30/06/2025
Foreign Dept:
একটি দেশের বিদেশি বা অভ্যন্তরীণ ঋণ নেওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নির্ভর করে কীভাবে সেই ঋণ ব্যবহৃত হচ্ছে, শর্তগুলো কী, এবং দেশের আর্থিক নীতিমালা কতটা স্থিতিশীল। নিচে ডেটাসহ উপকারিতা ও অপকারিতা তুলে ধরা হলো।
✅ উপকারিতা (Advantages of Taking National Debt):
1. অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা:
উদাহরণ: বাংলাদেশ পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য প্রথমে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চেয়েছিল, পরবর্তীতে নিজস্ব অর্থায়নে করলেও অনেক অবকাঠামো প্রকল্পে বিদেশি ঋণ নেওয়া হয় যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (রাশিয়ার \$11.38 বিলিয়ন ঋণ)। শোধ করতে করতে বাড়তি চাপ ও অন্যথায় খেলা।
2. বাজেট ঘাটতি পূরণ:
অর্থনৈতিক সংকট বা দুর্যোগে বাজেট ঘাটতি পূরণে এই অর্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
3. রিজার্ভ বৃদ্ধি ও মুদ্রা স্থিতিশীলতা:
বৈদেশিক ঋণ কখনো কখনো দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করে। যেমন 2022 সালে পাকিস্তান IMF থেকে \$1.17 বিলিয়ন ঋণ পেয়ে তাৎক্ষণিক ডলারের সাপ্লাই বাড়ায়।
4. সাময়িক চাপ কমানো ও প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা:
উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে ঋণ সহায়ক হতে পারে।
❌ অপকারিতা (Disadvantages of Taking National Debt):
1. ঋণ ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি:
অনেক দেশ যেমন শ্রীলঙ্কা বা জাম্বিয়া, অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করে শেষ পর্যন্ত ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়ে।
🔴 উদাহরণ: শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ 2021 সালে GDP-র 119% ছাড়িয়ে যায়, যার ফলে দেশকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে হয় 2022 সালে।
2. বিনিয়োগ ও উৎপাদন খাতে ঋণের যথাযথ ব্যবহার না হলে আর্থিক চাপ বাড়ে:
যদি ঋণ প্রকল্পে অপচয় হয় বা দুর্নীতি হয়, তাহলে ঋণ বোঝা বেড়ে যায় অথচ অর্থনীতিতে লাভ আসে না।
3. মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যস্ফীতির ঝুঁকি:
অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে বেশি ঋণ নিলে বাজারে টাকার সাপ্লাই বেড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়াতে পারে।
4. নীতিনির্ধারণে স্বাধীনতা হারানোর আশঙ্কা:
IMF বা বিশ্বব্যাংকের ঋণ পেলে অনেক সময় তাদের শর্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেমন বাংলাদেশকে IMF ঋণের বিনিময়ে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বন্ধের চাপ দেওয়া হয়েছে।
ডেটা রেফারেন্স (2023-24):
বাংলাদেশ বৈদেশিক ঋণ: প্রায় \$100 বিলিয়ন (GDP-র \~38%)
ভারত: \$663 বিলিয়ন (GDP-র \~19%)
শ্রীলঙ্কা: \$97 বিলিয়ন (GDP-র \~119%)
IMF-এর মতে, মোট 52টি দেশ ঋণ সংকটে আছে (2023)