Annodiganta(অন্যদিগন্ত)- a little Magazine

  • Home
  • India
  • KOLKATA
  • Annodiganta(অন্যদিগন্ত)- a little Magazine

Annodiganta(অন্যদিগন্ত)- a little Magazine It is a Little Magazine. Main subjects r Short story, poem, society, science, quiz etc.. Mail- [email protected]

Everyone who always dream about a new World , wish something to do, but most of the time,they step back; Now we found this community for those people...... Come here, join us, share your thoughts, give suggestions about our work........
We are always dreaming...... Do you???? Send your valuable comments & article, poem to
"[email protected]"

ট্রাম : অর্থনৈতিক বোঝা নাকি আশীর্বাদ পর্ব ১ - বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে গণ পরিবহনের (Public Transport)...
28/09/2024

ট্রাম : অর্থনৈতিক বোঝা নাকি আশীর্বাদ

পর্ব ১ -

বর্তমান সময়ে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে গণ পরিবহনের (Public Transport) মাধ্যম হিসেবে ট্রাম ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। উদাহরণ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার সরকার মেলবর্নে শহর জুড়ে নতুন ট্রাম লাইন, উন্নত ট্রাম, নতুন স্টপেজ, যাত্রী সুবিধে ইত্যাদি নানা বিষয়ে উন্নতি সাধনের জন্য ২৪০ কোটি টাকা (২.৪ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার / ৩.৮ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার) বিনিয়োগ করেছে ২০২৩ সালে।

নীচের ছবিতে (২ নং ছবি) স্পষ্ট বোঝা যায়, আধুনিক বিশ্বের সাথে সাথে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার মত কম উন্নত মহাদেশের দেশ গুলোও LRT (LIGHT RAIL LANDSCAPE) এর গুরুত্ব বুঝে তা নিজের দেশের উন্নতির স্বার্থে প্রয়োগ করতে শুরু করে দিয়েছে।
(https://www.uitp.org/news/light-rail-transit-data-shows-reliable-attractive-mode-is-advancing-worldwide/ )

এসবই বিদেশের উদাহরণ। এবার নিজের দেশের কথায় ফিরে আসা যাক। ট্রাম পরিবেশ বান্ধব হওয়ার সাথে সাথে হেরিটেজ এবং নস্টালজিয়াও বটে। এখানে কিছু প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। শুধু মাত্র পরিবেশবান্ধব, হেরিটেজ-নস্টালজিয়া এসবের নাম করে ট্রাম কে রেখে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? পরিবেশবান্ধব পাবলিক যান হিসেবে তাহলে গরু/ঘোড়া/মোষ টানা গাড়ি ব্যবহার করলেই হয়। তো পরিবেশবান্ধব ব্যাপারে আমার তেমন আগ্রহ নেই। কারণ পরিবেশের যে ভাবে ১৩ টা বাজিয়ে দিয়েছি, তাতে করে ট্রাম চালিয়ে পরিবেশের বিশাল কিছু উদ্ধার হওয়ার তেমন কোন সম্ভবনা নেই। তবে উল্টো দিকে অর্থনৈতিক ভাবে দেখলে ট্রাম চালান কি সত্যি অর্থনীতির উপর অতিরিক্ত বোঝা, নাকি অর্থনৈতিক ভাবে ট্রাম আশীর্বাদ? এ প্রশ্নটাই বর্তমান সময়ে সব থেকে প্রাসঙ্গিক আমাদের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটের নিরিখে।

এর উত্তরে প্রথমেই নীচের এক খবরের অংশ (৩ নং ছবি) দেখলে আমরা একটা সামান্য ধারনা পেতে পারি এবং এই আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেও সুবিধে হয়।
(https://www.smartcitiesdive.com/ex/sustainablecitiescollective/midnight-tram-through-nottingham-economic-impact-tramlines/155481/ #:~:text=Tramways%20connect%20people%20and%20business,and%20the%20identities%20of%20cities. )

পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মধ্যে সব থেকে কম ট্রামের ভাড়া। সাথে করে আমরা যদি ট্রামের রুট গুলো দেখি তাহলে দেখা যাবে কলকাতা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল জায়গা দিয়েই এর নেটওয়ার্ক বর্তমান। যার মধ্যে কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, অফিস পাড়া, ব্যবসায়িক কেন্দ্র সব কিছুকেই এই ট্রাম কিন্তু কভার করে। কলকাতা এবং পার্শ্ববরর্তী অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য কম খরচের যান হিসেবে ট্রামের যে আবারও আগের গৌরব ফিরে পাবে তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু এই কদর যাতে না বাড়ে তার জন্য সরকারের উদাসীন মনোভাব প্রচণ্ড ভাবেই দায়ী। ১০/১৫ মিনিট অন্তর অন্তর (একটা নির্ধারিত সময় অন্তর) যদি ট্রাম রুটে গুলোতে ট্রাম না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে ট্রামের উপর থেকে মানুষের ভরসা উঠে যেতে বাধ্য। ২০০৯/২০১৪ পর্যন্ত কলেজস্ট্রীট থেকে বেলগাছিয়া / শ্যমবাজার পর্যন্ত ট্রাম পাওয়ার একটা নির্ধারিত সময় ছিল। আমি নিজেই প্রতিবারই ট্রামে করে ফিরতাম। কারণ মেট্রোতে যেখানে ১০ টাকা, বাসে ৯ টাকা ভাড়া , সেখানে ট্রামে লাগত মাত্র ৫ টাকা। কিন্তু পরবর্তীকালে সময়ে ট্রাম না পাওয়ার জন্য কিন্তু এই অভ্যাসে ছেদ পরে যায়। এখন তো বন্ধই হয়ে গেছে।

শিয়ালদহ / কলেজস্ট্রীট চত্বর থেকে অনেকেই সবজি-মুদির বাজার, কিলো দরে খাতা, মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট (হুইল চেয়ার, চেয়ার কোমড) ইত্যাদি কিনে কিন্তু ট্রামে উঠতেই বেশি পছন্দ করত। এমনকি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ স্টপেজ থেকে অনেকেই এই ট্রামে উঠত, কারণ ট্রাম হল LOW FLOOR , অর্থাৎ রাস্তা থেকে ট্রামে ওঠা অত্যন্ত সুবিধে জনক। গণ পরিবহনে জনগণের স্বাচ্ছন্দের দিক দিয়ে বিচারে ট্রামের জুরি মেলা ভার।

এবার এই স্বাচ্ছন্দের ক্ষেত্রে আরো একটা প্রশ্নের উদয় হয়। একটা অভিযোগ করা হয় ট্রাম তো প্রচন্ড ধীর গতির যান, তাহলে সামগ্রিক ভাবে ট্রাম কি ভাবে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দের সূচকে প্রথম হতে পারে? এবার কিছু তথ্য দেখা যাক।

1. SwitchOn Foundation এর একটা রিপোর্টে বলা হয়েছে, “The average speed of vehicles on eight major roads in Kolkata decreased from 15.5 kmph to 14.6 kmph in 2023. The study attributes this decrease to a sharp increase in the number of two-wheelers and private cars, and a decline in public transport.”

2. Mint Analysis 2019 , “A 10km commute in Hyderabad takes 26 minutes on average. In Chennai and Delhi, it takes 29 minutes while the same distance takes 34 minutes in Bengaluru, 37 in Mumbai and 39 minutes in Kolkata.”

3. As Per Lal bazaar City avg. speed 19.2 km/hr.

এবার আপনাদের ঠিক করতে হবে কোন তথ্যে বিশ্বাস করবেন। অপর দিকে ট্রাম যেহেতু একটা নির্দিষ্ট লাইন বরাবর চলে, সেহেতু ট্রামের গড় গতি ২৫কিমি/ঘণ্টার আশে পাশে থাকে। এবার ট্রামের লাইনে যদি গাড়ি চলে আসে বা দাঁড়িয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে তো ট্রামের কিছু করার নেই। নীচের ছবি (৪ নং) দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ট্রামের জন্য অন্য যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে না, ব্যাঘাত ঘটে আইন না মেনে গাড়ি পার্কিং এর জন্য।

এবার একটা প্রশ্ন আমরা নিজেদেরকে করি, গত ১৩ বছরে কতজন মানুষ ট্রামের বলি হয়েছেন? কত জন মানুষ ট্রামের জন্য আহত হয়েছেন? উল্টো দিকে বাস-অটো-ট্যাক্সি ইত্যাদির ফলে মানুষ মৃত্যু হার কত? কত গুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে?

প্রশ্ন গুলো সহজ / উত্তর ও তো জানা

26/09/2024

গণ জমায়েত
Shyambazar Tram Depo.

30/08/2024

মনুবাদী বুড়ো > স্বঘোষিত নারীবাদী > ধর্ষণকে "Enjoy" আক্ষায়িত করা জনপ্রতিনিধি : -

এক নারীর ধর্ষণ ও খুনের বিচারে পথে নেমে কি ভাবে বুড়োর সাহস হল "চুড়ি"র ইঙ্গিত করার!

চিত্র |১| বুড়ো ব্যারিকেডের সামনে একা দাঁড়িয়ে জল কামানকে অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যাচ্ছে।

চিত্র |২| এরপরে বুড়ো পুলিশের প্রতি হাত উচিয়ে "চুড়ি" পরার ইঙ্গিত করে। ঘাড়ে জাতীয় পতাকা।

চিত্র |৩| এক দল বুড়োকে কুর্নিশ জানায়। আরেক দল বুড়োর মুন্ডুপাত করা শুরু করে।

গতকাল সংবাদ প্রতিদিনের ওয়েবে একটা হেডলাইন দেখে মনে হল এবার কিছু লেখা প্রয়োজন।

পশ্চিমা নারীবাদের ইতিহাস, সে সময়কার নারীবাদীদের লেখা পত্র নিয়ে নূন্যতম পড়াশোনা থাকলে উনার "চুড়ি" দেখান নিয়ে এত কথাই হয় না। ঠিক যেমন গীতা পড়া থাকলে RSS- BJP ইত্যাদির "ধর্ম"-র নামে ব্যবসা সম্পর্কে যথাযথ বোঝা যায়।

ফিরে আসি নারীবাদী আন্দোলনের কথায়। পাশ্চাত্যে নারীবাদের জন্মলগ্নে নারীবাদীরা মহিলাদের চিরন্তন (যে স্থানে যেমন) পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন তুলে তাঁরা বেছে নেন ছেলেদের পোশাক, ছেলেদের মত চুল কাটা, ছেলেদের মত সিগারেট ধরিয়ে জনসমক্ষে গিয়ে পুরুষতান্ত্রিক (ইংল্যান্ডে বলা হত VICTORIAN MORALITY) মানসিকতার বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে।
এক সাক্ষাৎকারে জনৈক এক নারীবাদী মহিলাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, আপনারা নারীবাদী হতে গিয়ে সব ক্ষেত্রে পুরুষদের সাথেসব কিছুকে তুলনা করেন কেন, পুরুষের উদাহরণ দ্যান কেন? উত্তরে উনি বলেছিলেন, যে সমাজের প্রায় সমস্ত ক্ষমতা পুরুষেরা দখল করে রেখেছে বহু শতাব্দি ধরে, যেখানে মহিলাদের ক্ষেত্র শুধু বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, সেই সমাজে উদাহরণ হিসেবে পুরুষদের স্বাধীনিতাকে তুলে না ধরে কি।করব?

বিখ্যাত ভাষাবীদ এবং নারীবাদী লেখক হুমায়ুন আজাদ তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ "নারী" তে (সাড়ে ৪ বছর নিষিদ্ধ) লিখেছিলেন, " বালিকার সবচেয়ে বড়ো শুভার্থী তার মা; তবে মা-ই হয়ে ওঠে বালিকার বড়ো শত্রু। মা হচ্ছে পুরুষতন্ত্রে দীক্ষিত প্রাণী, যে নিজের জীবন দিয়ে সেবা করে পুরুষতন্ত্রের। মা মেয়েকে নিজের থেকেও নারী ক'রে তুলতে চায়, আর ছেলের মধ্যে চায় চূড়ান্ত পৌরুষ।... বালিকাকে পরতে হয় শাড়ির মতো বিব্রতকর পোশাক, যা তাকে ঘিরে রাখে, তাকে গ্রাস ক'রে রাখে।" (বালিকা, নারী, ১৯৪ -১৯৫ পৃঃ)

"সিন্দুর দেওয়া তো আজকাল Out of fasion হইয়া গেসে, আর বাত্তিয়ালা মাইয়ারা তো সিন্দুর মাখেই না।... Enlighten, আলোক প্রাপ্তা।"- সাড়ে চুয়াত্তরের(১৯৫৩) কেদারের এই কথা গুলো মনে পরে? আসলে বলা হয়ে থাকে মেয়েদের মাথায় সিন্দুর, হাতে বালা, পায়ে তোড়া এসবই বর্বর এক ইতিহাস বহন করে।

হাতের বালা ও পায়ের তোড়া যে মেয়েদের এক সময় শিঁকল পরিয়ে রাখা থেকে এসেছে, সেটা যারা বুড়োর বিরোধীতা করছেন "চুড়ি" দেখান নিয়ে তারা কেউই যে জানেন না, সেটা মানতে কষ্ট হয়।

প্রসাধনী-খাওয়া দাওয়া-ভ্রমণ; গোদা বাংলায় আমাদের প্রাত্যহিক জীবন যাপনের সব ক্ষেত্রই সমাজ সংস্কৃতির ভিত্তিতে Capitalist Market ঠিক করে দেয় কোনটা নারীবাদী আর কোনটা পুরুষতান্ত্রিক।

ঠিক যেমন, Capitalist Market ঠিক করে দেয়, T-Shirt থেকে শরীরে উল্কাতে Che এর ছবি থাকলে ছেলে তুমি বিপ্লবী; আর মেয়েরা সিগারে- মদ খেলে, খোলামেলা পোশাক পড়লেই নারীবাদী; বাকিরা Back Dated!

কিন্তু কোন নারীবাদীকে কোন ছেলেকে এটা বলতে দেখলাম না যে, বিড়ি ফোঁকা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, খাস না ওটা।

রোদ্দুর রায়ের "বা*ড়া চাঁদ উঠেছিল গগণে" শুনে।সারা বাংলা জুড়ে FIR করার ঢল নেমে গেল, কিন্তু খবরের চ্যানেলে বসে যখন একজন নির্বাচিত জনপ্রতনিধি এই বক্তব্য দিচ্ছিল (ধর্ষণকে "Enjoy" বলা), তখন আপনাদের মনে হয়নি, এবার "হাল্লা বোল" করতে হবে?

29/08/2024

এ ভাবেও ফোঁস করা যায়।

Address

Kolkata
700074

Telephone

+917001300891

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Annodiganta(অন্যদিগন্ত)- a little Magazine posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Annodiganta(অন্যদিগন্ত)- a little Magazine:

Share

Category