বইদেশিক

বইদেশিক বইদেশিকের নিজস্ব প্রকাশনা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনী পেজ।

সজনীকান্ত, ঠাকুরদাস, গোঁসাইদাস, হারাধন, রাইমোহন, রাইকিশোর, রাইবিলাস, ননীগোপাল, কাঙ্গালীচরণ, পরাণচন্দ্র, পরাণকৃষ্ণ, খেলচ্...
03/06/2025

সজনীকান্ত, ঠাকুরদাস, গোঁসাইদাস, হারাধন, রাইমোহন, রাইকিশোর, রাইবিলাস, ননীগোপাল, কাঙ্গালীচরণ, পরাণচন্দ্র, পরাণকৃষ্ণ, খেলচ্চন্দ্র, রাখালদাস, কেনারাম, বেচারাম, কুড়রাম ও ফেলারাম এই কয়েকটি এবং কড়িযুক্ত নামগুলিতে বাঙ্গালীর যে একটি রহস্যময় সামাজিক প্রথার ব্যাপার নিহিত আছে, তাহা এইস্থলে বিবৃত করিতেছি।

রাঢ়দেশে রাখালরাজ নামে এক গ্রাম্যদেবতা আছেন, তিনি প্রসন্ন হইলে, বন্ধ্যা রমণীরা পুত্রমুখদর্শন করেন। রাখালরাজের বরপুত্রেরাই প্রায়শঃ রাখালদাস, রাখালচন্দ্র ইত্যাদি নাম পাইয়া থাকে। এ বিষয়ের ব্যাতিক্রমও হয়, রাখাল নামধারী বাঙ্গালীমাত্রই দেবানুগ্রহলব্ধ সন্তান নহে। কয়েকটি খাঁটি সংস্কৃত নামেরও ঐরূপ ইতিহাস আছে, সেগুলিও এইখানে উল্লেখ করিতেছি। ক্ষেত্রনাথ, ক্ষেত্রপাল, ক্ষেত্রমোহন, ধৰ্ম্মদাস, পঞ্চানন প্রভৃতি নামধারী অধিকাংশ ব্যক্তিরা ক্ষেত্রপাল, ধর্মরাজ, পাঁচুঠাকুর, বাবাঠাকুর, পঞ্চানন্দ প্রভৃতি গ্রাম্যদেবতার অনুগ্রহে জন্ম গ্রহণ করেন। প্রচলিত ভাষায় এই সকল সন্তানকে তত্তৎ দেবতার "দোর ধরা ছেলে" বলে। কেনারাম, বেচারাম এবং "কড়ি” যুক্ত নামগুলি প্রায়ই মৃতবৎসার জীবন্ত-সন্তানের নাম হইয়া থাকে। মৃতবৎসা প্রসূতি সন্তান প্রসবকরামাত্র অপর কোন রমণীকে "তোমার পুত্র” এ বলিয়া দান করে এবং এক হইতে নকড়া কড়ি মূল্য দিয়া তাহার নিকট হইতে সদ্যঃপ্রসূত সন্তানটিকে কিনিয়া লয়। এই কেনাবেচা হইতে কেনারাম বা বেচারাম নামের উৎপত্তি এবং মূল্যের কড়ির পরিমাণ হইতে এককড়ি দুকড়ি প্রভৃতি নাম হইয়া থাকে। কোথাও কোথাও এমনও প্রথা আছে, বর্তমান সন্তানের পূর্ব্বে প্রসূতির যে কয়টি সন্তান মারা গিয়াছে, মূল্যের পরিমাণে ততগুলি কড়ি দিতে হয়। কোন কোন মৃতবৎসা প্রসূতি প্রসবমাত্র পুত্রটিকে কোন দেবালয়ে দেবতার বা কোন ব্রাহ্মণের পদপ্রান্তে ফেলিয়া দেয় এবং পূজাদি দানের পর দেবপ্রসাদ বা দ্বিজপ্রসাদ স্বরূপ পুত্রটিকে কুড়াইয়া লয়। এই ফেলা-তোলার ঘটনা হইতে ফেলারাম ও কুড়রামের উৎপত্তি হয়। মৃতবৎসা বা বহুমৃতপুত্রিকার পুত্রের নাম হরিশরণ, ভজহরি, থাকহরি বা রাখহরি রাখা হয়। এই সকল কারণ ব্যতীত যে এই সকল নাম কাহারও রাখিতে নাই, এমন নহে। খেলচ্চন্দ্র নামটি বাঙ্গালা ভাষার অতি চমৎকার রহস্যময় শব্দ। খেল্ এই বাঙ্গালা ধাতুতে সংস্কৃত শতৃপ্রত্যয় করিয়া খেলৎ পদ হইয়াছে, তাহার পর চন্দ্র শব্দের সহিত সন্ধিসূত্রে খেলচ্চন্দ্র পদ হইয়াছে-কিন্তু অর্থ কি? যেমন বাঙ্গালা শব্দ তেমনি একটি বাঙ্গালা অর্থই মনে আসিতেছে অর্থাৎ ঢলঢলে চাঁদ।

- বাঙ্গালা নাম রহস্য, ব্যোমকেশ মুস্তাফী

বাংলা পক্ষ
মূল্য ৩৫০/-

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

"কোলে বিস্কুট খেলাম এবং আমার ছেলে গৌতমকে খাওয়ালাম। দু'জনেরই বেশ ভাল লাগলো -শ্রী উত্তমকুমার"কর্মজীবনে সম্ভবত একবারই বিজ্...
29/05/2025

"কোলে বিস্কুট খেলাম এবং আমার ছেলে গৌতমকে খাওয়ালাম। দু'জনেরই বেশ ভাল লাগলো -

শ্রী উত্তমকুমার"

কর্মজীবনে সম্ভবত একবারই বিজ্ঞাপনী কাজ করেছিলেন মহানায়ক। বিজ্ঞাপনটি ছিল কোলে বিস্কুটের। রইল সেই বিজ্ঞাপনটি।

আজ আন্তর্জাতিক বিস্কুট দিবস।

বড়োদের ওপর ভয়ানক চটে গিয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালালেন। তখন তাঁর বয়স সতেরো কি আঠারো (এ সব কথা শুনেছি গণপতির প্রিয় শিষ্য স্বনাম...
29/05/2025

বড়োদের ওপর ভয়ানক চটে গিয়ে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালালেন। তখন তাঁর বয়স সতেরো কি আঠারো (এ সব কথা শুনেছি গণপতির প্রিয় শিষ্য স্বনামধন্য যাদুকর দেবকুমারের মুখে)।
পালিয়ে তিনি খুব ভালো করেছিলেন, কারণ তা না হলে বাংলার তথা ভারতের যাদুচর্চার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় গণপতিকে আমরা পেতাম না। বাড়ি থেকে পালিয়ে তিনি বাংলার বাইরে নানা স্থানে ভবঘুরেপনা করে বেড়ালেন, সাধু-সন্ন্যাসীর দলে মিশলেন, তাঁদের অনেক কলকেতে অনেক গাঁজা সাজলেন, তাঁদের কাছ থেকে নানা রকমের গুপ্ত মন্ত্রতন্ত্র, ভবিষ্যৎ গুনবার কায়দা, ঝাড়ফুঁক, নানা রোগের নানা অলৌকিক দাওয়াই ইত্যাদি শিখে নেবার জন্য। শরৎচন্দ্রের 'শ্রীকান্ত' উপন্যাসে সাপুড়ে সাহজী (অন্নদাদিদির স্বামী) সাপ জব্দ করার মিথ্যে মন্ত্র শেখাবার লোভ দেখিয়ে ইন্দ্রনাথকে যেমন ঘুরিয়েছিলেন, কয়েকজন সাধু অনেকটা তেমনিভাবেই ঘুরিয়েছিলেন গণপতিকে। গুপ্ত বিদ্যা শিখবার জন্য তাঁর এ অভিযান একেবারে ব্যর্থ হয়েছিল তা নয়, কিন্তু যতোটা পাবেন বলে আশা করেছিলেন তার তুলনায় পেয়েছিলেন সামান্যই। এই সামান্যকেই কাজে লাগিয়ে অসামান্য করে তুলেছিলেন গণপতি। বাড়ি থেকে পালিয়ে এই ঘোরাঘুরির সময় তিনি দু-এক জন যাদুকরের সংস্পর্শেও এসেছিলেন, তাই থেকে তাঁর যাদুজীবনের সূত্রপাত।
ঘোরাঘুরি করে ফিরে এসে গণপতি যোগ দিলেন প্রফেসর বোসের সার্কাসে। "বোসেজ সার্কাস” (Bose's Circus) তখন শুধু বাংলায় নয়, সারা ভারতে বিখ্যাত। এ দলে কয়েকজন বেশ ভালো সার্কাস খেলোয়াড় ছিলেন। তাঁদের একজন ছিলেন সুশীলা নামে একটি বাঙালী মেয়ে। সাহসে এবং দৈহিক শক্তিতে তিনি ছিলেন অসাধারণ; শোনা যায় পাঞ্জা এবং কব্জির জোরে অনেক জোয়ান গোরা সৈনিকও তাঁর কাছে হার মেনেছিল। সুশীলা দেখাতেন বাঘের খেলা। একে মেয়ে, তায় বাঙালী মেয়ে, তাই সুশীলার দুঃসাহসিক বাঘের খেলা ছিল বোসের সার্কাসের সেরা আকর্ষণ। গণপতি সর্বপ্রথম সাধারণ দর্শকদের সামনে ম্যাজিক দেখাতে শুরু করলেন বোসের সার্কাসে, সার্কাসি খেলার ফাঁকে ফাঁকে। ম্যাজিকে ছিল তাঁর চমৎকার দক্ষতা, অভিনয়ে-বিশেষ করে কৌতুক অভিনয়েও তিনি কম দক্ষ ছিলেন না, মজাদার যাদুর খেলা দেখিয়ে তিনি সার্কাসের দর্শকদের হাসাতে আর তাক লাগিয়ে দিতে লাগলেন। জনপ্রিয় বোসের সার্কাসের জনপ্রিয় এবং প্রায় অপরিহার্য শিল্পী হয়ে উঠলেন যাদুকর গণপতি। পরে গণপতি যখন তাঁর বিখ্যাত ইলিউশন বক্স এবং ইলিউশন ট্রী-র খেলা দেখাতে শুরু করলেন, তখন তিনিই হয়ে উঠলেন বোসের
সার্কাসের সর্বশ্রেষ্ঠ আকর্ষণ। সার্কাসের অন্য সমস্ত খেলা নিষ্প্রভ হয়ে গেল গণপতির অবিশ্বাস্য অলৌকিক বাক্সের খেলার কাছে। শেষপর্যন্ত শুধু ঐ বাক্সের খেলা-যা দেখবার জন্যে লোক পাগল, দেখিয়ে গণপতি মাসে তিনশো টাকা পেতে লাগলেন। তখনকার দিনের তিনশো টাকা মানে এখনকার অন্তত হাজার টাকা।
বোসের সার্কাস দলের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে বহু জায়গায় অসংখ্য লোককে যাদুর খেলা দেখিয়ে বেড়িয়েছেন গণপতি, লাভ করেছেন অসামান্য সম্মান এবং খ্যাতি। বাক্স এবং ক্রসের খেলার পরে আরেকটি খেলাও শুরু করেছিলেন, তার নাম "কংস কারাগার"। বোসের সার্কাস প্রদর্শনীর প্রচারপত্রে খেলাটি ঐ নামেই বিজ্ঞাপিত হতো এবং বহু দর্শক আকর্ষণ করতো। কারাগারটি একটি মানুষকে আটকে রাখবার মতো খাঁচা বিশেষ। এই খাঁচার ভেতর হাতকড়া, ভাণ্ডাবেড়ি ইত্যাদি প্রচুর সংখ্যায় লাগিয়ে গণপতিকে আটকে রাখা হতো, যেন কংসের কারাগারে বন্দী রয়েছেন বসুদেব। ঐ বন্দী অবস্থা থেকে কোনো মানবের সাহায্য ছাড়া বেরিয়ে আসা কোনোরকম মানবিক উপায়ে সম্ভব নয়। কিন্তু অনায়াসে এবং দ্রুতবেগে তিনি খাঁচা শূন্য করে বেরিয়ে আসতেন এবং তারপর আবার ঠিক সেই অবস্থাতেই ফিরেও যেতেন। ফিরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই খাঁচার সামনে থেকে পর্দা সরিয়ে দেখা যেতো, খাঁচার দরজা তেমনি তালা আটকানো এবং তার ভেতরে হাতকড়া, বেড়ি ইত্যাদি দ্বারা অসহায় বন্দী অবস্থায় রয়েছেন গণপতি। ভৌতিক সাহায্য ছাড়া এই অদ্ভুত ব্যাপার কি করে সম্ভব হতে পারে?
খেলাটি অদ্ভুত বিস্ময়ে ভরা, তার ওপর "কংস কারাগার" নামটিও অত্যন্ত কৌতূহলোদ্দীপক। গণপতি নামটিও তখন কিংবদন্তীতে দাঁড়িয়ে গেছে। বোসের সার্কাসে লোকে লোকরণ্য হতে লাগলো গণপতি খেলা দেখবার জন্য। সবার মুখে শুধু একটি নাম: গণপতি। সবার মনে এক ধারণা, গণপতির অভিধানে 'অসম্ভব' শব্দটি নেই। পাশ্চাত্য দেশে যাদুকর হ্যারি হুডিনি পলায়নী যাদুর খেলা দেখিয়ে যে তুমুল বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছিলেন, প্রাচ্যে যাদুকর গণপতির বিস্ময়-সৃষ্টি তার সঙ্গে তুলনীয়। তুলনা জিনিসটাই যদিও ভালো নয়, তবু বলা যায় এক হিসাবে পাশ্চাত্যের হুডিনির চাইতে শ্রেষ্ঠতর ছিলেন আমাদের গণপতি।

যাদু কাহিনী
অজিত কৃষ্ণ বসু
বইদেশিক
মূল্য ৪০০/-
ভূমিকা - অধ্যাপক অরুণোদয় ভট্টাচার্য


আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

কবি নজরুল ইসলামের জ্বালাময়ী গান-কবিতায় বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১ মার্চ, ১৯২৪, বিপ্লবী গোপীনাথ সাহার...
26/05/2025

কবি নজরুল ইসলামের জ্বালাময়ী গান-কবিতায় বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। ১ মার্চ, ১৯২৪, বিপ্লবী গোপীনাথ সাহার ফাঁসি হয়। এই ফাঁসি তরুণ সুভাষচন্দ্র বসুকে মানসিকভাবে খুব আঘাত করে। সিরাজগঞ্জে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটির অধিবেশনে শোক-প্রস্তাব আনা হয়। যে খবর শুনে খুব রেগে গেলেন গান্ধীজী, তাই আমেদাবাদ কংগ্রেসে আবার শহীদ গোপীনাথ সাহার বিরুদ্ধে নিন্দা-প্রস্তাব আনা হল। তরুণ কবি নজরুল ইসলামের এমনিতেই গান্ধীজীর আন্দোলনে ভরসা ছিল না। এই ঘটনার পরে কবি নজরুল শহীদ গোপীনাথ সাহার জন্য লিখলেন কবিতা। হুগলীতে বসবাস করার সময় গোপীনাথ সাহার সঙ্গে কবির খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এরপরেও শুধুমাত্র দেশবন্ধুর অনুরোধে কবি নজরুল ইসলাম ১৯২৪-এর মাঝামাঝি সময়ে হুগলীতে এক সভায় গান্ধীজীর উপস্থিতিতে অভ্যর্থনা গান গেয়েছিলেন। ১৯২৪ সালেই সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে ঢাকায় গিয়েছিলেন আচার্য রায় ও কবি নজরুল, তাঁরা একসঙ্গে পরিদর্শন করেছিলেন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাধনা ঔষধালয়। ১৯২৫ সালের মে মাসে ফরিদপুর কংগ্রেস অধিবেশনে গান্ধীজী ও দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের উপস্থিতিতে কবি পরিবেশন করেছিলেন তাঁর একটি স্বদেশি গান 'ঘোর রে ঘোর রে আমার সাধের চরকা ঘোর'। কবির হৃদয়ে দেশবন্ধু কত উচ্চ জায়গায় ছিলেন, এই সকল ঘটনা থেকেই তা বোঝা যায়। পরবর্তীকালে কবি যতীন দাসের অনশন করে শহীদ হওয়ার পরেও লিখেছিলেন কবিতা। লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক, বাঘা-যতীন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়, শহীদ ক্ষুদিরাম বসুকে নিয়েও কবিতা, প্রবন্ধ লিখেছেন। কবির ১৯২৮ সালে প্রকাশিত 'সব্যসাচী' কবিতাটি পড়লেই বোঝা যায় যে, তরুণ কবি নজরুল ইসলাম তরুণ নেতা সুভাষচন্দ্র বসুকে আহ্বান জানিয়েছেন দেশকে পথ দেখাবার। কবিতাটির প্রতি ছত্রে ছত্রে সুভাষ-চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। তিনিই ছিলেন নিরস্ত্র বন্দি-দেশের 'যুগশস্ত্রপাণি', তিনি নবীনমন্ত্রে দীক্ষা দিতে এসেছেন। আবার কবিতাটিতে গান্ধী-আন্দোলনের পথকে তীব্র কটাক্ষ করা হয়েছে। 'শিকল পরা ছল' গানটির মধ্যেও সুভাষচন্দ্র বসুর ছায়া আছে। 'কাজী নজরুল ইসলাম- স্মৃতিকথা' বইতে মুজফফর আহমদ লিখেছেন,
"১৯২৬, ২২-২৩ মে, কৃষ্ণনগরে হওয়া প্রাদেশিক সম্মেলনের জন্য নজরুল লিখেছিলেন 'কাণ্ডারী হুঁশিয়ার'। সেসময় সুভাষচন্দ্র বসু বার্মার জেলে বন্দি। সুভাষচন্দ্র মুক্তি পান ১৯২৭-এর ১৬ মে। সুতরাং সুভাষচন্দ্রের অনুরোধে নজরুল 'কাণ্ডারী হুঁশিয়ার' রচনা করেননি।"
সুভাষ-বন্ধু দিলীপ কুমার রায় বলেছেন, "সুভাষ একবার আমাকে
বলেছিল, ভাই, জেলে যখন ওয়ার্ডারে লোহার দরজা বন্ধ করে, তখন মন
কী যে আকুলি-বিকুলি করে, কী বলব! তখন বারবার মনে পড়ে কাজির ওই
গান- 'কারার ঐ লৌহ-কপাট/ ভেঙে ফেল কর রে লোপাট রক্ত-জমাট/' শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী!'
সুভাষচন্দ্র বসুর দেশপ্রেম ও বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডে নজরুল ইসলামের গান গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। সুভাষচন্দ্র বসু বলেছেন, "আমরা যখন যুদ্ধে যাব, সেখানে নজরুলের যুদ্ধের গান গাওয়া হবে।"
নজরুল ইসলামের 'অগ্রপথিক সৈন্যদল, জোর কদম চল রে চল' গানটি সুভাষচন্দ্র বসুর খুবই প্রিয় ছিল। এই গানটির প্রভাব দেখা যায় নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের 'কদম কদম বাড়ায়ে যা' গানটির সঙ্গে। কলকাতা ও কলকাতার বাইরে প্রায় প্রতিটি সভায় সুভাষচন্দ্র বসুর বক্তৃতার আগে কাজি নজরুল ইসলামের গান পরিবেশন করা হত।
কবি নজরুল ইসলাম গর্ব করে বলতেন, "আমার গান না শুনলে সুভাষ বসু ভালো বক্তৃতা দিতে পারেন না।"
এ কথা সুভাষচন্দ্র বসুও স্বীকার করে বলেছেন, "কাজীর গান, গানের বাণী আমায় উদ্দীপ্ত করে, এ সত্য কথা।"

অগ্নিস্নাতক
সোমনাথ সিংহ
মূল্য ৩৫০ টাকা

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

শ্রদ্ধেয় পাঠক শ্রী সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তাঁর পাঠ প্রতিক্রিয়া -"এ বছর কলকাতা বই‌মেলার আগে বইদে‌শিক প্রকাশনীর এ...
25/05/2025

শ্রদ্ধেয় পাঠক শ্রী সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন তাঁর পাঠ প্রতিক্রিয়া -

"এ বছর কলকাতা বই‌মেলার আগে বইদে‌শিক প্রকাশনীর এক‌টি পো‌স্টে যখন ৮০র দশ‌কে প্রকা‌শিত বর্তমা‌নে হা‌রি‌য়ে যাওয়া এই ৪টে ক্লা‌সিক রহস্য উপন্য‌াসের বইটা কলকাতা বই‌মেলা‌তে প্রকা‌শের কথা প্রথম জে‌নে ছিলাম তখন থে‌কেই বইটা সংগ্রহ করার জন্য রোমাঞ্চ অনুভব করতে শুরু ক‌রে ছিলাম । কিন্তু কলকাতা বই‌মেলা‌তে দু'দিন প্রকাশনীর স্ট‌লে বইটার খোঁজ ক‌রে হা‌তে পাই‌নি বই‌টি সে সময় প্রকা‌শিত না হওয়া‌তে । প‌রে পয়লা বৈশা‌খে প্রকাশ হবার কথা থাক‌লে সে সময় প্রকাশ না হওয়া‌তে হতাশ হ‌য়ে ছিলাম । অব‌শে‌ষে গত পরশু প্রকাশনীর পে‌জে জান‌তে পারলাম বই‌টি প্রকা‌শিত হ‌য়ে‌ছে এবং ক‌লেজ‌স্ট্রি‌টের বি‌ভিন্ন স্ট‌লে পাওয়া যাচ্ছে, তাই আর দে‌রি না ক‌রে লোকাল বুক স্ট‌লে অর্ডার ক‌রে বই‌টি সংগ্রহ ক‌রে ফেললাম ।
বই‌টি‌তে র‌য়ে‌ছে চার‌টি বেশ বড় আকা‌রের রহস্য উপন্যাস, তার ম‌ধ্যে শেষ উপন্যাস‌টি আমার আগেই পড়া, সে সময় লেখা‌টি প‌ড়ে বেশ ভা‌লো লে‌গে‌ছিল ।
বই‌টি আজ হা‌তে নি‌য়ে খু‌লে দে‌খে একটা বিষয় বেশ নজর টান‌লো তা হ‌লো, প্র‌তি উপন্যা‌সের শুরু‌তে লেখা‌টির পূ‌র্বে প্রকা‌শিত বই‌য়ের প্রচ্ছ‌দের ফ‌টো‌টি ছে‌পে‌ছেন প্রকাশক এই বই‌টি‌তে । এছাড়া প্র‌তি‌টি লেখার শুরুতে ‌সে সময়কার বই‌য়ের ভূ‌মিকা‌র লেখা‌টি‌কে ও যত্নসহ স্থান দেওয়া হ‌য়ে‌ছে এই বই‌য়ে । যারা বাংলার ক্লা‌সিক রহস্য উপন্যা‌সের ভক্ত তা‌দের ম‌নের চা‌হিদা আশাক‌রি মেটা‌বে এই সদ্য প্রকা‌শিত চার‌টি রহস্য উপন্যা‌সের বই‌টি ।"

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

চার‌টি রহস্য উপন্যাস / সুখময় মু‌খোপাধ্যায় /
বইদে‌শিক / দাম ৬৫০ টাকা ।

চপ্পলের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। আর সে ইতিহাসের শুরু ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বে। ..৪০০০ খ্রিস্টপূর্বের পুরোনো ইজিপসিয়ান ম্য...
25/05/2025

চপ্পলের পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। আর সে ইতিহাসের শুরু ৪০০০ খ্রিস্টপূর্বে। ..৪০০০ খ্রিস্টপূর্বের পুরোনো ইজিপসিয়ান ম্যুরাল-এ চটির ছবি দেখা গেছে। এমনকি প্যাপিরাস-এর পাতা থেকে তৈরি করা একজোড়া ফ্লিপ-ফ্লপ খুঁজে পাওয়া গেছে যা আনুমানিক দেড় হাজার বছরের পুরোনো বলে অনুমান। বিভিন্ন প্রকার বস্তু দিয়েই এই প্রাচীন ফ্লিপ-ফ্লপ তৈরি করা হত। ইজিপ্টেই দেখা গেছে প্যাপিরাস আর তালের পাতা থেকে তৈরি এই চটি। আফ্রিকায় মাসাই সম্প্রদায় কাঁচা চামড়া দিয়েই তৈরি করত এই ফ্লিপ-ফ্লপ। ভারতবর্ষে ব্যবহার হয়ে এসেছে কাঠ। হয়তো যা আমরা 'খড়ম' বলে জানি। প্রাচীন চীন এবং জাপানে রাইস স্ট্র দিয়ে তৈরি হত। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকায় 'sisal' বা সিশল পাতা এবং মেক্সিকোতে 'yucca' বা ইউক্কা পাতা থেকে তৈরি হয়েছে এই জুতো।
প্রাচীন গ্রিকদের, এ চটির স্ট্র্যাপ আটকে থাকত দু'পায়ের প্রথম মানে বুড়ো আঙুল আর দ্বিতীয় আঙুলের মাঝে। রোমানিয়ানরা আবার এ চটি পরত পায়ের দ্বিতীয় আর তৃতীয় আঙুলের মাঝে স্ট্র্যাপ রেখে। মেসাপোটেমিয়ায় দেখা গেছে এই চটিকে পায়ের তৃতীয় এবং চতুর্থ আঙুলের মাঝে পরতে। ভারতবর্ষে আবার কাঠের সোল এর ওপরে শুধু একটা 'নব' মতো থাকত এবং তা পরতে হত দু'পায়ের প্রথম মানে বুড়ো আঙুল আর দ্বিতীয় আঙুলের মাঝে। একে বলা হত পাদুকা। আমরা একেই 'খড়ম' বলে জানি।..এরপরে ১৯৬০ সালের পরে আমেরিকান এবং ব্রিটিশরা এই ফ্লিপ-ফ্লপ-এর 'সোল'-এর প্যাটার্নটা পাল্টে এটাকে ফ্ল্যাট বা সমান করে। অস্ট্রেলিয়া এবং উত্তর আমেরিকায় এর নাম হয় 'thong' (থং)। কলিন্স-এর অভিধানে এই থং শব্দটার অর্থ: (a narrow piece of especially leather used to fasten something or as part of a whip)অর্থাৎ 'বিশেষ করে চামড়া একটি সংকীর্ণ টুকরা কিছু বা এমন একটি কিছু যা চাবুকের অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হয়।'
নিউজিল্যান্ডে এই ফ্লিপ-ফ্লপের নাম হয় 'Jandal' (জ্যান্ডল)। কলিন্স-এর অভিধান অনুযায়ী এই জ্যান্ডল শব্দটার অর্থ: (a type of sandal with a strip of material between the big toe and the other toes and over the foot)। বড়ো পায়ের আঙুল আর অন্যান্য আঙুল এবং পায়ের উপর এমন একটা টুকরো বা ফালা করা উপাদান।
দক্ষিণ আফ্রিকায় এর নাম 'slops'।
ফিলিপাইন্স-এ এর নাম আবার 'tsinelas'। একটু জানা যাক,
ফিলিপাইন্স-এর ইতিহাস এই চটি সম্পর্কে! সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফিলিপিনোদের কাছে সিনেলাস কেবল এক ধরনের জুতো শুধু নয়, এর সঙ্গে ফিলিপিনোদের এক বিখ্যাত খেলা 'tumbang preso'-র অনুষঙ্গ জড়িয়ে আছে। তুম্বাং প্রিসো ('বন্দিকে হারাও') বা 'tumba lata' তুম্বা লতা ('দ্য ডাউন ডাউন') বা 'bato lata' বাটো লতা ('একটি পাথর দিয়ে আঘাত করা') নামেও যা পরিচিত ছিল ফিলিপাইন্সে, তা আসলে একটি একটি ঐতিহ্যবাহী ফিলিপিনো বাচ্চাদের খেলা।

গন্ধের গন্ধমাদন ও অন্যান্য
গৌতম দত্ত
মূল্য ৫৫০/-
বইদেশিক

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

 #প্রকাশিতব্য..এক কন্যা সহ দুই পুত্রের জননী তারিণী এখন ঘোরতর বৈষ্ণবী। 'শক্তি' ভুলে বিষ্ণুমন্ত্রে দীক্ষিতা তারিণী কনিষ্ঠপ...
22/05/2025

#প্রকাশিতব্য
..এক কন্যা সহ দুই পুত্রের জননী তারিণী এখন ঘোরতর বৈষ্ণবী। 'শক্তি' ভুলে বিষ্ণুমন্ত্রে দীক্ষিতা তারিণী কনিষ্ঠপুত্রকে কোলে নিয়ে এসেছেন পিত্রালয়ে। পিতা শ্যামও বহুদিন পর কন্যা-দৌহিত্রকে কাছে পেয়ে ঘটা করে কুলদেবীর আরাধনায় মেতেছেন। পুজো শেষে কালীর প্রসাদী বিল্বপত্র নিষ্ঠাভরে দৌহিত্রের মাথায় ঠেকিয়ে তুলে দিলেন শিশুর হাতে। শিশুও আপন মনে মুখে নিয়ে তা চিবুতে লাগলেন। কিন্তু কোথায় ছিলেন তারিণী, দৌড়ে এসে ছেলের মুখ থেকে তা টেনে বের করে জল মুখে দিয়ে কুলকুচো করিয়ে বাবাকে ভর্ৎসনার সুরে বলে উঠলেন,
-ছি: বাবা। বৈষ্ণব পরিবারের ছেলের মুখে আপনি মাকালীর বিল্বপত্র তুলে দিলেন?
মেয়ের আচরণে ক্রুদ্ধ শ্যাম হিতাহিত ভুলে পূজার আসনে বসেই অভিসম্পাত করে উঠলেন,"এতবড় সাহস তোর। অহংকার করে তুই আমার মায়ের পায়ের 'প্রসাদীপত্র' ফেলে দিস্?আমিও বলে রাখলাম এই ছেলেকে নিয়ে তুই কোনোদিনও সুখী হতে পারবিনে, ছেলে তোর বিধর্মী হবে।"

-বা-বা!শ্যামের পা-দুটো ধরে ডুকরে উঠলেন তারিণী, এ-তুমি কী বললে বাবা?তোমার শাপ ফিরিয়ে নাও ফিরিয়ে নাও- কান্নায় ভেঙে পড়লেন জননী।
পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে শ্যামও তখন নিজেকে সামলে নিয়েছেন।কিন্তু ছোঁড়া তীর আর মুখের বাণী যে ফিরিয়ে নেওয়া যায় না। তাই ভেজা স্বরে মেয়ের মাথায় হাত রেখে শ্যাম বলে উঠলেন, "কাঁদিস নে মা, ও বাক্য ফিরিয়ে নেওয়ার সাধ্য আমার নেই। তবে এই মায়ের পায়ের তলায় বসে বলে যাচ্ছি, আমার অভিশাপের যদি বিন্দুমাত্র মূল্য থাকে তবে আমার আশীর্বাদও মূল্যহীন হবে না। তোর এ ছেলে রাজ-রাজেশ্বর হবে ।দেশের মধ্যে সর্বজনপূজ্য 'রাজা' ও হয়ে উঠবে একদিন।"

প্রথম পুরুষ আসছেন। আসছেন রাজা রামমোহন...

চিত্র ঋণ - শ্রী অমিত ভড়

 #পকেটবুকসিরিজ ১বাঙালির ইতিহাস এমন এক গূঢ় স্তব্ধতা, যার অন্তর্লীন সংগীত শুনতে হয় শ্রবণেন্দ্রিয়ের অতিরিক্ত এক চেতনায়। নিখ...
20/05/2025

#পকেটবুকসিরিজ ১

বাঙালির ইতিহাস এমন এক গূঢ় স্তব্ধতা, যার অন্তর্লীন সংগীত শুনতে হয় শ্রবণেন্দ্রিয়ের অতিরিক্ত এক চেতনায়। নিখিলনাথ রায়ের “প্রতাপাদিত্য কথা” প্রবন্ধ সেই স্তব্ধতাকে উচ্চারণ দিয়েছিল। সেখানে প্রতাপাদিত্য কেবল একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তি নন—তিনি হয়ে ওঠেন একটি কালসত্তা, একটি রাজনৈতিক প্রতিবিম্ব, একটি আঞ্চলিক স্বাধীনতার অবচেতনে চিহ্নিত বীরাত্মা। কিন্তু ইতিহাসের নির্মোহ দৃষ্টিতে এই উন্মোচন কতখানি তথ্যভিত্তিক আর কতখানি কল্পনানির্ভর, এই প্রশ্ন যখন উত্তীর্ণ হয়, তখনই আবশ্যক হয়ে ওঠে সংশয়, সমালোচনা এবং পুনরালোচনা।

এই প্রেক্ষিতেই আবির্ভূত হন নলিনীকান্ত ভট্টশালী—প্রত্নচেতনার কঠোর ভাষ্যকার, তথ্য ও যুক্তির নিরপেক্ষ মাপকাঠিতে ইতিহাসকে পরিমাপ করতে অভ্যস্ত এক মননশীল ঐতিহাসিক। তাঁর বক্তব্যে প্রতাপাদিত্য রূপান্তরিত হন কল্পনার বীর থেকে এক রাজনীতিক সহযোগীতে—যিনি মূলত মোগল অনুগত্যেই যশোর রাজ্যের উত্তরাধিকারী হন, এবং যাঁর স্বাধীনতাসংগ্রামের আখ্যা নিছক আঞ্চলিক পৌরুষের অতিশয়োক্তি।

ভট্টশালীর বিশ্লেষণ নিছক খণ্ডন নয়, বরং ইতিহাসচর্চার একটি একান্ত প্রয়োজনীয় সংযম। তিনি প্রশ্ন তোলেন—কোথায় প্রতাপের স্বাধীনতার দলিল? কোন মোগল নথিপত্রে তাঁর বিদ্রোহের উল্লেখ আছে? কোথায় আজিম খাঁর সঙ্গে সংঘর্ষের স্পষ্ট প্রমাণ?

নিখিলনাথ রায় এই যুক্তিকে প্রত্যাঘাত করেন ইতিহাসচর্চার আরও বৃহত্তর পরিসর থেকে। তাঁর মতে, ইতিহাস কেবল রাষ্ট্রীয় দলিলপত্রে নয়, বরং জনচেতনার ধারায়, রাজবংশীয় স্মারকে, গীত ও কাব্যকথায়ও ধ্বনিত হয়। তিনি চাঁচড়ার রাজবংশীয় তথ্য, ওয়েস্টল্যান্ড ও স্টুয়ার্টের বিবরণ, ‘আইন-ই-আকবরী’র পাঠ ও 'ঘটককারিকা’র সাক্ষ্য হাজির করেন। তাঁর যুক্তি—যে কাহিনি একটি জাতির লোকস্মৃতিতে দীর্ঘকাল ধরে প্রবহমান, তাকে নিছক অনুমান বলে বাতিল করা যায় না। ইতিহাস কেবল নথির নয়, ইতিহাস হল জনগণের মৌখিক বিবরণে বহমান এক অজেয় ধারা।

প্রতাপাদিত্য ইতিহাসের বিতর্ক ও দস্তাবেজ
মূল্য ২৫০/-
সংকলন ও সম্পাদনা - সৌমক পোদ্দার

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

কিছু কাল পরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য যখন 'কল্পতরু যাগ' আরম্ভ করেন, তখন জানকীবল্লভের উপর অনেক কার্য্যের ভার ছিল। এ বারও সকল ক...
18/05/2025

কিছু কাল পরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য যখন 'কল্পতরু যাগ' আরম্ভ করেন, তখন জানকীবল্লভের উপর অনেক কার্য্যের ভার ছিল। এ বারও সকল কার্য্য সুশৃঙ্খলতার সহিত সম্পন্ন করিয়া তিনি বিশেষ যশোলাভ করেন। মহারাজা জানকীবল্লভের কার্য্যে, বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়া, তাঁহাকে কোনও পুরস্কার প্রার্থনা করিতে বলায় জানকীবল্লভ সময় বুঝিয়া সুলতানপুর, খড়রিয়া এবং বেলফুলিয়া প্রভৃতি পরগণার জমীদারী প্রার্থনা করেন। মহারাজও ঐ পরগণাগুলির জমীদারী-সনন্দ সহ 'মজুমদার' উপাধি প্রদান করিয়া জানকীবল্লভকে সম্মানিত করেন। জমীদারী প্রাপ্ত হইয়া, জানকীবল্লভ মূলঘরে বাসস্থান নির্মাণ করিয়া পরগণা শাসন ও সংরক্ষণ করিতে লাগিলেন।

ইহার পর দিল্লীর সম্রাটের সহিত যশোহরেশ্বরের যখন সংঘর্ষ উপস্থিত হইল, তখন তৎকালীন প্রথানুসারে মহারাজ অধীনস্থ জমীদারদিগের নিকট রসদ, সৈন্য ও নৌকা চাহিয়া পাঠাইলেন। রাজাদেশে জানকীবল্লভও নিদ্দিষ্টসংখ্যক সৈন্য, নৌকা ও রসদ লইয়া স্বয়ং যশোহরে উপস্থিত হইলেন। জানকীবল্লভ কেবল যে নৌকা, সৈন্য ও রসদ যোগাইয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন, তাহা নহে।
মোগল সেনাপতি মানসিংহের সহিত শেষ যুদ্ধের সময় তিনি স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া প্রতাপাদিত্যের পক্ষে থাকিয়া যুদ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। প্রতাপাদিত্য যুদ্ধে পরাজিত হইয়া বন্দী হইলেন, আর বিজয়ী মোগলবাহিনী 'আল্লা-হো-আকবর' রবে দিক্ প্রকম্পিত করিয়া রাজপুরীতে প্রবেশোদ্যত হইল। জানকীবল্লভ দেখিলেন, রাজা গিয়াছেন; এখন বুঝি রাজার গৃহ-দেবতাও মুসলমানহস্তে বিধ্বস্ত ও লাঞ্ছিত হয়েন। তাই তিনি অতি দ্রুত দেবালয়ে প্রবেশ করিয়া প্রতাপাদিত্যের প্রতিষ্ঠিত 'লক্ষ্মীনারায়ণ' ও 'রাজরাজেশ্বরচক্র' নামক শালগ্রামশিলা দুইটি আনিয়া একেবারে স্বীয় বাসভূমি মূলঘরে প্রস্থান করিলেন। জানকীবল্লভ বিগ্রহঘরকে তথার রীতিমত প্রতিষ্ঠিত করিয়া সেবার ও পূজার ব্যয় নির্বাহ জন্য স্বীয় জমীদারী হইতে কতকটা জমী দেবোত্তর করিয়া দেন।

- প্রতাপাদিত্যের গৃহদেবতা, অশ্বিনীকুমার সেন

প্রতাপাদিত্য ইতিহাসের বিতর্ক ও দস্তাবেজ
সংকলন ও সম্পাদনা - সৌমক পোদ্দার
মূল্য ২৫০/-
বইদেশিক

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

"কাফের, তোমরা কোথায় যাইতেছ?” "হুগলীর বন্দরে।” “ফিরিঙ্গিরা কি তোমাদের ছাড়িয়া দিবে?" "আমরা ইচ্ছা করিয়া ফিরিঙ্গির হাতে ধন দ...
14/05/2025

"কাফের, তোমরা কোথায় যাইতেছ?” "হুগলীর বন্দরে।” “ফিরিঙ্গিরা কি তোমাদের ছাড়িয়া দিবে?" "আমরা ইচ্ছা করিয়া ফিরিঙ্গির হাতে ধন দিতে যাইতেছি।" নৌকা ছাড়িয়া দিল। বজরা সপ্তগ্রামের দিকে ফিরিল; তখন সন্ধ্যা হইয়াছে, কিন্তু গঙ্গাতীরে কোন গ্রামে দীপ জ্বলে নাই। গঙ্গাবক্ষ শূন্য, নিস্তব্ধ, কুয়াশায় আচ্ছন্ন। তখন সমুদ্রের জলরাশি জোয়ারের বেগে নদীতে প্রবেশ করিয়া আবার ফিরিয়া চলিয়াছে। ভীষণ স্রোতের বিপরীতে বৃহৎ বজরা অতি ধীরে ধীরে চলিতেছিল। সহসা অন্ধকার ভেদ করিয়া একখানি বৃহৎ ছিপ্ বজরার পার্শ্বে আসিয়া লাগিল, বন্দুক হস্তে চারি পাঁচজন ফিরিঙ্গি বজরায় উঠিল এবং নাবিকদিগকে বাঁধিয়া ফেলিল; নৌকার সমস্ত আরোহী বন্দী হইল, বজরা হুগলীর দিকে চলিল।

বজরা হুগলীর দুর্গের সম্মুখে পৌঁছিলে, ছিপ হইতে একট হাউই ছুটিল; তাহা আকাশ উঠিলে, তাহা হইতে একটি নীল একটি লাল ও একটি শ্বেত তারকা ফুটিয়া উঠিল। তৎক্ষণাৎ দুর্গ হইতে আর একটি হাউই উঠিল, তাহা হইতেও ঐরূপ তিনটি তারা ফুটিয়া উঠিল। বজরা আবার চলিতে আরম্ভ করিল। দুর্গের সম্মুখে সেই উত্তরদেশীয় নৌকাখানি দাঁড়াইয়াছিল, বজরা দেখিয়া সেই ব্রাহ্মণ নৌকার কর্ণধারকে কহিলেন, "ভুবন, এত সেই বজরা, সপ্তগ্রামে না গিয়া হুগলীতে আসিল কেন? নিশ্চয়ই ফিরিঙ্গি হার্মাদের নিকট বন্দী হইয়াছে।” ভুবন কহিল, "ঠাকুর, পথে ত ফিরিঙ্গির ছিপ বা কোশা দেখিতে পাইলাম না?" "হয়ত অন্ধকারে লুকাইয়া গিয়াছে। ভুবন বজরা মার।"

"সহসা ষাটজন বলিষ্ঠ ধীবর একসঙ্গে দাঁড় ফেলিল, নৌকার আরোহিগণ একলম্ফে বজরার উপরে গিয়া পড়িল। ফিরিঙ্গিগণ সতর্ক ছিল না; তাহারা অনায়াসে বন্দী হইল। তখন ভুবন উচ্চৈঃস্বরে কহিল, "বজরার মুখ ফিরাইয়া দে, সপ্তগ্রামে যাইবে।" তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া বজরার অভ্যন্তর হইতে সেই আহত যুবক ডাকিল, "ভুবন" সে স্বর শ্রবণ করিয়া ভুবনের সমস্ত দেহ কম্পিত হইল, সে আবেগরুদ্ধকণ্ঠে উত্তর দিল, "মহারাজ, যাই।"

সহসা দুর্গের উপরে বিশাল অগ্নিকুণ্ড জ্বলিয়া উঠিল, তীব্র আলোকে নদীবক্ষ উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল, ভীষণ শব্দে দুই তিনটি তোপ গর্জিয়া উঠিল। আলোক নিবিয়া গেল, সঙ্গে সঙ্গে বজরা ও নৌকা গঙ্গাগর্ভে নিমগ্ন হইল। তখন চারিদিক হইতে পাঁচ সাতখনি ছিপ্ আসিয়া আরোহী ও নাবিকগণকে বন্দী করিল।

- ময়ূখ, রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রত্নতাত্ত্বিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম পরিচয় তিনি এক অসামান্য সাহিত্যিক। বহু ঐতিহাসিক উপন্যাসের স্রষ্টা এই বাঙালি সাহিত্যিককে জানাই জন্মদিনের প্রণাম।

বইদেশিক তাঁর তিনটি উপন্যাস পুনর্মুদ্রিত করেছে এবং ইতিমধ্যেই তা যথেষ্ট সমাদর লাভ করেছে।

ময়ূখ, ২৫০ টাকা
করুণা, ৪০০ টাকা
শশাঙ্ক, ৪৫০ টাকা

আমাজন ফ্লিপকার্ট ছাড়াও বইটি পাওয়া যাবে
কলেজ স্ট্রীটে - দেবুকস্টোর , বুকফ্রেন্ড, গল্পগুচ্ছ রূপায়ণি , জানকি বুক ডিপো, প্ল্যাটফর্ম, শব্দ ।
অনলাইনে - বইঘর, বইদেশিক , দূরের বই, বুকমার্ক, বই পিওন, বইলুট ও অন্যান্য সাইটে।
সোদপুরে - পাপাঙ্গুলের ঘর
বেহালায় - বইবিশ্ব
বারাসাতে - কথক গ্রন্থবিপণিতে

কিছু কাল পরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য যখন 'কল্পতরু যাগ' আরম্ভ করেন, তখন জানকীবল্লভের উপর অনেক কার্য্যের ভার ছিল। এ বারও সকল ক...
12/05/2025

কিছু কাল পরে মহারাজ প্রতাপাদিত্য যখন 'কল্পতরু যাগ' আরম্ভ করেন, তখন জানকীবল্লভের উপর অনেক কার্য্যের ভার ছিল। এ বারও সকল কার্য্য সুশৃঙ্খলতার সহিত সম্পন্ন করিয়া তিনি বিশেষ যশোলাভ করেন। মহারাজা জানকীবল্লভের কার্য্যে, বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়া, তাঁহাকে কোনও পুরস্কার প্রার্থনা করিতে বলায় জানকীবল্লভ সময় বুঝিয়া সুলতানপুর, খড়রিয়া এবং বেলফুলিয়া প্রভৃতি পরগণার জমীদারী প্রার্থনা করেন। মহারাজও ঐ পরগণাগুলির জমীদারী-সনন্দ সহ 'মজুমদার' উপাধি প্রদান করিয়া জানকীবল্লভকে সম্মানিত করেন। জমীদারী প্রাপ্ত হইয়া, জানকীবল্লভ মূলঘরে বাসস্থান নির্মাণ করিয়া পরগণা শাসন ও সংরক্ষণ করিতে লাগিলেন।

ইহার পর দিল্লীর সম্রাটের সহিত যশোহরেশ্বরের যখন সংঘর্ষ উপস্থিত হইল, তখন তৎকালীন প্রথানুসারে মহারাজ অধীনস্থ জমীদারদিগের নিকট রসদ, সৈন্য ও নৌকা চাহিয়া পাঠাইলেন। রাজাদেশে জানকীবল্লভও নিদ্দিষ্টসংখ্যক সৈন্য, নৌকা ও রসদ লইয়া স্বয়ং যশোহরে উপস্থিত হইলেন। জানকীবল্লভ কেবল যে নৌকা, সৈন্য ও রসদ যোগাইয়া নিশ্চিন্ত ছিলেন, তাহা নহে।
মোগল সেনাপতি মানসিংহের সহিত শেষ যুদ্ধের সময় তিনি স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া প্রতাপাদিত্যের পক্ষে থাকিয়া যুদ্ধ করিয়াছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হইল না। প্রতাপাদিত্য যুদ্ধে পরাজিত হইয়া বন্দী হইলেন, আর বিজয়ী মোগলবাহিনী 'আল্লা-হো-আকবর' রবে দিক্ প্রকম্পিত করিয়া রাজপুরীতে প্রবেশোদ্যত হইল। জানকীবল্লভ দেখিলেন, রাজা গিয়াছেন; এখন বুঝি রাজার গৃহ-দেবতাও মুসলমানহস্তে বিধ্বস্ত ও লাঞ্ছিত হয়েন। তাই তিনি অতি দ্রুত দেবালয়ে প্রবেশ করিয়া প্রতাপাদিত্যের প্রতিষ্ঠিত 'লক্ষ্মীনারায়ণ' ও 'রাজরাজেশ্বরচক্র' নামক শালগ্রামশিলা দুইটি আনিয়া একেবারে স্বীয় বাসভূমি মূলঘরে প্রস্থান করিলেন। জানকীবল্লভ বিগ্রহঘরকে তথার রীতিমত প্রতিষ্ঠিত করিয়া সেবার ও পূজার ব্যয় নির্বাহ জন্য স্বীয় জমীদারী হইতে কতকটা জমী দেবোত্তর করিয়া দেন।

- প্রতাপাদিত্যের গৃহদেবতা, অশ্বিনীকুমার সেন

প্রতাপাদিত্য ইতিহাসের বিতর্ক ও দস্তাবেজ
সংকলন ও সম্পাদনা - সৌমক পোদ্দার
মূল্য ২৫০/-

অনলাইনে এবং অফলাইনে পাবেন এই সপ্তাহেই।

সাথে সাতে...ছয় বছর পূর্ণ করে বইদেশিকের সাতে পদার্পণ  আপনাদের নিরন্তর শুভকামনা এবং সমর্থন ব্যতীত কেবল এক স্বপ্ন থেকে যেত...
10/05/2025

সাথে সাতে...

ছয় বছর পূর্ণ করে বইদেশিকের সাতে পদার্পণ আপনাদের নিরন্তর শুভকামনা এবং সমর্থন ব্যতীত কেবল এক স্বপ্ন থেকে যেত। বই বিপণন থেকে প্রকাশনা এবং অন্যান্য সব সফলতা এসেছে আপনাদের জন্যই।

আজ এইদিনে ধন্যবাদ জানাই সকল বইপ্রেমী পাঠকগণ, বিক্রেতাবন্ধু, সহযোগী প্রকাশনা এবং বইবিপণির কর্ণধারগণকে। ধন্যবাদ জানাই লেআউটশিল্পী,প্রেসকর্মী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে। সকল পরিবহণকর্মী এবং ডাককর্মীকেও জানাই ধন্যবাদ।

যাদের কথা না বললে অসম্পূর্ণ থেকে যাবে , অকুণ্ঠ ধন্যবাদ জানাই বইপোকা, বইতরণী, মলাট সহ সব সাহিত্যগ্রুপের পরিচালকগণকে।

আপনাদের এই ভালোবাসা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাক এটুকুই কামনা।

Address

105, N. S. Road
Kolkata
700149

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বইদেশিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to বইদেশিক:

Share

Category