূরে আকাশের দিকে তাকা। ঐ যে দুটি তারা একসাথে আছে ঐটা তুই আর আমি। 🤞👫

তিন্নি সেদিকে খেয়াল করে দেখলো আকাশে অনেক তারা তাদের মিস্টি হাঁসি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আর সত্যিই সেখানে দুটি তারা জ্বলজ্বল করছে একসাথে, তাদের আলো অন্য গুলোর থাকে একটু বেশিই। সে বলে উঠলো আই লাভ ইউ,,,,,, ডিয়ার,,,,, খুব আস্তে আস্তে।

দুজনের কানেই ফোন আছে,,,,, কিন্তু খুব আস্তে কথাটি বলায় সাহিদ বুঝতে পারলো না,,,,,,, সে বলল কি কি?? এমন কিছু বললি কি যেটা শোনার জন্য আমি ওয়েট করছি।

ঘোড়ার ডিম বলেছি, শুনতে পেলি তো।

ওই,,,,,,,,,,,,,,,

হুমমম,,,,,,,,,

একবার রুমের লাইট টা অন কর না।

না

প্লীজজজজজ। তোর মুখটা দেখবো একবার শুধু।

নাহহহহহ,,,,,,, সারাক্ষণ তো আমার রুমের দিকে ই তাকিয়ে বসে থাকিস এতো দেখে হয় না,,, না যানি কি কি দেখেছে,,,, লুইচ্চা একটা। জানতাম কত ভদ্র, ডিসেন্ট, মেয়েদের দিকে তাকায় না। হুহহহহহ,,,,,,, এই তুই অন্য কিছু দেখে ফেলিস নি তো। 🙁

দেখলেই বা কি তুই তো আমারই, আমিই তো দেখবো😉, অন্যকেউ দেখবে নাকি।

ওই লুচ্চা,, ব*দ*মা*স, টিকটিকি, ঘোড়া, হাতি, সাপ, ব্যাঙ, কানা বেগুন, থাডা পরুক তোর উপর, 😠তুই আমাকে ঐ অবস্থায় কেনো দেখেছিস।আমার প্রাইভেসি বলে কিছু রাখলো না রে এই আবোদা টা। ঐ তোকে না,,,, আ,,আ,,আমি,,,, আমি 😠😤তোর পিছনে ডজনখানেক কুকুর ছেড়ে দেবো।

ঐ ঐ ঐ রিল্যাক্স রিল্যাক্স,, ওয়েট ওয়েট মাই মুডি লেডি আমি ঐ সব কিছুই দেখিনি।

আমি কিভাবে বিশ্বাস করবো?

কারন আমি যানি মেয়েদের সম্মান মেয়েদের অলঙ্কার,,,আর আমি মেয়েদের সম্মান করতে যানি। যাকে এতো ভালোবাসি তার অলঙ্কারই বজায় রাখবো না পাগলী,,,,, হেসে বলল।

পাক্কা তো।

এবারে কি বন পেপারে লিখে দেবো,,, উফফফ আল্লাহ এই মেয়ে,,,, ঝানু চিজ্ একটা।

ঐ কি বললি,,,, খবরদার।

ওকে সরি মেরে মুডি লেডি।


কথা বলতে বলতে ভোড় হয়ে গেল তারা ফোন রেখে দিল তিন্নি রোজকার মতো ছাদে গেল, তার ছাদবাগানে অনেক ফুল ফুটে আছে,,,,, আজ সকালের সৌন্দর্য তার কাছে একটু বেশিই অন্যরকম লাগছে ভীষন ভালোলাগা কাজ করছে।

আর জানালা দিয়ে আমাদের হিরো সেটা উপভোগ করছে। আই লাভ ইউ মুডি লেডি,,,,, আই রিয়েলী লাভ ইউ😘।


তিন্নি নিচে এসে দেখলো খাবার রেডি,,, তাই সে তামান্না কে ডাকতে গেল,, কারন তাকে ছারা সে খাবে না তামান্না র রুমে গেল এবং গিয়ে দেখলো 😯।


চলবে।

 #খাট্টা_মিঠা_বেস্টী  #পর্বঃ৭  তেজু বাসার ছোটো সদস্য এবং একমাত্র নাতনী হওয়ার জন্য সকলের নয়নের মণি সে। তাদের যৌথ পরিবার...
01/11/2022

#খাট্টা_মিঠা_বেস্টী
#পর্বঃ৭

তেজু বাসার ছোটো সদস্য এবং একমাত্র নাতনী হওয়ার জন্য সকলের নয়নের মণি সে। তাদের যৌথ পরিবারের প্রত্যকটা সদস্য এর কাছে সে ইমপর্টেন্ট পারশন।

তিয়াশা বাসায় এসে সবাইকে এসে একে একে জড়িয়ে ধরল। এবং যখন তার মাকে ধরল, তখন সে কেঁদে দিল।
সকল মেয়েদেরই বিয়ের পরে তাদের জন্মভূমিতে অতিথি হিসেবে আসতে হয়। তাও সে যখন তখন আসতে পারে না।

আম্মু কতদিন তোমায় দেখিনা।বলে কান্না করছে। 😭

প্রতেকটি মেয়েদেরই এটা সহ্য করতে হয় মা😔, আমাকেও করতে হয়েছে। চল যা ফ্রেস হয়ে আয় আমি তোকে খাইয়ে দেবো ।

ওকে মা আমি ফ্রেস হয়ে আসছি, চোখ মুছে বলল।

তিন্নি আর তামান্না গেল তেজু কে নিয়ে তা মান্নার রুমে।
তারা তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরল।



এদিকে তিয়াশা ফ্রেস হয়ে নীচে নামতেই দেখলো ডাইনিং টেবিল ভর্তি খাবার সাজানো,,,, সবকটা পদই তার পছন্দের😍💕।
সেখানে আছে পোলাও, ফ্রাইড রাইস, কাচ্চি বিরিয়ানি, ভেটকি পাতুরি,মাটন কষা, পায়েস, দেশি মোরোগের ঝাল, চাটনি, বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি, আরও কত কি 😋।

তিয়াশা____আরে তোমরা করেছোটা কি এইসব খাবার যদি আমি এক চামচ করে ই খায় তবেই আমর পেট ভরে যাবে। পায়েসটাতো মা করেছে আমি যানি আমার পছন্দ বলে,,,,, সবগুলাই পছন্দের😍💕। উমমমম,,,,,, মাটন কষার কালার দেখে বোঝায় যাচ্ছে এটা বড়ো মা করেছে,,,,,,,,, উউউউউউ,,,,,, আহ,,,,, হা,, হা ঘি এর যা সুন্দর গন্ধ বেড়োচ্ছে এটা তো ডেফিনেটলি সেজো মা করেছে।

মা___আরে হ্যাঁ আজ সকলেই তোর পছন্দের খাবার রান্না করেছে বুঝলি এবারে খেতে বোস 🙂🙂।

হুমমম হুমম দাও,,,, কতদিন তোমাদের হাতের রান্না খায় না। সে চেয়ার টেনে বসলো,,,,,,, মা চাচিরা সকলে কেউ এটা দিচ্ছে তো কেউ এটা।
তখনই তিয়াশা র বাবা এসে পাশের চেয়ারে বসলো।

পাপা,,,,,,,, তুমিও আমার সাথে খাওনা ,,,,,, কতদিন একসাথে খায় না। মা পাপা কেউ খাবার🍴🍱 বেড়ে দাও।

হ্যাঁ হ্যাঁ দাও,,,,, আজ বড়ো মা এর সাথে বসে খায়,,,,,, ছোটোটার তো পাত্তাই থাকে না,,,,, কি যে করে মেয়েটা।

ওওও সেজো মা তেজু কয়? তামান্নার রুমে ছিল তো?

তামান্নার মা___আরে বাবা তোকে ওকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না,,,,,,, তেজু কে আমি খাইয়ে দিয়ে এসেছি একটু আগে এখন ওরা খেলছে ওকে নিয়ে।

ওহহহহ,,,,,,,, আমি যদি সবসময় এখানে থাকতে পারতাম মাত্র কদিনের জন্য এসেছি। তাহলে পিচ্চি টাকে নিয়ে আমার কোনো টেনশনই থাকতো না।

পাপা___কেনো মা কয়েকদিন বেশি করেই থাকবি।

না পাপা তোমার জামায়ের ভীষন অসুবিধা হবে ও অন্নের হাতের রান্না খাবার খেতে পারে না , ওর রান্নাটা আমাকেই করতে হয়,,,,, অনেক দিন আশা হয়নি বলে এসেছি।



তিন্নি আর তামান্না নীচে নামলো আর বলল,,,,,,,

তিন্নি___বড়ো মাআআ আমাদেরকে ও খেতে দাও, তেজু ঘুমিয়ে গেছে,,,, আমরাও খেয়ে নিয়ে আপুর সাথে জমিয়ে আড্ডা দেবো।

তিয়াশা___এই না না তোদের সাথে পরে বাপু,,,,,, এখন আমি মা এর রুমে মা এর সাথে গল্প করবো, মা আমার মাথায় তেল দিয়ে দেবে।

সকলেই হেসে উঠল,,,,,, 😃😃😃তার কথা শুনে।

মা __হ্যাঁ ও এখন আমর কাছে থাকবে ।
আর তিন্নি তোমার কি মনে আছে পড়োশোনা বলে লাইফে কিছু আছে? 🤨
তিন্নি__ভেঙচি কেটে বলল,,,,, গা ছাড়া ভাব নিয়ে,,, এখন আপু আছে এই সব কথা বন্ধ রাখো।
মা__কিহহহহ😠

তিয়াশা___আহহহ মা ছাড়ো না আমি যেকদিন আছি ।


তিন্নি তার ফোনটা আনতে রুমে গেল ফোন হাতে নিয়ে দেখলো সাহিদ মেসেজ করছে।

___hi ,,,, রাগি পাখি,,,,,, আপু আর পুকুর সাথে নিশ্চয়ই খুব মজা করছিস। তাইতো বাইরে দেখায় যাচ্ছে না তোকে ,,,,,,, এমনকি সকালে ছাদেও উঠিসনি । কেনো রে আমার ভালো লাগে না বুঝি না।

তিন্নি তো মেসেজ দেখে পুরাই শক্তি। 🤔এটা কি হল তার তো জানার কথা না আপু আর পুকুর এসেছে, ইনফ্যাক্ট আমার আপু আছে এটাই তো ্যজানার কথা নয়। তামান্না বলল নাকি,,, তাহলে মেসেজ কয়? ডিলিট করে দিছে নাকি, ডিলিটই বা কেনো করবে? 🙄
দুজনে তো সারাক্ষন একসাথে ই তো থাকি।
কখনো বলেছে হয়তো 🤨 না হলে জানবে কি করে,,, উফফফ এই মেয়েটাওনা প্রাইভেট বলে কিছু রাখবে না এইসব বললে তো সাহিদ ত্যাড়া তো সব বুঝে যাবে।
কিন্তু আমি যে রোজ সকালে উঠে সকালের সূর্য ☀️ওঠা টাকে উপভোগ করতে যায় এটা তো কেউ জানে না,,,, ইনফ্যাক্ট তাম্মুও না, কারন ওতো তখন ভোষ ভোষ করে ঘুমায়।তাহলে সাহিদ কি কিছু টের পেল? সে কি আমাকে ফলো করে?
উহূ এমনটা কি ভাবে হবে আমি তো আর তার সাথে কথাও বলিনি,,, ছবিও দিই নি🤔 তাহলে???
উফফফফফ এই ত্যাড়ার মধ্যে দেখছি ভীষণ রহস্য। তামান্না ঠিকই বলেছে সে শুধু ত্যাড়া নয় রহস্যজনক বটে। আমিও দেখেছি সে নিজের পার্সোনালিটি নিয়েই ব্যস্ত কারর দিকে নজর দেওয়ার টাইমই নেয়, এমন ডোন্ট কেয়ার ভাবে থাকে। ব্যাপার টা দেখতে হচ্ছে তো।
সে রিপ্লাই করলো না। ফোনটা নিয়ে চলে গেল তামান্না এর রুমে।


এই ভাবেই তাদের দিন কাটে দুজনেই সাহিদ এর সাথে চ্যাট করে।
সময় হয়ে যাওয়ায় তিয়াশাও ফিড়ে যায়।
তারা আবার নিজেদের মতো থাকে। কলেজ,,,,, ঘুরতে যাওয়া,,,,, আর সাহিদ এর সাথে টাইম পাশ করা।



এইভাবে তিনমাস পরে একদিন সাহিদ মেসেজে তাকে প্রপোজ করে বাট তিন্নি তো কনফিউজড এর আবার কাকে ভালো লাগলো,,,,,,, আমরা তো দুজনেই ওর সাথে চ্যাটিং করি।কিন্তু সে জানে না সাহিদ তিন্নি ভেবেই তার সাথে কথা বলে।
তিন্নি ভাবে সাহিদ তো জানে ও না কোন মেয়ে, কেমন দেখতে, আদোও মেয়ে কিনা সে এতই সাইকো না জেনেই প্রপোজ করে দিল।

***সাহিদ তিন্নি ভেবেই তার সাথে চ্যাটিং করেছে।

** আর তিন্নি রহস্য উদঘাটনের জন্য,,, কিন্তু পরে সাহিদের সাথে কথা বলতে তার ভালো লাগতো সেটা তার অজন্তেই। সে এই ভালো লাগার কথা নিজেও কখনো ফিল করেনি।

***এদিকে আমাদের তামান্না ম্যাডাম তাদের মধ্যে প্রেম ঘটানোর জন্য মিস্টি মিষ্টি চ্যাটিং করেছে,,,,, যেমন,,,,, I like you,,,, I like your voice,,,,,,, I like your smile ইত্যাদি ইত্যাদি। তামান্না চ্যাটিং করতো তুমি বলে।

****আর তিন্নি চ্যাটিং করত তুইতোকারি করে।
এইসবের মধ্যে সাহিদ কনফিউজড হয়ে যাচ্ছিল। বাট সে ভেবেছিল তার হয়তো মুড সুইং হয়,,,, আর সে যেমনই হোক তার ভালো খারাপ সবই তার 😍💕। ব্যাস সে প্রপোজ করে বসে।

এই মেসেজ দেখে তিন্নি রিপ্লাই দেই,,,,,,,,,
তোর মাথায় কি ব্যামো আছে ভাই?? 🤔

কেনো🙄,, আর ভাই বলছিস কেনো? 😕

তুই যাকে চিনোস না , যাকে কখনো দেখিসনি,,,,,, তাকে প্রপোজ করিস কিভাবে? 😠

ওহহ 😳এই ব্যাপার,,,, আমি ভাবলাম কি না কি। তুই আমার প্রপোজ একসেপ্ট কর ব্যস। 🙃

মগের মুল্লুক নাকি 😲,, আমি একসেপ্ট করবো না,, ক্যারেকটার লেস ছেলে কোথাকার 🤨আর কত এরকম অচেনা আইডি তে প্রপোজ করেছিস মেয়েদের 😠😡

এবারে থাকবে মুডি লেডি,, 😉আর ফালতু বিস্তারিত না আমি তোকে চিনি, যানি,তোর আইডি তে তোর পিকও দেখেছি। আর সবথেকে বড়ো কথা যখন থেকে আমার ফ্রেন্ডরা প্রেম করে আর যখন থেকে জীবনে প্রেমের বিষয়ে প্রথম অবগত হয়েছি তখন থেকেই এই
ব্রেনে তোর ছবিই চিপকানো আছে। আমি ডোন্ট কেয়ার ভাবে থাকলেও তুই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কি কি করিস তার a 2 z আমার জানা। বলতে পারিস ফলো করি তোকে,,, তোর আইডি এটা তোর মেন্ আইডি না এটাও জানি। তবে একবার তুমি একবার তুই ব্যাপার টা আমার বোধগম্য হয় না। তুই যদি বলিস এইভাবে চলা যাবে না ইনকাম করতে হবে তাহলে পাপা র বিজনেস এ জয়েন করবো। আর যদি বলিস প্রেম টেম করবি না সোজা বিয়ে 🥰করবি,,,,,,, তাতেও আমি একপায়ে রাজি🙋‍♂️। পুরোদমে লিখে শেষ করলো।
আর একটা কথা লুতুপুতু প্রেম আমার ভালো লাগে না তাই মিষ্টি মিষ্টি কথা বলার দরকার নেই। আমি তোর প্রেমে শুধু পটে নয় পটল তুলে বশে আছি। বাই,,,,,,,,, জবাবের অপেক্ষায় থাকবো এখন কাজ আছে।

তিন্নি এই সব দেখে ধপ করে বেডে বসে পড়লো। সবকিছুই তার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।

ঐদিকে তাদের চ্যাটিং এর সবকিছুই তামান্না নিজের রুমে বসে দেখছিল ,,,, ভয়ে তার হাত পা কাঁপাকাঁপি শুরু করে দিয়েছে এই বুঝি তিন্নি এসে তাকে কুচি কুচি করে কেটে ফেলবে।
তবে সে ভাবতেও পারিনি সাহিদ তিন্নি র জন্য এতো পাগল। মধ্যে খান থেকে সে ফেসে গেল।

(তামান্না)এবারে কি হবে 🥺🥺🥺🥺🥺। আমি কোথায় লোকাবো 😫।



চলবে।
কেমন হয়েছে প্লীজ প্লীজ🙏 জানাবেন। একটা গল্প লিখতে ভীষন টাইম লাগে কিন্তু পড়তে নয়। তাই এই খাটুনির জন্য তো একটা ঘটনমূলক কমেন্ট ডিজার্ভ করি। 🥰🥰🥰🥰

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when salu's sweet story posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category