Tobuo Proyas Prokashoni

Tobuo Proyas Prokashoni Book publication 19/2 RADHANATH MULLICK LANE
KOLKATA-700012

যুক্তির রণবাদ্য: অক্ষয় কুমার  দত্তএকটি আশীষ লাহিড়ী সন্ধ্যা, সঙ্গতে রূপক বর্ধন রায়। উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন গুণীজন। ১২ অক্...
11/10/2025

যুক্তির রণবাদ্য: অক্ষয় কুমার দত্ত

একটি আশীষ লাহিড়ী সন্ধ্যা, সঙ্গতে রূপক বর্ধন রায়। উপস্থিত থাকবেন বিভিন্ন গুণীজন।

১২ অক্টোবর, বিকেল ৫টায়। স্থান: অভিযান বুক ক্যাফে

বন্ধুদের সাদর আমন্ত্রণ

পৃথিবীতে সর্বাপেক্ষা মধুর ডাক কী? মা। পৃথিবীতে সর্বোত্তম সম্পর্ক কী? মা এবং সন্তানের। তেমনিই, বর্তমান লেখকের মতে স্বর্গী...
11/10/2025

পৃথিবীতে সর্বাপেক্ষা মধুর ডাক কী? মা। পৃথিবীতে সর্বোত্তম সম্পর্ক কী? মা এবং সন্তানের। তেমনিই, বর্তমান লেখকের মতে স্বর্গীয় মাধুর্যমণ্ডিত সম্পর্ক হল ভাই-বোনের। এই সম্পর্কের গভীরে সমাজতাত্ত্বিক হয়তো অন্যবিধ কারণের সন্ধান করবেন, তা তিনি করুন, কিন্তু সংসারে, পারিবারিক জীবনে ভাই-বোনের মতো মধুর সম্পর্ক অদ্বিতীয়। ভাই-বোন যদি পিঠোপিঠি হয়, তবে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে দুজনের সম্পর্ক দাঁড়ায় হরিহর আত্মার। একে অপরের খেলার সঙ্গী, আত্মার দোসর, একে অন্যের কাছে নিজেকে উন্মুক্ত করে দেয়। আর যদি বোন বড়ো হয় অর্থাৎ দিদি, তাহলে ছোটো ভাইটিকে দেখভালের অতিরিক্ত দায়িত্ব ন্যস্ত হয় তার ওপর। এক ধরনের অপত্য স্নেহ উৎসারিত হয় ছোটো ভাইয়ের প্রতি দিদির। দিদি আর ছোটো ভাইয়ের অনবদ্য সম্পর্ক চিত্রিত রয়েছে বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালীতে, অপু ও দুর্গার মাধ্যমে। ভাইবোনের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে অপু-দুর্গা আইকনের ভূমিকায়। একের জন্য অপরের যে মায়া, মমতা, ভালোবাসা, দায়বদ্ধতা কিংবা দুশ্চিন্তা বাস্তবিকই সংসারে তার তুলনা মেলা ভার।

বর্তমান লেখকের কাছে মধুর মতো সুমিষ্ট ও স্নিগ্ধ লোকাচার কিংবা ব্রত যাই বলি না কেন, হল ভাইদ্বিতীয়া, পরিশীলিত ভাষায় ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়া’। তন্ময় ভট্টাচার্য বহু পরিশ্রম করে ভাইদ্বিতীয়া নিয়ে একটি গোটা বই লিখেছেন। নামকরণ করা হয়েছে 'না যাইয়ো যমের দুয়ার'। লেখক সংকলক-সম্পাদক দাবি জানিয়েছেন 'ভ্রাতৃদ্বিতীয়া-বিষয়ক প্রথম বাঙ্গালা গ্রন্থ’-এর। তাঁর দাবিকে সোৎসাহে সমর্থন জানাচ্ছি এবং এমন একটি গ্রন্থ উপহার দেওয়ার জন্য আন্তরিক সাধুবাদ জানাচ্ছি।

লেখক আলোচ্য গ্রন্থটিকে তিনটি সুচিন্তিত পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছেন— কথামুখ, সংকলন এবং পরিশিষ্ট। কথামুখ পর্যায়ে সন্নিবিষ্ট হয়েছে ভাইফোঁটার উৎসমুখ, ভাইফোঁটার শাস্ত্রাচার ও লোকাচারগত দিক, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভাইফোঁটার উপস্থিতি অথবা অনুসৃতি, ভাইফোঁটা-কেন্দ্রিক মেলা ইত্যাদি। সংকলন পর্যায়ে সন্নিবিষ্ট হয়েছে মন্ত্র, গান, ছড়া, লোককথা-প্রসঙ্গ। এবং পরিশিষ্টে যুক্ত হয়েছে পদ্মপুরাণ এবং ভবিষ্যপুরাণ উল্লিখিত ভ্রাতৃদ্বিতীয়া-বিধি, তৎসহ কবিশেখর কালিদাস রায়ের একটি অনবদ্য সুখপাঠ্য কবিতা এবং তিনকড়ি বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবন্ধ।

ভাইফোঁটার ছড়ায় ‘যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা’ উচ্চারিত হয়। কেন যম-যমুনার উল্লেখ ? ঋগ্বেদের দশম মণ্ডলের দশম সুক্তে যম এবং যমী ভাইবোন হিসাবে উপস্থাপিত। এখানে উল্লেখ্য, যমী ভাইকে যৌন সম্পর্কে যুক্ত করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন, কিন্তু যম এই আহ্বানে সাড়া দেননি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ‘সহোদরা অগম্যা’। পরিণতিতে দেখি ভগিনী যমকে তাঁর মঙ্গলকামনায় ফোঁটা দিচ্ছেন। অনেকেই মনে করেন, এর থেকেই নাকি ভাইফোঁটার উৎপত্তি!

আমরা জানি, ট্যাবু-টোটেমের অনুসৃতির পূর্ববর্তীতে যথেচ্ছ যৌনাচারের চল ছিল। এমনকি মায়ের সঙ্গে পুত্রের কিংবা পিতার সঙ্গে কন্যার যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হত। তখন নির্বিকারে যৌনসম্ভোগ হত। এই
যথেচ্ছ যৌনাচারের নিবৃত্তি ঘটল একই টোটেমের অন্তর্ভুক্ত নারী পুরুষের যৌনাচারে নিষেধাজ্ঞা বা ট্যাবুর মাধ্যমে। ভাই-বোন পরিবারে একত্রে
মানুষ হয়। ফলে, অনেক সময় উভয়ের সান্নিধ্যসুখ ভোগের সুযোগ। এই সুযোগে উভয়ের মধ্যে যৌনসম্পর্ক যাতে গড়ে না ওঠে তারই জন্য
প্রতিবন্ধকতা স্বরূপ কিংবা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ভাইফোঁটার সুচিন্তিত প্রবর্তন। ঋগ্বেদের আখ্যানেও তারই আভাস। যম ভগিনীর আহ্বানে সাড়া দেননি ট্যাবুর কারণে। অনেক লোককথাতে পাচ্ছি, ভাই অথবা ভায়েরা বোনের মাংস ভক্ষণ করেছে। কিংবা লোভাতুর ভাইয়ের নাগাল থেকে রক্ষা পেতে বোন যথাসাধ্য সচেষ্ট হয়েছে।

ভবিষ্যপুরাণ, পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ ইত্যাদিতে ভাইদ্বিতীয়ার প্রসঙ্গ উল্লিখিত। এগুলিতে বলা হয়েছে তাম্বুলসহ ভাইকে আরাধনার কথা; আরও বলা হয়েছে এই আচার অনুষ্ঠিত না হলে পরিণতির কথা। বোন সেক্ষেত্রে বৈধব্যের স্বীকার হবে অন্যদিকে ভাইয়েরও আয়ুক্ষয়ের সম্ভাবনা। অর্থাৎ উভয়েরই ক্ষতি। ভাইদ্বিতীয়ার অপরিহার্য অঙ্গ ভোজন। কিন্তু ফোঁটার কথা অনুল্লিখিত থেকে গেছে। শুধু তাই নয়, এসব পুরাণে ভাইদ্বিতীয়ার পরিবর্তে ‘যমদ্বিতীয়া’ শব্দবন্ধ উচ্চারিত।

ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার প্রথম উল্লেখ মিলেছে রঘুনন্দনের ‘কৃত্যতত্ত্বে’, সময় ষোড়শ শতাব্দী। কিন্তু রঘুনন্দনের কৃত্যতত্ত্বের পূর্ব থেকেই ভাইফোঁটার চল। রঘুনন্দন বিধান দিয়েছিলেন যমপূজার, কিন্তু তিলক বা ফোঁটা দেওয়া প্রসঙ্গে নীরব থেকেছেন।

ভাইফোঁটা-কেন্দ্রিক আরো কয়েকটি কিংবদন্তি রয়েছে। যেমন নরকাসুর বধের পর কৃষ্ণ দ্বারকায় প্রত্যাবর্তন করলে বোন সুভদ্রা তাঁকে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেছিলেন। অথবা বলিরাজ বিষ্ণুকে বন্দি করেন লক্ষ্মী বলিরাজকে ভাই পাতিয়ে তাঁকে ফোঁটা দেন এবং মুক্ত করেন বিষ্ণুকে। এমন কথাও কেউ কেউ বলেন, নন্দীবর্ধন অনুসূয়ার উপাখ্যান অনুসারে রাজা নন্দীবর্ধনকে তাঁর বোন আদরপূর্বক ভোজনে আপ্যায়িত করেন, সেই থেকে ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার প্রচলন।

কড়ে আঙুলের সাহায্যে যে বোন ভাইকে ফোঁটা দেন, লেখক তার কারণ ব্যাখ্যায় সচেষ্ট হয়েছেন, তবে তা কতখানি যুক্তিসঙ্গত সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। লেখক প্রশ্ন তুলেছেন সঙ্গত ভাবেই— ‘জৈনদের ভাইকে তিলক দান, বৌদ্ধ তথা পরিবর্তিত হিন্দুদের টীকা পার্বন, যম-যমুনার পুরাণকথন ও শাস্ত্রীয় তিলকবিধি সব মিলেমিশে একাকার হয়েই জন্ম নিয়েছে ভাইফোঁটার লোকাচার?'

ভাইফোঁটা একান্তভাবেই বাঙালি হিন্দুর এক সাংস্কৃতিক পরম্পরা, কিন্তু তাই বলে ভাইফোঁটার পরিচিতি বঙ্গেতর ভারতে অপরিচিত এমন নয়। সংকলয়িতার সবিশেষ কৃতিত্ব তিনি বাংলাদেশের ১৩টি জেলার ২৬টি ভাইফোঁটার ছড়া সংকলন করে দিয়েছেন। তবে যতই ভাইফোঁটার সংস্কৃত মন্ত্রের প্রচলন থাক, ‘ভায়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’ এই বাংলা ভাষায় রচিত ছড়াটির প্রচলন অনেক পূর্ববর্তী কালের। দীর্ঘদিন আমাদের ধারণা ছিল 'বারমাস্যা'র প্রচলন সংস্কৃত সাহিত্য থেকেই, কিন্তু এক বিদেশিয় গবেষক গুসান জাভেটিল প্রমাণ করে দিয়েছেন লৌকিক বারমাস্যা থেকেই বরং সংস্কৃতে এর অন্তর্ভুক্তি। একই কথা ভাইফোঁটার ছড়া প্রসঙ্গে।

সবশেষে, ভাইফোঁটা ঐতিহ্য ও পরম্পরা নির্ভর একটি স্নিগ্ধ লোকাচার। মননসঞ্জাত এই লোকাচারটিতে হৃদয়ের উষ্ণ স্পর্শও লভ্য। আবারও বর্তমান গ্রন্থের সংকলয়িতা তথা সম্পাদককে হার্দিক অভিনন্দন। তাঁর আন্তরিক প্রয়াস সঞ্জাত এমন একটি গ্রন্থের কারণে।

— বরুণকুমার চক্রবর্তী

না যাইয়ো যমের দুয়ার
(ভ্রাতৃদ্বিতীয়া-বিষয়ক প্রথম বাঙ্গালা গ্রন্থ)
সংকলন ও সম্পাদনা : তন্ময় ভট্টাচার্য

মুদ্রিত মূল্য– ২৭৫/-

তবুও প্রয়াস প্রকাশনী

প্রাপ্তিস্থান :
👇👇👇

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন (দ্বিতল), কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), বিমলা বুক এজেন্সি, ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশন, পাপাঙ্গুলের ঘর (সোদপুর), হারিত স্টোরিতে (পাটুলি)পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, বুকস্ অব বেঙ্গল, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

অনলাইন: বইঘর ডট ইন, হারিত বুকস্ ডট কম

নোবেল বিষয়ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই—🔴 সাহিত্যে নোবেল বক্তৃতা: প্রথম খণ্ডভাষান্তর ও সম্পাদনা : অগ্নি রায়মুদ্রিত মূল্য,: ৪২৫...
10/10/2025

নোবেল বিষয়ক তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বই—

🔴 সাহিত্যে নোবেল বক্তৃতা: প্রথম খণ্ড
ভাষান্তর ও সম্পাদনা : অগ্নি রায়
মুদ্রিত মূল্য,: ৪২৫/-

🔴 সাহিত্যে নোবেল বক্তৃতা: দ্বিতীয় খণ্ড
ভাষান্তর: বিপ্লব বিশ্বাস
মুদ্রিত মূল্য: ৫৫০/-

🔴 সাহিত্যে নোবেলজয়ীদের সাক্ষাৎকার
সম্পাদনা: শতানীক রায়
মুদ্রিত মূল্য: ৫০০/-

প্রাপ্তিস্থান :
👇👇👇

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন (দ্বিতল), কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), বিমলা বুক এজেন্সি, ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশন, পাপাঙ্গুলের ঘর (সোদপুর), হারিত স্টোরিতে (পাটুলি)পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, বুকস্ অব বেঙ্গল, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

অনলাইন: বইঘর ডট ইন, হারিত বুকস্ ডট কম

‘হত্যাবৃত্ত' উপন্যাসটি নিয়ে মধুশ্রী লিখছেন—❝বইয়ের নাম :- হত্যাবৃত্তলেখক :- অনুপম মুখোপাধ্যায়প্রচ্ছদ শিল্পী :- হিয়া মুখোপ...
09/10/2025

‘হত্যাবৃত্ত' উপন্যাসটি নিয়ে মধুশ্রী লিখছেন—

❝বইয়ের নাম :- হত্যাবৃত্ত
লেখক :- অনুপম মুখোপাধ্যায়
প্রচ্ছদ শিল্পী :- হিয়া মুখোপাধ্যায়
প্রকাশনা :- তবুও প্রয়াস
প্রথম প্রকাশ :- জানুয়ারি ২০২৫
মোট পৃষ্ঠা :- ২৭০
মুদ্রিত মূল্য :- ৪৫০/-

প্রথমেই বলে রাখি আলোচ্য উপন্যাসটি কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়, কঠোরভাবে প্রাপ্তমনস্কদের জন্য। ধুলাগড়-বসিরহাটের দাঙ্গার প্রেক্ষাপটে সামাজিক-রাজনৈতিক-মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার। বর্তমানে দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাধিগ্রস্ত সমাজের বিরুদ্ধে শক্তিশালী কলম। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ফিয়োদর দস্তয়েভস্কির 'দি ইডিয়ট', জোসেফ কনরাডের 'হার্ট অব ডার্কনেস', কখনো-বা ফ্রয়েড, কাফকার মতো বিশ্ব সাহিত্যের রেফারেন্স দিয়েছেন। আবার কখনো রবীন্দ্রনাথের 'গোরা', 'ঘরে বাইরে', কখনো-বা মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'চতুষ্কোণ' থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নায়ক চরিত্রটি সাজিয়েছেন। এই উপন্যাস সমকালীন পশ্চিমবঙ্গে একজন তথাকথিত ভালো মানুষের এসে পড়ার কাহিনি, হয়তো একজন দেবশিশুর কাহিনি, একটা অন্ধকার কুয়োর মধ্যে আলোকোজ্জ্বল এক পাখির পড়ে যাওয়ার কাহিনি।

ধর্ম, রাজনীতি, যৌনতা উপন্যাসটির উপজীব্য। আলেফ আলি, সোনিয়া বসাক আর রাজকুমার চৌধুরি প্রধান তিনটি চরিত্র, যাদের সম্পর্কের জটিল সমীকরণ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ফ্রয়েডের থিওরি অনুযায়ী তারা যথাক্রমে ইড, ইগো আর সুপার ইগোর প্রতিভূ। তিনজনের মুখে তিনরকমের ভাষাগত বিভেদ রেখেছেন চরিত্রগুলো বাস্তবানুগ করার জন্য। তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতি-ধর্ম-শ্রেণিগত বৈষম্য তুলে ধরেছেন। উপন্যাসের মনোলগ ধাঁচটা বেশ উপভোগ্য। প্রত্যেকটি চরিত্রের খুঁটিনাটি বিবরণ, স্বগতোক্তি, অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনা পাঠকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সংযোগ স্থাপন করেছে বলে মনে হয়। প্রতিটি চরিত্রের গভীরে ঢুকতে, ভাঙতে, গড়তে সাহায্য করেছে। পটভূমিকা বুঝতে সাহায্য করেছে।

এই উপন্যাস দুর্বল হৃদয়ের পাঠকদের জন্য নয়। লেখক এই যুগের বাঙালির অধঃপতনে কষাঘাত এনেছেন। এখানে যেমন যৌনতা আছে, উগ্রতা আছে তেমনই বিবেককে জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। "বোধহয় সেক্স পারে এভাবে মানুষের ক্লাস কনশাসনেস চুরমার করে দিতে।"― এমন লাইন শুধু লেখার জন্য নয়, পাঠককে উপলব্ধি করানোর জন্যও তৈরি করছেন।

এই যুগে দাঁড়িয়ে সোনিয়ার মতো উভকামী চরিত্র সৃষ্টি করতে দম লাগে। যার কিনা যৌনতা নিয়ে ছুঁতমার্গ তো নেই-ই, পছন্দের পুরুষকে কাছে না পেয়ে তার প্রেমিকাকে 'এঁটো' করে প্রকারান্তরে তাকে শাস্তি দিয়েছে। সগর্বে বিজয়ীর কেতন উড়িয়েছে। "মনে হচ্ছে থুতু দিচ্ছি রাজুর আকাঙ্ক্ষার উপর। রাজুর সো কলড পৌরুষের ওপর।... শি উইল বি মাই বিচ টুডে। যতদূর নোংরা করা যায় সুদীপাকে করব। রাজু ওকে দেখেই বুঝতে পারবে সোনিয়া বসাক ওর সুইট হার্টকে শেষ করে দিয়েছে। কী করবে তখন রাজু? পুওর রাজু?"... এইরকম আত্মম্ভরিতা, এইরকম প্রতিশোধস্পৃহা দেখিনি কখনো। সাধারণত এইরকম চরিত্রগুলোকে বাস্তবে আমরা 'সাইড আউট' করে রাখি। লেখক এনলাইটেড করেছেন। ওর শারীরিক চাহিদাকে নিষ্ঠুর বলব? বলা যায়? পারভার্ট? সাইকো? ফান্ডামেন্টালিস্ট? রূপনগরের শাসকগোষ্ঠীর সর্বেসর্বা বিবেকানন্দ বসাকের একমাত্র কন্যা সে। ঔদ্ধত্য তার রক্তে। এত স্ট্রং একটা নেগেটিভ চরিত্র আমায় খুব ভাবিয়েছে।

রাজকুমার চরিত্রটি আবার চরম বিশুদ্ধ মনীষী টাইপের মানুষ, যে কিনা সবাইকে ভালোবাসতে চায়। তার পবিত্র ইনোসেন্ট চোখের দিকে তাকালে ঘোর লেগে যায়। ডিগ্রিগত যোগ্যতা নেই, তবে জ্ঞানার্জন এমন লেভেলে করেছে যে তার ভারী ভারী জ্ঞানের বাণী যখন উজাড় করে দেয় বাঘা বাঘা লোকও কাত হয়ে পড়ে। তার মুখে সংলাপ বসিয়েছেন, "বই হয়তো মানুষকে শেষ অবধি কিছুই শেখায় না। জীবনই শেখায়। আমার একটা ধারণা ছিল― যারা নিয়মিত বই পড়ে, বিশ্বসাহিত্যের যারা নিবিষ্ট পাঠক, তারা কখনও অন্যায় করতে পারে না, জীবনকে বুঝে নিতে তাদের ভুল হয় না। আমার ধারণাটা সম্ভবত সঠিক নয়। বই মানুষকে বদলে দিতে পারে কি? হয়তো খুব বেশি হলে অনুঘটকের কাজ করতে পারে। মানুষ বদলে গেলে, নিজের থেকেই বদলায়। জীবনের তাপে ও চাপে বদলায়। জীবন সবসময়ই বইয়ের চেয়ে অনেক বড়ো।" এইরকম একটি চরিত্রই নৈতিক আবেগের বশবর্তী হয়ে খুন করে ফেলে এবং ঈশ্বর সদৃশ মনোভাব ভেঙে চুরমার হয়ে যায়।

ডেমোক্রেসি হ্যাজ ফেইলড ইন আওয়ার কান্ট্রি। একটা ভুল সিস্টেমে আমাদের বাঁচতে হচ্ছে। নেতাদের চোখে আমরা শুধুই ভোটার। ভাতা দিয়ে আমাদের হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। শান্তিপূর্ণ শহরে হত্যা করা হয় সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন জ্বালানোর জন্য। পলিটিক্সে নীচের তলার কর্মীরা নিজেরা মারামারি করে, ঘরে আগুন দেয় কিন্তু উপরতলায় নেতাদের মধ্যে সৌজন্য বজায় থাকে। এক দলের নেতা অসুস্থ হলে অন্য দলের নেতা ফুল-ফল নিয়ে দেখতে যায়, পাশাপাশি হাসিমুখে ছবি তোলে। তখনই হয়তো একদলের কর্মীরা অপর দলের মাথা ফাটাচ্ছে, রেপ করছে। শুধুমাত্র পলিটিক্সের জন্য নিরপরাধ মহিলাকে যৌন নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে আগুন জ্বলে। এগুলো তো চরম সত্য, অস্বীকার করার উপায় নেই। বাঙালির সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়েছেন যদি কিছু পাঠকের 'শীতঘুম' ভাঙে।

ক্রোড় অংশে জুড়ে দেওয়া হয়েছে 'পাগলপুর' (অথবা 'সঙ্গমপুর') নামে একটি পোস্টমডার্ন উপন্যাসিকা যার সঙ্গে মূল উপন্যাসের সরাসরি কোনো সংযোগ নেই। রাজকুমার (অথবা আলপনা চক্রবর্তী) প্রণীত তিরিশটি গল্প রূপকার্থে স্থান পেয়েছে। ননসেন্স সাহিত্য মনে হলেও গভীর মনস্তত্ত্ব ফুটে উঠেছে। এই বহমান সময়টা মুঠোয় পুরতে পাঠকদের অনেক বেশি সচেতন হতে হবে, পরিপক্ব হতে হবে, পোক্ত হতে হবে। বাংলা সাহিত্যের 'আতুপুতু' মুখোশটা খুলতে চেয়েছেন।

'হত্যাবৃত্ত' নামকরণের যৌক্তিকতা খুঁজছিলাম, যা মিলল উপন্যাসটির শেষ প্রান্তে পৌঁছে। বর্তমানে চাকরি চুরি, ধর্ষণ, খুন, গোলাগুলি, বন্দুক পাচার, বোমা বাঁধা, পাহাড় কাটা, মাফিয়ারাজ, বিভেদের রাজনীতি, ধর্মীয় টানাপোড়েন, মূল্যবোধ, সরকার পক্ষ, বিরোধী পক্ষ, নীরব দর্শকপুলিশ, আন্দোলন, সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন সবকিছুই আলোচ্য। "কিন্তু সমাজে যখন কোন মনীষী নেই, তখন নিজেরই মনীষার উপর নির্ভর করতে হয়। সাধারণ মানুষকেও তখন নিজের সীমার মধ্যে অসাধারণ হয়ে উঠতে হয়।"

পড়তে পড়তে প্রচ্ছদের দিকে চোখ চলে যায়। চাঁদ-ত্রিশূল, ফুল-বন্দুক বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বর্ণিত তিনটি চরিত্রও নিজেদের ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী স্থান পেয়েছে। চমৎকার বুদ্ধিদীপ্ত। এমনকী ব্যাক কভারের পাহাড়ের শীর্ষে সূর্যোদয় যেন বোধ-এর উন্মেষ ঘটায়। যাঁরা বিষয়বস্তু জেনে আগ্রহী হলেন অবশ্যই পড়ে সুচিন্তিত মতামত দেবেন। যাঁরা পড়েছেন কেমন লেগেছে জানাবেন। ধন্যবাদ। 🙏❞

রুজভেল্টনগর : প্রাচীন কল্যাণী ও তার জনপদের আখ্যানরিপন হালদারপ্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষপ্রচ্ছদ ছবি কৃতজ্ঞতা: শাক্য দেমুদ্রি...
08/10/2025

রুজভেল্টনগর : প্রাচীন কল্যাণী ও তার জনপদের আখ্যান
রিপন হালদার

প্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষ

প্রচ্ছদ ছবি কৃতজ্ঞতা: শাক্য দে

মুদ্রিত মূল্য : ৩৫০/-

তবুও প্রয়াস প্রকাশনী

আজ যেখানে কল্যাণী শহর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সম্ভাব্য জাপানি আক্রমণ প্রতিরোধ করতে এই অঞ্চল এবং আশেপাশের পঁয়তাল্লিশটা গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠে "রুজভেল্টনগর"। মূলত মার্কিন সৈন্যদের জন্য এই যুদ্ধশহর নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে একদিনের নোটিশে ভিটেছাড়া হতে হয় হাজার হাজার মানুষকে।

একদল উদবাস্তু মানুষ ভাগীরথী-হুগলী পার করে হয়ে পড়ে অতীত অভিযাত্রী। আরেক দল পূর্বে যমুনা বা মথুরা ঝিল পার করে চলতে থাকে ভবিষ্যতের পথে। মাঝখানে পড়ে থাকে বর্তমান। পড়ে থাকে যমুনা নদী, ভবিষ্যতে মথুরা ঝিল হওয়ার জন্য।

সময়ের এই ত্রিমুখী ঘূর্ণির মধ্যে অতি স্বল্প পরিসরে চলে আসেন অনেক ঐতিহাসিক-অনৈতিহাসিক ব্যক্তিত্ব। তাঁদের কয়েকজন রাজা রামমোহন রায়, ঘোষপাড়ার কর্তাভজা ধর্মের দুলালচন্দ্র, ঈশ্বরগুপ্ত, এবং নিমাই। হ্যাঁ, ভিন্নরূপে তিনিই প্রধান চরিত্র। কয়েকশ বছর পর রিভিজিট করবেন ঘোষপাড়া, কাঞ্চনপল্লী, কুলিয়ায়।

আর আছে সিএএ, এনআরসি, পূর্ব বাংলার মুণ্ডহীন একদল উদবাস্তু এবং মার্কিন সৈন্যদের ফেলে যাওয়া কয়েক হাজার বোমা। হ্যাঁ, তারাও এই আখ্যানের উপজীব্য। এছাড়া আরো অনেকে, অনেক কিছু এসে জড়িয়ে পড়েছে এই ইতিহাস-বর্তমান-ভবিষ্যৎ আশ্রিত আখ্যানে।

প্রাপ্তিস্থান:

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন, কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশনে পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

‘ভিন্নপাঠ: রমেন্দ্রকুমার থেকে অনন্য রায়' পড়ে শ্যামাশিস জানা লিখছেন—❝এবছর পুজোতে পড়া বই নিয়ে কিছু কথা“ভিন্নপাঠ: রমেন্দ্...
08/10/2025

‘ভিন্নপাঠ: রমেন্দ্রকুমার থেকে অনন্য রায়' পড়ে শ্যামাশিস জানা লিখছেন—

❝এবছর পুজোতে পড়া বই নিয়ে কিছু কথা

“ভিন্নপাঠ: রমেন্দ্রকুমার থেকে অনন্য রায়” — বাংলা কবিতার নবদৃষ্টির পাঠ

বাংলা কবিতার ইতিহাসে এক একটি অনবদ্য অধ্যায় রচনা করেছেন সেইসব কবিরা, যাঁরা মূলস্রোতের বাইরে দাঁড়িয়ে নতুন স্রোত তৈরি করেছেন। তাঁদের কবিতার ভেতরেই লুকিয়ে আছে নতুন ভাষা ও ভাবনার উন্মেষ। “ভিন্নপাঠ” বইটি সেইসব কবিদের নির্বাচিত কিছু কবিতার এক নতুন পাঠ—যা বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্যকে পুনরাবিষ্কারের এক প্রচেষ্টা।

বইটির লেখক বর্তমানের কবি, ঔপন্যাসিক ও অনুবাদক অধ্যাপক অংশুমান কর। এখানে তিনি রমেন্দ্রকুমার আচার্যচৌধুরী, রাজলক্ষ্মী দেবী, গীতা চট্টোপাধ্যায়, মনীন্দ্র গুপ্ত, শম্ভু রক্ষিত, আলোক সরকার এবং অনন্য রায়ের মতো আরও অনেক কবির সৃষ্টিকর্মকে এমন এক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেছেন, যা তাঁদের কবিতাকে নতুন আলোয় উদ্ভাসিত করে। এই দৃষ্টিভঙ্গি কেবল সাহিত্য-সমালোচনার সীমায় আটকে নেই; বরং এটি আধুনিক বাংলার কবিতায় ভিন্ন সুর ও বিকল্প চেতনাকে উন্মোচিত করেছে।

“ভিন্নপাঠ” বইটি এমন এক কাব্যভুবনের দরজা খুলে দেয়, যেখানে ভাষার ব্যবহার, ভাবনার গভীরতা ও সামাজিক প্রেক্ষিত—সবই পুনর্মূল্যায়নের দাবি তোলে। বাংলা কবিতার সামান্য পাঠক হিসেবে এই বইটি অনেক নতুন জানালা খুলে দেয়। পরিচয় করিয়ে দেয় সেইসব কবি ও তাঁর সৃষ্টিকর্মের সাথে যা আগে পড়া হয়নি কিংবা পড়ার সুযোগ হয়নি। এজন্য এমন একটি বই লেখার জন্য শ্রদ্ধেয় কবি অংশুমান করকে অশেষ ধন্যবাদ। এখানে এই বইয়ের সমস্ত কবির নাম উল্লেখ করা সম্ভব হল না, তাই সূচিটি দেওয়া থাকলো।

কবিতাপ্রেমী ও গবেষকদের কাছে “ভিন্নপাঠ” একটি অনন্য সংযোজন। এটি শুধু কয়েকজন কবির নির্বাচিত কবিতার বিশ্লেষণ নয়, বরং এটি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা কবিতার ইতিহাসের ভিন্নস্বরে উচ্চারিত একটি দলিল। আধুনিক বাংলা কবিতার নানান ধারাকে বুঝতে চাইলে এই বই পাঠ অপরিহার্য।

"ভিন্নপাঠ রমেন্দ্রকুমার থেকে অনন্য রায়"
লেখক: অংশুমান কর Angshuman Kar
তবুও প্রয়াস প্রকাশনী Tobuo Proyas Prokashoni
দাম: ৩৫০❞

দপ্তর খোলা থাকছে আজ ও আগামীকাল... পুজোর মরসুমকে বইমুখর করে তুলতে সংগ্রহ করুন আপনার পছন্দের বই...প্রাপ্তিস্থান :👇👇👇। দপ্ত...
26/09/2025

দপ্তর খোলা থাকছে আজ ও আগামীকাল... পুজোর মরসুমকে বইমুখর করে তুলতে সংগ্রহ করুন আপনার পছন্দের বই...

প্রাপ্তিস্থান :
👇👇👇

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন (দ্বিতল), কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), বিমলা বুক এজেন্সি, ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশন, পাপাঙ্গুলের ঘর (সোদপুর), হারিত স্টোরিতে (পাটুলি)পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, বুকস্ অব বেঙ্গল, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

অনলাইন: বইঘর ডট ইন, হারিত বুকস্ ডট কম

প্রাচীন সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতা সৈয়দ সিবতে হাসানঅনুবাদ : ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ প্রচ্ছদ: সন্তু দাসমুদ্রিত মূল্য : ২৫০/-[পণ্ডিত, ...
25/09/2025

প্রাচীন সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতা
সৈয়দ সিবতে হাসান

অনুবাদ : ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ

প্রচ্ছদ: সন্তু দাস

মুদ্রিত মূল্য : ২৫০/-

[পণ্ডিত, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক সংগ্রামী সিবতে হাসানের অনবদ্য রচনার একটি ‘দ্য ব্যাটল অব আইডিয়াস ইন পাকিস্তান’। পাকিস্তানের মতবাদের দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে কথা বলতে গিয়ে তিনি বিশ্বসভ্যতার ইতিহাস ও দর্শনের দ্বন্দ্বের একটা দারুণ চিত্র তুলে ধরেছেন। গ্রামসি শুধু ইতিহাস ও মার্কবাদের চর্চার মধ্য দিয়ে যাননি, ইতালির প্রেক্ষাপটে নতুন চিন্তায় মার্কসবাদকে সমৃদ্ধ করেছেন। পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে একই কাজ করেছেন সিবতে হাসান। গ্রামসির মতোই তাঁকেও যেতে হয়েছে জেল-জুলুমের ভেতর দিয়ে।

পাকিস্তানের মতবাদের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে যেসব চিন্তা রেখেছেন সিবতে হাসান, সেই চিন্তা ভারত ও বাংলাদেশের পাঠকদের জন্যও প্রযোজ্য। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতবাদের দ্বন্দ্ব বোঝার জন্যও এই বই চমৎকার।
সিবতে হাসানের বই ‘দ্য ব্যাটল অব আইডিয়াস ইন পাকিস্তান’র কয়েকটি অধ্যায় নিয়ে অনুবাদ গ্রন্থ ‘প্রাচীন সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতা’। ‘প্রাচীন সমাজে ধর্মনিরপেক্ষতা’র স্বরূপ বোঝার জন্য আমার মনে হয়েছে এর চেয়ে ভালো লেখা আর হয় না। বাংলাভাষায় সিবতে হাসানের লেখার এটাই প্রথম অনুবাদ।]

প্রাপ্তিস্থান :
👇👇👇

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন (দ্বিতল), কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), বিমলা বুক এজেন্সি, ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশন, পাপাঙ্গুলের ঘর (সোদপুর), হারিত স্টোরিতে (পাটুলি)পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, বুকস্ অব বেঙ্গল, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

অনলাইন: বইঘর ডট ইন, হারিত বুকস্ ডট কম

মেট্রোপলিটন ইতিকথা: বাংলা কবিতার পঞ্চাশ বছরদেবার্ক মণ্ডলপ্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষমুদ্রিত মূল্য: ৫০০/-তবুও প্রয়াস প্রকাশনী...
24/09/2025

মেট্রোপলিটন ইতিকথা: বাংলা কবিতার পঞ্চাশ বছর
দেবার্ক মণ্ডল

প্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষ

মুদ্রিত মূল্য: ৫০০/-

তবুও প্রয়াস প্রকাশনী

[কলকাতা ঠিক কত বছরের পুরনো শহর বা নগর পত্তনের ইতিহাসে এই শহরের প্রকৃত আয়তন কতখানি ছিল? কবে থেকে ‘মেট্রোপলিটন সিটি’ হল এই কলকাতা? এসব অদম্য কৌতুহলের পাশাপাশি বিশ শতকের তিন থেকে সাতের দশকের রাষ্ট্র, সমাজ ও সাহিত্যিক বহু আন্দোলনের জন্মভূমি এই মহানগর। আমাদের সুপরিচিত এই শহরকে নিয়ে নানা প্রশ্ন, প্রতিপ্রশ্নের তথ্যভিত্তিক বিশ্লেষণ মলাটবন্দি হয়েছে এই বইয়ে। বাংলা কবিতার পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে কলকাতার বৈচিত্র্যময় মহানাগরিক জীবন, সাহিত্যের এক তুল্যমূল্য বিচার্য বিষয়। ঔপনিবেশিক কালপর্ব থেকে স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে কলকাতার স্বপ্রাণ জীবনধর্মকে বাংলা কবিতায় অনুসন্ধান করা হয়েছে এই বইয়ের নানা অধ্যায়ে।]

প্রাপ্তিস্থান :
👇👇👇

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন (দ্বিতল), কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), বিমলা বুক এজেন্সি, ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশন, পাপাঙ্গুলের ঘর (সোদপুর), হারিত স্টোরিতে (পাটুলি)পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, বুকস্ অব বেঙ্গল, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

অনলাইন: বইঘর ডট ইন, হারিত বুকস্ ডট কম

হুঁকো: ইতিহাস সংস্কৃতি  বিবর্তন মানস শেঠপ্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষমুদ্রিত মূল্য: ৩৭৫/-তবুও প্রয়াস প্রকাশনী[হুঁকো যেন ধোঁয়া...
24/09/2025

হুঁকো: ইতিহাস সংস্কৃতি বিবর্তন
মানস শেঠ

প্রচ্ছদ: স্বর্ণেন্দু ঘোষ

মুদ্রিত মূল্য: ৩৭৫/-

তবুও প্রয়াস প্রকাশনী

[হুঁকো যেন ধোঁয়ার মধ্যে লেখা এক বর্ণময় জীবনগাথা, যেখানে সময়ের নদী বয়ে গেছে উলটোস্রোতে। তামাকের সুগন্ধ মেখে, মাটির কলসির মতো বুক ফুলিয়ে সে দাঁড়িয়ে থেকেছে ইতিহাসের নানা সন্ধিক্ষণে— কখনো নবাবের দালানে, কখনো সাহেবের ক্লাবে, আবার কখনো গাঁয়ের নোনাজলে ভেজা মাটির ঘরের কোণে। এই বই এক অদ্ভুতরকম চিত্রপট— যেখানে হুঁকোকে দেখা হয়েছে কেবল ধোঁয়ার খেলনায় নয়, বরং বাঙালির লোকচেতনাজাত আত্মপরিচয়ের এক প্রতীক হিসেবে। হুঁকো এখানে হয়ে উঠেছে সম্পর্কের অনুবাদক, আড্ডার শব্দছক, বিরতির নিঃশ্বাস, আর চুপিসারে গড়ে ওঠা সৌহার্দ্যের নিগূঢ় উপচার। বইটি পাঠককে নিয়ে যাবে তামাক আবিষ্কারের বিস্ময় থেকে শুরু করে ভারতবর্ষে হুঁকোর সাংস্কৃতিক বিস্তার, তার কারিগরদের নিপুণ শিল্পকলা, সাহিত্যে ও লোককথায় তার গূঢ় উপস্থিতি, আধুনিক হুক্কাবার সংস্কৃতিতে তার পুনরুজ্জীবন, এবং ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার করুণ অথচ স্বাভাবিক পথের সন্ধানে। হুঁকোর ধোঁয়া মানে শুধু ধোঁয়া নয়, বরং মিশে থাকা সময়, স্মৃতি ও স্বপ্ন। আজ হয়তো হুঁকো পেছনের সারিতে, কারিগরেরা পেশা বদলেছে, আড্ডা বদলে গেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়— তবু হুঁকোর সেই একটানা গড়গড় ধ্বনি যেন এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়, স্মৃতির অতলে রয়ে গেছে তার ধোঁয়ায় মোড়া অস্তিত্ব। এই গ্রন্থ সেই অস্তিত্বকে জাগিয়ে তোলে, ধোঁয়ার ভিতর দিয়ে চিনিয়ে দেয় এক বিস্মৃত সময়ের মুখ, যা আজও আমাদের সত্তার ছায়ায় রয়ে গেছে অবিনাশী।]

প্রাপ্তিস্থান :
👇👇👇

। দপ্তর ।
১৯/২ রাধানাথ মল্লিক লেন (দ্বিতল), কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯৮৩৬৯২৯৫৮০, ৮৬৪১৯৩৭৩৫৬

। আউটলেট।
'লালন'
ব্লক-৩, স্টল-৯
সূর্য সেন স্ট্রিট, কলেজ স্কোয়ার
কলকাতা-৭০০০১২
যোগাযোগ: ৯০৬৪০৩৪৯৩২

[ এছাড়া কলেজ স্ট্রিটের দে'জ, দে বুক স্টোর (দীপু), বিমলা বুক এজেন্সি, ধ্যানবিন্দু ও প্ল্যাটফর্ম বুক স্টেশন, পাপাঙ্গুলের ঘর (সোদপুর), হারিত স্টোরিতে (পাটুলি)পাবেন ]

কলকাতার বাইরে ভূর্জপত্র (পশ্চিম মেদিনীপুর), মালদা পুনশ্চ (মালদা), চণ্ডাল বুকস্ (শিলিগুড়ি) এবং বাংলাদেশের উজান, বিদিত, বাতিঘর, তক্ষশীলা, কথাপ্রকাশ, বুকস্ অব বেঙ্গল, রকমারিসহ যেকোনো বিপণিতে আমাদের বইতে আমাদের সমস্ত বই অর্ডার করলে পাওয়া যাবে।

Whatsapp Support: 9836929580

অনলাইন: বইঘর ডট ইন, হারিত বুকস্ ডট কম

‘তবুও প্রয়াস' প্রকাশিত চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের ‘নারীর গান শ্রমের গান' ও ‘বাংলার বিয়ের গান: নারীকণ্ঠের বহুস্বর' বই দুটো পড়ে...
22/09/2025

‘তবুও প্রয়াস' প্রকাশিত চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের ‘নারীর গান শ্রমের গান' ও ‘বাংলার বিয়ের গান: নারীকণ্ঠের বহুস্বর' বই দুটো পড়ে লেখক কল্লোল লাহিড়ী লিখলেন—

❝শ্রদ্ধেয় চন্দ্রাদি Chandra Mukhopadhyay আমার খুব কাছের একজন মানুষ আদিত্য Aditya Dhali আমাকে পুজোয় উপহার দিয়েছে দুটো বই। হ্যাঁ আপনারই লেখা। একটু একটু করে পড়া শুরু করেছি। আর কি ভয়ংকর ভাবে বাঙালি জাতি হিসাবে আস্তে আস্তে খাদের ধারে দাঁড়াচ্ছি এই কথা ভেবে যে আমরা কি অবলিলায় হারিয়ে ফেলেছি পুরোনো ঐতিহ্য। তার সংস্কৃতি। শুধুমাত্র নব্য জাগরণের দোহাই দিয়ে। এই এতো এতো গান। শুধু কাজ করার সময় নয় এমনকি মঙ্গল অনুষ্ঠানেও? হারিয়ে ফেললাম সব আমরা? নিছকই গ্রাম্য সভ্যতার দোহাই দিয়ে?

জানেন আপনার বই পড়তে পড়তে আবার সেই মানুষটার কথা মনে পড়ছিল যাকে আমরা দেবতা করে দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছি। সহজ পাঠে পড়েছিলাম 'গান গেয়ে ছাদ পেটাই শুনি'। কিন্তু সেই ছাদ পেটানোর গান কখনও হাতের কাছে পাইনি। শোনা তো দূরের কথা! অন্দরকে আমরা বরাবরই হতোছেদদা (ইচ্ছে করেই এই বানানটা লিখলাম) করেছি। ইউরোপিয় দীক্ষায় শিক্ষিত কিনা! তাই নিজের উঠোনকে চিনিনি। বিয়েতে এখন তাই বাঙালিয়ানার বদলে 'সংগীত' হয়। মন্দ নয়। কিন্তু নিজের সুরটিকে হারিয়ে। সেই হারানো পথের সন্ধান আপনার এই দুটি বই। আপনার গান শুনেছি। এই বিপুল কাজের জন্য এই ক্ষুদ্র পাঠকের অসীম শ্রদ্ধা জানবেন। এই বই দুটো আমাদের আত্মশুদ্ধির কাজে লাগুক। ❞

Address

19/2 Radhanath Mullick Lane
Kolkata
700012

Opening Hours

Monday 12pm - 8pm
Tuesday 12pm - 8pm
Wednesday 12pm - 8pm
Thursday 12pm - 6pm
Friday 12pm - 8pm
Saturday 12pm - 8pm

Telephone

+918641937356

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tobuo Proyas Prokashoni posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tobuo Proyas Prokashoni:

Share

Category