
17/09/2025
তখন শব্দের আলাদা দাম ছিলো..।
মাত্র ১১ টাকার কার্ড স্ক্র্যাচ করে রিচার্জ করলে পাওয়া যেতো ২০০টা SMS।
প্রতিটা SMS-এর আবার শব্দ সংখ্যার সীমাবদ্ধতা ছিলো।
কথা শেষ না হতেই যদি মেসেজ ফুরিয়ে যেতো, অনলাইনে রিচার্জ করার সুযোগ ছিলো না..।
তাই প্রতিটা শব্দ, খুব ভাবনা-চিন্তা করে লিখতে হত।
একটা ‘s’ লেখার জন্যই তখন কিপ্যাডে চার-পাঁচবার চাপতে হত..।
তবুও কেউ বিরক্ত হত না..।
SMS বড় হয়ে গেলে তাকে কেটে ছোট করতে হত..।
তখন নামের পাশে সবুজ বাতি থাকুক বা না থাকুক—কেউ পরোয়া করত না..।
অনলাইন-অফলাইনের হিসাব রাখার সুযোগই ছিলো না..।
ছিলো শুধু প্রতিটা মেসেজের পর দু-তিন মিনিটের অপেক্ষা...
নতুন মেসেজ এলেই মুখে ফুটে উঠতো এক চিলতে হাসি..।
আর আবেগ দিয়ে লিখে পাঠানো হতো রিপ্লাই..।
রাতের জন্য আলাদা করে জমিয়ে রাখা হতো একটা "Good night"—
আর সকালের জন্য, যত্ন করে রাখা হতো একটি "Good morning"।
তখন ইমোজি ছিলো না..।
আবেগগুলোকে বুঝতে হতো শুধু অনুভব দিয়ে..।