Foovel ADDA

06/07/2024

🧿 বিশ্বের সবথেকে বড়ো রান্নাঘরের গল্প 🧿

রথযাত্রার পুণ্যলগ্নে জগন্নাথদেবের মন্দিরের রান্নাঘরের গল্প Foovel ADDA তে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করবেন। সবাইকে রথযাত্রার শুভেচ্ছা। 😊
জয় জগন্নাথ ❤️🙏

❤️ প্রভু জগন্নাথের মহাপ্রসাদ কথা ❤️


🌼 বিষ্ণুবন্দনা 🌼

হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী,ভগবান বিষ্ণু ভারতবর্ষের চারপ্রান্তের চারটি বিশেষ জায়গায় সর্বাধিক বিরাজমান। উত্তরে বদ্রীনাথ, দক্ষিণে রামেশ্বরম, পূর্বে পুরী এবং পশ্চিমে দ্বারকা- এই চারটি পূণ্যভূমি একত্রে চারধাম নামে পরিচিত।মনে করা হয়, ভগবান বিষ্ণু রামেশ্বরমে স্নান করেন, বদ্রীনাথে ধ্যানমগ্ন হন, পুরীতে আহারকার্য সম্পন্ন করেন এবং দ্বারকাতে বিশ্রাম নেন। প্রভুর এই আহারকার্য নিয়েই আজ আমাদের নিবেদন।

"শ্রীক্ষেত্র" পুরীতে ভগবান বিষ্ণু প্রভু জগন্নাথ রূপে পূজিত হন। দ্বাদশ শতাব্দীতে গঙ্গা বংশের রাজা অনন্তবর্মন পুরীর এই জগন্নাথ মন্দির তৈরী করেন। এই মন্দিরেই তৈরী হয় প্রভু জগন্নাথের আহার্য মহাপ্রসাদ।❤️ ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই মহাপ্রসাদ গ্রহণ করা প্রভু জগন্নাথের দর্শনের সমান। এই প্রসাদ গ্রহণে জীব পাপমুক্ত হয়ে পুনর্জন্মের হাত থেকে রক্ষা পায়। পাপমুক্তির প্রদর্শনকারী এই প্রসাদ "কৈবল্য" নামেও পরিচিত।

🌼 মহাপ্রসাদের ইতিহাস 🌼

লোকমুখে প্রচলিত মতবাদ অনুযায়ী, মূর্তিপ্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে প্রভু জগন্নাথ নীলাচল পাহাড়ের জনগোষ্ঠী দ্বারা নীলমাধব রূপে পূজিত হতেন, পরবর্তীতে যেখানে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু প্রায় ১৮ বছর বসবাস করে মানুষের মনে কৃষ্ণপ্রেমের জোয়ার এনেছিলেন। নীলাচল পাহাড়ের জনগোষ্ঠীর প্রধান ছিলেন বিশ্ববসু। তিনি নীলমাধবের মূর্তিকে লোকচক্ষুর সামনে থেকে সরিয়ে একটি পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে রাখেন। পাহাড়ে চাল,ডাল অপ্রতুল হওয়ায় উনি প্রত্যহ ফুল ও সাধারণ ফলমূল ভগবানকে নিবেদন করতেন। একদিন সকালে নিজের নিবেদন সামগ্রী নিয়ে গুহায় ঢুকতেই বিশ্ববসু অবাক দৃষ্টিতে দেখেন চারিদিকে ভাত, শাকসবজি, মিষ্টান্নের সমাহার। মনে করা হয়, অন্যান্য দেবতারা প্রতি রাতে জগন্নাথদেবের দর্শন করতে যেতেন এবং তাঁর পছন্দের খাবার পরিবেশন করতেন। এর পর থেকেই প্রভুকে অন্নভোগ অর্পণ শুরু হয়। এত বিশাল পরিমাণে অন্নভোগ নিবেদন বিশ্বের কোন ধর্মীয় স্থানে অর্পিত হয় না। সাধারণ দিনে ৫৫০০-৬০০০ এবং বিশেষ উৎসবের দিনে ১০ লাখের বেশী মানুষ এই প্রসাদ গ্রহণ করেন। রথযাত্রা উৎসবের প্রথম ও শেষ দিনে এই মহাপ্রসাদ তৈরী হয় না।

🌼 মহাপ্রসাদ তৈরীর প্রস্তুতি স্থান 🌼

এই প্রস্তুতি স্থানটির আকার দৈর্ঘ্যে ১০০ ফুট ও প্রস্থে ৮০ ফুট, যা এই মন্দিরের তিনটি রন্ধনস্থলের এবং পৃথিবীর মধ্যে বৃহত্তম। এই রন্ধনশালায় রয়েছে ৩২ টি ঘর এবং ২৪০ টি উনুন, যা তিনভাগে শ্রেণীবিভক্ত। অন্নভোগ রন্ধনের জন্য রয়েছে ১৭৫ টি উনুন (অন্নচুল্লী), ডাল ও তরকারির জন্য ৪৫ টি উনুন (অহিয় চুল্লী) এবং বাকি ২০ টি উনুনে তৈরী হয় পিঠে,পায়েস ও শুকনো মহাপ্রসাদ (পিঠে চুল্লী)। প্রতিদিন ৫৬ পদ সহকারে নিবেদন করা হয় মহাপ্রসাদ, যা "ছাপান্ন ভোগ" নামে বিশ্ববন্দিত।❤️ সর্বপ্রথম এই ভোগ দেবী মহালক্ষ্মী কে নিবেদন করা হয়।🌸 প্রতিদিন সকাল ৮ টায় "রসা হোম" নামের একটি অনুষ্ঠানের পর সকাল ৯ টায় মহাপ্রসাদ তৈরী শুরু হয় এবং সারাদিন ধরে চলতে থাকে নিরন্তর কর্মযজ্ঞ।😊

🌼 প্রস্তুতির উপকরণ 🌼

এই মহাপ্রসাদ তৈরী হয় মাটির তৈরী হাঁড়িতে। আয়ুর্বেদ অনুসারে, মাটির পাত্রে তৈরী খাবার শুদ্ধ ও স্বাস্থ্যকর এবং মাটির পাত্র তাপ পরিবহনে দেরী করে বলে খাবার ৫-৬ ঘন্টা গরম থাকে। এই পরিবেশবান্ধব মাটির পাত্র একবারই ব্যবহার করা হয়। মাটির পাত্র গুলি কর্মবাই পট, দাসিয়া পট, ইমার পট, নুম্বারি পট, সমাধি পট নামে পরিচিত। এছাড়া খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েছে দুরকম মাটির বাসন। "কুডুয়া" পাত্রে ভাত,ডাল, তরকারি পরিবেশন করা হয় এবং "অলি" পাত্রে পরিবেশিত হয় মিষ্টান্নের পদ। "কুম্ভর নিযোগ সংঘ" সংস্থার অধীনে প্রায় ৩০০ জন মৃৎশিল্পী এই সামগ্রী তৈরী করেন।

এই রান্নাঘরের মূল প্রাণশক্তি হল বৈষ্ণব অগ্নি (বিষ্ণুকে নিবেদিত আহার প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় আগুন), যা যুগ যুগ ধরে জ্বলছে, যা অনির্বাণ।❤️ লোকমুখে কথিত আছে, মা মহালক্ষ্মীর তত্বাবধানে প্রতিটি রান্নাঘরে ভোগ তৈরীর কার্যসম্পন্ন হয়। মহাপ্রসাদ তৈরীর জন্য মূলত ওড়িশা বনদপ্তরের পাঠানো পোকামাকড় মুক্ত কাঠ এবং প্রতিবছরের রথকে ভেঙে যে কাঠ পাওয়া যায় তাই জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। শুধুমাত্র অন্নচুল্লীতে কাঠ ব্যবহৃত হয়, অহিয় ও পিঠে চুল্লীতে ব্যবহৃত হয় অন্নচুল্লীর পোড়া কাঠের অবশিষ্টাংশ। রান্নার জন্য জল ব্যবহার হয় রান্নাঘরের উত্তরে অবস্থিত চৌকাকৃতি গঙ্গা কুয়ো এবং গোলাকৃতি যমুনা কুয়ো থেকে, যেগুলি মন্দির তৈরীর সময়ই খনন করা হয়েছিল।

🌼 রন্ধনপদ ও পদ্ধতি 🌼

পুরীর রান্নাঘরে ভীমপাকা,নালাপাকা, সৌরিপাকা ও গৌরিপাকা- এই চারটি পদ্ধতিতে রান্না হয়। এই রান্নাঘরের সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হলো, পাঁচটি হাঁড়ি একটি অপরটির উপর রেখে রান্না করলে সবচেয়ে নীচের যে হাঁড়িটি সবচেয়ে বেশি তাপ পায় সেই হাঁড়ির খাবার সর্বশেষে এবং সবার উপরের সর্বনিম্ন তাপপ্রাপ্ত হাঁড়িটির খাবার সবার প্রথমে রান্না হয়।😊

রান্নাঘরে তৈরী হয় চার ধরনের ভাতের পদ।

•শালিঅন্ন- সুনাখিলা চাল কে ঘিয়ে ভেজে নুন ও কমলালেবুর টুকরো দিয়ে পরিবেশিত হয় এই ভাত।

•ক্ষীর অন্ন- বাসমতী চালে দুধ,নুন ও ঘি দিয়ে এই ভাত তৈরী হয়।

•দধিঅন্ন- এই মহাপ্রসাদ দই ও ভাতের মিশ্রণ।

•শীতল অন্ন- ভাত,নুন ও লেবুর রসের মিশ্রণ এই প্রসাদ।

এছাড়া বিভিন্ন রকম ভাত, ডাল, পিঠে, তরকারির সংমিশ্রণে তৈরী হয় ছাপান্ন ভোগ যার মধ্যে অন্যতম আদাপাচাড়ি (কাঁচা আদা বাটা), আমালু(কড়া করে ভাজা মালপোয়া), টাটা খিচুড়ি, পোডো পিঠা, নাদিয়া কোড়া (নারকেল নাড়ু), ক্ষীর ইত্যাদি।❤️

প্রসাদ তৈরীর জন্য বেগুন,কুমড়ো, ওল, রাঙালু, পটল, নারকেল ইত্যাদি সবজি ব্যবহৃত হয়। আলু, টমেটো,লঙ্কা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, পিঁয়াজ, রসুন, সজনে ডাঁটা, চিনি ক্যাপসিকামের ব্যবহার নিষিদ্ধ। তেলের ব্যবহার ব্যাতি রেখে মন্দিরের সব রান্না খাঁটি ঘি তে তৈরী হয়।

🌼ভোগ নিবেদনের প্রকারভেদ🌼

মন্দিরে দুটি ভাগে ভোগ তৈরী হয়। "কোঠো ভোগ" তৈরী হয় মন্দিরের সেবকদের আহারের জন্য এবং "বারদি ভোগ" তৈরী হয় ভক্তদের আহারের জন্য।
এই বারদি ভোগ মন্দিরের সিংহ দুয়ারের সামনে "আনন্দ বাজারে" বিক্রি হয়, যে বাজার পৃথিবীর বৃহত্তম মুক্ত খাবার বিক্রির বাজার।❤️

*মহাপ্রসাদের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে রয়েছে তিনটি ভাগ।

•সঙ্খুদি মহাপ্রসাদ- ভাত, ঘি ভাত,হরেক রকমের ডাল-তরকারি এর অন্তর্ভুক্ত।

•সুখুলি মহাপ্রসাদ- মূলত মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন - আটার লাড্ডু, ময়দার তৈরী খাজা,ঘিয়ের লাড্ডু এটির অন্তর্ভুক্ত।

• নির্মাল্য মহাপ্রসাদ - এটি মূলত শুকনো প্রসাদ। ভাত রান্না করে তাকে রোদে শুকিয়ে এটি প্রস্তুত করা হয় এবং প্যাকেটজাত করে বাইরে বিক্রি হয়। ভক্তরা তাঁদের নিজস্ব বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে এই প্রসাদ ব্যবহার করেন। এই প্রসাদ ভগবান জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা কে অর্পণ করা হয় না।

*প্রসাদ নিবেদনের সময়কালের উপর নির্ভর করে রয়েছে ৭ টি শ্রেণীবিভাগ, যা চলে প্রাকসূর্যাস্তের মুহূর্ত থেকে গভীর রাত পর্যন্ত।

১. প্রথম বা পয়লা ভোগ- সূর্যাস্তের পূর্বে সূর্য যখন ধনু রাশিতে থাকে,তখন এই ভোগ অর্পণ করা হয়।

২. গোপাল বল্লভ ভোগ- সকালে ৮.৩০ এ প্রাতঃরাশ হিসেবে ৭টি অরন্ধিত পদ অর্পণ করা হয়।

৩. সকাল ভোগ- এটি দিনের প্রথম রন্ধিত ভোগ যা সকাল ১০ টায় নিবেদন করা হয়।

৪. মন্ডপ ভোগ- শঙ্করাচার্য প্রবর্তিত এই ভোগ সকাল ১১টায় দেওয়া হয়।

৫. মধ্যাহ্ন ভোগ-এটি দুপুর ১২.৩০ থেকে বেলা ১টার মধ্যে দেওয়া হয়।

৬. সন্ধ্যা ভোগ - সন্ধ্যাআরতির পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৮ টার মধ্যে দেওয়া হয়।

৭. বড়া সিঙ্ঘারা ভোগ- গীতগোবিন্দ সঙ্গীতের পর রাত ১১.১০-১৫ তে দেওয়া হয়।

🌼 মহাপ্রসাদের বিশ্বকর্মাগণ 🌼

প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি পুরুষ সেবক এই রান্নাঘর পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন।

•মহাসুয়ারা- এনারা হলেন সবচেয়ে উচ্চপদস্থ সেবক যারা খাবারের পাত্র হাতে করে ভোগের জন্য নিয়ে যান।

•সুয়ারা- এনারা হলেন প্রধান সেবক, যারা সব খাবার রান্না করেন এবং একমাত্র এনাদের ই উনুনে হাত দেওয়ার অধিকার রয়েছে। এনাদের সংখ্যা প্রায় ৫০০ জনের কাছাকাছি।

•যোগানিয়া- এনারা মূলত সুয়ারা দের সাহায্যকারী, যাদের কাজ পাত্র পরিস্কার করা, চাল-ডাল-সবজি পাত্রে পরিপূর্ণ করা, জল আনা। এনারা সংখ্যায় ৩০০ জন।

•টুনিয়া- এনাদের কাজ সবজি কাটাকুটি, মশলা বাটা। এনারা রান্নাঘরে প্রবেশের অনুমতি পান না। এনারা সংখ্যায় ২০০ জন।

রান্নাঘরের কিছু কঠোর নিয়মকানুন রয়েছে।
স্নান না করে এবং পরিস্কার কুর্তা-ধুতি না পরে রান্নাঘরে প্রবেশ নিষিদ্ধ। রান্নাঘরে কাজ করার সময় মাথায় গামছা জড়িয়ে, দাঁড়ি-গোঁফ নিখুঁত ভাবে কামিয়ে রান্না করতে হয়। রান্না চলাকালীন পান বা কোনো তামাকজাত দ্রব্য চিবোনো, ধূমপান দন্ডনীয় অপরাধ। এছাড়া হাতে লোহার আংটি না পরা,গান, কৌতুক, চিৎকার-চেঁচামেচি না করা সহ অনেক বিধিনিষেধ মেনেই শুদ্ধচিত্তে এই ভোগ প্রস্তুত করতে হয়।

এইভাবেই প্রতিদিন বিশাল কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে আদর্শ খাবারের ষড়রস- মিষ্টি, নোনতা, টক, তেতো, কষালো এবং ঝাঁঝালো স্বাদের সমাহারে তৈরী অমৃতভোজন আহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় তৃপ্তি ঘটে। এইজন্যই কথায় আছে - পেট শান্তি তো সব শান্তি।❤️

রথযাত্রার প্রাক্কালে আমরা আপনাদের কাছে পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দির ও রান্নাঘরের অজানা গল্প তুলে ধরলাম। সবাইকে ধন্যবাদ।😊

•তথ্যসূত্র ও ছবি - উইকিপিডিয়া, Orissa journal article by Pitabas Routray, article by samrat Roy Chowdhuri এবং ইন্টারনেট।

© 𝗙𝗼𝗼𝘃𝗲𝗹𝗔𝗗𝗗𝗔

🌼🙏জয় জগন্নাথ🙏🌼

20/06/2024

𝗙𝗼𝗼𝘃𝗲𝗹𝗔𝗗𝗗𝗔 তে অনেকদিন পর কোনো কনটেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে। 🙃 পাশে থাকবেন সবাই।🍀

🍂 পানিহাটির ঐতিহ্যবাহী দন্ড মহোৎসব
(চিঁড়া-দধি মহোৎসব)🍂

হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত পানিহাটি বা পেনেটি সকল বৈষ্ণব এবং শাক্ত ধর্মাবলম্বী মানুষদের কাছে এক পবিত্র স্থান। দীর্ঘকাল থেকে পানিহাটি
" চিঁড়ে দই উৎসব "/ " দন্ড মহোৎসব " নামক একটি উৎসবের জন্য বিখ্যাত। পানিহাটি চিঁড়া-দধি উৎসব গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের অনুসারীদের কাছে এক অনন্য আনন্দময় উদযাপন। শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতি বিজড়িত এই উৎসবের সাথে বৈষ্ণবদের একটি অপরিসীম ধর্মীয় মূল্য জড়িয়ে রয়েছে।💮

শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তার প্রচারকালে দুইবার পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটে আসেন ,একবার 1515 খ্রিস্টাব্দে পুরী যাওয়ার পথে এবং আরেক বার পুরী থেকে গৌড় হয়ে বৃন্দাবন যাওয়ার সময়। তিনি কার্তিক মাসে এখানে এসে তাঁর শিষ্য রাঘব পণ্ডিতের বাড়িতে থাকতেন। রাঘবের বাড়িতে শ্রীচৈতন্যের দ্বারা পূজিত মদন মোহনের মূর্তি, এছাড়াও মাধবী লতাগুলির ছাউনির নীচে রাঘবের সমাধি এখনও রাঘব ভবন বা পাট বাড়ীতে দেখা যায়। 🌿

শ্রী নিত্যানন্দও 1516 খ্রিস্টাব্দে এখানে এসেছিলেন যখন তিনি গৌড় প্রেমের ধর্ম প্রচারের জন্য একটি মিশনারি কাজে ছিলেন। সপ্তগ্রামের বিখ্যাত জমিদার রঘুনাথ দাস গোস্বামী গঙ্গার ধারে একটি বটগাছের নিচে নিত্যানন্দের সাথে দেখা করেছিলেন। নিত্যানন্দের পরামর্শে, জমিদার 1517 সালের জ্যৈষ্ঠ মাসের এক তপ্ত দুপুরে সমবেত তীর্থযাত্রীদের মধ্যে চিঁড়া এবং দই বিতরণ করে মহোৎসব পালন ছিলেন। সেই থেকে উৎসবটি পালিত হয়ে আসছে, যা " ডান্ডা উৎসব " নামেও পরিচিত।🌼

প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা ত্রয়োদশী তিথিতে বা জুন মাসে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়।পানিহাটি মহোৎসব ঘাটে গঙ্গা নদীর তীরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছরের মতো এই বছরও আমাদের পানিহাটিবাসীদের ঐতিহ্যের এই উৎসব পালন করা হচ্ছে, এই বছর এই উৎসব ৫০৮ তম বছরে পদার্পণ করলো।🌸

সবাইকে জানাই চিঁড়া- দধি মহোৎসবের শুভেচ্ছা।❤️🙏

25/03/2024

সবাইকে দোল পূর্ণিমার শুভেচ্ছা 🔵🟣🟡🟢
#দোল

26/01/2024

Foovel ADDA এর তরফ থেকে সবাইকে ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা 🧡🤍💚

15/01/2024

নমস্কার। Foovel ADDA তে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। কিছু ব্যক্তিগত কারণ বশত কনটেন্ট আসতে অনেকদিন দেরী হয়ে গেল, তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আজ তাই নিয়ে চলে এলাম "বাঙালীর পৌষ-পার্বণ" নিয়ে একটি প্রতিবেদন। সবাই পড়ে দেখুন। ভালো লাগলে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করুন‌ 😊🌿

কথায় আছে,বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ,এই তেরো পার্বণের মধ্যে একটি পার্বণ হল পৌষ পার্বণ,যা পৌষ মাসের শেষ দিন অর্থাৎ পৌষ সংক্রান্তির দিন পালন করা হয়। এই সংক্রান্তি শাস্ত্রমতে খুবই শুভ, কারণ মনে করা হয় যে এইসময় সূর্যের উত্তরায়ণ ঘটে, অর্থাৎ সূর্য এইসময় উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ সরে যেতে শুরু করে।শাস্ত্রানুযায়ী ৬ মাস যাবত এই উত্তরায়ণকাল দেবতাগণের কাছে একটি দিন আর বাকি ৬ মাস যাবত দক্ষিনায়ণকাল হল একটি রাত,এইসময় দেবতারা নিদ্রায় মগ্ন থাকেন,আর উত্তরায়ণে জাগ্ৰত হন, তাই এইসময় খুবই শুভ।সকল শুভ কাজের মাধ্যমে তাই সূর্যের এই উত্তরায়ণকালকে স্মরণের জন্য পৌষ পার্বণ পালন করা হয়।

পৌষ সংক্রান্তি সম্পর্কে আরও একটি তথ্য জানা যায় মহাভারতে।পুরু বংশের শ্রেষ্ঠ বীর পিতামহ ভীষ্ম,তাঁর পিতা শান্তনু এর কাছ থেকে স্বেচ্ছামৃত্যুর বর লাভ করেন। মহাভারতের বিখ্যাত কুরুক্ষেত্র এর যুদ্ধের ১০ তম দিনে পান্ডব পক্ষের বীর অর্জুনের দ্বারা নিক্ষিপ্ত তীরের মাধ্যমে পিতামহ ভীষ্ম শরসজ্জায় সজ্জিত হন। শরসজ্জায় সজ্জিত হয়েও তিনি বেশ কিছু দিন মৃত্যুবরণ করেন নি। কারণ, তিনি অপেক্ষা করছিলেন সূর্যের উত্তরায়ণের জন্য। তিনি জানতেন দক্ষিনায়ণকালে দেবতারা নিদ্রায় মগ্ন থাকেন, তাই এইসময় মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে স্বর্গের দুয়ার এর বাইরে অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু উত্তরায়ণের সময় মৃত্যুবরণ করলে তাঁকে স্বর্গের দুয়ার এর বাইরে অপেক্ষা করতে হবে না,তাঁর মুক্তিলাভ ঘটবে। তিনি শরসজ্জাকালে ভেবেছিলেন দক্ষিনায়ণকালে স্বর্গের দুয়ার এর বাইরে একা অপেক্ষা করার থেকে শ্রেয় তিনি কদিন যুদ্ধক্ষেত্রে অপেক্ষা করবেন, কারণ এখানে থাকলে তিনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্যে থাকতে পারবেন। অবশেষে দীর্ঘ ৫৮ দিন শরসজ্জায় থাকার পর উত্তরায়ণকালে ঐইদিন স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন।এই ঘটনা স্মরণে রাখার জন্য এখনও গ্ৰামবাংলার বহু জায়গায় পৌষ সংক্রান্তির দিন সকালে আগুন লাগানো হয় খড় ও বাঁশ দিয়ে বানানো স্তূপে,এটি মূলত পিতামহ ভীষ্ম এর চিতার স্বরূপ।

আরও একটি গল্প রয়েছে শাস্ত্রে পৌষ সংক্রান্তি সম্পর্কে, সেটা হলো এই পূণ্যদিনেই গঙ্গাকে মর্ত্যধামে নিয়ে এসেছিলেন যে ভগীরথ, তিনি গঙ্গাজলে স্নান করেছিলেন এবং এইদিনেই তাঁর সকল পিতৃপুরুষের মুক্তিলাভ ঘটে। এই কারণেই এই পূণ্যদিনে এখনও বহু মানুষ গঙ্গাস্নান করেন পুণ্যলাভের আশায়।

সূর্যের উত্তরায়ণের সময় এইসকল কারণে এত পুণ্যসময় হওয়ায় এখনো মানুষ বিভিন্ন পুণ্যকাজ সম্পন্ন করে ও আনন্দের সাথে পৌষ সংক্রান্তি পালন করে থাকে।
পশ্চিমবাংলায় এই সময় কৃষকেরা ক্ষেতের পাকা আউশ ধান কেটে ঘরে তুলে সেই ধানের গুঁড়ো দিয়ে পিঠে তৈরি করে 'আউনি-বাউনি' পুজো করে থাকে। আসামের "বিহু", পাঞ্জাবের "লোহরি" এর পাশাপাশি তামিলনাড়ুতে "পোঙ্গল" উৎসব এবং গুজরাটে এইদিন ঘুড়ি উড়িয়ে "উত্তরায়ণ" উৎসব পালন করা হয়।।

🔰চিত্রসম্ভার - নিজস্ব।
🔰 তথ্য ঋণ- ইন্টারনেট।
© FoovelADDA

12/12/2023

জানেন কি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম রেল সেতু কোনটি? অনেকে হয়ত ভাবছেন - হাওড়া ব্রিজ। অথচ হাওড়া ব্রিজের আগে তৈরী হয়েছিল এই রেলব্রিজ। এটি কোন ব্রিজ জানতে দেখে ফেলুন আমাদের YouTube Channel এর শর্টস

https://youtube.com/shorts/y2osf6e4bwQ?si=HPV7nfl3SjaqwR3-

07/12/2023

হালকা শীতের বর্ষামুখর আবহাওয়ার আদর্শ খাবার গোবিন্দভোগ চালের খিচুড়ি, আলুর দম এবং পাঁপড় ভাজা।😋 পুরো জমে ক্ষীর।❤️

17/11/2023

https://youtube.com/shorts/9Pa6Jche0os?si=hBnDNp25paM-OEZ8

❤️🤤🍜😋

POV: You are a noodles-chili chicken lover🍜🤤 𝑪𝒐𝒏𝒏𝒆𝒄𝒕 𝒘𝒊𝒕𝒉 𝒖𝒔 𝒐𝒏👇•Foovel ADDA page link-https://www.facebook....

10/11/2023

নমস্কার। শুভ সন্ধ্যা। একটি ঘোষণার জন্য এখনকার এই পোস্টটির অবতারণা। অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি,আমরা আমাদের পেজের পাশাপাশি Foovel ADDA নামের ইউটিউব চ্যানেল খুলে ফেলেছি এবং প্রথম ভিডিও চলে এসেছে।
আপনারা সবাই আমাদের ফেসবুক পেজকে যেভাবে ভালোবাসা দেন, আশা করি সেভাবেই আমাদের YouTube channel এর পাশে থাকবেন। নীচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে ঝটপট YouTube এ আমাদের ভিডিও টি দেখে ফেলুন।
ভিডিও ভালো লাগলে পেজের পাশাপাশি Foovel ADDA YouTube Channel কে সাবস্ক্রাইব করুন এবং কনটেন্টে লাইক, কমেন্ট করুন এবং সবার মধ্যে শেয়ার করুন। ধন্যবাদ।😊

বেলঘরিয়ার সেরা বিরিয়ানি কী Biryani | Belgharia best biryani_______________________________সবাইকে নমস্কার। Foovel ADDA তে আপনাদের সকলকে স্বাগতম। আম...

09/11/2023

হালকা শীতের সন্ধ্যায় এমন ভাজাভুজি হলে আর কী চাই! 😋❤️ ছবিতে- চিকেন পকোড়া, ফিশ ফিঙ্গার এবং চিংড়ির চপ।🍗🐠🍤😋