কোনো কালে একা হয়নিকো জয়ী , পুরুষের তর? কোনো কালে একা হয়নিকো জয়ী , পুরুষের তরবারি ; প্রেরণা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে , বিজয়ালক্ষী নারী।
14/09/2025
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে নিকৃষ্টতম তারা, যারা পরোক্ষ নিন্দা করে, বন্ধুদের মধ্যে বিচ্ছেদ সৃষ্টি করে এবং নিরপরাধ লোকদের দোষ খুঁজে ফিরে।"
সূরা: আল - হুমাযা, আয়াত সমূহ : ১
[মুসনাদে আহমাদ ৪/২২৭] [দেখুন, কুরতুবী হাদিস ]
13/09/2025
সান্নিধ্য -
প্রিয় রবের বিচ্ছেদের যন্ত্রনা মুমিনের কাছে সবচেয়ে কষ্টের হয়ে উঠে। কোনো কিছুতে তার ভালো লাগার অবশিষ্ট থাকে না। এক প্রবল ব্যাথা হৃদয়কে তছনছ করে দেয়। তুফান বয়ে যায় মনের অলিগলিতে। মুখে হাসি থাকলেও ভিতরটা কেমন অগোছালো হয়ে যায়। রবের সান্নিধ্য পেতে হৃদয় উদ্গ্রীব হয়ে উঠে। দুনিয়া দিয়ে, বাড়ি-ঘর বানিয়ে হৃদয় শান্তির খোঁজ পায়না, কেবল রবের স্মরণেই অন্তর সুখের নীড় খুঁজে পায়। শুধু সুখ মিশে আছে আমার রবের নামের সাথে। জীবনে যত বাধা আসুক,ঝড় তুফান আসুক একমাত্র আমার রবের স্মরণেই সব সবই কষ্টের নিরাসন হয়।
আমার রব বলেন -"জেনে রাখো, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার স্মরণেই অন্তরসমূহের প্রশান্তি জড়িয়ে আছে।"(সূরা র'দ:২৮)
হে আমার রব সকল সময় তোমাকে পাওয়ার
জন্য রহমতের চাদর বিছিয়ে দাও!
সেরিনা বেগম
১৩/০৯/২৫
10/09/2025
পথ নির্দেশ -
পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে জীবন তরী বাইতে হলে দুটিতেই সমমর্যাদায় জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে আলোকিত করার নির্দেশ এসেছে । আর তা না হলে মন্দ কর্মের জন্য তার ফল পেতে হবে। আমার রব বলেন -"যে মন্দ কাজ করবে তার প্রতিফল দেয়া হবে।"(সূরা নিসা:১২৩)
মন্দ কাজের জন্য জাহান্নামের শান্তির ভয়াবহ তা হৃদয়কে খান খান করে দেয়। তাই ভয়ে কম্পিত হয়ে অশ্রু বিগলিত হৃদয়ে চেয়ে নেব"হে আমার প্রভু তুমি তো জানো আমি প্রবৃত্তির লালসায় ভুল করে ফেলেছি তবে কি তুমি আমাকে শুধরে নেবে না? আমাকে তোমার অনুগত দাস হওয়ার যোগ্যতা দান করবে না? তোমার রহমতের চাঁদর বিছিয়ে দেবে না কি? তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো,তাই ক্ষমা করো মোরে!" নিরিবিলি সময়ে আঁচল ভিজিয়ে ফেল। আর কষ্টের সময়ে ধৈর্য্য ধরো। বিপদ আর অসুস্থতার কারণে গুনাহের কাফফারা হয়ে যায় আর মুছে যায় গুনাহের কালো দাগ। আমার রবের নির্দেশ এসেছে -
"আল্লাহর আয়াত ও জ্ঞানের(হাদীসের) কথা যা তোমাদের গৃহে পঠিত হয়,তা তোমরা স্মরণ রাখবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ অতি সূক্ষ্মদর্শী, সর্ববিষয়ে অবহিত ।"(সুরা আহযাব:৩৪)
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিবি-বেটিদের মধ্যে এতো এতো তাকওয়া ছিল, তবুও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে এমন নির্দেশিকা। যাঁরা শুধু নেক কাজ করে গেছেন তাঁদের হৃদয়ে এমন রবের ভয় ছিল তা আবার স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে পবিত্র কুরআনের এমনই কত আলোকিত আয়াতে!
এই ভয় থাকুক যতক্ষণ না আমাদের মৃত্যু হয়।
আমরা মহিলারা আমাদের উপর গৃহে অবস্থানের যেমন নির্দেশ এসেছে তেমনই পর্দা র ব্যাপারে অনেক সতর্কতা আর খাহেশাতের প্রলোভন থেকে বাঁচার তাগিদ এসেছে। তাই বার বার পঠিত হোক কুরআনের আলোকিত আয়াত, স্মরণে আসুক উম্মুল মুমিনুনের জীবনের প্রতিটি পাতা।
সেরিনা বেগম
বসিরহাট
১০/০৯/২৫
09/09/2025
সেই সুরে ডাকো-
না পাওয়ার বেদনা, দীর্ঘ আশা দিনে দিনে তোমাকে কমজুরি করে দেবে। আমার রবের স্মরণে তাঁকে বার বার ডাকা আর সেই ডাকে তাঁর সাড়া মেলার যে আনন্দ তোমার জীবনকে নতুন সাজে সজ্জিত করবে। মুহাব্বতের ডাক এমনিভাবেই অনুরণিত হতে থাকে যা তোমার শিরায় শিরায় মুক্তির স্বাদ আনতে থাকে। আমার রব বান্দার ডাকে সাড়া দিয়ে আরো আরো কাছে টেনে নেন। মুহাব্বতের প্লাবনে হৃদয় শান্ত হয়ে যায়, আর কঠিন হৃদয় হতে অঝোরে ঝরতে থাকে অনুতাপের অশ্রু। আবার ছাপিয়ে উঠে রবের মিলনের শুকরিয়া ভরা পাত্রখানি। পার্থিব আশা আকাঙ্খা আমার রব থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রাখে আর সেই অন্তরে আলোর রশ্মি আসতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। অন্ধকার হতে আলোর পথের যাত্রী হয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তাঁকে ডাকি বারে বারে। আল্লাহ আল্লাহ সুরে তাঁরে ডাকি করুণ সুরে। যে সুরের সুরধ্বণীতে হৃদয় ভিজে যায়। অনাবিল করুণার ধারা বয়ে যায়।
আমার রব বলেন -"তোমরা কৃতজ্ঞ হলে তোমাদেরকে অধিক দেব।"(সুরা ইবরাহীম:৭)
কিসুখের স্বাদ পেলাম আজ তোমাকে ডেকে। এতো শান্তি! এ শান্তির হিসাব মিলবে না কোনো পার্থিব চাওয়া পাওয়াতে।
সেরিনা বেগম
০৯/০৯/২৫
08/09/2025
অশ্রর মূল্য
অনুতাপের অশ্রুর মূল্য আমার রবের কাছে খুব খুবই মূল্যবান। হৃদয় চিরে যে রক্তক্ষরণ হয় তার খবর শুধু আমার রবই জানেন। তিনি তা নিজ হাতে গ্রহন করেন। বিশেষ মর্যাদার আসনে তা সংরক্ষিত করেন। নামাযের জন্য ফেরেশতারা সর্বক্ষণ তৈরি আছে। কেউ রুকু কেউ বা সেজদাতে পড়ে আছে। কিন্তু তাদের তো আর অনুতাপের অশ্রু নেই,যা কপোল বেয়ে গড়িয়ে আঁচল ভিজিয়ে দেয়! আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দরবারে রবের ভয়ে এক ফোঁটা অশ্রু যদি মাছির মাথার সমপরিমাণও হয় তবে তা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচানোর উপায় হবে। "অন্তরের অনুতাপই তাওবা।"- জীবন পাতার ভুলগুলি যখন খচ খচ করে তোমার হৃদয়কে ফালা ফালা করে দেয়, তখন রবের কাছে কাকুতি মিনতি করে হৃদয় ফেটে যে ঝর্ণা নেমে আসে তা শিশিরের শব্দের মত তনুমন মোহিত হয়ে যায়! আমার রব তাঁর রহমতের চাঁদর বিছিয়ে দেন। প্রশান্তির হৃদয়ের সান্ত্বনা ফিরে আসে দেহ মনে। নতুন পথচলা শুরু হয়।
সেরিনা বেগম
০৮/০৯/২৫
05/09/2025
পরশ পাথর
চিরদিনের জন্য অনন্য চরিত্রের মানুষের লেখনী হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। নাড়া দিয়ে যায় তাকওয়ার পাত্র। ভয়ে কেঁপে উঠে কুরআনের আয়াতের রোশনীতে। হাদীসের আলোকে আলোকিত হয় পথসরণীর কন্টকাকীর্ণ পথ। আর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত জীবনকে গড়ে তোলে সুন্দরতম আলোকিত জীবনে। এত সহজ জীবনকে আমরা ভুলের চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা কবচ হিসাবে পেতে পারি আমার প্রিয় নবীর আলোকিত জীবনের রোশণীতে। এই পথ চলা অতি সহজ ও সরল। সেই পথ হয়ে উঠে সজীব ও সতেজ। পার্থিব কারাগারের চৌহদ্দি র বাইরে ছড়িয়ে আছে আখিরাতের জীবনের ঈমানদীপ্ত আলোর ছটা। প্রতিটি মূহুর্তকে সে আলোকিত করে। পার্থিব জীবনের ধন মান যশের উর্দ্ধে বিরাজ করে সেই অধরা জীবনের মান। আমার রবের কাছে চাওয়ার জন্য খালি দু'হাত পাতার অভ্যাসের পর হয়তো বা সাড়া মিলে যাবে। অফুরন্ত রহমত থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। শতত তনুমনে থাকুক সেই রবের স্মরণের স্বাদ। ভাবনার আকরে গাথা থাক তাঁরই পবিত্র নাম। নিজেকে আলোকিত করো আর সেই আলোয় আলোকিত হোক তোমার প্রিয়রা। শুধু খালি হাতে যেয়োনা ওপারের কারাগারে। কিছু সঞ্চয় করে নাও আর রেখে যাও জীবন দিয়ে গড়া রবের সন্ধান। তোমার ডাক আসার আগেই সুলুকের সন্ধান নাও আর পাথেয় সংগ্রহ করে সুলুকের সন্ধান দাও। জীবনের হাহাকার আর রবেনা। যেদিকে তাকাই দেখি আমার রবেরই ছবি। কি বিচিত্র কারিগর তুমি!
সেরিনা বেগম
০৫/০৯/২৫
04/09/2025
#তোমার -দুয়ারে
যা আছে শিরায় শিরায় গাঁথা, তাও জানো
ব্যক্ত হয়েছে যা সেটাও জানা তুমি মানো,
পাওনা কড়ি যা কিছু ছিল দিয়ে যে দিলে
ভাগ্যের চাকা সচল রাখতে সেটুকুও নিলে।
ক্ষমা আর যিকিরের পশরা সাজানো ছিল
চাওয়া পাওয়ার ভুলো জিনিসগুলো দিল,
মুঠোভরে গুছিয়ে নিলে তারে যতন করে
বুঝে বুঝে কিযে কষ্ট দিয়েছিলে তারপরে ।
তোমার দুয়ারে আঁচল পাতার স্বভাব ছিল আদিতে
তাই বারে বারে ডেকেছি তোমার করুণ আঁখিতে,
মরুভূমিতে, লোকালয়ে পাহাড় নদী সাগর পাড়ে
তোমার করুণার সুর বাজে এমনই বরষা আষাঢ়ে।
ঠিকানা বিহীন যাত্রা ছিল আমার শৈশব হতে এগিয়ে চলেছি তোমাকে পেতে ও ছায়া পথে,
যেখানে আকাশ মিশে যায় ওই দিকচক্রবালে
মহাসমুদ্রের আছে কি ভাবনা একরত্তি খালে?
দুরাশা মুছে গেছে,ভুরি ভুরি প্রাপ্তির আশায়
মাধুকরীর গুন গুন কলেমায় ফিরেছি বাসায়,
টুপ টুপ করে ঝরে যাবে তখন বন বনান্তরে
আমরা শোনাব গান বিলাব মধু অন্তর অন্তরে।
সেরিনা বেগম
বসিরহাট
উঃ ২৪পরগনা
ভারতবর্ষ
১৫/০৬/২৩
02/09/2025
ওগো রব মুত্তাকী বানাও! তোমার ভয়ে হৃদয় চিরে অশ্রু ঝরানোর যোগ্যতা তৈরী করে দাও। প্রতি নিয়ত তোমার ভয়ে চলার বিস্তর পথসরণী গড়ে দাও! যে গুণের অধিকারী করেছ আমাদের পূর্বসূরিদের মাঝে সেই গুণের অধিকারী হওয়ার তাওফীক দান করো!যাঁরা তোমার পথের উজ্জ্বল নক্ষত্র তাদের মতো করে বানিয়ে নাও! বহমান চোখের পানির একরত্তি চিহ্ন এঁকে দাও কপোলে! ওই পথে পা ফেলার তাওফীক দাও যে পথে ইবলিশ চলতে সক্ষম হয় না।
আমার রব বলেন -"আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের আমল কবুল করেন।"(সূরা মায়িদা, আয়াত ৭০)
শত আমল ইবাদত করার পরও থরথরিয়ে কেঁপে উঠে হৃদয় মাঝে। আমার রব আমাকে পছন্দ করেছেন তো? তাঁর খুশিতে আমার আমলনামা লেখা হয়েছে কি?এই অসম্পূর্ণ জীবনের আমল কি তাঁর কাছে সম্পূর্ণ হয়েছে? নিবেদিত প্রাণে পরিশুদ্ধতার পাত্রে ঢেলে সাজানোর জন্য নিজেকে বার বার ঢেলে সাজানোর পালা এসেছে। দেখেছি আবুবকর সিদ্দিক রা. , দেখেছি উমর ফারুক রা.এর আল্লাহ ভীতির দরিয়া। তাই শিহরিত কলেবরে, প্রকম্পিত হৃদয়ে লালন করি ঈমান আমল দাওয়াতের কাজ। পাব কি সেদিন সসম্মানে তোমার সাক্ষাত? আমলের গ্রহণযোগ্যতার সংশাপত্র দেবেন কি?শেষ সময় পর্যন্ত প্রবৃত্তির গোলামী থেকে নিষ্কৃতি দিয়ে শুধু তোমার গোলামী করার তাওফীক দাও!
সেরিনা বেগম
০২/০৯/২৫
01/09/2025
নিজেকে প্রাণোচ্ছল রাখতে কতই না চেষ্টা করা হয়, কখন যে ভিতরটা ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠে তা শুধু রবই জানেন! প্রতিটি মূহুর্ত আর কাটতে চায় না,সবই যেন বহু বছরের মত হয়ে উঠে ।
মনে হয় হৃদয়টা পারলে চিৎকার করে কেঁদে তার মালিককে জিজ্ঞাসা করত, "সবর এতো কঠিন হয় কেন ইয়া রব? ইচ্ছে পুরনের সময় এতো বেশি হয়ে যায় কেনো?কোথায় আছে এর শেষ?"
আর কত সযয় লাগবে ধৈর্যের পুরোটা সময় কাটাতে ?খুবই কঠিন,বেদনাদায়ক,হৃদয়ের
রক্তক্ষরণ!সময়ে-অসময়ে অশ্রু হয়ে ঝরে পড়তে থাকে অনবরত! বাইরে থেকে দেখা না গেলেও ভিতরটা কতবার ডুকরে কেঁদে উঠে তা শুধু আল্লাহ পাকই জানেন!
প্রতিটি মূহুর্ত শত শত বছরের সমান মনে হয় ভিতরে ভিতরে বারবার মরে গিয়েও আবার বেঁচে উঠতে হয় এই ভরসায়
"আল্লাহু" আলীমুল গায়িব,
তিনি দেখছেন আমায়-আমার ক্ষত বিক্ষত অন্তর চুর চুর হয়ে যায়! চাওয়ার স্বপ্ন সুখের চাবি তাঁরই হাতে।
ধৈর্য্য এমন একগাছ যার পুরোটা জুড়ে তীক্ষ্ণকাঁটা কিন্তু ফল অত্যন্ত সুস্বাদু,এ ফলের স্বাদ কবে আস্বাদন করা হবে নেই জানা,তবে এই ফল পর্যন্ত পৌঁছাতে হৃদয়টা যে আরও বহু বার ক্ষত-বিক্ষত হবে তীক্ষ্ণ কাঁটায় তা নিশ্চিত!
সকল অপ্রাপ্তি শীঘ্রই প্রাপ্তিতে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
একদিনেই না হোক কিন্তু একদিন হোক একসাথেই সব না হোক, ধীর ধীর হোক । অপ্রাপ্তির কান্না ঝরা হৃয়ের মালিকের কাছে কোনো কিছুই অমূলক নয়। অশ্রু প্লাবিত হ্দয়ের মূল্য দিয়ে দেবেন নিশ্চয়ই?
সেরিনা বেগম
০৭/১১/২৪
31/08/2025
তুমি কি ভেবেছো দেখেছ যে তোমার সময়গুলো কিভাবে নষ্ট করে ফেলছ? অনর্থক কথাবার্তা তোমাকে আল্লাহর স্মরণ থেকে সম্পূর্ণ উদাসীন করে ফেলে। আমার রব বলেন -
"তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব।"(সূরা বাকারাহ,১৫২)
যে সময়গুলো অনর্থক কাজে ব্যায় করা হয় তার সবটাই নষ্ট হয়ে যায়। আমার রব কতই না মেহেরবান! মানুষের মাঝে বান্দা যখন আমার রবের স্মরণ করে আমার রব তার চেয়ে উত্তম মজলিসে তার স্মরণ করেন। তাঁর দয়ার অন্ত নেই। তিনি কতই না ভালোবাসেন!
নিমগ্ন হয়ে রবের স্মরণে থেকে যে শান্তি পাওয়া যায় তার স্বাদ অন্যরকম। একবার এই স্বাদ পেলে সবই ভুলে যাবে, শুধু চিরদিন রবে তুমি নীরবে নিভৃতে তাঁরই দুয়ারে।
সেরিনা বেগম
৩১/০৮/২৫
30/08/2025
মানবতার ফেরিওয়ালা
একাকি চলার পথে দেখেছি তোমার সুরে
শুধু তোমার ছবি আঁকি মনে ভুবন জুড়ে,
তখনো ডুবে গেছে মানবতার সূর্য নব বঙ্গে
ক্লান্ত পাখির ডানায় আঁকা অসার রঙ্গে।
অসুস্থ পৃথিবী কি নতুন ইতিহাস গড়বে এখন?
আসবে না ভোরের হাওয়ার নির্মলতা তখন?
বিপন্নতার রাস্তা পেরিয়ে নতুন এক সংকল্পে!
আলোর রশ্মি ছড়ানো গোলাপী সূর্যের গল্পে?
ওই দেখো সম্মুখে দাঁড়িয়ে আলোর শহর
রক্ত দিয়ে গড়া সবুজের ছোঁয়ায় মাটির ঘর,
পাল্টে যাওয়া এক জীবন্ত সুরের টানে
এক ভোরের পাখির গান গাওয়া তানে।
Be the first to know and let us send you an email when রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
জন্ম লগ্ন থেকে বাস্তবতার হাত ধরে আর পাঁচটা মানুষের মতো স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে পথ চলা শুরু হয়। সমাজের কঠিন অধ্যায়ের পথ চলতে চলতে কত নারীর স্বপ্ন ঝরে যায়। থেমে যায় তার স্বাভাবিক বিকাশ। নীরব হয়ে পড়ে প্রতিভা। ধর্মীয় কুসংস্কার, সমাজ, পুরুষতান্ত্রিকতায় রুদ্ধ নারী। ইতিহাস থেকে আজ প্রত্যেকের সুবিধা অনুযায়ী নারীকে তারা ব্যবহার করেছে একটি নির্জীব উপাদান হিসেবে। তার মনন সত্ত্বাকে তেমন কেউ যৌবনের মত গুরুত্ব দেয়নি। একদল নারীর অধিকার আর স্বাধীনতার কথা বলে, নারীকে পণ্য বানানোর কৌশলী চক্রান্তে লিপ্ত। আর অপর দল ধর্মের দোহাই দিয়ে স্তম্ভিত করতে চায় নারীর সৃজনশীলতা, রুদ্ধ করতে চায় তার পথ।
বর্তমান ধর্মীয় নেতাদের ফতোয়া যদি ধর্ম হয়ে থাকে তাহলে মনে হয় সত্যিই ইসলাম নারীদের বঞ্চিত করেছে। কিন্তু বাস্তবিক বিষয় হলো, ইসলাম কোন অজ্ঞ ধর্মীয় নেতা বা পীরের উপর নির্ভরশীল নয়। এটি স্বতন্ত্র ধর্ম যার নিয়মাবলি নিয়ে রচিত হয়েছে কুরআন এবং হাদিস। কুরআন এবং হাদিসের আলোকে নারীর অধিকার কোন সংক্ষিপ্ত পরিসরে নয়। বরং তার ব্যাপ্তি সুদূরপ্রসারী এবং নিয়ন্ত্রিত।
কিন্তু আজ তথাকথিত নারীবাদী বুদ্ধিজীবী (!) ও অজ্ঞ ধর্মীয় নেতাদের দলাদলিতে গিনিপিগ হয় নারীরাই। সমাজে নারী সর্বস্তরে সমান অধিকারীনি। কিন্তু একটু ভিন্ন ভূমিকায় (উদা:- কোন নারী কখনোই পিতা হওয়ার দাবী জানাতে পারে না)।
সহস্র যুগ ধরে জমা হওয়া এই ব্যাথা, বেদনা, লজ্জা, অপমান প্রকাশ করার মত কোন মুখ ছিলোনা, ভাষা ছিলোনা। বা নিজেকে মূল্যায়ন করার মত সাহসিকতা ছিলোনা। রুদ্ধ নারীর মুক্ত কথা হল আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস। যেখানে নারীরা তার সত্যিকারের অধিকার, স্বাধীনতা, ব্যাথা, বেদনা, দুঃখ প্রকাশ করতে পারবে তার সৃজনশীল সাহিত্য দিয়ে। উগরে দিতে পারবে রাজনৈতিক ও সাম্প্রতিক চলমান ঘটনাবলীর ওপর তার মূল্যবান মতামত। পরিচয় করিয়ে দিতে পারবে এই সমাজে তার গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা।
যেহেতু নারী ও পুরুষ প্রত্যেকে প্রত্যেকের ওপর সমান ভাবে নির্ভরশীল। তাই পুরুষরাও সামিল হতে পারে সঠিক ইসলামিক মূল্যবোধ নিয়ে রচিত তার সাহিত্য দিয়ে।
রঙিন হয়েছে আজ ধোঁয়াশা আকাশ
নরম নদীর পাড়ে ফুটেছে ফুল,
বিজয়ীনীরা ফেলে আসমানে নিঃশ্বাস
অধিকার বুঝে নেবে মাতৃকুল।