01/06/2025
ভোরবেলা হাওড়া স্টেশনে নামার পর থেকেই প্রহর গুনছিলাম কতোক্ষণে নন্দনে পৌঁছবো। আসলে এই সিনেমাটা প্রথমদিনে প্রথম শোয়ে দেখার খুব ইচ্ছে ছিল। দীর্ঘ প্রায় ১ বছর অপেক্ষা করেছি। রোজই দাদাকে জিজ্ঞেস করতাম কবে মুক্তি পাচ্ছে। আর যখন মুক্তির সময় এলো পূর্বপরিকল্পিত তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় ভাবনায় পরিবর্তন ঘটাতে বাধ্য হই। সৌরভদা আমার কাছে একজন পথপ্রদর্শক। নিজের ভাইয়ের মতো আগলে রাখে। ছোট থেকে মানুষটার ভক্ত ছিলাম দূরদর্শনের পর্দায় দেখে আর এখন তো স্বয়ং সাক্ষাৎ পাই। “অঙ্ক কি কঠিন” সৌরভদার এতো দিনের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা। সিনেমাজগতে এইভাবে পা দিতে অনেকেই পারে না। আমাদের কথা তুলে ধরেছে এই সিনেমা।
লকডাউন, পড়াশোনা বন্ধ, স্কুলে তালা পরে যাওয়ার পর আর না খোলা, নিম্ন মধ্যবিত্তদের রোজগারে ভাটা। তার মধ্যেও স্বপ্ন দেখে কিছু “বস্তির ক্ষুদে”। বস্তি কথাটা উল্লেখ করলাম কারণ বস্তি শুনলেই অনেকে নাক উঁচু করে, বস্তি থেকেও যে আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখা যায় আর সেটা বাস্তবায়িত করা যায় সেটার জ্বলন্ত উদাহরণ বাবিন, টায়ার ও ডলি। “সবসময় সবকিছু ব্যবহার করতে নেই। কিছু বাঁচিয়ে রাখতে হয়। পরে কাজে লাগে।” অনেক কিছু শিক্ষা দেয় কথাগুলো।
অনেকদিন পর এমন একটা সিনেমা দেখলাম যা এই একঘেয়েমির বাইরে গিয়ে অন্যরকম অনুভূতি দিলো। Saurav দা, তুমি গুরু ভালো। অভিনয়ে ক্ষুদেগুলো, Krishnendu দা, বুদ্ধদা, Prosun, Ushasie দি, parno দি, Sankar জেঠু অনবদ্য। সাথে বাকিদের যোগ্য সঙ্গত। এই সিনেমায় এক অন্য প্রসুনকে দেখলাম। এতোদিন নাটকের মঞ্চে খুব কাছ থেকে ওর অভিনয় দেখেছি। বেশ নজর কাড়তো। এবার বড়পর্দায় যেন একদম “পারফেক্ট”। এই ছবির অঘোষিত নায়ক ও। সাথে Debdeep দার লেখা ও সুরে গানগুলো। আহাঃ।
এই ছবি সবার ছবি। এই ছবি তোমার আমার ছবি। একবার দেখার আর্জি জানালাম সবাইকে। কথা দিচ্ছি এক অন্যরকম অনুভূতিতে প্রেক্ষাগৃহ ছাড়বেন।
এভাবেই “ইচ্ছেমতো” এগিয়ে চলুক এই স্বপ্নের ফেরিওয়ালা।