Somm's short

Somm's short explore your dreams

14/04/2025
20/09/2024

ভাঙা দেশ
- সোমাদ্রি
জাত চলে গেল বলে
এখন আর কেউ চিৎকার করে না।
শুধু মৃত্যুর পরে
হরি বোল ওঠে, রাম নাম সত্য হে
কলধ্বনি উৎসারিত করে
অন্যজগতে।

মৃত্যুর কথা না ভাবলেও
সে ফিরে আসছে,
ফিরছে এই ভাঙা বাড়িতেই
কতবার আর সাজাবো
ভাঙা দেশ, নতুন করে...

15/09/2024

‘Government of the people, by the people, for the people’

12/09/2024

আমরা ভালো আছি
- সোমাদ্রি
এই পুকুরে মাছ এসে খেয়ে যায়,
রোজ খেতেদিই আমার মতো করে।

একদিন ছেলেটি এসে বলল
কম খেতে দিন,
এত পরিমাণ খাবারে
জলে নাইট্রোজেন বাড়ছে।
মাছ মরে যাবে।

জলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে
খেতে দেওয়ার কথা বুঝলাম না।

পুকুমে মাছের দল বেড়ে উঠছে
এটুকুই নজর দিলাম।

তারপর একদিন সব মাঝ
প্রখর গরমের মাঝেই
ভেসে উঠতে শুরু করে দিল।

হায় হায় রব উঠল।
বুঝলাম ভুল করেই চলেছি,
ভুল করেও শিখতে চাইনি।

এখন আবার নতুন করে
মাছ ছেড়ে দিয়েছি পুকুরে।

জল অনুসারে খাদ্য
আমার মনের ইচ্ছা না পূরণ হলেও
সব মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছি।

আমরা এখন ভালো আছি,
অতিরিক্ত ভালোবাসতে গেলে
ভালোবাসার অন্ধকারাচ্ছন্ন কিছু বিলাশ
গ্রাস করে নেয় সমস্তটুকু,

এটুকু বুঝেছি বলেই ছেলেটিকে ডেকে
শুভাশিষ জানিয়েছি।
ছেলেটিও এখন মাছের সাথে মিশে
পুকুরের জলেই খেলা করে।

আমরা ভালো আছি,
আমরা ভালোই থাকি।

11/09/2024

দীর্ঘ কবিতায়
- সোমাদ্রি
দীর্ঘ কবিতায় কোলাহলও ছিল।
উদযাপনের আক্রোশ এসে
ভিড় করছিল কবিতারই মতো।
আমার আবার ধর্মটাই কবিতা,
একটু এদিক ওদিক হলেই
ঘুমিয়ে থাকি লাইনের পাশে।
অনেকদিন, এমন হয়
উঠে আবার কবিতার নামে
খেলা করি, সেদিন কবিতা আসে না।
দীর্ঘ কবিতা লিখব বলে
যা শুরু করেছিলাম, স্বপ্ন না দেখে
আবার স্বপ্নের মর্গে তাদের
ঘুম পাড়াই।

কবিতা যত দিন যাচ্ছে
বাচ্চাকাচ্চার মতো অসহনীয়
হয়ে উঠছে আমার কাছে।

কবিতাকে ছাড়তেও পারছি না
গিলতেও চাইছি না।
অথচ দীর্ঘ কবিতা লিখব
এই অনুপ্রাসেই শেষ হয়ে যাচ্ছে
কলমের পর কলম
পাতার পর দিস্তা।

কবিতা দূরে বসে হাসছে।
ঐ শোকেসের মাথায়
কবিতা ভূতের মতো দেখছে।
প্লেনের পাশে, গাড়ির ডানদিকে
এদিক ওদিক করে কবিতা গিয়ে
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের
সমগ্রের গা ঘেঁষে দাড়ালো।

উপন্যাসের গায়ে কবিতা,
কবিতার গায়ে উপন্যাস
দীর্ঘ কবিতার গল্পটুকু
কেমন হওয়া দরকার
খুব সহজেই এবার
বোধগম্য হয়েছে।

এবার আরেক সমস্যা
লিখব কী করে!
এখন তো উত্তাল সময়
বঙ্গভঙ্গের মতোই মশাল জ্বলছে,
রাস্তায় সাধারণ মানুষ
বিচার প্রাপ্য বলে চিৎকার,
অথচ আদালতের গন্ধে
কত যে মুরুব্বিরা বসে
ঘাস খেয়ে নেয়
সে তো জানা-অজানা ক্যুইজ।

দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ তর মানববন্ধন
মোমবাতির বিক্রির টাকায়
একটা হাসপাতাল যদি বানিয়ে ফেলতাম
তাহলে এই সমস্ত কষ্টগুলো
কিছুটা কমেই যেত।
আমার তো মুশকিল অন্যত্র
দীর্ঘ কবিতা সে তো ধরাই দেয় না,
সে রোজই খেলা করে।

খেলা করতে করতে
চারতলায় লুকিয়ে রাখা
চাঁদের ছবিটার পিছনে
বসে বসে লন্ডনের চকোলেট
দিব্যি খেয়ে নিচ্ছে।
ইস্ আমি কথা দিয়েছি
কতজনকে চকোলেট দেব,
এবার কী হবে।

কবিতা তুই পারলি আমার সাথে
আমার সাথেই এমন করতে।

খুব ক্লান্ত লাগছে,
সোশ্যাল মিডিয়ার আইফোন ছেড়ে
একটু ঘুম ঘুম আসছে
একটু ক্লান্তি ভাব আসছে
একটু ঝিমুনি।

অবাক কান্ড
যখন ঘুম ভাঙলো
দেখি কে যেন দীর্ঘ কবিতা
তার আবৃত্তি
তার প্রচার
তার পুরস্কার
তার উপার্জন
সবই রেখে গ্যাছে
আমার ডুয়ার্সের চা খাওয়া টেবিলে।

বড্ড অবাক লাগছে
এসব কিছুই তো আমি চাইনি।

আমি তো চেয়েছিলাম
দীর্ঘ কবিতার মানববন্ধন।

চেয়েছিলাম বললে ভুল হবে
আজও চাই
প্রতিকার।
এই সমাজের নষ্ট কালোর মাঝে
এক টুকরো চাঁদ।
জ্যোৎস্নার আলো, ছন্দময় স্রোত
ড্যামের আড়ালে
লুকিয়ে থাকা দুনম্বরির শেষে
এক নম্বরি এক হাসি,
চুমুময় এক আবেশ।

10/09/2024

অনেক প্রহর
- সোমাদ্রি
অনেক প্রহর জেগেই আছি
ছায়া রোদের মাঝে,
ঘুমহীন, মাথার ভিতর রাগ
ঘৃণ্যতর হয়ে উঠছে।
ভয় পাচ্ছি, সাহসহীন ভয়।

সাহস, সে তো কবেই
চুপনীতিতে ভুলেছি।

এখন দেখছি
জানলার ফাঁক দিয়ে,

আরশির মাঝে রোদ জ্যেৎস্নায়
মানুষ হেঁটে চলেছে,
ঐ তো আমার মা, বাবা, বোন
পরিজন সকলেই হাঁটছে,

আমি শুধু বসে বসে
কবিতা লিখতে চাইছি,
সাহসহীন খাতাপথে।

09/09/2024

2024

09/09/2024

ভালোবাসাও ছিল
- সোমাদ্রি
দুপুরের এই সময়টা
পুকুর ঘাটে বসি।
জল আর পাড়ের মাঝে
ছায়া এসে দাঁড়ায়।
জীবনের সাদা, জীবনের কালো।
কালো কষ্টরা আঘাত করে
সাদা হাসিরা জীবনবোধে আবধ্য।

দুপুরের এই সময়টা
জেগে ওঠে মাপকাঠির বিচারে।

এখন আর কেউ আসে না,
চোখে হাত দিয়ে বলে না
বল তো আমি কে!
কী করছিস এখানে!

এখন কেউ আর কিছুই বলে না,
কেউ আর বলতেও আসবে না,
একটু পরে ফিরে যাব
দুপুরকাজে।

দুপুরের পুকুর পাড়
একা একাই বিকেল
তারপর রাত ছুঁয়ে যাবে।
মাছেরা কেবল খেলা করবে
বুকের ভিতর চুমুজলদের নিয়ে
ভালোবাসার হিসেবনিকেশে।

03/07/2024

rainbow jelly movie explained in Bengali

20/04/2024

শ্রমের দাম নেই
- সোমাদ্রি

সারাদিন নানা কাজ করে দিলাম।
বাজার করা
ঘর পরিষ্কার
রান্নাবান্না
নানান গৃহস্থালীর কাজ।

দিনের শেষে বললে -
এসিটা চালিয়ে পাশে এসে বসো।

শ্রমের দাম নেই।
ও বলা হয়নি, বাড়িতে প্রতিবেশীরা এসেছিলেন
মিটিং ছিল, পুজোতে নাটক হবে।

এখন থেকেই যাত্রাপালা আমাদের বাড়িতে...
কী আর বলি।

মুখ বন্ধ করে হাসি।

মূল্যহীন কাজ করে যাই।
এই কাজ তো আসলে উদ্বায়ীশ্রম।

কেবল একটু হেসে বলবে -
সংসার করাই তো ভালোবাসার আর এক নাম।

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Somm's short posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Somm's short:

Share