বইদেশিক

বইদেশিক বইদেশিকের নিজস্ব প্রকাশনা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনী পেজ।

 #বইমেলারবই ২আসছে নভেম্বরেই...
23/10/2025

#বইমেলারবই ২

আসছে নভেম্বরেই...

"ব্যাপারটা হল, চায়ের কাপে বিস্কুট থাকলে তুফান উঠবে, বিতর্ক হবেই। বিস্কুট আমাদের জিভের স্বাদের মতোই মিশে গিয়েছে সাহিত্যে,...
22/10/2025

"ব্যাপারটা হল, চায়ের কাপে বিস্কুট থাকলে তুফান উঠবে, বিতর্ক হবেই। বিস্কুট আমাদের জিভের স্বাদের মতোই মিশে গিয়েছে সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে, মজ্জায় মজ্জায়। বিশ্বাস অনেক ক্ষেত্রে অন্ধবিশ্বাসের রূপ নিয়েছে। এই যেমন আয়ারল্যান্ডের গ্রামে একটা সময় বিশ্বাস করা হত, বালিশের নিচে বিস্কুট রেখে ঘুমলে নাকি সমৃদ্ধি আসবে। এমনকী সেখানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মৃতদেহের ওপরে বিস্কুট রাখার চলও প্রচলিত ছিল। সতেরো শতকে ইংল্যান্ডে তো মৃতের শেষযাত্রায় গির্জায় প্রার্থনার সময় ওয়াইনের সঙ্গে পরিবেশন করা হত বিস্কুট!

ভাবছেন, চা খাওয়ার নাম করে জ্ঞান দিচ্ছি। বিস্কুট নিয়ে লেকচার ঝাড়চ্ছি! না, মশাই! আষাঢ়ে গল্পো ফেঁদে বসিনি। বিস্কুটের দিব্যি!"

রোববার ডিজিটালে প্রকাশিত হল সুমন্ত চট্টোপাধ্যায়ের কলমে বইদেশিক এর বই বিস্কুট বিবর্তন বিশ্বায়ন বাণিজ্য সম্পর্কিত একটি নির্মেদ সমালোচনা।

লিঙ্ক প্রথম কমেন্টে।

 #পকেটবুক  ভারতের এই প্রত্যন্তিক প্রদেশের চলোৰ্ম্মি ইতিহাস ও কৃষ্টিসংঘর্ষের বিচার করিলে দেখা যায় যে প্রাচীন আর্য্য সভ্যত...
19/10/2025

#পকেটবুক
ভারতের এই প্রত্যন্তিক প্রদেশের চলোৰ্ম্মি ইতিহাস ও কৃষ্টিসংঘর্ষের বিচার করিলে দেখা যায় যে প্রাচীন আর্য্য সভ্যতা এখানে আগন্তুক্। তাহার পূর্বে, অস্ট্রিক্, নিগ্রোবটু, কিরাত, বোড়ো, তিব্বতীয় ও দ্রাবিড় মঙ্গোলিয়ানরা এখানে আসিয়াছে। অলৌহিত্য ব্রহ্মপুত্রের এপারে ওপারে মিকির, খাসি, জয়ন্তীয়ার পার্বত্য জাতিরা, পরবর্তীকালে সান জাতির অহম্ শাখার অভিযান, শ্রীহট্ট কাছাড় মণিপুর হেড়ম্ব দেশে মগধ গৌড় সভ্যতার ঢেউ, প্রাগজ্যোতিষ কামরূপে তন্ত্র মতের প্রতিষ্ঠা, তারও পূর্বে বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব আসাম সভ্যতা ও
সংস্কৃতিকে এক বিচিত্র রূপায়ণে পরিণত করিয়াছে।

এই সুদীর্ঘ কালের ইতিহাসের মণিমেঘলায় কত কথা ও কাহিনি কত কিম্বদন্তী কত গাথা যে গ্রথিত আছে তার ইয়ত্তা নাই। তার ঐতিহাসিক মূল্য কতটুকু নিক্তির ওজনে সমালোচকের নিরীখে তাহার বিচার হউক্ তাহাতে আপত্তি নাই, কিন্তু মানব মনের চিরন্তনী বেদনার ইতিহাসে রসবেত্তার মর্মকোষেও তাহার একটি নিজস্ব মূল্য আছে তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। নরক ভগদত্ত বাণ ঊষা অনিরুদ্ধ অর্জুন চিত্রাঙ্গদা উলুপী বঙ্গবাহন, ভীম হিড়িম্বা, ঘটোৎকচ, ভাস্কর বর্মা, হিউয়েন্থসাঙ, শীলভদ্র, কামেশ্বর মহাগৌরীর উপাসকরা, শালস্তম্ভ বংশীয় নৃপতিগণ, মৎস্যেন্দ্রনাথ, অভিনবগুপ্ত কুটিয়া জাতির আদি পুরুষ কুঞ্জী ও আদি জননী 'মামা' কমতাধিপতি পুথুরাজ, মূলাগাঙরু, হেড়ম্বপতি তাম্রধ্বজ, জৈন্তাধিপতি রামসিংহ, রাজা শিবসিংহ, রাণী ফুলেশ্বরী, চন্দ্রমালা, জয়মতী, কনকলতা, নিরঞ্জন বাপু, স্বর্গদেবগণ, বড় গোঁহাই, বুঢ়া গোঁহাই নিত্যপাল, তুলারাম ও সর্বোপরি মহাপুরুষ শঙ্করদেব, মাধবদেব, দামোদরদেব তাঁহাদের শিষ্যগণ আসামের ইতিহাস
জুড়িয়া বসিয়া আছেন। অনেকের মতে মুদ্রারাক্ষস আসামেই প্রণীত হইয়াছিল। ভাস্কর বর্মার পরবর্তী অবন্তী বর্মার সভা-কবি বিশাখ দত্তই নাকি ইহার রচয়িতা। অস্ত্রবোল দেশ হইতে যাঁহারা আসিয়া আসামে বসবাস করেন তাহারা হইলেন 'চোলিহা'। উড়িষ্যা হইতে রাজবংশীয় যে সব কুমারদের লইয়া আসা হইয়াছিল তাঁহাদের বংশধরেরাই যুবরাজ বা দুবরাজ হইতে 'দুধারায়' পরিণত হইয়াছিলেন।

আসামের ইতিহাসে যখন লাচিত বড়ফুকনের আবির্ভাব, তখন ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্য ধনে মানে বিস্তারে গৌরবের শীর্ষ স্থান অধিকার করিয়া আছে। আসমুদ্রহিমাচল বিস্তৃত মুঘল সাম্রাজ্যের পূর্ব প্রান্তে ক্ষুদ্র অহম্ রাজ্য তখন সদীয়া হইতে প্রায় কুচবিহার পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের উত্তরকুল দক্ষিণকুল ব্যাপিয়া বিস্তৃত ছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে চীন হইতে আগত টাই জাতির শান শাখার একটি বংশ ব্রহ্মপুত্র অধিকার করিয়া নিজ আধিপত্য স্থাপন করে। কামরূপ রাজ্য তখন হীনবল ও গতগৌরব। ছোটোখাটো অন্য রাজ্যগুলিও পরাক্রান্ত বৈদেশিক আক্রমণ পর্যুদস্ত করিতে অক্ষম। ইতিহাসের অন্যত্রও যা দেখা যায় এখানেও তার পুনরাবৃত্তি হইল। বিজেতারাই ক্রমশঃ বিজিত হইয়া পড়িল এবং পুরাদস্তুর হিন্দুভাবাপন্ন হইয়া প্রজাদের ধর্ম গ্রহণ করিল। সেই ধৰ্ম্ম কিছুটা বৌদ্ধ তান্ত্রিক ও প্রাচীন পার্বত্য জাতির প্রথা মিশ্রিত হইলেও মূলে ব্রাহ্মণ ধৰ্ম্ম। হিন্দুধর্ম্মের প্রাণশক্তির সঞ্জীবনী ধারা সব সময়েই আগন্তুকের কিছু না কিছু গ্রহণ করিয়া তাহাকে নিজের সঙ্গে একাত্মা করিয়া লইয়াছে। এই সমন্বয় ও সমীকরণ শক্তি অর্জন করিয়াছে,বর্জন করে নাই। ইহারই ফলে অস্ট্রিক কা-মা-ই-খা কামাখ্যা, কামেশ্বরী গৌরী হন, মহেন্দ্র দড়র ভু-মাতাকে দেখা যায় কিছু উৎসবে, হুণ হেলিও ডোরাস পরম ভাগবত হন, বৈদিক রুদ্র হন তান্ত্রিক শিব, শূন্য হন নিরঞ্জন, বুদ্ধদেব হন জনাৰ্দ্দন, ক্ষণিকবাদ মিশিয়া যায় ব্রহ্মবাদে। কবি বলিয়াছেন যে আমাদের এই মহাদেশ "সবার পরশে পবিত্র করা তীর্থ নীরে" আমরা মায়ের পূজার জন্য মঙ্গল ঘট ভরিতেছি। আসামে এই কথা সর্বতোভাবে বলা চলে।

আসামে আহোম রাজত্ব ও বীর লাচিত বড়ফুকন
সংকলন ও সম্পাদনা সৌমক পোদ্দার
মূল্য ১৫০/-
প্রচ্ছদ চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
বইদেশিক

" পরে আদিশূরের বংশ ধ্বংস হলে সেন বংশীয় রাজা বল্লাল সেন (আনুমানিক ১১৫৮ খ্রিস্টাব্দ) কাহ্নকুব্জাগত ব্ৰাহ্মণ বংশধরদের বিদ্...
17/10/2025

" পরে আদিশূরের বংশ ধ্বংস হলে সেন বংশীয় রাজা বল্লাল সেন (আনুমানিক ১১৫৮ খ্রিস্টাব্দ) কাহ্নকুব্জাগত ব্ৰাহ্মণ বংশধরদের বিদ্যা ও কুলাচারের অবনমন প্রতিরোধ হেতু কৌলিন্য প্রথার উদ্ভাবন করে আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপস্যা ও দান এই নয়টি গুণের অধিকারী ব্রাহ্মণদের বিশেষ সামাজিক মর্যাদা দিলেন। ফলে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণেরা মোট পাঁচটি শ্রেণিতে বিভক্ত হলেন। যথা— কুলীন, শ্রোত্রিও, বংশজ, গৌণ কুলীন ও সপ্তসতী।
কালক্রমে কুলীনদের সবকটি গুণ একে একে লোপ পেতে লাগলে ঘটকরাজ দেবীবর কুলীন ব্রাহ্মণদের দোষ অনুসারে পৃথক ছত্রিশটি সম্প্রদায়ে ভাগ করলেন। ফলে, মেলবন্ধন এর আগে কুলীনদের আট ঘরে পরস্পর যে আদান-প্রদানের মাধ্যমে সর্বদ্বারী বিবাহ চালু ছিল তা বন্ধ হয়ে গেল। পরিবর্তে চালু হল অল্প কিছু, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘরের মধ্যে মেলবন্ধন- অল্পদ্বারী বিবাহ। সুতরাং, কুলরক্ষার জন্য এক দিকে এক পাত্রে অনেক কন্যাদান যেমন অপরিহার্য হয়ে উঠল, তেমনই বংশজ পাত্রদের পাত্রী পাওয়াও ভার হয়ে উঠল। ফলে, পাত্রীর চাহিদা গেল বেড়ে। আর এরই ফলে সমাজে অসমবিবাহ বাল্যবিবাহ- বহুবিবাহ যেমন বাড়ল, তেমনি বাড়ল ব্যভিচার। ফলস্বরূপ জনপ্রিয় হতে লাগল পণপ্রথা।
কৌলিন্য প্রথা ও বহুবিবাহ যেমন একে
অপরের পারস্পরিক, ঠিক তেমনি বাল্যবিবাহ ও অসম বিবাহ একে অপরের সঙ্গে গভীর সম্পর্কযুক্ত। ভারতবর্ষের অন্যতম প্রাচীন প্রথা হল বাল্যবিবাহ। উনিশ শতকের সমাজকে অবহিত মূল্যবোধের নাগপাশে আকৃষ্ট করতে বাল্যবিবাহের ব্যাপক বিস্তৃতি সর্বজনবিদিত। বেদের আমলে এই প্রথার সূত্রপাত হলেও স্মৃতিকারদের সময়ে "মেয়েদের বিবাহের উপযুক্ত বয়স ক্রমহ্রাসমান হতে হতে প্রায় পুতুল খেলার বয়সে নেমে এসেছিল।” সমসাময়িক সময়ে বিবাহযোগ্য কন্যাকে স্মৃতিকাররা পাঁচটি শ্রেণি বা পর্যায়ে ভাগ করেছিলেন। পাঁচটি ভাগ হল – নগ্নিকা, গৌরী (৮ বছরের কন্যা), রোহিণী (৯ বছরের কন্যা), কন্যা (১০ বছরের কন্যা) ও রজস্বলা (১০ বছরের বেশি বয়স্ক কন্যা)— অষ্ট বর্ষা ভবেৎ গৌরী নববর্ষাচ রোহিণী।

দশবর্ষা ভবেৎ কন্যা তত ঊর্ধ্বং রজস্বলা ।।
মাতা চৈব পিতা তস্যা জ্যেষ্ঠোভ্রাতা তথৈবচ।
ত্রয়ন্তে নরকং যান্তি দৃষ্টা কন্যাং রজস্বলাম।।

বৈদিক ঘরে কন্যা জন্মগ্রহণ করলে দু-এক মাসের মধ্যেই সমান কুলের কোনো শিশুবালকের সঙ্গে তার সম্বন্ধে ঠিক করে রাখা হত। বিয়ের আগেই বাগদত্ত বরের মৃত্যু ঘটলে সেই কন্যাকে অন্যপূর্বা বলা হত। এর পর তার আর অন্য কোনো কুলীন বরের সঙ্গে বিয়ে হত না।"

প্রহসন
উনিশ শতকের সমাজ সংস্কার আন্দোলনের আলোকে
তূর্য মুখার্জি
২২৫ টাকা

প্রায় চার শতাধিক প্রহসনের তালিকা ও তথ্যাবলী সম্বলিত এই বই পাবেন অনলাইন ও অফলাইনে সর্বত্র।

 #বইমেলারবই ১ বিনয় ঘোষ লিখেছিলেন, "বেদে দাস যারা, রামায়ণ-মহাভারতে বানর বা রাক্ষস যারা, তারাই শিবপুরাণের ভূত, প্রেত, পিশা...
15/10/2025

#বইমেলারবই ১

বিনয় ঘোষ লিখেছিলেন, "বেদে দাস যারা, রামায়ণ-মহাভারতে বানর বা রাক্ষস যারা, তারাই শিবপুরাণের ভূত, প্রেত, পিশাচ এবং তারাই হল ব্রিটিশ শাসকদের যুগে বিদ্রোহী চুয়াড়, বর্তমানে তফসিলভুক্ত আদিজন বা বর্ণ। গণেশ এদের অধীশ্বর।"

'পশুজীবী বা কৃষিজীবী' মানুষের উপাস্য হাতিমুখো দেবতা হয়েছিলেন শিব-পার্বতীর পুত্র গণেশ।

পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু গ্রামে পৌষপার্বণের সময় আজও গ্রামবাসীরা গণেশঘট ও লক্ষ্মীঘট পাশাপাশি সাজিয়ে পুজো করে। এই মূর্তিগুলো মাটির। হাতে টিপে তৈরি করে পোড়ানো হয়। দেখে মনে হয়, বিস্মৃত এক অতীতে হয়তো এই অঞ্চলে হাতিমুখো এক কৃষি-দেবতার আরাধনা প্রচলিত ছিল। শস্যের বা অন্নের এক মাতৃকাদেবীর সঙ্গে এক পিতৃদেবতার কল্পনা হাতি অধ্যুষিত এই সব গ্রামাঞ্চলে হয়তো খুব স্বাভাবিকভাবেই হয়েছিল। কিন্তু এই অঞ্চলের বাইরে তার বিস্তার লাভ হয়নি। সুতরাং, এমন কথা বলা যেতেই পারে- পশ্চিমবঙ্গের রাঢ় অঞ্চলে কোনও নিম্নবর্গীয় সম্প্রদায় বা কোমের কুলকেতু (টোটেম) হিসেবে এক হাতিমুখো দেবতা ছিলেন।

হরিদাস মিত্র তাঁর 'গণপতি' বইতে লিখেছেন যে, বাংলাদেশের শৌণ্ডিক বা শুঁড়ি সম্প্রদায় বিশ্বাস করে, গণেশের শুণ্ড বা শুঁড় থেকেই তাদের উৎপত্তি হয়েছিল। মধ্যযুগের বাংলায় ব্রাহ্মণ ছাড়া আর সমস্ত বর্ণকেই সংকরবর্ণ বা শূদ্রবর্ণ বলে গণ্য করা হত। শৌণ্ডিকরা ছিল তাদের মধ্যে মধ্যম সংকরবর্ণ।

ক্রমে কৃষির উন্নতি ও পশুসম্পদের সৃষ্টি হল। একসময় এ-দেশে গাভি বিনিময়ের মাধ্যম হয়ে যায়। আবার এই দুই ধারা মিলিত হয়ে পশুপালক ও কৃষিকর্ম একসঙ্গে শুরু করল। সমাজ ধীরে ধীরে হয়ে উঠল পুরুষতান্ত্রিক। কিন্তু সারা ভারতবর্ষ জুড়ে এমনটা সমানভাবে হতে পারেনি, হয়ওনি। সম্পদ সৃষ্টি হলে, তার ফলস্বরূপ উদ্বৃত্ত সম্পদ তৈরি হল। ধীরে ধীরে সমাজের গঠন পালটে গেল। যেই হাতিকে বিঘ্নকারক ভেবে ভীত হয়ে পুজো করা হত, সেই হাতির মাথা নরদেহে বসিয়ে বিঘ্ননাশক রূপে পূজা হতে শুরু করল। শুধু তা-ই নয়, তাঁকে লিপিকার রূপে কল্পনা করা হল।

কিন্তু কেন? কারণ, এই গুপ্তদের আদিম গণের চিহ্ন ছিল সম্ভবত হাতি। সেই টোটেম চিহ্নটিকে তারা দেবত্বে উন্নীত করে। গণপতির উৎপত্তির রকমারি গল্প সৃষ্টি করা হয়, তাঁর অধিষ্ঠান হয় উমা-মহেশের সন্তান রূপে। আদিম সমাজের গণপতির এভাবেই আর্যিকরণ হয়।

এরপর অবশ্যই মহাভারতের কথা উল্লেখ করতে হবে। এই মহাকাব্যে আদি পর্বের বেশ কিছু অংশ পরবর্তীতে সংযোজিত হয়েছিল বলে অনেক গবেষকের বিশ্বাস। এই পর্বের প্রথম অধ্যায়েই (৭৩-৮৩) গণেশের কথা আছে। যদিও ক্রিটিকাল এডিশনে এই শ্লোকগুলোকে অবশ্য অ্যাপেনডিক্সের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গণেশের আবির্ভাব প্রসঙ্গে যে গল্পের অবতারণা করা হয়েছে তা প্রায় সকলের জানা, তাই পুনরুল্লেখ নিষ্প্রয়োজন; গণেশ এখানে কেরানির ভূমিকায় রয়েছেন।

সুহৃদকুমার ভৌমিক গণেশের মূর্তি কল্পনার নেপথ্যে দ্রাবিড়গোষ্ঠীর অবদান যে সর্বাধিক, তা জানিয়েছেন।

ডঃ অতুল সুর, শিল্পী সুধাংশুকুমার রায় প্রমুখ, যাঁরা সরাসরি সিন্ধু সভ্যতার লিপি ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা মনে করতেন- গণেশ দ্রাবিড়গোষ্ঠীর খুব উন্নতমানের কোনও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। উক্ত সম্প্রদায় ছিল 'লিখন বিদ্যা'য় পারদর্শী।

জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করে দেশনায়ক, আর গণপ্রিয়তা নির্মাণ করে গণদেবতা। সমাজ ও ধর্মীয় ভাবাবেগের রাগে-অনুরাগে সৃষ্ট হাতিমুখো দেবতার ইতিহাস অতিকথায় রূপান্তরিত হয়েছে।

পুজো মিটলেই আমরা তোড়জোড় শুরু করি, বইমেলার জন্য।সেই মরশুম আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন এ বছর কী কী ...
14/10/2025

পুজো মিটলেই আমরা তোড়জোড় শুরু করি, বইমেলার জন্য।
সেই মরশুম আসতে আর খুব বেশি দেরি নেই। অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন এ বছর কী কী কাজ হচ্ছে?

প্রকাশনা হিসেবে বইমেলায় আমাদের তৃতীয় বছরে বৈচিত্র্য অনেক বেশি। আগামীকাল থেকে তারই খবর পেতে নজর রাখুন এই পেজ এবং বইদেশিক প্রোফাইলে।

গতকাল থেকে মেসেজ করছিলেন আমাদের কিছু বই নিতে চান। জানতে চাইছিলেন আমরা কতক্ষণ থাকি কারণ ওনার অফিসের ছুটির পর আসতে বেশ খান...
13/10/2025

গতকাল থেকে মেসেজ করছিলেন আমাদের কিছু বই নিতে চান। জানতে চাইছিলেন আমরা কতক্ষণ থাকি কারণ ওনার অফিসের ছুটির পর আসতে বেশ খানিক সময় লাগে।ছবি পাঠিয়েছিলেন যেগুলি হাতে নিয়ে দেখে কিনতে চান। ওনার ঠিকানা ঠনঠনিয়া জেনে বলেছিলাম পৌঁছে দিতে পারি। কিন্তু উনি এসেছিলেন। হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখে কিনলেন বেশ কিছু বই , তালিকার থেকে বাদ গেল কিছু, জুড়ল তার বেশি।

আমাদের দপ্তরে এসে তো সচরাচর কেউ বই কেনেন না, তাই বেশ অন্যরকম লাগল, ভালো লাগল।

বড় কথা, জানতে চাইলেন আসন্ন বইমেলায় ইতিহাসের বই কী কী আসছে।

ওনাকে দেওয়া উত্তরগুলো পাবেন এই বুধবার থেকে একের পর এক বইদেশিক এবং বইদেশিক পেজ এবং প্রোফাইলে।

"বৌদ্ধবিপ্লবেই হউক, অথবা কালমাহাত্ম্যেই হউক, বৈদিক বন্ধন শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল। কেবলমাত্র বৈদিক যজ্ঞে আর কুলাইল না বলিয়া, ...
12/10/2025

"বৌদ্ধবিপ্লবেই হউক, অথবা কালমাহাত্ম্যেই হউক, বৈদিক বন্ধন শিথিল হইয়া পড়িয়াছিল। কেবলমাত্র বৈদিক যজ্ঞে আর কুলাইল না বলিয়া, এবং সাধারণের মন বৌদ্ধ পুরাণে এবং অনুষ্ঠানের দিকে আকৃষ্ট হইতেছিল বলিয়া, বৈদিক ভিত্তিটা উপলক্ষমাত্র করিয়া নূতন পৌরাণিক আখ্যায়িকা রচিত হইতে লাগিল।... রাজনৈতিক কারণে যে মিলন প্রার্থনীয় হইয়াছিল, তাহার সুবিধা এবং অবকাশ হইল। মিলন স্থাপন করিতে হইলে, পরের সামগ্রী কিছু লইতে হয়; তাই বুদ্ধমূর্তিই হিন্দু শিব হইয়াছিলেন। বৌদ্ধদের মধ্যে পৌত্তলিক অনুষ্ঠান প্রবর্তিত হইবার বহু পূর্বে, যখন বুদ্ধশিষ্যেরা মহাশূন্যের ব্যাখ্যা করিতেন, তখনও ধ্যানবলে অমানুষিক এবং অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা লাভ হয় বলিয়া উঁহাদের বিশ্বাস জন্মিয়াছিল। হিন্দুদিগের যোগশাস্ত্রের উপর যে বৌদ্ধ বিশ্বাসের প্রভাব ছিল, তাহা ঐ গ্রন্থের সূত্রেই পাওয়া যায়। যোগবলের অনেক ক্ষমতার মধ্যে বৌদ্ধেরা এ কথা বিশ্বাস করিতেন যে, যোগসাধনা করিলে কোনো হিংস্রজন্তু অনিষ্ট করিতে পারে না; এমন কি, বিষাক্ত সর্পের দংশনেও ক্ষতি হয় না। নির্বাণ ধ্যান করিলে বাসনার দংশন হইতে মুক্তিলাভ করা যাইত। এখন তাহার পরিবর্তে প্রত্যক্ষ শারীরিক ফলে বিশ্বাস জন্মিল। প্রতিযোগিতাতেই হউক অথবা মিলনের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়াই হউক হিন্দুগণ, যোগীশ্বররূপে মহাদেবের নাগবেষ্টিত ধ্যানস্থ মূর্তি স্থাপন করিলেন। কেবল যে বুদ্ধদেবের মূর্তিটিকে বৈদিক আভরণে শিব সাজানো হইয়াছিল, তাহাই নয়; বিষ্ণু এবং শিবের মন্ত্রে বুদ্ধ এবং বৌদ্ধ সাধুদিগের প্রতিমূর্তির পূজারও ব্যবস্থা দেওয়া হইয়াছিল। ইহাতে অনেক বৌদ্ধ হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিয়াছিল। সমুদ্র গুপ্ত, ২য় চন্দ্রগুপ্ত, কুমারগুপ্ত এবং স্কন্দগুপ্ত যখন নূতনভাবে দেবমন্দির এবং প্রতিমাদি প্রতিষ্ঠা করিতে লাগিলেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে অর্হত মহাবীর, স্বামী মহাসেন প্রভৃতি বৌদ্ধসাধুগণের জন্যেও আয়তন স্থাপন করিয়াছিলেন। এই সময়টা খ্রিস্টোত্তর ৩৫০ হইতে ৪৬৮ পর্যন্ত। অল্পদিনের মধ্যেই এই মহাবীর এবং মহাসেন প্রভৃতি মহাদেব বলিয়া পূজ্য হইয়া উঠিলেন।”

শিবসাধনা ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে
সংকলন ও সম্পাদনা সৌমক পোদ্দার
মূল্য ৩৮০/-

আসাম থেকে সম্প্রচারিত ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র গতি দৈনিকে (পৃষ্ঠা ১০)  আজ বইদেশিক  এর পকেট বুক সিরিজের " আসামে আহোম রাজত্ব ও...
08/10/2025

আসাম থেকে সম্প্রচারিত ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্র গতি দৈনিকে (পৃষ্ঠা ১০) আজ বইদেশিক এর পকেট বুক সিরিজের " আসামে আহোম রাজত্ব ও বীর লাচিত বড়ফুকন " বইটি নিয়ে এক মনোজ্ঞ আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে।

গতি দৈনিক বইটি প্রসঙ্গে লিখেছে - "লাচিত বরফুকনকে নিয়ে অসমের বাইরে যেসব লেখালিখি প্রথমে হয়েছিল, এর মধ্যে বাংলা ভাষা অন্যতম। বাঙালি শিক্ষাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা অসমের আহোম রাজত্ব ও লাচিত বরফুকনকে নিয়ে উদাসীন যে ছিলেন না, এই বই প্রমাণ করে।"

ঐতিহাসিক ও ইংরেজ প্রশাসক এডওয়ার্ড গেইট তাঁর 'A History of Assam' গ্রন্থে লিখেছিলেন - ""আসাম ছিল ভারতের সেই কতিপয় অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি, যেখানে স্থানীয় জনগণ মোগল আক্রমণের স্রোতকে সফলভাবে প্রতিহত করে নিজেদের স্বাধীনতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল। আহোম ও মুসলিম - উভয় ঐতিহাসিক নথিতেই এই আক্রমণগুলোর পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আজও সযত্নে লিপিবদ্ধ রয়েছে।"

সংকলনে রয়েছে - রমেশচন্দ্র মজুমদার, গুরুদাস সরকার, বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী, সুধাংশুমোহন বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়, অসমের ইতিহাসবিদ সূর্যকুমার ভুঁইঞার লেখা।

আমরা কৃতজ্ঞ।

আসামে আহোম রাজত্ব ও বীর লাচিত বড়ফুকন
সংকলন ও সম্পাদনা সৌমক পোদ্দার
প্রচ্ছদ চিন্ময় মুখোপাধ্যায়
মূল্য ১৫০/-
প্রকাশক- বইদেশিক।

03/10/2025

Address

105, N. S. Road
Kolkata
700149

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বইদেশিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বইদেশিক:

Share

Category