স্বপ্ন অনুঘটক

স্বপ্ন অনুঘটক a news peper for youth published from 1997. poem.story.news.etc

❤️ নদীয়ার ‘ফুল উপত্যকা’❤️👇***বাংলার অপরূপ রূপ নদীয়ার চাপড়াতে***কবি বলেই গিয়েছেন, ‘মালঞ্চে আনমনে কেউ গাঁথে মালা…’ আর সে...
02/12/2024

❤️ নদীয়ার ‘ফুল উপত্যকা’❤️👇
***বাংলার অপরূপ রূপ নদীয়ার চাপড়াতে***
কবি বলেই গিয়েছেন, ‘মালঞ্চে আনমনে কেউ গাঁথে মালা…’ আর সে মালঞ্চ হোক বা উদ্যান প্রকৃতি নিজের শোভা বাড়িয়ে চলে ফুলের মাধ্যমেই। নানান রঙের ধারায় সেজে ওঠে প্রাঙ্গণ। তেমনই এক জায়গার খোঁজ রয়েছে কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরে। রানাঘাটের চাপড়া, যা কিনা নদিয়ার ‘ফুল উপত্যকা’ বলে পরিচিত।
চাপড়া, চাবড়া শব্দ টি একটি বিশেষ্য পদ যার অর্থ মৃত্তিকাদির মোটা চাকলা। বর্তমানে রানাঘাটের চাপড়া,‘ ফুল উপত্যকা’ বলে পরিচিত।
যতদূর চোখ যায় ফুলের বাগান। বিঘার পর বিঘা জমিতে ফুল চাষ হয় শীতে। এ যেন ঠিক স্বর্গের উদ্যান। চলে আসতে পারেন ছুটির দিন দেখে। কলকাতা থেকে রানাঘাটগামী যে কোনো ট্রেন ধরে নামতে হবে রানাঘাট স্টেশনে। স্টেশনের কাছেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে টোটো গাড়ি। সেখান থেকে টোটো করে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাবেন চাপড়ায়। তবে এখানে থাকার কোনো ব্যবস্থা নেই।এখানে এলেই যা প্রথমেই পাবেন মুক্ত প্রকৃতির সান্নিধ্য। কোলাহল থেকে দূরে এ এক অন্য পৃথিবী। রাস্তার দু ধার জুড়ে ফুলের চাষ। এছাড়াও আছে পুকুর, গ্রীনহাউস আর বটের শান্ত শীতল ছায়া। প্রতিদিনই বেশ লোক সমাগম ঘটে। চন্দ্রমল্লিকা, বেবী, গ্ল্যাডিওলাস ইত্যাদি থেকে শুরু করে ডালিয়া, গাঁদা, জবা বিভিন্ন ফুলের বাহারে অপূর্ব মনোরম দৃশ্য। ফুলপ্রেমীদের জন্য এ একেবারে আদর্শ স্থান।
তবে মনে রাখবেন, চন্দ্রমল্লিকা চাষে বাংলার প্রথম সারিতে রয়েছে পাঁশকুড়া শহর। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার নস্করদিঘী, জানাবাড়, উত্তরপলসা, দোকান্ডা-সহ একাধিক এলাকায় শীতকালীন ফুল হিসেবে চন্দ্রমল্লিকা চাষ হয়।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরকে অনেকটা পিছনে ফেলে বেশ কয়েক বছর আগেই রাজ্যে ফুল উৎপাদনে প্রথম জায়গাটা নিয়ে নিয়েছে নদিয়া। জেলার চাকদহ, রানাঘাট, শান্তিপুরের মতো ব্লকগুলি এখন ফুলে ফুলে ভরা। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে গোলাপ চাষের জমি। নদিয়ায় সব থেকে ভাল মানের গোলাপ পাওয়া যায় রানাঘাটের চাপড়ায়। এই গোলাপ ‘মিনি কুইন’ নামে পরিচিত। ছোটো রানি। কারণ এই ফুলের আকৃতি কিছুটা ছোটো কিন্তু ফুটে পড়ছে লাল রঙ। আভিজাত্যে ভিনরাজ্যের গোলাপকে টেক্কা দেয় এই মিনি কুইন চাষ হচ্ছে এখানে।এটা দাম কম।
তবে রজনীগন্ধা চাষে রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় নদিয়ার রানাঘাট। রানাঘাট ছাড়াও জেলার নাকাশিপাড়া, কৃষ্ণনগর ১, হাঁসখালি, কৃষ্ণগঞ্জ, চাপড়া ব্লকে সারা বছর রজনীগন্ধা ও বর্ষায় গাঁদার চাষ হয়।এই অঞ্চলে সারা বছর এখন গাঁদা ফুলের চাষ হচ্ছে।

বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুব দূরে না গিয়ে প্রকৃতির কোলে মাথা রাখতে চাইলে আসতেই হবে চাপড়ায়। খরচও স্বল্প। ফটো তোলার আলাদা কোনো মুল্য নেই। তাই যত খুশি ফোট তুলতেও পারেন।
Manab Mondal








কলকাতা ও তার আশেপাশের কিছু প্রাইভেট বইমেলা টাইপ করতে অসাবধানবসত কোন তারিখ ভুল হতে পারে দয়া করে সংশোধন করে দেবেন ধ্রুব র...
30/11/2024

কলকাতা ও তার আশেপাশের কিছু প্রাইভেট বইমেলা টাইপ করতে অসাবধানবসত কোন তারিখ ভুল হতে পারে দয়া করে সংশোধন করে দেবেন
ধ্রুব রায়
১)কল্যাণী উৎসব -- 29-11-24 থেকে 08-12-24
২)সোনারপুর ---06-12-24 থেকে 15-12-24
৩) দক্ষিণ পূর্ব কলকাতা (ঢাকুরিয়া)-- 06-1224 থেকে 15-12-24
৪) সিঙ্গুর -- 07-12-24 থেকে 15-12-24
৫) রাণাঘাট -- 09-12-24 থেকে 18-12-24
ধ্রুব রায়
৬)উত্তরপাড়া -- 08-12-24 থেকে 15-12-24
৭)বেহালা -- 13-12-24 থেকে 22-12-24
৮) চুঁচুড়া-- 14-12-24 থেকে 22-12-24
৯) লিলুয়া -- 17-12-24 থেকে 22-12-24
১০) বারাসাত -- 17-12-24 থেকে 23-12-24
ধ্রুব রায়
১১) কল্যাণী -- 19-12-24 থেকে 29-12-24
১২) হালতু -- 20-12-24 থেকে 26-12-24
১৩) খড়দহ --21-12-24 থেকে 25-12-24
১৪) নৈহাটি -- 24-12-24 থেকে 01-01-25
১৫) তারকেশ্বর-- -25-12-24 থেকে 31-12-24
ধ্রুব রায়
১৬) ডানকুনি -- 28-12-24 থেকে 05-01-25
১৭) বড়গাছিয়া - 28-12-24 থেকে 05-01-25
১৮) ভাঙ্গর/বড়জোড়া
03-0125 থেকে 09-01-25
১৯) আরামবাগ -- 11-01-25 থেকে 19-01-25
২০) মহিষাদল- 15-01-25 থেকে 19-01-25
ধ্রুব রায়
২১ )ডোমজুর -16-0125 থেকে 24-01-25
২২) কালনা - 17-01-25 থেকে 23-01-25
২৩) হলদিয়া - 24-01-25 থেকে 02-02-25
২৪) বর্ধমান অভিযান
10-01-25 থেকে 19-01-25
২৫) ভাতার - 16-12-24 থেকে 23-12-24

গুড় কে এশিয়া ও আফ্রিকায় তৈরি একটি অপরিশোধিত চিনি বলা যেতে পারে । আসলে আখ কিংবা খেজুরের রস হতে তৈরি করা এক প্রকারের মি...
28/11/2024

গুড় কে এশিয়া ও আফ্রিকায় তৈরি একটি অপরিশোধিত চিনি বলা যেতে পারে । আসলে আখ কিংবা খেজুরের রস হতে তৈরি করা এক প্রকারের মিষ্টদ্রব্য। তবে তালের রস হতেও গুড় তৈরি করা হয়। আখ, খেজুর এবং তাল গাছের রস ঘন করে পাক দিয়ে গুড় তৈরি করা হয়। গুড় প্রধানত ৩ প্রকার; ঝোলাগুড়, পাটালিগুড়, চিটাগুড়।
শীত কাল এলেই নলেন গুড়ের চাহিদা বাড়ে বাঙালির কাছে। পায়েস পিঠে ছাড়া ও এখন পাওয়া যায় নলেন গুড়ের রসগোল্লা। তবে শুধু স্বাদেই নয়, গুণেও ভরপুর একটি সুস্বাদু খাবার হল রসগোল্লা। তবে চিনির রসের রসগোল্লা থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি উপকারী এই নলেন গুড়ের তৈরি রসগোল্লা।এই মিষ্টির যেমন টেস্ট, তেমন গুণ। গুন বলতে রোগের সমাধানেও কাজ করে এই মিষ্টি।
শীতকালে পাওয়া যায় নলেন গুড় স্বাস্থ্য গুণে বেশ ভরপুর। নলেন গুড়ে আয়রন বেশি পরিমাণে থাকায়, রক্তাল্পতার সমস্যা থেকে উপশম পাওয়া যাবে । আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় প্রায় সকলের সর্দি-কাশি, জ্বর দেখা যায় , বিশেষজ্ঞরা এবং বাড়ির বয়স্করা নলেন গুড়ে তৈরি গরম রসগোল্লা খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ শীতকালীন শারীরিক সমস্যা থেকে রেহাই মেলে এর থেকে।
Manab Mondal

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর ‘হ্যালোইন’ উৎসব পালন করা হয় ৩১ অক্টোবর ।কিন্তু কী এই হ্যালোইন?ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে,প্রা...
29/10/2024

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর ‘হ্যালোইন’ উৎসব পালন করা হয় ৩১ অক্টোবর ।
কিন্তু কী এই হ্যালোইন?
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে,প্রায় ২০০০ বছরের পুরনো এই ভুতুড়ে উৎসবটি।অনেকেই ভাবেন। এটা কিন্তু ভূতের মতো সাজার জন্য বা ভুত সাজানোর জন্য পালন করা হয় না। মূলত মৃত আত্মাদের স্মরণ করতে এ দিনটি পালন করা হয়। মৃত সাধুদের (হ্যালো), যারা মারা গেছেন সম্মান জানানোর দিন এটি।
খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ১৭৪৫ সালের দিকে হ্যালোইন শব্দের উৎপত্তি। ‘ স্কটিশ ভাষার শব্দ ‘অল হ্যালোজ’ ইভ থেকে হ্যালোউইন’ শব্দটি এসেছে। হ্যালোইন শব্দের অর্থ হলো ‘পবিত্র সন্ধ্যা’। ‘হ্যালোজ’ ইভ’ শব্দটি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়ে ‘হ্যালোইন’এ রূপান্তর হয়। হ্যালোইন উৎসবের মূল থিম হলো, ‘হাস্যরস ও উপহাস করার মাধ্যমে মৃত্যুর ক্ষমতার ভুলে জীবনকে উপভোগ করা।
আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে বর্তমান আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও উত্তর ফ্রান্সে বসবাস করতো কেল্টিক জাতি লোকজন। নভেম্বরের প্রথম দিনটি তারা নববর্ষ বা ‘সাহ-উইন’ হিসেবে পালন করতন। 31 অক্টোবর উদযাপিত হয়, ফসল কাটার শেষ দিন হিসেবে।তারা এই দিনটি গ্রীষ্মের শেষ এবং অন্ধকার বা শীতের শুরু বলে মনে করতন ।
কেল্টিক জাতির বিশ্বাস ছিলো অক্টোবরের শেষ দিনের রাত সবচেয়ে খারাপ। যে রাতে সব প্রেতাত্মা ও অতৃপ্ত আত্মারা মানুষের ক্ষতি করে।তাই কেল্টিক জাতির মানুষর এই রাতে বিভিন্ন ধরনের ভূতের মুখোশ ও কাপড় পরতো ভুত সাজানতেন।
তারা সারা রাত জেগে কাটাতেন। এবং আগুন জ্বালিয়ে মুখোশ পরে বৃত্তাকারে ভাবে একসঙ্গে ঘুরতেন পরে কেল্টিক জাতির ‘সাহ-উইন’ উৎসবই ‘হ্যালোইন’ উৎসব পরিবর্তীত হয়।
কবে থেকে শুরু হয় হ্যালোইন?
মধ্যযুগ থেকেই হ্যালোইন উৎসব পালিত হয়ে ‘সাহ উইন’ উৎসব । কিন্তু ১৮০০ দশকের শেষের দিকে আমেরিকায় হ্যালোইন ছুটির দিনে পরিণত হয়। শতাব্দীর শুরুতেই জনপ্রিয় হয়ে যায় এই উৎসব সারা বিশ্বে।
Manab Mondal

কলকাতার ঐতিহ্য টানা রিকশার ইতিহাস *********************************ট্রাম গাড়ি নিয়ে কথা হতেই মনে পড়লো টানা রিক্সার কথা...
28/10/2024

কলকাতার ঐতিহ্য টানা রিকশার ইতিহাস
*********************************
ট্রাম গাড়ি নিয়ে কথা হতেই মনে পড়লো টানা রিক্সার কথা।কলকাতার মানুষ পুরনোকে বর্জন না করে, তাকে আপন করে রাখা আশ্চর্য মমতায় ঐতিহ্য কথা মনে রেখে।এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে, হাতে টানা রিকশা কলকাতার শহরের পথ-দৃশ্যের বৈশিষ্ট বলতে পারেন। রিকশা গুলো আজও কলকাতার সামাজিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।তবে চা, ট্রাম, হাতে টানা রিকশা গথিক স্থাপত্য, রসগোল্লা , ফুটপাতে খাবার হল কলকাতার ঐতিহ্য।
রিকশা' শব্দটি জাপানি শব্দ 'জিন-রিকি-শা' যেখানে জিন অর্থ মানুষ, রিকি অর্থ শক্তি এবং শা অর্থ যান- অর্থাৎ মানব-চালিত যান) থেকে উদ্ভূত হয়েছে। ১৮৬৯ সালে জাপান রিকশা আবিষ্কার করে।তাই ব্রিটিশ উপনিবেশ সভ্যতার প্রান ভমরা কলকাতায় রিকশা চালু হয়ে যায় এক শতাব্দী আগেই।
তবে হাতে-টানা রিকশা প্রথম সিমলায় চালু করা হয়েছিল কয়েক দশক আগে , যা ব্রিটিশ রাজের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী হিসাবে কাজ করেছিল, কিন্তু সিমলায় এর ব্যবহার পাহাড়ি পথের কারণে সীমিত ছিল। হাতে টানা রিকশা জনপ্রিয় হলো ১৯১৯ সালে থেকে।ব্রিটিশরা হ্যাকনি ক্যারেজ অ্যাক্ট পাস করেছিল, যা কলকাতায় যাত্রী পরিবহণের মাধ্যম হিসাবে হাতে টানা রিকশা ভাড়া করার অনুমতি দেয়।
ইংরেজরা আসার আগে বাংলায় পালকির চল ছিল। কিন্তু তাতে খরচও হত ভালই।তাই ধনী বা শাসকশ্রেণির লোকেরাই মূলত পালকি চড়ার বাবুয়ানি দেখাতে পারতেন। কখনও অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যও অবশ্য পালকির প্রয়োজন হত।
কলকাতায় এক ইহুদি ব্যবসায়ী১৮৯০-এ চিন থেকে জাপানি রিকশার কাঠের সংস্করণটি ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন রাজধানী কলকাতায় প্রথম আমদানি করেন । এর পর ১৯৩৩-এ ৬০০০ টানা রিকশাকে পাকাপাকিভাবে লাইসেন্স দেওয়া হয়। এর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে, এশিয়ায় ঔপনিবেশিকতাবাদ হ্রাস পায় এবং হাতে-টানা রিকশা ব্রিটিশ উপনিবেশগুলিতে ধীরে ধীরে ব্যবহার করা বন্ধ হয়ে যায়। চীনেও কমিউনিস্ট সরকার রিকশা ব্যবহার নিষিদ্ধ করে।
মানবিক কারণে ২০০৬ সালে, পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছিলেন যে টানা রিকশা নিষিদ্ধ করা হবে আইন করে বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও উত্তর কলকাতায় বড়বাজার থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত হাতে টানা রিকশার আধিপত্য এতটুকুও কমেনি। বড়বাজার, কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়া বা বৈঠকখানা বাজারের মতো জায়গায় হাতে টানা রিকশাই সওয়ারি ও পণ্য-- দুইয়ের পরিবহণ চালিয়ে যাচ্ছে।

#কলকাতা #

07/10/2024

দেবীপক্ষের শুরুতে যখন ধর্ষিত হয় শৈশব তখন দেবীর আগমনের কি দরকার ।।

27/07/2023

Delivery Boy #
#অণু গল্প -২ #
ত্তভার পুলের কলকাতা শহর দিয়ে সাইকেলের প্যাডেলে জোরে পা চালাচ্ছে ছেলেটি সব এনার্জি খরচ করে ,সাইকেলের সামনে আটকানো এন্ড্রয়েড ফোনে গুগল ম্যাপ, শ্রাবণ মাস দিনরাত যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে, পাশ থেকে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে সাই সাই করে ছুটছে অসংখ্য গাড়ি,শিবের মাথায় জল ঢালবার জন্য দলে দলে খালি পায়ে হেঁটে চলেছে কত মানুষ। কোন দল ছুটছে, দু'কাঁধে ঝুলছে জলের হাঁড়ি মুখের ধ্বনিতে ,'ভোলে বাবা পার করেগা', শ্লোগানের মধ্যে হঠাৎ একটা ফোন আসতেই ফোনটা রিসিভ করে ছেলেটি, বল ফোন করেছিস কেন? মেয়েটি বলে ফিরেছিস? ছেলেটি উত্তর দেয় রাখতেো বাল এখন তারাতলা ব্রেস ব্রিজ টপকাচ্ছি যাচ্ছি ইব্রাহিমপুর ডানদিকে ক্ষিদিরপুর। মেয়েটি বলে রেনকোট পড়েছিস?ছেলেটি উওর দেয় না,রেনকোট কেনার টাকা নেই, ব্যবহার করি না। বিকেল চারটে থেকে সাইকেল চালাচ্ছি পোঁদের চামড়া ব্যথা করছে,তুই ফোনটা রাখ, ৩৭ কিলোমিটার সাইকেল চালানো হয়ে গেছে, বৃষ্টিতে ভিজে চপচপ,এখনো চারটে ফ্ল্যাটে, দোকান থেকে ফুড প্যাকেট কালেক্ট করে ডেলিভারি করতে হতে পারে, রিকোয়েস্ট এলেই এক্সেপ্ট করবো,তোকে পরে ফোন করবো। সারাদিন ধরে ঝরঝর বৃষ্টি পড়ছে বাইরে, তুই কি জনলা খুলে দেখেছিস! তখনও আঙুলের ফাঁকে ধরা সিগারেট থেকে খসে পড়েনি পোড়া ছাই। মেয়েটি বলে আজ বিভিন্ন পেপারের হেডলাইন হয়েছে যে, তোমায় খুব ভালো লেগেছে, 'পিৎজা দিতে গিয়ে দেখা, ফিরেই মহিলাকে মেসেজ করে প্রেম নিবেদন '। 'খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে তিনবার দুর্ঘটনা, গ্রাহকের সামনে কেঁদে ফেলল ফুড ডেলিভারি বয় '। বা 'সাইকেল করে খাবার দিতেন ফুড ডেলিভারি বয়, নতুন বাইক কিনে দিলেন পুলিশকর্মী '।ছেলেটি বলে, এসবের মধ্যে আমি নেই। আজ একজন আমার ঘেমো চেহারা দেখে ২০ টাকা টিপস দিতে চাইলে ত্তনাকে সরাসরি না করেছি,ফোনটা কেটে দেয় ছেলেটি। ত্তভার পুলের এই কলকাতা শহরে এত চোখ ধাঁধানেো এল ই ডি লাইটে নিজেকে খুব একা লাগে কারন ছেলেটি বাঁকুড়া জেলা থেকে এসেছিলো থিয়েটার করতে। কলকাতা শহরে চার হাজার টাকা দিয়ে তারই মত অনেক ছেলে মেয়েদের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকে। এখনো সে নিজের পরিচয় দেয় সে থিয়েটার কর্মী কিন্তু নাটক করে দু'বেলা পেটের ভাত রোজগার করা কাল্পনিক। বৃষ্টি পড়ছে ছেলেটি দেখে তারই পাশ থেকে নাবালক একটি ছেলে কালো পলিথিনে মোড়া একটা রিক্সা চালাচ্ছে। স্কুল পালিয়ে এক ভর দুপুরে শালবনে দুজনে ঘুরতে গিয়েছিলো, তখন ক্লাস নাইন,আর এখন নাটকের রিয়ারসাল ভুলে ফুড ডেলিভারি কম্পানির পাঠানো শনি রোববারের টোপ গুলো গিলতে থাকে । 'এক পুরনো দুপুর ভাঙা সাইকেল'। ছেলেটি নিজের সব শক্তি দিয়ে সাইকেলের প্যাডেলে চাপ দিতে থাকে।

#বিশ্বজিৎ সরকার # ১০ শ্রাবণ ১৪৩০/২৭ জুলাই ২০২৩।

27/07/2023

# বাংলা আমাদের রাজ্য ও দেশ #

যে সব মানুষ দিনরাত একাএকা কাদাজল ভাঙে, খালিপায়ে
আর যে সব মানুষেরা দুবেলা পায়ের যত্ন নেন
আজকাল আমি তাদের কথা ভাবি
যারা বিলাসী জুতো কিনতে পারেন'না
সেইসব মানুষকে ভেট দেব বলে
দুবেলা নিয়ম করে শহরের অলিতে গলিতে দোকানে দোকানে বেদুইনদের জামাকাপড় খুঁজে ফিরি

#বি এস #

24/08/2022

# হরিণ ঋতু #

সেদিন কি বার ছিল ,কোন ঋতু কিচ্ছু মনে রাখিনি ,তখন বিকেল পাঁচটা, চারুচন্দ্র কলেজ থেকে প্রাণিবিদ্যার বন্ধুরা মিলে একসঙ্গে বের হচ্ছি, তুই হঠাৎ আমাকে ডেকে বললি চল লেকে একটু ঘুরে আসি ,সবে মাএ গিনিপিগের হৃৎপিন্ড কেটে বের হলাম , আর তুই -
প্রেমের আঙুল ঘিরে বৃত্তাকারে ছুটে চলে হরিণ ঋতু
তোর আর আমার প্রেমের কথা ,ব্যাকটেরিয়া
আর এককোষী শৈবাল

# বিশ্বজিৎ সরকার #

20/08/2022

শুধু আমূল নয়,বাঙালী কে বাঁচাতে অবাঙালির তৈরি প্রতিটা পন্য বয়কট করুন।

বড়বাজার থেকে বিহারী দোকানের চা পর্যন্ত।

07/08/2022

#২২শে শ্রাবণ #১৪২৯

বীজ ও বৃষ্টির এই যে উড্ডীন আকাশ
নাও নাও মাটিতে জন্মানো সব গাছেদের
জন্মদিন নাও

@বিশ্বজিৎ সরকার@

Address

Kolkata
700093

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বপ্ন অনুঘটক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to স্বপ্ন অনুঘটক:

Share