T G A K

T G A K ♠আপনি মনের কথা শুনছেন তার মানে তোমার গল্প আমার কন্ঠে শুনছেন
♣প্রতিদিন সন্ধ‍্যা 8.00 টায় LIVE গল্পের আড্ডা with Rj Mrinmoy
(1)

If you want to make professional music and video of your own at a very minimum price and you want to promote your youtube videos and also for Audio Distribution, you can contact us for details.

মা ছিলেন, নম্রতার প্রতিমূর্তি । এত লোক তাঁহার পদধূলি পাইলে আপনাদিগকে  কৃতার্থ বোধ করিত, তথাপি তিঁনি নিজেকে ঠাকুরের একজন ...
18/09/2025

মা ছিলেন, নম্রতার প্রতিমূর্তি । এত লোক তাঁহার পদধূলি পাইলে আপনাদিগকে কৃতার্থ বোধ করিত, তথাপি তিঁনি নিজেকে ঠাকুরের একজন কৃপাপ্রাপ্তা চরণাশ্রিতা বলিয়াই মনে করিতেন। দীক্ষা প্রদানের পর ঠাকুরকে দেখাইয়া বলিতেন, "ঐ উনিই গুরু।" যদিও কখনও কখনও খুব অন্তরঙ্গভাবে কথা বলিতে বলিতে তিঁনি কে -এইসব কথা অলক্ষ্যে মুখ দিয়া বাহির হইয়া পড়িত, কিন্তু ঐ ভাবকে তিঁনি মনেও স্থান দিতেন না। তাঁহার যাহা কিছু সবই ঠাকুর। জনৈকা প্রাচীনা স্ত্রী ভক্ত একদিন মায়ের শেষ অসুখের সময় তাঁহাকে "তুমি জগদম্বা, তুমিই সব "ইত্যাদি বলিয়া যেমন প্রসংশা করিতেছেন, অমনি মা রুক্ষস্বরে বলিয়া উঠিলেন,"যাও, যাও, জগদম্বা! তিনি দয়া করে পায়ে আশ্রয় দিয়েছিলেন বলে বর্তে গেছি। তুমি জগদম্বা!তুমি হেন!"
বেরোও এখান থেকে। যদিও তিঁনি তাঁহার সমন্ধে কোন ভক্তের আন্তরিক বিশ্বাসকে বিচলিত করিতেন না, তথাপি এইরূপ প্রশংসাবাদ তাঁহার সহ্য হইত না।

তাঁহার নিজের ইচ্ছা বা ন্যায্য বিবেচনার বিরুদ্ধে কেহ কোন কথা বলিলে তিঁনি প্রথমে উহা মানিয়া লইতেন। পরে ধীরে ধীরে নিজে যেটি ইচ্ছা করিতেন তাহা বলিয়া প্রশ্নকারীকেই জিজ্ঞাসা করিতেন, আচ্ছা এরকম হলে কেমন হয়? এইরূপে ক্রমশঃ তাহাকে স্বমতে আনয়ন করিতেন। কখনও তাহার মুখের উপর তোমার ওকথা কিছু না বলিয়া উত্তর দিতেন না। একদিন পূর্ণবাবুর স্ত্রী দীক্ষার কথা উত্থাপন করিয়া মাকে বলিলেন, মা, আপনি তো শীঘ্রই দেশে চলে যাচ্ছেন, আর আমরাও সিমলা পাহাড়ে যাব। আবার কবে দেখা হবে। মন্ত্র নেবার ইচ্ছা, কিন্তু আমার জাতাশৌচ হয়েছে। গোলাপ মা ও যোগেন মা নিকটে ছিলেন। তাহারা বলিলেন, অশৌচে কি দীক্ষা হয়? এখন কি করে নেবে? মাও তাহাদের কথায় সায় দিয়া বলিলেন, তাই তো, কি করে হবে তাহলে? সেইসময় বরেনবাবুর পিসিও সেখানে ছিলেন। একদিন তিনি মাকে একা পাইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মা আপনি কি জাতাশৌচ মানেন? মা বলিলেন, কায়াপ্রাণে ন সম্বন্ধ,আবার জাতাশৌচ! কালীপূজার দিন ওকে গঙ্গাস্নান করিয়ে নিয়ে এসো। পরে পূর্ণবাবু নিজেই নির্দিষ্ট দিনে তাহাকে মায়ের নিকট লইয়া যান।

মায়ের কথা অখণ্ড

🙏🏻🙏🏻🙏🏻 জয় মা 🙏🙏🙏

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

কিভাবে মায়ের কৃপায় প্রাণ ফিরে পেলেন কেশব চন্দ্র নাগ। ❤️🙏🌹 ১৯৪২ খ্রীস্টাব্দ। প্রচন্ড অসুখে পড়লাম। দেশের বাড়ি গুড়াপে ...
17/09/2025

কিভাবে মায়ের কৃপায় প্রাণ ফিরে পেলেন কেশব চন্দ্র নাগ। ❤️🙏🌹

১৯৪২ খ্রীস্টাব্দ। প্রচন্ড অসুখে পড়লাম। দেশের বাড়ি গুড়াপে এলাম। বাড়িতে সবাই খুব চিন্তায় পড়লেন। গুড়াপে তখন একজন ভালো ডাক্তার এসেছিলেন। তিনিই দেখছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। রোগ ক্রমে বেড়েই যেতে লাগল। পরিজনেরা ভয় পেলেন। বাঁচার আশা ক্ষীণ হয়ে এল। তবে চিকিৎসার কোন ত্রুটি ছিল না। ক্রমে ভীষণ শ্বাসকষ্ট শুরু হলো। ডাক্তার বললেন : "অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগবে।" বাড়ি থেকে কে যেন বর্ধমান গেল অক্সিজেন সিলিন্ডার আনতে। সেই রাতটা আমার স্পষ্ট মনে আছে। কষ্টটা যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বুঝিবা শেষ রাত। বাড়িতে কারো চোখে ঘুম নেই।

হঠাৎ মায়ের কথা মনে পড়ল। মাকে অসুস্থ অবস্থায় সেবা করেছিলেন মা-কালী স্বয়ং। আমার এই দুঃসময়ে মা কি আমায় বাঁচাবেন না? বারবার শুধু তাঁর কথা ভাবছি। তাকে ডাকছি। হাত-পা নাড়ার ক্ষমতা নেই। শুধু কাঁদছি, আর কাঁদছি। ‌ এমন সময় ঘটনাটা ঘটল। হঠাৎ স্পষ্ট দেখলাম, মায়ের মতো কে যেন একজন আমার মাথার কাছে এসে দাঁড়ালেন। হ্যাঁ, মা-ই তো। সেই মুখ, সেই চোখ, সেই সরু লাল পাড় শাড়ি। দুচোখে করুণা যে ঝরে পড়ছে। মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। ওঃ, সে কী সুখস্পর্শ ! মনে হচ্ছিল আমি সেরে যাচ্ছি। আমি হাত-পা নাড়তে পারছি। হয়তো কথাও বলতে পারব। মা আমাকে সাদা একটা গুলি, অনেকটা ন্যাপথালিনের মতো, খাইয়ে দিলেন। গুলিটা যত গলা দিয়ে নামছে ততই আমার মনে হচ্ছে আমার সমস্ত রোগযন্ত্রণা নিয়ে সেই গুলি যেন শরীরে মিশে যাচ্ছে। তারপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছি কোন খেয়াল নেই। ভোরবেলা ঘুম ভাঙল। মনে হলো আমার শরীরে কোন কষ্ট নেই, কোন যন্ত্রণা নেই, কোন রোগ নেই। আমি সুস্থ—সম্পূর্ণ সুস্থ। নিজেই এতদিন পর বিছানা ছেড়ে উঠলাম। সবাইকে অবাক করে হাঁটলাম। সকালে ডাক্তার এলেন। খুব জোরের সাথে বললাম : "ডাক্তার বাবু আমি সেরে গেছি। আমি ভাল হয়ে গেছি।" ডাক্তার অবাক। বললেন : "ভগবানই তোমাকে বাঁচিয়েছেন।" অক্সিজেন সিলিন্ডার ফেরত গেল। আমি ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠলাম। সুস্থ হয়ে উঠলাম নয়, আমি দ্বিতীয়বার জীবন পেলাম। আমার জীবনদাত্রী—মা।

- কেশবচন্দ্র নাগ

জয় মা জয় জয় মা ❤️❤️❤️🙏🙏❤️❤️❤️

Tomar Golpo Anar Konthe

অন্তর্যামী মাশ্রীশ্রীমা ছিলেন অন্তর্যামী। সকলের অন্তরের কথা তিনি বুঝতে পারতেন। মায়ের কাছে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে হত না...
16/09/2025

অন্তর্যামী মা

শ্রীশ্রীমা ছিলেন অন্তর্যামী। সকলের অন্তরের কথা তিনি বুঝতে পারতেন। মায়ের কাছে মুখ ফুটে কাউকে কিছু বলতে হত না।মা তাঁর সন্তানদের অন্তরের কথা বুঝে নিয়ে সেগুলো পূরণ করে দিতেন , তাঁর তাঁর ভক্ত সন্তানরা অবাক হয়ে ভাবত মা কেমন করে জানলেন! সুহাসিনী দেবীর একবার মনে হল , মায়ের কাছে তো যাই কিন্তু তাঁর পাদসেবা করার সুযোগ কোনোদিন হল না!! মনে মনে তিনি একটা কষ্ট অনুভব করেন। তিনি মনে মনে ভাবতে লাগলেন,” একটা দিনও যদি মায়ের পায়ে একটু হাত বুলিয়ে দিতে পারতাম!” গোলাপ মায়ের ভয়ে তাঁর এই মনোবাসনার কথা মুখ ফুটে কোনোদিন বলতে পারেন নি। মাকে মুখ ফুটে বললে মা নিশ্চই সে অধিকার দিতেন ! কিন্তু মুখ ফুটে আর বলা হল না! সুহাসিনী দেবীর কথায়,” মনের ইচ্ছা মনেই চেপে কাঁদতাম আর মনে মনে বলতাম, মাগো , ঠাকুরকে তো দেখিনি, তোমার যায় তোমাকে দেখলাম! তোমার কথা শুনলাম! তোমার চরন স্পর্শ করলাম! আবার মাথায় মুখে তোমার স্পর্শ পেলাম, কিন্তু সংসারী বলে কি আমার একটু সেবা নেবে না? তোমার পায়ে একটু হাত বুলিয়ে দেবার অধিকারও কি আমার নেই? “
এরপর একদিন তিনি মায়ের কাছে গেছেন । সেদিন শান্তি ছিলেন তাঁর সঙ্গে। ঘরে ঢুকে সুহাসিনী দেবী দেখলেন মা শুয়ে আছেন। দু-তিনজন ভক্ত মেঝেতে মাদুরের উপর বসে আছে। তিনি দূর থেকে মাটিতে মাথা ঠেকিয়ে মাকে প্রণাম করলেন। মা সস্নেহে বললেন, “ এসেছো মা ,বোসো। শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। শরৎ , গোলাপ, যোগিন, সরলা সবাই ব‍্যতিব‍্যস্ত আমাকে নিয়ে । আমার নিজেরই লজ্জা লাগছে। তবে কি মা , দেহধারণ করলে দেহের ভোগ তো করতেই হবে। “ মা চুপ করলেন। কিছুক্ষণ পর সুহাসিনী দেবীর দিকে তাকিয়ে মা বললেন, “ বুড়ো হয়েছি, বাতে ধরেছে, হাতে পায়ে বাতের ব‍্যথা! টিপে দিলে একটু আরাম হয়!। তুমি একটু টিপে দেবে? “ একজন ভক্ত মহিলা তৎক্ষণাৎ বলে উঠলেন, “ মা আমি দিচ্ছি।” মা সস্নেহে তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, “ তুমি বোসো মা, তুমিতো সেদিন কতক্ষণ দিলে। আজ সুহাস দিক।” সুহাসিনী দেবীর মন আনন্দে বিগলিত হয়ে গেল। তাঁর দুচোখ আনন্দে ভরে গেল। তিনি পরম যত্নে মায়ের পা দুখানি কোলের মধ‍্যে তুলে টিপে দিতে লাগলেন।

🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

"ক্রিয়া সত্য আর সব মিথ্যা"বাচস্পতি অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়(প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ যোগিরাজ শ্যামাচরণ সনাতন মিশন্)প্রাণের ...
15/09/2025

"ক্রিয়া সত্য আর সব মিথ্যা"

বাচস্পতি অশোক কুমার চট্টোপাধ্যায়
(প্রতিষ্ঠাতা প্রাণপুরুষ যোগিরাজ শ্যামাচরণ সনাতন মিশন্)

প্রাণের দুটো অবস্থা | যেটার ওপরে আমরা বেঁচে আছি, চলাফেরা করছি, খাচ্ছি-দাচ্ছি, ঝগড়া করছি, যা কিছু করছি, তা প্রাণের চঞ্চল অবস্থা থেকে | কিন্তু এটা ক্ষণস্থায়ী | তাহলে প্রাণের আর একটা উল্টো অবস্থা আছে | সেটা হচ্ছে স্থির | অর্থাত্ স্থির প্রাণ, সেটাই ব্রহ্ম, ভগবান্, যাই বলো | শেষ কথা | সে হচ্ছে প্রাণের স্থিরাবস্থা, আর চঞ্চল প্রাণ জীবাবস্থা |

এই প্রাণটা যতক্ষণ চঞ্চল হয়ে আছে আমাদের শরীরের মধ্যে ততক্ষণই আমরা বেঁচে আছি | কিন্তু যেই প্রাণটা থেমে গেল অমনি মরে গেলাম | তাহলে জন্ম আর মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য কি ? - না, জন্ম হচ্ছে প্রাণের চঞ্চল দিকে চলে যাওয়া, আর মৃত্যু হচ্ছে প্রাণের স্থিরত্বের দিকে চলে যাওয়া |

প্রাণের এই যে স্থিরাবস্থা, এটা আদি ও অনাদি | এর কোনো ক্ষয় নাই | এর কোনো উত্পত্তিও নাই, চিরশাশ্বত | তার থেকে যখন চঞ্চল হল প্রাণটা, তখন আমরা জন্মগ্রহণ করলাম এবং পৃথিবীতে আসলাম | প্রত্যেকটি প্রাণীর এই একই অবস্থা | সে মানুষ বলো, বাঘ বলো, হাতি বলো, মশা, মাছি, যাই বলো না কেন, সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম | তাই সকলের মধ্যে, এই চঞ্চল অবস্থায় থাকার দরুণ, আমাদের পেটে ক্ষুধা আছে, হিংসা আছে, লোভ আছে, ক্রোধ আছে | মানে, যত ইন্দ্রিয় সব এই চঞ্চল অবস্থার মধ্যে আছে | যদি আমরা স্থিরাবস্থায় যেতে পারি, তাহলে কিছুই নাই | এখানেই ক্রিয়াযোগের মাহাত্ম |

তাহলে যেটা বলছিলাম, আমরা যখন মরে গেলাম তখন প্রাণের সেই স্থিরাবস্থায় চলে গেলাম | এটা "কে এই শ্যামাচরণ" গ্রন্থটার মধ্যে পরিস্কারভাবে দেওয়া আছে | যে, যখন একটা প্রাণী মারা গেল, সে মানুষ হোক্, আর যে কেউই হোক্, তখন সে প্রাণের চঞ্চলতার দশ শতাংশে চলে গেল | একশো শতাংশে এখন চঞ্চল, সে তখন দশে চলে গেল | যদি একেবারের শূণ্য হয়ে যেত, শূণ্য শতাংশে, তাহলে কিন্তু তার আর পুনর্জন্ম হতো না |

তাহলে বিজ্ঞানটা থেকে এটা পাচ্ছি, আমরা যদি মুক্তি চাই তাহলে আমাকে শূণ্য শতাংশে যেতেই হবে | তাহলে ক্রিয়াযোগের এখানেই মাহাত্ম | ক্রিয়াযোগ আমাকে সেই শূণ্য শতাংশে নিয়ে যেতে পারে | এছাড়া পৃথিবীতে আর কারো কোনো ক্ষমতাই নাই | এই কারণে "যোগিরাজ" বলেছেন, "ক্রিয়া সত্য আর সব মিথ্যা" |

তাহলে "ব্রহ্ম হচ্ছে প্রাণের চূড়ান্ত স্থিরাবস্থা" | আর জীব হচ্ছে প্রাণের চঞ্চলতার চূড়ান্ত অবস্থা | তাহলে এই দুটো চূড়ান্তের মাঝখানে কি আছে ? - ধরো, চূড়ান্তে নাই, আমি স্থিরত্বেও যেতে পারিনি | তাহলে কোথায় গেলাম ? - তা, হবে না | কারণ তোমার একশো শতাংশ যে স্থির, তুমি যদি নব্বই শতাংশকে স্থির করতে পারো তাহলে দশ শতাংশ চঞ্চল আছে |

তাহলে, ক্রিয়া করে যদি কোনো মানুষ, এই জীবনে দশ শতাংশে চলে যেতে পারে, তাহলেও 'পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে' | কিন্তু কেউ যদি একদম একশো শতাংশ স্থিরাবস্থায় ফিরে গিয়ে দেহ ত্যাগ করতে পারে, তার তো কোটি কোটি বছরের মধ্যে আর জন্ম নাই, সে জন্মরহিত হয়ে গেল | আর তার জন্ম নাই | কিন্তু দশ শতাংশে গেলেও এই মিনিমাম্, হয়তো হাজারের মধ্যে এক শতাংশ চান্স্ - জন্মের - থাকে | সাধারণতঃ চান্স্ থাকে না | তাহলে তো গীতা মিথ্যা হয়ে যাবে |
এটা একটা বিচারে পাওয়া যাচ্ছে |

তো, সেইজন্যে, "ব্রহ্ম" তাহলে কি ? - ব্রহ্ম আমাদের সকলের ভিতরেই আছে, প্রাণের স্থিরাবস্থা | আর জীবাবস্থা কি ? - প্রাণের চঞ্চল অবস্থা | পার্থক্য এইটুকু | আর কিছু নাই | সেই নিয়ে এই বক্তব্যটা রাখা হয়েছে | (ক্রিয়াবানের প্রতি) এবার তাহলে পরিস্কার হয়েছে ?

তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ

Tomar Golpo Anar Konthe
Mrinmoy Roy

যখন আপনি ব্যস্ত থাকেন তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয় কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয়না -স্বামী বিবেকানন্দ
15/09/2025

যখন আপনি ব্যস্ত থাকেন তখন সব কিছুই সহজ বলে মনে হয় কিন্তু অলস হলে কোনো কিছুই সহজ বলে মনে হয়না -স্বামী বিবেকানন্দ

11/09/2025
🔥 মা সারদা আর নরেনের অজানা গল্প 🔥একদিন নরেন (যাকে আমরা আজ স্বামী বিবেকানন্দ নামে চিনি) প্রচণ্ড দুঃসময়ে পড়েছিলেন। সংসার...
09/09/2025

🔥 মা সারদা আর নরেনের অজানা গল্প 🔥

একদিন নরেন (যাকে আমরা আজ স্বামী বিবেকানন্দ নামে চিনি) প্রচণ্ড দুঃসময়ে পড়েছিলেন। সংসারের অভাব, টানাপোড়েন, কষ্টে ভরা জীবন।

তিনি ছুটে গেলেন মা সারদার কাছে —
“মা, তুমি কি আমার জন্য কালীমন্দিরে প্রার্থনা করবে?

সংসারের অভাব দূর হোক।”

মা সারদা মৃদু হেসে বললেন —
“বাবা, আমি কেন? তুমিই তো যেতে পারো, মা কালীর কাছে যা চাইবে মা দেবেন।”

নরেন গেলেন মন্দিরে। কিন্তু আশ্চর্য!

তিনি মুখ খুলে বললেন —

👉 “হে মা, আমাকে দাও জ্ঞান, দাও ভক্তি, দাও বৈরাগ্য!”
তিনবার গেলেন, তবু একবারও ধন-সম্পদ চাইতে পারলেন না।
ফিরে এসে লজ্জিত মনে বললেন —
“মা, আমি তো সংসারের জন্য কিছুই চাইতে পারলাম না।”

তখন মা সারদা স্নেহভরা চোখে বললেন —
✨ “বাবা নরেন, ঠাকুর তোমাকে যে কাজে পাঠিয়েছেন, সেখানে ধনসম্পদ নয়, এই জ্ঞান আর ভক্তিই তোমার প্রয়োজন। একদিন তুমি আলো দেখাবে সারা পৃথিবীকে।”
আজ ইতিহাস প্রমাণ করেছে — মা সারদার সেই আশীর্বাদই সত্যি হলো। 🌍

👉 এই গল্পটা পড়ে তোমার কেমন লাগল? ভালো লাগলে
❤️ রিয়েক্ট দিয়ে শেয়ার করো, যাতে আরও মানুষ জানতে পারে মা সারদা ও স্বামী বিবেকানন্দের এই আশ্চর্য সম্পর্কের কথা !!

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

স্বামীজি আর নিবেদিতার প্রশ্নএকদিন ভগিনী নিবেদিতা স্বামী বিবেকানন্দের কাছে এসে বললেন—“স্বামীজি, আমি তো পাশ্চাত্যের মানুষ,...
28/08/2025

স্বামীজি আর নিবেদিতার প্রশ্ন

একদিন ভগিনী নিবেদিতা স্বামী বিবেকানন্দের কাছে এসে বললেন—

“স্বামীজি, আমি তো পাশ্চাত্যের মানুষ, সব কিছুতেই প্রশ্ন করি। আপনি তো বলেন ঈশ্বর সর্বত্র, সবখানে আছেন। কিন্তু আমি তো তাকে দেখি না, বুঝি না। তাহলে আমি কিভাবে নিশ্চিত হবো যে ঈশ্বর সত্যিই আছেন?”

নিবেদিতার কণ্ঠে ছিল একধরনের দ্বিধা, আবার একধরনের কৌতূহল।

স্বামীজির উত্তর
স্বামীজি শান্তভাবে হেসে বললেন—

“নিবেদিতা, তুমি যদি সত্যিই ঈশ্বরকে দেখতে চাও, তবে মানুষের চোখের দিকে তাকাও। মানুষের দুঃখ-কষ্টে, ভালোবাসায়, আত্মত্যাগে ঈশ্বরকে দেখতে পাবে।

দরিদ্রের সেবায়, অসহায়ের কান্নায়, মাতৃহৃদয়ের মমতায়—সেখানেই ঈশ্বর প্রকাশিত হন। ঈশ্বরকে খুঁজতে আকাশে তাকিও না, মানুষের সেবা করো। সেখানেই তাঁকে পাবে।”
নিবেদিতার অনুভব
নিবেদিতা গভীরভাবে শুনলেন।
সেই মুহূর্তে তাঁর চোখ ভিজে এল।
তিনি বললেন—
“আজ বুঝলাম, ঈশ্বর কোনো দূরের কল্পনা নন, বরং প্রতিটি মানবহৃদয়ে তাঁর বাস। আপনার কাছ থেকে এই শিক্ষা পেয়েই আমি সেবাকেই পূজা মনে করব।”

এই ঘটনার পর থেকেই নিবেদিতা নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন ভারতবর্ষের শিক্ষা আর সমাজসেবায়। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন— “মানবসেবাই সত্যিকারের ঈশ্বরসেবা।” 🙌

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

একবার এক ভক্ত মা সারদার কাছে এসে খুব কষ্ট করে বললেন –“মা, আমার মন কখনো শান্ত হয় না। জপ করতে গেলেই মন ছুটে যায়। আমি কী ...
28/08/2025

একবার এক ভক্ত মা সারদার কাছে এসে খুব কষ্ট করে বললেন –

“মা, আমার মন কখনো শান্ত হয় না। জপ করতে গেলেই মন ছুটে যায়। আমি কী করব?”

মা হেসে ভক্তকে বললেন –

“বাবা, মন যদি ছুটে যায়, আবার টেনে আনো। যেমন একটি গাছের গায়ে গরু বাঁধা থাকে, সে যতই ঘুরুক না কেন, শেষে তো গাছের কাছেই ফিরে আসে। তেমনি মন যত দূরেই ছুটে যাক, তুমি নামজপে টেনে নিয়ে আসো।”

ভক্ত কাঁদতে কাঁদতে বললেন –

“মা, আমি পারব তো?”

মা সারদা মমতায় ভরা চোখে বললেন –
“তুমি পারবে না কেন? মনে রেখো, যদি মন একেবারেই স্থির না হয়, তাহলেও নামজপের ফল নষ্ট হয় না। যেমন বাতাসে উড়তে উড়তে ধূপের গন্ধ চারিদিকে ছড়ায়, তেমনি প্রতিটি নাম উচ্চারণে তোমার হৃদয়ে অমৃত ফল জমা হয়।”

এই কথায় ভক্তের চোখ ভিজে গেল। তিনি অনুভব করলেন — আসল শান্তি বাইরে নয়, অন্তরের ভক্তিতে।

👉 এই গল্প থেকে শিক্ষা:
মন যতই অস্থির হোক, নামজপ বা প্রার্থনা কখনো বৃথা যায় না।

ধৈর্য আর ভালোবাসা দিয়ে মনকে বারবার ঈশ্বরের দিকে ফেরাতে হয়।

মা সারদার আশ্বাসের মতোই — সামান্য ভক্তিও আমাদের জীবনে আধ্যাত্মিক ফল আনে।

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

রচনা: রাগ নিয়ন্ত্রণ (Anger Management)ভূমিকামানবজীবনে আবেগ একটি স্বাভাবিক এবং অপরিহার্য উপাদান। আনন্দ, দুঃখ, ভয়, ভালোবাস...
28/08/2025

রচনা: রাগ নিয়ন্ত্রণ (Anger Management)
ভূমিকা
মানবজীবনে আবেগ একটি স্বাভাবিক এবং অপরিহার্য উপাদান। আনন্দ, দুঃখ, ভয়, ভালোবাসা কিংবা রাগ—সবকিছুই মানুষের স্বাভাবিক মানসিক প্রকাশ। এর মধ্যে রাগ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী আবেগ, যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে, আবার অনিয়ন্ত্রিত হলে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়। তাই রাগকে দমন নয়, বরং নিয়ন্ত্রণ ও সঠিকভাবে পরিচালনা করাই বুদ্ধিমানের কাজ। একে আমরা বলি Anger Management বা রাগ নিয়ন্ত্রণ।
রাগের উৎপত্তি ও মনোবিজ্ঞান
মানুষ যখন কোনো অবিচার, প্রতারণা বা অন্যায়ের শিকার হয়, তখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাগ জন্ম নেয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, রাগ হলো এক ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা বিপদ বা চাপের মুখে মানুষকে আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত করে।
• শারীরবৃত্তীয় দিক থেকে: রাগ হলে শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোন নিঃসৃত হয়, হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং রক্তচাপ বৃদ্ধি পায়।
• মানসিক দিক থেকে: রাগ মানুষকে অস্থির, উত্তেজিত এবং কখনো কখনো অযৌক্তিক করে তোলে।
অতএব, রাগ একটি প্রাকৃতিক প্রতিক্রিয়া হলেও এর নিয়ন্ত্রণই নির্ধারণ করে মানুষ কতটা পরিণত ও দায়িত্বশীল।
শিশু, কিশোর ও প্রাপ্তবয়স্কদের রাগ
১. শিশুদের রাগ: তারা ছোটখাটো বিষয়ে কান্না, চিৎকার বা জেদ প্রকাশ করে। এসময় অভিভাবকের সহনশীলতা ও ভালোবাসা রাগ কমাতে সাহায্য করে।
২. কিশোরদের রাগ: কৈশোরে হরমোন পরিবর্তন, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা এবং আত্মসম্মানের বোধ প্রবল থাকায় তাদের রাগ প্রবল হয়।
৩. প্রাপ্তবয়স্কদের রাগ: কর্মক্ষেত্রের চাপ, পারিবারিক সমস্যা, আর্থিক অনিশ্চয়তা ও সামাজিক প্রতিযোগিতা তাদের রাগ বাড়ায়।
রাগের ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক
ইতিবাচক দিক:
• রাগ কখনো কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলে।
• সমাজ পরিবর্তন ও সংস্কারের আন্দোলনে রাগ শক্তি জোগায়।
• আত্মমর্যাদা রক্ষায় রাগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
নেতিবাচক দিক:
• অনিয়ন্ত্রিত রাগে পরিবারে ভাঙন সৃষ্টি হয়।
• বন্ধুত্ব ও সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট হয়।
• শারীরিক রোগ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, মানসিক চাপ ইত্যাদি বাড়ে।
• কর্মজীবনে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।
রাগ নিয়ন্ত্রণের কৌশল (Anger Management Techniques)
১. গভীর শ্বাস ও ধৈর্য: রাগ উঠলে কয়েকবার গভীর শ্বাস নেওয়া ও কিছুক্ষণের জন্য চুপ থাকা কার্যকর পদ্ধতি।
২. শারীরিক ব্যায়াম: প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম ও ক্রীড়াচর্চা মানসিক চাপ হ্রাস করে।
৩. ভাবনার পরিবর্তন: “আমার ক্ষতি হলো” এই নেতিবাচক ভাবনার বদলে বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখা দরকার।
4. যোগ ও ধ্যান: মনের প্রশান্তি আনে, যা রাগ কমানোর সেরা উপায়।
5. কথোপকথন ও যোগাযোগ: বিশ্বাসযোগ্য মানুষের সাথে সমস্যার কথা শেয়ার করলে চাপ হালকা হয়।
6. পেশাদার সহায়তা: রাগ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় জীবনে প্রভাব ফেলে, তবে মনোবিদের সাহায্য নেওয়া উচিত।
ধর্মীয় ও দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি
• ইসলাম ধর্মে রাগ নিয়ন্ত্রণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নবী করিম (স.) বলেছেন, “শক্তিশালী সেই ব্যক্তি নয় যে কুস্তিতে অন্যকে হারাতে পারে, বরং প্রকৃত শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”
• হিন্দুধর্মে রাগকে মোহ-মায়ার অংশ বলা হয়েছে, যা আত্মার উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি করে।
• বৌদ্ধধর্মে রাগকে ‘তিনটি বিষ’-এর একটি বলা হয় (লোভ, রাগ, মোহ), যা দুঃখের মূল কারণ।
• আধুনিক দর্শন মতে, আত্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়া মানুষ পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না।
বাস্তব জীবনের উদাহরণ
• মহাত্মা গান্ধী অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে।
• মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র শান্তিপূর্ণ উপায়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, যা রাগ নিয়ন্ত্রণের অসাধারণ উদাহরণ।
• অপরদিকে, পারিবারিক সহিংসতা, রোড রেজ বা হঠাৎ খুন-খারাপি হলো অনিয়ন্ত্রিত রাগের ভয়াবহ ফলাফল।
উপসংহার
রাগ মানুষের স্বাভাবিক আবেগ। তবে এটি যেন জীবনের নিয়ন্ত্রণ না নেয়, সেটিই সবচেয়ে জরুরি। রাগকে দমন নয়, বরং সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারলেই মানুষ নিজের জীবনকে সুন্দর, স্বাস্থ্যকর ও সফল করে তুলতে পারে। সমাজেও শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে। তাই প্রতিটি মানুষেরই শিখে নেওয়া উচিত কিভাবে Anger Management বা রাগ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জীবনের প্রতিটি পরিস্থিতিকে পরিণতভাবে মোকাবিলা করা যায়।

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

একদিন কয়েকজন ভক্ত দক্ষিণেশ্বরে এসে ঠাকুরকে জিজ্ঞেস করলেন—“ঠাকুর, আমরা তো সংসারী মানুষ, সংসারের দায়-দায়িত্ব আছে, তাহলে...
18/08/2025

একদিন কয়েকজন ভক্ত দক্ষিণেশ্বরে এসে ঠাকুরকে জিজ্ঞেস করলেন—

“ঠাকুর, আমরা তো সংসারী মানুষ, সংসারের দায়-দায়িত্ব আছে, তাহলে কেমন করে ঈশ্বরকে পাব?”

ঠাকুর মৃদু হেসে বললেন—
“দেখো, জলে পদ্মফুল যেমন ভেসে থাকে, কিন্তু তার পাতা ভিজে না— সংসারে থেকেও তেমন ভাবে মনটা ঈশ্বরের দিকে রাখতে হবে। সংসারে থাকো, দায়িত্ব পালন করো, কিন্তু অন্তরে যেন ‘আমি ঈশ্বরের’ এই ভক্তি ভোলা না যায়।”

তারপর ঠাকুর একটা উদাহরণ দিলেন—
“জলচর পাখি যখন খাবার খুঁজে বেড়ায় তখন ডানামেলা করে মাটিতে থাকে। কিন্তু একটু ডাক দিলে বা বিপদ দেখলেই ডানা মেলে আকাশে উড়ে যায়। সংসারে থেকেও ভক্তের মন যেন তেমনি ঈশ্বরের কাছে উড়ে যায়।”
এই কথা শুনে ভক্তদের চোখ ভিজে গেল।

ঠাকুর আবার বললেন—
“সংসারকে বাঁধন ভেবো না। সংসারে থেকেও ভক্তি করা যায়। শুধু অন্তরে আন্তরিকতা চাই।”

👉 এই গল্পে ঠাকুর আমাদের শিখিয়েছেন— সংসার ত্যাগ না করেও, দৈনন্দিন জীবন যাপন করেও ঈশ্বরকে পাওয়া যায়, যদি মনটা সব সময় তাঁর সঙ্গে যুক্ত থাকে।

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

**গল্প: “মৃত ভৃত্যর পুনর্জন্ম”**একসময় দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে ঠাকুরের এক ভৃত্য কাজ করত। ভৃত্যটি ঠাকুরকে খুব ভালোবাসত, আ...
14/08/2025

**গল্প: “মৃত ভৃত্যর পুনর্জন্ম”**

একসময় দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে ঠাকুরের এক ভৃত্য কাজ করত। ভৃত্যটি ঠাকুরকে খুব ভালোবাসত, আর ঠাকুরও তাকে স্নেহ করতেন। কিন্তু হঠাৎ একদিন সেই ভৃত্য গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যায়।

মৃত্যুর কয়েকদিন পর, দক্ষিণেশ্বরের এক মহিলা ভক্ত রাতে স্বপ্নে দেখলেন—সেই মৃত ভৃত্য তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু তার শরীর থেকে যেন অদ্ভুত আলো বেরোচ্ছে। সে বলছে,

> “ঠাকুরের কৃপায় আমি মুক্তি পেয়েছি। মা কালী আমাকে আশীর্বাদ করেছেন, আর ঠাকুরের কাছে আমার সেবা স্বীকৃতি পেয়েছে। আমি আবার পৃথিবীতে আসব, ঠাকুরের সেবা করতে।”

মহিলা ঘুম থেকে উঠে চমকে গেলেন। পরদিন দক্ষিণেশ্বরে এসে ঠাকুরকে স্বপ্নের কথা বললেন। ঠাকুর শান্ত হেসে বললেন—

> “যারা সত্যিকারের ভক্তি নিয়ে সেবা করে, তারা মৃত্যুর পরও দূরে থাকে না। সে আবার আসবে—কেবল দেহ বদলাবে, ভালোবাসা বদলাবে না।”

কয়েক বছর পর সত্যিই সেই মহিলার বাড়িতে একটি শিশু জন্ম নিল, আর শিশুটি বড় হতে হতে ঠাকুরের কথা শুনলেই অকারণ আনন্দে ভরে উঠত, যেমনটা মৃত ভৃত্যের সময় দেখা যেত।

এই গল্পে ঠাকুর যেন আমাদের মনে করিয়ে দেন—**মৃত্যু কোনও শেষ নয়, ভক্তি আর ভালোবাসা মৃত্যুকেও অতিক্রম করে**।

Tomar Golpo Anar Konthe

Mrinmoy Roy

Address

Kolkata

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when T G A K posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to T G A K:

Share