পুরনো স্মৃতি

পুরনো স্মৃতি kechu jana

কাজী নজরুল ইসলাম এর পুত্র বধূ ----- উমা কাজীবিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সেবিকার যত্নে, মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন য...
21/12/2024

কাজী নজরুল ইসলাম এর পুত্র বধূ
----- উমা কাজী

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সেবিকার যত্নে, মায়ের স্নেহে আগলে রেখেছিলেন যিনি, তিনি উমা কাজী। এই ব্রাহ্মণ-কন্যাটি ছিলেন কবির পুত্র কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, বিদ্রোহী কবি নজরুলের পুত্রবধূ।

“যেখানেতে দেখি যাহা;
মা-এর মতন আহা।
একটি কথায় এত সুধা মেশা নাই,
মায়ের মতন এত
আদর সোহাগ সে তো
আর কোনোখানে কেহ পাইবে, ভাই !

কাজী নজরুল ইসলাম নিজের "মা"বাদেও আর একজন নারীর মধ্যে নিজের মাকে খোঁজে পেয়েছিলেন !
যে নারী সন্তানের মতো নির্বাক ও প্রায় স্মৃতিশক্তিহীন কবি নজরুলকে মায়ের ভালোবাসায় আবদ্ধ রেখেছিলেন। আর স্নেহ-মায়া, ভালোবাসায় দিয়ে, যে সমস্ত রকম ভেদাভেদ দূর করা যায়,তার উদাহরণ
উমা কাজী এই মানুষটি।

কাজী নজরুল-এর বড় ছেলে কাজী সব্যসাচীর স্ত্রী, অর্থাৎ নজরুলের পুত্রবধূ।
আসলে, তিনি ছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। হিন্দু ও ব্রাহ্মণ পরিবারের কন্যা হয়েও মুসলিম পরিবারের পুত্রবধূ হয়েছিলেন !
সেই অনেক বছর আগে।উমার বাবা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং মা বাদলা মুখোপাধ্যায়। তার জন্ম বর্ধমানের কাটোয়া অঞ্চলে।

লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার ‘লেডি ডাফরিন মেডিকেল হাসপাতাল’ থেকে ট্রেনিং নিয়ে নার্স হয়েছিলেন উমা মুখোপাধ্যায়। থাকতেন সেখানকার নার্সিং হোস্টেলেই। ছোটকাল, থেকেই সেবিকা হতে চাইতেন তিনি। সেখানকারই এক হেড নার্স ঊষা দিদি, উমাকে এক নতুন পথের দিশা দেখান। উমাকে তিনি নিয়ে যান অসুস্থ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাড়ীতে। কবির সেবা করার জন্য প্রয়োজন ছিল এক নার্সের। নির্বাক কবি তখন কলকাতার মানিকতলায় থাকতেন।
নানা অসুস্থতায় জর্জরিত হলেও, দুই বাংলাতেই সমান্তরারালে তখন কবিকে নিয়ে কোনো অংশে উন্মাদনা কম নয়!
এমনই সময়ে কবির মাথার কাছে গিয়ে বসলেন তরুণী উমা।
নজরুলের স্ত্রী প্রমীলা দেবী বলেছিলেন, “তুমি কি পারবে 'মা' কবির সেবা করতে ? ঐ যে দ্যাখো, উঁনি খবরের কাগজ ছিঁড়ছেন। উঁনি এখন শিশুর মতো।
এ প্রশ্নের উত্তরে উমা বলেছিলেন, “আমরা তো কলকাতার হাসপাতালে শিশু বিভাগেই ডিউটি করেছি। কবি যদি শিশুর মতো হন, তবে নিশ্চয়ই পারবো।”
সেবা ও স্নেহের পথ পরিক্রমায় উমাই হয়ে উঠলেন কবি নজরুলের প্রিয় মানুষ। তাঁকে স্নান করানো, খাওয়ানো, দেখ-ভাল করা, গল্প শোনানো। উমার হাতের স্পর্শ যেন কবির কাছে মায়ের আঁচলের মতো হয়ে ওঠে।🙏🙏🙏🙏

বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর পিঠ ঝেড়ে দিলেন আশুতোষ সোমের কন্যা রানু। সত্যেন বসু আরাম করে তক্তপোষে বসে রানুর মায়ের দিকে তাকিয়ে হে...
20/12/2024

বিজ্ঞানী সত্যেন বসুর পিঠ ঝেড়ে দিলেন আশুতোষ সোমের কন্যা রানু। সত্যেন বসু আরাম করে তক্তপোষে বসে রানুর মায়ের দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন 'এইবার আপনার হাতের চা চাই এক কাপ'৷ রানুর মা বললেন আপনি গাছপালা গুলো পিঠে করে কেন হেঁটে এলেন, একটা গাড়ি আনতে পারতেন? এবার সত্যেন্দ্রনাথ সহাস্য-'পেলুম কোথায়? পাঠালাম মালিকে সে যে গেল তো গেল আমি চলে এলুম'৷
সাহিত্যিক প্রতিভা বসু(রানু) মুগ্ধ হয়েছিলেন বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর ঢাকার বড় ফুলের বাগানে আলো করে থাকা কলাবতী গাছের ফুল দেখে৷ তাঁর মুগ্ধতা এড়িয়ে যায় নি বিজ্ঞানীর দৃষ্টি৷ সত্যেন বোস বললেন' তোমার চাই নাকি এরকম গাছ'? সেদিন রানুর সাথে তাঁর বাবা ছিলেন তিনি বললেন তাদের জায়গা নেই, পাল্টা সত্যেন বসু বলেদিলেন রানু টবে ফুল করবে৷
প্রতিভা বসু (রানু) সত্যেন বসুর খুব প্রিয়পাত্র ছিলেন। বলা বাহুল্য সত্যেন বসুর বাড়ি থেকে রানুদের বাড়ির দুরত্ব নেহাত কম ছিল না৷ রানুরা থাকতেন বনগ্রাম নামে একটি পাড়ায়, বিজ্ঞানী রমনায়৷ যাতয়াতের মাধ্যম বলতে ছিল হয় ঘোড়ার গাড়ি না হয় সাইকেল৷
রানু হতে পারতেন গায়িকা। তবে হলেন লেখিকা।
শৈশবেই ঢাকা শহরে সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল রানুর। পরবর্তী সময়ে সময়ে সৃজনশীল
সাহিত্যিক হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। স্বামী বুদ্ধদেব বসুর পাশেও স্বকীয়তায় উজ্জ্বল।
সরযুবালা সোম ও আশুতোষ সোমের কন্যা রানু সোমই উত্তরকালে বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট কথাশিল্পী প্রতিভা বসু। গল্প-উপন্যাসের মাধ্যমে বাংলা কথাসাহিত্যে বিশেষ স্থান অর্জনের সঙ্গে ঝখ ছিলেন কবি নজরুলের গুণী সংগীত-শিক্ষার্থী; সাংসারিক জীবনে বুদ্ধদেব বসুর জীবনসঙ্গী শুধু নন, সাহিত্য সঙ্গীও বটে।
তবে সত্যেন বসুর বাড়িতে সেদিন ফুল নিয়ে কথা আর খুব বেশি এগিয়ে যায় নি৷ অবশ্য রানুর ভাললাগার বিষয়টি ভুলে যান নি সত্যেন বোস।
রানু বরং ভুলে গিয়েছিলেন ফুলের ঘটনা। কয়েকদিন বাদে চমক, অবাক হয়ে দেখলেন কাঁধে অনেক কলাবতী গাছ চাপিয়ে বিজ্ঞানী সত্যেন বসু হেঁটে হেঁটে আসছেন৷ ঝুরঝুরে মাটিতে বিজ্ঞানীর পাঞ্জাবী পিঠ ছেয়ে গেছে,সেদিক ভ্রুক্ষেপই নেই৷ এসেই গাছগুলো মাটিতে ফেলে রানু কে বললেন 'এই নাও তোমার গাছ নাও'৷ এই ঘটনায় প্রতিভা বসুর বাবা-মা কার্যত মেয়ের উপর একটু অসন্তুষ্ট হয়েছেন,রানু সত্যেন বসুর পিঠ ঝেড়ে দিলেন, তিনি আরাম করে তক্তপোষে বসে তাঁর মায়ের দিকে তাকিয়ে হেসে বললেন 'এইবার আপনার হাতের চা চাই এক কাপ'৷ গতকাল ছিল প্রতিভা বসুর প্রয়াণ দিবস আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সংকলনে অরুণাভ সেন।।
গ্রন্থঋণ,কৃতজ্ঞতা স্বীকার,নানাচোখে বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু,সংকলন ও সম্পাদনা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়,সত্যেন্দ্রনাথ বসু,শ্যামল চক্রবর্তী, আনন্দবাজার পত্রিকায় ঋজু বসুর নিবন্ধ...... 🙏🙏🙏

তার বাঁকা ঠোঁটের হাসি আজও মন কেড়ে নেয় আপামর বাঙালির। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালে থমকে যায় সময়, তিনি বাঙালির মহানায়িকা, তিনি ...
19/12/2024

তার বাঁকা ঠোঁটের হাসি আজও মন কেড়ে নেয় আপামর বাঙালির। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালে থমকে যায় সময়, তিনি বাঙালির মহানায়িকা, তিনি সুচিত্রা সেন(Suchitra Sen)। তাঁর কোনও তুলনা হয় না, তবে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে এক ছবি। সেই হাসি, সেই চাউনি দেখে কয়েক পলকের জন্য থমকে যেতে হয়েছে নিজের ফেসবুক ফিডে।
সুচিত্রা সেনের পর তাঁর লুকে বাঙালিকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছেন মহানায়িকার নিজের রক্ত, তাঁর নাতনি রাইমা সেন এবং অভিনেত্রী পাওলি দাম। তবে যে ছবি ঘিরে এত আলোচনা, সেই ছবিটি কার চিনতে পেরেছেন? এই ছবি জি বাংলার রাইপূর্ণার অর্থাৎ অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতির। দিন কয়েক আগে নিজের ফেসবুকে এই ছবি শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, 'এমনি'।

এমনি এমনি এই ছবি এমন ভাইরাল হবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি নায়িকা। সোমবার রাতে এই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে নেন পরিচালক রাজর্ষি দে। সঙ্গে লেখেন, 'এই হাসিতেই শান্তি'। পরিচালক পোস্ট দেখেও অনেকেই বিচলিত। এই ছবির রহস্য জানতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল আরাত্রিকার সঙ্গে। মিঠিঝোরার সেট থেকেই ফোন ধরলেন। আরাত্রিকা জানালেন, 'বিশ্বাস করো আমি ভাবিনি ছবিটা এইরকমভাবে সবার মনে দাগ কাটবে। বিশেষ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে ছবিটা তুলিনি। এটা কোনও শ্যুটের ছবি নয়। আলাদা করে মেকআপ করিনি। মিঠিঝোরার শ্যুটিং থেকে ফিরে, এমনি বাড়িতে একটু রেট্রো স্টাইলে চোখ এঁকেছিলাম। এরপর নিজের ফোনের ক্যামেরাতে সেলফিটা তুলেছি'।

অভিনেত্রী জানালেন, স্বর্ণযুগের বাংলা ছবির নায়িকাদের লুক তাঁর খুব পছন্দ। সেই কারণে সাদাকালো ছবি তুলতে ভালোবাসেন তিনি। সঙ্গে জানাতে ভুললেন না পুরোনো দিনের বাংলা ছবি দেখেন বলেই তিনি সেই নিয়ে খুব দ্বিগজ এমনটা নন। আরাত্রিকার কথায়, 'আমি কায়দাবাজি করে ছবিটা তুলেছিলাম। এমন সাড়া পাব ভাবিনি'।

সুচিত্রা সেনের সব ছবিই আরাত্রিকার খুব প্রিয়। আলাদা করে বলেলন, 'দেওয়া-নেওয়া, সপ্তপদী বহুবার দেখেছি। রিনা ব্রাউন চরিত্রটা আমার ফেভারিট। বাকি আমি তো নগণ্য, ওঁনাকে নিয়ে কী আর বলব'।

রাজর্ষি দে তাঁর ছবি শেয়ার করেছেন, সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে আরাত্রিকা বললেন, 'আমি ভেবেছি ভুল করে আমার ছবি শেয়ার করে ফেলেছেন রাজর্ষিদা। কাল রাত ২টোর সময় আমাকে শ্রুতিদি (দাস) মেসেজ করেছে। ওই পোস্টটার লিঙ্ক আর স্ক্রিনশট পাঠিয়ে আমাকে বলছে, দেখ রাজর্ষিদা তোর ছবিটা পোস্ট করেছে। আমি তো কমেন্টে গিয়ে লিখছি- এটা তো আমার ছবি'। জবাবে পরিচালক জানিয়েছেন, 'এই হাসি যার, ছবি তো পৃথিবীর'।

ভবিষ্যতে যদি কখনও পর্দায় সুচিত্রা সেনের চরিত্রে অভিনয়ের অফার আসে? লুফে নেবেন? প্রশ্ন শুনেই আকাশ থেকে পড়লেন আরাত্রিকা। জবাব, 'প্রত্যেক অভিনেত্রীর কাছে এটা বিরাট একটা আর্শীবাদ। সঙ্গে বিরাট বড় চ্যালেঞ্জও পর্দায় মহানায়িকার চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা। সম্প্রতি দর্শনাদি (বণিক) যমালয়ে জীবন্ত ভানু-তে সুচিত্রা সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যে-কেউই এই সুযোগ পাক না কেন, মহানায়িকার চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলা বীভৎস বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ আমরা কেউ ওঁনার নখতুল্য নই। তবে নিঃসন্দেহে চেষ্টা করব যদি ওঁনার ১% পর্দায় তুলে আনা যায়'।

কলকাতার ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজ তৈরির সময় একটা বড় ভুল হয়েছিল, জানেন? 🤔১৯৩৫ সালে, যখন হাওড়া ব্রিজের কাজ শুরু হয়, তখন ব...
18/12/2024

কলকাতার ঐতিহাসিক হাওড়া ব্রিজ তৈরির সময় একটা বড় ভুল হয়েছিল, জানেন? 🤔

১৯৩৫ সালে, যখন হাওড়া ব্রিজের কাজ শুরু হয়, তখন ব্রিজটি তৈরি করার জন্য ধাতুর পরিমাণ ভুলভাবে হিসাব করা হয়েছিল। টালা ব্রিজ তৈরির অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে প্রথম পরিকল্পনাটি করা হয়েছিল। কিন্তু হুগলি নদীর স্রোত এবং নৌ-চলাচলের চাপ এই হিসাব সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে।

পরিকল্পনাটি পরিবর্তন করতে হয়, এবং তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ব্রিজটি হবে "ক্যান্টিলিভার" ডিজাইনের, যাতে পিলার ছাড়াই পুরো ব্রিজ ঝুলে থাকবে। কিন্তু মজার ব্যাপার, সেই ছোট্ট ভুলের কারণে ব্রিজটি আজ এত সুন্দর এবং স্থায়ী একটি স্থাপত্যে পরিণত হয়েছে।

📌 মজার তথ্য:

হাওড়া ব্রিজ তৈরিতে ব্যবহার করা লোহা ছিল বিশেষ ধরণের "টিস্ক্রোমেল্ট স্টিল", যা একেবারে ভারতে তৈরি।

এটি নির্মাণে মোট ২৬,৫০০ টন স্টিল ব্যবহার হয়েছিল।

ব্রিজটি ১৯৪৩ সালে খুলে দেওয়া হয়, এবং আজও এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ততম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ।

আপনার কি মনে হয় সেই ভুলটি না হলে ব্রিজটি এত বিখ্যাত হতো? কমেন্টে জানান! 💬🙏🙏🙏🙏

‘প্রথম দিন ক্লাশে এসে স্যার আমাকে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা খাতা আনতে বললেন যা তাঁর নির্দিষ্ট লকার আছে সেখান থেকে। আমি ঘরে ...
17/12/2024

‘প্রথম দিন ক্লাশে এসে স্যার আমাকে ছাত্র-ছাত্রীদের হাজিরা খাতা আনতে বললেন যা তাঁর নির্দিষ্ট লকার আছে সেখান থেকে। আমি ঘরে ঢুকে তন্ন তন্ন করে খুঁজি। স্যরের লকারের সন্ধান পাই না। সকলের নামেই লকার রয়েছে, কেবল স্যরের লকারটি দেখা গেল না। আমি বিমর্ষ হয়ে ফিরে এসে সেকথা জানালাম স্যরকে। স্যর তো শুনে অবাক। সে কী, আমার লকারটাই খুঁজে পেলে না। তারপর ভেবে বললেন কী নাম দেখেছিলে? আমি বলি, কেন আপনার যা নাম, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়। স্যর এবার হাসলেন। তার হাসি তো নয়, ভুবন মন মোহিনী। বললেন, দেখ তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় লেখা যে লকার সেটাই আমার। এই প্রথম জানলাম স্যরের ছদ্মনাম নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।’

গল্পটা শুনিয়েছিলেন আমাদের মাস্টারমশাই বরুণকুমার চক্রবর্তী। প্রকৃতই, সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় বাবা-মায়ের দেওয়া নামটাই চাপা পড়ে গিয়েছিল। একমাত্র ছাত্র-সহকর্মীদের কাছে তিনি ছিলেন টিএনজি স্যর। কথাকার, ছোটগল্পকার, নাট্যকার, টেনিদার স্রষ্টা হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন, তেমন ছিলেন মাস্টারমশাই হিসেবেও।

তাঁর শিক্ষক-জীবন শুরু ১৯৪২-এ, জলপাইগুড়ির আনন্দচন্দ্র কলেজে। তার পরে দীর্ঘকাল কলকাতার সিটি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। শেষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান। আমৃত্যু সেখানেই অধ্যাপনা করেছেন। অসামান্য বাচনভঙ্গি, কঠিন বিষয়কে সহজ করে বলার ক্ষমতা, দেশি-বিদেশি সাহিত্য সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান তাঁকে অভূতপূর্ব জনপ্রিয়তা দিয়েছিল।

শিক্ষক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পর্কে মুগ্ধতার উল্লেখ রয়েছে তাঁর নানা কৃতী ছাত্রের কথায়। কবি অমিতাভ দাশগুপ্ত অনার্স ও এমএ, দু’ক্ষেত্রেই নারায়ণবাবুর ছাত্র ছিলেন। অনার্স পড়েছেন সিটি কলেজে। এমএ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি জানাচ্ছেন, ‘হলফ করে বলছি, যারা নারায়ণবাবুকে ক্লাশ নিতে দেখেন নি, তাঁরা অনুমানও করতে পারবেন না যে একজন শিক্ষকের জনপ্রিয়তা কোনখানে পৌঁছতে পারে। অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন তো দূরের কথা, বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্রছাত্রীরাও তাঁর ক্লাশে হামলে পড়ত। দশ বা এগারো নম্বর ঘরের করিডোর দিয়ে মাছি গলতে পেতো না।’ নারায়ণবাবুর একদা ছাত্র লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ও তাঁর মাস্টারমশাইয়ের আশ্চর্য স্মৃতিশক্তির কথা শুনিয়েছেন। লেখকের কথায়, ‘কলেজ ছাড়ার পাঁচ ছ বছর বাদে ওর সঙ্গে এক জায়গায় দেখা। আমার দৃঢ় ধারণা, উনি আমাকে চিনতে পারবেন না। মাত্র বছর দেড়েক ওঁর ছাত্র ছিলুম, পোষ্ট গ্রাজুয়েট ক্লাশও পড়িনি —আমাকে চিনতে পারার কোনো প্রশ্নই ওঠে না— কিন্তু উনি ঠিক আমাকে দেখেই এক নিমেষও চিন্তা না করে বললেন, কি সুনীল কেমন আছো? তারপর আমাদের ব্যাচের অন্যান্য ছেলে—ফণিভূষণ আচার্য, মোহিত চট্টোপাধ্যায়, শিবশম্ভু পাল প্রভৃতির কথাও জিজ্ঞেস করলেন। আমি স্তম্ভিত।’

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন অসাধরণ স্মৃতিশক্তির নানা বর্ণনা ধরা রয়েছে তাঁর একদা সহকর্মী অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রমথনাথ বিশীর অনেক লেখাতেও। সহকর্মী বা ছাত্রছাত্রীর লেখা কবিতা একবার শুনে বা পড়ে দীর্ঘদিন পরেও গড়গড় করে বলে দিতে পারতেন।

মানুষটি বেশ রসিক ছিলেন। নিজেও হাসতেন, অন্যদেরও হাসাতেন। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিশতেন বন্ধুর মতো। এক জন সাহিত্যিকের শিক্ষক হিসাবে জনপ্রিয়তার দৃষ্টান্ত বিরল। শিক্ষকতাকেও শিল্পের পর্যায়ে উন্নীত করতে আর কেউ পেরেছিলেন বলে মনে হয় না। শুধু শ্রেণিকক্ষে পাঠদান নয়, তাঁর শিক্ষাদান চলত শ্রেণিকক্ষের বাইরেও। আবিষ্কার করেছেন তাঁর ছাত্র, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। বহু কাহিনির চিত্রনাট্যকার নারায়ণবাবুর কাছে সংলাপের পাঠ বুঝে নিতে যেতেন উত্তম কুমার। পাঠ দিতে গিয়েছেন সুচিত্রা সেনের বাড়িতেও।

এর পাশাপাশি অন্য দিকও ছিল। মৃত্যুর তিন বছর আগে অসুস্থ নারায়ণবাবু সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও স্ত্রী আশাদেবীকে নিয়ে উত্তরবঙ্গের বন্যার পরে কলকাতার পথে শোভাযাত্রা করেছিলেন। উদ্দেশ্য, বন্যাপীড়িতদের সাহায্য করা। শ্যামবাজার থেকে মিছিল বেরিয়েছিল। সে দিন প্রচণ্ড রোদ। রোদের মধ্যেই ঘণ্টা চারেক পায়ে হেঁটে ঘুরে নারায়ণবাবু শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

এই ছাত্রদরদী, জনদরদী শিক্ষকের জন্মশতবর্ষ গত বছর নিঃশব্দে পার হয়ে গেল। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দু-একটি সেমিনার, কিছু পত্রিকায় নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে বিশেষ সংখ্যার বাইরে আমরা শিক্ষক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়কে সঠিক মর্যাদা দিতে পেরেছি কি? তাঁর নামাঙ্কিত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে আজও একটা ‘চেয়ার’ হল না। এ আমাদের আক্ষেপ। লজ্জাও বটে!

লেখা: জয়ন্ত সিংহ মহাপাত্র
🙏🙏🙏

সত্যজিৎ রায়❤️পথের পাঁচালী   সত্যজিত রায়ের " পথের পাঁচালী"- র ইন্দির ঠাকরুন এর ভূমিকায় অভিনেত্রী" চুনীবালা দেবী" -হলেন আ...
16/12/2024

সত্যজিৎ রায়❤️

পথের পাঁচালী
সত্যজিত রায়ের " পথের পাঁচালী"- র ইন্দির ঠাকরুন এর ভূমিকায় অভিনেত্রী" চুনীবালা দেবী" -হলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্না প্রথম ভারতীয় অভিনেতা / অভিনেত্রী। এ খবর সম্ভবত আমরা খুব কম জনই রাখি! আজ সেই চুনীবালা দেবীকে নিয়ে অনেকের কাছে কিছু অজানা খবর নিয়ে " জানার কোন শেষ নাই " এর দরবারে পেশ করতে এসেছি।

❤️❤️

সত্যজিত তখন" পথের পাঁচালী " সিনেমার হরিহর, সর্বজায়া,অপু, দুর্গা সব চরিত্রের অভিনেতা/ অভিনেত্রী পেয়ে গেছেন কিন্ত ইন্দির ঠাকরুন চরিত্রের অভিনেত্রীকে খুঁজে পাচ্ছেন না। মাথায় হাত। ঐ রকম একজন বৃদ্ধা অভিনেত্রী না পেলে যে এ সিনেমা করাই যাবে না! অবশেষে সন্ধান মিলল ঠাকরুনের। পাইকপাড়ায় থাকেন এক বৃদ্ধা। বয়েস আশি। নাম তার চুনীবালা দেবী।
এক সকালে সত্যজিত হাজির হলেন চুনীবালা দেবীর বস্তির বাড়ীতে। সত্যজিত একটা মোড়ায় মুখোমুখি বসলেন চুনীবালার সামনে।বহুদিন আগে একটি সিনেমার ছোট্ট একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছিলেন।সত্যজিত রায় একজায়গায় বলেছেন... তখন চুনীবালা দেবীর বয়েস আশি পেরিয়ে গেছে। তোবড়ানো গাল,দেহের চামড়া ঝুলে পড়েছে। ঠিক যেমনটি সত্যজিত ভেবেছিলেন এই চরিত্রটিকে ঠিক তেমনি। কথায় কথায় সত্যজিত জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি পথের পাঁচালী পড়েছেন? বৃদ্ধা চুনীবালা অল্প লেখাপড়া শিখেছিলেন। কিছু বইও পড়েছিলেন।
চুনীবালা বললেন, হ্যাঁ পড়েছি বাবা।
- সিনেমায় ইন্দির ঠাকরুন করতে পারবেন?
চুনীবালা ফোকলা দাঁত বার করে হেসে বললেন, " তা তোমরা একটু শিখিয়ে পড়িয়ে নিলে পারবো বই কি বাবা!"
সত্যজিত বললেন, "বলুন তো একটা ছড়া? শুনি একটু।"
চুনীবালা " ঘুম পাড়ানির মাসিপিসি... " পুরো ছড়াটা গড়গড় করে সুন্দর করে বলে দিলেন। সত্যজিত পরে একজায়গায় বলেছেন, ঐ ছড়াটা আমি চার লাইনের বেশি বলতে পারতাম না। কিন্তু উনি সবটা বলে দিলেন। এই বয়েসে আশ্চর্য স্মৃতি দেখে সত্যজিত স্তম্ভিত হয়ে গেলেন! সত্যজিত বুঝে গেলেন ইন্দির ঠাকরুন পেয়ে গেছেন।
কিন্তু কলকাতা থেকে বড়াল গ্রামে প্রতিদিন শুটিং - এ যাবার ধকল এই বয়েসে নিতে পারবেন কিনা জিজ্ঞাসা করাতে চুনীবালা বললেন", খুব পারবো। তোমরা এত কষ্ট করে বই করছো, ওটুকু কষ্ট আমি ঠিক করতে পারবো। "
ওনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল প্রতিদিন কত টাকা পারিশ্রমিক নেবেন। উনি বলেছিলেন "দিনে দশ টাকা দিও। " সত্যজিত বলেছিলেন, " আপনাকে প্রতিদিন কুড়ি টাকা দেওয়া হবে।"
শুটিং এগিয়ে চলল। প্রতিদিন সকালবেলায় ট্যাক্সি করে চুনীবালাকে শুটিং স্পটে নিয়ে যাওয়া হত। সন্ধ্যেবেলায় আবার ট্যাক্সি করে ফিরিয়ে দেওয়া হত বাড়িতে।
সত্যজিত একদিন চুনীবালাকে জিজ্ঞাসা করলেন," আপনি ধর্মমূলক গান গাইতে পারবেন?" চুনীবালা বললেন, পারবো।"
পথের পাঁচালীতে চুনীবালা চাঁদনি রাতে দাওয়ায় বসে হাততালি দিয়ে গাইছেন সেই গান " হরি দিন তো গেল সন্ধ্যা হলো, পার করো আমারে... "
এই গানটা চুনীবালা সত্যজিত রায়কে শুনিয়েছিলেন। সেই খালি গলায় গান শুনে সত্যজিত মুগ্ধ!সেই গানই রেকর্ড করা হল। ছবিতে খালি গলায় সেই গানই গাইলেন চুনীবালা। এক অসম্ভব সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে সেই গান পথের পাঁচালী ছবিকে এক অন্য জগতে পৌঁছে দিলেন চুনীবালা।
পথের পাঁচালী সিনেমা ১৯৫২ সালে এক শরতকালে কাশ ফুল আর রেলগাড়ির দৃশ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল ; শেষ হতে সময় নিয়েছিল তিন বছর। ১৯৫৫ সালে ২৬ অগাস্ট পথের পাঁচালী মুক্তি পেয়েছিল। সেই বছরেই নিউইয়র্কেই এ ছবি প্রথম মুক্তি পেয়েছিল।
সত্যজিত বুঝেছিলেন এ ছবির মুক্তি চুনীবালা দেবী দেখে যেতে পারবেন না। তাই একদিন প্রজেকটার মেশিন নিয়ে সত্যজিত রায় এ সিনেমা চুনীবালাকে তাঁর বাড়িতে দেখিয়ে এসেছিলেন। চুনীবালা পথের পাঁচালি ছবি বাড়িতে বসেই দেখে গেছলেন, মুক্তির আগে মহান হৃদয় সত্যজিত রায়ের উদ্যোগে।
ছবির মুক্তি চুনীবালা দেখে যেতে পারেননি তার আগেই " হরি দিন তো গেল সন্ধ্য হলো পার করো আমারে.. " গাইতে গাইতে চলে গেলেন!
এবার আসল চমক এলো! ম্যানিলা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আন্তর্জাতিক সম্মানের পুরস্কারে সম্মানিতা অভিনেত্রীর নাম ঘোষিত হল। চুনীবালা দেবী হলেন, ভারতীয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীর মধ্যে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মানে ভূষিতা অভিনেত্রী! এক বিরল সম্মানের অধিকারিনী। অনেকেই সম্ভবত এ খবর জানেন না।
কিন্তু এই পুরস্কার তিনি গ্রহণ করতে ম্যানিলায় যেতে পারেননি কারণ তার আগেই তিনি বিদায় নিয়েছিলেন।
দুর্ভাগ্য চুনীবালার! দুভার্গ্য বাঙালির !
ইন্দির ঠাকরুন " চুনীবালা" - র প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।

(সংগৃহীত)🙏🙏🙏

গুরুদেবের পাশের ওই ব্যক্তিটির একক ছবি দিয়েও আজকের এই পোষ্ট দেওয়া যেত। হয়তো সেটা সঙ্গতও হত। কিন্তু ওই ব্যক্তিটি নিজের জীব...
12/12/2024

গুরুদেবের পাশের ওই ব্যক্তিটির একক ছবি দিয়েও আজকের এই পোষ্ট দেওয়া যেত। হয়তো সেটা সঙ্গতও হত। কিন্তু ওই ব্যক্তিটি নিজের জীবনে নিজেকে কখনই 'রবীন্দ্রনাথ' থেকে পৃথক করে ভাবেননি। বলতে গেলে রবীন্দ্রনাথের আদর্শ, পরিকল্পনা, চিন্তাভাবনা, এই সব কিছুকেই সফলভাবে রূপায়ণ করাকেই নিজের জীবনের এক এবং একমাত্র লক্ষ্য ও দায়িত্ব হিসাবে মাথায় তুলে নিয়েছিলেন ওই মানুষটি। আজীবন কাল তিনি নিজেকে নিভৃতে রেখে রবীন্দ্রনাথের কর্মকাণ্ডকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে গেছেন। অথচ এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না! কারণ তিনি নিজেও যে ছিলেন যথেষ্ট গুণের অধিকারী। বাংলা ইংরেজি দু'ভাষাতেই চমত্‍কার লিখতেন, ছবি আঁকতেন, কাঠের কাজ আর উদ্যানচর্চায় ছিলেন সিদ্ধহস্ত। কৃষিবিজ্ঞানের ভাল ছাত্র, খেলাধুলোয় উত্‍সাহী, সংগঠনী ক্ষমতা যথেষ্ট। ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় কসমোপলিটান ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সেই ক্লাবের বেসবল টিমের তিনি উত্‍সাহি উদ্যোক্তা। আর এত সবকিছু পরেও যা পড়ে থাকে, যেটা সবথেকে বড় পরিচয়, ওঁর পিতার নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আর এইখানেই এসে পড়ে তাঁর উপরে এক বিশাল চাপ। প্রত্যাশার চাপ। এমনকী জন্মের আগে থেকেই তাঁর উপরে এসে পড়েছিল এই চাপ। বিখ্যাত বাবা আর সুখ্যাত পরিবারের সন্তান হওয়ার যে কী জ্বালা!
পিতা রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা আর আনুগত্যের কারণে তাঁর নিজের সমস্ত গুণ এবং বিদেশের গবেষক জীবনের ভবিষ্যত্‍ ফেলে পিতার কাজে যোগ দিয়েছিলেন। বিশ্বভারতীর জন্য কত কিছু যে করেছেন!
পিতার আদর্শকে রূপ দিয়ে যখন সফলকাম হয়েছেন তখন সমস্ত প্রশংসা আর অভিনন্দনের মালায় অভিনন্দিত হয়েছেন কবি। কিন্তু যখন ব্যর্থ হয়েছেন তখন সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে নতমুখে সরে গিয়েছেন কবিপুত্র - এমনকি সে-ব্যর্থতায় নিজের ত্রুটি না থাকলেও।
আজীবন নিভৃতচারী এই মানুষটির আজ জন্মদিন। আমরা ক'জনই বা খবর রাখি, আজ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৮৮-১৯৬১) জন্মের ১৩৬ বছর! যদিও তিনি কবিপুত্র, বিশ্বভারতীর প্রথম উপাচার্য।
পিতা রবীন্দ্রনাথের পদপ্রান্তে ছড়ানো ছিল পুত্র রথীন্দ্রনাথের নিঃশব্দ সেবার ডালি। বলাবাহুল্য সেই মহান সেবা যদিও পিতা রবীন্দ্রনাথের উদ্দেশে উত্‍সর্গীকৃত, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা যে মানব-ইতিহাসের কাছেই নিবেদিত - তা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না॥....🙏🙏🙏

দেখে নিন শাশুড়ি হওয়ার সহজ উপায়১. ছেলের বিয়ে দে/বেন না। বিয়ে করতে দিন। পাত্রপাত্রী পছন্দ করতেও পারেন৷ কিন্তু বিয়েটা পাত্র...
11/12/2024

দেখে নিন শাশুড়ি হওয়ার সহজ উপায়

১. ছেলের বিয়ে দে/বেন না। বিয়ে করতে দিন। পাত্রপাত্রী পছন্দ করতেও পারেন৷ কিন্তু বিয়েটা পাত্রপাত্রীকেই করতে দিন। ওরা ভো/ট দিয়ে দেশের সর/কার নির্বাচন করতে পারেন কাজেই নিজেদের জীবনস/ঙ্গীও নির্বাচন করতে পারবেন

২. ছেলের বৌ এর মা হয়ে উঠতে যাবেন না সেক্ষেত্রে ছেলের বৌ আপনার ছেলের বোন/দিদি হয়ে যেতে পারে। ছেলের বৌ এর শাশুড়ি হয়ে উঠুন। ঐ সম্পর্কটা মাতৃত্বর মতো আগলে রাখার নয় বন্ধুর মতো পাশে থাকার। কারণ অ্যা/ডা/ল্ট মানুষকে আগলে রাখার দরকার হয় না,তাদের পাশে থাকার দরকার হয়

৩. ছেলের বৌ কী খেল কী পরলো কটায় বেরোলো এই ধরনের দাড়ো/য়ান/গিরি করার জন্য আপনি এক্সট্রা পয়/সা পাবেন না। ওটা ওনাকে নিজের দায়িত্বেই করতে দিন। উনি নিজের বাড়ি ছেড়ে আরেকবাড়িতে এসে ওঠার দ/ম দেখাতে পেরেছেন যখন তখন বাকিটাও পারবেন

৪. ছেলেকেও এগুলো নিজেকেই করতে দিন। সব জায়গায় সংসার আগলে খবর/দারি করতে যাবেন না। নতুন জেনা/রেশন আসছে তাদের সংসার তারা তাদের মতো করে ঠিক চালিয়ে নেবে। ভু/ল করলে ভুল থেকে শিখে নেবে। শিখিয়ে পড়িয়ে মানুষ করার দায়িত্ব আপনার ফুরি/য়েছে

৫. ছেলের বৌ ছেলের আ/য়া নয়, ছেলে খেল না কেন, স্নান করলো না কেন এগুলো নিয়ে ছেলের বৌএর কান মাথা খেয়ে নেবেন না। সবাই অ্যা/ডা/ল্ট। যে যেটা ভালো বুঝবে ঠিক করবে

৬. নিজের জীবন বাঁ/চুন। বাবুটা এরপর কী করবে? বাবুর কী হবে? বাবু কেন বদলে যাচ্ছে এসব নিয়ে একটু কম কা/ন্না/কাটি করুন

৭. নতুন লোকটি যিনি আপনার বাড়িতে আসছেন তাকেও তার জীবনটা বাঁ/চতে দিন। গ/ড়ে পি/টে নেওয়ার চেষ্টাও করবেন না। উলটো ফল হবে

৮. আপনার কিন্তু বয়সটা বাড়তির দিকেই যাবে কাজেই এখন আপনার এনা/র্জী আছে বলে এমন কিছু করবেন না যাতে মেয়েটি আপনার প্রতি শুরু থেকেই বিতৃ/ষ্ণ হয়ে থাকে। পরে তাহলে আপনার হেল্প এর দরকার হলে সে মন থেকে সেটা করতে পারবে না। জাস্ট দায়ত্ব পালন করে কাটিয়ে দেবে

৯. ভালোবাসা দিলে ভালোবাসা পাবেন। সেটা লোকদে/খানো না করলেও চলবে। মানুষ হিসেবে তাকে সম্মান করুন

১০. বাবু কবে বাবা হবে সেই চিন্তা আপনার নয়। কাজেই ওটা জাস্ট ভুলে যান। ছেলের বিয়ে দিয়েছেন আনন্দ করেছেন ওটাই থাক। তারপরের ডিসি/শনটা ছেলে ছেলেরবৌকেই নিতে দিন। আপনাকে মুখ দেখানোর জন্য সাত/তাড়/তাড়ি বা/চ্চার জ/ন্ম দিয়ে দিলে তো পরেরদিন বাচ্চাটা দা/ম/ড়া হয়ে উঠবে না। তারা তাদের বা/চ্চা তাদের সুবিধা মতোই নেবে।

নিজে ভালো থাকুন অন্যদের ভালো রাখুন🙏🙏

সংগৃহীত🙏🙏🙏

Address

Westbangal
Kolkata
711401

Telephone

+917074210119

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পুরনো স্মৃতি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to পুরনো স্মৃতি:

Share