31/08/2025
বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে ঋতুপর্ণ ঘোষ একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব। তিনি কেবল চলচ্চিত্র নির্মাতা নন, তিনি ছিলেন কবি, গল্পকার, দার্শনিক, আর সর্বোপরি এক প্রশ্নশীল মানুষ, যিনি শিল্পকে দিয়েছিলেন নতুন ভাষা, নতুন দিশা
সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পচর্চার মধ্যে বড় হয়ে ওঠা ঋতুর ভেতরে শৈশব থেকেই জন্ম নিয়েছিল সংবেদনশীলতার বীজ। তাঁর প্রথম ছবি 'হিরের আঙটি' ছিল যেন এক অভাবনীয় সূচনা, কিন্তু সত্যিকারের আলোড়ন ওঠে 'উনিশে এপ্রিল' দিয়ে। মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার কাহিনী বাংলা সিনেমাকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক মানের মর্যাদা।
তার চলচ্চিত্র ছিল জীবনবোধের এক আয়না। 'দহন'-এ তিনি দেখিয়েছেন নারীর অন্তর্লীন যন্ত্রণা ও প্রতিরোধের শক্তি, 'চোখের বালি' ও 'নৌকাডুবি'-তে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকে তিনি এক অপূর্ব রূপ দিয়েছেন আধুনিক পর্দার ভাষায়। 'চিত্রাঙ্গদা'-তে তিনি সাহসের সঙ্গে বলেছেন নিজের ব্যক্তিগত পরিচয়ের কথা। তাঁর সংলাপ যেন কবিতার মতো ঝরে পড়ত, দৃশ্যপট যেন ক্যানভাসের মতো রঙিন হত। মানুষের অন্তর্জগতের সূক্ষ্মতম আবেগকে তিনি ধরতে পারতেন এক মায়াবী কোমলতায়। ঋতুপর্ণ ছিলেন সমাজের এক সাহসী কণ্ঠস্বর। লিঙ্গ পরিচয়, ব্যক্তিস্বাধীনতার মতো বিষয় নিয়ে বাংলার মূলধারার চলচ্চিত্রে এত স্পষ্ট উচ্চারণ যা আগে কেউ শোনায়নি।
আজ জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করে বলা যায়— ঋতুপর্ণ ঘোষ এক অনন্ত কবি, যিনি ক্যামেরার আড়ালে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে নির্দেশ দিচ্ছেন, "আবেগকে ভয় কোরো না, সত্যকে আড়াল কোরো না।" যিনি চিরকাল আমাদের সঙ্গেই ছিলেন এবং আজীবন থাকবেন।
• লেখায়- প্রীতি
াইচ াইচ
Please Follow Our Instagram Profile ⏬
https://instagram.com/aich_baich.family?utm_medium=copy_link