Abasarer adda

Abasarer adda Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Abasarer adda, News & Media Website, KOLKATA.

গল্প করতে করতে, মাঝে মাঝে কিছু গভীর কথা বেরিয়ে আসে, যা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্যকে আরও পরিষ্কার করে তোলে। এখানে নেই কোনো গোপনীয়তা, সব কিছুই প্রকাশ্যে। 🌹❤️🌹

আজ দুপুরটা আহমেদাবাদের জন্য আর পাঁচটা সাধারণ দুপুরের মতো ছিল না। বিমানবন্দরের রানওয়ে জুড়ে ছিল ব্যস্ততার পরিচিত ছবি। এক ব...
12/06/2025

আজ দুপুরটা আহমেদাবাদের জন্য আর পাঁচটা সাধারণ দুপুরের মতো ছিল না। বিমানবন্দরের রানওয়ে জুড়ে ছিল ব্যস্ততার পরিচিত ছবি। এক বিশাল বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার তার ইস্পাতের ডানা মেলে মাটি ছেড়েছিল। তার পেটের গভীরে ছিল ২৪৪টি প্রাণ, ২৩২ জন যাত্রী আর ১২ জন ক্রু সদস্য।
তাদের গন্তব্য ছিল লন্ডন, কারও চোখে ছিল নতুন জীবনের স্বপ্ন, কারও মনে ছিল বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আকুলতা। উড়ানের মুহূর্তে জানালার ধারে বসা যাত্রীরা হয়তো দেখছিলেন, কীভাবে তাদের প্রিয় শহরটা ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসছে, তারা জানতেন না, এই দেখাই শেষ দেখা।

18/05/2025

৫০ বছর আগে জন্মাইলে বড় বাচাঁ বেচেঁ যাইতাম। গ্রামে থাকতাম, বাপের সাথে মাঠে যেতাম, ধান লাগাতাম। পাট লাগাতাম, মাছ ধরতাম জাল দিয়ে। নদীতে নেমে আচ্ছা মত ডুব দিতাম। ২০-২২ বছর বয়সে বিয়ে করতাম। ঘর হইত মাটির। বৃস্টি হইলে চুয়ে চুয়ে জল পড়তো খড়ের চাল দিয়ে, চালে উঠে সেটা ঠিক করতাম। সকাল হইলে পান্তা ভাত খেয়েই মাঠে জাইতাম, কাদায় নেমে কাজ করতাম। সাপ্তাহিক হাটে গিয়ে হাট করতাম। বউ এর জন্য লাল ফিতা আর প্লাস্তিকের লাল চুরি এনে দিতাম।টেনশান নাই,লাইফ ক্যারিয়ার সাক্সেস, পিজ্জা বার্গার, আইফোন, ম্যাকবুক, ফেসবুক, ড্রোন, মাসের বাড়ি ভাড়া, গাড়ি ,বাইক, কিছু নিয়ে কোন চিন্তা নাই।গার্ল ফ্রেন্ড এর বাপ এস্টাব্লিশ না হইলে বিয়ে দিবেনা সেই চিন্তা নেই! সন্ধার পরেই ঘুম। good night 😴😌😴🌹

28/02/2025

বাংলাটা ঠিক আসে না !
ভবানীপ্রসাদ মজুমদার

ছেলে আমার খুব ‘সিরিয়াস’ কথায়-
কথায় হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসেনা।
ইংলিশে ও ‘রাইমস’ বলে
‘ডিবেট’ করে, পড়াও চলে
আমার ছেলে খুব ‘পজেটিভ’ অলীক
স্বপ্নে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসে না।
‘ইংলিশ’ ওর গুলে খাওয়া, ওটাই ‘ফাস্ট’
ল্যাঙ্গুয়েজ

হিন্দি সেকেন্ড, সত্যি বলছি,
হিন্দিতে ওর দারুণ তেজ।
কী লাভ বলুন বাংলা প’ড়ে?
বিমান ছেড়ে ঠেলায় চড়ে?
বেঙ্গলি ‘থার্ড ল্যাঙ্গুয়েজ’ তাই, তেমন
ভালোবাসে না
জানে দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসে না।
বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই
কোনও ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে
সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের
মেনে নিতে?

ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক
হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক
বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’
এদের পাশে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসে না।
বাংলা যেন কেমন-কেমন, খুউব দুর্বল
প্যানপ্যানে
শুনলে বেশি গা জ্ব’লে যায়, একঘেয়ে
আর ঘ্যানঘ্যানে।
কীসের গরব? কীসের আশা?
আর চলে না বাংলা ভাষা
কবে যেন হয় ‘বেঙ্গলি ডে’, ফেব্রুয়ারি
মাসে না?

জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসে না।
ইংলিশ বেশ বোমবাস্টিং শব্দে
ঠাসা দারুণ ভাষা
বেঙ্গলি ইজ ডিসগাস্টিং,
ডিসগাস্টিং সর্বনাশা।
এই ভাষাতে দিবানিশি
হয় শুধু ভাই ‘পি.এন.পি.সি’
এই ভাষা তাই হলেও দিশি, সবাই
ভালোবাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসেনা।

বাংলা ভাষা নিয়েই নাকি এংলা-
প্যাংলা সবাই মুগ্ধ
বাংলা যাদের মাতৃভাষা, বাংলা
যাদের মাতৃদুগ্ধ
মায়ের দুধের বড়ই অভাব
কৌটোর দুধ খাওয়াই স্বভাব
ওই দুধে তেজ-তাকত হয় না, বাংলাও
তাই হাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসেনা।

বিদেশে কী বাংলা চলে? কেউ
বোঝে না বাংলা কথা
বাংলা নিয়ে বড়াই করার চেয়েও
ভালো নিরবতা।
আজ ইংলিশ বিশ্বভাষা
বাংলা ফিনিশ, নিঃস্ব আশা
বাংলা নিয়ে আজকাল কেউ সুখের
স্বর্গে ভাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের,
বাংলাটা ঠিক আসেনা।

শেক্সপীয়র, ওয়ার্ডসওয়ার্থ, শেলী বা
কীটস বা বায়রন
ভাষা ওদের কী বলিষ্ঠ, শক্ত-সবল যেন
আয়রন
কাজী নজরুল- রবীন্দ্রনাথ
ওদের কাছে তুচ্ছ নেহাত
মাইকেল হেরে বাংলায় ফেরে,
আবেগে-উচছ্বাসে না
জানেন দাদা, আমার ছেলের
বাংলাটা ঠিক আসেনা।

#বাংলাদেশ

27/02/2025
শুভ জন্মবার্ষিকী 🎂🌹🥳নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর জীবনের অসংখ্য ঘটনার মধ্যে...
23/01/2025

শুভ জন্মবার্ষিকী 🎂🌹🥳

নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর জীবনের অসংখ্য ঘটনার মধ্যে এক অন্যতম ঘটনা হলো আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠা এবং ‘তুম মুঝে খুন দো, মেঁ তুমহে আজাদি দুঙ্গা’ (তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব) শ্লোগানটি। এই শ্লোগান কেবলমাত্র এক আদর্শ নয়, বরং তা হয়ে উঠেছিল পরাধীন ভারতের জনগণের একজোট হয়ে লড়াই করার মন্ত্র।

১৯৪২ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, নেতাজি সিঙ্গাপুরে গিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা আইএনএ) গঠন করেন। এই সেনাবাহিনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াই করে ভারতের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা। আজাদ হিন্দ ফৌজে বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অঞ্চলের ভারতীয়রা যোগদান করেছিলেন। এটি ছিল ভারতীয় ঐক্যের এক চমৎকার উদাহরণ।

একটি স্মরণীয় ঘটনা হলো যখন নেতাজি আইএনএ-এর সেনাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই ভাষণে তিনি বলেছিলেন, **“তোমরা যদি আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।”** এই কথা শুধুমাত্র সৈনিকদের নয়, সমস্ত ভারতীয়দের মনে এক নতুন আশার সঞ্চার করেছিল। তাঁর নেতৃত্বে আইএনএ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে ব্রিটিশদের হাত থেকে মুক্ত করেছিল এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিল।

নেতাজির এই সংগ্রামের গল্প আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁর সাহস, নেতৃত্বগুণ এবং আত্মত্যাগ স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কেবলমাত্র একজন নেতা নন, তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রতীক।

অভয় সিংহ, যিনি 'আইআইটি বাবা' নামে পরিচিত, হরিয়ানার বাসিন্দা এবং আইআইটি বোম্বে থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। স...
17/01/2025

অভয় সিংহ, যিনি 'আইআইটি বাবা' নামে পরিচিত, হরিয়ানার বাসিন্দা এবং আইআইটি বোম্বে থেকে এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক। স্নাতকোত্তর শেষে মুম্বইয়ে চার বছর এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। কিন্তু এই পেশায় মানসিক শান্তি না পাওয়ায় তিনি ট্রাভেল ফটোগ্রাফির দিকে ঝোঁকেন এবং একটি কোচিং সেন্টারে পদার্থবিজ্ঞান পড়াতেন। তবুও, জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে না পেয়ে আধ্যাত্মিকতার পথে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং 'মাসানি গোরক্ষ বাবা' নামে পরিচিত হন।

অভয়ের বাবা, করণ সিং গ্রেওয়াল, হরিয়ানার ঝাজ্জর কোর্টে একজন আইনজীবী। তিনি জানান, অভয় ছোটবেলা থেকেই আধ্যাত্মিকতার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু ছয় মাস আগে থেকে অভয় পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং তাঁদের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন। পরিবার চায় তিনি বাড়ি ফিরে আসুন, তবে অভয় সন্ন্যাস ধর্ম গ্রহণের পর তা সম্ভব নয় বলে জানান।

বর্তমানে অভয় সিংহ মহাকুম্ভ মেলায় অংশ নিচ্ছেন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় 'আইআইটি বাবা' হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি মনে করেন, জীবনের প্রকৃত অর্থ খুঁজে পেতে আধ্যাত্মিকতার পথই শ্রেষ্ঠ।

জীবনের প্রথম প্রেম একটি অমলিন অনুভূতি, যা হৃদয়ের গভীরে চিরকাল জীবন্ত থাকে। এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা, যা বারবার মনে পড়ে যায় ...
08/01/2025

জীবনের প্রথম প্রেম একটি অমলিন অনুভূতি, যা হৃদয়ের গভীরে চিরকাল জীবন্ত থাকে। এটি এমন একটি অভিজ্ঞতা, যা বারবার মনে পড়ে যায় এবং তার স্মৃতি আমাদের জীবনের গল্পে রঙ ছড়িয়ে দেয়।

প্রথম প্রেমের অনুভূতি অনেকটাই শিশির ভেজা সকালে প্রথম রোদ ওঠার মতো। সেই প্রথম দেখা, প্রথম কথা বলা, কিংবা প্রথম অনুভব—সবই এক নতুন জগতের সন্ধান দেয়। তখন সবকিছুই স্বপ্নের মতো মনে হয়। ছোট ছোট মুহূর্তে হৃদয়ের স্পন্দন বেড়ে যায়, চোখে চোখ পড়লেই যেন সময় থমকে দাঁড়ায়।

প্রথম প্রেম আমাদের জীবনে নানান শিক্ষার সুর তুলে দেয়। এটা শুধু আনন্দেরই নয়, মাঝে মাঝে দ্বিধা, ভয়, এবং সংশয়েরও সঙ্গী হয়। প্রিয় মানুষকে কিছু বলতে চেয়ে বলা না-পারার কষ্ট, বা ভালো লাগা প্রকাশ করার সাহস জোগানোর সংগ্রাম—সবকিছুই একান্তভাবে মনে গেঁথে থাকে।

প্রথম প্রেম সাধারণত খুব নিষ্পাপ ও নির্লোভ হয়। এতে কোনো স্বার্থ নেই, কোনো প্রত্যাশা নেই—শুধু একজন মানুষকে নিজের মনের গভীরে জায়গা দেওয়ার এক অবর্ণনীয় আনন্দ। এই প্রেমের মধ্যে থাকে ছোট ছোট অনুভূতির সৌন্দর্য। স্কুলের বেঞ্চে পাশাপাশি বসা, আড়চোখে তাকানো, কিংবা পত্রিকার পাতায় কবিতা লিখে তার দিকে এগিয়ে দেওয়া—এসবই জীবনের প্রথম প্রেমের মিষ্টি রঙ।

তবে প্রথম প্রেমের শেষ সবসময় সুখকর হয় না। জীবনের বাস্তবতা অনেক সময় এই প্রেমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেয় না। তবুও, প্রথম প্রেম কখনো মুছে যায় না। এটি আমাদের মনে এমন একটি স্থান নিয়ে থাকে, যা কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়।

প্রথম প্রেমের স্মৃতি যতই পুরনো হোক না কেন, তার তীব্রতা এবং আবেগ কখনো কমে না। এটি আমাদের জীবনের প্রথম অনুপ্রেরণা, প্রথম আবেগের পাঠ। সেই অনুভূতি আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাপে সঙ্গী হয়ে থাকে, মনে করিয়ে দেয় সেই নিষ্পাপ দিনের কথা, যখন ভালোবাসা ছিল একেবারে নির্মল, কল্পনাপ্রসূত এবং অনন্ত।

প্রেম এক মহত্ত্বপূর্ণ ও গভীর অনুভূতি যা মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে স্পর্শ করে। এটি মানব জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুন্দর অনুভ...
06/01/2025

প্রেম এক মহত্ত্বপূর্ণ ও গভীর অনুভূতি যা মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে স্পর্শ করে। এটি মানব জীবনের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুন্দর অনুভূতি। প্রেমকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা যায়। কারও কাছে এটি আত্মার বন্ধন, কারও কাছে মানসিক প্রশান্তি, আবার কারও কাছে জীবনের উৎস। প্রেম শুধুমাত্র একজনের প্রতি ভালোবাসার সীমাবদ্ধ নয়, এটি প্রকৃতি, পরিবার, বন্ধু, কিংবা সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসাও হতে পারে।

প্রেমের প্রকৃতি বহুমাত্রিক। এটি কখনও নিঃস্বার্থ, কখনও কামনাময়, কখনও বা স্নেহপূর্ণ। শুদ্ধ প্রেম নিঃস্বার্থ ও স্বার্থহীন। এই প্রেমে কোনো প্রতিদানের প্রত্যাশা থাকে না। যেমন একজন মা তার সন্তানের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালোবাসা প্রকাশ করেন। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই প্রকৃত প্রেমের প্রকৃতি।

প্রেম কখনও যুক্তিকে মানে না। এটি অনুভূতির বিষয়, যা যুক্তি, কারণ বা বাস্তবতার গণ্ডি ছাড়িয়ে যায়। প্রেমে মনের অনুভূতিগুলো যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই তা দুঃখের কারণও হতে পারে। প্রিয়জনের হাসি যেমন হৃদয়ে আনন্দ জাগায়, তেমনই তার অনুপস্থিতি বা অবহেলা দুঃখের কারণ হয়।

প্রেমকে সাহিত্যে বহুবিধ উপায়ে চিত্রিত করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ও গান প্রেমের সূক্ষ্ম অনুভূতিগুলোকে গভীরভাবে প্রকাশ করে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে প্রেমের কষ্ট ও আত্মত্যাগের মেলবন্ধন চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। প্রেমের মধ্যে যে গভীর অনুভূতির প্রকাশ, তা সাহিত্য ও সংগীতের অন্যতম প্রেরণা।

প্রেম কেবল দুটি হৃদয়ের মিলন নয়, এটি মানুষের আত্মিক ও মানসিক উন্নতির পথ। প্রেম মানুষকে পরিশুদ্ধ করে, ধৈর্য ও সহনশীলতা শেখায় এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করে।

তবে, প্রেমের প্রকৃত রূপ বুঝতে হলে এর প্রতি সম্মান ও দায়িত্বশীল মনোভাব থাকা প্রয়োজন। কারণ প্রেম কেবল একটি অনুভূতি নয়, এটি একটি দায়িত্ব। প্রকৃত প্রেমেই জীবনের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে।

প্রেমের মহত্ত্ব ও গভীরতা উপলব্ধি করতে হলে আমাদের মনকে উন্মুক্ত ও হৃদয়কে উদার করতে হবে। প্রেম আমাদের জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তোলে এবং প্রতিদিনের ক্লান্তি থেকে মুক্তি দেয়। তাই, প্রেমকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

প্রকৃতির সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে গেলে শব্দ কম পড়ে যায়। প্রকৃতি যেন এক অমৃতের ভাণ্ডার, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে নতুন করে ব...
04/01/2025

প্রকৃতির সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে গেলে শব্দ কম পড়ে যায়। প্রকৃতি যেন এক অমৃতের ভাণ্ডার, যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে নতুন করে বেঁচে ওঠার মন্ত্র লুকিয়ে থাকে। সূর্যোদয়ের রক্তিম আলো যখন আকাশের কোণে কোণে ছড়িয়ে পড়ে, তখন মনে হয় প্রকৃতি তার আঁচল মেলে ধরেছে। আকাশে ভেসে থাকা তুলোর মতো মেঘ, সবুজ ঘাসের ওপর শিশিরবিন্দুর ঝিকিমিকি, নদীর স্বচ্ছ জলে পাহাড়ের প্রতিবিম্ব—এসব যেন একেকটি কবিতা, যা হৃদয়কে আনন্দে পূর্ণ করে তোলে।

পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন বাতাসের শীতল স্পর্শ গায়ে লাগে, তখন মনে হয় প্রকৃতির সাথে আত্মার গভীর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। সবুজ বনানীর মাঝে থাকা পাখির কলতান যেন জীবনের এক সুমধুর গান। সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন, বালুকাবেলার নির্জনতা, আর দিগন্তজোড়া নীল আকাশ—সবকিছুই যেন প্রকৃতির অমোঘ প্রেমের আহ্বান।

বর্ষাকালে যখন ঝরঝরে বৃষ্টি মাটির বুকে নেমে আসে, তখন চারপাশ যেন জীবনের উচ্ছ্বাসে ভরে ওঠে। প্রকৃতির এই বৃষ্টি শুধুই ভূমিকে সিক্ত করে না, আমাদের মনকেও শীতল করে। শীতকালের কুয়াশায় মোড়া সকাল কিংবা বসন্তের কোকিলের ডাক, প্রতিটি ঋতুই প্রকৃতির এক নতুন রূপ প্রকাশ করে।

প্রকৃতির সৌন্দর্য শুধু আমাদের চোখকেই তৃপ্তি দেয় না, আমাদের মনকেও শান্ত করে। যখন শহরের কোলাহল, জীবনের ব্যস্ততা, আর মানসিক অশান্তি আমাদের গ্রাস করে, তখন প্রকৃতির সান্নিধ্যেই আমরা খুঁজে পাই মুক্তির স্বাদ। একটা গ্রাম্য পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ধানখেতের সোঁদা গন্ধে ভরে ওঠে নাসিকা, দূরের ঝর্ণার কুলকুল ধ্বনি যেন আমাদের মনের গভীরতাকে সুরেলা করে তোলে।

প্রকৃতি আমাদের শেখায় সমতা, সহমর্মিতা আর ধৈর্য। গাছপালা যেমন নিরলসভাবে আমাদের অক্সিজেন দেয়, নদী যেমন আপন ধারায় বইতে থাকে, তেমনই আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তেও প্রকৃতির শিক্ষা কাজে লাগানো উচিত। প্রকৃতির সৌন্দর্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, আমরা এরই অংশ।

তাই প্রকৃতিকে রক্ষা করা, তার সঙ্গে একাত্ম হওয়া আমাদের দায়িত্ব। প্রকৃতির এই অসীম সৌন্দর্য, তার দান আমাদের জীবনের সব থেকে বড় আশীর্বাদ। প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, তার সান্নিধ্যে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পান।

হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করলাম লজেন্স খেতে আর ভালো লাগে না,বাংলা ১ম পত্রে আর কোনোদিন ১০০ তে ১০০ তোলা গেলো না, কলম দিয়ে লিখা ভ...
29/12/2024

হঠাৎ একদিন আবিষ্কার করলাম লজেন্স খেতে আর ভালো লাগে না,বাংলা ১ম পত্রে আর কোনোদিন ১০০ তে ১০০ তোলা গেলো না, কলম দিয়ে লিখা ভুল উত্তরটা রাবারে মোছা গেলো না,দিস্তা কাগজে খাতা বানাতে ভুলে গেলাম।
আলিফ লাইলাও বোরিং লাগতে শুরু করলো, চোর-পুলিশ খেলার গ্রুপ হারিয়ে গেল,
সবচেয়ে প্রিয় বিজ্ঞান বইটা ভাগ হয়ে গেল পদার্থ, রসায়ন আর জীববিজ্ঞানে।
ঝরে আম পড়া কমে গেল নাকি কুড়ানোর ইচ্ছা হারিয়ে গেল, সেটা বোঝার সময় হলো না।
প্রেমে পড়তে ইচ্ছে হলো, রোদের মধ্যে ফুটবল খেলতে গিয়ে হাপিয়ে উঠলাম,
গিটার শিখতে ইচ্ছা হলো, বড় হতে ইচ্ছা হলো, ক্লাস পালাতে ইচ্ছে হলো, রাত জাগতে ইচ্ছে হলো.. যেভাবে বড়রা রাত জাগে।
সেই যে শুরু হলো আর থামা গেল না।

আমরা এমন একটি পৃথিবীতে বসবাস করি যেখানে পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী। সময়ের স্রোতে, চারপাশের পরিবেশ, সমাজ, এবং আমাদের জীবন...
25/12/2024

আমরা এমন একটি পৃথিবীতে বসবাস করি যেখানে পরিবর্তনই একমাত্র স্থায়ী। সময়ের স্রোতে, চারপাশের পরিবেশ, সমাজ, এবং আমাদের জীবনধারা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো—এই পরিবর্তনের সাথে আমরা কতটা তাল মিলিয়ে চলতে পারছি?

পরিবর্তন শুধু চ্যালেঞ্জ নয়, এটি একটি সুযোগ। একজন কৃষকের উদাহরণ দিই—যখন তিনি জমিতে বীজ বপন করেন, তখন তিনি জানেন যে তা সময়মতো ফসল হয়ে উঠবে। তবে এর জন্য চাই যত্ন, অধ্যবসায়, এবং ধৈর্য। ঠিক তেমনি, আমাদের জীবনেও উন্নয়নের জন্য পরিবর্তন জরুরি।

কিন্তু উন্নয়ন কীভাবে সম্ভব?
প্রথমত, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি ছেড়ে বৃহত্তর চিন্তা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষা এবং জ্ঞানের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। একজন শিক্ষিত ব্যক্তি কেবল নিজের উন্নয়নই করে না, বরং সমাজের জন্যও পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠে।
তৃতীয়ত, আমাদের দলগতভাবে কাজ করতে হবে। একা কোনো বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। সম্মিলিত প্রচেষ্টা সবসময়ই ফলপ্রসূ।

বন্ধুগণ, মনে রাখবেন, জীবনে যারা পরিবর্তনকে সাদরে গ্রহণ করে, তারাই প্রকৃত বিজয়ী। তাই আসুন, আমরা সকলে মিলে এমন একটি সমাজ গড়ে তুলি যেখানে পরিবর্তন কেবল চ্যালেঞ্জ নয়, উন্নয়নের প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে।

ধন্যবাদ।

বিবেক পাঙ্গেনি এবং শ্রীজনা সুবেদীর প্রেমকাহিনী আধুনিক যুগের এক অনন্য উদাহরণ, যা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং অপরিসীম ত্যাগের ...
23/12/2024

বিবেক পাঙ্গেনি এবং শ্রীজনা সুবেদীর প্রেমকাহিনী আধুনিক যুগের এক অনন্য উদাহরণ, যা নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং অপরিসীম ত্যাগের প্রতিচ্ছবি। প্রায় এক দশক আগে, একই স্কুলে পড়ার সময় তাঁদের পরিচয় হয়; বিবেক ছিলেন উঁচু শ্রেণিতে। বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, এবং ছয় বছরের সম্পর্কের পর তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর তাঁরা আমেরিকায় পাড়ি দেন, যেখানে বিবেক জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা এবং জ্যোতির্বিদ্যায় পিএইচডি করছিলেন।

২০২২ সালে, বিবেকের মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে, যা তাঁদের জীবনে এক গভীর সঙ্কট নিয়ে আসে। চিকিৎসকরা জানান, বিবেকের ক্যান্সার চতুর্থ পর্যায়ে পৌঁছেছে, এবং তাঁর আয়ু বড়জোর ছয় মাস। এই কঠিন সময়ে, শ্রীজনা স্বামীর পাশে শক্ত খুঁটির মতো দাঁড়ান। কেমোথেরাপির ফলে বিবেকের চুল পড়ে গেলে, শ্রীজনা সমব্যথী হয়ে নিজের চুলও কেটে ফেলেন, যা তাঁদের গভীর ভালোবাসার প্রতীক হয়ে

বিবেক ও শ্রীজনা তাঁদের এই সংগ্রামের মুহূর্তগুলি সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিতেন, যা অসংখ্য মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, বাংলাদেশসহ বহু দেশের মানুষ তাঁদের জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসা এবং সংগ্রাম সমাজমাধ্যমে আলোড়ন তোলে।
#
দুঃখজনকভাবে, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪-এ, বিবেক ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর পরলোকগমন করেন, শ্রীজনাকে একা রেখে। তাঁদের এই অসমাপ্ত প্রেমকাহিনী নেটিজেনদের মধ্যে গভীর শোকের সঞ্চার করেছে। বিবেক এবং শ্রীজনা শুধুমাত্র তাঁদের অনুগামীদের সঙ্গে সংযুক্ত হননি, লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসতে এবং সাহসিকতার সঙ্গে জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেও অনুপ্রাণিত করেছেন।

তাঁদের এই প্রেমকাহিনী প্রমাণ করে যে, সত্যিকারের ভালোবাসা সময়ের সীমা ছাড়িয়ে চিরন্তন হয়ে থাকে, যা আমাদের সকলকে জীবনের প্রতিকূলতার সামনে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে উৎসাহিত করে।

Address

Kolkata

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abasarer adda posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share