SupriyaS simple Life

SupriyaS simple Life আমার কল্পনায় তোমার ই বসবাস ♥️😊
(5)

নারী মা হওয়ার পর স্বামীর ভালোবাসা কেন ক'মে যায় কিংবা পরিবর্তন হয়❓উত্তরঃ নারী মা হওয়ার পর স্বামীরা ভালোবাসে না—এটা আসলে...
22/07/2025

নারী মা হওয়ার পর স্বামীর ভালোবাসা কেন ক'মে যায় কিংবা পরিবর্তন হয়❓

উত্তরঃ নারী মা হওয়ার পর স্বামীরা ভালোবাসে না—এটা আসলে একটা ভু'ল ধারণা বা অসম্পূর্ণ চিত্রণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষরা তাদের স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি গভীর ভালোবাসা অনুভব করেন।
তবে কিছু কারণে তাদের আচরণে পরিবর্তন আসতে পারে, যা অনেক সময় ভু'ল বোঝার সৃষ্টি করে:

১. নতুন দায়িত্ব ও মানসিক চাপ
বাচ্চা আসার পর স্বামীর ওপর আর্থিক ও পারিবারিক দায়িত্বের চা'প বাড়ে। এই চা'প তাদের আচরণে পরিবর্তন আনতে পারে,,,,যেমন: তারা হয়তো কম কথা বলছেন বা নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন।
এটাকে ভালোবাসার অভাব বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এটি মূলত নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া।

২. মনোযোগের পরিবর্তন
বাচ্চা হওয়ার পর স্ত্রীর সময়ের বেশিরভাগটা বাচ্চার পেছনে যায়, যা খুবই স্বাভাবিক। স্বামীরা অনেক সময় অনুভব করেন যে তারা আগের মতো স্ত্রীর মনোযোগ পাচ্ছেন না। এতে তারা একটু একা বা অবহেলিত বোধ করতে পারেন। এই অনুভূতি তাদের আচরণে এক ধরনের দূ'রত্ব তৈরি করতে পারে😔

৩. ঘুমের অভাব ও ক্লান্তি
নতুন বাবা-মা উভয়েরই ঘুমের মা'রাত্মক ঘাটতি হয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় শরীর ও মন ক্লান্ত থাকে, যার ফলে মেজা'জ খি'টখি'টে হয়ে যেতে পারে। ক্লা'ন্তি থেকে আসা এই বিরক্তিকে ভুল করে ভালোবাসার অ'ভাব বলে মনে হতে পারে।

৪. নিজেদের মানিয়ে নেওয়া
পুরুষদেরও বাবা হওয়ার পর নতুন ভূমিকায় নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। কীভাবে বাচ্চার যত্ন নিতে হবে, স্ত্রীকে কীভাবে সাহায্য করতে হবে, এবং নিজেদের মধ্যে রো'মান্টিক সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে—এই সব কিছু নিয়ে তারা দ্বি'ধায় ভো'গেন। এই অনিশ্চয়তা তাদের আচরণে প্রভাব ফেলে।

৫. শা'রীরিক ঘ'নি'ষ্ঠতার অ'ভাব
বাচ্চা হওয়ার পর স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের কারণে শারীরিক ঘ'নি'ষ্ঠতা কমে যেতে পারে। এই পরিবর্তন অনেক সময় স্বামীদের মধ্যে হ'তাশা বা দূ'রত্ব তৈরি করে, যা ভু'ল বোঝাবুঝির জন্ম দেয়।
অনেক সময় এই পরিবর্তনগুলো সাময়িক এবং পরিস্থিতিগত।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে খো'লামে'লা আলোচনা ও একে অপরের প্রতি সহানুভূতি এই ভু'ল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করে।

👉তাই এই সময়টিতে ধৈর্য ধরে একে অপরের পাশে থাকা খুব জরুরি।

এই লেখা শুধু একজন মায়ের না, এটা হাজারো মায়ের মনের কথা। 🤔আপনার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা বউটা এখন সারাদিন খিটখিট করে ।  সামান...
17/07/2025

এই লেখা শুধু একজন মায়ের না, এটা হাজারো মায়ের মনের কথা।

🤔আপনার মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা বউটা এখন সারাদিন খিটখিট করে । সামান্য কিছু হলেই রেগে যায়।

👉কেন জানেন?

🥹আপনার মিষ্টি বউটা এখন মা…
একটা শব্দ, যার পেছনে লুকানো হাজারটা না বলা কষ্ট।
সবাই বলে খিটখিটে মেজাজ, রাগী স্বভাব—
কিন্তু কেউ ভাবে না, সে কতটা হতাশ তার জীবন নিয়ে

☺️সন্তান জন্মের পর একজন নারীর জীবন বদলে যায়—
এই কথাটা সবাই বলে।
😢কিন্তু সেই বদলে যাওয়া জীবনে, নিজের জন্য একটু সময়, কিছু সখ পূরণ থাকে না

🤔সে কেন আগের মতো হাসে না?
🤔কেন চুপচাপ হয়ে গেছে?
🤔কেন একটু কিছু হলেই রেগে যায়?

🙂‍↕️কিন্তু কখনো কি জিজ্ঞেস করি—
তোমার কি লাগবে । কোন কাজে তোমার সাহায্য লাগবে কিনা।

✅একজন মা,
👉যে সারারাত জেগে সন্তানের নিঃশ্বাস গোনে,
👉যে নিজে না খেয়ে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেয়,
👉 প্রতিদিন চলে যুদ্ধ সংসারের কাজ , বাচ্চা সামলানো সব মিলিয়ে নিজের জন্য ১ মিনিট সময় থাকে না ।
👉 তারপরও মা হাসিমুখে সব কাজ করছে কারণ তার কাছে নিজের থেকে সংসার ও তার বাচ্চা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

✅যে দিনের পর দিন নিজের শরীর, মন, স্বাধীনতা সব বিসর্জন দেয়—
👉তাকে আমরা শুধুই “দায়িত্বশীল” বলে পাশ কাটিয়ে যাই।

🥹আয়া, বুয়া, দারোয়ান—সবার শ্রমের দাম আছে।
শুধু একজন মায়ের শ্রমটাই “স্বাভাবিক” ধরে নেই।

😢তাকে কেউ ধন্যবাদ দেয় না,
😢কেউ বোঝে না,
শুধু বলে—
“তুমি তো সারাদিন ঘরেই থাকো, এত ক্লান্তি কিসের?”
“সব তো আছে, তাও এমন খিটখিটে কেন?”

👉এই কথাগুলো যখন তার কানে আসে,
👉সে আরো হতাশ হয়ে যায়। ডিপ্রেশনে পড়ে যায়। আরো অধৈর্য হয়ে পড়ে

🥹সে কোনো স্বীকৃতি চায় না,
🥹কোনো বেতন চায় না।
শুধু চায় কেউ একজন বলুক—
"তুমি অনেক কষ্ট করো, আমি বুঝি।"

👉আমি বুঝি এই সামান্য কথাটাই একটি মাকে হতাশা থেকে বের করতে পারে । ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দিতে পারে ।

👉এই লেখা শুধু একজন মায়ের না,
👉এটা হাজারো মায়ের মনের কথা —
👉যারা প্রতিদিন নিঃশব্দে একটা পৃথিবী গড়ে তোলে,

✅ আপনার মিষ্টি বউটা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলত যদি আপনি তার যুদ্ধের একজন সঙ্গী হতেন ।

সুপ্রভাত বন্ধুরা। 🌄🌅



আমি ব্যক্তিগত ভাবে যৌথ পরিবার প'ছন্দ করিনা.... এই লাইনটা শোনার সাথে সাথে যেটা অনেকের মাথায় আসে সেটা হলো.... "নিজের আগে এ...
15/07/2025

আমি ব্যক্তিগত ভাবে যৌথ পরিবার প'ছন্দ করিনা.... এই লাইনটা শোনার সাথে সাথে যেটা অনেকের মাথায় আসে সেটা হলো....
"নিজের আগে একটা ছেলে হোক তখন দেখবো। তখন আর এই কথা বলবানা যে তোম'রা আলাদা থাকো বা তোমার নিজেরই তো ছেলে আছে...নিজে কী করবা ভবিষ্যতে?"- এই কথাটা সবাই বলে🤦‍♀️

আমি যখন বলি, ছেলেকে বিয়ে করেই আলাদা করে দিবো। তখন প্রশ্ন আসে আমাদের বু*ড়ো বয়সে সেবা করবে কে...?🫤

তবে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমার দারুণ একটা স্বপ্ন আছে... আমি জানি একটা নিজের সংসার, একফালি ব্যালকোনি, একটা কিচেন, কয়টা রঙিন মশলার কৌটা, একটা আলতা পরা অলস দিন, নতুন ট্রাই করা আ"নাড়ি রেসিপিটা, কয়টা চকচকে বাসন, প্লেট- রূপালি চামচ, এসব একটা মেয়ের জন্য কী....
এসবের মায়ায় একটা মেয়ে ঘর ছেড়ে শশুর বাড়িতে নিজের সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখে..! 💞

আমার ছেলেকে বিয়ের সাথে সাথেই আলাদা করে দেবো। পাশেই থাকুক না হয় তবে এক সংসারে নয়। পাশের ফ্ল্যাটেই কিংবা বিল্ডিং এর আরেকটা ফ্লোর ওদের হোক।
ছাদে ওরা খুনসুটি করে কাপড় মেলুক, পছন্দের রঙে ঘর সাজাক। আমার এই স্বাধীন জীবনটা আমার ছেলের বউয়ের কেন হবে না...??
দু’জনার একটা রান্না ঘরে আমার স্বামীর সাথে কত যে রূপকথার গল্প জমে রোজ। তাহলে আমার ছেলে কেন সেই গল্প থেকে ব"ঞ্চিত হবে...? 🙅‍♀️

এরপর রইলো বু*ড়ো বাপ-মার সেবা। আচ্ছা ছেলে যখন বিয়ে করায় তখন কি বাবা মা একদম বু*ড়ো হয়ে যায়...? বিছানায় পড়ে থাকে..??
কই আশে পাশে তো তেমন দেখি না। ছেলে বিয়ে যখন দেয় তখনই কোনো শাশুড়ি বা শশুর এতোটাও বু*ড়ো হয়ে যায়না যে তাদের তখনই সেবা করার প্রয়োজন পড়ে।
তবে বিয়ের পরে ছেলে আর ছেলের বউয়ের ঐ সময়টা তাদের আর কখনো ফিরে আসেনা তাই ঐ সময়টা তাদের মতো এনজয় করার সুযোগ দেওয়া উচিত...!!

সংসার সুন্দর, বিয়ে সুন্দর। এই ঝ*গড়া*ঝা*টি, হাজারটা দায়িত্ব, জাজমেন্ট.... এসব করে একটা মেয়ের সংসারের সৌন্দর্য ন*ষ্ট করা উচিত না..!!❤️‍🩹

বিঃদ্রঃ -- যারা ছেলের বউ নিয়ে সুখে শান্তিতে একত্রে থাকছেন বা থাকতে চান তাদের বিরোধিতা করা হয় নি......!!🤷‍♀️

শুভ রাত্রি। ঘুমিয়ে পড়ো সবাই

পঞ্চাশের পরে নারীর জীবন—এক নতুন অধ্যায়ের শুরু:নারীর জীবনের প্রতিটি দশক একেকটি সংগ্রামের গল্প। তিরিশে সংসার গড়ার ছুটোছুটি...
10/07/2025

পঞ্চাশের পরে নারীর জীবন—এক নতুন অধ্যায়ের শুরু:

নারীর জীবনের প্রতিটি দশক একেকটি সংগ্রামের গল্প। তিরিশে সংসার গড়ার ছুটোছুটি, চল্লিশে দায়িত্বের চাপ, আর পঞ্চাশ?
এ যেন ক্লান্ত শরীর, ক্লান্ত মন, আর আত্মা খুঁজে ফেরে একটু প্রশান্তি, একটু নিজের জন্য সময়।

পঞ্চাশ পেরোনো মানেই জীবন শেষ—এমন ভাবনার দিন শেষ। এই বয়সটা আসলে একটা নতুন সূর্যোদয়, যেখানে আপনিই আসল নায়িকা, আপনার নিজের জীবনের।
এখন সময় এসেছে একটু পেছনে তাকিয়ে নিজের কৃতিত্বকে স্যালুট জানানোর। আপনি বহুদিন ধরে সংসারের প্রতিটি কোণ, প্রতিটি মানুষের জন্য নিজের অস্তিত্ব বিলিয়ে দিয়েছেন। এখন সময় এসেছে নিজেকে ভালোবাসার।

হিসেব বন্ধ করুন, আশা কমান

জীবনের সমস্ত হিসেব মিলবে না—এই বাস্তবতা মেনে নিতে শিখুন। কে কতটা দিল, কে কতটা বোঝেনি, আর কে আপনাকে অবহেলা করল—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে যাওয়া মানেই নিজেকে ঘরে বন্দি করে ফেলা।

এখন দরকার মুক্তি—আত্মিক মুক্তি। আশা যত কমাবেন, তত শান্ত থাকবেন।
দোষারোপের চক্র থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের ভুলগুলো মেনে নিন, যদি সংশোধন সম্ভব না হয়, তাহলে ক্ষমা করে দিন নিজেকেই।
আপনার অতীত ছিলো সত্য, কিন্তু ভবিষ্যৎ এখনো আপনার হাতে।

সংসার থেকে একটু সরে আসুন, দূরত্ব রাখুন

এখন আর দিনরাত ঘরের কাজে ডুবে থাকা নয়। জীবন অনেক কিছু দিয়ে দিয়েছে, কিছু না পাওয়াও শিখিয়েছে।
কিন্তু এখন সময় এসেছে নিজের ঘরটাকে একটু হালকা করার। অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ধীরে ধীরে বিদায় দিন—সেই পুরনো কাপে ধরা স্মৃতি, সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া আলমারির ভেতরের স্মৃতিভার—এগুলো ছেড়ে দিন।
জিনিসের প্রতি মায়া কমান, কারণ আসল মূল্য আপনার শান্তির।

কোমর ব্যথা, হাঁটুর যন্ত্রণা, ঘাড়ের টান—এসব বয়সের স্বাভাবিক উপহার। শুধু ওষুধে নয়, মানসিক ভারমুক্তিতেও আরাম আসে।

ঘর যদি একটু অগোছালো থাকে, থাকুক না। সব কিছুই কি আর ঠিকঠাক থাকা দরকার?
বরং এখন সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে হারিয়ে যাওয়ার।
জানালা খুলে বৃষ্টি দেখুন, ছাদে উঠে চাঁদকে দেখে একটা গভীর নিশ্বাস নিন।
নদীর ধারে হাঁটুন, গাছের নিচে বসে থাকুন, নিজের সঙ্গে সময় কাটান।

একাকীত্ব—ভয় নয়, অভ্যাস করুন

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একাকীত্ব আসবেই। কেউ যাবে, কেউ পাশে থাকবে না।
এটাই স্বাভাবিক।
তাই ধীরে ধীরে একা থাকার অভ্যেস গড়ে তুলুন। সিনেমা দেখুন একা, বই পড়ুন, গান শুনুন, রাস্তায় একা হাঁটুন—এভাবেই আপনি নিজেকে নতুন করে চিনবেন।

নিজের শরীরের যত্ন নিন, মনকে সাজান।
শরীরের ছোট ছোট লক্ষণগুলো উপেক্ষা করবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুম নিন।
প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন।
আর হ্যাঁ, একটু সাজুন, নতুন জামা পরুন, আয়নায় নিজেকে দেখে হাসুন।

সম্পর্ক—ভালোবাসুন, কিন্তু দূরত্ব রাখুন

সব সম্পর্ক হৃদয়ে ঢুকিয়ে রাখলে কষ্ট বাড়বে।
ভালোবাসুন, সাহায্য করুন, কিন্তু অপ্রয়োজনীয় আবেগে ডুবে যাবেন না।
যতো বেশি জড়িয়ে যাবেন, ততই মন ভাঙবে।
তাই ভালোবাসাকে একটা সীমানা দিন। নিজের শান্তিকে আগে রাখুন।

জীবনের আসল শিক্ষা—অতিথির মতো বাঁচুন

এই পৃথিবী আমাদের চিরকালের বাড়ি নয়।
আমরা অতিথি মাত্র।
এই ভাবনাটা যদি প্রতিদিনের জীবনের অংশ করে ফেলতে পারেন, তাহলে দুঃখ, হিংসে, প্রতিযোগিতার মতো বিষাক্ত অনুভূতিগুলো নিজে থেকেই কমে যাবে।

মনে রাখবেন—জীবন আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সব না হোক, কিছু মধুর মুহূর্ত ছিল। সেগুলোই আপনার সম্পদ।
প্রতিদিন অন্তত একবার সেগুলোর কথা ভাবুন, মনের ভেতর আলোর মতো জ্বলে উঠবে স্নিগ্ধ শান্তি।

একটি নতুন জীবন শুরু হোক আজ থেকেই—

নিজেকে ভালোবাসার এই যাত্রা আজ থেকেই শুরু করুন।
এখন থেকে আপনিই আপনার প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব।
আপনিই আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ।
সুপ্রভাত বন্ধুরা🌅🌄

“শাশুড়ি কেন ছেলের বউয়ের সুখ সহ্য করতে পারেন না — কারণ ও করণীয়” একটি পরিবার মানেই অনেক মানুষের ভালোবাসা, দায়িত্ব এবং মিলে...
09/07/2025

“শাশুড়ি কেন ছেলের বউয়ের সুখ সহ্য করতে পারেন না — কারণ ও করণীয়”


একটি পরিবার মানেই অনেক মানুষের ভালোবাসা, দায়িত্ব এবং মিলেমিশে থাকা। কিন্তু আমাদের সমাজে এমন অনেক পরিবার আছে, যেখানে ছেলের বউ আসার পর থেকেই শাশুড়ি-বউয়ের সম্পর্কটা জটিল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে, অনেক সময় দেখা যায়—ছেলের বউ যদি সুখে-শান্তিতে থাকতে চায়, স্বাধীনভাবে নিজের মতামত দিতে চায় বা ছেলের ভালোবাসা পায়, তখনই শাশুড়ির চোখে সেই বউ ‘অতি বুদ্ধিমতী’ কিংবা ‘সাজানো নাটকের নায়িকা’ হয়ে ওঠে। প্রশ্ন হলো—কেন এমন হয়? একজন নারী হয়ে আরেক নারীর সুখ দেখে ঈর্ষাবোধ হয় কেন?

কারণসমূহ:
১. অহংবোধ ও মালিকানা বোধ:
অনেক শাশুড়ির মধ্যে ছেলের প্রতি এক ধরনের মালিকানা বোধ কাজ করে। ছেলে বড় হয়ে প্রেম, বিবাহ বা বউয়ের প্রতি বেশি মনোযোগ দিলে মনে হয়—বউ তাকে 'ছিনিয়ে নিচ্ছে'। সেই মালিকানার জায়গা থেকেই বউয়ের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়।

২. নিজের জীবনের অতৃপ্তি:
বহু শাশুড়ির নিজের দাম্পত্যজীবন হয়তো সুখকর ছিল না। সেই অতৃপ্তি থেকে তারা চায় না, পরবর্তী প্রজন্ম সহজে সুখ পেয়ে যাক। নিজের কষ্টের রেশ তারা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছেলের বউয়ের ওপর প্রক্ষেপণ করে।

৩. পরিবর্তনের ভয়:
বউ আসার পর সংসারে নতুন নিয়ম-কানুন আসে। অনেক শাশুড়ি এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারেন না। তারা ভাবেন—“আমি যা করেছি, সেটাই ঠিক; নতুন কেউ এসে সেটায় নাক গলাতে পারবে না।”

৪. অদৃশ্য প্রতিযোগিতা:
অনেক সময় ছেলের ভালোবাসা ও সময় ভাগাভাগি হওয়ায় শাশুড়ি মনে করেন—তিনি যেন ছেলের জীবনে ‘দ্বিতীয়’ হয়ে গেছেন। এই প্রতিযোগিতার মানসিকতা থেকেই তিনি ছেলের বউয়ের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেন।

৫. সমাজ-সংস্কৃতির প্রভাব:
আমাদের সমাজে বহুদিন ধরে এই ধারণা চালু—“শাশুড়ি মানেই বউকে শাসন করবে।” এই ভ্রান্ত ধারণার ফলেই অনেক শাশুড়ি অকারণে কড়া হয়ে ওঠেন।

সমাধানের টিপস (শাশুড়ি ও বউ দু’জনের জন্য):
✅ শাশুড়িদের জন্য টিপস:
ছেলেকে ভালোবাসার পাশাপাশি বুঝতে হবে, তার স্ত্রীও তার জীবনের অংশ।

বউকে নিজের মেয়ের মতো গ্রহণ করুন। এতে পরিবারে শান্তি আসবে।

নিজের অতীত না চাপিয়ে, বউকে নিজের মতো চলতে দিন।

ঈর্ষা নয়, অভিজ্ঞতা দিয়ে তাকে গড়ে তুলুন।

✅ বউদের জন্য টিপস:
শাশুড়িকে মায়ের মর্যাদা দিন, যতই কঠিন হোক না কেন।

একসাথে সময় কাটান—কথা বলুন, গল্প শোনান, রান্নায় সাহায্য করুন।

ছেলের মধ্যে ‘বিচারক’ না বানিয়ে, সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য আনুন।


একটা কথা মনে রাখা দরকার—শাশুড়ি-বউ কোনো জন্মশত্রু নন, বরং একই পরিবারের সদস্য। একে অপরের প্রতি সহানুভূতি, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বোঝাপড়া থাকলে কোনো সমস্যাই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। পুরুষদেরও দায়িত্ব—দুই প্রিয় নারীর মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা। পরিবার মানেই তো ভালোবাসার জায়গা—সেখানে ঈর্ষা ও দুঃখ নয়, থাকুক সম্মান আর শান্তি।
afternoon friends





゚viralシfypシ゚viralシalシ


হ্যাঁ আমাদের নতুন প্রজন্ম এটাই শিখবে... আর  জানবে, মা মানে শাঁখা সিঁদুর পরে রান্নাঘরে কাটানো সর্বত‍্যাগী দেবী নয়, একজন ভ...
09/07/2025

হ্যাঁ আমাদের নতুন প্রজন্ম এটাই শিখবে... আর জানবে, মা মানে শাঁখা সিঁদুর পরে রান্নাঘরে কাটানো সর্বত‍্যাগী দেবী নয়, একজন ভালো বন্ধু।

এই একটা কথা খুব দেখি যে - "আমাদের জেনারেশনটাই শেষ যেখানে বাচ্চারা মায়ের হাতের ভালো রান্না খাবে।" এরপরের জেনারেশন কি দেখবে কে জানে? তবে শুনুন এর পরের জেনারেশন কি কি দেখবেঃ
★। মা এবং বাবা দুজনেরই হাতের ভালো রান্না খাওয়া যায়।
★। বাবা-মা একে অপরকে ভালোবাসে, ডেটে যায়, একলা বেড়াতে যায়!
★। মা সিনেমা বানায়, মা প্লেন চালায়, মা কাগজে লেখে, মা নতুন জিনিস আবিষ্কার করে, মা চিকিৎসা করে, মা ব্যবসা করে, মা রোজগার করে।
★। মা নিজের জন্য নিজের টাকায় ভালো জিনিস পরে, খায়, কেনে, কিনে দেয়, খাওয়ায়, গিফট দেয়।
★। মা নিজের শরীরেরও খেয়াল রাখে।
★। মা over interference সহ্য করেনা।
★। মা সাহসী, মা ঘরে-বাইরে সবখানে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানে। মা কখনো বলে না "আমরা মেয়ে, আমাদের সহ্য করাই কাজ", "মেয়েদের মেনে নিতে হয়", "মেয়েদের অ‍্যাডজাস্ট করতে হয়"।
★। মা সারাদিন বাচ্চার পিছনে পিটপিট খিটখিট করেনা, কারণ ঐ বাচ্চা ছাড়া তার আরও লাইফ আছে। মা প্রাইভেসির অর্থ বোঝে। মা লোকের নামে PNPC করেনা, নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
★। মা-কে মানুষ বাচ্চার মা হিসেবে নয় মানুষ হিসেবে সম্মান করে, তার কথার দাম দেয়।
★। মা আর বাবা একসাথে সংসার ধরে রেখেছে। কথা বলে তারা সমস্যার সমাধান করে। দুজনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলে।
★। মা সেলফি তোলে, মা সাজে, মা নিজের হবির জন‍্য সময় বের করে, মা নিজের পছন্দের খাবার বানায়, মা নিজেকে ভালোবাসে তাই সবাইকে ভালো রাখতে পারে।
★। মা বিশ্বাস করে মানসিক রোগ একটা বড় সমস্যা, তাই থেরাপিতে যেতে সাহায্য করে। ইগনোর করেনা।
★। মা এলজিবিটিকিউ সন্তানের পাশে থাকে, তার ভালোবাসাকে মূল্য দেয়।
★৷ মা মেয়ের ১৮ বছর হলেই বিয়ে দিতে উঠে পরে লাগে না, তাকে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখায়, সে যেটা করতে বা পড়তে ভালোবাসে সেটা করতে উৎসাহ দেয় । মা কখনো মেয়েকে বলে না "এটা কর, সেটা করিসনা, এভাবে বস, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি গেলে কি করবি? বলবে মা কিছু শেখায় নি"। ছেলেদের মা কখনো বলে না "ছেলেদের কাঁদতে নেই" বা "সোনার আংটি আবার ব‍্যাঁকা"।
★। মা ছেলে-মেয়েকে বোঝার চেষ্টা করে, ফ্রেন্ডলি হয়, তাদের ভালোবাসার বা পছন্দের দাম দেয় । তাদের উপর নিজেদের পছন্দ বা আকাঙ্খা চাপিয়ে দেয় না।
হ্যাঁ আমাদের আগামী প্রজন্ম এইসব শিখবে। এইসব দেখবে তাদের মায়েদের কাছ থেকে। আপনারাই কোনোদিন মাকে রান্না ঘর ছাড়া আর কোথাও কল্পনা করেননি, মানুষ বলে ভাবেননি তাই "আহারে নতুন প্রজন্ম মায়ের হাতের রান্না খেতে পাবে না" গোছের ন্যাকা কান্না ছাড়া আর কিছু বলার নেই আপনাদের। জেনে রাখুন, আজকাল মায়েরা জুতোসেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবটাই জানে।

friends



Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when SupriyaS simple Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share