19/07/2022
পায়ুপথে সঙ্গম : ইসলাম ও আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যা যা বলে
প্রিয় বন্ধু, আপনার বয়স কত? আপনি স্বাস্থ্য সচেতন? একটি নিরোগ, সুন্দর জীবন কাটাতে চান? তাহলে একটি বিষয় জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আজ আমি আলোচনা করছি এনাল সেক্স বা পায়ুসঙ্গম সম্পর্কে। এটি একটি ঝুকিপূর্ণ যৌনক্রিয়া। এতে পায়ুপথে চুলকানি ও ফাটলসহ নানাধরনের যৌনবাহিত রোগ হতে পারে। এমনকি এই বদ অভ্যাসটির জন্য হতে পারে মরণব্যাধী এইডস পর্যন্ত।
ভারতের আইন অনুযায়ী সহবাস-সম্মতির বয়স ১৮ বছর। কেননা এই বয়সের আগে একজন ছেলে ও মেয়ের শরীর সহবাসের ধকল নিতে পারে না। যদি দুজনের কারও বয়স এর চেয়ে কম হয় তবে এটিকে ধর্ষণ বলে গন্য করা হয়।
অনেকেই এনাল সেক্সের সময় কনডম ও লুব্রিক্যান্ট ব্যবহার করেন। তবে পায়ূপথে বীর্য ফেললে প্রেগনেন্ট হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে অ্যানাল লাইনিং খুব পাতলা, তাই খুব সহজেই তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পায়ুসঙ্গম প্রসঙ্গে ইসলাম যা বলে
পায়ুপথে যৌন মিলন করা কি ইসলাম সমর্থন করে? করা যায়?
ইসলামে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। এদিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনে। আয়াতের অর্থ হলো- “যখন স্বামী-স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।”
সহবাসে স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয় না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক। তাই, সাময়িক আনন্দের জন্য পায়ুপথে সঙ্গম করে ধর্ম ও চিকিৎসাশাস্ত্রকে অমান্য করা ঠিক নয়। এতে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে সুন্দর জীবন দুর্বিষহ হয়ে যাবে।