12/03/2024
মন্ত্রীদের রেয়াত করা হয়নি, শেখ শাহজাহান সম্পর্কে কোন বার্তা দিল তৃণমূল...
মুক্তিযোদ্ধাঃ শেখ শাহজাহানের মাথার উপর থেকে কী তাহলে দল হাত সরিয়ে নিচ্ছে? সেই প্রশ্ন আরও জোরদার হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করেন, সেখানে আরও বেশি এই বিষয়ে সবুজ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে।
মন্ত্রীকেও রেয়াত করা হয়নি-শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের।
শেখ শাহজাহান মন্ত্রী নয়, সম্মেলনে বুঝিয়ে দেওয়া হল আর তাই নিয়েই শুরু হয়ে গেল জোর গুঞ্জন।
মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা যেখানে মন্ত্রীদের রেয়াত করিনি, সেখানে একজন যিনি মন্ত্রী নন তার পাশে দল দাঁড়াচ্ছে! এটা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এটা নিয়ে আমরা আদালতের উপর এবার আস্থা রেখে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইতিমধ্যে ওখানে আগেই অনেকে গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ যদি আবার মনে করে কাউকে আরও গ্রেফতার করার দরকার। শাহজাহানের মতো তাহলে করতে পারে। তাহলে কি শাহজাহানকে গ্রেফতারের ছাড়পত্র দেওয়া হল?
দলের পক্ষ থেকে আরও বার্তা দেওয়া হয়েছে। দলের তরফ থেকে দুর্বৃত্তের পাশে দাঁড়ানো হবে না। এই বার্তা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রীর কথায়, "আমাদের দলই অন্যায়কারী কাউকে ধরার চেষ্টা করেছে। ধরা যাচ্ছিল না বলে অভিষেক ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। তার জেরেই রায় সামনে এসেছে। দলগতভাবে প্রশাসনগতভাবে কোনও দুর্বৃত্তের পাশে আমরা দাঁড়াইনি, দাঁড়াবও না।"
তৃণমূল মুখমাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, এলাকাটিকে ডিস্টার্ব করার জন্য আজ একজন নেতা যাচ্ছে, পর দিন আরেকজন। এরা কি একদিন যেতে পারে না? না কি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য যেতে পারছেন না? না কি প্রধানমন্ত্রী আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করছিলেন।
কাল্পনিক কিছু অভিযোগ সামনে রেখে এলাকা অশান্ত করা হচ্ছে। জমি, টাকা না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু রাতের পর রাত ধর্ষণ এসব অভিযোগ সামনে রেখে বাড়ি ভাঙচুর চলবে না ।
এই শেখ শাহজাহানের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হননি। ১৩ সালে এরা তৃণমূলে এসেছে। তার আগে এরা কোথায় ছিল? নিরাপদ সর্দার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ছিল। এরা সিপিএমের প্রোডাক্ট। তখন থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মাখামাখি। তীব্র কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন শাস্তি হবে কিন্তু তার জন্য এভাবে তালগোল পাকিয়ে দেওয়ার কারণ কী? প্রশ্ন তৃণমূল মুখপাত্রের।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা মন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন। মানিক ভট্টাচার্য বিধায়ক ও পর্ষদ সভাপতির পদে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হন। দল তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে কড়া ব্যবস্থা নেয়। সে কথাই শেখ শাহজাহানের ইস্যুতে মনে করিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল।।।